গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথাগত প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কে বাজে পারফরম্যান্স করেন ৮১ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ কারণে ডেমোক্রেটিক দলের মধ্যে বাইডেনের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। অনেক ডেমোক্রেটিক নেতা ও দাতারা তাঁকে আসন্ন নভেম্বরের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বানও জানিয়েছেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাইডেনের বিকল্প ভাবা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে। এই গুঞ্জন শুরু হতেই হ্যারিসকে রাজনৈতিক আক্রমণ করা শুরু করেছেন ট্রাম্পের কর্মী-সমর্থকেরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় রিপাবলিকানরা হ্যারিসকে সর্বাত্মক উপায়ে আক্রমণ করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া গত ৪৮ ঘণ্টায় ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা সভায় বিভিন্ন নেতার বক্তব্যেও একই চিত্র দেখা গেছে।
যদিও বাইডেন জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি ৫ নভেম্বরের নির্বাচনের চার মাস আগে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন না। তা ছাড়া হ্যারিসও দৃঢ়ভাবে বাইডেনকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। তাই এখন হ্যারিসকে আক্রমণ করে ট্রাম্পের হারানোর কিছু নেই। এই আক্রমণ লীলা শেষে হ্যারিস প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হলে যাতে মার্কিন জনগণের মাঝে তাঁর জনপ্রিয়তা দুর্বল অবস্থায় থাকে সেই ভবিষ্যৎ ভেবেই রিপাবলিকানরা এমনটি করছেন বলে বিশ্লেষকদের মতো।
বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রিপাবলিকানরা ৫৯ বছর বয়সী হ্যারিসের সমালোচনা করে আসছেন। তবে এই সপ্তাহের আক্রমণগুলো বেশ চরম পর্যায়ের এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। আর সেই উদ্দেশ্য বাইডেনের স্থলে হ্যারিসের উত্থান বইকি।
জাতীয় রিপাবলিকান কংগ্রেসনাল কমিটি হ্যারিসকে বাইডেনের ‘প্রধান সক্ষমক’ বলে অভিহিত করেছে।
ট্রাম্পকে সমর্থনকারী একটি তহবিল সংগ্রহকারী ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ বা মাগা ইনকরপোরেশন এরই মধ্যে হ্যারিসকে ‘ইনভ্যাশন জার’ আখ্যা দিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। ২০২১ সালের মার্চে বাইডেন বলেছিলেন, হ্যারিস অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলায় মেক্সিকো এবং মধ্য আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করবেন। কিন্তু বাস্তবে হ্যারিস দায়িত্ব পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে মেক্সিকো ও অন্যান্য লাতিন আমেরিকার দেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ অনেক গুণ বেড়ে যায়। তখন থেকেই রিপালিকানরা হ্যারিসকে অনুপ্রবেশকারীদের জার বা মদদদাতা বলে আখ্যা দিয়ে আসছে।
ট্রাম্পের প্রচারণা পরিষদের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, ‘কমলা হ্যারিস অযোগ্য। তিনি ইতিহাসের সবচেয়ে দুর্বল ও খারাপ ভাইস প্রেসিডেন্ট। এটি এরই মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে এবং তিনি গত চার বছরে জো বাইডেনের নেওয়া প্রতিটি বিপর্যয়মূলক নীতিতে শতভাগ সমর্থন দিয়েছেন।’
হ্যারিসের প্রচারণার মুখপাত্র রায়ান লেক বলেছেন, ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস আসন্ন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গী হতে পেরে গর্বিত। ট্রাম্প এবং তাঁর চরম মিত্ররা যতই মিথ্যা আক্রমণ করুক না কেন—তিনি বাইডেন-হ্যারিস সম্প্রীতি রক্ষা এবং ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা চালিয়ে যাবেন।’
ট্রাম্প শিবির এখন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখছে হ্যারিসকে। এই কৌশলেই এবারের প্রাইমারিতে ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিসকে হারিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের উপদেষ্টা কোরি লেভানডভস্কি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হ্যারিস রাজনৈতিকভাবে দুর্বল। সেটি তাঁর অভিবাসন মোকাবিলায় স্পষ্ট হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়ও রয়েছে। সেসব নিয়ে রিপাবলিকান পার্টি বিস্তর গবেষণা করেছে।
তিনি বলেন, ‘যদি জো বাইডেনের হাতেই শেষমেশ নির্বাচনের টিকিট থাকলেও হ্যারিসের গুরুত্ব কমবে না। কিন্তু যদি বাইডেন সরে যান, তখন হ্যারিসই সম্ভাব্য প্রার্থী। এটুকুই বলার।’ জনমত জরিপে হ্যারিসের রেটিং অনেক কম বলেও জানিয়েছেন এই রিপাবলিকান মুখপাত্র।
তবে হ্যারিসের রেটিং কম থাকা সত্ত্বেও এই সপ্তাহের শুরুতে রয়টার্স/ইপসোসের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ট্রাম্পের সামনে হ্যারিস বাইডেনের মতোই শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী। সেখানে ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৩ শতাংশ সমর্থন ও হ্যারিস পেয়েছেন ৪২ শতাংশ।
গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথাগত প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কে বাজে পারফরম্যান্স করেন ৮১ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ কারণে ডেমোক্রেটিক দলের মধ্যে বাইডেনের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। অনেক ডেমোক্রেটিক নেতা ও দাতারা তাঁকে আসন্ন নভেম্বরের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বানও জানিয়েছেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাইডেনের বিকল্প ভাবা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে। এই গুঞ্জন শুরু হতেই হ্যারিসকে রাজনৈতিক আক্রমণ করা শুরু করেছেন ট্রাম্পের কর্মী-সমর্থকেরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় রিপাবলিকানরা হ্যারিসকে সর্বাত্মক উপায়ে আক্রমণ করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া গত ৪৮ ঘণ্টায় ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা সভায় বিভিন্ন নেতার বক্তব্যেও একই চিত্র দেখা গেছে।
যদিও বাইডেন জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি ৫ নভেম্বরের নির্বাচনের চার মাস আগে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন না। তা ছাড়া হ্যারিসও দৃঢ়ভাবে বাইডেনকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। তাই এখন হ্যারিসকে আক্রমণ করে ট্রাম্পের হারানোর কিছু নেই। এই আক্রমণ লীলা শেষে হ্যারিস প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হলে যাতে মার্কিন জনগণের মাঝে তাঁর জনপ্রিয়তা দুর্বল অবস্থায় থাকে সেই ভবিষ্যৎ ভেবেই রিপাবলিকানরা এমনটি করছেন বলে বিশ্লেষকদের মতো।
বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রিপাবলিকানরা ৫৯ বছর বয়সী হ্যারিসের সমালোচনা করে আসছেন। তবে এই সপ্তাহের আক্রমণগুলো বেশ চরম পর্যায়ের এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। আর সেই উদ্দেশ্য বাইডেনের স্থলে হ্যারিসের উত্থান বইকি।
জাতীয় রিপাবলিকান কংগ্রেসনাল কমিটি হ্যারিসকে বাইডেনের ‘প্রধান সক্ষমক’ বলে অভিহিত করেছে।
ট্রাম্পকে সমর্থনকারী একটি তহবিল সংগ্রহকারী ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ বা মাগা ইনকরপোরেশন এরই মধ্যে হ্যারিসকে ‘ইনভ্যাশন জার’ আখ্যা দিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। ২০২১ সালের মার্চে বাইডেন বলেছিলেন, হ্যারিস অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলায় মেক্সিকো এবং মধ্য আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করবেন। কিন্তু বাস্তবে হ্যারিস দায়িত্ব পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে মেক্সিকো ও অন্যান্য লাতিন আমেরিকার দেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ অনেক গুণ বেড়ে যায়। তখন থেকেই রিপালিকানরা হ্যারিসকে অনুপ্রবেশকারীদের জার বা মদদদাতা বলে আখ্যা দিয়ে আসছে।
ট্রাম্পের প্রচারণা পরিষদের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, ‘কমলা হ্যারিস অযোগ্য। তিনি ইতিহাসের সবচেয়ে দুর্বল ও খারাপ ভাইস প্রেসিডেন্ট। এটি এরই মধ্যে প্রমাণিত হয়েছে এবং তিনি গত চার বছরে জো বাইডেনের নেওয়া প্রতিটি বিপর্যয়মূলক নীতিতে শতভাগ সমর্থন দিয়েছেন।’
হ্যারিসের প্রচারণার মুখপাত্র রায়ান লেক বলেছেন, ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস আসন্ন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গী হতে পেরে গর্বিত। ট্রাম্প এবং তাঁর চরম মিত্ররা যতই মিথ্যা আক্রমণ করুক না কেন—তিনি বাইডেন-হ্যারিস সম্প্রীতি রক্ষা এবং ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা চালিয়ে যাবেন।’
ট্রাম্প শিবির এখন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখছে হ্যারিসকে। এই কৌশলেই এবারের প্রাইমারিতে ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিসকে হারিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের উপদেষ্টা কোরি লেভানডভস্কি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হ্যারিস রাজনৈতিকভাবে দুর্বল। সেটি তাঁর অভিবাসন মোকাবিলায় স্পষ্ট হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়ও রয়েছে। সেসব নিয়ে রিপাবলিকান পার্টি বিস্তর গবেষণা করেছে।
তিনি বলেন, ‘যদি জো বাইডেনের হাতেই শেষমেশ নির্বাচনের টিকিট থাকলেও হ্যারিসের গুরুত্ব কমবে না। কিন্তু যদি বাইডেন সরে যান, তখন হ্যারিসই সম্ভাব্য প্রার্থী। এটুকুই বলার।’ জনমত জরিপে হ্যারিসের রেটিং অনেক কম বলেও জানিয়েছেন এই রিপাবলিকান মুখপাত্র।
তবে হ্যারিসের রেটিং কম থাকা সত্ত্বেও এই সপ্তাহের শুরুতে রয়টার্স/ইপসোসের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ট্রাম্পের সামনে হ্যারিস বাইডেনের মতোই শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী। সেখানে ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৩ শতাংশ সমর্থন ও হ্যারিস পেয়েছেন ৪২ শতাংশ।
মূলত তিনি ইতালির নাগরিক। তবে তাঁর জন্মের আগেই ফ্যাসিবাদের নিপীড়ন থেকে বাঁচতে আর্জেন্টিনায় পালিয়ে আসেন তাঁর বাবা-মা। পরে সেখানে থাকতেই জন্ম হয় মারিওর। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে মারিওই ছিলেন সবার বড়। তরুণ বয়সে নিজের ও পরিবারের দায়িত্ব ঘাড়ে এসে পড়ায় তিনি ঝাড়ুদার-নাইটক্লাবে নিরাপত্তাকর্মীর...
৩১ মিনিট আগেক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন। ৮৮ বছর বয়সে ভ্যাটিকানের কাসা সান্তা মার্তায় নিজ বাসভবনে আজ সোমবার মারা যান তিনি। ভ্যাটিকানের বিবৃতির বরাত দিয়ে এই মৃত্যু সংবাদ জানিয়েছে বিবিসি।
২ ঘণ্টা আগেভেনেজুয়েলার কারাগারে আটক রাজনৈতিক বন্দীদের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিত ২৫২ ভেনেজুয়েলান বন্দীকে প্রত্যর্পণের প্রস্তাব দিয়েছে এল সালভাদর। গতকাল রোববার সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এ প্রস্তাব দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলে।
৩ ঘণ্টা আগেগাজায় ১৫ জন জরুরি ত্রাণকর্মী এবং চিকিৎসকের মৃত্যুর জন্য কিছু সদস্যের পেশাগত ব্যর্থতাকে দায়ী করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আইডিএফ। এতগুলো মানুষের জীবন শেষ করার পেছনে তাদের সাফাই—কমান্ড সংক্রান্ত ভুল বোঝাবুঝি এবং কিছু সেনার আদেশ লঙ্ঘনের কারণে এমন ঘটেছে। তবে, হামলায় নিহতদের মধ্যে ৬ জন হামাস সদস্য বলেও
৩ ঘণ্টা আগে