আজকের পত্রিকা: হাওরে আকস্মিক বন্যার প্রভাব এড়িয়ে কীভাবে কৃষক ঘরে ধান তুলবে?
জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস: হাওরের জন্য বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা কেন্দ্র মিলে একটা প্রকল্পে কাজ করছে। তারা স্বল্পজীবী এবং ঠান্ডা সহ্য করতে পারবে—এমন ধানের জাত উদ্ভাবনে চেষ্টা করছে। বেশ কিছু অগ্রবর্তী সারি বিজ্ঞানীদের হাতে আছে, যেগুলো নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। বিজ্ঞানীরা আশাবাদী কয়েক বছর পর এমন জাত পাবেন, যেগুলো সহজেই আবাদ করা যাবে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের টার্গেট হলো ৩০ মার্চের মধ্যে কাটা যায়, এমন জাত নিয়ে আসা।
আজকের পত্রিকা: গবেষণায় উদ্ভাবিত জাত কৃষকের মাঝে কেমন সাড়া ফেলছে?
জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস: প্রতিবছর ধানের নতুন নতুন জাত আসছে। এখন জাত উদ্ভাবন হয় স্থান, কাল, পরিবেশভেদে। ধানের পুরোনো যে জাতগুলো কৃষকের খুব পছন্দ বোরো মৌসুমে ব্রি ধান-২৮, ব্রি ধান-২৯, আবার আমন মৌসুমে বিআর-১১ এগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কৃষককে জানতে হবে কোন জাতগুলো কোন জায়গায় চাষ করতে হবে। কোন জাত পাঁচ বছরের বেশি চাষ করা উচিত নয়। কৃষককে সচেতন করার পাশাপাশি তার জন্য ওই জাতটা তৈরি রাখতে হবে। এখানে বিএডিসিকে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে। এ ছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান বীজ নিয়ে কারবার করে, তাদেরও নতুন জাতগুলো সামনে নিয়ে আসতে হবে। হাওরে এখনো ভালো জাত আসেনি। প্রযুক্তি দিয়ে মোটামুটি ম্যানেজ করা যায়।
আজকের পত্রিকা: বন্যার কারণে একদিকে ফসল নষ্ট হলো অন্যদিকে কৃষকও ক্ষতিগ্রস্ত হলেন। কৃষকের ক্ষতি পোষাতে কি কোনো উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন?
জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস: মার্চের ৩০ তারিখে যে ঢল আসে, এটা থেকে বাঁচা একটু কষ্টকর। এ জন্য সরকারের উচিত শস্যবিমা চালু করা। সেখান থেকে কৃষকদের সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বিমা আকস্মিক বন্যার জন্য হতে পারে আবার খরার জন্যও চিন্তা করা যেতে পারে। শস্যবিমা প্রথা সমগ্র পৃথিবীতে চালু আছে।
আজকের পত্রিকা: ইউক্রেন-রাশিয়া চলমান যুদ্ধ দেশের খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে?
জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ হয়তো আন্তর্জাতিক কৃষি বাণিজ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু আমাদের এখানে এর প্রভাবটা, বিশেষ করে আমাদের ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে কিছুটা আসতে পারে। আমাদের সার ও অন্যান্য জিনিস আমরা বাইরে থেকে আনি। সেখানে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু এখানে আমরা যদি সচেতন থাকি, বিশেষ করে আমাদের সরকারের যে কৃষিনীতি আছে, তাতে যদি সবাই সচেতন থাকে, তাহলে আমাদের যে সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেটা হবে না। অন্যদিকে সরকার যথেষ্ট ভর্তুকি বাড়িয়েছে।
আজকের পত্রিকা: দেশের খাদ্য উৎপাদন কীভাবে বাড়ানো যায় বলে আপনি মনে করেন?
জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস: দেশে এখনো হাওর এলাকায় প্রচুর পতিত জমি আছে। সেগুলোর একটা হিসাব করা দরকার। এগুলো যদি আবাদের আওতায় আনা যায় তাহলে শস্য উৎপাদন বাড়বে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে এখনো প্রচুর মিঠাপানি আছে, যা কাজে লাগানো যেতে পারে। যেসব নদী মেঘনা থেকে উৎপত্তি হয়ে পটুয়াখালীর দিকে গেছে, সেগুলোর পানি মিঠা। সেখানে নদীর আশপাশের কৃষকেরা কিছু জায়গায় মুগ ডাল চাষ করেন। তবে তাঁরা বলেছেন, মুগ ডাল চাষ করে খুব একটা লাভ হয় না।
কেউ কেউ আছে যারা ধান আবাদ করতে খুব আগ্রহী। ওই মিঠাপানি ব্যবহার করে ধান আবাদ শুরু করা যায়।
আজকের পত্রিকা: ভালো জাতের ধান চাষ করে ভালো উৎপাদনের পর কৃষক অনেক সময় ন্যায্য দাম পান না। এ ক্ষেত্রে আপনার পরামর্শ কী?
জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস: ধান ঘরে তোলার সময় কৃষক অনেক সময় বিক্রি করতে বাধ্য হন। নিজের প্রয়োজন মেটাতে বিক্রি করতে বাধ্য হন। ওই সময় যদি কৃষক কিছুদিন ধানটা রেখে দেন, তাহলে দামটা ভালো পাবেন। কিন্তু বর্তমানে মধ্যস্বত্বভোগীরা সুবিধাটা নিয়ে নেয়। ধান কাটার মৌসুমে সরকার যদি কৃষককে সহজ শর্তে স্বল্প সুদে ঋণ দেয়, তাহলে তাঁকে মাঠ থেকেই ধান বিক্রি করতে হবে না। কৃষক তখন ওই পয়সা দিয়ে তখনকার প্রয়োজন মেটাবে, পরে যখন ধানের বাজারটা বাড়বে, তখন কৃষক আস্তে আস্তে বিক্রি করবেন। জাপানের মতো দেশ কিংবা অনেক দেশেই কৃষককে প্রচুর ভর্তুকি দেওয়া হয়। কৃষি এমনই জিনিস, যার কোনো বিকল্প নেই। ধান বা গম এটা কিন্তু মেশিনে বানানো যায় না। এটাকে উৎপাদন করতেই হয়। এবং এটা কৃষককেই করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: হাওরে আকস্মিক বন্যার প্রভাব এড়িয়ে কীভাবে কৃষক ঘরে ধান তুলবে?
জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস: হাওরের জন্য বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা কেন্দ্র মিলে একটা প্রকল্পে কাজ করছে। তারা স্বল্পজীবী এবং ঠান্ডা সহ্য করতে পারবে—এমন ধানের জাত উদ্ভাবনে চেষ্টা করছে। বেশ কিছু অগ্রবর্তী সারি বিজ্ঞানীদের হাতে আছে, যেগুলো নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। বিজ্ঞানীরা আশাবাদী কয়েক বছর পর এমন জাত পাবেন, যেগুলো সহজেই আবাদ করা যাবে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের টার্গেট হলো ৩০ মার্চের মধ্যে কাটা যায়, এমন জাত নিয়ে আসা।
আজকের পত্রিকা: গবেষণায় উদ্ভাবিত জাত কৃষকের মাঝে কেমন সাড়া ফেলছে?
জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস: প্রতিবছর ধানের নতুন নতুন জাত আসছে। এখন জাত উদ্ভাবন হয় স্থান, কাল, পরিবেশভেদে। ধানের পুরোনো যে জাতগুলো কৃষকের খুব পছন্দ বোরো মৌসুমে ব্রি ধান-২৮, ব্রি ধান-২৯, আবার আমন মৌসুমে বিআর-১১ এগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কৃষককে জানতে হবে কোন জাতগুলো কোন জায়গায় চাষ করতে হবে। কোন জাত পাঁচ বছরের বেশি চাষ করা উচিত নয়। কৃষককে সচেতন করার পাশাপাশি তার জন্য ওই জাতটা তৈরি রাখতে হবে। এখানে বিএডিসিকে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে। এ ছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান বীজ নিয়ে কারবার করে, তাদেরও নতুন জাতগুলো সামনে নিয়ে আসতে হবে। হাওরে এখনো ভালো জাত আসেনি। প্রযুক্তি দিয়ে মোটামুটি ম্যানেজ করা যায়।
আজকের পত্রিকা: বন্যার কারণে একদিকে ফসল নষ্ট হলো অন্যদিকে কৃষকও ক্ষতিগ্রস্ত হলেন। কৃষকের ক্ষতি পোষাতে কি কোনো উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন?
জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস: মার্চের ৩০ তারিখে যে ঢল আসে, এটা থেকে বাঁচা একটু কষ্টকর। এ জন্য সরকারের উচিত শস্যবিমা চালু করা। সেখান থেকে কৃষকদের সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বিমা আকস্মিক বন্যার জন্য হতে পারে আবার খরার জন্যও চিন্তা করা যেতে পারে। শস্যবিমা প্রথা সমগ্র পৃথিবীতে চালু আছে।
আজকের পত্রিকা: ইউক্রেন-রাশিয়া চলমান যুদ্ধ দেশের খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে?
জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ হয়তো আন্তর্জাতিক কৃষি বাণিজ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু আমাদের এখানে এর প্রভাবটা, বিশেষ করে আমাদের ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে কিছুটা আসতে পারে। আমাদের সার ও অন্যান্য জিনিস আমরা বাইরে থেকে আনি। সেখানে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু এখানে আমরা যদি সচেতন থাকি, বিশেষ করে আমাদের সরকারের যে কৃষিনীতি আছে, তাতে যদি সবাই সচেতন থাকে, তাহলে আমাদের যে সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেটা হবে না। অন্যদিকে সরকার যথেষ্ট ভর্তুকি বাড়িয়েছে।
আজকের পত্রিকা: দেশের খাদ্য উৎপাদন কীভাবে বাড়ানো যায় বলে আপনি মনে করেন?
জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস: দেশে এখনো হাওর এলাকায় প্রচুর পতিত জমি আছে। সেগুলোর একটা হিসাব করা দরকার। এগুলো যদি আবাদের আওতায় আনা যায় তাহলে শস্য উৎপাদন বাড়বে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে এখনো প্রচুর মিঠাপানি আছে, যা কাজে লাগানো যেতে পারে। যেসব নদী মেঘনা থেকে উৎপত্তি হয়ে পটুয়াখালীর দিকে গেছে, সেগুলোর পানি মিঠা। সেখানে নদীর আশপাশের কৃষকেরা কিছু জায়গায় মুগ ডাল চাষ করেন। তবে তাঁরা বলেছেন, মুগ ডাল চাষ করে খুব একটা লাভ হয় না।
কেউ কেউ আছে যারা ধান আবাদ করতে খুব আগ্রহী। ওই মিঠাপানি ব্যবহার করে ধান আবাদ শুরু করা যায়।
আজকের পত্রিকা: ভালো জাতের ধান চাষ করে ভালো উৎপাদনের পর কৃষক অনেক সময় ন্যায্য দাম পান না। এ ক্ষেত্রে আপনার পরামর্শ কী?
জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস: ধান ঘরে তোলার সময় কৃষক অনেক সময় বিক্রি করতে বাধ্য হন। নিজের প্রয়োজন মেটাতে বিক্রি করতে বাধ্য হন। ওই সময় যদি কৃষক কিছুদিন ধানটা রেখে দেন, তাহলে দামটা ভালো পাবেন। কিন্তু বর্তমানে মধ্যস্বত্বভোগীরা সুবিধাটা নিয়ে নেয়। ধান কাটার মৌসুমে সরকার যদি কৃষককে সহজ শর্তে স্বল্প সুদে ঋণ দেয়, তাহলে তাঁকে মাঠ থেকেই ধান বিক্রি করতে হবে না। কৃষক তখন ওই পয়সা দিয়ে তখনকার প্রয়োজন মেটাবে, পরে যখন ধানের বাজারটা বাড়বে, তখন কৃষক আস্তে আস্তে বিক্রি করবেন। জাপানের মতো দেশ কিংবা অনেক দেশেই কৃষককে প্রচুর ভর্তুকি দেওয়া হয়। কৃষি এমনই জিনিস, যার কোনো বিকল্প নেই। ধান বা গম এটা কিন্তু মেশিনে বানানো যায় না। এটাকে উৎপাদন করতেই হয়। এবং এটা কৃষককেই করতে হবে।
বাংলাদেশি তরুণ ওমর আহমেদ বর্তমানে বেলজিয়ামের ইএএসপিডি ব্রাসেলসের ইইউ প্রজেক্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত। বেলজিয়ামে উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কাজ, বাংলাদেশিদের সুযোগ ও প্রস্তুতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন নাদিম মজিদ।
২২ মার্চ ২০২৫ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব একজন প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ এবং জননীতি বিশ্লেষক। তিনি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। সম্প্রতি তথ্য খাতসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অর্চি হক।
১৭ মার্চ ২০২৫অন্তর্বর্তী সরকারের ৬ মাস পূর্ণ হচ্ছে ৮ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ে দেশের অর্থনীতির অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলেছেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আজকের পত্রিকার বাণিজ্য সম্পাদক শাহ আলম খান।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ে ধারণ করা জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র একটি পর্বে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সাক্ষাৎকারে তাঁর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত অংশ আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫