Ajker Patrika

ডেমোক্র্যাটদের হিসাবে ভুল হলো যেখানে

অনলাইন ডেস্ক    
Thumbnail image
কমলা হ্যারিস। ছবি: সংগৃহীত

২০১৬ সালের মতোই দাপট নিয়ে ফিরে এলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে কমলা হ্যারিসের দলের মধ্যে যে উৎসাহের জোয়ার দেখা গেছে তার মধ্যে যে বড় ফাঁক ছিল, সেটা ফলাফল দিয়েই প্রমাণিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, মাঠ পর্যায়ের প্রচারণা নিয়েও তাঁদের অনুমানও ছিল অতিরঞ্জিত।

নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত ‘দিন বদলের’ পক্ষের প্রার্থীর যে জয় হয়, তা ধ্রুপদী সত্য। এবারও তাই ঘটল। ডেমোক্র্যাটরা সবসময়ই ভোটারদের অসন্তোষকে বিরাজমান পরিস্থিতি দিয়েই মোকাবেলা করতে চেয়েছে। ‘দেশকে সঠিক পথে আনার’ প্রচারণা চালাতে তাঁরা ব্যর্থ হয়েছে। তাই, তাঁরা মানুষকে ‘জানাশোনা মন্দকেই’ বেছে নিতে বলেছে। এবং তা যে দিন বদলের বার্তার চেয়ে দুর্বল, সেটা প্রমাণিত হয়েছে। বরাবরই তা-ই হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতির ফসল ভালোভাবেই ঘরে তুলল রিপাবলিকানরা। এর অর্থ হলো- পপুলার ভোটে ডেমোক্র্যাটরা এগিয়ে থাকলেও রিপাবলিকান দলই বিজয়ী হত। সেটাই ঘটেছে।

পপুলার ভোটে যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে তা জরিপেই বোঝা যাচ্ছিল। তার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য নর্থ ক্যারোলাইনা ও জর্জিয়ায় ট্রাম্পের বিজয় ধরাই ছিল। এর ফলে কমলা হ্যারিসকে শুধু তিন সুইং স্টেট পেনসিলভানিয়া, মিশিগান ও উইসকন্সিনের উপর ভরসা করতে হয়েছিল। কিন্তু সর্বশেষ ভোট গণনায় এসব অঙ্গরাজ্যেও ট্রাম্পের জয় সুনিশ্চিত।

নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ডেমোক্র্যাটরা বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছিল। কিন্তু কেন? টাইমস অব লন্ডনের সহযোগী সম্পাদক ও ব্রিটিশ আইনপ্রণেতা ড্যানিয়েল ফিঙ্কলস্টেইনের মতে, এর দুটি কারণ আছে। প্রথমত, ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান ভোটারদের মধ্যে উদ্দীপনার ব্যবধান ছিল।

টাইমসে এক নিবন্ধে তিনি লেখেন, বিশেষত ডেমোক্র্যাটরা মনে করেছিল, নারী ভোটাররা গর্ভপাতের অধিকারে কড়াকড়ির আইনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে এবং ট্রাম্পের ‘মাচো’ বা ‘ব্যাটাগিরি’ চরিত্রায়নকে পছন্দ করবেন না।

ড্যানিয়েল ফিঙ্কলস্টেইন বলেন, পর্যালোচনার জন্য সামনে অনেক সময় মিলবে। তবে প্রাথমিক পরিস্থিতি দেখে বলা যায়, নারীদের উদ্দীপনায় কমলার যে বিশ্বাস ছিল, তা বাস্তবে ঘটেনি। ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনের সময়ও এমনটিই ঘটেছিল।

অন্য যে বিষয়টি নিয়ে তারা খুব আশাবাদী ছিলেন, তা হলো- মাঠ পর্যায়ে তাদের ‘উন্নততর’ প্রচারণা (ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চাওয়া) নির্বাচনে নির্ধারক প্রমাণিত হবে। হতে পারে তারা নিজেদের সুবিধা নিয়ে অনুমানে বাড়াবাড়ি করে ফেলেছিল। অথবা এমনও হতে পারে বিষয়টি আদৌ কার্যকর কৌশল কিনা তা নিয়েই তাঁরা হিসাবে বড় ভুল করে ফেলেছিল।

তবে বিষয় যাই হোক, এখন শ্যাম্পেনের সময়। সেজন্য সবাই ট্রাম্প শিবিরেই ছুটবে। ডেমোক্র্যাট সদর দপ্তরমুখী হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত