আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলা থেকে অস্ত্র চোরাচালানের অভিযোগে দক্ষিণ ক্যারিবীয় সাগরে একটি নৌকায় বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিজ মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন ট্রাম্প।
এ হামলাকে কাইনেটিক হামলা (বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র বা গুলি দিয়ে সরাসরি আক্রমণ করা) বলে অভিহিত করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, ওই নৌকা কুখ্যাত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ত্রেন দে আরাগুয়ার জন্য কাজ করছিল। ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘হামলায় ১১ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। মার্কিন সেনাবাহিনীর কেউ এই অভিযানে আহত হননি। যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে মাদক প্রবেশ করানোর কথা চিন্তা করছেন, তাঁদের জন্য এটি একটি সতর্কবার্তা। সচেতন হোন!’
তবে, এখনো হামলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সামাজিক মাধ্যমে শুধু জানিয়েছেন যে, হামলাটি ‘দক্ষিণ ক্যারিবীয় সাগরে’ হয়েছে, তবে নির্দিষ্ট কোনো স্থানের কথা তিনি বলেননি। ট্রাম্প জানিয়েছেন, নৌকায় থাকা লোকজন ছিল ‘মাদক সন্ত্রাসী’ (নার্কোটেররিস্ট), যারা আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবস্থান করে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে মাদক পাচার করছিল।
গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকালে এই হামলা চালানো হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র-ভেনেজুয়েলার মধ্যে উত্তেজনা চলছে। গতকালের এই হামলায় আরও চড়ল উত্তেজনার পারদ। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে দেশের বাইরে ছড়িয়ে থাকা অপরাধী গ্যাংগুলোকে সংগঠিত করার অভিযোগে অভিযুক্ত করে আসছেন ট্রাম্প। যদিও এই অভিযোগের সপক্ষে কোনো প্রমাণ তিনি দিতে পারেননি।
ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে মাদক চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে এবারই প্রথম সরাসরি কার্যকর অভিযান চালাল মার্কিন সামরিক বাহিনী। এর আগে, মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে গত মাসে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, বর্তমানে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ এবং একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন মোতায়েন করা আছে অথবা শিগগিরই সেখানে পৌঁছাবে। সব মিলিয়ে এসব নৌযানে সাড়ে চার হাজারের বেশি নৌসেনা ও মেরিন সেনা রয়েছেন।
এদিকে, এই সামরিক মোতায়েনের কারণে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ইতিমধ্যে নিজেদের উপকূলে সামরিক শক্তি বাড়িয়েছেন। গত সোমবার মাদুরো সতর্ক করে বলেছেন যে, তার দেশ যদি হামলার শিকার হয়, তবে তিনি ভেনেজুয়েলাকে একটি ‘অস্ত্রধারী প্রজাতন্ত্র’ হিসেবে ঘোষণা করবেন।
মাদুরো দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন যে, মার্কিন সরকার তার বিরোধী দলের পক্ষ হয়ে ভেনেজুয়েলার রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে। সোমবারের ভাষণে তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘সামরিক হুমকির মাধ্যমে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করার’ অভিযোগ আনেন। এদিকে, ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে ভেনেজুয়েলার প্রতি যে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি নিয়েছিলেন, দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতে কিছুটা শীতল সম্পর্কের আশা থাকলেও তিনি আবার সেই নীতিতেই ফিরে এসেছেন। জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর, ট্রাম্প তার বিশেষ দূত রিচার্ড গ্রেনেলকে ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে মাদুরোর সঙ্গে দেখা করতে পাঠান। গ্রেনেল সেই সফর থেকে ছয়জন আমেরিকান বন্দীকে মুক্ত করে ফিরিয়ে আনেন। মার্চ মাসের মধ্যে ভেনেজুয়েলা যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিতদের গ্রহণ করতে সম্মত হয়। এরপর থেকে আরও অনেক বন্দী মুক্তি ও বিনিময় হয়েছে।
তবে ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলার ওপর ক্রমশ চাপ বাড়িয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধকালীন আইন ‘এলিয়েন এনিমিজ অ্যাক্ট’ প্রয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্রের বসবাসকারী ভেনেজুয়েলানদের কারাবন্দী করছেন ট্রাম্প। তাঁর প্রশাসন বারবার ত্রেন দে আরাগুয়া গ্যাংয়ের সঙ্গে ভেনেজুয়েলা সরকারের সরাসরি যোগসূত্র দেখিয়েছে। ট্রাম্পের মতে, মাদুরো এই গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে ‘মাদক-সন্ত্রাসবাদী’ কৌশল হিসেবে গোষ্ঠীটিকে ব্যবহার করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত মাসে ট্রাম্প মাদুরোর গ্রেপ্তারের জন্য পুরস্কারের পরিমাণ ১৫ মিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫০ মিলিয়ন ডলার ঘোষণা করেন। তবে মাদুরো এই গোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। এমনকি মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের অন্তত দুটি প্রতিবেদনে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবির বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করা হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, মে মাসে প্রকাশিত একটি ডিক্লাসিফাইড ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স কাউন্সিল রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, মাদুরোর সরকারের ‘সম্ভবত ত্রেন দে আরাগুয়ার সঙ্গে সহযোগিতা করার কোনো নীতি নেই’। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রে এই গ্যাংটির কার্যক্রম ‘পরিচালনা করছেন না’। তবে প্রতিবেদনে এ ও বলা হয়েছে যে ভেনেজুয়েলা এমন একটি ‘সহায়ক পরিবেশ’ তৈরি করে রেখেছে, যা ত্রেন দে আরাগুয়াকে তাদের কার্যক্রম চালাতে সাহায্য করে।

ভেনেজুয়েলা থেকে অস্ত্র চোরাচালানের অভিযোগে দক্ষিণ ক্যারিবীয় সাগরে একটি নৌকায় বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিজ মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন ট্রাম্প।
এ হামলাকে কাইনেটিক হামলা (বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র বা গুলি দিয়ে সরাসরি আক্রমণ করা) বলে অভিহিত করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, ওই নৌকা কুখ্যাত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ত্রেন দে আরাগুয়ার জন্য কাজ করছিল। ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘হামলায় ১১ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। মার্কিন সেনাবাহিনীর কেউ এই অভিযানে আহত হননি। যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে মাদক প্রবেশ করানোর কথা চিন্তা করছেন, তাঁদের জন্য এটি একটি সতর্কবার্তা। সচেতন হোন!’
তবে, এখনো হামলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সামাজিক মাধ্যমে শুধু জানিয়েছেন যে, হামলাটি ‘দক্ষিণ ক্যারিবীয় সাগরে’ হয়েছে, তবে নির্দিষ্ট কোনো স্থানের কথা তিনি বলেননি। ট্রাম্প জানিয়েছেন, নৌকায় থাকা লোকজন ছিল ‘মাদক সন্ত্রাসী’ (নার্কোটেররিস্ট), যারা আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবস্থান করে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে মাদক পাচার করছিল।
গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকালে এই হামলা চালানো হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র-ভেনেজুয়েলার মধ্যে উত্তেজনা চলছে। গতকালের এই হামলায় আরও চড়ল উত্তেজনার পারদ। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে দেশের বাইরে ছড়িয়ে থাকা অপরাধী গ্যাংগুলোকে সংগঠিত করার অভিযোগে অভিযুক্ত করে আসছেন ট্রাম্প। যদিও এই অভিযোগের সপক্ষে কোনো প্রমাণ তিনি দিতে পারেননি।
ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে মাদক চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে এবারই প্রথম সরাসরি কার্যকর অভিযান চালাল মার্কিন সামরিক বাহিনী। এর আগে, মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে গত মাসে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, বর্তমানে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ এবং একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন মোতায়েন করা আছে অথবা শিগগিরই সেখানে পৌঁছাবে। সব মিলিয়ে এসব নৌযানে সাড়ে চার হাজারের বেশি নৌসেনা ও মেরিন সেনা রয়েছেন।
এদিকে, এই সামরিক মোতায়েনের কারণে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ইতিমধ্যে নিজেদের উপকূলে সামরিক শক্তি বাড়িয়েছেন। গত সোমবার মাদুরো সতর্ক করে বলেছেন যে, তার দেশ যদি হামলার শিকার হয়, তবে তিনি ভেনেজুয়েলাকে একটি ‘অস্ত্রধারী প্রজাতন্ত্র’ হিসেবে ঘোষণা করবেন।
মাদুরো দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন যে, মার্কিন সরকার তার বিরোধী দলের পক্ষ হয়ে ভেনেজুয়েলার রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে। সোমবারের ভাষণে তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘সামরিক হুমকির মাধ্যমে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করার’ অভিযোগ আনেন। এদিকে, ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে ভেনেজুয়েলার প্রতি যে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি নিয়েছিলেন, দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতে কিছুটা শীতল সম্পর্কের আশা থাকলেও তিনি আবার সেই নীতিতেই ফিরে এসেছেন। জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর, ট্রাম্প তার বিশেষ দূত রিচার্ড গ্রেনেলকে ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে মাদুরোর সঙ্গে দেখা করতে পাঠান। গ্রেনেল সেই সফর থেকে ছয়জন আমেরিকান বন্দীকে মুক্ত করে ফিরিয়ে আনেন। মার্চ মাসের মধ্যে ভেনেজুয়েলা যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিতদের গ্রহণ করতে সম্মত হয়। এরপর থেকে আরও অনেক বন্দী মুক্তি ও বিনিময় হয়েছে।
তবে ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলার ওপর ক্রমশ চাপ বাড়িয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধকালীন আইন ‘এলিয়েন এনিমিজ অ্যাক্ট’ প্রয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্রের বসবাসকারী ভেনেজুয়েলানদের কারাবন্দী করছেন ট্রাম্প। তাঁর প্রশাসন বারবার ত্রেন দে আরাগুয়া গ্যাংয়ের সঙ্গে ভেনেজুয়েলা সরকারের সরাসরি যোগসূত্র দেখিয়েছে। ট্রাম্পের মতে, মাদুরো এই গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে ‘মাদক-সন্ত্রাসবাদী’ কৌশল হিসেবে গোষ্ঠীটিকে ব্যবহার করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত মাসে ট্রাম্প মাদুরোর গ্রেপ্তারের জন্য পুরস্কারের পরিমাণ ১৫ মিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫০ মিলিয়ন ডলার ঘোষণা করেন। তবে মাদুরো এই গোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। এমনকি মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের অন্তত দুটি প্রতিবেদনে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবির বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করা হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, মে মাসে প্রকাশিত একটি ডিক্লাসিফাইড ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স কাউন্সিল রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, মাদুরোর সরকারের ‘সম্ভবত ত্রেন দে আরাগুয়ার সঙ্গে সহযোগিতা করার কোনো নীতি নেই’। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রে এই গ্যাংটির কার্যক্রম ‘পরিচালনা করছেন না’। তবে প্রতিবেদনে এ ও বলা হয়েছে যে ভেনেজুয়েলা এমন একটি ‘সহায়ক পরিবেশ’ তৈরি করে রেখেছে, যা ত্রেন দে আরাগুয়াকে তাদের কার্যক্রম চালাতে সাহায্য করে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলা থেকে অস্ত্র চোরাচালানের অভিযোগে দক্ষিণ ক্যারিবীয় সাগরে একটি নৌকায় বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিজ মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন ট্রাম্প।
এ হামলাকে কাইনেটিক হামলা (বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র বা গুলি দিয়ে সরাসরি আক্রমণ করা) বলে অভিহিত করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, ওই নৌকা কুখ্যাত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ত্রেন দে আরাগুয়ার জন্য কাজ করছিল। ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘হামলায় ১১ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। মার্কিন সেনাবাহিনীর কেউ এই অভিযানে আহত হননি। যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে মাদক প্রবেশ করানোর কথা চিন্তা করছেন, তাঁদের জন্য এটি একটি সতর্কবার্তা। সচেতন হোন!’
তবে, এখনো হামলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সামাজিক মাধ্যমে শুধু জানিয়েছেন যে, হামলাটি ‘দক্ষিণ ক্যারিবীয় সাগরে’ হয়েছে, তবে নির্দিষ্ট কোনো স্থানের কথা তিনি বলেননি। ট্রাম্প জানিয়েছেন, নৌকায় থাকা লোকজন ছিল ‘মাদক সন্ত্রাসী’ (নার্কোটেররিস্ট), যারা আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবস্থান করে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে মাদক পাচার করছিল।
গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকালে এই হামলা চালানো হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র-ভেনেজুয়েলার মধ্যে উত্তেজনা চলছে। গতকালের এই হামলায় আরও চড়ল উত্তেজনার পারদ। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে দেশের বাইরে ছড়িয়ে থাকা অপরাধী গ্যাংগুলোকে সংগঠিত করার অভিযোগে অভিযুক্ত করে আসছেন ট্রাম্প। যদিও এই অভিযোগের সপক্ষে কোনো প্রমাণ তিনি দিতে পারেননি।
ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে মাদক চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে এবারই প্রথম সরাসরি কার্যকর অভিযান চালাল মার্কিন সামরিক বাহিনী। এর আগে, মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে গত মাসে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, বর্তমানে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ এবং একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন মোতায়েন করা আছে অথবা শিগগিরই সেখানে পৌঁছাবে। সব মিলিয়ে এসব নৌযানে সাড়ে চার হাজারের বেশি নৌসেনা ও মেরিন সেনা রয়েছেন।
এদিকে, এই সামরিক মোতায়েনের কারণে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ইতিমধ্যে নিজেদের উপকূলে সামরিক শক্তি বাড়িয়েছেন। গত সোমবার মাদুরো সতর্ক করে বলেছেন যে, তার দেশ যদি হামলার শিকার হয়, তবে তিনি ভেনেজুয়েলাকে একটি ‘অস্ত্রধারী প্রজাতন্ত্র’ হিসেবে ঘোষণা করবেন।
মাদুরো দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন যে, মার্কিন সরকার তার বিরোধী দলের পক্ষ হয়ে ভেনেজুয়েলার রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে। সোমবারের ভাষণে তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘সামরিক হুমকির মাধ্যমে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করার’ অভিযোগ আনেন। এদিকে, ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে ভেনেজুয়েলার প্রতি যে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি নিয়েছিলেন, দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতে কিছুটা শীতল সম্পর্কের আশা থাকলেও তিনি আবার সেই নীতিতেই ফিরে এসেছেন। জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর, ট্রাম্প তার বিশেষ দূত রিচার্ড গ্রেনেলকে ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে মাদুরোর সঙ্গে দেখা করতে পাঠান। গ্রেনেল সেই সফর থেকে ছয়জন আমেরিকান বন্দীকে মুক্ত করে ফিরিয়ে আনেন। মার্চ মাসের মধ্যে ভেনেজুয়েলা যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিতদের গ্রহণ করতে সম্মত হয়। এরপর থেকে আরও অনেক বন্দী মুক্তি ও বিনিময় হয়েছে।
তবে ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলার ওপর ক্রমশ চাপ বাড়িয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধকালীন আইন ‘এলিয়েন এনিমিজ অ্যাক্ট’ প্রয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্রের বসবাসকারী ভেনেজুয়েলানদের কারাবন্দী করছেন ট্রাম্প। তাঁর প্রশাসন বারবার ত্রেন দে আরাগুয়া গ্যাংয়ের সঙ্গে ভেনেজুয়েলা সরকারের সরাসরি যোগসূত্র দেখিয়েছে। ট্রাম্পের মতে, মাদুরো এই গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে ‘মাদক-সন্ত্রাসবাদী’ কৌশল হিসেবে গোষ্ঠীটিকে ব্যবহার করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত মাসে ট্রাম্প মাদুরোর গ্রেপ্তারের জন্য পুরস্কারের পরিমাণ ১৫ মিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫০ মিলিয়ন ডলার ঘোষণা করেন। তবে মাদুরো এই গোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। এমনকি মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের অন্তত দুটি প্রতিবেদনে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবির বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করা হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, মে মাসে প্রকাশিত একটি ডিক্লাসিফাইড ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স কাউন্সিল রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, মাদুরোর সরকারের ‘সম্ভবত ত্রেন দে আরাগুয়ার সঙ্গে সহযোগিতা করার কোনো নীতি নেই’। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রে এই গ্যাংটির কার্যক্রম ‘পরিচালনা করছেন না’। তবে প্রতিবেদনে এ ও বলা হয়েছে যে ভেনেজুয়েলা এমন একটি ‘সহায়ক পরিবেশ’ তৈরি করে রেখেছে, যা ত্রেন দে আরাগুয়াকে তাদের কার্যক্রম চালাতে সাহায্য করে।

ভেনেজুয়েলা থেকে অস্ত্র চোরাচালানের অভিযোগে দক্ষিণ ক্যারিবীয় সাগরে একটি নৌকায় বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিজ মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন ট্রাম্প।
এ হামলাকে কাইনেটিক হামলা (বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র বা গুলি দিয়ে সরাসরি আক্রমণ করা) বলে অভিহিত করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, ওই নৌকা কুখ্যাত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ত্রেন দে আরাগুয়ার জন্য কাজ করছিল। ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘হামলায় ১১ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। মার্কিন সেনাবাহিনীর কেউ এই অভিযানে আহত হননি। যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে মাদক প্রবেশ করানোর কথা চিন্তা করছেন, তাঁদের জন্য এটি একটি সতর্কবার্তা। সচেতন হোন!’
তবে, এখনো হামলা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সামাজিক মাধ্যমে শুধু জানিয়েছেন যে, হামলাটি ‘দক্ষিণ ক্যারিবীয় সাগরে’ হয়েছে, তবে নির্দিষ্ট কোনো স্থানের কথা তিনি বলেননি। ট্রাম্প জানিয়েছেন, নৌকায় থাকা লোকজন ছিল ‘মাদক সন্ত্রাসী’ (নার্কোটেররিস্ট), যারা আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবস্থান করে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে মাদক পাচার করছিল।
গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকালে এই হামলা চালানো হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র-ভেনেজুয়েলার মধ্যে উত্তেজনা চলছে। গতকালের এই হামলায় আরও চড়ল উত্তেজনার পারদ। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে দেশের বাইরে ছড়িয়ে থাকা অপরাধী গ্যাংগুলোকে সংগঠিত করার অভিযোগে অভিযুক্ত করে আসছেন ট্রাম্প। যদিও এই অভিযোগের সপক্ষে কোনো প্রমাণ তিনি দিতে পারেননি।
ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে মাদক চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে এবারই প্রথম সরাসরি কার্যকর অভিযান চালাল মার্কিন সামরিক বাহিনী। এর আগে, মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে গত মাসে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, বর্তমানে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ এবং একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন মোতায়েন করা আছে অথবা শিগগিরই সেখানে পৌঁছাবে। সব মিলিয়ে এসব নৌযানে সাড়ে চার হাজারের বেশি নৌসেনা ও মেরিন সেনা রয়েছেন।
এদিকে, এই সামরিক মোতায়েনের কারণে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ইতিমধ্যে নিজেদের উপকূলে সামরিক শক্তি বাড়িয়েছেন। গত সোমবার মাদুরো সতর্ক করে বলেছেন যে, তার দেশ যদি হামলার শিকার হয়, তবে তিনি ভেনেজুয়েলাকে একটি ‘অস্ত্রধারী প্রজাতন্ত্র’ হিসেবে ঘোষণা করবেন।
মাদুরো দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন যে, মার্কিন সরকার তার বিরোধী দলের পক্ষ হয়ে ভেনেজুয়েলার রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে। সোমবারের ভাষণে তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘সামরিক হুমকির মাধ্যমে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করার’ অভিযোগ আনেন। এদিকে, ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে ভেনেজুয়েলার প্রতি যে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি নিয়েছিলেন, দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতে কিছুটা শীতল সম্পর্কের আশা থাকলেও তিনি আবার সেই নীতিতেই ফিরে এসেছেন। জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর, ট্রাম্প তার বিশেষ দূত রিচার্ড গ্রেনেলকে ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে মাদুরোর সঙ্গে দেখা করতে পাঠান। গ্রেনেল সেই সফর থেকে ছয়জন আমেরিকান বন্দীকে মুক্ত করে ফিরিয়ে আনেন। মার্চ মাসের মধ্যে ভেনেজুয়েলা যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিতদের গ্রহণ করতে সম্মত হয়। এরপর থেকে আরও অনেক বন্দী মুক্তি ও বিনিময় হয়েছে।
তবে ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলার ওপর ক্রমশ চাপ বাড়িয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধকালীন আইন ‘এলিয়েন এনিমিজ অ্যাক্ট’ প্রয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্রের বসবাসকারী ভেনেজুয়েলানদের কারাবন্দী করছেন ট্রাম্প। তাঁর প্রশাসন বারবার ত্রেন দে আরাগুয়া গ্যাংয়ের সঙ্গে ভেনেজুয়েলা সরকারের সরাসরি যোগসূত্র দেখিয়েছে। ট্রাম্পের মতে, মাদুরো এই গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে ‘মাদক-সন্ত্রাসবাদী’ কৌশল হিসেবে গোষ্ঠীটিকে ব্যবহার করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত মাসে ট্রাম্প মাদুরোর গ্রেপ্তারের জন্য পুরস্কারের পরিমাণ ১৫ মিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫০ মিলিয়ন ডলার ঘোষণা করেন। তবে মাদুরো এই গোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। এমনকি মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের অন্তত দুটি প্রতিবেদনে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবির বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করা হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, মে মাসে প্রকাশিত একটি ডিক্লাসিফাইড ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স কাউন্সিল রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, মাদুরোর সরকারের ‘সম্ভবত ত্রেন দে আরাগুয়ার সঙ্গে সহযোগিতা করার কোনো নীতি নেই’। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রে এই গ্যাংটির কার্যক্রম ‘পরিচালনা করছেন না’। তবে প্রতিবেদনে এ ও বলা হয়েছে যে ভেনেজুয়েলা এমন একটি ‘সহায়ক পরিবেশ’ তৈরি করে রেখেছে, যা ত্রেন দে আরাগুয়াকে তাদের কার্যক্রম চালাতে সাহায্য করে।

ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
১১ মিনিট আগে
রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ...
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
২ ঘণ্টা আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের কুরনুল শহরে একটি বাসে আগুন লাগার ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে নতুন তথ্য। গতকাল শুক্রবার ভোরের দিকে বাসটিতে যখন বিস্ফোরণ হয়, সেসময় সেটির ভেতরে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোনের একটি চালান।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, বাসে থাকা ২৩৪টি স্মার্টফোনের মূল্য ৪৬ লাখ রুপি। হায়দরাবাদের মাঙ্গানাথ নামের এক ব্যবসায়ী সেগুলো বেঙ্গালুরু শহরে একটি ই-কমার্স কোম্পানির কাছে পাঠাচ্ছিলেন। সেখান থেকে ফোনগুলো গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করা হতো।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ফোনগুলোতে আগুন লাগার সময় তাঁরা ব্যাটারি বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছিলেন।
অন্ধ্রপ্রদেশ ফায়ার সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক পি ভেঙ্কটরামন জানান, শুধু স্মার্টফোনের ব্যাটারিই নয়, বাসের শীতাতপনিয়ন্ত্রণ (এসি) ব্যবস্থায় ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক ব্যাটারিগুলোও বিস্ফোরিত হয়েছিল।
ভেঙ্কটরামন বলেন, তাপ এতটাই তীব্র ছিল যে বাসের মেঝেতে থাকা অ্যালুমিনিয়ামের পাতও গলে যায়।
ভেঙ্কটরামন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, জ্বালানি তেল চুঁইয়ে পড়ার কারণে শুরুতে বাসের সামনের অংশে আগুন লাগে। দুর্ঘটনার সময় একটি মোটরসাইকেল বাসের নিচে আটকে যায় এবং সেটির পেট্রল ছিটকে পড়ে তাপ বা স্ফুলিঙ্গের সংস্পর্শে এসে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই আগুন পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে।

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের কুরনুল শহরে একটি বাসে আগুন লাগার ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে নতুন তথ্য। গতকাল শুক্রবার ভোরের দিকে বাসটিতে যখন বিস্ফোরণ হয়, সেসময় সেটির ভেতরে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোনের একটি চালান।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, বাসে থাকা ২৩৪টি স্মার্টফোনের মূল্য ৪৬ লাখ রুপি। হায়দরাবাদের মাঙ্গানাথ নামের এক ব্যবসায়ী সেগুলো বেঙ্গালুরু শহরে একটি ই-কমার্স কোম্পানির কাছে পাঠাচ্ছিলেন। সেখান থেকে ফোনগুলো গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করা হতো।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ফোনগুলোতে আগুন লাগার সময় তাঁরা ব্যাটারি বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছিলেন।
অন্ধ্রপ্রদেশ ফায়ার সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক পি ভেঙ্কটরামন জানান, শুধু স্মার্টফোনের ব্যাটারিই নয়, বাসের শীতাতপনিয়ন্ত্রণ (এসি) ব্যবস্থায় ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক ব্যাটারিগুলোও বিস্ফোরিত হয়েছিল।
ভেঙ্কটরামন বলেন, তাপ এতটাই তীব্র ছিল যে বাসের মেঝেতে থাকা অ্যালুমিনিয়ামের পাতও গলে যায়।
ভেঙ্কটরামন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, জ্বালানি তেল চুঁইয়ে পড়ার কারণে শুরুতে বাসের সামনের অংশে আগুন লাগে। দুর্ঘটনার সময় একটি মোটরসাইকেল বাসের নিচে আটকে যায় এবং সেটির পেট্রল ছিটকে পড়ে তাপ বা স্ফুলিঙ্গের সংস্পর্শে এসে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই আগুন পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে।

ভেনেজুয়েলা থেকে অস্ত্র চোরাচালানের অভিযোগে দক্ষিণ ক্যারিবীয় সাগরে একটি নৌকায় বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিজ মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ...
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
২ ঘণ্টা আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
২ ঘণ্টা আগেকলকাতা প্রতিনিধি

রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী। তাদের মূল লক্ষ্য, ভোটের আগে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো।
মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাসহ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলোতে ইতিমধ্যেই তার আঁচ মিলেছে। উৎসবের মৌসুমে বিভিন্ন জায়গায় ভুয়া নিউজ, বিকৃত ভিডিও এবং মিথ্যা বক্তৃতার মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এমন ছবি, অডিও ও ভিডিও তৈরি করছে, যেগুলো আসল ও নকলের সীমারেখা মুছে দিয়েছে। জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা, ধর্মীয় বক্তা এমনকি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মুখ বসিয়ে ছড়ানো হচ্ছে মিথ্যা বার্তা। উদ্দেশ্য একটাই—সামাজিক সম্প্রীতিতে ভাঙন ধরানো ও নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের সাইবার সেল ও জেলা পুলিশ মিলিতভাবে তদন্ত শুরু করেছে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলায় বিগত চার মাসে ১ হাজার ১০০টির বেশি ভুয়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে বন্ধ করা হয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এবং এক্স প্ল্যাটফর্মে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিল ওই চক্র। প্রশাসনের দাবি, এসব অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মিতভাবে ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বিদ্বেষমূলক বার্তা ছড়ানো হচ্ছিল, যা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পক্ষে বিপজ্জনক।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ বলেন, ‘আমরা সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করছি। গত চার মাসে ১ হাজার ৯৩টি ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি তদন্তাধীন।’ পুলিশের ধারণা, এ চক্রটি দেশীয় নয়। বহু আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে দেখা গেছে, সেগুলো বিদেশ এবং ভারতের অন্য রাজ্য থেকে পরিচালিত হচ্ছে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এখন এমন ভুয়া ছবি ও ভিডিও তৈরি করা সম্ভব, যা সাধারণ মানুষের পক্ষে চেনা প্রায় অসম্ভব। ফলে একটি গুজব খুব দ্রুত ভাইরাল হয়ে সমাজে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে কোনো তথ্য যাচাই না করে কেউ শেয়ার বা ফরওয়ার্ড না করেন। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মাজিদ ইকবাল খান বলেন, ‘এখন অনেক অ্যাকাউন্ট বিদেশ থেকে চালানো হচ্ছে। তাই আমরা মানুষকে অনুরোধ করছি, তারা যেন এসব তথ্য যাচাই করে পোস্ট করে।’
একই সঙ্গে, রাজ্যজুড়ে চলছে ‘ভুয়ো খবরবিরোধী’ সচেতনতামূলক অভিযান। জেলার প্রতিটি থানায় সাইবার ক্রাইম সেলের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে জনসভা ও স্কুল-কলেজে প্রচার করা হচ্ছে। প্রশাসনের মতে, এই চেষ্টার লক্ষ্য শুধু অপরাধীদের ধরা নয়; বরং সাধারণ মানুষের মধ্যে ডিজিটাল সচেতনতা সৃষ্টি করা। পুলিশের অভিজ্ঞতা বলছে, গুজব ছড়ানোর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টার্গেট করা হচ্ছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা, যেখানে সামান্য উসকানিতেও বড় ধরনের অশান্তি ঘটার সম্ভাবনা থাকে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, স্থানীয় উৎসব বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিকৃত ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের সাইবার ক্রাইম থানার আইসি উৎপল কুমার সাহা বলেন, ‘আমরা দেখেছি, কিছু মানুষ পরিকল্পিতভাবে সমাজে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কয়েকটি প্রোফাইল মুছে দেওয়া হয়েছে, কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।’ এ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১১ হাজারেরও বেশি বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
রাজ্যের আইটি দপ্তর জানিয়েছে, প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ভুয়া কনটেন্ট শনাক্ত করা ক্রমেই কঠিন হচ্ছে। তাই এখন আর শুধু আইনশৃঙ্খলা নয়, সামাজিক সচেতনতাই গুজবের আগুন ঠেকানোর প্রধান অস্ত্র। সাইবার বিশ্লেষকেদের মতে, এআই শুধু ভালো কাজের জন্য নয়, খারাপ উদ্দেশ্যেও ব্যবহৃত হচ্ছে। কোনো দেশে বসে আরেক দেশের রাজনৈতিক স্থিতি নষ্ট করার হাতিয়ার হিসেবে এটি এখন ব্যবহৃত হচ্ছে। ভোট যত ঘনিয়ে আসবে, ততই এ ধরনের প্রচার বাড়বে। প্রশাসনের নজর সত্ত্বেও কিছু চক্র পরিকল্পিতভাবে সামাজিক বিভাজনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। ভোটের আগে মিথ্যা তথ্যের ঝড় ঠেকাতে তারা বিশেষ সাইবার মনিটরিং সেল চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ এখনকার রাজনৈতিক বাস্তবতায় তথ্যযুদ্ধই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। আর এ যুদ্ধের ময়দান এখন সোশ্যাল মিডিয়া।

রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী। তাদের মূল লক্ষ্য, ভোটের আগে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো।
মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাসহ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলোতে ইতিমধ্যেই তার আঁচ মিলেছে। উৎসবের মৌসুমে বিভিন্ন জায়গায় ভুয়া নিউজ, বিকৃত ভিডিও এবং মিথ্যা বক্তৃতার মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এমন ছবি, অডিও ও ভিডিও তৈরি করছে, যেগুলো আসল ও নকলের সীমারেখা মুছে দিয়েছে। জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা, ধর্মীয় বক্তা এমনকি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মুখ বসিয়ে ছড়ানো হচ্ছে মিথ্যা বার্তা। উদ্দেশ্য একটাই—সামাজিক সম্প্রীতিতে ভাঙন ধরানো ও নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের সাইবার সেল ও জেলা পুলিশ মিলিতভাবে তদন্ত শুরু করেছে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলায় বিগত চার মাসে ১ হাজার ১০০টির বেশি ভুয়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে বন্ধ করা হয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এবং এক্স প্ল্যাটফর্মে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিল ওই চক্র। প্রশাসনের দাবি, এসব অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মিতভাবে ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বিদ্বেষমূলক বার্তা ছড়ানো হচ্ছিল, যা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পক্ষে বিপজ্জনক।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ বলেন, ‘আমরা সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করছি। গত চার মাসে ১ হাজার ৯৩টি ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি তদন্তাধীন।’ পুলিশের ধারণা, এ চক্রটি দেশীয় নয়। বহু আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে দেখা গেছে, সেগুলো বিদেশ এবং ভারতের অন্য রাজ্য থেকে পরিচালিত হচ্ছে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এখন এমন ভুয়া ছবি ও ভিডিও তৈরি করা সম্ভব, যা সাধারণ মানুষের পক্ষে চেনা প্রায় অসম্ভব। ফলে একটি গুজব খুব দ্রুত ভাইরাল হয়ে সমাজে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে কোনো তথ্য যাচাই না করে কেউ শেয়ার বা ফরওয়ার্ড না করেন। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মাজিদ ইকবাল খান বলেন, ‘এখন অনেক অ্যাকাউন্ট বিদেশ থেকে চালানো হচ্ছে। তাই আমরা মানুষকে অনুরোধ করছি, তারা যেন এসব তথ্য যাচাই করে পোস্ট করে।’
একই সঙ্গে, রাজ্যজুড়ে চলছে ‘ভুয়ো খবরবিরোধী’ সচেতনতামূলক অভিযান। জেলার প্রতিটি থানায় সাইবার ক্রাইম সেলের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে জনসভা ও স্কুল-কলেজে প্রচার করা হচ্ছে। প্রশাসনের মতে, এই চেষ্টার লক্ষ্য শুধু অপরাধীদের ধরা নয়; বরং সাধারণ মানুষের মধ্যে ডিজিটাল সচেতনতা সৃষ্টি করা। পুলিশের অভিজ্ঞতা বলছে, গুজব ছড়ানোর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টার্গেট করা হচ্ছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা, যেখানে সামান্য উসকানিতেও বড় ধরনের অশান্তি ঘটার সম্ভাবনা থাকে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, স্থানীয় উৎসব বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিকৃত ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের সাইবার ক্রাইম থানার আইসি উৎপল কুমার সাহা বলেন, ‘আমরা দেখেছি, কিছু মানুষ পরিকল্পিতভাবে সমাজে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কয়েকটি প্রোফাইল মুছে দেওয়া হয়েছে, কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।’ এ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১১ হাজারেরও বেশি বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
রাজ্যের আইটি দপ্তর জানিয়েছে, প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ভুয়া কনটেন্ট শনাক্ত করা ক্রমেই কঠিন হচ্ছে। তাই এখন আর শুধু আইনশৃঙ্খলা নয়, সামাজিক সচেতনতাই গুজবের আগুন ঠেকানোর প্রধান অস্ত্র। সাইবার বিশ্লেষকেদের মতে, এআই শুধু ভালো কাজের জন্য নয়, খারাপ উদ্দেশ্যেও ব্যবহৃত হচ্ছে। কোনো দেশে বসে আরেক দেশের রাজনৈতিক স্থিতি নষ্ট করার হাতিয়ার হিসেবে এটি এখন ব্যবহৃত হচ্ছে। ভোট যত ঘনিয়ে আসবে, ততই এ ধরনের প্রচার বাড়বে। প্রশাসনের নজর সত্ত্বেও কিছু চক্র পরিকল্পিতভাবে সামাজিক বিভাজনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। ভোটের আগে মিথ্যা তথ্যের ঝড় ঠেকাতে তারা বিশেষ সাইবার মনিটরিং সেল চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ এখনকার রাজনৈতিক বাস্তবতায় তথ্যযুদ্ধই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। আর এ যুদ্ধের ময়দান এখন সোশ্যাল মিডিয়া।

ভেনেজুয়েলা থেকে অস্ত্র চোরাচালানের অভিযোগে দক্ষিণ ক্যারিবীয় সাগরে একটি নৌকায় বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিজ মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
১১ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
২ ঘণ্টা আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৩০ কোটি ডলারের জমকালো বলরুম নির্মাণের জন্য হোয়াইট হাউসের পূর্ব পাশ সম্পূর্ণরূপে ভেঙে ফেলা হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন এই বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে এটি করা হলো। যদিও ট্রাম্প এর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বলরুমের জন্য ভবনটির কোনো অংশ ভাঙা হবে না।
গতকাল শুক্রবার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা কিছু ছবিতে দেখা যায়, ঐতিহাসিক ভবনটির পূর্ব পাশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইতিহাসবিদ, হোয়াইট হাউসের সাবেক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ।
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
অথচ গত জুলাই মাসে ট্রাম্প বলেছিলেন, বলরুম নির্মাণের সময় হোয়াইট হাউসের বিদ্যমান অবকাঠামোর কিছুই ভেঙে ফেলা হবে না।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভবন নির্মাণ ও সংস্কার কাজের তত্ত্বাবধানকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশনের কাছে নকশা না পাঠিয়েই হোয়াইট হাউসের একাংশ ভেঙে ফেলার কাজ করেছেন ট্রাম্প।
গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, নির্মাণ পরিকল্পনা ‘শিগগির’ জমা দেওয়া হবে।
হোয়াইট হাউসের আরেক কর্মকর্তা দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশন ধ্বংসের অনুমতি নয়, শুধু ভবন নির্মাণের অনুমতি চায়। সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হবে।’

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৩০ কোটি ডলারের জমকালো বলরুম নির্মাণের জন্য হোয়াইট হাউসের পূর্ব পাশ সম্পূর্ণরূপে ভেঙে ফেলা হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন এই বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে এটি করা হলো। যদিও ট্রাম্প এর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বলরুমের জন্য ভবনটির কোনো অংশ ভাঙা হবে না।
গতকাল শুক্রবার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা কিছু ছবিতে দেখা যায়, ঐতিহাসিক ভবনটির পূর্ব পাশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইতিহাসবিদ, হোয়াইট হাউসের সাবেক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ।
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
অথচ গত জুলাই মাসে ট্রাম্প বলেছিলেন, বলরুম নির্মাণের সময় হোয়াইট হাউসের বিদ্যমান অবকাঠামোর কিছুই ভেঙে ফেলা হবে না।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভবন নির্মাণ ও সংস্কার কাজের তত্ত্বাবধানকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশনের কাছে নকশা না পাঠিয়েই হোয়াইট হাউসের একাংশ ভেঙে ফেলার কাজ করেছেন ট্রাম্প।
গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, নির্মাণ পরিকল্পনা ‘শিগগির’ জমা দেওয়া হবে।
হোয়াইট হাউসের আরেক কর্মকর্তা দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশন ধ্বংসের অনুমতি নয়, শুধু ভবন নির্মাণের অনুমতি চায়। সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হবে।’

ভেনেজুয়েলা থেকে অস্ত্র চোরাচালানের অভিযোগে দক্ষিণ ক্যারিবীয় সাগরে একটি নৌকায় বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিজ মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
১১ মিনিট আগে
রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ...
১ ঘণ্টা আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত। গাজায় ব্যাপক পুনর্গঠন কাজ শুরু হলে একটি নিরাপত্তা শূন্যতা (security vacuum) তৈরি হওয়া রোধ করতে এই বাহিনী গঠন করা হচ্ছে।
এই বাহিনীতে তুরস্ক সেনা পাঠাতে আগ্রহী হলেও ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা তুর্কি সেনাদের এই বাহিনীতে অংশ নেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দিচ্ছে না।
ইসরায়েল ও তুরস্কের সম্পর্কে তিক্ততা আগেই বেড়ে গিয়েছিল সিরিয়া নিয়ে। আর ইসরায়েল মনে করে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ।
তবে গাজা স্থিতিশীলতা বাহিনী থেকে তুরস্ককে বাদ দেওয়া বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, তুরস্ক ট্রাম্পের ২০ দফা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম ‘জামিনদার’ এবং মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সক্ষম সামরিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত।
এই বাহিনীর নেতৃত্ব মিসরের হাতে যেতে পারে।
এটি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী না হলেও ইন্দোনেশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ স্থিতিশীলতা বাহিনীর বেশির ভাগ দেশ চাচ্ছে বাহিনীটিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ম্যান্ডেট দেওয়া হোক।
এর পরিবর্তে, এটি দক্ষিণ ইসরায়েলের শহর কিরিয়াত গাতে অবস্থিত মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক সেল সিভিল-মিলিটারি কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের (সিএমসিসি) সঙ্গে সমন্বয় করবে।
গত মঙ্গলবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এই সেলের উদ্বোধন করেন। সেলটিতে কয়েকজন ব্রিটিশ, ফরাসি, জর্ডানীয় ও আমিরাতি উপদেষ্টা রয়েছেন। এই সেল গাজায় ত্রাণ সমন্বয়ের ভূমিকাও গ্রহণ করছে বলে মনে হচ্ছে। যদিও ত্রাণসহায়তা প্রবেশের প্রধান ক্রসিংগুলো এখনো বন্ধ রয়েছে।
এ বাহিনীর কাজ হবে হামাসকে নিরস্ত্র করা এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন ফিলিস্তিনি সরকারকে নিরাপত্তা দেওয়া, যে সরকার গঠন নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে। যুদ্ধ-পরবর্তী গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণ বাতিল করে দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে গতকাল শুক্রবার প্রধান ফিলিস্তিনি দলগুলো একমত হয়েছে, রাজনীতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন কমিটি এই অঞ্চল পরিচালনার দায়িত্ব নেবে।
গত বৃহস্পতিবার গাজায় ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি মৃতদেহ খুঁজে বের করতে পাঠানো তুরস্কের দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বিশেষজ্ঞদের ইসরায়েলের অনুমোদনের জন্য গাজা সীমান্তের কাছে মিসরের সীমানায় অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যে যে উত্তেজনা বাড়ছে তারই লক্ষণ এটি।
জীবন শনাক্তকরণ ডিভাইস এবং প্রশিক্ষিত সার্চ ডগ নিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ৮১ সদস্যের এই দলটি।
গতকাল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে ইসরায়েলকে চাপে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের আরও কিছু করা উচিত, যার মধ্যে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা এবং অস্ত্র বিক্রয় নিষিদ্ধ করা।
এদিকে হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার প্রশাসন একটি অন্তর্বর্তীকালীন ফিলিস্তিন কমিটির হাতে হস্তান্তর করা হবে, যা স্বাধীন ‘টেকনোক্রেট’দের সমন্বয়ে গঠিত। এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে মিলিতভাবে জীবন ও মৌলিক সেবার কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কায়রোর বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত। গাজায় ব্যাপক পুনর্গঠন কাজ শুরু হলে একটি নিরাপত্তা শূন্যতা (security vacuum) তৈরি হওয়া রোধ করতে এই বাহিনী গঠন করা হচ্ছে।
এই বাহিনীতে তুরস্ক সেনা পাঠাতে আগ্রহী হলেও ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা তুর্কি সেনাদের এই বাহিনীতে অংশ নেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দিচ্ছে না।
ইসরায়েল ও তুরস্কের সম্পর্কে তিক্ততা আগেই বেড়ে গিয়েছিল সিরিয়া নিয়ে। আর ইসরায়েল মনে করে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ।
তবে গাজা স্থিতিশীলতা বাহিনী থেকে তুরস্ককে বাদ দেওয়া বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, তুরস্ক ট্রাম্পের ২০ দফা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম ‘জামিনদার’ এবং মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সক্ষম সামরিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত।
এই বাহিনীর নেতৃত্ব মিসরের হাতে যেতে পারে।
এটি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী না হলেও ইন্দোনেশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ স্থিতিশীলতা বাহিনীর বেশির ভাগ দেশ চাচ্ছে বাহিনীটিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ম্যান্ডেট দেওয়া হোক।
এর পরিবর্তে, এটি দক্ষিণ ইসরায়েলের শহর কিরিয়াত গাতে অবস্থিত মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক সেল সিভিল-মিলিটারি কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের (সিএমসিসি) সঙ্গে সমন্বয় করবে।
গত মঙ্গলবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এই সেলের উদ্বোধন করেন। সেলটিতে কয়েকজন ব্রিটিশ, ফরাসি, জর্ডানীয় ও আমিরাতি উপদেষ্টা রয়েছেন। এই সেল গাজায় ত্রাণ সমন্বয়ের ভূমিকাও গ্রহণ করছে বলে মনে হচ্ছে। যদিও ত্রাণসহায়তা প্রবেশের প্রধান ক্রসিংগুলো এখনো বন্ধ রয়েছে।
এ বাহিনীর কাজ হবে হামাসকে নিরস্ত্র করা এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন ফিলিস্তিনি সরকারকে নিরাপত্তা দেওয়া, যে সরকার গঠন নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে। যুদ্ধ-পরবর্তী গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণ বাতিল করে দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে গতকাল শুক্রবার প্রধান ফিলিস্তিনি দলগুলো একমত হয়েছে, রাজনীতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন কমিটি এই অঞ্চল পরিচালনার দায়িত্ব নেবে।
গত বৃহস্পতিবার গাজায় ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি মৃতদেহ খুঁজে বের করতে পাঠানো তুরস্কের দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বিশেষজ্ঞদের ইসরায়েলের অনুমোদনের জন্য গাজা সীমান্তের কাছে মিসরের সীমানায় অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যে যে উত্তেজনা বাড়ছে তারই লক্ষণ এটি।
জীবন শনাক্তকরণ ডিভাইস এবং প্রশিক্ষিত সার্চ ডগ নিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ৮১ সদস্যের এই দলটি।
গতকাল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে ইসরায়েলকে চাপে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের আরও কিছু করা উচিত, যার মধ্যে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা এবং অস্ত্র বিক্রয় নিষিদ্ধ করা।
এদিকে হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার প্রশাসন একটি অন্তর্বর্তীকালীন ফিলিস্তিন কমিটির হাতে হস্তান্তর করা হবে, যা স্বাধীন ‘টেকনোক্রেট’দের সমন্বয়ে গঠিত। এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে মিলিতভাবে জীবন ও মৌলিক সেবার কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কায়রোর বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ভেনেজুয়েলা থেকে অস্ত্র চোরাচালানের অভিযোগে দক্ষিণ ক্যারিবীয় সাগরে একটি নৌকায় বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিজ মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
১১ মিনিট আগে
রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ...
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
২ ঘণ্টা আগে