Ajker Patrika

‘ওয়াশিংটন ডিসি সবচেয়ে অনিরাপদ শহর’—ট্রাম্পের মন্তব্যে জেলেনস্কির প্রতিক্রিয়া ভাইরাল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২৫, ২৩: ০২
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতায় ফিরে আসার আগে ওয়াশিংটন ডিসি ছিল ‘সবচেয়ে অনিরাপদ শহর’—যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন মন্তব্য হতবাক করেছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে; যা ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের দিনকয়েক পর ওভাল অফিসে এক বৈঠকে ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে বলেন, ‘আমরা সবচেয়ে অনিরাপদ জায়গা থেকে এমন এক জায়গায় এসেছি, যেখানে এখন দেশের মানুষ ও আমার বন্ধুরা আমাকে ফোন করছে; ডেমোক্র্যাটরাও আমাকে ফোন করে বলছে, “স্যার, আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি আর আমার স্ত্রী চার বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো গতকাল রাতে বাইরে খেতে গিয়েছিলাম। ওয়াশিংটন ডিসি এখন নিরাপদ।”’

ট্রাম্পের এ কথাগুলো শুনে জেলেনস্কি বিস্মিত হন বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট আরও অবাক হন, যখন ট্রাম্প তাঁর এক বন্ধুর ছেলের কথা বলেন, যিনি পেশাদার গলফার। ট্রাম্প দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরে ওয়াশিংটন ডিসিতে বাইরে খেতে যেতে পারছিলেন না তাঁর এই বন্ধুর ছেলে। এখন তিনি নিশ্চিন্তে রেস্টুরেন্টে যেতে পারছেন।

রাজধানী শহরে এ পরিবর্তনের কৃতিত্ব নিজের বলে দাবি করেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমার আরও এক বন্ধু আছে। তার ছেলে একজন দুর্দান্ত গলফার। সে ট্যুরে আছে এবং গতকাল বড় টুর্নামেন্টে চতুর্থ স্থান পেয়েছে, যেখানে স্কটি শেফলার একটি অসাধারণ শট মেরেছিল। আমার বন্ধুটি বলল, তার ছেলে আজ রাতে ওয়াশিংটন ডিসিতে খেতে যাচ্ছে।’

৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প বলেন, ‘বন্ধুর ছেলে তার বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিল, এক বছর আগে হলে কি বাইরে ডিনারে যেতে দিতেন?” সে বলেছিল, “কখনোই না।” তারপর সে আমাকে বলে, “তুমি যা করেছ, তা অবিশ্বাস্য। মানুষ এখন তা বুঝতে পারছে।’”

বৈঠকে ট্রাম্প সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে অভিযোগ করেন, তাঁকে একনায়ক হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে।

ট্রাম্প বলেন, ‘না, আমি যা চাই, তা হলো, জনগণের নিরাপত্তা। যারা গত দুই বছর ওয়াশিংটন ডিসিতে বাইরে রাতের খাবার খেতে পারেনি, তারা এখন রেস্টুরেন্টে যাচ্ছে। গত দুই দিনে রেস্টুরেন্টগুলো অনেক দিন পর এত ভিড় দেখেছে।’

অপরাধ দমনে কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসি সফর করেন ট্রাম্প। তিনি জানান, শহরে সেনা ও পুলিশ কিছুদিন অবস্থান করবে।

রিপাবলিকান এ নেতা বলেন, ‘আমরা এ শহরকে নিরাপদ করে তুলব। তারপর অন্য জায়গাগুলোতে যাব। তবে আপাতত আমরা (সেনা ও পুলিশ) এখানে কিছুদিন থাকব। আমরা চাই, বিষয়টি পুরোপুরি নিখুঁত হোক।’

এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠকের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছেন তিনি, যাতে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের অবসান ঘটানো যায়।

ট্রাম্প জানান, হোয়াইট হাউসে ইউরোপীয় নেতা ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে খুব ভালো বৈঠকের পর পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি।

নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেন, ‘বৈঠকগুলো শেষে আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলি এবং পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে একটি বৈঠকের ব্যবস্থা শুরু করি, যার স্থান পরে নির্ধারণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত