আজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের প্রাইমারির ফল পর প্রকাশের পর থেকেই আলোচনায় দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি। তবে, শুধু মামদানি নয় মনোযোগ কেড়েছে মামদানির স্ত্রী রামা দুওয়াজিও। ২৭ বছর বয়সী সিরীয় বংশোদ্ভূত এই তরুণী পেশায় শিল্পী। তাঁর শিল্পকর্মের বিষয়বস্তু সাধারণত মধ্যপ্রাচ্য। এরই মধ্যে তাঁর বহু শিল্পকর্ম প্রকাশিত হয়েছে বিবিসি এবং দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে। প্রদর্শিত হয়েছে লন্ডনের টেট মডার্ন জাদুঘরেও।
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের প্রাইমারিতে জোহরান মামদানির প্রচারাভিযানে খুব কমই প্রকাশ্যে এসেছেন স্ত্রী রামা দুওয়াজি। স্ত্রীর অনুপস্থিতিকেও মামদানির বিরুদ্ধে ব্যবহারের চেষ্টা করেছে প্রতিপক্ষরা। তাদের দাবি ছিল—ইচ্ছাকৃতভাবে স্ত্রীকে আড়ালে রাখছেন ৩৩ বছর বয়সী মামদানি। বিষয়টি বিশেষভাবে চোখে পড়ার মতো, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনপ্রার্থীরা পারিবারিক মূল্যবোধ দেখাতে প্রায়ই স্ত্রী-সন্তানদের প্রকাশ্যে আনেন।

স্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে চলা সমালোচনার জবাবে মামদানি গত মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন। নিউইয়র্ক সিটির ক্লার্ক অফিসে তাঁদের বিয়ের কয়েকটি ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘আপনি যদি আজ বা যেকোনো দিন টুইটার দেখেন, তাহলে বুঝতে পারবেন রাজনীতি কতটা নির্মম হতে পারে। সাধারণত এসব আমি উপেক্ষা করি—প্রাণনাশের হুমকি থেকে শুরু করে আমাকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার মতো হুমকিও উপেক্ষা করি। কিন্তু যখন প্রিয় মানুষদের নিয়ে টানাটানি শুরু হয়, তখন বিষয়টা আলাদা। আমার মতাদর্শ নিয়ে আপনি সমালোচনা করতে পারেন, কিন্তু আমার পরিবার নিয়ে নয়।’

নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রামা দুওয়াজি নিজেও ইনস্টাগ্রামে বিয়ের একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘এর চেয়ে বেশি গর্বিত হওয়ার উপায় নেই!’
ডেটিং অ্যাপ হিঞ্জে প্রথম পরিচয় হয় মামদানি-দুওয়াজির। গত সপ্তাহে বুলওয়ার্কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সে কথা বলতে গিয়ে মামদানি রসিকতা করে বলেন, ‘এখনো ডেটিং অ্যাপগুলোতে কিছুটা আশার আলো আছে!’ মামদানির নির্বাচনী প্রচার শিবির জানিয়েছে, গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বাগদান সম্পন্ন করেন মামদানি এবং দুওয়াজি।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে জন্মগ্রহণ করেন রামা দুওয়াজি। তিনি ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে, নিউইয়র্ক সিটির স্কুল অব ভিজুয়াল আর্টস থেকে ইলাস্ট্রেশনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। দুওয়াজির ওয়েবসাইটে তাঁর কাজ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘স্থিরচিত্র এবং অ্যানিমেশনের মাধ্যমে নারী সংহতি এবং সামষ্টিক অভিজ্ঞতার সূক্ষ্ম ভেদ অনুসন্ধান করেন রামা।’
রামা দুওয়াজির শিল্পকর্মের মূল উপজীব্য আরব বিশ্ব। তাঁর অধিকাংশ কাজ সাদাকালো। এক ইয়েমেনি রাজনীতিকের মৃত্যু নিয়ে তৈরি প্রামাণ্যচিত্র ‘হু কিলড মাই গ্র্যান্ডফাদার’-এ স্থান পেয়েছে দুওয়াজির শিল্পকর্ম। ২০২২ সালে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস নির্মাণ করে প্রামাণ্যচিত্রটি।

দুওয়াজির ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত চিত্রকর্মগুলোর মধ্যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সমালোচনা স্পষ্ট। তাঁর বিভিন্ন শিল্পকর্মের মধ্যে ফুটে উঠেছে গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনেরও তীব্র নিন্দা। এ ছাড়া, সম্প্রতি ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার হওয়ার কারণে গ্রেপ্তার হওয়া ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলের পক্ষেও বেশ কিছু শিল্পকর্ম প্রকাশ করেছেন তিনি।
ফিলিস্তিন ইস্যুসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াইইউএনজি নামে একটি ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি মিথ্যা বলব না, নিউইয়র্কে এখন সময়টা বেশ গুমোট। আমি আমার বন্ধু ও পরিবারের জন্য চিন্তিত, সবকিছুই কেমন যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে!’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষকে ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, দেশছাড়া করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে আমি যা করতে পারি, তা হলো আমার শিল্পকর্ম ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিস্তিন আর সিরিয়ায় যা ঘটছে, তা যতটা সম্ভব তুলে ধরতে পারি।’
সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল—বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে শিল্পীদের কথা বলার দায় আছে কিনা। জবাবে তিনি সংগীতশিল্পী নিনা সিমোনকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘যতদূর আমি জানি, একজন শিল্পীর দায় হলো তাঁর শিল্পকর্মে সময়ের প্রতিফলন ঘটানো।’
রামা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা সবার দায়িত্ব। আর সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার অসাধারণ শক্তি শিল্পের রয়েছে। আমি বলছি না সবাইকে রাজনীতিনির্ভর শিল্পই করতে হবে, কিন্তু শিল্প যেভাবে তৈরি হয়, যেভাবে অর্থায়ন ও প্রচার হয়—সবকিছুই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এমনকি আমরা আতঙ্ক থেকে পালিয়ে বাঁচার জন্য যে শিল্প করি, সেটিও রাজনৈতিকই। কারণ সেটিও আমাদের সময় ও বাস্তবতার প্রতিক্রিয়া।’

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের প্রাইমারির ফল পর প্রকাশের পর থেকেই আলোচনায় দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি। তবে, শুধু মামদানি নয় মনোযোগ কেড়েছে মামদানির স্ত্রী রামা দুওয়াজিও। ২৭ বছর বয়সী সিরীয় বংশোদ্ভূত এই তরুণী পেশায় শিল্পী। তাঁর শিল্পকর্মের বিষয়বস্তু সাধারণত মধ্যপ্রাচ্য। এরই মধ্যে তাঁর বহু শিল্পকর্ম প্রকাশিত হয়েছে বিবিসি এবং দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে। প্রদর্শিত হয়েছে লন্ডনের টেট মডার্ন জাদুঘরেও।
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের প্রাইমারিতে জোহরান মামদানির প্রচারাভিযানে খুব কমই প্রকাশ্যে এসেছেন স্ত্রী রামা দুওয়াজি। স্ত্রীর অনুপস্থিতিকেও মামদানির বিরুদ্ধে ব্যবহারের চেষ্টা করেছে প্রতিপক্ষরা। তাদের দাবি ছিল—ইচ্ছাকৃতভাবে স্ত্রীকে আড়ালে রাখছেন ৩৩ বছর বয়সী মামদানি। বিষয়টি বিশেষভাবে চোখে পড়ার মতো, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনপ্রার্থীরা পারিবারিক মূল্যবোধ দেখাতে প্রায়ই স্ত্রী-সন্তানদের প্রকাশ্যে আনেন।

স্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে চলা সমালোচনার জবাবে মামদানি গত মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন। নিউইয়র্ক সিটির ক্লার্ক অফিসে তাঁদের বিয়ের কয়েকটি ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘আপনি যদি আজ বা যেকোনো দিন টুইটার দেখেন, তাহলে বুঝতে পারবেন রাজনীতি কতটা নির্মম হতে পারে। সাধারণত এসব আমি উপেক্ষা করি—প্রাণনাশের হুমকি থেকে শুরু করে আমাকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার মতো হুমকিও উপেক্ষা করি। কিন্তু যখন প্রিয় মানুষদের নিয়ে টানাটানি শুরু হয়, তখন বিষয়টা আলাদা। আমার মতাদর্শ নিয়ে আপনি সমালোচনা করতে পারেন, কিন্তু আমার পরিবার নিয়ে নয়।’

নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রামা দুওয়াজি নিজেও ইনস্টাগ্রামে বিয়ের একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘এর চেয়ে বেশি গর্বিত হওয়ার উপায় নেই!’
ডেটিং অ্যাপ হিঞ্জে প্রথম পরিচয় হয় মামদানি-দুওয়াজির। গত সপ্তাহে বুলওয়ার্কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সে কথা বলতে গিয়ে মামদানি রসিকতা করে বলেন, ‘এখনো ডেটিং অ্যাপগুলোতে কিছুটা আশার আলো আছে!’ মামদানির নির্বাচনী প্রচার শিবির জানিয়েছে, গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বাগদান সম্পন্ন করেন মামদানি এবং দুওয়াজি।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে জন্মগ্রহণ করেন রামা দুওয়াজি। তিনি ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে, নিউইয়র্ক সিটির স্কুল অব ভিজুয়াল আর্টস থেকে ইলাস্ট্রেশনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। দুওয়াজির ওয়েবসাইটে তাঁর কাজ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘স্থিরচিত্র এবং অ্যানিমেশনের মাধ্যমে নারী সংহতি এবং সামষ্টিক অভিজ্ঞতার সূক্ষ্ম ভেদ অনুসন্ধান করেন রামা।’
রামা দুওয়াজির শিল্পকর্মের মূল উপজীব্য আরব বিশ্ব। তাঁর অধিকাংশ কাজ সাদাকালো। এক ইয়েমেনি রাজনীতিকের মৃত্যু নিয়ে তৈরি প্রামাণ্যচিত্র ‘হু কিলড মাই গ্র্যান্ডফাদার’-এ স্থান পেয়েছে দুওয়াজির শিল্পকর্ম। ২০২২ সালে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস নির্মাণ করে প্রামাণ্যচিত্রটি।

দুওয়াজির ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত চিত্রকর্মগুলোর মধ্যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সমালোচনা স্পষ্ট। তাঁর বিভিন্ন শিল্পকর্মের মধ্যে ফুটে উঠেছে গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনেরও তীব্র নিন্দা। এ ছাড়া, সম্প্রতি ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার হওয়ার কারণে গ্রেপ্তার হওয়া ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলের পক্ষেও বেশ কিছু শিল্পকর্ম প্রকাশ করেছেন তিনি।
ফিলিস্তিন ইস্যুসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াইইউএনজি নামে একটি ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি মিথ্যা বলব না, নিউইয়র্কে এখন সময়টা বেশ গুমোট। আমি আমার বন্ধু ও পরিবারের জন্য চিন্তিত, সবকিছুই কেমন যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে!’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষকে ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, দেশছাড়া করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে আমি যা করতে পারি, তা হলো আমার শিল্পকর্ম ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিস্তিন আর সিরিয়ায় যা ঘটছে, তা যতটা সম্ভব তুলে ধরতে পারি।’
সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল—বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে শিল্পীদের কথা বলার দায় আছে কিনা। জবাবে তিনি সংগীতশিল্পী নিনা সিমোনকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘যতদূর আমি জানি, একজন শিল্পীর দায় হলো তাঁর শিল্পকর্মে সময়ের প্রতিফলন ঘটানো।’
রামা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা সবার দায়িত্ব। আর সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার অসাধারণ শক্তি শিল্পের রয়েছে। আমি বলছি না সবাইকে রাজনীতিনির্ভর শিল্পই করতে হবে, কিন্তু শিল্প যেভাবে তৈরি হয়, যেভাবে অর্থায়ন ও প্রচার হয়—সবকিছুই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এমনকি আমরা আতঙ্ক থেকে পালিয়ে বাঁচার জন্য যে শিল্প করি, সেটিও রাজনৈতিকই। কারণ সেটিও আমাদের সময় ও বাস্তবতার প্রতিক্রিয়া।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের প্রাইমারির ফল পর প্রকাশের পর থেকেই আলোচনায় দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি। তবে, শুধু মামদানি নয় মনোযোগ কেড়েছে মামদানির স্ত্রী রামা দুওয়াজিও। ২৭ বছর বয়সী সিরীয় বংশোদ্ভূত এই তরুণী পেশায় শিল্পী। তাঁর শিল্পকর্মের বিষয়বস্তু সাধারণত মধ্যপ্রাচ্য। এরই মধ্যে তাঁর বহু শিল্পকর্ম প্রকাশিত হয়েছে বিবিসি এবং দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে। প্রদর্শিত হয়েছে লন্ডনের টেট মডার্ন জাদুঘরেও।
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের প্রাইমারিতে জোহরান মামদানির প্রচারাভিযানে খুব কমই প্রকাশ্যে এসেছেন স্ত্রী রামা দুওয়াজি। স্ত্রীর অনুপস্থিতিকেও মামদানির বিরুদ্ধে ব্যবহারের চেষ্টা করেছে প্রতিপক্ষরা। তাদের দাবি ছিল—ইচ্ছাকৃতভাবে স্ত্রীকে আড়ালে রাখছেন ৩৩ বছর বয়সী মামদানি। বিষয়টি বিশেষভাবে চোখে পড়ার মতো, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনপ্রার্থীরা পারিবারিক মূল্যবোধ দেখাতে প্রায়ই স্ত্রী-সন্তানদের প্রকাশ্যে আনেন।

স্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে চলা সমালোচনার জবাবে মামদানি গত মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন। নিউইয়র্ক সিটির ক্লার্ক অফিসে তাঁদের বিয়ের কয়েকটি ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘আপনি যদি আজ বা যেকোনো দিন টুইটার দেখেন, তাহলে বুঝতে পারবেন রাজনীতি কতটা নির্মম হতে পারে। সাধারণত এসব আমি উপেক্ষা করি—প্রাণনাশের হুমকি থেকে শুরু করে আমাকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার মতো হুমকিও উপেক্ষা করি। কিন্তু যখন প্রিয় মানুষদের নিয়ে টানাটানি শুরু হয়, তখন বিষয়টা আলাদা। আমার মতাদর্শ নিয়ে আপনি সমালোচনা করতে পারেন, কিন্তু আমার পরিবার নিয়ে নয়।’

নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রামা দুওয়াজি নিজেও ইনস্টাগ্রামে বিয়ের একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘এর চেয়ে বেশি গর্বিত হওয়ার উপায় নেই!’
ডেটিং অ্যাপ হিঞ্জে প্রথম পরিচয় হয় মামদানি-দুওয়াজির। গত সপ্তাহে বুলওয়ার্কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সে কথা বলতে গিয়ে মামদানি রসিকতা করে বলেন, ‘এখনো ডেটিং অ্যাপগুলোতে কিছুটা আশার আলো আছে!’ মামদানির নির্বাচনী প্রচার শিবির জানিয়েছে, গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বাগদান সম্পন্ন করেন মামদানি এবং দুওয়াজি।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে জন্মগ্রহণ করেন রামা দুওয়াজি। তিনি ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে, নিউইয়র্ক সিটির স্কুল অব ভিজুয়াল আর্টস থেকে ইলাস্ট্রেশনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। দুওয়াজির ওয়েবসাইটে তাঁর কাজ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘স্থিরচিত্র এবং অ্যানিমেশনের মাধ্যমে নারী সংহতি এবং সামষ্টিক অভিজ্ঞতার সূক্ষ্ম ভেদ অনুসন্ধান করেন রামা।’
রামা দুওয়াজির শিল্পকর্মের মূল উপজীব্য আরব বিশ্ব। তাঁর অধিকাংশ কাজ সাদাকালো। এক ইয়েমেনি রাজনীতিকের মৃত্যু নিয়ে তৈরি প্রামাণ্যচিত্র ‘হু কিলড মাই গ্র্যান্ডফাদার’-এ স্থান পেয়েছে দুওয়াজির শিল্পকর্ম। ২০২২ সালে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস নির্মাণ করে প্রামাণ্যচিত্রটি।

দুওয়াজির ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত চিত্রকর্মগুলোর মধ্যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সমালোচনা স্পষ্ট। তাঁর বিভিন্ন শিল্পকর্মের মধ্যে ফুটে উঠেছে গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনেরও তীব্র নিন্দা। এ ছাড়া, সম্প্রতি ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার হওয়ার কারণে গ্রেপ্তার হওয়া ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলের পক্ষেও বেশ কিছু শিল্পকর্ম প্রকাশ করেছেন তিনি।
ফিলিস্তিন ইস্যুসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াইইউএনজি নামে একটি ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি মিথ্যা বলব না, নিউইয়র্কে এখন সময়টা বেশ গুমোট। আমি আমার বন্ধু ও পরিবারের জন্য চিন্তিত, সবকিছুই কেমন যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে!’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষকে ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, দেশছাড়া করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে আমি যা করতে পারি, তা হলো আমার শিল্পকর্ম ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিস্তিন আর সিরিয়ায় যা ঘটছে, তা যতটা সম্ভব তুলে ধরতে পারি।’
সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল—বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে শিল্পীদের কথা বলার দায় আছে কিনা। জবাবে তিনি সংগীতশিল্পী নিনা সিমোনকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘যতদূর আমি জানি, একজন শিল্পীর দায় হলো তাঁর শিল্পকর্মে সময়ের প্রতিফলন ঘটানো।’
রামা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা সবার দায়িত্ব। আর সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার অসাধারণ শক্তি শিল্পের রয়েছে। আমি বলছি না সবাইকে রাজনীতিনির্ভর শিল্পই করতে হবে, কিন্তু শিল্প যেভাবে তৈরি হয়, যেভাবে অর্থায়ন ও প্রচার হয়—সবকিছুই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এমনকি আমরা আতঙ্ক থেকে পালিয়ে বাঁচার জন্য যে শিল্প করি, সেটিও রাজনৈতিকই। কারণ সেটিও আমাদের সময় ও বাস্তবতার প্রতিক্রিয়া।’

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের প্রাইমারির ফল পর প্রকাশের পর থেকেই আলোচনায় দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি। তবে, শুধু মামদানি নয় মনোযোগ কেড়েছে মামদানির স্ত্রী রামা দুওয়াজিও। ২৭ বছর বয়সী সিরীয় বংশোদ্ভূত এই তরুণী পেশায় শিল্পী। তাঁর শিল্পকর্মের বিষয়বস্তু সাধারণত মধ্যপ্রাচ্য। এরই মধ্যে তাঁর বহু শিল্পকর্ম প্রকাশিত হয়েছে বিবিসি এবং দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে। প্রদর্শিত হয়েছে লন্ডনের টেট মডার্ন জাদুঘরেও।
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের প্রাইমারিতে জোহরান মামদানির প্রচারাভিযানে খুব কমই প্রকাশ্যে এসেছেন স্ত্রী রামা দুওয়াজি। স্ত্রীর অনুপস্থিতিকেও মামদানির বিরুদ্ধে ব্যবহারের চেষ্টা করেছে প্রতিপক্ষরা। তাদের দাবি ছিল—ইচ্ছাকৃতভাবে স্ত্রীকে আড়ালে রাখছেন ৩৩ বছর বয়সী মামদানি। বিষয়টি বিশেষভাবে চোখে পড়ার মতো, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনপ্রার্থীরা পারিবারিক মূল্যবোধ দেখাতে প্রায়ই স্ত্রী-সন্তানদের প্রকাশ্যে আনেন।

স্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে চলা সমালোচনার জবাবে মামদানি গত মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন। নিউইয়র্ক সিটির ক্লার্ক অফিসে তাঁদের বিয়ের কয়েকটি ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘আপনি যদি আজ বা যেকোনো দিন টুইটার দেখেন, তাহলে বুঝতে পারবেন রাজনীতি কতটা নির্মম হতে পারে। সাধারণত এসব আমি উপেক্ষা করি—প্রাণনাশের হুমকি থেকে শুরু করে আমাকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার মতো হুমকিও উপেক্ষা করি। কিন্তু যখন প্রিয় মানুষদের নিয়ে টানাটানি শুরু হয়, তখন বিষয়টা আলাদা। আমার মতাদর্শ নিয়ে আপনি সমালোচনা করতে পারেন, কিন্তু আমার পরিবার নিয়ে নয়।’

নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রামা দুওয়াজি নিজেও ইনস্টাগ্রামে বিয়ের একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘এর চেয়ে বেশি গর্বিত হওয়ার উপায় নেই!’
ডেটিং অ্যাপ হিঞ্জে প্রথম পরিচয় হয় মামদানি-দুওয়াজির। গত সপ্তাহে বুলওয়ার্কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সে কথা বলতে গিয়ে মামদানি রসিকতা করে বলেন, ‘এখনো ডেটিং অ্যাপগুলোতে কিছুটা আশার আলো আছে!’ মামদানির নির্বাচনী প্রচার শিবির জানিয়েছে, গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বাগদান সম্পন্ন করেন মামদানি এবং দুওয়াজি।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে জন্মগ্রহণ করেন রামা দুওয়াজি। তিনি ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে, নিউইয়র্ক সিটির স্কুল অব ভিজুয়াল আর্টস থেকে ইলাস্ট্রেশনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। দুওয়াজির ওয়েবসাইটে তাঁর কাজ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘স্থিরচিত্র এবং অ্যানিমেশনের মাধ্যমে নারী সংহতি এবং সামষ্টিক অভিজ্ঞতার সূক্ষ্ম ভেদ অনুসন্ধান করেন রামা।’
রামা দুওয়াজির শিল্পকর্মের মূল উপজীব্য আরব বিশ্ব। তাঁর অধিকাংশ কাজ সাদাকালো। এক ইয়েমেনি রাজনীতিকের মৃত্যু নিয়ে তৈরি প্রামাণ্যচিত্র ‘হু কিলড মাই গ্র্যান্ডফাদার’-এ স্থান পেয়েছে দুওয়াজির শিল্পকর্ম। ২০২২ সালে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস নির্মাণ করে প্রামাণ্যচিত্রটি।

দুওয়াজির ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত চিত্রকর্মগুলোর মধ্যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সমালোচনা স্পষ্ট। তাঁর বিভিন্ন শিল্পকর্মের মধ্যে ফুটে উঠেছে গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনেরও তীব্র নিন্দা। এ ছাড়া, সম্প্রতি ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার হওয়ার কারণে গ্রেপ্তার হওয়া ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলের পক্ষেও বেশ কিছু শিল্পকর্ম প্রকাশ করেছেন তিনি।
ফিলিস্তিন ইস্যুসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াইইউএনজি নামে একটি ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি মিথ্যা বলব না, নিউইয়র্কে এখন সময়টা বেশ গুমোট। আমি আমার বন্ধু ও পরিবারের জন্য চিন্তিত, সবকিছুই কেমন যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে!’ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষকে ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, দেশছাড়া করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে আমি যা করতে পারি, তা হলো আমার শিল্পকর্ম ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিস্তিন আর সিরিয়ায় যা ঘটছে, তা যতটা সম্ভব তুলে ধরতে পারি।’
সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল—বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে শিল্পীদের কথা বলার দায় আছে কিনা। জবাবে তিনি সংগীতশিল্পী নিনা সিমোনকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘যতদূর আমি জানি, একজন শিল্পীর দায় হলো তাঁর শিল্পকর্মে সময়ের প্রতিফলন ঘটানো।’
রামা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলা সবার দায়িত্ব। আর সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার অসাধারণ শক্তি শিল্পের রয়েছে। আমি বলছি না সবাইকে রাজনীতিনির্ভর শিল্পই করতে হবে, কিন্তু শিল্প যেভাবে তৈরি হয়, যেভাবে অর্থায়ন ও প্রচার হয়—সবকিছুই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এমনকি আমরা আতঙ্ক থেকে পালিয়ে বাঁচার জন্য যে শিল্প করি, সেটিও রাজনৈতিকই। কারণ সেটিও আমাদের সময় ও বাস্তবতার প্রতিক্রিয়া।’

তাঁর হাতে লেখা ছিল, ‘পুলিশ ইন্সপেক্টর গোপাল বাদনেই আমার মৃত্যুর কারণ। সে আমাকে চারবার ধর্ষণ করেছে। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে সে আমাকে ধর্ষণ করেছে। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছে।’
১৪ মিনিট আগে
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) চার দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কমিটির প্লেনাম (পূর্ণাঙ্গ সভা) শেষ হলো গতকাল বৃহস্পতিবার। এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং।
২০ মিনিট আগে
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের পুলিশের মহাপরিদর্শকের কার্যালয় এবং সারাটোগা কাউন্টি শেরিফের কার্যালয়ের যৌথ তদন্তে জানা গেছে, মেহুলের এই অবৈধ কার্যকলাপের ফলে করদাতাদের ৫০ হাজার ডলার (প্রায় ৪০ লাখ রুপি) অপব্যবহার হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় এক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলায় একটি হাসপাতালে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এক নারী চিকিৎসক ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। গত পাঁচ মাসে পুলিশের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) তাঁকে চারবার ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করে গেছেন তিনি।
ওই চিকিৎসক এসআই গোপাল বাদনের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ বাঁ হাতের তালুতে লিখে গেছেন।
ওই চিকিৎসক লিখেছেন, বাদনের লাগাতার হয়রানিই তাঁকে নিজের জীবন দিতে বাধ্য করেছে। এ ছাড়া আরও এক পুলিশ কর্মকর্তা প্রশান্ত বাংকারের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ হাতে লিখে যান ওই নারী।
তাঁর হাতে লেখা ছিল, ‘পুলিশ ইন্সপেক্টর গোপাল বাদনেই আমার মৃত্যুর কারণ। সে আমাকে চারবার ধর্ষণ করেছে। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে সে আমাকে ধর্ষণ করেছে। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সাতারা জেলায় ফাল্টান মহকুমা হাসপাতালে মেডিকেল কর্মকর্তা ছিলেন ওই চিকিৎসক। আত্মহত্যার কয়েক মাস আগে গত ১৯ জুন ফাল্টান সাবডিভিশনাল অফিসের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশকে (ডিএসপি) লেখা এক চিঠিতে একই ধরনের অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
চিঠিতে ওই চিকিৎসক ফাল্টান গ্রামীণ পুলিশ বিভাগের দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ আনেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান।
চিঠিতে তিনি গোপাল বাদনে, সাবডিভিশনাল পুলিশ ইন্সপেক্টর পাটিল ও অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর লাদপুত্রের নাম উল্লেখ করেন।
চিঠিতে ওই চিকিৎসক বলেছিলেন, ‘চরম মানসিক চাপের মধ্যে আছি। অনুরোধ করছি, গুরুতর বিষয়টি তদন্ত করা হোক এবং দোষী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
একাধিক সূত্র বলছে, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নির্দেশে গোপাল বাদনেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল রাতের এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ মহারাষ্ট্রজুড়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
রাজ্য কংগ্রেস নেতা বিজয় নামদেভরাও ওয়াদেত্তিবার এ ঘটনায় ক্ষমতাসীন সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বিজয় নামদেভরাও বলেন, ‘যখন রক্ষকই ভক্ষক হয়! পুলিশের কাজ হলো সুরক্ষা দেওয়া। কিন্তু তারাই যদি একজন নারী চিকিৎসককে নির্যাতন করে, ন্যায়বিচার তাহলে কীভাবে হবে? মেয়েটি যখন অভিযোগ করেছিল, তখন কেন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলো না? রাজ্য সরকার বারবার পুলিশকে আড়াল করছে। ফলে পুলিশের নৃশংসতা বাড়ছে।’

ভারতের মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলায় একটি হাসপাতালে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এক নারী চিকিৎসক ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। গত পাঁচ মাসে পুলিশের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) তাঁকে চারবার ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করে গেছেন তিনি।
ওই চিকিৎসক এসআই গোপাল বাদনের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ বাঁ হাতের তালুতে লিখে গেছেন।
ওই চিকিৎসক লিখেছেন, বাদনের লাগাতার হয়রানিই তাঁকে নিজের জীবন দিতে বাধ্য করেছে। এ ছাড়া আরও এক পুলিশ কর্মকর্তা প্রশান্ত বাংকারের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ হাতে লিখে যান ওই নারী।
তাঁর হাতে লেখা ছিল, ‘পুলিশ ইন্সপেক্টর গোপাল বাদনেই আমার মৃত্যুর কারণ। সে আমাকে চারবার ধর্ষণ করেছে। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে সে আমাকে ধর্ষণ করেছে। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সাতারা জেলায় ফাল্টান মহকুমা হাসপাতালে মেডিকেল কর্মকর্তা ছিলেন ওই চিকিৎসক। আত্মহত্যার কয়েক মাস আগে গত ১৯ জুন ফাল্টান সাবডিভিশনাল অফিসের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশকে (ডিএসপি) লেখা এক চিঠিতে একই ধরনের অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
চিঠিতে ওই চিকিৎসক ফাল্টান গ্রামীণ পুলিশ বিভাগের দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ আনেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান।
চিঠিতে তিনি গোপাল বাদনে, সাবডিভিশনাল পুলিশ ইন্সপেক্টর পাটিল ও অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর লাদপুত্রের নাম উল্লেখ করেন।
চিঠিতে ওই চিকিৎসক বলেছিলেন, ‘চরম মানসিক চাপের মধ্যে আছি। অনুরোধ করছি, গুরুতর বিষয়টি তদন্ত করা হোক এবং দোষী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
একাধিক সূত্র বলছে, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নির্দেশে গোপাল বাদনেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল রাতের এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ মহারাষ্ট্রজুড়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
রাজ্য কংগ্রেস নেতা বিজয় নামদেভরাও ওয়াদেত্তিবার এ ঘটনায় ক্ষমতাসীন সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বিজয় নামদেভরাও বলেন, ‘যখন রক্ষকই ভক্ষক হয়! পুলিশের কাজ হলো সুরক্ষা দেওয়া। কিন্তু তারাই যদি একজন নারী চিকিৎসককে নির্যাতন করে, ন্যায়বিচার তাহলে কীভাবে হবে? মেয়েটি যখন অভিযোগ করেছিল, তখন কেন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলো না? রাজ্য সরকার বারবার পুলিশকে আড়াল করছে। ফলে পুলিশের নৃশংসতা বাড়ছে।’

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের প্রাইমারির ফল পর প্রকাশের পর থেকেই আলোচনায় দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি। তবে, শুধু মামদানি নয় মনোযোগ কেড়েছে মামদানির স্ত্রী রামা দুওয়াজিও। ২৭ বছর বয়সী সিরীয় বংশোদ্ভূত এই তরুণী পেশায় শিল্পী।
২৭ জুন ২০২৫
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) চার দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কমিটির প্লেনাম (পূর্ণাঙ্গ সভা) শেষ হলো গতকাল বৃহস্পতিবার। এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং।
২০ মিনিট আগে
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের পুলিশের মহাপরিদর্শকের কার্যালয় এবং সারাটোগা কাউন্টি শেরিফের কার্যালয়ের যৌথ তদন্তে জানা গেছে, মেহুলের এই অবৈধ কার্যকলাপের ফলে করদাতাদের ৫০ হাজার ডলার (প্রায় ৪০ লাখ রুপি) অপব্যবহার হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় এক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) চার দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কমিটির প্লেনাম (পূর্ণাঙ্গ সভা) শেষ হলো গতকাল বৃহস্পতিবার। এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং।
সভা শেষে প্রকাশিত ইশতেহারে চীনের পরবর্তী পঞ্চবার্ষিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনার মূল দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এই ইশতেহার থেকে চীনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, সামরিক শুদ্ধি অভিযান এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতির ক্ষেত্রে তিনটি প্রধান বার্তা পাওয়া যায়।
ধারণার চেয়েও বড় হতে পারে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান
প্লেনাম বৈঠকে কেন্দ্রীয় কমিটির ২০৫ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র ১৬৮ জনের উপস্থিতি চীন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে জল্পনা বাড়িয়েছে। প্লেনামের মতো গুরুত্বপূর্ণ সভায় গুরুতর কারণ ছাড়া এতো নেতার অনুপস্থিতি স্বাভাবিক নয়। জানা গেছে, একজন সদস্যের মৃত্যু এবং ১০ জন বহিষ্কারের পরও ২৬ জন ক্যাডার অনুপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, অনুপস্থিত ছিলেন কয়েক ডজন ‘বিকল্প’ প্রতিনিধি। এই বৃহৎ অনুপস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে, পার্টির অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা পরিদর্শন দলগুলোর সর্বশেষ ‘দুর্নীতি বিরোধী’ অভিযানে সরকারিভাবে ঘোষিত সংখ্যার চেয়েও অনেক বেশি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অপসারিত হয়েছেন।
সেনাবাহিনীতেও চিত্রটি অত্যন্ত স্পষ্ট। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদমর্যাদার ৩৩ জন জেনারেলের মধ্যে ২২ জন প্লেনামে যোগ দেননি। যদিও ৮ জনের অপসারণ আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, বাকি ১৪ জনের অনুপস্থিতি রহস্যজনক।
এই ঘটনাকে সি চিনপিংয়ের শক্তি না দুর্বলতা হিসেবে দেখা হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে বিতর্ক চলছে। এটি কি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ক্ষমতার কেন্দ্রগুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন একজন নেতার পদক্ষেপ, নাকি পদমর্যাদা নির্বিশেষে অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত একজন দৃঢ় নেতার ইঙ্গিত? তবে একটি বিষয় স্পষ্ট—পার্টির পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে এই অভিযান থামবে না। কেন্দ্রীয় নীতি গবেষণা কার্যালয়ের পরিচালক জিয়াং জিনকুয়ান জানিয়েছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবিচল দৃঢ়তা বজায় রাখা হবে, এর কোনো শেষ সীমা নেই।
প্রযুক্তিগত স্বয়ংসম্পূর্ণতার দিকে চীনের ঝোঁক
ইশতেহারে চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে, তা হলো ‘বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত স্বয়ংসম্পূর্ণতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি’ অর্জন করা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য বিরোধের কারণে চীন বিশেষত কম্পিউটার চিপ এবং উন্নত সফটওয়্যার-এর মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চাচ্ছে। সিপিসি-র এই পদক্ষেপের মূল কথা হলো: কোনো বিষয়ে সন্দেহ থাকলে, তা নিজেদেরই তৈরি করতে হবে।
সিপিসি নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়াও এটিকে স্পষ্ট করে ‘স্বয়ংসম্পূর্ণতা’ শব্দ উল্লেখ করে বলেছে, ‘দেশকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বৃহত্তর স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও শক্তি অর্জন করতে হবে এবং নতুন গুণগত উৎপাদনশীল শক্তির বিকাশ ঘটাতে হবে।’ সি চিনপিংয়ের এই ‘নতুন গুণগত উৎপাদনশীল শক্তি’ সামরিক প্রয়োগসহ উচ্চ-স্তরের প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে বোঝায়, যা বেসরকারি খাত, রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগ এবং পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) মধ্যে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে গড়ে উঠবে। এর মূল লক্ষ্য হলো—আমেরিকান নির্ভরতা ছাড়াই উন্নত প্রযুক্তি তৈরি করা।

স্থানীয় জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের আরেকটি বড় প্রভাব হলো রপ্তানি বাজার হারানো। চীন ঐতিহ্যগতভাবে রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় এটি অর্থনীতির জন্য একটি কঠিন ধাক্কা। অর্থনীতিবিদেরা দীর্ঘদিন ধরে পরামর্শ দিচ্ছিলেন যে চীনকে অভ্যন্তরীণ ভোগ বা ব্যয়ের ওপর বেশি জোর দিয়ে অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করতে হবে।
আমেরিকান শুল্কের কারণে চীনে তৈরি পণ্যের রপ্তানি কিছুটা কমেছে। এই ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে, চীন এখন তার বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজারের দিকে মনোযোগ দিতে চাচ্ছে। ইশতেহার অনুযায়ী, দেশে একটি শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ বাজার তৈরি করতে হবে এবং উন্নয়নের একটি নতুন প্যাটার্ন তৈরি করতে দ্রুত কাজ করতে হবে।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, আবাসন সংকট এবং উচ্চ বেকারত্বের কারণে যখন জনগণ সঞ্চয় করতে বেশি আগ্রহী, তখন তাদের কীভাবে বেশি ব্যয় করতে উৎসাহিত করা হবে—সে বিষয়ে এই বৈঠকে কোনো সুনির্দিষ্ট নতুন ধারণা উঠে আসেনি। একটি শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ বাজার তৈরির কথা বলা হলেও, বাস্তবে তা কার্যকর করতে কী পদক্ষেপের প্রয়োজন সেটি স্পষ্ট নয়।
সূত্র: বিবিসি

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) চার দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কমিটির প্লেনাম (পূর্ণাঙ্গ সভা) শেষ হলো গতকাল বৃহস্পতিবার। এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং।
সভা শেষে প্রকাশিত ইশতেহারে চীনের পরবর্তী পঞ্চবার্ষিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনার মূল দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এই ইশতেহার থেকে চীনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, সামরিক শুদ্ধি অভিযান এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতির ক্ষেত্রে তিনটি প্রধান বার্তা পাওয়া যায়।
ধারণার চেয়েও বড় হতে পারে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান
প্লেনাম বৈঠকে কেন্দ্রীয় কমিটির ২০৫ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র ১৬৮ জনের উপস্থিতি চীন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে জল্পনা বাড়িয়েছে। প্লেনামের মতো গুরুত্বপূর্ণ সভায় গুরুতর কারণ ছাড়া এতো নেতার অনুপস্থিতি স্বাভাবিক নয়। জানা গেছে, একজন সদস্যের মৃত্যু এবং ১০ জন বহিষ্কারের পরও ২৬ জন ক্যাডার অনুপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, অনুপস্থিত ছিলেন কয়েক ডজন ‘বিকল্প’ প্রতিনিধি। এই বৃহৎ অনুপস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে, পার্টির অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা পরিদর্শন দলগুলোর সর্বশেষ ‘দুর্নীতি বিরোধী’ অভিযানে সরকারিভাবে ঘোষিত সংখ্যার চেয়েও অনেক বেশি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অপসারিত হয়েছেন।
সেনাবাহিনীতেও চিত্রটি অত্যন্ত স্পষ্ট। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদমর্যাদার ৩৩ জন জেনারেলের মধ্যে ২২ জন প্লেনামে যোগ দেননি। যদিও ৮ জনের অপসারণ আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, বাকি ১৪ জনের অনুপস্থিতি রহস্যজনক।
এই ঘটনাকে সি চিনপিংয়ের শক্তি না দুর্বলতা হিসেবে দেখা হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে বিতর্ক চলছে। এটি কি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ক্ষমতার কেন্দ্রগুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন একজন নেতার পদক্ষেপ, নাকি পদমর্যাদা নির্বিশেষে অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত একজন দৃঢ় নেতার ইঙ্গিত? তবে একটি বিষয় স্পষ্ট—পার্টির পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে এই অভিযান থামবে না। কেন্দ্রীয় নীতি গবেষণা কার্যালয়ের পরিচালক জিয়াং জিনকুয়ান জানিয়েছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবিচল দৃঢ়তা বজায় রাখা হবে, এর কোনো শেষ সীমা নেই।
প্রযুক্তিগত স্বয়ংসম্পূর্ণতার দিকে চীনের ঝোঁক
ইশতেহারে চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে, তা হলো ‘বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত স্বয়ংসম্পূর্ণতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি’ অর্জন করা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য বিরোধের কারণে চীন বিশেষত কম্পিউটার চিপ এবং উন্নত সফটওয়্যার-এর মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চাচ্ছে। সিপিসি-র এই পদক্ষেপের মূল কথা হলো: কোনো বিষয়ে সন্দেহ থাকলে, তা নিজেদেরই তৈরি করতে হবে।
সিপিসি নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়াও এটিকে স্পষ্ট করে ‘স্বয়ংসম্পূর্ণতা’ শব্দ উল্লেখ করে বলেছে, ‘দেশকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বৃহত্তর স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও শক্তি অর্জন করতে হবে এবং নতুন গুণগত উৎপাদনশীল শক্তির বিকাশ ঘটাতে হবে।’ সি চিনপিংয়ের এই ‘নতুন গুণগত উৎপাদনশীল শক্তি’ সামরিক প্রয়োগসহ উচ্চ-স্তরের প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে বোঝায়, যা বেসরকারি খাত, রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগ এবং পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) মধ্যে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে গড়ে উঠবে। এর মূল লক্ষ্য হলো—আমেরিকান নির্ভরতা ছাড়াই উন্নত প্রযুক্তি তৈরি করা।

স্থানীয় জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের আরেকটি বড় প্রভাব হলো রপ্তানি বাজার হারানো। চীন ঐতিহ্যগতভাবে রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় এটি অর্থনীতির জন্য একটি কঠিন ধাক্কা। অর্থনীতিবিদেরা দীর্ঘদিন ধরে পরামর্শ দিচ্ছিলেন যে চীনকে অভ্যন্তরীণ ভোগ বা ব্যয়ের ওপর বেশি জোর দিয়ে অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করতে হবে।
আমেরিকান শুল্কের কারণে চীনে তৈরি পণ্যের রপ্তানি কিছুটা কমেছে। এই ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে, চীন এখন তার বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজারের দিকে মনোযোগ দিতে চাচ্ছে। ইশতেহার অনুযায়ী, দেশে একটি শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ বাজার তৈরি করতে হবে এবং উন্নয়নের একটি নতুন প্যাটার্ন তৈরি করতে দ্রুত কাজ করতে হবে।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, আবাসন সংকট এবং উচ্চ বেকারত্বের কারণে যখন জনগণ সঞ্চয় করতে বেশি আগ্রহী, তখন তাদের কীভাবে বেশি ব্যয় করতে উৎসাহিত করা হবে—সে বিষয়ে এই বৈঠকে কোনো সুনির্দিষ্ট নতুন ধারণা উঠে আসেনি। একটি শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ বাজার তৈরির কথা বলা হলেও, বাস্তবে তা কার্যকর করতে কী পদক্ষেপের প্রয়োজন সেটি স্পষ্ট নয়।
সূত্র: বিবিসি

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের প্রাইমারির ফল পর প্রকাশের পর থেকেই আলোচনায় দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি। তবে, শুধু মামদানি নয় মনোযোগ কেড়েছে মামদানির স্ত্রী রামা দুওয়াজিও। ২৭ বছর বয়সী সিরীয় বংশোদ্ভূত এই তরুণী পেশায় শিল্পী।
২৭ জুন ২০২৫
তাঁর হাতে লেখা ছিল, ‘পুলিশ ইন্সপেক্টর গোপাল বাদনেই আমার মৃত্যুর কারণ। সে আমাকে চারবার ধর্ষণ করেছে। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে সে আমাকে ধর্ষণ করেছে। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছে।’
১৪ মিনিট আগে
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের পুলিশের মহাপরিদর্শকের কার্যালয় এবং সারাটোগা কাউন্টি শেরিফের কার্যালয়ের যৌথ তদন্তে জানা গেছে, মেহুলের এই অবৈধ কার্যকলাপের ফলে করদাতাদের ৫০ হাজার ডলার (প্রায় ৪০ লাখ রুপি) অপব্যবহার হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় এক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি গোপনে ঠিকাদার হিসেবে অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিযোগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক মার্কিন নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩৯ বছর বয়সী মেহুল গোস্বামী নামের ওই নাগরিকের বিরুদ্ধে করদাতাদের অর্থ অপচয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের পুলিশের মহাপরিদর্শকের কার্যালয় এবং সারাটোগা কাউন্টি শেরিফের কার্যালয়ের যৌথ তদন্তে জানা গেছে, মেহুলের এই অবৈধ কার্যকলাপের ফলে করদাতাদের ৫০ হাজার ডলার (প্রায় ৪০ লাখ রুপি) অপব্যবহার হয়েছে।
তদন্ত সূত্রে জানা যায়, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ইনফরমেশন টেকনোলজি সার্ভিসেসের জন্য দূর থেকে কাজ করতেন মেহুল। এটিই ছিল তাঁর মূল চাকরি। কিন্তু পাশাপাশি ২০২২ সালের মার্চ থেকে সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি গ্লোবালফাউন্ড্রিজে ঠিকাদার হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি।
একটি বেনামি ই-মেইল থেকে বিষয়টি ফাঁস হলে মেহুলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়।
পুলিশের মহাপরিদর্শক লুসি ল্যাং বলেন, সরকারি কর্মচারীদের সততার সঙ্গে জনগণের সেবা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। মেহুল গোস্বামীর এহেন আচরণ সেই আস্থার গুরুতর লঙ্ঘন। সরকারি চাকরিতে থাকার সময় দ্বিতীয় পূর্ণকালীন চাকরি করা সরকারি সম্পদ ও করদাতার অর্থের অপব্যবহার।
১৫ অক্টোবর সারাটোগা কাউন্টি শেরিফ কার্যালয় মেহুলকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে তাঁর।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি গোপনে ঠিকাদার হিসেবে অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিযোগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক মার্কিন নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩৯ বছর বয়সী মেহুল গোস্বামী নামের ওই নাগরিকের বিরুদ্ধে করদাতাদের অর্থ অপচয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের পুলিশের মহাপরিদর্শকের কার্যালয় এবং সারাটোগা কাউন্টি শেরিফের কার্যালয়ের যৌথ তদন্তে জানা গেছে, মেহুলের এই অবৈধ কার্যকলাপের ফলে করদাতাদের ৫০ হাজার ডলার (প্রায় ৪০ লাখ রুপি) অপব্যবহার হয়েছে।
তদন্ত সূত্রে জানা যায়, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ইনফরমেশন টেকনোলজি সার্ভিসেসের জন্য দূর থেকে কাজ করতেন মেহুল। এটিই ছিল তাঁর মূল চাকরি। কিন্তু পাশাপাশি ২০২২ সালের মার্চ থেকে সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি গ্লোবালফাউন্ড্রিজে ঠিকাদার হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি।
একটি বেনামি ই-মেইল থেকে বিষয়টি ফাঁস হলে মেহুলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়।
পুলিশের মহাপরিদর্শক লুসি ল্যাং বলেন, সরকারি কর্মচারীদের সততার সঙ্গে জনগণের সেবা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। মেহুল গোস্বামীর এহেন আচরণ সেই আস্থার গুরুতর লঙ্ঘন। সরকারি চাকরিতে থাকার সময় দ্বিতীয় পূর্ণকালীন চাকরি করা সরকারি সম্পদ ও করদাতার অর্থের অপব্যবহার।
১৫ অক্টোবর সারাটোগা কাউন্টি শেরিফ কার্যালয় মেহুলকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে তাঁর।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের প্রাইমারির ফল পর প্রকাশের পর থেকেই আলোচনায় দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি। তবে, শুধু মামদানি নয় মনোযোগ কেড়েছে মামদানির স্ত্রী রামা দুওয়াজিও। ২৭ বছর বয়সী সিরীয় বংশোদ্ভূত এই তরুণী পেশায় শিল্পী।
২৭ জুন ২০২৫
তাঁর হাতে লেখা ছিল, ‘পুলিশ ইন্সপেক্টর গোপাল বাদনেই আমার মৃত্যুর কারণ। সে আমাকে চারবার ধর্ষণ করেছে। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে সে আমাকে ধর্ষণ করেছে। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছে।’
১৪ মিনিট আগে
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) চার দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কমিটির প্লেনাম (পূর্ণাঙ্গ সভা) শেষ হলো গতকাল বৃহস্পতিবার। এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং।
২০ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় এক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় এক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস।
বিশ্বের বৃহৎ দুই অর্থনীতির দেশের এই দুই নেতার বৈঠকের প্রস্তুতি কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছিল। তবে দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় বৈঠক আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল।
বৈঠকটি হলে তা হবে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার পর দুই নেতার প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট গতকাল বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বলা হচ্ছে, দ্বিপক্ষীয় এই বৈঠক হবে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনের ফাঁকে, যা ৩১ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর গিয়ংজুতে অনুষ্ঠিত হবে।
ট্রাম্প এরই মধ্যে বলেছেন, ‘আমাদের বেশ দীর্ঘ বৈঠকের সময়সূচি রয়েছে। আমরা আমাদের অনেক প্রশ্ন ও সন্দেহ মিটিয়ে নিতে পারব এবং একসঙ্গে আমাদের বিশাল সম্ভাবনাগুলো নিয়ে কাজ করতে পারব। আমার মনে হয়, কোনো না কোনো সমাধান পাওয়া যাবে। আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আসন্ন আলোচনাকে ঘিরে আজ শুক্রবার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও।
ওয়াং ওয়েনতাও বলেন, আগের আলোচনাগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায়, দুই পক্ষের উদ্বেগের সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্পূর্ণ সম্ভব এবং এতে চীন-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের সুস্থ, স্থিতিশীল ও টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় এক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস।
বিশ্বের বৃহৎ দুই অর্থনীতির দেশের এই দুই নেতার বৈঠকের প্রস্তুতি কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছিল। তবে দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় বৈঠক আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল।
বৈঠকটি হলে তা হবে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার পর দুই নেতার প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট গতকাল বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বলা হচ্ছে, দ্বিপক্ষীয় এই বৈঠক হবে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনের ফাঁকে, যা ৩১ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর গিয়ংজুতে অনুষ্ঠিত হবে।
ট্রাম্প এরই মধ্যে বলেছেন, ‘আমাদের বেশ দীর্ঘ বৈঠকের সময়সূচি রয়েছে। আমরা আমাদের অনেক প্রশ্ন ও সন্দেহ মিটিয়ে নিতে পারব এবং একসঙ্গে আমাদের বিশাল সম্ভাবনাগুলো নিয়ে কাজ করতে পারব। আমার মনে হয়, কোনো না কোনো সমাধান পাওয়া যাবে। আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আসন্ন আলোচনাকে ঘিরে আজ শুক্রবার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও।
ওয়াং ওয়েনতাও বলেন, আগের আলোচনাগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায়, দুই পক্ষের উদ্বেগের সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্পূর্ণ সম্ভব এবং এতে চীন-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের সুস্থ, স্থিতিশীল ও টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে।

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের প্রাইমারির ফল পর প্রকাশের পর থেকেই আলোচনায় দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি। তবে, শুধু মামদানি নয় মনোযোগ কেড়েছে মামদানির স্ত্রী রামা দুওয়াজিও। ২৭ বছর বয়সী সিরীয় বংশোদ্ভূত এই তরুণী পেশায় শিল্পী।
২৭ জুন ২০২৫
তাঁর হাতে লেখা ছিল, ‘পুলিশ ইন্সপেক্টর গোপাল বাদনেই আমার মৃত্যুর কারণ। সে আমাকে চারবার ধর্ষণ করেছে। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে সে আমাকে ধর্ষণ করেছে। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছে।’
১৪ মিনিট আগে
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) চার দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কমিটির প্লেনাম (পূর্ণাঙ্গ সভা) শেষ হলো গতকাল বৃহস্পতিবার। এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং।
২০ মিনিট আগে
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের পুলিশের মহাপরিদর্শকের কার্যালয় এবং সারাটোগা কাউন্টি শেরিফের কার্যালয়ের যৌথ তদন্তে জানা গেছে, মেহুলের এই অবৈধ কার্যকলাপের ফলে করদাতাদের ৫০ হাজার ডলার (প্রায় ৪০ লাখ রুপি) অপব্যবহার হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে