Ajker Patrika

যুক্তরাজ্যে নার্সদের নজিরবিহীন ধর্মঘট

যুক্তরাজ্যে নার্সদের নজিরবিহীন ধর্মঘট

যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার (এনএইচএস) ইতিহাসে নজিরবিহীন ধর্মঘট চলছে। ১৯ শতাংশ বেতন বাড়ানো ও কর্মপরিবেশ উন্নয়নের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় এ ধর্মঘট শুরু করেন নার্সরা। খবর বিবিসি ও এএফপি। 

বিবিসি বলছে, ইংল্যান্ডের প্রায় এক-চতুর্থাংশ হাসপাতাল ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের সব স্বাস্থ্য বোর্ড এই ধর্মঘটে অংশ নিয়েছে। এ ছাড়া ওয়েলসের নার্সরাও এই ধর্মঘটে অংশ নিয়েছে। তবে স্কটল্যান্ডে এই ধর্মঘট হচ্ছে না। 

আরসিএনের ১০৬ বছরের ইতিহাসে এটিই প্রথম ধর্মঘট। সংস্থাটির প্রধান প্যাট কুলেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) নার্স ও রোগীদের জন্য একটা মর্মান্তিক দিন।’ 

বর্তমানে যুক্তরাজ্যে জীবনযাপন ব্যয় লাগামহীন। কারণ দেশটিতে মজুরি বৃদ্ধির হারের চেয়ে মূল্যস্ফীতির হার বেশি। লন্ডনের এক হাসপাতালে কাজ করেন সিনিয়র নার্স আমিরা। তিনি এএফপিকে বলেছেন, ‘বেড়ে চলা ব্যয়ে আমাদের চলতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তাই আমাদের মজুরি বৃদ্ধি করা জরুরি।’ 

ইংল্যান্ডের প্রায় এক-চতুর্থাংশ হাসপাতাল ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের সব স্বাস্থ্য বোর্ড ধর্মঘটে অংশ নিয়েছে

দেশটির স্বাস্থ্যসেবা ইউনিয়নগুলো বলছে, তাদের অনেক সদস্য কিছু খাবার এড়িয়ে যাচ্ছেন। পরিবারের ভরণপোষণ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন এবং এনএইচএসকে দলে দলে ছেড়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ২০১০ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে মূল্যস্ফীতি যেভাবে বাড়ছে, তার তুলনায় মজুরি বাড়ানো হচ্ছে না। আবার এনএইচএস ভুগছে তীব্র জনবলসংকটে। মহামারির সময়ে অনেক নিয়োগ বন্ধ ছিল। এখনো এ অচলাবস্থা কাটেনি। ফলে দেশটির নার্সদের ওপর কাজের বোঝা বেড়েছে দ্বিগুণ। মূলত কাজের চাপ কমানো ও মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে নার্সদের এ ধর্মঘট। 

আরসিএন জানিয়েছে, সরকার বেতন বাড়ানোর আলোচনা বন্ধ করেছে এবং আলোচনা এগিয়ে নিতে নার্সদের জন্য কোনো দুয়ার খোলা রাখা হয়নি। তবে বর্তমানে নার্সদের দাবিগুলো পূরণ করার মতো নয় উল্লেখ করে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিভ বার্কলে বলেছেন, এখন সরকারের পক্ষে ১৯ শতাংশ বেতন বাড়ানো সম্ভব নয়। 

এএফপির প্রতিবেদন বলছে, ধর্মঘট চলাকালে রুটিন চিকিৎসা ও পূর্বনির্ধারিত অস্ত্রোপচার বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি চিকিৎসাসেবা চলমান থাকবে। ট্রেড ইউনিয়ন আইন অনুসারে, ধর্মঘটের সময়ও জীবন রক্ষাকারী জরুরি সেবা অব্যাহত রাখতে হবে। কেমোথেরাপি ও কিডনি ডায়ালাইসিস, আইসিইউ, নবজাতক ইউনিট, শিশুদের দুর্ঘটনা ও জরুরি চিকিৎসাসেবা অবশ্যই চালু থাকবে। 

বেতন বৃদ্ধির দাবি তোলা নার্সের সংখ্যা তিন লাখেরও বেশি। ইংল্যান্ডে ২১৯টি হাসপাতাল, মানসিক-স্বাস্থ্য ট্রাস্ট ও কমিউনিটি সার্ভিসের মধ্যে ৫১ টিতে প্রথম দফার ধর্মঘট চলছে। আলোচনায় অগ্রগতি না হলে আগামী ২০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দিনের মতো ধর্মঘট অনুষ্ঠিত হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইতিহাস দরজায় কড়া নেড়ে বলছে, ১৯৭১ থেকে পাকিস্তান কি শেখেনি কিছুই

‘আমাদের মরদেহ বাড়িতে নিয়ো না’

কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের খামারবাড়ি অবরোধের ঘোষণা

মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীর পিঠে পাড়া দিয়ে অটোরিকশায় শহর ঘোরাল ছাত্রদল, সঙ্গে উচ্চ স্বরে গান

যশোরে আত্মগোপনে থাকা আ.লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বাড়িতে পুলিশের অভিযান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত