Ajker Patrika

হোয়াইট হাউস নিয়ে ৮ তথ্য

আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৫: ২৩
মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন এবং অফিস দুটিই হোয়াইট হাউস। ছবি: ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স
মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন এবং অফিস দুটিই হোয়াইট হাউস। ছবি: ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অর্থাৎ আবারও তাঁর ঠিকানা হতে যাচ্ছে হোয়াইট হাউসে। এই সুযোগে চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক হোয়াইট হাউস সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য—যা না জানলেই নয়।

জর্জ ওয়াশিংটন হোয়াইট হাউসের চূড়ান্ত নকশা অনুমোদন করলেও এখানে থাকার সুযোগ হয়নি তাঁর। ছবি: উইকিপিডিয়া
জর্জ ওয়াশিংটন হোয়াইট হাউসের চূড়ান্ত নকশা অনুমোদন করলেও এখানে থাকার সুযোগ হয়নি তাঁর। ছবি: উইকিপিডিয়া

হোয়াইট হাউসে থাকেননি জর্জ ওয়াশিংটন

১৭৯১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন যে জায়গায় হোয়াইট হাউস তৈরি হবে সেটি নির্বাচনের পাশাপাশি এর চূড়ান্ত নকশা অনুমোদন করেন। ১৭৯২ সালের ১৩ অক্টোবর ভবনটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয় এবং শুরু হয় নির্মাণকাজ। তবে জর্জ ওয়াশিংটন, যার প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদ শেষ হয় ১৭৯৭ সালে এবং মারা যান ১৭৯৯ সালে, কখনো এখানে বসবাসের সুযোগ পাননি। প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে জন অ্যাডামস ভবনটিতে বাস করা শুরু করেন ১৭৮০ সালে। অথচ মজার ঘটনা হোয়াইট হাউস যে শহরে অবস্থিত তার নামই জর্জ ওয়াশিংটনের নামে।

ফিলাডেলফিয়া শহর কর্তৃপক্ষ তার নিজস্ব ভবন তৈরি করেছিল প্রেসিডেন্টের জন্য।  ছবি: উইকিপিডিয়া
ফিলাডেলফিয়া শহর কর্তৃপক্ষ তার নিজস্ব ভবন তৈরি করেছিল প্রেসিডেন্টের জন্য। ছবি: উইকিপিডিয়া

হোয়াইট হাউসের নিজেদের সংস্করণ তৈরি করে আরেকটি শহরে

নতুন শহর ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদোপম দালানটি তৈরি হবে এতে মোটেই খুশি ছিল না ফিলাডেলফিয়া। ১৭৯০-র দশকে জর্জ ওয়াশিংটন এবং অন্যদের ফিলাডেলফিয়াতে থাকার জন্য প্রলুব্ধ করার উপায় হিসেবে শহরটি তার নিজস্ব প্রাসাদ তৈরি করেছিল প্রেসিডেন্টের জন্য। তখন অস্থায়ী রাজধানী ছিল শহরটি। তবে ওয়াশিংটন সেখানে থাকতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ফিলাডেলফিয়ার অন্য জায়গায় থাকেন।

১৯০১ সালের আগে পর্যন্ত হোয়াইট হাউস তার নাম পায়নি। ।  ছবি: উইকিপিডিয়া
১৯০১ সালের আগে পর্যন্ত হোয়াইট হাউস তার নাম পায়নি। । ছবি: উইকিপিডিয়া

১৯০১ সালের আগে পর্যন্ত হোয়াইট হাউস তার নাম পায়নি

১৮০০ সাল থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের অফিশিয়াল বাসভবন এটি। তবে ১৯০১ সালে থিয়োডর রুজভেল্ট ভবনটির এই নাম ব্যবহার করার আগে হোয়াইট হাউস নাম পায়নি এটি সরকারিভাবে। এর আগে ‘দ্য প্রেসিডেন্টস হাউস’ বা ‘দ্য প্রেসিডেন্টস ম্যানশন’ নামে পরিচিত ছিল।

কেউ কেউ দাবি করেন, নামটি ১৮১৪ সালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরে আলোচনায় আসে, যখন ধোঁয়ায় দাগযুক্ত দেয়ালগুলোতে সাদা রং করা হয়। যদিও ঐতিহাসিকেরা বলছেন যে এই দাবি ভিত্তিহীন।

১৮১৪ সালে ব্রিটিশরা আসল হোয়াইট হাউস পুড়িয়ে দেয়। ছবি: হোয়াইট হাউস হিস্টরিকেল অ্যাসোসিয়েশন
১৮১৪ সালে ব্রিটিশরা আসল হোয়াইট হাউস পুড়িয়ে দেয়। ছবি: হোয়াইট হাউস হিস্টরিকেল অ্যাসোসিয়েশন

মূল হোয়াইট হাউসের সামান্যই অবশিষ্ট আছে

১৮১৪ সালে মার্কিন বাহিনী কানাডার পার্লামেন্টে আগুন দেওয়ার পর ব্রিটিশরা আসল হোয়াইট হাউস পুড়িয়ে দেয়। তবে জর্জ ওয়াশিংটনের বিখ্যাত গিলবার্ট স্টুয়ার্ট পেইন্টিং সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়। এ ছাড়া বাইরের কিছু পাথরের দেয়ালই কেবল আগুন থেকে বেঁচে গিয়েছিল।

হোয়াইট হাউস সংস্কারের জন্য প্রয়োজন হয়  ৫৭০ গ্যালন রং। ছবি: সংগৃহীত
হোয়াইট হাউস সংস্কারের জন্য প্রয়োজন হয় ৫৭০ গ্যালন রং। ছবি: সংগৃহীত

তিন টন রং

অন্য যেকোনো ঐতিহাসিক ভবনের মতোই, হোয়াইট হাউসকে নতুনের মতো ঝকঝকে দেখাতে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন। তবে গোটা ভবনটির জন্য যে পরিমাণ রং লাগে, তা চমকে দেবে যে কাউকে। পরিমাণটি ৫৭০ গ্যালন বা তিন টন। শুধু বাসভবনের অংশ রং করতে প্রয়োজন হয় ৩০০ গ্যালন রং।

ওপর থেকে দেখা হোয়াইট হাউস। ছবি: উইকিপিডিয়া
ওপর থেকে দেখা হোয়াইট হাউস। ছবি: উইকিপিডিয়া

এত্ত বড়!

হোয়াইট হাউস বিশাল একটি দালান, তাতে কারও সন্দেহ থাকার কথা নয়। কিন্তু কতটা বড়? ছয় স্তরে এতে ১৩২টি কামরা এবং ৩২টি বাথরুম আছে। এ ছাড়া দরজা আছে ৪১২টি, জানালা ১৪৭টি, ফায়ারপ্লেস ২৮টি। সিঁড়ি আছে আটটি, এলিভেটর তিনটি।

হোয়াইট হাউস ১৬৮ ফুট লম্বা এবং ৮৫ ফুট চওড়া। দক্ষিণ অংশের উচ্চতা ৭০ ফুট এবং উত্তর অংশের উচ্চতা ৬০ ফুট ৪ ইঞ্চি। ভবনটি এবং এর এলাকা ছড়িয়েছে ১৮ একর জায়গা নিয়ে।

ট্রুম্যান হোয়াইট হাউসের একটি ব্যাপক সংস্কার এবং পুনরুদ্ধার প্রকল্পের নেতৃত্ব দেন। ছবি: সংগৃহীত
ট্রুম্যান হোয়াইট হাউসের একটি ব্যাপক সংস্কার এবং পুনরুদ্ধার প্রকল্পের নেতৃত্ব দেন। ছবি: সংগৃহীত

বিদায় ঘণ্টা বেজেছিল

১৯৪৮ সালে ব্যবহারের অযোগ্য বলে ঘোষণার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল হোয়াইট হাউস। তখন প্রকৌশলীরা আবিষ্কার করেছিলেন যে এটি কাঠামোগতভাবে ভালো অবস্থায় নেই এবং ধসে পড়ার কাছাকাছি অবস্থায় আছে। প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস ট্রুম্যান হোয়াইট হাউস থেকে বের হয়ে ব্লেয়ার হাউসে বসবাস করতে বাধ্য হন।

ট্রুম্যান তখন হোয়াইট হাউসের একটি ব্যাপক সংস্কার এবং পুনরুদ্ধার প্রকল্পের নেতৃত্ব দেন, যা ১৯৫২ সালে সম্পন্ন হয়েছিল।

ভূত রাষ্ট্রপতি আব্রাহাম লিংকন। ছবি: উইকিপিডিয়া
ভূত রাষ্ট্রপতি আব্রাহাম লিংকন। ছবি: উইকিপিডিয়া

হোয়াইট হাউস কি ভুতুড়ে

অসংখ্য প্রেসিডেন্ট, ফার্স্ট লেডি, কর্মচারী এবং অতিথি ঐতিহাসিক ভবনটির বিভিন্ন কামরায় ভূত দেখার কথা বলেছেন। অ্যাবিগেল অ্যাডামসের ভূতকে ইস্ট রুমের দিকে যেতে দেখা গেছে, যেখানে তিনি তাঁর কাপড় ঝুলিয়ে রাখতেন। ভবনটির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভূত আব্রাহাম লিংকন। কুলিজ, জনসন ও রুজভেল্ট প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় তাঁদের স্ত্রী লিংকনের ভূত দেখার দাবি করেন। এমনকি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হোয়াইট হাউসে থাকার সময় লিংকনের ভূত দেখার কথা জানিয়েছিলেন।

রিডার্স ডাইজেস্ট ও কনস্টিটিউশন সেন্টার ডট ওরগ অবলম্বনে ইশতিয়াক হাসান

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দীপাবলিতে ভারতীয়দের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশি হাইকমিশনের ভিডিও প্রকাশ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভিডিও থেকে নেওয়া
ভিডিও থেকে নেওয়া

কালীপূজা ও দীপাবলি উপলক্ষে ভারতীয়দের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ। গতকাল রোববার (১৯ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অ্যানিমেশন ভিডিও শেয়ার করে এ শুভেচ্ছা জানান।

ভিডিওটি শেয়ার করে রিয়াজ হামিদুল্লাহ লেখেন, ‘আমি এটি শেয়ার করছি কারণ এটি বাংলাদেশে দীর্ঘদিনের লালিত মূল্যবোধের পাশাপাশি সংস্কৃতিগত বহুত্ববাদ ও সহনশীলতার প্রতিফলন ঘটায়। একই সঙ্গে এটি বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধনকেও তুলে ধরে।’

প্রকাশিত অ্যানিমেশন ভিডিওটিতে দেখা যায় ভাইফোঁটা, কালীপূজা ও দীপাবলির প্রতীক হিসেবে প্রদীপ জ্বালানোর দৃশ্য।

ভিডিওটির সঙ্গে সংযুক্ত লেখায় বলা হয়েছে, ‘বাংলা কার্তিক মাসের অমাবস্যার রাতে বাংলাদেশজুড়ে হাজারো প্রদীপ জ্বলে ওঠে—যেন দেবী কালী মুণ্ডমালিনীর ত্রিনয়নের অগ্নিতেজে অন্ধকার ভেদ করে অসংখ্য তারা জেগে উঠছে। মায়ের আহ্বানের মন্ত্রধ্বনিতে নদীমাতৃক এই ভূখণ্ডে মেয়েরা ভাইদের কপালে শুভচিহ্ন এঁকে দেয়। ভারতের, বাংলাদেশের ও বিশ্বের প্রত্যেক হিন্দু ভাই-বোনকে জানাই শুভ দীপাবলি, কালীপূজা ও ভাইফোঁটার শুভেচ্ছা।’

ভিডিওতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ক্ষমতাসীন বিজেপি, বিরোধী কংগ্রেসসহ কয়েকটি ভারতীয় গণমাধ্যমকে ট্যাগ করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র: দ্য প্রিন্ট

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি নারীকে মুখোশধারী ইসরায়েলির বেধড়ক পিটুনি ভাইরাল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৫, ২৩: ৫২
ছবি: বিবিসি
ছবি: বিবিসি

পশ্চিমতীরের তুরমুস আয়া গ্রামে মুখোশধারী এক ইসরায়েলি দখলদারের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন ৫৫ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি নারী। রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে জলপাই সংগ্রহের সময় ওই নারীকে একটি লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। এই ঘটনাটি ভিডিওতে ধারণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক জ্যাসপার ন্যাথানিয়েল।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এক যুবক বড় কাঠের লাঠি দিয়ে এক নারীর মাথায় আঘাত করে তাঁকে মাটিতে ফেলে দেন। এরপর মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় ওই নারীকে আরও দুইবার আঘাত করেন তিনি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আহত নারীর নাম উম সালেহ আবু আলিয়া।

ভিডিও ধারণ করা ন্যাথানিয়েল বলেছেন, ‘প্রথম আঘাতেই আলিয়া অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তারপরও হামলাকারী নির্মমভাবে লাঠি চালিয়ে যায়।’

এই বিষয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তাদের সদস্যরা পৌঁছানোর পর ঘটনাস্থল ছত্রভঙ্গ করা হয়। অবৈধ বসতি নির্মাণকারীদের যে কোনো ধরনের সহিংসতার নিন্দাও জানায় এই বাহিনী। তবে ন্যাথানিয়েল অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েলি সৈন্যরা হামলার আগেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল এবং সাংবাদিক ও সহায়তাকারীদের আটকে রেখেছিল। সৈন্যরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মুখোশধারী উপনিবেশকারীরা আক্রমণ চালায়।

পাঁচ সন্তানের মা আবু আলিয়া বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার মাথার দুই জায়গায় গুরুতর আঘাত পাওয়া গেছে। তিনি আগে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন, এখন স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন।

তুরমুস আয়া গ্রামে এদিন অন্তত ১৫ জন মুখোশধারী উপনিবেশকারীকে আরও কয়েকজন ফিলিস্তিনি কৃষক ও সহায়তাকারীদের ওপর পাথর ছুড়তে দেখা যায়। এ সময় তারা ফিলিস্তিনি মালিকানাধীন একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয় এবং কয়েকটির জানালা ভেঙে দেয়।

জলপাই সংগ্রহ ফিলিস্তিনি সংস্কৃতি ও অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে প্রতিবছর এই মৌসুমে দখলদারদের হামলা, রাস্তা বন্ধ এবং জমিতে প্রবেশে বাধা দেওয়ার ঘটনা বাড়ছে। জাতিসংঘের মানবিক দপ্তর জানিয়েছে, ৭ থেকে ১৩ অক্টোবরের মধ্যে পশ্চিম তীরে ৭১টি উপনিবেশকারী হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার অর্ধেকই জলপাই সংগ্রহ মৌসুমে।

২০২৫ সালেই পশ্চিমতীর জুড়ে উপনিবেশকারীদের হাতে ৩ হাজার ২০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এসব ঘটনার কোনো বিচার হয়নি।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই হামলাগুলোর মূল লক্ষ্য হলো ফিলিস্তিনিদের ভয় দেখিয়ে জমি ছাড়তে বাধ্য করা—যাতে ইসরায়েলি উপনিবেশকারীরা তা দখল করতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চীন যাবেন ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
২০১৭ সালের নভেম্বরে চীনের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে সি চিন পিংয়ের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
২০১৭ সালের নভেম্বরে চীনের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে সি চিন পিংয়ের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী বছরের শুরুর দিকে চীন সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। আজ সোমবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজের সঙ্গে বৈঠকের সময় ট্রাম্প এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আগামী বছরের শুরুতে চীন সফরে যাব।’

এর আগের দিন ফক্স বিজনেসের সংবাদ উপস্থাপক মারিয়া বার্টিরোমোর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, তিনি আসন্ন অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প চীনের ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন, যা নভেম্বরের শুরু থেকে কার্যকর হতে পারে বলে জানান। চীনা রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের প্রতিক্রিয়ায় নতুন এ পদক্ষেপের কথা বলেন তিনি। বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র–চীন বাণিজ্যযুদ্ধকে আরও এক ধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে।

তবে বার্টিরোমোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প স্বীকার করেছেন, এত উচ্চমাত্রার শুল্ক দীর্ঘ মেয়াদে টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘আমি চীনকে ধ্বংস করতে চাই না।’

উল্লেখ্য, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয়ই পরস্পরের ওপর অন্তত ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছিল। পরে আলোচনার মাধ্যমে চীনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ১০ শতাংশ আর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে চীনা পণ্যে ৩০ শতাংশ শুল্ক বজায় রয়েছে, যা আগের শুল্কের ওপর যুক্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পরীক্ষায় সফল ৮০০ কিলোমিটার পাল্লার ব্রহ্মস, আরও যেসব অস্ত্রে শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পরীক্ষায় সফল ৮০০ কিলোমিটার পাল্লার ব্রহ্মস, আরও যেসব অস্ত্রে শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত

প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করতে যাচ্ছে ভারত। দেশটি নতুন প্রজন্মের ৮০০ কিলোমিটার পাল্লার ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে এটি যুদ্ধক্ষেত্রে প্রয়োগের উপযোগী হবে বলে জানিয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের এই উন্নত সংস্করণে পরিবর্তিত র‍্যামজেট ইঞ্জিন ও অত্যাধুনিক নেভিগেশন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। ২০২৭ সালের শেষ নাগাদ এটি সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা।

বর্তমানে ভারতের হাতে থাকা ৪৫০ কিলোমিটার পাল্লার ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর গতি শব্দের গতির প্রায় তিন গুণ (মাক ২.৮)। এই ক্ষেপণাস্ত্রই গত মে মাসে পাকিস্তানে চালানো অপারেশন সিঁদুরের সময় ব্যবহার করা হয়েছিল।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, ৮০০ কিলোমিটার পাল্লার ব্রহ্মসের র‍্যামজেট ইঞ্জিনের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন প্রায় শেষ। এখন কয়েকটি পরীক্ষার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ইনর্শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম (আইএনএস) ও বৈশ্বিক স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেমের নির্ভুলতা যাচাই করা হচ্ছে, যাতে শত্রুপক্ষের জ্যামিং প্রতিরোধ করা যায়।

তিনি আরও জানান, নৌবাহিনী ও স্থল বাহিনীর হাতে থাকা ইতিমধ্যে ৪৫০ কিলোমিটার পাল্লার ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র আছে। এগুলোর সফটওয়্যার ও ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেমে সামান্য পরিবর্তন করে নতুন ৮০০ কিলোমিটার সংস্করণে উন্নীত করা যাবে। মৌলিক ক্ষেপণাস্ত্র ও লঞ্চার একই থাকবে, শুধু সফটওয়্যারের কিছু অংশে পরিবর্তন আনলেই হবে।

এদিকে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) তাদের ‘অস্ত্র’ (Astra) সিরিজের আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর সক্ষমতাও বাড়াচ্ছে। অস্ত্র মার্ক-২ সংস্করণের পাল্লা আগের ১৬০ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ২০০ কিলোমিটারের বেশি করা হচ্ছে।

ভারতীয় বিমানবাহিনী ইতিমধ্যে ১০০ কিলোমিটার পাল্লার ২৮০টিরও বেশি অস্ত্র মার্ক-১ ক্ষেপণাস্ত্র সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। নতুন মার্ক-২ সংস্করণের উৎপাদন ২০২৬-২৭ সালের মধ্যে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও উন্নত অস্ত্র মার্ক-৩ সংস্করণ তৈরির কাজও চলছে, যা সলিড-ফুয়েল ডাকটেড র‍্যামজেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৩৫০ কিলোমিটার দূরের টার্গেটে আঘাত করতে পারবে। তবে এটি কার্যকর হতে তিন বছর সময় লাগবে। রাশিয়া, ফ্রান্স ও ইসরায়েল থেকে আমদানি করা ব্যয়বহুল ‘পিএল-১৫ বিভিআরএএএম’ ক্ষেপণাস্ত্রের বিকল্প এই ‘অস্ত্র’ মার্ক-৩ সিরিজ।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, গত ৭ মে পাকিস্তানের নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে হামলার সময় পাকিস্তানি বাহিনী চীনের তৈরি জে-১০ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে ২০০ কিলোমিটার পাল্লার পিএল-১৫ বিভিআরএএএম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল। এতে শুরুর দিকে ভারতীয় বিমানবাহিনী বিপাকে পড়ে। তবে ব্রহ্মস ব্যবহারের পর সফল হয় ভারতীয় বাহিনী।

ইতিমধ্যে ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রায় ২০টি যুদ্ধজাহাজে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। এর আগে গত বছর ১৯ হাজার ৫১৯ কোটি রুপি ব্যয়ে নৌবাহিনীর জন্য ২২০টিরও বেশি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। অপারেশন সিঁদুরের পর বিমানবাহিনীর জন্যও ১১০টি আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের অনুমোদন দেয় ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, যার মূল্য প্রায় ১০ হাজার ৮০০ কোটি রুপি।

ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য ৮০০ কিলোমিটার পাল্লার ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ভবিষ্যতে ভারতের প্রস্তাবিত ইন্টিগ্রেটেড রকেট ফোর্সের (আইআরএফ) অংশ হবে। এতে প্রলয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (৪০০ কিলোমিটার পাল্লা) এবং নির্ভয় ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত সংস্করণ (১,০০০ কিলোমিটার পাল্লা) অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৪ হাজার এএসআই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

দেড় মাস ধরে কর্মস্থলে নেই সহকারী কমিশনার, নিয়োগ বাতিল করল সরকার

জুবায়েদ হত্যার নেপথ্যে ‘প্রেমের সম্পর্ক’, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, আড়াল করতে সাউন্ডবক্সে চলে গান

পর্নো সাইটে বাংলাদেশি যুগলের ১১২ ভিডিও, র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম: সিআইডি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত