মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের অন্তত দুজন কর্মীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও ইলন মাস্ক। এর মধ্যে একজন ছিলেন সংস্থাটির ইন্টার্ন কর্মী। শুধু তাই নয়, আরও একজন ইন্টার্ন কর্মীকে মাস্ক তাঁর নিজের সন্তান ধারণের জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এক বিশেষ প্রতিবেদনে বিষয়টি ফাঁস করেছে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল।
প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়েছে, স্পেসএক্স এবং টেসলা নিজের দুই কোম্পানিতেই প্রযুক্তি বিলিয়নিয়ার এমন একটি সংস্কৃতি তৈরি করেছিলেন, যেখানে নারীরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন না। ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগের মধ্যে এটাই সর্বশেষ অভিযোগ। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে কর্মক্ষেত্রেই নিয়মিত এলএসডি, কোকেন, মাশরুম এবং ক্যাটামাইনের মতো ভয়ংকর সব মাদক গ্রহণের অভিযোগ ছিল।
একসময় মাস্কের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ উঠেছিল—তিনি কর্মক্ষেত্রে এমন একটি প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করেছেন, যেখানে যৌন হয়রানি নিয়ে রসিকতা ছিল একটি সাধারণ ঘটনা। পাশাপাশি পুরুষের তুলনায় নারীদের কম বেতন দেওয়ার বিষয়টিও ছিল। আর এসব বিষয় নিয়ে কেউ উচ্চ-বাচ্য করলেই নিশ্চিতভাবে তিনি তাঁর চাকরিটি হারাতেন।
সাবেক কর্মীদের অনেকেই অভিযোগ করেছিলেন, কর্মক্ষেত্রে একটি ‘যৌনবাদী সংস্কৃতি’ গড়ে তুলেছিলেন মাস্ক, যেখানে যৌন সম্পর্কিত মন্তব্য এবং যৌন নিপীড়নের অন্যান্য ঘটনাকে সহ্য করতে হতো এবং এগুলোকে হালকা করে দেখা হতো।
ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনটিতে টেসলায় কাজ করা একাধিক নারীর উদ্ধৃতি নেওয়া হয়েছে। এই নারীরা অভিযোগ করেছেন, কর্মক্ষেত্রে তাঁরা ইলন মাস্কের কুনজরে ছিলেন। স্পেসএক্স সংস্থাটির একজন ফ্লাইট এটেনডেন্ট অভিযোগ করেছেন—২০১৬ সালে তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের বিনিময়ে একটি ঘোড়া কিনে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইলন মাস্ক।
২০১৩ সালে স্পেসএক্সের চাকরি ছেড়ে দেওয়া আরেক নারী অভিযোগ করেছেন, বিভিন্ন সময়ে তাঁর গর্ভে নিজের সন্তান ধারণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন মাস্ক। ধারণা করা হয়, বিভিন্ন নারীর গর্ভে জন্ম নেওয়া ইলন মাস্কের অন্তত ১০টি সন্তান রয়েছে। তিনি প্রায় সময়ই বলে থাকেন, পৃথিবী একসময় জনসংখ্যা কমে যাওয়ার সংকটে পড়বে এবং উচ্চ আইকিউ সম্পন্ন মানুষদের প্রজনন বাড়ানো উচিত।
ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনটিতে স্পেসএক্সে অতীতে কাজ করা আরও এক নারীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই নারী ইলন মাস্কের কাছ থেকে প্রায় সময়ই রাতের বেলায় তাঁর বাড়িতে যাওয়ার আহ্বান পেতেন। তাঁর কাছে ইলন মাস্কের কিছু মেসেজও সংরক্ষিত আছে। এর মধ্যে একটি মেসেজে মাস্ক লিখেছিলেন—‘আপনি কি আসছেন তাহলে? যদি না আসেন, আমি সম্ভবত সন্তান ধারণের ক্ষমতা হারাবো। স্বাভাবিক ঘুমের জন্য এটা একটা বড় চাপ।’
আরেক মেসেজে মাস্ক লিখেছেন, ‘সম্ভবত এটাই ভালো হবে, যদি আমরা একে অপরকে আর না দেখি।’
পরদিন সকালে ওই নারী ইলন মাস্ককে এক মেসেজে বলেছিলেন, ‘ওহ, ম্যান। আমি দুঃখিত যে, ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আমি আমার জীবনের বেশির ভাগ সময় গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থেকেছি। কিন্তু এটি এখন পরিবর্তনের চেষ্টা করছি। দুঃখিত গতকাল রাতে আমি বিধ্বস্ত ছিলাম।’
ওয়ালস্ট্রিটের প্রতিবেদনকে একটি বস্তাপচা প্রতিবেদন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন স্পেসএক্স ও ইলন মাস্কের আইনজীবীরা। প্রতিবেদনটিকে তাঁরা পুরোপুরি অসত্য বলে দাবি করেছেন। প্রতিবেদনটির বিষয়ে স্পেসএক্সের প্রেসিডেন্ট এবং চিফ অপারেটিং অফিসার গুয়েন শটওয়েল বলেছেন, ‘অনেক কাটাকুটি করা আপনার ই-মেইলে অসত্য ও ভুল তথ্য একটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর বর্ণনা দেয়। আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করা সব শক্তির মধ্যেও এই অসাধারণ গোষ্ঠীটি প্রতিদিন যা অর্জন করছে তাতে আমি বিস্মিত হয়ে যাচ্ছি। ইলন সেরাদের একজন, আমি যাদের চিনি।’
মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের অন্তত দুজন কর্মীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও ইলন মাস্ক। এর মধ্যে একজন ছিলেন সংস্থাটির ইন্টার্ন কর্মী। শুধু তাই নয়, আরও একজন ইন্টার্ন কর্মীকে মাস্ক তাঁর নিজের সন্তান ধারণের জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এক বিশেষ প্রতিবেদনে বিষয়টি ফাঁস করেছে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল।
প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়েছে, স্পেসএক্স এবং টেসলা নিজের দুই কোম্পানিতেই প্রযুক্তি বিলিয়নিয়ার এমন একটি সংস্কৃতি তৈরি করেছিলেন, যেখানে নারীরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন না। ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগের মধ্যে এটাই সর্বশেষ অভিযোগ। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে কর্মক্ষেত্রেই নিয়মিত এলএসডি, কোকেন, মাশরুম এবং ক্যাটামাইনের মতো ভয়ংকর সব মাদক গ্রহণের অভিযোগ ছিল।
একসময় মাস্কের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ উঠেছিল—তিনি কর্মক্ষেত্রে এমন একটি প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করেছেন, যেখানে যৌন হয়রানি নিয়ে রসিকতা ছিল একটি সাধারণ ঘটনা। পাশাপাশি পুরুষের তুলনায় নারীদের কম বেতন দেওয়ার বিষয়টিও ছিল। আর এসব বিষয় নিয়ে কেউ উচ্চ-বাচ্য করলেই নিশ্চিতভাবে তিনি তাঁর চাকরিটি হারাতেন।
সাবেক কর্মীদের অনেকেই অভিযোগ করেছিলেন, কর্মক্ষেত্রে একটি ‘যৌনবাদী সংস্কৃতি’ গড়ে তুলেছিলেন মাস্ক, যেখানে যৌন সম্পর্কিত মন্তব্য এবং যৌন নিপীড়নের অন্যান্য ঘটনাকে সহ্য করতে হতো এবং এগুলোকে হালকা করে দেখা হতো।
ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনটিতে টেসলায় কাজ করা একাধিক নারীর উদ্ধৃতি নেওয়া হয়েছে। এই নারীরা অভিযোগ করেছেন, কর্মক্ষেত্রে তাঁরা ইলন মাস্কের কুনজরে ছিলেন। স্পেসএক্স সংস্থাটির একজন ফ্লাইট এটেনডেন্ট অভিযোগ করেছেন—২০১৬ সালে তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের বিনিময়ে একটি ঘোড়া কিনে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইলন মাস্ক।
২০১৩ সালে স্পেসএক্সের চাকরি ছেড়ে দেওয়া আরেক নারী অভিযোগ করেছেন, বিভিন্ন সময়ে তাঁর গর্ভে নিজের সন্তান ধারণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন মাস্ক। ধারণা করা হয়, বিভিন্ন নারীর গর্ভে জন্ম নেওয়া ইলন মাস্কের অন্তত ১০টি সন্তান রয়েছে। তিনি প্রায় সময়ই বলে থাকেন, পৃথিবী একসময় জনসংখ্যা কমে যাওয়ার সংকটে পড়বে এবং উচ্চ আইকিউ সম্পন্ন মানুষদের প্রজনন বাড়ানো উচিত।
ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনটিতে স্পেসএক্সে অতীতে কাজ করা আরও এক নারীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই নারী ইলন মাস্কের কাছ থেকে প্রায় সময়ই রাতের বেলায় তাঁর বাড়িতে যাওয়ার আহ্বান পেতেন। তাঁর কাছে ইলন মাস্কের কিছু মেসেজও সংরক্ষিত আছে। এর মধ্যে একটি মেসেজে মাস্ক লিখেছিলেন—‘আপনি কি আসছেন তাহলে? যদি না আসেন, আমি সম্ভবত সন্তান ধারণের ক্ষমতা হারাবো। স্বাভাবিক ঘুমের জন্য এটা একটা বড় চাপ।’
আরেক মেসেজে মাস্ক লিখেছেন, ‘সম্ভবত এটাই ভালো হবে, যদি আমরা একে অপরকে আর না দেখি।’
পরদিন সকালে ওই নারী ইলন মাস্ককে এক মেসেজে বলেছিলেন, ‘ওহ, ম্যান। আমি দুঃখিত যে, ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আমি আমার জীবনের বেশির ভাগ সময় গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থেকেছি। কিন্তু এটি এখন পরিবর্তনের চেষ্টা করছি। দুঃখিত গতকাল রাতে আমি বিধ্বস্ত ছিলাম।’
ওয়ালস্ট্রিটের প্রতিবেদনকে একটি বস্তাপচা প্রতিবেদন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন স্পেসএক্স ও ইলন মাস্কের আইনজীবীরা। প্রতিবেদনটিকে তাঁরা পুরোপুরি অসত্য বলে দাবি করেছেন। প্রতিবেদনটির বিষয়ে স্পেসএক্সের প্রেসিডেন্ট এবং চিফ অপারেটিং অফিসার গুয়েন শটওয়েল বলেছেন, ‘অনেক কাটাকুটি করা আপনার ই-মেইলে অসত্য ও ভুল তথ্য একটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর বর্ণনা দেয়। আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করা সব শক্তির মধ্যেও এই অসাধারণ গোষ্ঠীটি প্রতিদিন যা অর্জন করছে তাতে আমি বিস্মিত হয়ে যাচ্ছি। ইলন সেরাদের একজন, আমি যাদের চিনি।’
কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেসম্যান থমাস ম্যাসিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান টুইটারের (বর্তমানে এক্স) সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্লক-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) জ্যাক ডরসি। এই অপ্রত্যাশিত সমর্থন প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে এই বিলিয়নিয়ারের ক্রমবর্ধমান ‘অ্যান্টি-এস্টাবলিশমেন্ট’ বা প্রথাবিরোধী রাজনীতির প্রতি ঝোঁক।
৪১ মিনিট আগেপ্রেসক্রিপশন ছাড়াই জরুরি গর্ভনিরোধক পিল বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে জাপান। তবে একজন ফার্মাসিস্টের উপস্থিতিতে এই ওষুধ নিতে হবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেকট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক সানায়ে তাকাইচি জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির রাজনীতিতে ভাঙল নারীদের দীর্ঘদিনের কাচের দেয়াল, আর জাপান নতুন করে ডানপন্থার দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর পরবর্তী বৈঠক হবে হাঙ্গেরিতে। বৈঠকের আয়োজক হাঙ্গেরির রুশপন্থী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে ইউরোপজুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেসম্যান থমাস ম্যাসিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান টুইটারের (বর্তমানে এক্স) সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্লক-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) জ্যাক ডরসি। এই অপ্রত্যাশিত সমর্থন প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে এই বিলিয়নিয়ারের ক্রমবর্ধমান ‘অ্যান্টি-এস্টাবলিশমেন্ট’ বা প্রথাবিরোধী রাজনীতির প্রতি ঝোঁক। কাঁপিয়ে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
গত রোববার রাতে জ্যাক ডরসি এক্স-এ ছয় শব্দের একটি বার্তা পোস্ট করেন, ‘@RepThomasMassie for president. ’ (প্রেসিডেন্ট পদের জন্য থমাস ম্যাসিকে সমর্থন করি।)
কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ পায় পোস্টটি। রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে লিবারটারিয়ান, ট্রাম্প সমর্থক এবং প্রগতিশীলদের বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে। গতকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত ম্যাসিকে প্রেসিডেন্ট পদে ডরসির সমর্থন করার পোস্টটি ৩০ লাখেরও বেশি ভিউ পেয়েছে।
স্বতন্ত্র অবস্থান এবং দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে ঘন ঘন বিরোধিতার জন্য পরিচিত রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ম্যাসিরও নজরে পড়ে এই সমর্থন এবং তিনি দ্রুতই ডরসির সমর্থনের প্রতিক্রিয়া জানান।
ম্যাসি লেখেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে (POTUS) প্রার্থী হব বলে মনে হয় না, তবে সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ@jack।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘তবে খুশি হব যদি আমরা কংগ্রেসে আরও চার-পাঁচজন পাই, যারা কেবল তাদের দল যা বলে তা-ই সবসময় করে না।’
সিলিকন ভ্যালির এক বিলিয়নিয়ার উদ্যোক্তা এবং কেনটাকির গ্রাম থেকে উঠে আসা এক প্রকৌশলী-রাজনীতিকের অপ্রত্যাশিত জোটকে সামনে নিয়ে আসে এই সংক্ষিপ্ত কথোপকথনটি। মুহূর্তেই দিনের সবচেয়ে আলোচিত রাজনৈতিক ঘটনাগুলোর একটিতে পরিণত হয় এই সমর্থন।
৫৪ বছর বয়সী ম্যাসি কেনটাকির চতুর্থ কংগ্রেশনাল জেলা প্রতিনিধিত্ব করেন এবং ওয়াশিংটনের সবচেয়ে স্বতন্ত্রচেতা রাজনীতিকদের একজন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এআইটি) থেকে ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সেন্সএবল টেকনোলজিস নামে একটি স্টার্টআপের যাত্রা শুরু করেন। এই কোম্পানি এমন একটি হ্যাপটিক ডিভাইস তৈরি করেছিল, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা স্পর্শের অনুভূতিতে ভার্চুয়াল বস্তু অনুভব করতে পারতেন।
নিজের অঙ্গরাজ্যে ফিরে ম্যাসি নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে চালিত একটি অফ-গ্রিড বাড়ি নির্মাণ করেন। এরপরই স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। ২০১২ সালে একটি বিশেষ নির্বাচনে জয়ী হয়ে কংগ্রেসে প্রবেশ করেন ম্যাসি।
এরপর থেকে তিনি প্রতিনিধি পরিষদের পরিবহন ও বিচারবিষয়ক কমিটিতে কাজ করেছেন এবং প্রায়ই বড় ব্যয় পরিকল্পনা ও দ্বিদলীয় বিলের বিপক্ষে ভোট দেন। এসব প্রস্তাব সংবিধানবিরোধী বা আর্থিকভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মনে করেন তিনি।
নিজ দল, এমনকি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও মতবিরোধে জড়িয়েছেন তিনি। ভিন্নমত পোষণের এই অভ্যাস ম্যাসিকে রিপাবলিকান ককাসে একইসঙ্গে প্রশংসিত এবং একঘরে করেছে।
ম্যাসিকে সমর্থন জানানো ৪৮ বছর বয়সী ডরসিও প্রযুক্তি জগতে একই ধরনের স্বতন্ত্রতার পথ অনুসরণ করেছেন।
২০০৬ সালে টুইটার সহপ্রতিষ্ঠা করেন ডরসি। ২০২১ সালে সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর সরকার এবং কর্পোরেট দুই ক্ষেত্রেই বিকেন্দ্রীকরণ, বাকস্বাধীনতার অধিকার এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে বারবার কথা বলেছেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে বেশ কিছু প্রথাবিরোধী প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন ডরসি, যাদের মধ্যে রয়েছেন—ডেমোক্র্যাট থেকে স্বতন্ত্র পরিচয় বেছে নেওয়া রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র; সাবেক ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী অ্যান্ড্রু ইয়াং এবং বর্তমান জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড।
সবশেষে রিপাবলিকান ম্যাসিকে সমর্থন ডরসির লিবারটারিয়ান ও স্বতন্ত্রচিন্তার দিকে ঝুঁকে পড়াকেই প্রকাশ্যে এনেছে। ডরসি বারবারই কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা কাঠামোর বিপক্ষে কথা বলেছেন, সেটা হোক সিলিকন ভ্যালি বা ওয়াশিংটন।
বিটকয়েনে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছেন এই প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং বিকেন্দ্রীভূত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রকল্প ব্লুস্কাই-এও বড় অঙ্কের অর্থায়ন করেছেন ডরসি। ব্লুস্কাইয়ে বিনিয়োগকে তিনি ‘ব্যবহারকারীদের কাছে নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়ার’ উপায় হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেসম্যান থমাস ম্যাসিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান টুইটারের (বর্তমানে এক্স) সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্লক-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) জ্যাক ডরসি। এই অপ্রত্যাশিত সমর্থন প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে এই বিলিয়নিয়ারের ক্রমবর্ধমান ‘অ্যান্টি-এস্টাবলিশমেন্ট’ বা প্রথাবিরোধী রাজনীতির প্রতি ঝোঁক। কাঁপিয়ে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
গত রোববার রাতে জ্যাক ডরসি এক্স-এ ছয় শব্দের একটি বার্তা পোস্ট করেন, ‘@RepThomasMassie for president. ’ (প্রেসিডেন্ট পদের জন্য থমাস ম্যাসিকে সমর্থন করি।)
কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ পায় পোস্টটি। রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে লিবারটারিয়ান, ট্রাম্প সমর্থক এবং প্রগতিশীলদের বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে। গতকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত ম্যাসিকে প্রেসিডেন্ট পদে ডরসির সমর্থন করার পোস্টটি ৩০ লাখেরও বেশি ভিউ পেয়েছে।
স্বতন্ত্র অবস্থান এবং দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে ঘন ঘন বিরোধিতার জন্য পরিচিত রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ম্যাসিরও নজরে পড়ে এই সমর্থন এবং তিনি দ্রুতই ডরসির সমর্থনের প্রতিক্রিয়া জানান।
ম্যাসি লেখেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে (POTUS) প্রার্থী হব বলে মনে হয় না, তবে সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ@jack।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘তবে খুশি হব যদি আমরা কংগ্রেসে আরও চার-পাঁচজন পাই, যারা কেবল তাদের দল যা বলে তা-ই সবসময় করে না।’
সিলিকন ভ্যালির এক বিলিয়নিয়ার উদ্যোক্তা এবং কেনটাকির গ্রাম থেকে উঠে আসা এক প্রকৌশলী-রাজনীতিকের অপ্রত্যাশিত জোটকে সামনে নিয়ে আসে এই সংক্ষিপ্ত কথোপকথনটি। মুহূর্তেই দিনের সবচেয়ে আলোচিত রাজনৈতিক ঘটনাগুলোর একটিতে পরিণত হয় এই সমর্থন।
৫৪ বছর বয়সী ম্যাসি কেনটাকির চতুর্থ কংগ্রেশনাল জেলা প্রতিনিধিত্ব করেন এবং ওয়াশিংটনের সবচেয়ে স্বতন্ত্রচেতা রাজনীতিকদের একজন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এআইটি) থেকে ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সেন্সএবল টেকনোলজিস নামে একটি স্টার্টআপের যাত্রা শুরু করেন। এই কোম্পানি এমন একটি হ্যাপটিক ডিভাইস তৈরি করেছিল, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা স্পর্শের অনুভূতিতে ভার্চুয়াল বস্তু অনুভব করতে পারতেন।
নিজের অঙ্গরাজ্যে ফিরে ম্যাসি নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে চালিত একটি অফ-গ্রিড বাড়ি নির্মাণ করেন। এরপরই স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। ২০১২ সালে একটি বিশেষ নির্বাচনে জয়ী হয়ে কংগ্রেসে প্রবেশ করেন ম্যাসি।
এরপর থেকে তিনি প্রতিনিধি পরিষদের পরিবহন ও বিচারবিষয়ক কমিটিতে কাজ করেছেন এবং প্রায়ই বড় ব্যয় পরিকল্পনা ও দ্বিদলীয় বিলের বিপক্ষে ভোট দেন। এসব প্রস্তাব সংবিধানবিরোধী বা আর্থিকভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মনে করেন তিনি।
নিজ দল, এমনকি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও মতবিরোধে জড়িয়েছেন তিনি। ভিন্নমত পোষণের এই অভ্যাস ম্যাসিকে রিপাবলিকান ককাসে একইসঙ্গে প্রশংসিত এবং একঘরে করেছে।
ম্যাসিকে সমর্থন জানানো ৪৮ বছর বয়সী ডরসিও প্রযুক্তি জগতে একই ধরনের স্বতন্ত্রতার পথ অনুসরণ করেছেন।
২০০৬ সালে টুইটার সহপ্রতিষ্ঠা করেন ডরসি। ২০২১ সালে সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর সরকার এবং কর্পোরেট দুই ক্ষেত্রেই বিকেন্দ্রীকরণ, বাকস্বাধীনতার অধিকার এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে বারবার কথা বলেছেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে বেশ কিছু প্রথাবিরোধী প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন ডরসি, যাদের মধ্যে রয়েছেন—ডেমোক্র্যাট থেকে স্বতন্ত্র পরিচয় বেছে নেওয়া রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র; সাবেক ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী অ্যান্ড্রু ইয়াং এবং বর্তমান জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড।
সবশেষে রিপাবলিকান ম্যাসিকে সমর্থন ডরসির লিবারটারিয়ান ও স্বতন্ত্রচিন্তার দিকে ঝুঁকে পড়াকেই প্রকাশ্যে এনেছে। ডরসি বারবারই কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা কাঠামোর বিপক্ষে কথা বলেছেন, সেটা হোক সিলিকন ভ্যালি বা ওয়াশিংটন।
বিটকয়েনে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছেন এই প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং বিকেন্দ্রীভূত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রকল্প ব্লুস্কাই-এও বড় অঙ্কের অর্থায়ন করেছেন ডরসি। ব্লুস্কাইয়ে বিনিয়োগকে তিনি ‘ব্যবহারকারীদের কাছে নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়ার’ উপায় হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
মহাকাশ সংস্থা স্পেস-এক্সের অন্তত দুজন কর্মীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও ইলন মাস্ক। এর মধ্যে একজন ছিলেন সংস্থাটির ইন্টার্ন কর্মী। শুধু তাই নয়, আরও একজন ইন্টার্ন কর্মীকে মাস্ক তাঁর নিজের সন্তান ধারণের জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এক বিশেষ প্রতিবেদনে বিষয়টি ফাঁস করেছে ওয়ালস্ট্রিট
১২ জুন ২০২৪প্রেসক্রিপশন ছাড়াই জরুরি গর্ভনিরোধক পিল বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে জাপান। তবে একজন ফার্মাসিস্টের উপস্থিতিতে এই ওষুধ নিতে হবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেকট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক সানায়ে তাকাইচি জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির রাজনীতিতে ভাঙল নারীদের দীর্ঘদিনের কাচের দেয়াল, আর জাপান নতুন করে ডানপন্থার দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর পরবর্তী বৈঠক হবে হাঙ্গেরিতে। বৈঠকের আয়োজক হাঙ্গেরির রুশপন্থী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে ইউরোপজুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রেসক্রিপশন ছাড়াই জরুরি গর্ভনিরোধক পিল বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে জাপান। তবে একজন ফার্মাসিস্টের উপস্থিতিতে এই ওষুধ নিতে হবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
এই পিলের প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এএসকেএ ফার্মাসিউটিক্যাল জানিয়েছে, দেশটির নারীরা প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এই ওষুধ গ্রহণ করতে পারবেন। তবে এই ওষুধটি ‘নির্দেশনা-প্রয়োজনীয় ওষুধ’ হিসেবে লেবেল করা হবে। অর্থাৎ নারীদের এটি অবশ্যই একজন ফার্মাসিস্টের উপস্থিতিতে গ্রহণ করতে হবে।
ওষুধ কোম্পানিটি মনে করে, এই পিলের সহজলভ্যতা ‘প্রজনন স্বাস্থ্যে জাপানি নারীদের ক্ষমতায়ন’ করবে। তবে এটি বাজারে আসার তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
জাপানের দৈনিক সংবাদপত্র মাইনইচি শিম্বুনের প্রতিবেদনে জানা যায়, এই ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে বয়সসীমা থাকবে না এবং অভিভাবকের সম্মতিও প্রয়োজন হবে না।
অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ প্রতিরোধে ব্যবহৃত এই ‘মর্নিং-আফটার পিল’ বা জরুরি গর্ভনিরোধক ওষুধ ইতিমধ্যেই ৯০টিরও বেশি দেশে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই পাওয়া যায়।
এই পিল নারীর ডিম্বাণুকে সম্পূর্ণভাবে পরিপক্ক হওয়া বা জরায়ুর দেয়ালে সংযুক্ত হওয়া রোধ করে কাজ করে। সাধারণত এটি অরক্ষিত যৌন মিলনের তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে নিতে হয়। তবে যত দ্রুত এটি নেওয়া হয়, তত বেশি কার্যকর হয়।
পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতা এবং নারীর ভূমিকা নিয়ে বহুকাল ধরে চলে আসা রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গির কারণে প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ওষুধ অনুমোদনে ধীরগতিতে এগিয়েছে জাপান।
এএসকেএ ফার্মাসিউটিক্যাল সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ‘নরলেভো’ (Norlevo) ট্রেডমার্কের অধীনে বাজারজাত জরুরি গর্ভনিরোধক পিলের ওভার-দ্য-কাউন্টার (OTC) অর্থাৎ প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রির অনুমোদন পেয়েছে।
তারা আরও জানায়, প্রেসক্রিপশন ছাড়া পরীক্ষামূলক বিক্রির পর ২০২৪ সালে তারা নিয়মিত বিক্রির অনুমোদনের জন্য আবেদন করে।
পরীক্ষামূলকভাবে জাপানের ১৪৫টি ফার্মেসিতে নরলেভো সহজলভ্য করা হয়েছিল। এর আগে পিলটি কেবল চিকিৎসকের পরামর্শ ও প্রেসক্রিপশন নিয়ে ক্লিনিক বা নির্দিষ্ট ফার্মেসি থেকেই সরবরাহ করা হতো।
সে সময় মানবাধিকার সংগঠনগুলো ওই পরীক্ষামূলক বিক্রি খুবই সীমিত পরিসরে বলে সমালোচনা করেছিল এবং সব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তি দিয়ে আসছিল যে প্রেসক্রিপশন বাধ্যতামূলক করার ফলে তরুণী ও ধর্ষণের শিকার নারীরা জরুরি গর্ভনিরোধক নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেয়।
২০১৭ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিশেষজ্ঞ কমিটিতে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এই ওষুধ বিক্রির বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আসে। সে সময় জনমত জরিপে দেশজুড়ে ব্যাপক সমর্থন মেলে। কিন্তু তখন এটিকে চূড়ান্ত অনুমোদন না দিয়ে যুক্তি দেখানো হয় যে এটি সহজলভ্য করলে এর অপব্যবহার বাড়বে।
‘নরলেভো’ এবং এর জেনেরিক সংস্করণ লেভোনরজেস্ট্রেল (levonorgestrel) অরক্ষিত যৌন মিলনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সর্বোত্তম কাজ করে এবং এর কার্যকারিতার হার প্রায় ৮০ শতাংশ।
প্রেসক্রিপশন ছাড়াই জরুরি গর্ভনিরোধক পিল বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে জাপান। তবে একজন ফার্মাসিস্টের উপস্থিতিতে এই ওষুধ নিতে হবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
এই পিলের প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এএসকেএ ফার্মাসিউটিক্যাল জানিয়েছে, দেশটির নারীরা প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এই ওষুধ গ্রহণ করতে পারবেন। তবে এই ওষুধটি ‘নির্দেশনা-প্রয়োজনীয় ওষুধ’ হিসেবে লেবেল করা হবে। অর্থাৎ নারীদের এটি অবশ্যই একজন ফার্মাসিস্টের উপস্থিতিতে গ্রহণ করতে হবে।
ওষুধ কোম্পানিটি মনে করে, এই পিলের সহজলভ্যতা ‘প্রজনন স্বাস্থ্যে জাপানি নারীদের ক্ষমতায়ন’ করবে। তবে এটি বাজারে আসার তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
জাপানের দৈনিক সংবাদপত্র মাইনইচি শিম্বুনের প্রতিবেদনে জানা যায়, এই ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে বয়সসীমা থাকবে না এবং অভিভাবকের সম্মতিও প্রয়োজন হবে না।
অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ প্রতিরোধে ব্যবহৃত এই ‘মর্নিং-আফটার পিল’ বা জরুরি গর্ভনিরোধক ওষুধ ইতিমধ্যেই ৯০টিরও বেশি দেশে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই পাওয়া যায়।
এই পিল নারীর ডিম্বাণুকে সম্পূর্ণভাবে পরিপক্ক হওয়া বা জরায়ুর দেয়ালে সংযুক্ত হওয়া রোধ করে কাজ করে। সাধারণত এটি অরক্ষিত যৌন মিলনের তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে নিতে হয়। তবে যত দ্রুত এটি নেওয়া হয়, তত বেশি কার্যকর হয়।
পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতা এবং নারীর ভূমিকা নিয়ে বহুকাল ধরে চলে আসা রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গির কারণে প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ওষুধ অনুমোদনে ধীরগতিতে এগিয়েছে জাপান।
এএসকেএ ফার্মাসিউটিক্যাল সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ‘নরলেভো’ (Norlevo) ট্রেডমার্কের অধীনে বাজারজাত জরুরি গর্ভনিরোধক পিলের ওভার-দ্য-কাউন্টার (OTC) অর্থাৎ প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রির অনুমোদন পেয়েছে।
তারা আরও জানায়, প্রেসক্রিপশন ছাড়া পরীক্ষামূলক বিক্রির পর ২০২৪ সালে তারা নিয়মিত বিক্রির অনুমোদনের জন্য আবেদন করে।
পরীক্ষামূলকভাবে জাপানের ১৪৫টি ফার্মেসিতে নরলেভো সহজলভ্য করা হয়েছিল। এর আগে পিলটি কেবল চিকিৎসকের পরামর্শ ও প্রেসক্রিপশন নিয়ে ক্লিনিক বা নির্দিষ্ট ফার্মেসি থেকেই সরবরাহ করা হতো।
সে সময় মানবাধিকার সংগঠনগুলো ওই পরীক্ষামূলক বিক্রি খুবই সীমিত পরিসরে বলে সমালোচনা করেছিল এবং সব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তি দিয়ে আসছিল যে প্রেসক্রিপশন বাধ্যতামূলক করার ফলে তরুণী ও ধর্ষণের শিকার নারীরা জরুরি গর্ভনিরোধক নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেয়।
২০১৭ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিশেষজ্ঞ কমিটিতে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এই ওষুধ বিক্রির বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আসে। সে সময় জনমত জরিপে দেশজুড়ে ব্যাপক সমর্থন মেলে। কিন্তু তখন এটিকে চূড়ান্ত অনুমোদন না দিয়ে যুক্তি দেখানো হয় যে এটি সহজলভ্য করলে এর অপব্যবহার বাড়বে।
‘নরলেভো’ এবং এর জেনেরিক সংস্করণ লেভোনরজেস্ট্রেল (levonorgestrel) অরক্ষিত যৌন মিলনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সর্বোত্তম কাজ করে এবং এর কার্যকারিতার হার প্রায় ৮০ শতাংশ।
মহাকাশ সংস্থা স্পেস-এক্সের অন্তত দুজন কর্মীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও ইলন মাস্ক। এর মধ্যে একজন ছিলেন সংস্থাটির ইন্টার্ন কর্মী। শুধু তাই নয়, আরও একজন ইন্টার্ন কর্মীকে মাস্ক তাঁর নিজের সন্তান ধারণের জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এক বিশেষ প্রতিবেদনে বিষয়টি ফাঁস করেছে ওয়ালস্ট্রিট
১২ জুন ২০২৪কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেসম্যান থমাস ম্যাসিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান টুইটারের (বর্তমানে এক্স) সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্লক-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) জ্যাক ডরসি। এই অপ্রত্যাশিত সমর্থন প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে এই বিলিয়নিয়ারের ক্রমবর্ধমান ‘অ্যান্টি-এস্টাবলিশমেন্ট’ বা প্রথাবিরোধী রাজনীতির প্রতি ঝোঁক।
৪১ মিনিট আগেকট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক সানায়ে তাকাইচি জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির রাজনীতিতে ভাঙল নারীদের দীর্ঘদিনের কাচের দেয়াল, আর জাপান নতুন করে ডানপন্থার দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর পরবর্তী বৈঠক হবে হাঙ্গেরিতে। বৈঠকের আয়োজক হাঙ্গেরির রুশপন্থী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে ইউরোপজুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক সানায়ে তাকাইচি জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির রাজনীতিতে ভাঙল নারীদের দীর্ঘদিনের কাচের দেয়াল, আর জাপান নতুন করে ডানপন্থার দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ঘনিষ্ঠ অনুসারী ও প্রয়াত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের গুণমুগ্ধ তাকাইচি আজ মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ভোটে ৪৬৫ আসনের মধ্যে ২৩৭টি ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। পরে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষও তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনুমতি দেয়।
তাকাইচির এই বিজয় জাপানের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যেখানে এখনো দেশটির রাজনীতির সব ক্ষেত্রেই পুরুষদের প্রভাব বেশি। তবে তাঁর নেতৃত্বে দেশটি অভিবাসন ও সামাজিক ইস্যুতে আরও কঠোর ডানপন্থী অবস্থানে যাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
তাঁর জয় নিশ্চিত হয় সোমবার। কারণ, গতকালই দ্বিতীয় বৃহত্তম জোটসঙ্গী ডানপন্থী জাপান ইনোভেশন পার্টি বা ইশিনের সঙ্গে শাসক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) জোট গড়ার চুক্তি সম্পন্ন করে। এলডিপি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের বেশির ভাগ সময়ই দেশটি শাসন করেছে।
বছরের পর বছর অর্থিকবাজারে দরপতনের পর এখন জাপান ভুগছে মূল্যস্ফীতির চাপে। এতে জনঅসন্তোষ বেড়েছে, যা নতুন করে উসকে দিয়েছে ডানপন্থী ও চরম দক্ষিণপন্থী দলগুলোর প্রতি সমর্থন।
শিনজো আবের মতো তাকাইচিও অর্থনীতিকে চাঙা করতে সরকারি ব্যয় বাড়ানোর পক্ষপাতী। এই নীতির জেরে শেয়ারবাজারে ‘তাকাইচি ট্রেড’ নামে নতুন প্রবণতা তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার নিক্কেই সূচক ইতিহাসের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে। তবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগও দেখা দিয়েছে। কারণ, ঋণে জর্জরিত জাপান অতিরিক্ত সরকারি ব্যয়ের ভার বহন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
আয়চি গাকুইন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক তাদাশি মোরি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো ভোট পেলেও কার্যকরভাবে সরকার চালাতে তাকাইচির আরও কিছু বিরোধী দলের সমর্থন প্রয়োজন হবে। দুই দলই কোনো কক্ষেই পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়। স্থিতিশীল সরকার গঠনে এবং গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটির নিয়ন্ত্রণ পেতে তাদের অর্ধেকের বেশি আসন নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আবের আমলে চালু হওয়া আবেনোমিক্স নীতি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা এখন বিপাকে ফেলতে পারে। কারণ, সেই নীতি মূলত দরপতন ঠেকানোর জন্য তৈরি হয়েছিল। বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির সময়ে অতিরিক্ত প্রণোদনা দিলে ইয়েনের মান আরও দুর্বল হতে পারে। একইভাবে ভোগ্যপণ্যে কর কমানো চাহিদা বাড়াতে পারে, কিন্তু তা মূল্যবৃদ্ধি রোধ করবে না।’
জাপানের অপেক্ষাকৃত দুর্বল উচ্চকক্ষও তাকাইচির নিয়োগ অনুমোদন দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির ১০৪ তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। তিনি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার স্থলাভিষিক্ত হবেন। ইশিবা গত মাসে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর দায় নিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক সানায়ে তাকাইচি জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির রাজনীতিতে ভাঙল নারীদের দীর্ঘদিনের কাচের দেয়াল, আর জাপান নতুন করে ডানপন্থার দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ঘনিষ্ঠ অনুসারী ও প্রয়াত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের গুণমুগ্ধ তাকাইচি আজ মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ভোটে ৪৬৫ আসনের মধ্যে ২৩৭টি ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। পরে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষও তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনুমতি দেয়।
তাকাইচির এই বিজয় জাপানের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যেখানে এখনো দেশটির রাজনীতির সব ক্ষেত্রেই পুরুষদের প্রভাব বেশি। তবে তাঁর নেতৃত্বে দেশটি অভিবাসন ও সামাজিক ইস্যুতে আরও কঠোর ডানপন্থী অবস্থানে যাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
তাঁর জয় নিশ্চিত হয় সোমবার। কারণ, গতকালই দ্বিতীয় বৃহত্তম জোটসঙ্গী ডানপন্থী জাপান ইনোভেশন পার্টি বা ইশিনের সঙ্গে শাসক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) জোট গড়ার চুক্তি সম্পন্ন করে। এলডিপি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের বেশির ভাগ সময়ই দেশটি শাসন করেছে।
বছরের পর বছর অর্থিকবাজারে দরপতনের পর এখন জাপান ভুগছে মূল্যস্ফীতির চাপে। এতে জনঅসন্তোষ বেড়েছে, যা নতুন করে উসকে দিয়েছে ডানপন্থী ও চরম দক্ষিণপন্থী দলগুলোর প্রতি সমর্থন।
শিনজো আবের মতো তাকাইচিও অর্থনীতিকে চাঙা করতে সরকারি ব্যয় বাড়ানোর পক্ষপাতী। এই নীতির জেরে শেয়ারবাজারে ‘তাকাইচি ট্রেড’ নামে নতুন প্রবণতা তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার নিক্কেই সূচক ইতিহাসের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে। তবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগও দেখা দিয়েছে। কারণ, ঋণে জর্জরিত জাপান অতিরিক্ত সরকারি ব্যয়ের ভার বহন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
আয়চি গাকুইন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক তাদাশি মোরি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো ভোট পেলেও কার্যকরভাবে সরকার চালাতে তাকাইচির আরও কিছু বিরোধী দলের সমর্থন প্রয়োজন হবে। দুই দলই কোনো কক্ষেই পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়। স্থিতিশীল সরকার গঠনে এবং গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটির নিয়ন্ত্রণ পেতে তাদের অর্ধেকের বেশি আসন নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আবের আমলে চালু হওয়া আবেনোমিক্স নীতি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা এখন বিপাকে ফেলতে পারে। কারণ, সেই নীতি মূলত দরপতন ঠেকানোর জন্য তৈরি হয়েছিল। বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির সময়ে অতিরিক্ত প্রণোদনা দিলে ইয়েনের মান আরও দুর্বল হতে পারে। একইভাবে ভোগ্যপণ্যে কর কমানো চাহিদা বাড়াতে পারে, কিন্তু তা মূল্যবৃদ্ধি রোধ করবে না।’
জাপানের অপেক্ষাকৃত দুর্বল উচ্চকক্ষও তাকাইচির নিয়োগ অনুমোদন দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির ১০৪ তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। তিনি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার স্থলাভিষিক্ত হবেন। ইশিবা গত মাসে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর দায় নিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
মহাকাশ সংস্থা স্পেস-এক্সের অন্তত দুজন কর্মীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও ইলন মাস্ক। এর মধ্যে একজন ছিলেন সংস্থাটির ইন্টার্ন কর্মী। শুধু তাই নয়, আরও একজন ইন্টার্ন কর্মীকে মাস্ক তাঁর নিজের সন্তান ধারণের জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এক বিশেষ প্রতিবেদনে বিষয়টি ফাঁস করেছে ওয়ালস্ট্রিট
১২ জুন ২০২৪কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেসম্যান থমাস ম্যাসিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান টুইটারের (বর্তমানে এক্স) সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্লক-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) জ্যাক ডরসি। এই অপ্রত্যাশিত সমর্থন প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে এই বিলিয়নিয়ারের ক্রমবর্ধমান ‘অ্যান্টি-এস্টাবলিশমেন্ট’ বা প্রথাবিরোধী রাজনীতির প্রতি ঝোঁক।
৪১ মিনিট আগেপ্রেসক্রিপশন ছাড়াই জরুরি গর্ভনিরোধক পিল বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে জাপান। তবে একজন ফার্মাসিস্টের উপস্থিতিতে এই ওষুধ নিতে হবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর পরবর্তী বৈঠক হবে হাঙ্গেরিতে। বৈঠকের আয়োজক হাঙ্গেরির রুশপন্থী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে ইউরোপজুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর পরবর্তী বৈঠক হবে হাঙ্গেরিতে। বৈঠকের আয়োজক হাঙ্গেরির রুশপন্থী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে ইউরোপজুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার ব্যাপারে মস্কোর অবস্থানের প্রতি সমর্থন জানানোয় এই উদ্বেগ।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে এক বন্ধুত্বপূর্ণ ফোনালাপে বুদাপেস্টে বৈঠকের বিষয়টি নির্ধারিত হয়। এর পরদিনই ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে মস্কোর দাবির কাছে নতি স্বীকারে চাপ দেন। বৈঠকের স্থান হিসেবে হাঙ্গেরি নির্বাচিত হওয়ায় ‘ক্ষুব্ধ’ হয়েছে কিয়েভসহ ইউরোপের বহু দেশ। কারণ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ন্যাটোর সদস্য হয়েও অরবান দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং ইউরোপের সমালোচক।
এক ইইউ কূটনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ইউরোপীয় নেতাদের ‘কেউই খুশি নন। সবাই কেবল জোর করে মুখে হাসি ধরে আছেন, যেন সব ঠিক আছে।’ জার্মানির ইইউ বিষয়কমন্ত্রী গুন্থার ক্রিশবাউম সোমবার বলেন, ‘এখনই আমাদের আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন, কীভাবে এই যুদ্ধ থামানো যায়।’ তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ইউক্রেনকে অবশ্যই আলোচনার টেবিলে রাখতে হবে, না হলে এটি ব্যর্থ চুক্তি হবে।’
এই বৈঠকের সমালোচনা করে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি মনে করি না, বুদাপেস্ট এই বৈঠকের উপযুক্ত স্থান।’ কারণ, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা নরম করার চেষ্টা করেছেন এবং ইউক্রেনের সামরিক সহায়তারও বিরোধিতা করেছেন। জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘যে প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনকে সব জায়গায় বাধা দেন, তিনি ইউক্রেনের পক্ষে কোনো ইতিবাচক কিছু করতে পারবেন না বা নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে পারবেন না।’ তবে তিনি জানান, চাইলে বুদাপেস্টে ট্রাম্পের সঙ্গে একটি পৃথক বৈঠকে অংশ নিতে রাজি আছেন।
বুদাপেস্টে ট্রাম্প–পুতিনের বৈঠক আয়োজনের ক্ষেত্রে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আংশিকভাবে দায় দেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে। কারণ, তিনিই হাঙ্গেরিকে বৈঠকের স্থান হিসেবে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। জেলেনস্কি বলেন, ‘সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, ভ্যাটিকান, সৌদি আরব, কাতার, তুরস্ক—এর মতো আরও অনেক ভালো বিকল্প ছিল।’
পুতিনকে আতিথ্য দেওয়া হাঙ্গেরির জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সমস্যাজনক হতে পারে। কারণ, রুশ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। হাঙ্গেরি ঘোষণা দিয়েছে, তারা আইসিসি থেকে বেরিয়ে যাবে, তবে আগামী গ্রীষ্ম পর্যন্ত আদালতের নিয়ম মানতে বাধ্য। এর আগে অরবান গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকেও আতিথ্য দিয়েছেন।
ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কাইয়া ক্যালাস বলেন, ‘আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত একজন ব্যক্তিকে ইউরোপে স্বাগত জানানো ভালো বিষয় নয়।’ লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেস্তুতিস বুদ্রিস বলেন, ‘পুতিনের ইউরোপে একমাত্র জায়গা হলো দ্য হেগের আদালতের সামনে, আমাদের কোনো রাজধানীতে নয়।’
ট্রাম্প গত সপ্তাহে অরবানকে ফোনে প্রশংসা করে বলেন, ‘তিনি এমন একজন নেতা যাকে আমরা পছন্দ করি। পুতিনও তাঁকে পছন্দ করে, আমিও করি। হাঙ্গেরি নিরাপদ দেশ, তিনি খুব ভালো আয়োজক হবেন।’
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার বলেন, বৈঠকের প্রস্তুতি এখনো শুরু হয়নি, তবে অরবান ট্রাম্প ও পুতিন—দুজনের সঙ্গেই উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। রাশিয়া আশা করছে, এই বৈঠক ইউক্রেন ইস্যুতে শান্তির পথ তৈরিতে সহায়ক হবে এবং একই সঙ্গে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হবে।
এক জার্মান কর্মকর্তা জানান, আশা করা হচ্ছে—অরবান ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের আগে তাঁর পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করবেন, যার মধ্যে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ট্রাম্পের একটি বৈঠকও থাকতে পারে। তবে এখনো কিছু নিশ্চিত হয়নি। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ৩০ অক্টোবর বুদাপেস্টে আসবেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ইইউ নেতারা বৈঠকে বসবেন। সেখানে রাশিয়ার স্থগিত সম্পদ ব্যবহার করে ইউক্রেনকে ১৪০ বিলিয়ন ইউরোর ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব এবং নতুন নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে। নেতারা আশা করছেন, জাতীয় দিবস উদ্যাপন শেষে অরবান দেরিতে বৈঠকে যোগ দিলে সমঝোতায় পৌঁছানো সহজ হবে।
ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক নিয়ে অরবান বলেন, ‘আমরা শুধু আয়োজক নই। এটা রাজনৈতিক সাফল্য যে এখনো বুদাপেস্ট শান্তি বৈঠক আয়োজনের যোগ্য স্থান।’ তিনি ইউরোপীয় নেতাদের সমালোচনা করে বলেন, ‘তারা রাশিয়ার সঙ্গে সংলাপের পথ বন্ধ করেছে অথচ ইউক্রেনকে অস্ত্র দিচ্ছে।’
ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক ডিফেন্স প্রায়োরিটিজের বিশ্লেষক জেনিফার কেভানাহ বলেন, ‘এটা অরবানের জন্য বড় জয়। এত দিন তাঁকে ইইউ-তে একঘরে করা হয়েছিল, এবার তিনি সেটার পাল্টা জবাব দিলেন।’ তিনি মনে করেন, এই বৈঠক হাঙ্গেরির রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ আগামী বসন্তে নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা অরবান এবার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে।
হাঙ্গেরির ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক বোতন্ড ফেলেদি বলেন, ‘এটি অরবান ধাঁচের সাফল্য। কিন্তু এতে ইউরোপীয় ঐক্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা শুরু থেকেই ইউরোপ এড়াতে চেয়েছিল।’ তাঁর ভাষায়, ‘এ ধরনের বৈঠক ব্যক্তিগত সম্পর্ককে রাজনীতির ওপরে তুলে ধরে, যা ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার হাতিয়ার হয়ে ওঠে। কোনো ইউরোপীয় দেশেরই এতে সহায়তার আগ্রহ থাকা উচিত নয়।’
বুদাপেস্টের প্রতীকী তাৎপর্য ইউক্রেনের কাছে গভীর। কারণ, ১৯৯৪ সালে এখানেই রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ইউক্রেন, যেখানে তারা পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগের বিনিময়ে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেয়েছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে পুতিন ক্রিমিয়া দখল করেন এবং ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ হামলা চালিয়ে সেই চুক্তি ভঙ্গ করেন। জেলেনস্কি বলেন, ‘আরেকটি বুদাপেস্ট চুক্তি ইউক্রেনের জন্য শুভ হবে না। তবে যদি সত্যিকারের শান্তি আসে, তাহলে স্থান ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
সোমবার লুক্সেমবার্গে ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে কয়েকজন কূটনীতিক বলেন, ‘ইতিহাস নিজেকে পুনরাবৃত্তি করতে চায়। একবার বুদাপেস্টে একটি চুক্তি হয়েছিল, যার ফল ইউক্রেনের জন্য ভালো হয়নি।’
তথ্যসূত্র: ফিন্যান্সিয়াল টাইমস
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর পরবর্তী বৈঠক হবে হাঙ্গেরিতে। বৈঠকের আয়োজক হাঙ্গেরির রুশপন্থী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে ইউরোপজুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার ব্যাপারে মস্কোর অবস্থানের প্রতি সমর্থন জানানোয় এই উদ্বেগ।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে এক বন্ধুত্বপূর্ণ ফোনালাপে বুদাপেস্টে বৈঠকের বিষয়টি নির্ধারিত হয়। এর পরদিনই ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে মস্কোর দাবির কাছে নতি স্বীকারে চাপ দেন। বৈঠকের স্থান হিসেবে হাঙ্গেরি নির্বাচিত হওয়ায় ‘ক্ষুব্ধ’ হয়েছে কিয়েভসহ ইউরোপের বহু দেশ। কারণ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ন্যাটোর সদস্য হয়েও অরবান দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং ইউরোপের সমালোচক।
এক ইইউ কূটনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ইউরোপীয় নেতাদের ‘কেউই খুশি নন। সবাই কেবল জোর করে মুখে হাসি ধরে আছেন, যেন সব ঠিক আছে।’ জার্মানির ইইউ বিষয়কমন্ত্রী গুন্থার ক্রিশবাউম সোমবার বলেন, ‘এখনই আমাদের আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন, কীভাবে এই যুদ্ধ থামানো যায়।’ তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ইউক্রেনকে অবশ্যই আলোচনার টেবিলে রাখতে হবে, না হলে এটি ব্যর্থ চুক্তি হবে।’
এই বৈঠকের সমালোচনা করে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি মনে করি না, বুদাপেস্ট এই বৈঠকের উপযুক্ত স্থান।’ কারণ, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা নরম করার চেষ্টা করেছেন এবং ইউক্রেনের সামরিক সহায়তারও বিরোধিতা করেছেন। জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘যে প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনকে সব জায়গায় বাধা দেন, তিনি ইউক্রেনের পক্ষে কোনো ইতিবাচক কিছু করতে পারবেন না বা নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে পারবেন না।’ তবে তিনি জানান, চাইলে বুদাপেস্টে ট্রাম্পের সঙ্গে একটি পৃথক বৈঠকে অংশ নিতে রাজি আছেন।
বুদাপেস্টে ট্রাম্প–পুতিনের বৈঠক আয়োজনের ক্ষেত্রে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আংশিকভাবে দায় দেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে। কারণ, তিনিই হাঙ্গেরিকে বৈঠকের স্থান হিসেবে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। জেলেনস্কি বলেন, ‘সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, ভ্যাটিকান, সৌদি আরব, কাতার, তুরস্ক—এর মতো আরও অনেক ভালো বিকল্প ছিল।’
পুতিনকে আতিথ্য দেওয়া হাঙ্গেরির জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সমস্যাজনক হতে পারে। কারণ, রুশ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। হাঙ্গেরি ঘোষণা দিয়েছে, তারা আইসিসি থেকে বেরিয়ে যাবে, তবে আগামী গ্রীষ্ম পর্যন্ত আদালতের নিয়ম মানতে বাধ্য। এর আগে অরবান গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকেও আতিথ্য দিয়েছেন।
ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কাইয়া ক্যালাস বলেন, ‘আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত একজন ব্যক্তিকে ইউরোপে স্বাগত জানানো ভালো বিষয় নয়।’ লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেস্তুতিস বুদ্রিস বলেন, ‘পুতিনের ইউরোপে একমাত্র জায়গা হলো দ্য হেগের আদালতের সামনে, আমাদের কোনো রাজধানীতে নয়।’
ট্রাম্প গত সপ্তাহে অরবানকে ফোনে প্রশংসা করে বলেন, ‘তিনি এমন একজন নেতা যাকে আমরা পছন্দ করি। পুতিনও তাঁকে পছন্দ করে, আমিও করি। হাঙ্গেরি নিরাপদ দেশ, তিনি খুব ভালো আয়োজক হবেন।’
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার বলেন, বৈঠকের প্রস্তুতি এখনো শুরু হয়নি, তবে অরবান ট্রাম্প ও পুতিন—দুজনের সঙ্গেই উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। রাশিয়া আশা করছে, এই বৈঠক ইউক্রেন ইস্যুতে শান্তির পথ তৈরিতে সহায়ক হবে এবং একই সঙ্গে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হবে।
এক জার্মান কর্মকর্তা জানান, আশা করা হচ্ছে—অরবান ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের আগে তাঁর পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করবেন, যার মধ্যে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ট্রাম্পের একটি বৈঠকও থাকতে পারে। তবে এখনো কিছু নিশ্চিত হয়নি। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ৩০ অক্টোবর বুদাপেস্টে আসবেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ইইউ নেতারা বৈঠকে বসবেন। সেখানে রাশিয়ার স্থগিত সম্পদ ব্যবহার করে ইউক্রেনকে ১৪০ বিলিয়ন ইউরোর ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব এবং নতুন নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে। নেতারা আশা করছেন, জাতীয় দিবস উদ্যাপন শেষে অরবান দেরিতে বৈঠকে যোগ দিলে সমঝোতায় পৌঁছানো সহজ হবে।
ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক নিয়ে অরবান বলেন, ‘আমরা শুধু আয়োজক নই। এটা রাজনৈতিক সাফল্য যে এখনো বুদাপেস্ট শান্তি বৈঠক আয়োজনের যোগ্য স্থান।’ তিনি ইউরোপীয় নেতাদের সমালোচনা করে বলেন, ‘তারা রাশিয়ার সঙ্গে সংলাপের পথ বন্ধ করেছে অথচ ইউক্রেনকে অস্ত্র দিচ্ছে।’
ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক ডিফেন্স প্রায়োরিটিজের বিশ্লেষক জেনিফার কেভানাহ বলেন, ‘এটা অরবানের জন্য বড় জয়। এত দিন তাঁকে ইইউ-তে একঘরে করা হয়েছিল, এবার তিনি সেটার পাল্টা জবাব দিলেন।’ তিনি মনে করেন, এই বৈঠক হাঙ্গেরির রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ আগামী বসন্তে নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা অরবান এবার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে।
হাঙ্গেরির ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক বোতন্ড ফেলেদি বলেন, ‘এটি অরবান ধাঁচের সাফল্য। কিন্তু এতে ইউরোপীয় ঐক্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা শুরু থেকেই ইউরোপ এড়াতে চেয়েছিল।’ তাঁর ভাষায়, ‘এ ধরনের বৈঠক ব্যক্তিগত সম্পর্ককে রাজনীতির ওপরে তুলে ধরে, যা ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার হাতিয়ার হয়ে ওঠে। কোনো ইউরোপীয় দেশেরই এতে সহায়তার আগ্রহ থাকা উচিত নয়।’
বুদাপেস্টের প্রতীকী তাৎপর্য ইউক্রেনের কাছে গভীর। কারণ, ১৯৯৪ সালে এখানেই রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ইউক্রেন, যেখানে তারা পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগের বিনিময়ে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেয়েছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে পুতিন ক্রিমিয়া দখল করেন এবং ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ হামলা চালিয়ে সেই চুক্তি ভঙ্গ করেন। জেলেনস্কি বলেন, ‘আরেকটি বুদাপেস্ট চুক্তি ইউক্রেনের জন্য শুভ হবে না। তবে যদি সত্যিকারের শান্তি আসে, তাহলে স্থান ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
সোমবার লুক্সেমবার্গে ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে কয়েকজন কূটনীতিক বলেন, ‘ইতিহাস নিজেকে পুনরাবৃত্তি করতে চায়। একবার বুদাপেস্টে একটি চুক্তি হয়েছিল, যার ফল ইউক্রেনের জন্য ভালো হয়নি।’
তথ্যসূত্র: ফিন্যান্সিয়াল টাইমস
মহাকাশ সংস্থা স্পেস-এক্সের অন্তত দুজন কর্মীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও ইলন মাস্ক। এর মধ্যে একজন ছিলেন সংস্থাটির ইন্টার্ন কর্মী। শুধু তাই নয়, আরও একজন ইন্টার্ন কর্মীকে মাস্ক তাঁর নিজের সন্তান ধারণের জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এক বিশেষ প্রতিবেদনে বিষয়টি ফাঁস করেছে ওয়ালস্ট্রিট
১২ জুন ২০২৪কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেসম্যান থমাস ম্যাসিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান টুইটারের (বর্তমানে এক্স) সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্লক-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) জ্যাক ডরসি। এই অপ্রত্যাশিত সমর্থন প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে এই বিলিয়নিয়ারের ক্রমবর্ধমান ‘অ্যান্টি-এস্টাবলিশমেন্ট’ বা প্রথাবিরোধী রাজনীতির প্রতি ঝোঁক।
৪১ মিনিট আগেপ্রেসক্রিপশন ছাড়াই জরুরি গর্ভনিরোধক পিল বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে জাপান। তবে একজন ফার্মাসিস্টের উপস্থিতিতে এই ওষুধ নিতে হবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেকট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক সানায়ে তাকাইচি জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির রাজনীতিতে ভাঙল নারীদের দীর্ঘদিনের কাচের দেয়াল, আর জাপান নতুন করে ডানপন্থার দিকে মোড় নিতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে