রয়টার্স

গভর্নর লিসা কুককে বরখাস্ত করার উদ্যোগ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্বকে নজিরবিহীন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। তাঁর এ পদক্ষেপ দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের সূচনা করতে পারে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা ও মুদ্রানীতিতে প্রেসিডেন্টের সংশ্লিষ্টতার দীর্ঘদিনের অনুসৃত নিয়মকে নাড়িয়ে দিতে পারে।
ট্রাম্পের এ পদক্ষেপ যে বৈশ্বিক আর্থিক বাজারকে বিশৃঙ্খলায় ঠেলে দেবে, তা অনেকে আগে থেকেই আশঙ্কা করেছিলেন। তবে বন্ধক জালিয়াতির অভিযোগ তুলে গতকাল সোমবার রাতে ট্রাম্প অবিলম্বে কুককে অপসারণের ঘোষণা দিলেও আজ মঙ্গলবার বাজার তুলনামূলকভাবে শান্তই ছিল। ওয়াল স্ট্রিটের প্রধান সূচকগুলো সামান্য নিম্নমুখী হয়, বন্ড বাজারে নিকট ভবিষ্যতে ফেডের সুদের হার কমার প্রত্যাশা দেখা যায়। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আত্মবিশ্বাস কিছুটা কমে যায়। তবে সম্পদ বাজারে আতঙ্কের কোনো সুস্পষ্ট লক্ষণ দেখা যায়নি।
কুককে পাঠানো এক চিঠিতে ট্রাম্প লিখেছেন, আপনাকে ‘অপসারণ করার যথেষ্ট কারণ’ রয়েছে। কারণ, ২০২১ সালের নথিতে মিশিগান ও জর্জিয়ার দুটি বাড়ির জন্য বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছিলেন, দুটি বাড়িই তাঁর প্রধান আবাসন হিসেবে তালিকাভুক্ত। ফেডারেল রিজার্ভ বোর্ডে প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান নারী হচ্ছেন লিসা কুক।
কয়েক ঘণ্টা পর আইনজীবী অ্যাবি লওয়েলের মাধ্যমে সাংবাদিকদের পাঠানো বিবৃতিতে ট্রাম্পের উদ্দেশে কুক বলেন, ‘আমাকে অপসারণ করার তাঁর আইনগত ক্ষমতা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকার অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে আমি আমার দায়িত্ব পালন করে যাব।’ লওয়েল জানান, ট্রাম্পের দাবির ‘যথাযথ’ প্রক্রিয়া ও আইনি ভিত্তি নেই। বেআইনি পদক্ষেপ ঠেকাতে তাঁরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন কৃষ্ণাঙ্গ নারী কর্মকর্তাকে উচ্চপদ থেকে অপসারণ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছেন লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের প্রধান ও ন্যাশনাল লেবার রিলেশনস বোর্ডের চেয়ারপারসন। এ ছাড়া ট্রাম্প প্রশাসন তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ এনেছে—যেমন নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিটিয়া জেমস, যিনি কৃষ্ণাঙ্গ নারী। গত বছর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অর্ধ-বিলিয়ন ডলারের দেওয়ানি জালিয়াতির রায় তিনিই নিশ্চিত করেছিলেন। গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক আপিল কোর্ট সে জরিমানা বাতিল করে দিলেও মামলা এখনো বহাল রেখেছে।
গত সপ্তাহে ফেডারেল হাউজিং ফাইন্যান্স এজেন্সির পরিচালক উইলিয়াম পুল্টে প্রথম কুকের বন্ধক ঋণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল পামেলা বন্ডিকে পাঠান। ফেড গভর্নরদের মেয়াদ সাধারণত প্রেসিডেন্টের মেয়াদের চেয়ে অনেক দীর্ঘ হয়; কুকের মেয়াদ ২০৩৮ সাল পর্যন্ত। তবে ফেডারেল রিজার্ভ আইনে বলা আছে, কোনো গভর্নরকে ‘যথাযথ কারণ’ দেখিয়ে অপসারণ করা যেতে পারে। কিন্তু এ ধারা কখনোই ব্যবহার হয়নি। বিশেষ করে, ১৯৭০-এর দশক থেকে প্রেসিডেন্টরা সাধারণত ফেডের বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি মেনে চলেছেন, যাতে মার্কিন মুদ্রানীতির ওপর আস্থা বজায় থাকে।
আইনবিদ ও ইতিহাসবিদদের মতে, এ পদক্ষেপ ঘিরে আইনি চ্যালেঞ্জে নির্বাহী ক্ষমতা, ফেডের বিশেষ আংশিক-বেসরকারি কাঠামো, ইতিহাস ও কুকের কাজ আদৌ অপসারণের ‘যথাযথ কারণ’ হিসেবে গণ্য হয় কি না—সবগুলো একসঙ্গে জড়িয়ে যাবে।
ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার ফেড ইতিহাসবিদ পিটার কন্টি-ব্রাউন বলেন, কুকের বন্ধক লেনদেন তাঁর ফেডে যোগদানের আগেই হয়েছিল এবং সিনেটে নিশ্চিত হওয়ার সময় তা প্রকাশ্য নথিতে ছিল। তাঁর ভাষায়, ‘এমন কর্মকর্তারা আমাদের প্রেসিডেন্ট ও সিনেটের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে আসেন। এর মানে, ব্যক্তিগত জীবনে তাঁদের করা সবকিছুই আগে যাচাই হয়ে গেছে। তাই পরে আগের ঘটনা ধরে অপসারণের ভিত্তি বানানো আইনত ‘‘যথাযথ কারণ’’ হতে পারে না।’
চিঠিতে কুকের বিরুদ্ধ ‘আর্থিক বিষয়ে প্রতারণাপূর্ণ ও অপরাধমূলক আচরণের’ অভিযোগ তোলেন এবং তাঁর সততার প্রতি আস্থা না থাকার কথা জানান ট্রাম্প। তিনি লেখেন, ‘অন্ততপক্ষে আর্থিক লেনদেনে এ ধরনের অবহেলা আপনার যোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।’ তিনি দাবি করেন, মার্কিন সংবিধানের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ ও ১৯১৩ সালের ফেডারেল রিজার্ভ আইনের অধীনে তিনি কুককে বরখাস্ত করার ক্ষমতা রাখেন।
সুদের হার না কমানোর জন্য ট্রাম্প বারবার ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের সমালোচনা করেছেন। যদিও মেয়াদ শেষের নয় মাস বাকি থাকায় তাঁকে বরখাস্তের হুমকি আপাতত দিচ্ছেন না তিনি। কুকের বিদায় হলে ফেডের সাত সদস্যের বোর্ডে নিজের চতুর্থ নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ পাবেন ট্রাম্প। এর মধ্যে দুজন বর্তমান সদস্য রয়েছেন আর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান স্টিফেন মিরানকে একটি শূন্য আসনের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
২০২১ সালে কুক যখন বন্ধক ঋণ নিয়েছিলেন, তখন তিনি একাডেমিক ছিলেন। ২০২৪ সালের আনুষ্ঠানিক আর্থিক প্রকাশ ফরমে তাঁর তিনটি বন্ধক ঋণের তথ্য রয়েছে, যার মধ্যে দুটি ব্যক্তিগত বাসভবন হিসেবে দেখানো। প্রধান আবাসনের বিপরীতে নেওয়া ঋণে সাধারণত কম সুদ ধার্য হয়, যেখানে বিনিয়োগ সম্পত্তির ঋণে বেশি সুদ নেওয়া হয়।
মার্কিন সরকারে বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি কর্মসূচিকে টার্গেট করার ট্রাম্প প্রশাসনের বৃহত্তর প্রচেষ্টার মধ্যে কুকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হলো। ইতিমধ্যে কয়েকজন বিশিষ্ট নারী ও সংখ্যালঘু কর্মকর্তা পদ ছেড়েছেন।

গভর্নর লিসা কুককে বরখাস্ত করার উদ্যোগ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্বকে নজিরবিহীন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। তাঁর এ পদক্ষেপ দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের সূচনা করতে পারে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা ও মুদ্রানীতিতে প্রেসিডেন্টের সংশ্লিষ্টতার দীর্ঘদিনের অনুসৃত নিয়মকে নাড়িয়ে দিতে পারে।
ট্রাম্পের এ পদক্ষেপ যে বৈশ্বিক আর্থিক বাজারকে বিশৃঙ্খলায় ঠেলে দেবে, তা অনেকে আগে থেকেই আশঙ্কা করেছিলেন। তবে বন্ধক জালিয়াতির অভিযোগ তুলে গতকাল সোমবার রাতে ট্রাম্প অবিলম্বে কুককে অপসারণের ঘোষণা দিলেও আজ মঙ্গলবার বাজার তুলনামূলকভাবে শান্তই ছিল। ওয়াল স্ট্রিটের প্রধান সূচকগুলো সামান্য নিম্নমুখী হয়, বন্ড বাজারে নিকট ভবিষ্যতে ফেডের সুদের হার কমার প্রত্যাশা দেখা যায়। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আত্মবিশ্বাস কিছুটা কমে যায়। তবে সম্পদ বাজারে আতঙ্কের কোনো সুস্পষ্ট লক্ষণ দেখা যায়নি।
কুককে পাঠানো এক চিঠিতে ট্রাম্প লিখেছেন, আপনাকে ‘অপসারণ করার যথেষ্ট কারণ’ রয়েছে। কারণ, ২০২১ সালের নথিতে মিশিগান ও জর্জিয়ার দুটি বাড়ির জন্য বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছিলেন, দুটি বাড়িই তাঁর প্রধান আবাসন হিসেবে তালিকাভুক্ত। ফেডারেল রিজার্ভ বোর্ডে প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান নারী হচ্ছেন লিসা কুক।
কয়েক ঘণ্টা পর আইনজীবী অ্যাবি লওয়েলের মাধ্যমে সাংবাদিকদের পাঠানো বিবৃতিতে ট্রাম্পের উদ্দেশে কুক বলেন, ‘আমাকে অপসারণ করার তাঁর আইনগত ক্ষমতা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকার অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে আমি আমার দায়িত্ব পালন করে যাব।’ লওয়েল জানান, ট্রাম্পের দাবির ‘যথাযথ’ প্রক্রিয়া ও আইনি ভিত্তি নেই। বেআইনি পদক্ষেপ ঠেকাতে তাঁরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন কৃষ্ণাঙ্গ নারী কর্মকর্তাকে উচ্চপদ থেকে অপসারণ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছেন লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের প্রধান ও ন্যাশনাল লেবার রিলেশনস বোর্ডের চেয়ারপারসন। এ ছাড়া ট্রাম্প প্রশাসন তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ এনেছে—যেমন নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিটিয়া জেমস, যিনি কৃষ্ণাঙ্গ নারী। গত বছর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অর্ধ-বিলিয়ন ডলারের দেওয়ানি জালিয়াতির রায় তিনিই নিশ্চিত করেছিলেন। গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক আপিল কোর্ট সে জরিমানা বাতিল করে দিলেও মামলা এখনো বহাল রেখেছে।
গত সপ্তাহে ফেডারেল হাউজিং ফাইন্যান্স এজেন্সির পরিচালক উইলিয়াম পুল্টে প্রথম কুকের বন্ধক ঋণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল পামেলা বন্ডিকে পাঠান। ফেড গভর্নরদের মেয়াদ সাধারণত প্রেসিডেন্টের মেয়াদের চেয়ে অনেক দীর্ঘ হয়; কুকের মেয়াদ ২০৩৮ সাল পর্যন্ত। তবে ফেডারেল রিজার্ভ আইনে বলা আছে, কোনো গভর্নরকে ‘যথাযথ কারণ’ দেখিয়ে অপসারণ করা যেতে পারে। কিন্তু এ ধারা কখনোই ব্যবহার হয়নি। বিশেষ করে, ১৯৭০-এর দশক থেকে প্রেসিডেন্টরা সাধারণত ফেডের বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি মেনে চলেছেন, যাতে মার্কিন মুদ্রানীতির ওপর আস্থা বজায় থাকে।
আইনবিদ ও ইতিহাসবিদদের মতে, এ পদক্ষেপ ঘিরে আইনি চ্যালেঞ্জে নির্বাহী ক্ষমতা, ফেডের বিশেষ আংশিক-বেসরকারি কাঠামো, ইতিহাস ও কুকের কাজ আদৌ অপসারণের ‘যথাযথ কারণ’ হিসেবে গণ্য হয় কি না—সবগুলো একসঙ্গে জড়িয়ে যাবে।
ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার ফেড ইতিহাসবিদ পিটার কন্টি-ব্রাউন বলেন, কুকের বন্ধক লেনদেন তাঁর ফেডে যোগদানের আগেই হয়েছিল এবং সিনেটে নিশ্চিত হওয়ার সময় তা প্রকাশ্য নথিতে ছিল। তাঁর ভাষায়, ‘এমন কর্মকর্তারা আমাদের প্রেসিডেন্ট ও সিনেটের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে আসেন। এর মানে, ব্যক্তিগত জীবনে তাঁদের করা সবকিছুই আগে যাচাই হয়ে গেছে। তাই পরে আগের ঘটনা ধরে অপসারণের ভিত্তি বানানো আইনত ‘‘যথাযথ কারণ’’ হতে পারে না।’
চিঠিতে কুকের বিরুদ্ধ ‘আর্থিক বিষয়ে প্রতারণাপূর্ণ ও অপরাধমূলক আচরণের’ অভিযোগ তোলেন এবং তাঁর সততার প্রতি আস্থা না থাকার কথা জানান ট্রাম্প। তিনি লেখেন, ‘অন্ততপক্ষে আর্থিক লেনদেনে এ ধরনের অবহেলা আপনার যোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।’ তিনি দাবি করেন, মার্কিন সংবিধানের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ ও ১৯১৩ সালের ফেডারেল রিজার্ভ আইনের অধীনে তিনি কুককে বরখাস্ত করার ক্ষমতা রাখেন।
সুদের হার না কমানোর জন্য ট্রাম্প বারবার ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের সমালোচনা করেছেন। যদিও মেয়াদ শেষের নয় মাস বাকি থাকায় তাঁকে বরখাস্তের হুমকি আপাতত দিচ্ছেন না তিনি। কুকের বিদায় হলে ফেডের সাত সদস্যের বোর্ডে নিজের চতুর্থ নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ পাবেন ট্রাম্প। এর মধ্যে দুজন বর্তমান সদস্য রয়েছেন আর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান স্টিফেন মিরানকে একটি শূন্য আসনের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
২০২১ সালে কুক যখন বন্ধক ঋণ নিয়েছিলেন, তখন তিনি একাডেমিক ছিলেন। ২০২৪ সালের আনুষ্ঠানিক আর্থিক প্রকাশ ফরমে তাঁর তিনটি বন্ধক ঋণের তথ্য রয়েছে, যার মধ্যে দুটি ব্যক্তিগত বাসভবন হিসেবে দেখানো। প্রধান আবাসনের বিপরীতে নেওয়া ঋণে সাধারণত কম সুদ ধার্য হয়, যেখানে বিনিয়োগ সম্পত্তির ঋণে বেশি সুদ নেওয়া হয়।
মার্কিন সরকারে বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি কর্মসূচিকে টার্গেট করার ট্রাম্প প্রশাসনের বৃহত্তর প্রচেষ্টার মধ্যে কুকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হলো। ইতিমধ্যে কয়েকজন বিশিষ্ট নারী ও সংখ্যালঘু কর্মকর্তা পদ ছেড়েছেন।
রয়টার্স

গভর্নর লিসা কুককে বরখাস্ত করার উদ্যোগ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্বকে নজিরবিহীন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। তাঁর এ পদক্ষেপ দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের সূচনা করতে পারে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা ও মুদ্রানীতিতে প্রেসিডেন্টের সংশ্লিষ্টতার দীর্ঘদিনের অনুসৃত নিয়মকে নাড়িয়ে দিতে পারে।
ট্রাম্পের এ পদক্ষেপ যে বৈশ্বিক আর্থিক বাজারকে বিশৃঙ্খলায় ঠেলে দেবে, তা অনেকে আগে থেকেই আশঙ্কা করেছিলেন। তবে বন্ধক জালিয়াতির অভিযোগ তুলে গতকাল সোমবার রাতে ট্রাম্প অবিলম্বে কুককে অপসারণের ঘোষণা দিলেও আজ মঙ্গলবার বাজার তুলনামূলকভাবে শান্তই ছিল। ওয়াল স্ট্রিটের প্রধান সূচকগুলো সামান্য নিম্নমুখী হয়, বন্ড বাজারে নিকট ভবিষ্যতে ফেডের সুদের হার কমার প্রত্যাশা দেখা যায়। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আত্মবিশ্বাস কিছুটা কমে যায়। তবে সম্পদ বাজারে আতঙ্কের কোনো সুস্পষ্ট লক্ষণ দেখা যায়নি।
কুককে পাঠানো এক চিঠিতে ট্রাম্প লিখেছেন, আপনাকে ‘অপসারণ করার যথেষ্ট কারণ’ রয়েছে। কারণ, ২০২১ সালের নথিতে মিশিগান ও জর্জিয়ার দুটি বাড়ির জন্য বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছিলেন, দুটি বাড়িই তাঁর প্রধান আবাসন হিসেবে তালিকাভুক্ত। ফেডারেল রিজার্ভ বোর্ডে প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান নারী হচ্ছেন লিসা কুক।
কয়েক ঘণ্টা পর আইনজীবী অ্যাবি লওয়েলের মাধ্যমে সাংবাদিকদের পাঠানো বিবৃতিতে ট্রাম্পের উদ্দেশে কুক বলেন, ‘আমাকে অপসারণ করার তাঁর আইনগত ক্ষমতা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকার অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে আমি আমার দায়িত্ব পালন করে যাব।’ লওয়েল জানান, ট্রাম্পের দাবির ‘যথাযথ’ প্রক্রিয়া ও আইনি ভিত্তি নেই। বেআইনি পদক্ষেপ ঠেকাতে তাঁরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন কৃষ্ণাঙ্গ নারী কর্মকর্তাকে উচ্চপদ থেকে অপসারণ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছেন লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের প্রধান ও ন্যাশনাল লেবার রিলেশনস বোর্ডের চেয়ারপারসন। এ ছাড়া ট্রাম্প প্রশাসন তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ এনেছে—যেমন নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিটিয়া জেমস, যিনি কৃষ্ণাঙ্গ নারী। গত বছর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অর্ধ-বিলিয়ন ডলারের দেওয়ানি জালিয়াতির রায় তিনিই নিশ্চিত করেছিলেন। গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক আপিল কোর্ট সে জরিমানা বাতিল করে দিলেও মামলা এখনো বহাল রেখেছে।
গত সপ্তাহে ফেডারেল হাউজিং ফাইন্যান্স এজেন্সির পরিচালক উইলিয়াম পুল্টে প্রথম কুকের বন্ধক ঋণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল পামেলা বন্ডিকে পাঠান। ফেড গভর্নরদের মেয়াদ সাধারণত প্রেসিডেন্টের মেয়াদের চেয়ে অনেক দীর্ঘ হয়; কুকের মেয়াদ ২০৩৮ সাল পর্যন্ত। তবে ফেডারেল রিজার্ভ আইনে বলা আছে, কোনো গভর্নরকে ‘যথাযথ কারণ’ দেখিয়ে অপসারণ করা যেতে পারে। কিন্তু এ ধারা কখনোই ব্যবহার হয়নি। বিশেষ করে, ১৯৭০-এর দশক থেকে প্রেসিডেন্টরা সাধারণত ফেডের বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি মেনে চলেছেন, যাতে মার্কিন মুদ্রানীতির ওপর আস্থা বজায় থাকে।
আইনবিদ ও ইতিহাসবিদদের মতে, এ পদক্ষেপ ঘিরে আইনি চ্যালেঞ্জে নির্বাহী ক্ষমতা, ফেডের বিশেষ আংশিক-বেসরকারি কাঠামো, ইতিহাস ও কুকের কাজ আদৌ অপসারণের ‘যথাযথ কারণ’ হিসেবে গণ্য হয় কি না—সবগুলো একসঙ্গে জড়িয়ে যাবে।
ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার ফেড ইতিহাসবিদ পিটার কন্টি-ব্রাউন বলেন, কুকের বন্ধক লেনদেন তাঁর ফেডে যোগদানের আগেই হয়েছিল এবং সিনেটে নিশ্চিত হওয়ার সময় তা প্রকাশ্য নথিতে ছিল। তাঁর ভাষায়, ‘এমন কর্মকর্তারা আমাদের প্রেসিডেন্ট ও সিনেটের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে আসেন। এর মানে, ব্যক্তিগত জীবনে তাঁদের করা সবকিছুই আগে যাচাই হয়ে গেছে। তাই পরে আগের ঘটনা ধরে অপসারণের ভিত্তি বানানো আইনত ‘‘যথাযথ কারণ’’ হতে পারে না।’
চিঠিতে কুকের বিরুদ্ধ ‘আর্থিক বিষয়ে প্রতারণাপূর্ণ ও অপরাধমূলক আচরণের’ অভিযোগ তোলেন এবং তাঁর সততার প্রতি আস্থা না থাকার কথা জানান ট্রাম্প। তিনি লেখেন, ‘অন্ততপক্ষে আর্থিক লেনদেনে এ ধরনের অবহেলা আপনার যোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।’ তিনি দাবি করেন, মার্কিন সংবিধানের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ ও ১৯১৩ সালের ফেডারেল রিজার্ভ আইনের অধীনে তিনি কুককে বরখাস্ত করার ক্ষমতা রাখেন।
সুদের হার না কমানোর জন্য ট্রাম্প বারবার ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের সমালোচনা করেছেন। যদিও মেয়াদ শেষের নয় মাস বাকি থাকায় তাঁকে বরখাস্তের হুমকি আপাতত দিচ্ছেন না তিনি। কুকের বিদায় হলে ফেডের সাত সদস্যের বোর্ডে নিজের চতুর্থ নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ পাবেন ট্রাম্প। এর মধ্যে দুজন বর্তমান সদস্য রয়েছেন আর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান স্টিফেন মিরানকে একটি শূন্য আসনের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
২০২১ সালে কুক যখন বন্ধক ঋণ নিয়েছিলেন, তখন তিনি একাডেমিক ছিলেন। ২০২৪ সালের আনুষ্ঠানিক আর্থিক প্রকাশ ফরমে তাঁর তিনটি বন্ধক ঋণের তথ্য রয়েছে, যার মধ্যে দুটি ব্যক্তিগত বাসভবন হিসেবে দেখানো। প্রধান আবাসনের বিপরীতে নেওয়া ঋণে সাধারণত কম সুদ ধার্য হয়, যেখানে বিনিয়োগ সম্পত্তির ঋণে বেশি সুদ নেওয়া হয়।
মার্কিন সরকারে বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি কর্মসূচিকে টার্গেট করার ট্রাম্প প্রশাসনের বৃহত্তর প্রচেষ্টার মধ্যে কুকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হলো। ইতিমধ্যে কয়েকজন বিশিষ্ট নারী ও সংখ্যালঘু কর্মকর্তা পদ ছেড়েছেন।

গভর্নর লিসা কুককে বরখাস্ত করার উদ্যোগ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্বকে নজিরবিহীন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। তাঁর এ পদক্ষেপ দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের সূচনা করতে পারে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা ও মুদ্রানীতিতে প্রেসিডেন্টের সংশ্লিষ্টতার দীর্ঘদিনের অনুসৃত নিয়মকে নাড়িয়ে দিতে পারে।
ট্রাম্পের এ পদক্ষেপ যে বৈশ্বিক আর্থিক বাজারকে বিশৃঙ্খলায় ঠেলে দেবে, তা অনেকে আগে থেকেই আশঙ্কা করেছিলেন। তবে বন্ধক জালিয়াতির অভিযোগ তুলে গতকাল সোমবার রাতে ট্রাম্প অবিলম্বে কুককে অপসারণের ঘোষণা দিলেও আজ মঙ্গলবার বাজার তুলনামূলকভাবে শান্তই ছিল। ওয়াল স্ট্রিটের প্রধান সূচকগুলো সামান্য নিম্নমুখী হয়, বন্ড বাজারে নিকট ভবিষ্যতে ফেডের সুদের হার কমার প্রত্যাশা দেখা যায়। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আত্মবিশ্বাস কিছুটা কমে যায়। তবে সম্পদ বাজারে আতঙ্কের কোনো সুস্পষ্ট লক্ষণ দেখা যায়নি।
কুককে পাঠানো এক চিঠিতে ট্রাম্প লিখেছেন, আপনাকে ‘অপসারণ করার যথেষ্ট কারণ’ রয়েছে। কারণ, ২০২১ সালের নথিতে মিশিগান ও জর্জিয়ার দুটি বাড়ির জন্য বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছিলেন, দুটি বাড়িই তাঁর প্রধান আবাসন হিসেবে তালিকাভুক্ত। ফেডারেল রিজার্ভ বোর্ডে প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান নারী হচ্ছেন লিসা কুক।
কয়েক ঘণ্টা পর আইনজীবী অ্যাবি লওয়েলের মাধ্যমে সাংবাদিকদের পাঠানো বিবৃতিতে ট্রাম্পের উদ্দেশে কুক বলেন, ‘আমাকে অপসারণ করার তাঁর আইনগত ক্ষমতা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকার অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে আমি আমার দায়িত্ব পালন করে যাব।’ লওয়েল জানান, ট্রাম্পের দাবির ‘যথাযথ’ প্রক্রিয়া ও আইনি ভিত্তি নেই। বেআইনি পদক্ষেপ ঠেকাতে তাঁরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন কৃষ্ণাঙ্গ নারী কর্মকর্তাকে উচ্চপদ থেকে অপসারণ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছেন লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের প্রধান ও ন্যাশনাল লেবার রিলেশনস বোর্ডের চেয়ারপারসন। এ ছাড়া ট্রাম্প প্রশাসন তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ এনেছে—যেমন নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিটিয়া জেমস, যিনি কৃষ্ণাঙ্গ নারী। গত বছর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অর্ধ-বিলিয়ন ডলারের দেওয়ানি জালিয়াতির রায় তিনিই নিশ্চিত করেছিলেন। গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক আপিল কোর্ট সে জরিমানা বাতিল করে দিলেও মামলা এখনো বহাল রেখেছে।
গত সপ্তাহে ফেডারেল হাউজিং ফাইন্যান্স এজেন্সির পরিচালক উইলিয়াম পুল্টে প্রথম কুকের বন্ধক ঋণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল পামেলা বন্ডিকে পাঠান। ফেড গভর্নরদের মেয়াদ সাধারণত প্রেসিডেন্টের মেয়াদের চেয়ে অনেক দীর্ঘ হয়; কুকের মেয়াদ ২০৩৮ সাল পর্যন্ত। তবে ফেডারেল রিজার্ভ আইনে বলা আছে, কোনো গভর্নরকে ‘যথাযথ কারণ’ দেখিয়ে অপসারণ করা যেতে পারে। কিন্তু এ ধারা কখনোই ব্যবহার হয়নি। বিশেষ করে, ১৯৭০-এর দশক থেকে প্রেসিডেন্টরা সাধারণত ফেডের বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি মেনে চলেছেন, যাতে মার্কিন মুদ্রানীতির ওপর আস্থা বজায় থাকে।
আইনবিদ ও ইতিহাসবিদদের মতে, এ পদক্ষেপ ঘিরে আইনি চ্যালেঞ্জে নির্বাহী ক্ষমতা, ফেডের বিশেষ আংশিক-বেসরকারি কাঠামো, ইতিহাস ও কুকের কাজ আদৌ অপসারণের ‘যথাযথ কারণ’ হিসেবে গণ্য হয় কি না—সবগুলো একসঙ্গে জড়িয়ে যাবে।
ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার ফেড ইতিহাসবিদ পিটার কন্টি-ব্রাউন বলেন, কুকের বন্ধক লেনদেন তাঁর ফেডে যোগদানের আগেই হয়েছিল এবং সিনেটে নিশ্চিত হওয়ার সময় তা প্রকাশ্য নথিতে ছিল। তাঁর ভাষায়, ‘এমন কর্মকর্তারা আমাদের প্রেসিডেন্ট ও সিনেটের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে আসেন। এর মানে, ব্যক্তিগত জীবনে তাঁদের করা সবকিছুই আগে যাচাই হয়ে গেছে। তাই পরে আগের ঘটনা ধরে অপসারণের ভিত্তি বানানো আইনত ‘‘যথাযথ কারণ’’ হতে পারে না।’
চিঠিতে কুকের বিরুদ্ধ ‘আর্থিক বিষয়ে প্রতারণাপূর্ণ ও অপরাধমূলক আচরণের’ অভিযোগ তোলেন এবং তাঁর সততার প্রতি আস্থা না থাকার কথা জানান ট্রাম্প। তিনি লেখেন, ‘অন্ততপক্ষে আর্থিক লেনদেনে এ ধরনের অবহেলা আপনার যোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।’ তিনি দাবি করেন, মার্কিন সংবিধানের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ ও ১৯১৩ সালের ফেডারেল রিজার্ভ আইনের অধীনে তিনি কুককে বরখাস্ত করার ক্ষমতা রাখেন।
সুদের হার না কমানোর জন্য ট্রাম্প বারবার ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের সমালোচনা করেছেন। যদিও মেয়াদ শেষের নয় মাস বাকি থাকায় তাঁকে বরখাস্তের হুমকি আপাতত দিচ্ছেন না তিনি। কুকের বিদায় হলে ফেডের সাত সদস্যের বোর্ডে নিজের চতুর্থ নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ পাবেন ট্রাম্প। এর মধ্যে দুজন বর্তমান সদস্য রয়েছেন আর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের প্রধান স্টিফেন মিরানকে একটি শূন্য আসনের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
২০২১ সালে কুক যখন বন্ধক ঋণ নিয়েছিলেন, তখন তিনি একাডেমিক ছিলেন। ২০২৪ সালের আনুষ্ঠানিক আর্থিক প্রকাশ ফরমে তাঁর তিনটি বন্ধক ঋণের তথ্য রয়েছে, যার মধ্যে দুটি ব্যক্তিগত বাসভবন হিসেবে দেখানো। প্রধান আবাসনের বিপরীতে নেওয়া ঋণে সাধারণত কম সুদ ধার্য হয়, যেখানে বিনিয়োগ সম্পত্তির ঋণে বেশি সুদ নেওয়া হয়।
মার্কিন সরকারে বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি কর্মসূচিকে টার্গেট করার ট্রাম্প প্রশাসনের বৃহত্তর প্রচেষ্টার মধ্যে কুকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হলো। ইতিমধ্যে কয়েকজন বিশিষ্ট নারী ও সংখ্যালঘু কর্মকর্তা পদ ছেড়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
৪৩ মিনিট আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
১ ঘণ্টা আগে
বিচারক একা বারবাকাদজে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছেন এবং তাঁর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। জামিনের অর্থ পরিশোধের জন্য তিনি ৩০ দিন সময় পেয়েছেন বলে জানিয়েছে কিয়েভ পোস্ট।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়াকে ‘একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের জল্পনা চলছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৩০ কোটি ডলারের জমকালো বলরুম নির্মাণের জন্য হোয়াইট হাউসের পূর্ব পাশ সম্পূর্ণরূপে ভেঙে ফেলা হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন এই বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে এটি করা হলো। যদিও ট্রাম্প এর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বলরুমের জন্য ভবনটির কোনো অংশ ভাঙা হবে না।
গতকাল শুক্রবার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা কিছু ছবিতে দেখা যায়, ঐতিহাসিক ভবনটির পূর্ব পাশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইতিহাসবিদ, হোয়াইট হাউসের সাবেক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ।
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
অথচ গত জুলাই মাসে ট্রাম্প বলেছিলেন, বলরুম নির্মাণের সময় হোয়াইট হাউসের বিদ্যমান অবকাঠামোর কিছুই ভেঙে ফেলা হবে না।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভবন নির্মাণ ও সংস্কার কাজের তত্ত্বাবধানকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশনের কাছে নকশা না পাঠিয়েই হোয়াইট হাউসের একাংশ ভেঙে ফেলার কাজ করেছেন ট্রাম্প।
গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, নির্মাণ পরিকল্পনা ‘শিগগির’ জমা দেওয়া হবে।
হোয়াইট হাউসের আরেক কর্মকর্তা দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশন ধ্বংসের অনুমতি নয়, শুধু ভবন নির্মাণের অনুমতি চায়। সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হবে।’

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৩০ কোটি ডলারের জমকালো বলরুম নির্মাণের জন্য হোয়াইট হাউসের পূর্ব পাশ সম্পূর্ণরূপে ভেঙে ফেলা হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন এই বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে এটি করা হলো। যদিও ট্রাম্প এর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বলরুমের জন্য ভবনটির কোনো অংশ ভাঙা হবে না।
গতকাল শুক্রবার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা কিছু ছবিতে দেখা যায়, ঐতিহাসিক ভবনটির পূর্ব পাশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইতিহাসবিদ, হোয়াইট হাউসের সাবেক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ।
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
অথচ গত জুলাই মাসে ট্রাম্প বলেছিলেন, বলরুম নির্মাণের সময় হোয়াইট হাউসের বিদ্যমান অবকাঠামোর কিছুই ভেঙে ফেলা হবে না।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভবন নির্মাণ ও সংস্কার কাজের তত্ত্বাবধানকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশনের কাছে নকশা না পাঠিয়েই হোয়াইট হাউসের একাংশ ভেঙে ফেলার কাজ করেছেন ট্রাম্প।
গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, নির্মাণ পরিকল্পনা ‘শিগগির’ জমা দেওয়া হবে।
হোয়াইট হাউসের আরেক কর্মকর্তা দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশন ধ্বংসের অনুমতি নয়, শুধু ভবন নির্মাণের অনুমতি চায়। সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হবে।’

গভর্নর লিসা কুককে বরখাস্ত করার উদ্যোগ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্বকে নজিরবিহীন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। তাঁর এ পদক্ষেপ দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের সূচনা করতে পারে...
২৬ আগস্ট ২০২৫
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
১ ঘণ্টা আগে
বিচারক একা বারবাকাদজে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছেন এবং তাঁর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। জামিনের অর্থ পরিশোধের জন্য তিনি ৩০ দিন সময় পেয়েছেন বলে জানিয়েছে কিয়েভ পোস্ট।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়াকে ‘একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের জল্পনা চলছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত। গাজায় ব্যাপক পুনর্গঠন কাজ শুরু হলে একটি নিরাপত্তা শূন্যতা (security vacuum) তৈরি হওয়া রোধ করতে এই বাহিনী গঠন করা হচ্ছে।
এই বাহিনীতে তুরস্ক সেনা পাঠাতে আগ্রহী হলেও ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা তুর্কি সেনাদের এই বাহিনীতে অংশ নেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দিচ্ছে না।
ইসরায়েল ও তুরস্কের সম্পর্কে তিক্ততা আগেই বেড়ে গিয়েছিল সিরিয়া নিয়ে। আর ইসরায়েল মনে করে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ।
তবে গাজা স্থিতিশীলতা বাহিনী থেকে তুরস্ককে বাদ দেওয়া বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, তুরস্ক ট্রাম্পের ২০ দফা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম ‘জামিনদার’ এবং মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সক্ষম সামরিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত।
এই বাহিনীর নেতৃত্ব মিসরের হাতে যেতে পারে।
এটি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী না হলেও ইন্দোনেশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ স্থিতিশীলতা বাহিনীর বেশির ভাগ দেশ চাচ্ছে বাহিনীটিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ম্যান্ডেট দেওয়া হোক।
এর পরিবর্তে, এটি দক্ষিণ ইসরায়েলের শহর কিরিয়াত গাতে অবস্থিত মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক সেল সিভিল-মিলিটারি কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের (সিএমসিসি) সঙ্গে সমন্বয় করবে।
গত মঙ্গলবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এই সেলের উদ্বোধন করেন। সেলটিতে কয়েকজন ব্রিটিশ, ফরাসি, জর্ডানীয় ও আমিরাতি উপদেষ্টা রয়েছেন। এই সেল গাজায় ত্রাণ সমন্বয়ের ভূমিকাও গ্রহণ করছে বলে মনে হচ্ছে। যদিও ত্রাণসহায়তা প্রবেশের প্রধান ক্রসিংগুলো এখনো বন্ধ রয়েছে।
এ বাহিনীর কাজ হবে হামাসকে নিরস্ত্র করা এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন ফিলিস্তিনি সরকারকে নিরাপত্তা দেওয়া, যে সরকার গঠন নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে। যুদ্ধ-পরবর্তী গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণ বাতিল করে দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে গতকাল শুক্রবার প্রধান ফিলিস্তিনি দলগুলো একমত হয়েছে, রাজনীতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন কমিটি এই অঞ্চল পরিচালনার দায়িত্ব নেবে।
গত বৃহস্পতিবার গাজায় ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি মৃতদেহ খুঁজে বের করতে পাঠানো তুরস্কের দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বিশেষজ্ঞদের ইসরায়েলের অনুমোদনের জন্য গাজা সীমান্তের কাছে মিসরের সীমানায় অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যে যে উত্তেজনা বাড়ছে তারই লক্ষণ এটি।
জীবন শনাক্তকরণ ডিভাইস এবং প্রশিক্ষিত সার্চ ডগ নিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ৮১ সদস্যের এই দলটি।
গতকাল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে ইসরায়েলকে চাপে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের আরও কিছু করা উচিত, যার মধ্যে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা এবং অস্ত্র বিক্রয় নিষিদ্ধ করা।
এদিকে হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার প্রশাসন একটি অন্তর্বর্তীকালীন ফিলিস্তিন কমিটির হাতে হস্তান্তর করা হবে, যা স্বাধীন ‘টেকনোক্রেট’দের সমন্বয়ে গঠিত। এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে মিলিতভাবে জীবন ও মৌলিক সেবার কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কায়রোর বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত। গাজায় ব্যাপক পুনর্গঠন কাজ শুরু হলে একটি নিরাপত্তা শূন্যতা (security vacuum) তৈরি হওয়া রোধ করতে এই বাহিনী গঠন করা হচ্ছে।
এই বাহিনীতে তুরস্ক সেনা পাঠাতে আগ্রহী হলেও ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা তুর্কি সেনাদের এই বাহিনীতে অংশ নেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দিচ্ছে না।
ইসরায়েল ও তুরস্কের সম্পর্কে তিক্ততা আগেই বেড়ে গিয়েছিল সিরিয়া নিয়ে। আর ইসরায়েল মনে করে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ।
তবে গাজা স্থিতিশীলতা বাহিনী থেকে তুরস্ককে বাদ দেওয়া বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, তুরস্ক ট্রাম্পের ২০ দফা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম ‘জামিনদার’ এবং মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সক্ষম সামরিক শক্তি হিসেবে বিবেচিত।
এই বাহিনীর নেতৃত্ব মিসরের হাতে যেতে পারে।
এটি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী না হলেও ইন্দোনেশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ স্থিতিশীলতা বাহিনীর বেশির ভাগ দেশ চাচ্ছে বাহিনীটিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ম্যান্ডেট দেওয়া হোক।
এর পরিবর্তে, এটি দক্ষিণ ইসরায়েলের শহর কিরিয়াত গাতে অবস্থিত মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক সেল সিভিল-মিলিটারি কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের (সিএমসিসি) সঙ্গে সমন্বয় করবে।
গত মঙ্গলবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এই সেলের উদ্বোধন করেন। সেলটিতে কয়েকজন ব্রিটিশ, ফরাসি, জর্ডানীয় ও আমিরাতি উপদেষ্টা রয়েছেন। এই সেল গাজায় ত্রাণ সমন্বয়ের ভূমিকাও গ্রহণ করছে বলে মনে হচ্ছে। যদিও ত্রাণসহায়তা প্রবেশের প্রধান ক্রসিংগুলো এখনো বন্ধ রয়েছে।
এ বাহিনীর কাজ হবে হামাসকে নিরস্ত্র করা এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন ফিলিস্তিনি সরকারকে নিরাপত্তা দেওয়া, যে সরকার গঠন নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে। যুদ্ধ-পরবর্তী গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণ বাতিল করে দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে গতকাল শুক্রবার প্রধান ফিলিস্তিনি দলগুলো একমত হয়েছে, রাজনীতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন কমিটি এই অঞ্চল পরিচালনার দায়িত্ব নেবে।
গত বৃহস্পতিবার গাজায় ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি মৃতদেহ খুঁজে বের করতে পাঠানো তুরস্কের দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বিশেষজ্ঞদের ইসরায়েলের অনুমোদনের জন্য গাজা সীমান্তের কাছে মিসরের সীমানায় অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যে যে উত্তেজনা বাড়ছে তারই লক্ষণ এটি।
জীবন শনাক্তকরণ ডিভাইস এবং প্রশিক্ষিত সার্চ ডগ নিয়ে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ৮১ সদস্যের এই দলটি।
গতকাল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে ইসরায়েলকে চাপে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের আরও কিছু করা উচিত, যার মধ্যে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা এবং অস্ত্র বিক্রয় নিষিদ্ধ করা।
এদিকে হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার প্রশাসন একটি অন্তর্বর্তীকালীন ফিলিস্তিন কমিটির হাতে হস্তান্তর করা হবে, যা স্বাধীন ‘টেকনোক্রেট’দের সমন্বয়ে গঠিত। এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে মিলিতভাবে জীবন ও মৌলিক সেবার কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কায়রোর বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গভর্নর লিসা কুককে বরখাস্ত করার উদ্যোগ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্বকে নজিরবিহীন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। তাঁর এ পদক্ষেপ দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের সূচনা করতে পারে...
২৬ আগস্ট ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
৪৩ মিনিট আগে
বিচারক একা বারবাকাদজে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছেন এবং তাঁর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। জামিনের অর্থ পরিশোধের জন্য তিনি ৩০ দিন সময় পেয়েছেন বলে জানিয়েছে কিয়েভ পোস্ট।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়াকে ‘একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের জল্পনা চলছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জর্জিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি গারিবাশভিলির বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দেশটির রাজধানী তিবলিসির একটি আদালত প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে তাঁকে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪০০ ডলার জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন।
বিচারক একা বারবাকাদজে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন এবং তাঁর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। জামিনের অর্থ পরিশোধের জন্য তিনি ৩০ দিন সময় পেয়েছেন বলে জানিয়েছে কিয়েভ পোস্ট।
শুনানির সময় আদালতে কোনো বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান গারিবাশভিলি। বিচারক তাঁকে কোনো বিবৃতি দিতে চান কি না জানতে চাইলে জবাবে তিনি বলেন, ‘কিছুই না।’
পরে তাঁর আইনজীবী আমিরান গিগুয়াশভিলি সাংবাদিকদের জানান, তাঁর মক্কেল কারও বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্য দেননি।
প্রসিকিউটর জেনারেল জিওর্গি গভারামিদজের মতে, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী উভয় পদে দায়িত্ব পালনের সময় ‘গোপন ও অবৈধ ব্যবসায়িক কার্যকলাপে’ যুক্ত ছিলেন গারিবাশভিলি।
তদন্তকারীদের অভিযোগ, জর্জিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ‘বিশেষভাবে বিপুল পরিমাণ অবৈধ আয়’ করেছেন এবং কোম্পানি ও মধ্যস্থতাকারীদের একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেই অর্থ পাচার করেছেন।
গতকাল প্রসিকিউটর জেনারেল গভারামিদজে বলেন, মন্ত্রী পদে থাকাকালে গারিবাশভিলি গোপনে এবং আড়ালে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন এবং অবৈধ উৎস থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন। একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তিনি তাঁর আয় ও ব্যয় উভয়ই ঘোষণা করতে বাধ্য ছিলেন।
জর্জিয়ার দণ্ডবিধির ১৯৪ ধারার ৩(জি) উপধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ৯ থেকে ১২ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে গারিবাশভিলির।
আরও খবর পড়ুন:

জর্জিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি গারিবাশভিলির বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দেশটির রাজধানী তিবলিসির একটি আদালত প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে তাঁকে ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪০০ ডলার জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন।
বিচারক একা বারবাকাদজে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন এবং তাঁর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। জামিনের অর্থ পরিশোধের জন্য তিনি ৩০ দিন সময় পেয়েছেন বলে জানিয়েছে কিয়েভ পোস্ট।
শুনানির সময় আদালতে কোনো বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান গারিবাশভিলি। বিচারক তাঁকে কোনো বিবৃতি দিতে চান কি না জানতে চাইলে জবাবে তিনি বলেন, ‘কিছুই না।’
পরে তাঁর আইনজীবী আমিরান গিগুয়াশভিলি সাংবাদিকদের জানান, তাঁর মক্কেল কারও বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্য দেননি।
প্রসিকিউটর জেনারেল জিওর্গি গভারামিদজের মতে, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী উভয় পদে দায়িত্ব পালনের সময় ‘গোপন ও অবৈধ ব্যবসায়িক কার্যকলাপে’ যুক্ত ছিলেন গারিবাশভিলি।
তদন্তকারীদের অভিযোগ, জর্জিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ‘বিশেষভাবে বিপুল পরিমাণ অবৈধ আয়’ করেছেন এবং কোম্পানি ও মধ্যস্থতাকারীদের একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেই অর্থ পাচার করেছেন।
গতকাল প্রসিকিউটর জেনারেল গভারামিদজে বলেন, মন্ত্রী পদে থাকাকালে গারিবাশভিলি গোপনে এবং আড়ালে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন এবং অবৈধ উৎস থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন। একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তিনি তাঁর আয় ও ব্যয় উভয়ই ঘোষণা করতে বাধ্য ছিলেন।
জর্জিয়ার দণ্ডবিধির ১৯৪ ধারার ৩(জি) উপধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ৯ থেকে ১২ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে গারিবাশভিলির।
আরও খবর পড়ুন:

গভর্নর লিসা কুককে বরখাস্ত করার উদ্যোগ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্বকে নজিরবিহীন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। তাঁর এ পদক্ষেপ দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের সূচনা করতে পারে...
২৬ আগস্ট ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
৪৩ মিনিট আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়াকে ‘একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের জল্পনা চলছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়াকে ‘একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের জল্পনা চলছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে ট্রাম্পকে সাংবাদিকেরা জিজ্ঞেস করেছিলেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার পূর্বশর্ত হিসেবে উত্তর কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তিনি মানতে প্রস্তুত কি না। জবাবে ট্রাম্প বলেন: ‘আমি মনে করি তারা একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি। যখন আপনারা বলেন তাদের পারমাণবিক শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে, আমি বলব—তাদের প্রচুর পারমাণবিক অস্ত্র আছে।’
ট্রাম্পের এ মন্তব্যটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, কিম জং-উন গত মাসেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগের ‘বিভ্রান্তিকর’ দাবি ত্যাগ করে, তবে তিনি আলোচনার জন্য প্রস্তুত। উত্তর কোরিয়া এর আগে একাধিকবার নিজেদের একটি ‘পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
ট্রাম্প আগামী বুধবার এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) ফোরামে যোগ দিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন অভ্যন্তরীণভাবে কিম জং-উনের সঙ্গে একটি বৈঠক আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা করছে। ট্রাম্প নিজেও আশা প্রকাশ করেছেন, তিনি সম্ভবত এ বছরই কিমের সঙ্গে আবারও দেখা করবেন।
গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রকরণ মন্ত্রী চুং ডং-ইয়ং বলেন, আগামী সপ্তাহে কোরিয়া উপদ্বীপে সফরের সময় কিমের সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাতের জোর সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে একজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের জানান, এই সফরসূচিতে কোনো বৈঠক ‘তালিকায় নেই’।
দুই নেতার বৈঠকের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাতিসংঘ কমান্ড জয়েন্ট সিকিউরিটি এরিয়ায় (জেএসএ) চলতি অক্টোবরের শেষ নাগাদ থেকে নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে।
মন্ত্রী চুং জানিয়েছেন, গত বছর প্রথমবার জেএসএ-এর কাছাকাছি এলাকায় উত্তর কোরিয়ার কর্মীদের ‘সাজসজ্জা’ করতে দেখা গেছে। তারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, আগাছা পরিষ্কার করা এবং ফুলের টব গোছানোর কাজ করেছে। এটি সাধারণত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আগে দেখা যায়।
ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে কিমের সঙ্গে তিনবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন। তাঁদের শেষ বৈঠকটি ২০১৯ সালে দুই কোরিয়ার সীমান্ত বিভাজনকারী পানমুনজমে (জেএসএ) হয়েছিল। সেই সময় ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার মাটিতে কয়েক কদম হেঁটেছিলেন। উত্তর কোরিয়ার মাটিতে পা রাখা প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট তিনি।
তবে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রাগারের কতটা ত্যাগ করতে ইচ্ছুক এবং বিনিময়ে কী পাবে—এ বিষয় নিয়ে মতানৈক্যের কারণে সেই আলোচনা শেষ পর্যন্ত ভেস্তে গেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার প্রাক্কালে উত্তর কোরিয়াকে ‘একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের জল্পনা চলছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে ট্রাম্পকে সাংবাদিকেরা জিজ্ঞেস করেছিলেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার পূর্বশর্ত হিসেবে উত্তর কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তিনি মানতে প্রস্তুত কি না। জবাবে ট্রাম্প বলেন: ‘আমি মনে করি তারা একপ্রকার পারমাণবিক শক্তি। যখন আপনারা বলেন তাদের পারমাণবিক শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে, আমি বলব—তাদের প্রচুর পারমাণবিক অস্ত্র আছে।’
ট্রাম্পের এ মন্তব্যটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, কিম জং-উন গত মাসেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগের ‘বিভ্রান্তিকর’ দাবি ত্যাগ করে, তবে তিনি আলোচনার জন্য প্রস্তুত। উত্তর কোরিয়া এর আগে একাধিকবার নিজেদের একটি ‘পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
ট্রাম্প আগামী বুধবার এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) ফোরামে যোগ দিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন অভ্যন্তরীণভাবে কিম জং-উনের সঙ্গে একটি বৈঠক আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা করছে। ট্রাম্প নিজেও আশা প্রকাশ করেছেন, তিনি সম্ভবত এ বছরই কিমের সঙ্গে আবারও দেখা করবেন।
গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রকরণ মন্ত্রী চুং ডং-ইয়ং বলেন, আগামী সপ্তাহে কোরিয়া উপদ্বীপে সফরের সময় কিমের সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাতের জোর সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে একজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের জানান, এই সফরসূচিতে কোনো বৈঠক ‘তালিকায় নেই’।
দুই নেতার বৈঠকের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাতিসংঘ কমান্ড জয়েন্ট সিকিউরিটি এরিয়ায় (জেএসএ) চলতি অক্টোবরের শেষ নাগাদ থেকে নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে।
মন্ত্রী চুং জানিয়েছেন, গত বছর প্রথমবার জেএসএ-এর কাছাকাছি এলাকায় উত্তর কোরিয়ার কর্মীদের ‘সাজসজ্জা’ করতে দেখা গেছে। তারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, আগাছা পরিষ্কার করা এবং ফুলের টব গোছানোর কাজ করেছে। এটি সাধারণত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আগে দেখা যায়।
ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে কিমের সঙ্গে তিনবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন। তাঁদের শেষ বৈঠকটি ২০১৯ সালে দুই কোরিয়ার সীমান্ত বিভাজনকারী পানমুনজমে (জেএসএ) হয়েছিল। সেই সময় ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার মাটিতে কয়েক কদম হেঁটেছিলেন। উত্তর কোরিয়ার মাটিতে পা রাখা প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট তিনি।
তবে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রাগারের কতটা ত্যাগ করতে ইচ্ছুক এবং বিনিময়ে কী পাবে—এ বিষয় নিয়ে মতানৈক্যের কারণে সেই আলোচনা শেষ পর্যন্ত ভেস্তে গেছে।

গভর্নর লিসা কুককে বরখাস্ত করার উদ্যোগ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্বকে নজিরবিহীন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। তাঁর এ পদক্ষেপ দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের সূচনা করতে পারে...
২৬ আগস্ট ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
৪৩ মিনিট আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে স্থিতিশীলতা আনতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তারা বলছে, এ বাহিনীতে তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ চায় না ইসরায়েল।
১ ঘণ্টা আগে
বিচারক একা বারবাকাদজে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছেন এবং তাঁর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। জামিনের অর্থ পরিশোধের জন্য তিনি ৩০ দিন সময় পেয়েছেন বলে জানিয়েছে কিয়েভ পোস্ট।
২ ঘণ্টা আগে