অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ওয়াশিংটনে গেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির। তাঁর এই সফর ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের প্রেক্ষাপটে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে আসিম মুনিরের এই সফর নজিরবিহীনও বটে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় আজ বুধবার হোয়াইট হাউসে মধ্যাহ্নভোজে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্টের সরকারি সময়সূচিতে এই বৈঠকের উল্লেখ রয়েছে। এই বৈঠক হোয়াইট হাউসের ক্যাবিনেট কক্ষে হবে এবং সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।
ইসলামাবাদে এই সফরকে বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, চলতি মাসের শুরুতে ভারতের একটি প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে দেখা করে। ভারতীয় গণমাধ্যম সেটিকে বড় সাফল্য হিসেবে তুলে ধরে। তখন পাকিস্তানি প্রতিনিধিরা এমন কোনো বৈঠক করতে পারেননি বলে তুলনা করা হচ্ছিল। এবার হোয়াইট হাউস থেকে মুনিরকে আমন্ত্রণ জানানোয় ইসলামাবাদে এটিকে ভারতীয় প্রচারণার জবাব হিসেবে দেখানো হচ্ছে।
গত মাসে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার আকাশপথে লড়াইয়ের পর এ ঘটনা পাকিস্তানের কূটনীতির জন্য বড় অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সংঘর্ষে দক্ষিণ এশিয়ায় পারমাণবিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেনাপ্রধান মুনির এখন পাঁচ দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।
গত মাসে পাকিস্তানের পাঁচ তারকা সেনা কর্মকর্তার পদে উন্নীত হন আসিম মুনির। ১৯৫৯ সালের পর এটাই প্রথম। সে সময় আইয়ুব খান এই পদে ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র সফরে তিনি এক বক্তব্যে ভারতকে ‘সভ্য রাষ্ট্রের’ মতো আচরণ করার আহ্বান জানান। বলেন, পাকিস্তানের ওপর কর্তৃত্ব দেখানোর চেষ্টা না করে আলোচনায় আসুক ভারত।
গত সোমবার রাতে ওয়াশিংটনের জর্জটাউন এলাকায় ফোর সিজনস হোটেলে প্রবাসী পাকিস্তানিদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন মুনির। সেখানে তিনি ভারতীয় দাবি জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেন। পেহেলগাম হামলার পেছনে পাকিস্তান রয়েছে—এমন অভিযোগকে তিনি ভারতীয় আগ্রাসনের অজুহাত বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ভারত আন্তর্জাতিক সীমান্ত লঙ্ঘনের মাধ্যমে একটি বিপজ্জনক ‘নতুন স্বাভাবিকতা’ গড়তে চায়। পাকিস্তান তা কখনোই মেনে নেবে না, বরং শহীদ হওয়াকে শ্রেয় মনে করবে।
হোটেলে মুনিরকে ফুল ছিটিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়। তাঁর প্রশংসায় স্লোগান দেন উপস্থিত ব্যক্তিরা। তবে হোটেলের বাইরে ছিল বিরোধী দল পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ। তাঁরা দেশে গণতান্ত্রিক সংস্কার ও বন্দী নেতাদের মুক্তির দাবি জানান। তবে তাঁদের কণ্ঠ হোটেলের ভেতরে পৌঁছায়নি।
বক্তব্যে সেনাপ্রধান মুনির আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন। বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরানকে ‘পরিষ্কার ও শক্ত সমর্থন’ দিচ্ছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টাকেও সমর্থন জানায় ইসলামাবাদ। মুনির বলেন, ‘আমরা চাই এই যুদ্ধ এখনই থেমে যাক।’
তবে সফরের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট খোরাসানের (আইএস-কে) বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে বাড়তি সহযোগিতা। গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল মাইকেল কুরিলা বলেন, আইএস-কের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তান ‘অসাধারণ অংশীদার’। বিশেষ করে পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে পরিচালিত অভিযানের জন্য তিনি প্রশংসা করেন।
মার্কিন কংগ্রেসের হাউস আর্মড সার্ভিসেস কমিটিকে কুরিলা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সহায়তায় পাকিস্তান আইএস-কের বহু সদস্য হত্যা করেছে। আটক করেছে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে। এর মধ্যে রয়েছে মোহাম্মদ শরিফুল্লাহ, যিনি কাবুলের অ্যাবি গেট বিস্ফোরণের অন্যতম পরিকল্পনাকারী। সেই হামলায় ১৩ মার্কিন সেনাসদস্য নিহত হন।
জেনারেল কুরিলা বলেন, ‘সবার আগে মুনির আমাকে ফোন করেন। বলেন, “আমি ওকে ধরেছি, যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠাতে প্রস্তুত। দয়া করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টকে জানান।”এরপরই শরিফুল্লাহকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা হয়।’
সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটিতেও জেনারেল কুরিলা বলেন, পাকিস্তান সীমান্ত এলাকায় আইএস-কে নির্মূলে ‘ডজন ডজন’ অভিযান চালিয়েছে। এখনো দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে পাকিস্তান। তিনি বলেন, তালেবান আইএস-কে সদস্যদের সীমান্ত এলাকায় ঠেলে দিয়েছে। সেসব জায়গা থেকে তারা আঞ্চলিক মিত্রদের ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা করছে।
২০২৪ সালে পাকিস্তানে এক হাজারেরও বেশি জঙ্গি হামলা হয়। এতে সাত শতাধিক নিরাপত্তাকর্মী ও আড়াই হাজারের মতো বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও পাকিস্তান সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টায় ‘অসাধারণ অংশীদার’ বলে মন্তব্য করেন কুরিলা।
প্রবাসীদের সঙ্গে আলাপে মুনির বলেন, দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে প্রবাসী পাকিস্তানিরা বড় ভূমিকা রাখছেন। তিনি মেধা পাচারের বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে একে ‘মেধা অর্জন’ বলে উল্লেখ করেন। সেনাপ্রধান দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি। কেউ একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমালোচনা করতে চাইলে তিনি নিরুৎসাহিত করেন। আরেকজন রসিকতা করে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের ‘সফটওয়্যার আপডেট’ করা উচিত। জবাবে মুনির বলেন, গণতান্ত্রিক সমাজে মত প্রকাশের অধিকার সুরক্ষিত থাকা উচিত।
আলোচনা শেষ হয় সেনাপ্রধান ও প্রবাসীদের পক্ষ থেকে একযোগে পাকিস্তানকে আরও শক্তিশালী ও টেকসই রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকারের মাধ্যমে।
আরও খবর পড়ুন:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ওয়াশিংটনে গেছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির। তাঁর এই সফর ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের প্রেক্ষাপটে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে আসিম মুনিরের এই সফর নজিরবিহীনও বটে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় আজ বুধবার হোয়াইট হাউসে মধ্যাহ্নভোজে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্টের সরকারি সময়সূচিতে এই বৈঠকের উল্লেখ রয়েছে। এই বৈঠক হোয়াইট হাউসের ক্যাবিনেট কক্ষে হবে এবং সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।
ইসলামাবাদে এই সফরকে বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, চলতি মাসের শুরুতে ভারতের একটি প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে দেখা করে। ভারতীয় গণমাধ্যম সেটিকে বড় সাফল্য হিসেবে তুলে ধরে। তখন পাকিস্তানি প্রতিনিধিরা এমন কোনো বৈঠক করতে পারেননি বলে তুলনা করা হচ্ছিল। এবার হোয়াইট হাউস থেকে মুনিরকে আমন্ত্রণ জানানোয় ইসলামাবাদে এটিকে ভারতীয় প্রচারণার জবাব হিসেবে দেখানো হচ্ছে।
গত মাসে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার আকাশপথে লড়াইয়ের পর এ ঘটনা পাকিস্তানের কূটনীতির জন্য বড় অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সংঘর্ষে দক্ষিণ এশিয়ায় পারমাণবিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সেনাপ্রধান মুনির এখন পাঁচ দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।
গত মাসে পাকিস্তানের পাঁচ তারকা সেনা কর্মকর্তার পদে উন্নীত হন আসিম মুনির। ১৯৫৯ সালের পর এটাই প্রথম। সে সময় আইয়ুব খান এই পদে ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র সফরে তিনি এক বক্তব্যে ভারতকে ‘সভ্য রাষ্ট্রের’ মতো আচরণ করার আহ্বান জানান। বলেন, পাকিস্তানের ওপর কর্তৃত্ব দেখানোর চেষ্টা না করে আলোচনায় আসুক ভারত।
গত সোমবার রাতে ওয়াশিংটনের জর্জটাউন এলাকায় ফোর সিজনস হোটেলে প্রবাসী পাকিস্তানিদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন মুনির। সেখানে তিনি ভারতীয় দাবি জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেন। পেহেলগাম হামলার পেছনে পাকিস্তান রয়েছে—এমন অভিযোগকে তিনি ভারতীয় আগ্রাসনের অজুহাত বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ভারত আন্তর্জাতিক সীমান্ত লঙ্ঘনের মাধ্যমে একটি বিপজ্জনক ‘নতুন স্বাভাবিকতা’ গড়তে চায়। পাকিস্তান তা কখনোই মেনে নেবে না, বরং শহীদ হওয়াকে শ্রেয় মনে করবে।
হোটেলে মুনিরকে ফুল ছিটিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়। তাঁর প্রশংসায় স্লোগান দেন উপস্থিত ব্যক্তিরা। তবে হোটেলের বাইরে ছিল বিরোধী দল পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ। তাঁরা দেশে গণতান্ত্রিক সংস্কার ও বন্দী নেতাদের মুক্তির দাবি জানান। তবে তাঁদের কণ্ঠ হোটেলের ভেতরে পৌঁছায়নি।
বক্তব্যে সেনাপ্রধান মুনির আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন। বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরানকে ‘পরিষ্কার ও শক্ত সমর্থন’ দিচ্ছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টাকেও সমর্থন জানায় ইসলামাবাদ। মুনির বলেন, ‘আমরা চাই এই যুদ্ধ এখনই থেমে যাক।’
তবে সফরের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট খোরাসানের (আইএস-কে) বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে বাড়তি সহযোগিতা। গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল মাইকেল কুরিলা বলেন, আইএস-কের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তান ‘অসাধারণ অংশীদার’। বিশেষ করে পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে পরিচালিত অভিযানের জন্য তিনি প্রশংসা করেন।
মার্কিন কংগ্রেসের হাউস আর্মড সার্ভিসেস কমিটিকে কুরিলা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সহায়তায় পাকিস্তান আইএস-কের বহু সদস্য হত্যা করেছে। আটক করেছে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে। এর মধ্যে রয়েছে মোহাম্মদ শরিফুল্লাহ, যিনি কাবুলের অ্যাবি গেট বিস্ফোরণের অন্যতম পরিকল্পনাকারী। সেই হামলায় ১৩ মার্কিন সেনাসদস্য নিহত হন।
জেনারেল কুরিলা বলেন, ‘সবার আগে মুনির আমাকে ফোন করেন। বলেন, “আমি ওকে ধরেছি, যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠাতে প্রস্তুত। দয়া করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টকে জানান।”এরপরই শরিফুল্লাহকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা হয়।’
সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটিতেও জেনারেল কুরিলা বলেন, পাকিস্তান সীমান্ত এলাকায় আইএস-কে নির্মূলে ‘ডজন ডজন’ অভিযান চালিয়েছে। এখনো দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে পাকিস্তান। তিনি বলেন, তালেবান আইএস-কে সদস্যদের সীমান্ত এলাকায় ঠেলে দিয়েছে। সেসব জায়গা থেকে তারা আঞ্চলিক মিত্রদের ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা করছে।
২০২৪ সালে পাকিস্তানে এক হাজারেরও বেশি জঙ্গি হামলা হয়। এতে সাত শতাধিক নিরাপত্তাকর্মী ও আড়াই হাজারের মতো বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও পাকিস্তান সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টায় ‘অসাধারণ অংশীদার’ বলে মন্তব্য করেন কুরিলা।
প্রবাসীদের সঙ্গে আলাপে মুনির বলেন, দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে প্রবাসী পাকিস্তানিরা বড় ভূমিকা রাখছেন। তিনি মেধা পাচারের বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে একে ‘মেধা অর্জন’ বলে উল্লেখ করেন। সেনাপ্রধান দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি। কেউ একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমালোচনা করতে চাইলে তিনি নিরুৎসাহিত করেন। আরেকজন রসিকতা করে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের ‘সফটওয়্যার আপডেট’ করা উচিত। জবাবে মুনির বলেন, গণতান্ত্রিক সমাজে মত প্রকাশের অধিকার সুরক্ষিত থাকা উচিত।
আলোচনা শেষ হয় সেনাপ্রধান ও প্রবাসীদের পক্ষ থেকে একযোগে পাকিস্তানকে আরও শক্তিশালী ও টেকসই রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকারের মাধ্যমে।
আরও খবর পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দেয় তবে তা মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিকে মারাত্মকভাবে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে বলে সতর্ক করেছেন রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে এই মন্তব্য করেন তিনি।
১১ মিনিট আগেগত মে মাসে চার দিনের সংঘাতের পরে থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবার ‘কাশ্মীর সমস্যা’ সমাধানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের...
৩০ মিনিট আগেইসরায়েলের টানা হামলার মুখে ইরানে বিশেষ করে রাজধানী তেহরানে অবস্থানের ক্ষেত্রে মারাত্মক নিরাপত্তাঝুঁকি দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রায় ৭০ জন নাগরিককে পাকিস্তান হয়ে দেশে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ঢাকা, তেহরান ও ইসলামাবাদ থেকে কূটনৈতিক সূত্রে এ কথা জানা গেছে।
৩৫ মিনিট আগেইসরায়েল ও ইরানের চলমান সংঘাতের মধ্যে বিশ্বের চোখ আরও একবার ঘুরে গেল মোহসেন ফাখরিজাদের দিকে। ইরানের গোপন পারমাণবিক কর্মসূচির ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে পরিচিত এই বিজ্ঞানী ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর এক চাঞ্চল্যকর ও প্রযুক্তিনির্ভর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন।
৩৭ মিনিট আগে