Ajker Patrika

ইংরেজিকে যুক্তরাষ্ট্রের দাপ্তরিক ভাষা করে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ

আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৫, ১১: ০৯
ডোনাল্ড ট্রাম্প ওভাল অফিসে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করছেন। ছবি: এএফপি
ডোনাল্ড ট্রাম্প ওভাল অফিসে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করছেন। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভাষা তথা দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ইংরেজিকে অনুমোদন দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল শনিবার ট্রাম্প এ বিষয়ে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন, যেখানে ইংরেজিকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই আদেশের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা ও যেসব প্রতিষ্ঠান ফেডারেল অর্থায়ন পায়, তাদের নথিপত্র ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে অবশ্যই ইংরেজি ব্যবহার করতে হবে। তবে তাদের এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে যে, তারা ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষায় নথি ও পরিষেবা প্রদান চালিয়ে যাবে কি না।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের একটি আদেশ বাতিল করা হয়েছে। সেই আদেশ সরকারি ও ফেডারেল অর্থায়নপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোকে ইংরেজি না জানা ব্যক্তিদের ভাষাগত সহায়তা দিতে বাধ্য করা হয়েছিল।

ট্রাম্পের আদেশে বলা হয়েছে, ‘ইংরেজিকে সরকারি (দাপ্তরিক) ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করলে যোগাযোগ সহজতর হবে, জাতীয় মূল্যবোধ আরও দৃঢ় হবে এবং একটি ঐক্যবদ্ধ ও কার্যকর সমাজ গড়ে উঠবে।’ এতে আরও বলা হয়েছে, ‘নতুন আমেরিকানদের স্বাগত জানানোর ক্ষেত্রে আমাদের জাতীয় ভাষা শেখার ও গ্রহণের নীতি যুক্তরাষ্ট্রকে একটি অভিন্ন আবাস হিসেবে গড়ে তুলবে এবং নতুন নাগরিকদের আমেরিকান স্বপ্ন অর্জনের পথে ক্ষমতায়িত করবে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশে আরও বলা হয়, ‘ইংরেজি জানা কেবল অর্থনৈতিক সুযোগের দ্বার উন্মুক্ত করে না, এটি নতুন অভিবাসীদের তাদের সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে, জাতীয় ঐতিহ্যে অংশ নিতে এবং সমাজে অবদান রাখতে সহায়তা করে।’

ইউএস ইংলিশ নামক এক সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ৩০টিরও বেশি রাজ্য ইতিমধ্যে ইংরেজিকে সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করেছে। সংগঠনটি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজি প্রতিষ্ঠার পক্ষে কাজ করে।

কংগ্রেসের আইনপ্রণেতারা কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজিকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিভিন্ন আইন প্রস্তাব এনেছেন, তবে সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি। গত মাসে ট্রাম্পের অভিষেকের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতুন প্রশাসন হোয়াইট হাউসের সরকারি ওয়েবসাইটের স্প্যানিশ ভাষার সংস্করণ সরিয়ে দেয়।

এই পরিবর্তনে হিস্পানিক অধিকার সংগঠনসহ অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেন। হোয়াইট হাউস তখন জানিয়েছিল, তারা ওয়েবসাইটের স্প্যানিশ সংস্করণ পুনরায় চালু করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে শনিবার পর্যন্ত সেটি পুনরায় চালু করা হয়নি। এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না, তা জানতে চাইলে হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে ওয়েবসাইটের স্প্যানিশ সংস্করণ বন্ধ করে দিয়েছিলেন, যা ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিষেকের পর পুনরায় চালু করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

স্ত্রী রাজি নন, সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে না: পুলিশ

বাকৃবির ৫৭ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে সরকার, ভয়ে কলকাতায় দিলীপ কুমারের আত্মহত্যা

শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালে অবতরণ করল প্রথম ফ্লাইট

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন ছিলেন চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসে, দরজা ভেঙে বিছানায় মিলল তাঁর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত