গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় সমর্থন দিয়ে মুসলিম আমেরিকানদের তোপের মুখে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনকে মুসলিম আমেরিকানদের ভোট না দেওয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে জোরেশোরে। এমন পরিস্থিতিতে ইসলামভীতির বিরুদ্ধে লড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
গত বুধবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইসলামভীতি দূর করতে জাতীয় নীতি প্রণয়ন করা হবে। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের প্রেস সেক্রেটারি ও মুখপাত্র ক্যাথরিন জ্যঁ-পিয়েরে।
তিনি বলেন, ‘জাতির মূল্যবোধকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতেই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। সেই প্রচারাভিযানে তিনি বারবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে কারও বিরুদ্ধে ঘৃণার কোনো স্থান নেই। নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনেও এই নীতি তিনি মেনে চলেছেন।’
ক্যাথরিন জ্যঁ-পিয়েরে আরও বলেন, ‘বহু বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুসলিমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্য ও ঘৃণার শিকার হচ্ছেন। সম্প্রতি তার মাত্রা আরও বাড়ছে। মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধ পরিস্থিতিকে ঘিরে ইসলামভীতি ছড়িয়ে পড়ছে আমাদের দেশে। প্রেসিডেন্ট বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাড়তে থাকা ইসলামভীতি ঠেকাতে একটি একটি কার্যকর কৌশল প্রণয়ন করা জরুরি। সে জন্য যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম নেতাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। শিগগিরই তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রেসিডেন্ট।’
তিনি বলেন, ‘আজকের ঘোষণা হল তারই সর্বশেষ পদক্ষেপ। যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামভীতি, ইহুদি বিদ্বেষ এবং নানা ধরনের পক্ষপাতিত্ব ও বৈষম্য মোকাবিলার প্রচেষ্টা বৃদ্ধি এবং আরও ভালোভাবে সবকিছু সমন্বয় করার জন্য একটি আন্তঃসংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হবে।’
ইসলামভীতি দূর করার প্রচেষ্টা শুরু করা হবে, এমন প্রত্যাশা ছিল গত কয়েক মাস ধরেই। গত মে মাসে ইহুদি বিদ্বেষ মোকাবিলার জন্য একটি জাতীয় কৌশল প্রণয়ন করেছে ওয়াশিংটন। সে সময় মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা মোকাবিলার দিকটিও উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে গাজায় ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে ওয়াশিংটনের এই পরিকল্পনা গতি লাভ করে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধের প্রেক্ষিতে ৬ বছরের এক মুসলিম শিশুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা এবং সেই শিশুর মাকে আহত করার দায়ে ইলিনয়ের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
আরব আমেরিকান ইনস্টিটিউটের একটি জরিপ গত মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৯৭ সালে গবেষণা সংস্থাটি প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো দেখা গেছে যে, আরব আমেরিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ নিজেদের ডেমোক্র্যাট হিসেবে চিহ্নিত করেনি। ৩৭ শতাংশ ডেমোক্র্যাট, ৩২ শতাংশ রিপাবলিকান এবং ৩১ শতাংশ আমেরিকান মুসলিম বলেছেন, তারা নিরপেক্ষ।
এই জরিপে ৪০ শতাংশই বলেছে যে, তারা ২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দেবেন। ২০২০ সালে ট্রাম্পের পক্ষে এই ভোট ছিল ৫ শতাংশ কম। এই জরিপটিই প্রমাণ করে যে, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে মুসলিম এবং আরব আমেরিকানদের সমর্থন দ্রুত হারাচ্ছেন জো বাইডেন।
গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় সমর্থন দিয়ে মুসলিম আমেরিকানদের তোপের মুখে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনকে মুসলিম আমেরিকানদের ভোট না দেওয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে জোরেশোরে। এমন পরিস্থিতিতে ইসলামভীতির বিরুদ্ধে লড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
গত বুধবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইসলামভীতি দূর করতে জাতীয় নীতি প্রণয়ন করা হবে। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের প্রেস সেক্রেটারি ও মুখপাত্র ক্যাথরিন জ্যঁ-পিয়েরে।
তিনি বলেন, ‘জাতির মূল্যবোধকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতেই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। সেই প্রচারাভিযানে তিনি বারবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে কারও বিরুদ্ধে ঘৃণার কোনো স্থান নেই। নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনেও এই নীতি তিনি মেনে চলেছেন।’
ক্যাথরিন জ্যঁ-পিয়েরে আরও বলেন, ‘বহু বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুসলিমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্য ও ঘৃণার শিকার হচ্ছেন। সম্প্রতি তার মাত্রা আরও বাড়ছে। মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধ পরিস্থিতিকে ঘিরে ইসলামভীতি ছড়িয়ে পড়ছে আমাদের দেশে। প্রেসিডেন্ট বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাড়তে থাকা ইসলামভীতি ঠেকাতে একটি একটি কার্যকর কৌশল প্রণয়ন করা জরুরি। সে জন্য যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম নেতাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। শিগগিরই তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রেসিডেন্ট।’
তিনি বলেন, ‘আজকের ঘোষণা হল তারই সর্বশেষ পদক্ষেপ। যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামভীতি, ইহুদি বিদ্বেষ এবং নানা ধরনের পক্ষপাতিত্ব ও বৈষম্য মোকাবিলার প্রচেষ্টা বৃদ্ধি এবং আরও ভালোভাবে সবকিছু সমন্বয় করার জন্য একটি আন্তঃসংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হবে।’
ইসলামভীতি দূর করার প্রচেষ্টা শুরু করা হবে, এমন প্রত্যাশা ছিল গত কয়েক মাস ধরেই। গত মে মাসে ইহুদি বিদ্বেষ মোকাবিলার জন্য একটি জাতীয় কৌশল প্রণয়ন করেছে ওয়াশিংটন। সে সময় মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা মোকাবিলার দিকটিও উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে গাজায় ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে ওয়াশিংটনের এই পরিকল্পনা গতি লাভ করে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধের প্রেক্ষিতে ৬ বছরের এক মুসলিম শিশুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা এবং সেই শিশুর মাকে আহত করার দায়ে ইলিনয়ের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
আরব আমেরিকান ইনস্টিটিউটের একটি জরিপ গত মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৯৭ সালে গবেষণা সংস্থাটি প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো দেখা গেছে যে, আরব আমেরিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ নিজেদের ডেমোক্র্যাট হিসেবে চিহ্নিত করেনি। ৩৭ শতাংশ ডেমোক্র্যাট, ৩২ শতাংশ রিপাবলিকান এবং ৩১ শতাংশ আমেরিকান মুসলিম বলেছেন, তারা নিরপেক্ষ।
এই জরিপে ৪০ শতাংশই বলেছে যে, তারা ২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দেবেন। ২০২০ সালে ট্রাম্পের পক্ষে এই ভোট ছিল ৫ শতাংশ কম। এই জরিপটিই প্রমাণ করে যে, দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে মুসলিম এবং আরব আমেরিকানদের সমর্থন দ্রুত হারাচ্ছেন জো বাইডেন।
পাকিস্তানে বসবাসরত অবৈধ বা অনথিভুক্ত আফগান নাগরিকদের দেশত্যাগে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পর বহু আফগান দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ এপ্রিলের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই চলতি মাসে ১৯ হাজার ৫০০ জনের বেশি আফগানকে পাকিস্তান থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইস্টার সানডে উপলক্ষে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন। রুশ টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১৩ ঘণ্টা আগেপারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গত এক দশক ধরে চলা উত্তেজনা নিরসনে এবার ইতালির রোমে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন ও তেহেরান। শনিবার (১৯ এপ্রিল) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কূটনৈতিক পর্যায়ের এই বৈঠক ব্যর্থ হলে ইরানে হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
১৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে চলমান নাগরিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির কারণে ভ্রমণের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লেভেল-৩ বা ত্রিস্তরীয় সতর্কবার্তা জারি করেছে। কোনো দেশে ভ্রমণের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন
১৫ ঘণ্টা আগে