আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে যে অপমান সহ্য করেছে, সেটা তারা এত সহজে ভুলবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন ইরানের ‘স্লিপার সেলের’ হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। গত রোববার ভোরে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালানোর পর এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।
স্লিপার সেল বলতে বোঝানো হয়, প্রতিপক্ষ দেশের ভেতরে গোপনে থাকা গুপ্তচর বা সন্ত্রাসীদের। যারা সাধারণ নাগরিকের ভেতর মিশে থাকে এবং নির্দিষ্ট সময় বা নির্দেশ পেলে সক্রিয় হয়। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কিছুটা কমে এলেও যুক্তরাষ্ট্র এখনো সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ট্রাম্পের আগের প্রশাসনগুলো সীমান্ত নিরাপত্তায় শিথিলতা দেখানোর সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইরান অনেক ‘স্লিপার সেল’ সদস্য যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকিয়েছে। এরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে সমাজে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে, বিভিন্ন অপরাধী চক্র বা ইরানি কমিউনিটির সঙ্গে যোগসূত্র গড়ে তোলে। এরপর তারা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে হামলা, বিশৃঙ্খলা তৈরি কিংবা অন্যান্য সহিংস কাজ চালানোর সুযোগ খোঁজে।
মঙ্গলবার ন্যাটো সম্মেলনে যাওয়ার পথে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিযোগ করেন, তাঁর পূর্বসূরি জো বাইডেন অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন, ফলে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ট্রাম্প বলেন, ‘বাইডেন প্রচুর সুপার সেল ঢুকতে দিয়েছে। অনেক ইরানি ঢুকেছে। তবে আমরা আশা করি, শিগগিরই তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ‘সুপার সেল’ বলতে তিনি মূলত ‘স্লিপার সেলের’ কথাই বোঝাতে চেয়েছেন।
নিউইয়র্ক পোস্টের হাতে আসা এক সরকারি নথি অনুযায়ী, বাইডেনের প্রেসিডেন্সির সময় ১ হাজার ৫০০—এর বেশি ইরানি নাগরিককে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার সময় ধরা হয়। তাদের অর্ধেককেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে।
এটা কেবল সরকারের জানা সংখ্যা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাইডেন প্রশাসনের সময় যারা সীমান্তে ধরা পড়েনি এমন মানুষের সংখ্যা সরকারি হিসাবে উল্লেখ করা সংখ্যার চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি। নিউইয়র্কের সাবেক হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কর্মকর্তা মাইকেল বালবোনি বলেন, ‘আমি যদি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে কোনো গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা হতাম এবং দেখতাম এভাবে সহজে লোকজন সীমান্ত পার হতে পারছে, তাহলে অবশ্যই সেখানে আমার গুপ্তচর পাঠাতাম।’
বালবোনি জানান, সাধারণত এ ধরনের গুপ্তচরেরা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ইরানি অধ্যুষিত এলাকায় গিয়ে মিশে যায়, চাকরি নেয় এবং তাদের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থায় তথ্য পাঠায়। তিনি আরও বলেন, ‘এরপরই আসে “গো সিগন্যাল”, অর্থাৎ হামলা বা নাশকতার নির্দেশ।’
যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারলে এই গুপ্তচররা অপরাধী চক্রের লোকজনকেও কাজে লাগায়। এদের মধ্যে অনেকেই সরাসরি তেহরানের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, কেবল টাকার বিনিময়ে কাজ করে। গত বছর মার্কিন বিচার বিভাগ অভিযোগ আনে, ইরানি নাগরিক ফারহাদ শাকেরি তেহরানের নির্দেশে ট্রাম্পকে হত্যার পরিকল্পনা করছিলেন। ২০২০ সালে ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবেই এই পরিকল্পনা করা হয়।
শাকেরি তাঁর জেল জীবনের অপরাধী নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে নিউইয়র্কের দুই অপরাধী কার্লাইল ‘পপ’ রিভেরা ও জনাথন লোডহোল্টকে ভাড়াটে খুনি হিসেবে নিয়োগের চেষ্টা করেন। ওই দুজনকে ব্রুকলিনে কোনো এক ব্যক্তিকে অপহরণ বা হত্যার বিনিময়ে ১ লাখ ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
২০১১ সালে ইরানি-মার্কিন নাগরিক মনসুর আরবাবসিয়ার বিরুদ্ধে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনের ক্যাফে মিলানোতে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে বোমা হামলায় হত্যার চেষ্টা করেন। এ জন্য তিনি ১৫ লাখ ডলার ঘুষ দিতে প্রস্তুত ছিলেন এবং বলেন, হামলায় যদি নিরীহ লোকজনও মারা যায়, তাতে তার কিছু আসে-যায় না। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার বসেরা ওই লোকটাকে শেষ করতে বলেছে। ওর সঙ্গে যদি আরও ১০০ জন মরে, তো মরুক।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ইরানি বংশোদ্ভূত অনেকেই হয়তো এখনো তেহরান সরকারের প্রতি আনুগত্য বোধ করেন। আবার অনেকের পরিবার ইরানে থাকায়, তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বা ব্ল্যাকমেল করে কাজে লাগানো হতে পারে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলা ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভও বিপথগামী তরুণদের সংগ্রহের সহজ মাধ্যম হতে পারে বলে মনে করেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের সাবেক কর্মকর্তা ও আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ গবেষক মাইকেল রুবিন। তিনি বলেন, ‘আমাদের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যখন আত্মঘৃণা আর আমেরিকা বিরোধিতা ফ্যাশনে পরিণত হয়, তখন সেটা গুপ্তচর বা সন্ত্রাসী সংগঠনের জন্য নিয়োগের আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে।’
রোববার যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ ইরানি হ্যাকারদের হামলার বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে। এরা কারও ব্যক্তিগত বা গোপন তথ্য হাতিয়ে নিয়ে ব্ল্যাকমেলের মাধ্যমে ইরানপন্থী কাজে বাধ্য করতে পারে। কোথায়, কখন, কীভাবে এই ‘স্লিপার সেল’ হামলা চালাতে পারে, তা স্পষ্ট নয়। তবে অতীতের নজির থেকে দেখা যায়, ইরান সাধারণত মার্কিন উসকানির পাল্টা জবাব দেয়।
২০২০ সালে ট্রাম্পের নির্দেশে কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পর, ইরান ট্রাম্প ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। এ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ১৪টি ‘বাংকার বাস্টার’ বোমা ফেলেছে। এর পাল্টা জবাবে ইরানও ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটির দিকে। তবে সেটাকে বেশির ভাগই ‘মৃদু’ প্রতিক্রিয়া বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা, যা বড় কোনো যুদ্ধ উসকে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়।
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশ্লেষক থমাস ওয়ারিক বলেন, ‘ইরানের প্রতিশোধের নিজস্ব এক অদ্ভুত ধারাবাহিকতা রয়েছে। আমি হলে, যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত হতাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইরান অতীতে অপরাধী গ্যাং ব্যবহার করে হত্যা বা নাশকতার চেষ্টা করেছে। ভবিষ্যতেও তারা একই কাজ করতে পারে।’
ইরান জানে, তারা সামরিক শক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারবে না। তাই তারা বিকল্প কৌশলে এগোচ্ছে, যেটা বেশ ভয়াবহ হতে পারে। ইউক্রেনের ‘অপারেশন স্পাইডার ওয়েব’—এর উদাহরণ দেন অনেকেই, যেখানে ড্রোন ব্যবহার করে রাশিয়ার ভেতরে ঢুকে তারা দেশটির এক-তৃতীয়াংশ বোমারু বিমান ধ্বংস করেছে।
রুবিন বলেন, ‘আমেরিকানরা বোকার মতো নিজেকে অরক্ষিত ভাবছে। তারা বুঝছে না, শত্রুরা আমাদের ভেতর ঢুকে পড়ছে। পরবর্তী যুদ্ধ শুরু হবে না কোনো আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বা পার্ল হারবার ধরনের হামলা দিয়ে। শুরু হবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেই স্লিপার সেলদের ড্রোন হামলা বা গুপ্তহত্যা দিয়ে।’
ইরানি স্লিপার সেলরা যদি যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালায়, তাহলে সেটি ট্রাম্প প্রশাসনের নিরাপত্তা দক্ষতার বড় পরীক্ষা হবে। কারণ ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভা গোয়েন্দা সংস্থা ও নিরাপত্তা বিভাগগুলোতে বড় ধরনের রদবদল করেছে। তবে অনেকে আশা করছেন, ট্রাম্পের প্রকাশ্য বক্তব্য স্লিপার সেলগুলোর মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করবে, আর তারা কোনো ভুল করলে, যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ধরতে পারবে।
এখনো কেউ নিশ্চিত নয়, ইরানি স্লিপার সেল কতটা গভীরভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে পড়েছে। তবে অনেকেই মনে করছেন, এটি নিঃসন্দেহে বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি। আর গত সপ্তাহান্তে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যে ১৫ টন বোমা পড়েছে, সেটি হয়তো তাদের ঘুম ভাঙানোর জন্য যথেষ্ট।

ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে যে অপমান সহ্য করেছে, সেটা তারা এত সহজে ভুলবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন ইরানের ‘স্লিপার সেলের’ হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। গত রোববার ভোরে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালানোর পর এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।
স্লিপার সেল বলতে বোঝানো হয়, প্রতিপক্ষ দেশের ভেতরে গোপনে থাকা গুপ্তচর বা সন্ত্রাসীদের। যারা সাধারণ নাগরিকের ভেতর মিশে থাকে এবং নির্দিষ্ট সময় বা নির্দেশ পেলে সক্রিয় হয়। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কিছুটা কমে এলেও যুক্তরাষ্ট্র এখনো সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ট্রাম্পের আগের প্রশাসনগুলো সীমান্ত নিরাপত্তায় শিথিলতা দেখানোর সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইরান অনেক ‘স্লিপার সেল’ সদস্য যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকিয়েছে। এরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে সমাজে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে, বিভিন্ন অপরাধী চক্র বা ইরানি কমিউনিটির সঙ্গে যোগসূত্র গড়ে তোলে। এরপর তারা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে হামলা, বিশৃঙ্খলা তৈরি কিংবা অন্যান্য সহিংস কাজ চালানোর সুযোগ খোঁজে।
মঙ্গলবার ন্যাটো সম্মেলনে যাওয়ার পথে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিযোগ করেন, তাঁর পূর্বসূরি জো বাইডেন অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন, ফলে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ট্রাম্প বলেন, ‘বাইডেন প্রচুর সুপার সেল ঢুকতে দিয়েছে। অনেক ইরানি ঢুকেছে। তবে আমরা আশা করি, শিগগিরই তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ‘সুপার সেল’ বলতে তিনি মূলত ‘স্লিপার সেলের’ কথাই বোঝাতে চেয়েছেন।
নিউইয়র্ক পোস্টের হাতে আসা এক সরকারি নথি অনুযায়ী, বাইডেনের প্রেসিডেন্সির সময় ১ হাজার ৫০০—এর বেশি ইরানি নাগরিককে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হওয়ার সময় ধরা হয়। তাদের অর্ধেককেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে।
এটা কেবল সরকারের জানা সংখ্যা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাইডেন প্রশাসনের সময় যারা সীমান্তে ধরা পড়েনি এমন মানুষের সংখ্যা সরকারি হিসাবে উল্লেখ করা সংখ্যার চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি। নিউইয়র্কের সাবেক হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কর্মকর্তা মাইকেল বালবোনি বলেন, ‘আমি যদি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে কোনো গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা হতাম এবং দেখতাম এভাবে সহজে লোকজন সীমান্ত পার হতে পারছে, তাহলে অবশ্যই সেখানে আমার গুপ্তচর পাঠাতাম।’
বালবোনি জানান, সাধারণত এ ধরনের গুপ্তচরেরা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ইরানি অধ্যুষিত এলাকায় গিয়ে মিশে যায়, চাকরি নেয় এবং তাদের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থায় তথ্য পাঠায়। তিনি আরও বলেন, ‘এরপরই আসে “গো সিগন্যাল”, অর্থাৎ হামলা বা নাশকতার নির্দেশ।’
যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারলে এই গুপ্তচররা অপরাধী চক্রের লোকজনকেও কাজে লাগায়। এদের মধ্যে অনেকেই সরাসরি তেহরানের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, কেবল টাকার বিনিময়ে কাজ করে। গত বছর মার্কিন বিচার বিভাগ অভিযোগ আনে, ইরানি নাগরিক ফারহাদ শাকেরি তেহরানের নির্দেশে ট্রাম্পকে হত্যার পরিকল্পনা করছিলেন। ২০২০ সালে ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবেই এই পরিকল্পনা করা হয়।
শাকেরি তাঁর জেল জীবনের অপরাধী নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে নিউইয়র্কের দুই অপরাধী কার্লাইল ‘পপ’ রিভেরা ও জনাথন লোডহোল্টকে ভাড়াটে খুনি হিসেবে নিয়োগের চেষ্টা করেন। ওই দুজনকে ব্রুকলিনে কোনো এক ব্যক্তিকে অপহরণ বা হত্যার বিনিময়ে ১ লাখ ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
২০১১ সালে ইরানি-মার্কিন নাগরিক মনসুর আরবাবসিয়ার বিরুদ্ধে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনের ক্যাফে মিলানোতে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে বোমা হামলায় হত্যার চেষ্টা করেন। এ জন্য তিনি ১৫ লাখ ডলার ঘুষ দিতে প্রস্তুত ছিলেন এবং বলেন, হামলায় যদি নিরীহ লোকজনও মারা যায়, তাতে তার কিছু আসে-যায় না। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার বসেরা ওই লোকটাকে শেষ করতে বলেছে। ওর সঙ্গে যদি আরও ১০০ জন মরে, তো মরুক।’
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ইরানি বংশোদ্ভূত অনেকেই হয়তো এখনো তেহরান সরকারের প্রতি আনুগত্য বোধ করেন। আবার অনেকের পরিবার ইরানে থাকায়, তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বা ব্ল্যাকমেল করে কাজে লাগানো হতে পারে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলা ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভও বিপথগামী তরুণদের সংগ্রহের সহজ মাধ্যম হতে পারে বলে মনে করেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের সাবেক কর্মকর্তা ও আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ গবেষক মাইকেল রুবিন। তিনি বলেন, ‘আমাদের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যখন আত্মঘৃণা আর আমেরিকা বিরোধিতা ফ্যাশনে পরিণত হয়, তখন সেটা গুপ্তচর বা সন্ত্রাসী সংগঠনের জন্য নিয়োগের আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে।’
রোববার যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ ইরানি হ্যাকারদের হামলার বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে। এরা কারও ব্যক্তিগত বা গোপন তথ্য হাতিয়ে নিয়ে ব্ল্যাকমেলের মাধ্যমে ইরানপন্থী কাজে বাধ্য করতে পারে। কোথায়, কখন, কীভাবে এই ‘স্লিপার সেল’ হামলা চালাতে পারে, তা স্পষ্ট নয়। তবে অতীতের নজির থেকে দেখা যায়, ইরান সাধারণত মার্কিন উসকানির পাল্টা জবাব দেয়।
২০২০ সালে ট্রাম্পের নির্দেশে কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পর, ইরান ট্রাম্প ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। এ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ১৪টি ‘বাংকার বাস্টার’ বোমা ফেলেছে। এর পাল্টা জবাবে ইরানও ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটির দিকে। তবে সেটাকে বেশির ভাগই ‘মৃদু’ প্রতিক্রিয়া বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা, যা বড় কোনো যুদ্ধ উসকে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়।
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশ্লেষক থমাস ওয়ারিক বলেন, ‘ইরানের প্রতিশোধের নিজস্ব এক অদ্ভুত ধারাবাহিকতা রয়েছে। আমি হলে, যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত হতাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইরান অতীতে অপরাধী গ্যাং ব্যবহার করে হত্যা বা নাশকতার চেষ্টা করেছে। ভবিষ্যতেও তারা একই কাজ করতে পারে।’
ইরান জানে, তারা সামরিক শক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারবে না। তাই তারা বিকল্প কৌশলে এগোচ্ছে, যেটা বেশ ভয়াবহ হতে পারে। ইউক্রেনের ‘অপারেশন স্পাইডার ওয়েব’—এর উদাহরণ দেন অনেকেই, যেখানে ড্রোন ব্যবহার করে রাশিয়ার ভেতরে ঢুকে তারা দেশটির এক-তৃতীয়াংশ বোমারু বিমান ধ্বংস করেছে।
রুবিন বলেন, ‘আমেরিকানরা বোকার মতো নিজেকে অরক্ষিত ভাবছে। তারা বুঝছে না, শত্রুরা আমাদের ভেতর ঢুকে পড়ছে। পরবর্তী যুদ্ধ শুরু হবে না কোনো আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বা পার্ল হারবার ধরনের হামলা দিয়ে। শুরু হবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেই স্লিপার সেলদের ড্রোন হামলা বা গুপ্তহত্যা দিয়ে।’
ইরানি স্লিপার সেলরা যদি যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালায়, তাহলে সেটি ট্রাম্প প্রশাসনের নিরাপত্তা দক্ষতার বড় পরীক্ষা হবে। কারণ ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভা গোয়েন্দা সংস্থা ও নিরাপত্তা বিভাগগুলোতে বড় ধরনের রদবদল করেছে। তবে অনেকে আশা করছেন, ট্রাম্পের প্রকাশ্য বক্তব্য স্লিপার সেলগুলোর মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করবে, আর তারা কোনো ভুল করলে, যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ধরতে পারবে।
এখনো কেউ নিশ্চিত নয়, ইরানি স্লিপার সেল কতটা গভীরভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে পড়েছে। তবে অনেকেই মনে করছেন, এটি নিঃসন্দেহে বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি। আর গত সপ্তাহান্তে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যে ১৫ টন বোমা পড়েছে, সেটি হয়তো তাদের ঘুম ভাঙানোর জন্য যথেষ্ট।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৭ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৭ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৮ ঘণ্টা আগেএএফপি, কায়রো

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে যে অপমান সহ্য করেছে, সেটা তারা এত সহজে ভুলবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন ইরানের ‘স্লিপার সেলের’ হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। গত রোববার ভোরে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের
২৭ জুন ২০২৫
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৭ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৭ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে যে অপমান সহ্য করেছে, সেটা তারা এত সহজে ভুলবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন ইরানের ‘স্লিপার সেলের’ হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। গত রোববার ভোরে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের
২৭ জুন ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৭ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে যে অপমান সহ্য করেছে, সেটা তারা এত সহজে ভুলবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন ইরানের ‘স্লিপার সেলের’ হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। গত রোববার ভোরে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের
২৭ জুন ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৭ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে যে অপমান সহ্য করেছে, সেটা তারা এত সহজে ভুলবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন ইরানের ‘স্লিপার সেলের’ হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। গত রোববার ভোরে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের
২৭ জুন ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৭ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৭ ঘণ্টা আগে