
আহমদ নাসেরের কথা দিয়েই শুরু করা যাক। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে উদ্গ্রীব এই ব্যক্তি তালেবানকে ভয় পান। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ অভিবাসী ভিসা পেতে আবেদনও করেছেন ৩০ বছর বয়সী এই ব্যক্তি। এই শঙ্কাটা স্বাভাবিকও। কিন্তু তিনি কি এক ভয় থেকে আরেক মহাভয়ের কাছে আশ্রয় নিতে চাইছেন?
এই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দেওয়াটা এই মুহূর্তে নাসেরের মতো লোকেদের পক্ষে সম্ভব নয়। ভয় এমনই। কিন্তু প্রশ্নটি জরুরি। নিঃসন্দেহে। আজ ১১ সেপ্টেম্বর। বিশ্বের ইতিহাসে অতি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর একটি হয়েছিল আজকের এই দিনে। দুই দশক আগে ২০০১ সালে আজকের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বিশ্ব বাণিজ্য ভবন বা টুইন টাওয়ারে এবং ওয়াশিংটনে পেন্টাগন ভবনে তিরের মতো এসে আছড়ে পড়েছিল উড়োজাহাজ। তাসের ঘরের মতো ধসে পড়েছিল সব। মুহূর্তের মধ্যে একটি সাদাসিধে দিন পরিণত হয় এক ভয়াবহ দিনে, যা গোটা বিশ্বে অনেকটা মহামারির মতো ছড়িয়ে দিয়েছে যুদ্ধের বাস্তবতা। আজও সেই বাস্তবতা থেকে বেরিয়ে আসেনি বিশ্ব।
৯/১১ হামলায় মোট ২ হাজার ৯৯৬ জন নিহত হয়েছিল। সারা বিশ্ব স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল সেই হামলায়। কিন্তু সেই বোবাবিস্ময়ই শেষ ছিল না। গোটা বিশ্বের মানুষ ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর দেখল, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ মার্কিন কংগ্রেসে দাঁড়িয়ে ‘সন্ত্রাসবাদের’ বিরুদ্ধে এক সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দিচ্ছেন। তখনো হয়তো মানুষ বোঝেনি ঠিক কী এবং কত ব্যাপক পরিসরে ঘটতে যাচ্ছে। কিন্তু আজ মানুষ জানে ৯/১১ গত দুই দশকে আফগানিস্তান তো বটেই বিশ্বের বহু দেশের ইতিহাসের গতিপথই বদলে দিয়েছে।
সেদিনের সেই ২ হাজার ৯৯৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর জবাব শুধু নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠীই পায়নি, কিংবা একটি প্রজন্মের মধ্য দিয়েও এই গল্পের যবনিকা পড়েনি। বরং প্রজন্মের পর প্রজন্ম এর মূল্য চুকিয়ে যাচ্ছে। কীভাবে? ব্রাউন ইউনিভার্সিটি `কস্টস অব ওয়ার প্রোজেক্ট' নামের এক গবেষণায় দেখিয়েছে, শুধু সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ৩ লাখ ৬৩ হাজার বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। এই সংখ্যা শুধু সরাসরি গুলিতে নিহতদের। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট নানা কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ধরলে তা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে বহু আগেই।
আজ যে আফগানরা দেশ ছেড়ে পালাতে চাইছেন, তাঁরা তালেবান নিয়ে ভীত। তাঁরা যে জীবনের স্বপ্ন দেখেন, সেই জীবনের পথে তাঁরা তালেবানকে বাধা মনে করেন। এ পর্যন্ত ঠিকই আছে। যে কারও নিজের স্বপ্নের পেছনে ধাওয়া করার অধিকার আছে। তালেবান যদি সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তবে তার আওতার বাইরে চলে যাওয়া বা তাকে রুখে দাঁড়ানো—যেকোনো একটি করাই উচিত। কিন্তু যখন এই তালেবান থেকে বাঁচতে তাঁরা এমন এক জায়গায় আশ্রয় খোঁজেন, যে কিনা আরও বেশি মৃত্যু ও ধ্বংসের কারণ, প্রশ্নটা তখনই দেখা দেয়।
গত ২৯ আগস্ট কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের বাইরে হওয়া আইএস হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র আইএস ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালায়। সাফল্য নিয়ে বেশ গদগদ বক্তব্যও দেয়। কিন্তু সেই হামলায় যে বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছিল, তা বেমালুম চেপে যায়। শুধু বেসামরিক নয়, নিহত ১০ জনের মধ্যে সাতজনই ছিল নিরীহ নারী ও শিশু। অর্থাৎ, একটি সামরিক হামলার দায় চোকাতে প্রাণ দিতে হলো বেসামরিক সাধারণ মানুষকে। এ ঘটনাই ঘটেছে গত দুই দশকে হরদম। ইরাকের আবু গারিব কারাগারের বীভৎস নির্যাতনের কথা তো কেউ ভোলেনি। রাসায়নিক অস্ত্রের দোহাই দিয়ে দেশটিতে চালানো মার্কিন হামলায় কত অজস্র বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই।
এই যে নিরীহ মানুষকে সামরিক হামলায় হত্যা করা, এটিই দেশে দেশে বুনে দিয়েছে নয়া সন্ত্রাসের বীজ। আফগানিস্তান, সিরিয়া, লেবানন, নাইজেরিয়া—যেদিকেই তাকানো যাক না কেন, এই একই বাস্তবতা দেখা যাবে। তথাকথিত ‘সন্ত্রাসবাদের’ কথা বলে, ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে কোনো একটি গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র শক্তিগুলো বিভিন্ন দেশে উদ্ধারকর্তা হিসেবে প্রবেশ করেছে। গণতন্ত্রসহ নানা চটকদার ধারণা সেখানে রপ্তানি করতে চেয়েছে। কিন্তু মানুষ তার সেই ব্যবস্থাপত্রকে সন্দেহ করেছে, যখন সে দেখেছে এই একই শক্তিগুলো বিভিন্ন দেশে সামরিক শাসন, কট্টরবাদ ইত্যাদিকে নিজেই পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্ধারকর্তা তো নয়ই, দখলদার হিসেবে দেখেছে। তারা যুক্তরাষ্ট্র প্রযোজিত সব যুদ্ধ ও (উদ্ধার) অভিযানকে দেখেছে আগ্রাসন হিসেবে। ফলে পুরো পশ্চিমা বিশ্বকেই তারা শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
গত দুই দশকের সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধ আদতে গোটা বিশ্বে এক ভয়াবহ রপ্তানি পণ্য হিসেবে সন্ত্রাসকে হাজির করেছে। এ থেকে বাদ যায়নি পশ্চিমা দেশও। একের পর এক আত্মঘাতী হামলা থেকে শুরু করে নানা ধরনের হামলার সাক্ষী হতে হয়েছে তাদের। বহু মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। স্ট্যাটিস্টার পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৬ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সময়ে গোটা বিশ্বে প্রতি বছর গড়ে ১০ হাজারের বেশি মানুষ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ছিল ২৫ হাজারের বেশি। তার আগের বছর ছিল ৩২ হাজার। এই নিহতের দল কিন্তু কোনো একটি নির্দিষ্ট দেশ বা অঞ্চলে আর সীমাবদ্ধ নেই। সুদূর নাইজেরিয়া থেকে শুরু করে বাংলাদেশ পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে এই মৃতেরা। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র নিজেও বাদ যায়নি।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জর্জ বুশের করা সর্বাত্মক যুদ্ধ সারা বিশ্বকে সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে পরিণত করেছে। শুধু তাই নয়, শুধু যুক্তরাষ্ট্র প্রযোজিত বলেই দুই দশক ব্যপ্তির এই যুদ্ধের কারণে প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেশে দেশে উদারবাদী রাজনীতিকেরা কোণঠাসা হয়েছেন। ফলে রাষ্ট্রীয় চর্চা অনেকাংশেই কট্টরবাদের দিকে ছুটেছে। আজ গোটা বিশ্বে কট্টরবাদ এবং নয়া রক্ষণশীলতা ও লোকরঞ্জনবাদের যে দাপট, তার মূলটি আদতে ওই ৯/১১ ও তার পরের দুই দশকের যুদ্ধের মধ্যেই রয়েছে।
আরও পড়ুন:

আহমদ নাসেরের কথা দিয়েই শুরু করা যাক। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে উদ্গ্রীব এই ব্যক্তি তালেবানকে ভয় পান। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ অভিবাসী ভিসা পেতে আবেদনও করেছেন ৩০ বছর বয়সী এই ব্যক্তি। এই শঙ্কাটা স্বাভাবিকও। কিন্তু তিনি কি এক ভয় থেকে আরেক মহাভয়ের কাছে আশ্রয় নিতে চাইছেন?
এই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দেওয়াটা এই মুহূর্তে নাসেরের মতো লোকেদের পক্ষে সম্ভব নয়। ভয় এমনই। কিন্তু প্রশ্নটি জরুরি। নিঃসন্দেহে। আজ ১১ সেপ্টেম্বর। বিশ্বের ইতিহাসে অতি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর একটি হয়েছিল আজকের এই দিনে। দুই দশক আগে ২০০১ সালে আজকের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বিশ্ব বাণিজ্য ভবন বা টুইন টাওয়ারে এবং ওয়াশিংটনে পেন্টাগন ভবনে তিরের মতো এসে আছড়ে পড়েছিল উড়োজাহাজ। তাসের ঘরের মতো ধসে পড়েছিল সব। মুহূর্তের মধ্যে একটি সাদাসিধে দিন পরিণত হয় এক ভয়াবহ দিনে, যা গোটা বিশ্বে অনেকটা মহামারির মতো ছড়িয়ে দিয়েছে যুদ্ধের বাস্তবতা। আজও সেই বাস্তবতা থেকে বেরিয়ে আসেনি বিশ্ব।
৯/১১ হামলায় মোট ২ হাজার ৯৯৬ জন নিহত হয়েছিল। সারা বিশ্ব স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল সেই হামলায়। কিন্তু সেই বোবাবিস্ময়ই শেষ ছিল না। গোটা বিশ্বের মানুষ ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর দেখল, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ মার্কিন কংগ্রেসে দাঁড়িয়ে ‘সন্ত্রাসবাদের’ বিরুদ্ধে এক সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দিচ্ছেন। তখনো হয়তো মানুষ বোঝেনি ঠিক কী এবং কত ব্যাপক পরিসরে ঘটতে যাচ্ছে। কিন্তু আজ মানুষ জানে ৯/১১ গত দুই দশকে আফগানিস্তান তো বটেই বিশ্বের বহু দেশের ইতিহাসের গতিপথই বদলে দিয়েছে।
সেদিনের সেই ২ হাজার ৯৯৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর জবাব শুধু নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠীই পায়নি, কিংবা একটি প্রজন্মের মধ্য দিয়েও এই গল্পের যবনিকা পড়েনি। বরং প্রজন্মের পর প্রজন্ম এর মূল্য চুকিয়ে যাচ্ছে। কীভাবে? ব্রাউন ইউনিভার্সিটি `কস্টস অব ওয়ার প্রোজেক্ট' নামের এক গবেষণায় দেখিয়েছে, শুধু সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ৩ লাখ ৬৩ হাজার বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। এই সংখ্যা শুধু সরাসরি গুলিতে নিহতদের। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট নানা কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ধরলে তা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে বহু আগেই।
আজ যে আফগানরা দেশ ছেড়ে পালাতে চাইছেন, তাঁরা তালেবান নিয়ে ভীত। তাঁরা যে জীবনের স্বপ্ন দেখেন, সেই জীবনের পথে তাঁরা তালেবানকে বাধা মনে করেন। এ পর্যন্ত ঠিকই আছে। যে কারও নিজের স্বপ্নের পেছনে ধাওয়া করার অধিকার আছে। তালেবান যদি সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তবে তার আওতার বাইরে চলে যাওয়া বা তাকে রুখে দাঁড়ানো—যেকোনো একটি করাই উচিত। কিন্তু যখন এই তালেবান থেকে বাঁচতে তাঁরা এমন এক জায়গায় আশ্রয় খোঁজেন, যে কিনা আরও বেশি মৃত্যু ও ধ্বংসের কারণ, প্রশ্নটা তখনই দেখা দেয়।
গত ২৯ আগস্ট কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের বাইরে হওয়া আইএস হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র আইএস ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালায়। সাফল্য নিয়ে বেশ গদগদ বক্তব্যও দেয়। কিন্তু সেই হামলায় যে বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছিল, তা বেমালুম চেপে যায়। শুধু বেসামরিক নয়, নিহত ১০ জনের মধ্যে সাতজনই ছিল নিরীহ নারী ও শিশু। অর্থাৎ, একটি সামরিক হামলার দায় চোকাতে প্রাণ দিতে হলো বেসামরিক সাধারণ মানুষকে। এ ঘটনাই ঘটেছে গত দুই দশকে হরদম। ইরাকের আবু গারিব কারাগারের বীভৎস নির্যাতনের কথা তো কেউ ভোলেনি। রাসায়নিক অস্ত্রের দোহাই দিয়ে দেশটিতে চালানো মার্কিন হামলায় কত অজস্র বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই।
এই যে নিরীহ মানুষকে সামরিক হামলায় হত্যা করা, এটিই দেশে দেশে বুনে দিয়েছে নয়া সন্ত্রাসের বীজ। আফগানিস্তান, সিরিয়া, লেবানন, নাইজেরিয়া—যেদিকেই তাকানো যাক না কেন, এই একই বাস্তবতা দেখা যাবে। তথাকথিত ‘সন্ত্রাসবাদের’ কথা বলে, ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে কোনো একটি গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র শক্তিগুলো বিভিন্ন দেশে উদ্ধারকর্তা হিসেবে প্রবেশ করেছে। গণতন্ত্রসহ নানা চটকদার ধারণা সেখানে রপ্তানি করতে চেয়েছে। কিন্তু মানুষ তার সেই ব্যবস্থাপত্রকে সন্দেহ করেছে, যখন সে দেখেছে এই একই শক্তিগুলো বিভিন্ন দেশে সামরিক শাসন, কট্টরবাদ ইত্যাদিকে নিজেই পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্ধারকর্তা তো নয়ই, দখলদার হিসেবে দেখেছে। তারা যুক্তরাষ্ট্র প্রযোজিত সব যুদ্ধ ও (উদ্ধার) অভিযানকে দেখেছে আগ্রাসন হিসেবে। ফলে পুরো পশ্চিমা বিশ্বকেই তারা শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
গত দুই দশকের সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধ আদতে গোটা বিশ্বে এক ভয়াবহ রপ্তানি পণ্য হিসেবে সন্ত্রাসকে হাজির করেছে। এ থেকে বাদ যায়নি পশ্চিমা দেশও। একের পর এক আত্মঘাতী হামলা থেকে শুরু করে নানা ধরনের হামলার সাক্ষী হতে হয়েছে তাদের। বহু মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। স্ট্যাটিস্টার পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৬ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সময়ে গোটা বিশ্বে প্রতি বছর গড়ে ১০ হাজারের বেশি মানুষ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ছিল ২৫ হাজারের বেশি। তার আগের বছর ছিল ৩২ হাজার। এই নিহতের দল কিন্তু কোনো একটি নির্দিষ্ট দেশ বা অঞ্চলে আর সীমাবদ্ধ নেই। সুদূর নাইজেরিয়া থেকে শুরু করে বাংলাদেশ পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে এই মৃতেরা। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র নিজেও বাদ যায়নি।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জর্জ বুশের করা সর্বাত্মক যুদ্ধ সারা বিশ্বকে সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে পরিণত করেছে। শুধু তাই নয়, শুধু যুক্তরাষ্ট্র প্রযোজিত বলেই দুই দশক ব্যপ্তির এই যুদ্ধের কারণে প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেশে দেশে উদারবাদী রাজনীতিকেরা কোণঠাসা হয়েছেন। ফলে রাষ্ট্রীয় চর্চা অনেকাংশেই কট্টরবাদের দিকে ছুটেছে। আজ গোটা বিশ্বে কট্টরবাদ এবং নয়া রক্ষণশীলতা ও লোকরঞ্জনবাদের যে দাপট, তার মূলটি আদতে ওই ৯/১১ ও তার পরের দুই দশকের যুদ্ধের মধ্যেই রয়েছে।
আরও পড়ুন:

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানবিরোধী হলেও তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। সোমবার (২৭ অক্টোবর) মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাহন এয়ার ফোর্স ওয়ানে চড়ে মালয়েশিয়া থেকে জাপানের টোকিও যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ওই ইঙ্গিত
১১ মিনিট আগে
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের কারাগার থেকে প্রায় পাঁচ বছর পর মুক্তি পেয়েছেন অভিনেত্রী ও মডেল ইনতিসার আল হাম্মাদি। গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) তাঁর আইনজীবী খালিদ আল কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইনতিসারের মামলাকে অন্যায্য ও নির্যাতনে পরিপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
অচেনা এক ব্যক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাহুলের তিন বোনের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও বানান। তারপর সেগুলো রাহুলের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেল শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত মানসিক যন্ত্রণায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন রাহুল।
২ ঘণ্টা আগে
ফেরত পাঠানো নাগরিকদের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। করনাল পুলিশ জানিয়েছে, কোনো দালালের বিরুদ্ধে এখনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ফেরত আসা ব্যক্তিদের তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানবিরোধী হলেও তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। সোমবার (২৭ অক্টোবর) মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাহন এয়ার ফোর্স ওয়ানে চড়ে মালয়েশিয়া থেকে জাপানের টোকিও যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ওই ইঙ্গিত দেন তিনি।
সম্প্রতি ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী স্টিভ ব্যানন বলেছেন, ‘ট্রাম্প ২০২৮ সালেও প্রেসিডেন্ট থাকবেন’। এই বিষয়টি উল্লেখ করে এক সাংবাদিক ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি আদালতে গিয়ে সংবিধানিক বাধাকে চ্যালেঞ্জ করতে আগ্রহী কি না।
উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘সত্যি বলতে আমি এ নিয়ে ভাবিনি। আমাদের কিছু চমৎকার মানুষ আছে। তবে আমার জনপ্রিয়তা এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে।’
প্রেসিডেন্ট যখন তাঁর ‘চমৎকার মানুষদের’ কথা বলছিলেন, তখন তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর নাম উল্লেখ করেন।
তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার বিষয়ে তিনি যোগ করেন, ‘আমি নিশ্চিত নই অন্য কেউ আবার প্রার্থী হতে চাইবে কি না। যদি সুযোগ থাকে, আমি মনে করি সেটা অপ্রতিরোধ্য হবে। আমি অবশ্যই করতে চাই। এখন আমার রেটিং সবচেয়ে ভালো।’
মার্কিন সংবিধানের ২২ তম সংশোধনী অনুযায়ী, কেউ দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট হতে পারেন না। এতে বলা আছে—‘কোনো ব্যক্তি দুই বারের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হতে পারবেন না।’
একজন সাংবাদিক জানতে চান, তিনি কি ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে এই নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে পারেন? ট্রাম্প বলেন, ‘আমি চাইলে পারতাম, কিন্তু সেটা করব না। এটা খুব চতুর শোনায়, যা মানুষ পছন্দ করবে না। ঠিকও হবে না।’
এই পর্যায়ে ট্রাম্প নিজের অর্জন গুনে জানান, তিনি ‘আটটি যুদ্ধের সমাধান’ করেছেন—যার মধ্যে সম্প্রতি কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড শান্তিচুক্তিও অন্তর্ভুক্ত। তিনি বলেন, ‘আমি কোটি মানুষের জীবন বাঁচিয়েছি। এটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
উল্লেখ্য, স্টিভ ব্যানন সম্প্রতি দ্য ইকোনমিস্ট-এর এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ট্রাম্প ২০২৮ সালেও প্রেসিডেন্ট হবেন। এর জন্য একটা পরিকল্পনা আছে, সময়মতো সেটি জানানো হবে।’
এর আগে ট্রাম্পও একাধিকবার এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের তিনি বলেন, ‘হয়তো আমি আর প্রার্থী হব না, যদি না আপনারা বলেন—ও এত ভালো, আমাদের কিছু করতে হবে।’
তবে গত বছর টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, তিনি সংবিধান চ্যালেঞ্জ করে তৃতীয় মেয়াদে প্রার্থী হতে চান না। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি চার বছর পূর্ণ মেয়াদে কাজ করতে চাই এবং সেটাই যথেষ্ট।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানবিরোধী হলেও তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। সোমবার (২৭ অক্টোবর) মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাহন এয়ার ফোর্স ওয়ানে চড়ে মালয়েশিয়া থেকে জাপানের টোকিও যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ওই ইঙ্গিত দেন তিনি।
সম্প্রতি ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী স্টিভ ব্যানন বলেছেন, ‘ট্রাম্প ২০২৮ সালেও প্রেসিডেন্ট থাকবেন’। এই বিষয়টি উল্লেখ করে এক সাংবাদিক ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি আদালতে গিয়ে সংবিধানিক বাধাকে চ্যালেঞ্জ করতে আগ্রহী কি না।
উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘সত্যি বলতে আমি এ নিয়ে ভাবিনি। আমাদের কিছু চমৎকার মানুষ আছে। তবে আমার জনপ্রিয়তা এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে।’
প্রেসিডেন্ট যখন তাঁর ‘চমৎকার মানুষদের’ কথা বলছিলেন, তখন তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর নাম উল্লেখ করেন।
তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার বিষয়ে তিনি যোগ করেন, ‘আমি নিশ্চিত নই অন্য কেউ আবার প্রার্থী হতে চাইবে কি না। যদি সুযোগ থাকে, আমি মনে করি সেটা অপ্রতিরোধ্য হবে। আমি অবশ্যই করতে চাই। এখন আমার রেটিং সবচেয়ে ভালো।’
মার্কিন সংবিধানের ২২ তম সংশোধনী অনুযায়ী, কেউ দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট হতে পারেন না। এতে বলা আছে—‘কোনো ব্যক্তি দুই বারের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হতে পারবেন না।’
একজন সাংবাদিক জানতে চান, তিনি কি ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে এই নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে পারেন? ট্রাম্প বলেন, ‘আমি চাইলে পারতাম, কিন্তু সেটা করব না। এটা খুব চতুর শোনায়, যা মানুষ পছন্দ করবে না। ঠিকও হবে না।’
এই পর্যায়ে ট্রাম্প নিজের অর্জন গুনে জানান, তিনি ‘আটটি যুদ্ধের সমাধান’ করেছেন—যার মধ্যে সম্প্রতি কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড শান্তিচুক্তিও অন্তর্ভুক্ত। তিনি বলেন, ‘আমি কোটি মানুষের জীবন বাঁচিয়েছি। এটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
উল্লেখ্য, স্টিভ ব্যানন সম্প্রতি দ্য ইকোনমিস্ট-এর এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ট্রাম্প ২০২৮ সালেও প্রেসিডেন্ট হবেন। এর জন্য একটা পরিকল্পনা আছে, সময়মতো সেটি জানানো হবে।’
এর আগে ট্রাম্পও একাধিকবার এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের তিনি বলেন, ‘হয়তো আমি আর প্রার্থী হব না, যদি না আপনারা বলেন—ও এত ভালো, আমাদের কিছু করতে হবে।’
তবে গত বছর টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, তিনি সংবিধান চ্যালেঞ্জ করে তৃতীয় মেয়াদে প্রার্থী হতে চান না। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি চার বছর পূর্ণ মেয়াদে কাজ করতে চাই এবং সেটাই যথেষ্ট।’

আহমদ নাসেরের কথা দিয়েই শুরু করা যাক। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে উদ্গ্রীব এই ব্যক্তি তালেবানকে ভয় পান। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ অভিবাসী ভিসা পেতে আবেদনও করেছেন ৩০ বছর বয়সী এই ব্যক্তি। এই শঙ্কাটা স্বাভাবিকও। কিন্তু তিনি কি এক ভয় থেকে আরেক মহা ভয়ের কাছে আশ্
১১ সেপ্টেম্বর ২০২১
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের কারাগার থেকে প্রায় পাঁচ বছর পর মুক্তি পেয়েছেন অভিনেত্রী ও মডেল ইনতিসার আল হাম্মাদি। গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) তাঁর আইনজীবী খালিদ আল কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইনতিসারের মামলাকে অন্যায্য ও নির্যাতনে পরিপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
অচেনা এক ব্যক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাহুলের তিন বোনের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও বানান। তারপর সেগুলো রাহুলের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেল শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত মানসিক যন্ত্রণায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন রাহুল।
২ ঘণ্টা আগে
ফেরত পাঠানো নাগরিকদের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। করনাল পুলিশ জানিয়েছে, কোনো দালালের বিরুদ্ধে এখনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ফেরত আসা ব্যক্তিদের তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের কারাগার থেকে প্রায় পাঁচ বছর পর মুক্তি পেয়েছেন অভিনেত্রী ও মডেল ইনতিসার আল হাম্মাদি। গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) তাঁর আইনজীবী খালিদ আল কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইনতিসারের মামলাকে অন্যায্য ও নির্যাতনে পরিপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছে।
আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইয়েমেনের হুতি-নিয়ন্ত্রিত রাজধানী সানায় ইনতিসারকে আটক করে বিদ্রোহীরা। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২০ বছর। পরে এক হুতি আদালত তাঁকে তথাকথিত ‘অশোভন আচরণ’ ও ‘মাদকদ্রব্য রাখার’ অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।
ইনতিসারের সঙ্গে সে সময় আরও তিন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ইনতিসার ও ইউসরা আল নাশরি একই মেয়াদের সাজা পান, অন্য দুই নারীকে যথাক্রমে এক ও তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ইনতিসারের গ্রেপ্তার ও বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে শুরু থেকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো সমালোচনায় মুখর ছিল। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, তাঁকে চোখ বেঁধে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এমনকি বর্ণবিদ্বেষমূলক গালাগালও দেওয়া হয়। জোর করে কয়েকটি অপরাধের স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছিল বলেও জানা গেছে।
২০২১ সালে মানবাধিকারকর্মীরা জানিয়েছিলেন, হতাশায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ইনতিসার। ইয়েমেনের বহু বিশিষ্ট নাগরিক তাঁর মুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলেছেন—ইনতিসারের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া জরুরি। তাঁদের মতে, এই মামলা হুতি-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে নারীদের ওপর নিপীড়ন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার দমননীতির প্রতীক।
ইনতিসার আল হাম্মাদি ইথিওপীয় মা ও ইয়েমেনি বাবার সন্তান। গ্রেপ্তারের আগে টানা চার বছর তিনি মডেল হিসেবে কাজ করেছেন এবং দুটি ইয়েমেনি টেলিভিশন সিরিজে অভিনয় করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে তিনি ঐতিহ্যবাহী পোশাক, জিন্স কিংবা লেদার জ্যাকেট পরা নানা ছবিতে হাজির হতেন। কখনো তিনি মাথায় ওড়না দিতেন, আবার কখনো উন্মুক্ত চুলে। ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে তাঁর হাজারো অনুসারী রয়েছে।
২০১৪ সালে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে হুতি-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে নারীদের ওপর সহিংসতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। জাতিসংঘ একে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকটগুলোর একটি বলে আখ্যা দিয়েছে।

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের কারাগার থেকে প্রায় পাঁচ বছর পর মুক্তি পেয়েছেন অভিনেত্রী ও মডেল ইনতিসার আল হাম্মাদি। গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) তাঁর আইনজীবী খালিদ আল কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইনতিসারের মামলাকে অন্যায্য ও নির্যাতনে পরিপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছে।
আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইয়েমেনের হুতি-নিয়ন্ত্রিত রাজধানী সানায় ইনতিসারকে আটক করে বিদ্রোহীরা। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২০ বছর। পরে এক হুতি আদালত তাঁকে তথাকথিত ‘অশোভন আচরণ’ ও ‘মাদকদ্রব্য রাখার’ অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।
ইনতিসারের সঙ্গে সে সময় আরও তিন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ইনতিসার ও ইউসরা আল নাশরি একই মেয়াদের সাজা পান, অন্য দুই নারীকে যথাক্রমে এক ও তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ইনতিসারের গ্রেপ্তার ও বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে শুরু থেকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো সমালোচনায় মুখর ছিল। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, তাঁকে চোখ বেঁধে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এমনকি বর্ণবিদ্বেষমূলক গালাগালও দেওয়া হয়। জোর করে কয়েকটি অপরাধের স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছিল বলেও জানা গেছে।
২০২১ সালে মানবাধিকারকর্মীরা জানিয়েছিলেন, হতাশায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ইনতিসার। ইয়েমেনের বহু বিশিষ্ট নাগরিক তাঁর মুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলেছেন—ইনতিসারের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া জরুরি। তাঁদের মতে, এই মামলা হুতি-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে নারীদের ওপর নিপীড়ন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার দমননীতির প্রতীক।
ইনতিসার আল হাম্মাদি ইথিওপীয় মা ও ইয়েমেনি বাবার সন্তান। গ্রেপ্তারের আগে টানা চার বছর তিনি মডেল হিসেবে কাজ করেছেন এবং দুটি ইয়েমেনি টেলিভিশন সিরিজে অভিনয় করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে তিনি ঐতিহ্যবাহী পোশাক, জিন্স কিংবা লেদার জ্যাকেট পরা নানা ছবিতে হাজির হতেন। কখনো তিনি মাথায় ওড়না দিতেন, আবার কখনো উন্মুক্ত চুলে। ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে তাঁর হাজারো অনুসারী রয়েছে।
২০১৪ সালে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে হুতি-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে নারীদের ওপর সহিংসতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। জাতিসংঘ একে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকটগুলোর একটি বলে আখ্যা দিয়েছে।

আহমদ নাসেরের কথা দিয়েই শুরু করা যাক। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে উদ্গ্রীব এই ব্যক্তি তালেবানকে ভয় পান। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ অভিবাসী ভিসা পেতে আবেদনও করেছেন ৩০ বছর বয়সী এই ব্যক্তি। এই শঙ্কাটা স্বাভাবিকও। কিন্তু তিনি কি এক ভয় থেকে আরেক মহা ভয়ের কাছে আশ্
১১ সেপ্টেম্বর ২০২১
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানবিরোধী হলেও তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। সোমবার (২৭ অক্টোবর) মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাহন এয়ার ফোর্স ওয়ানে চড়ে মালয়েশিয়া থেকে জাপানের টোকিও যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ওই ইঙ্গিত
১১ মিনিট আগে
অচেনা এক ব্যক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাহুলের তিন বোনের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও বানান। তারপর সেগুলো রাহুলের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেল শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত মানসিক যন্ত্রণায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন রাহুল।
২ ঘণ্টা আগে
ফেরত পাঠানো নাগরিকদের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। করনাল পুলিশ জানিয়েছে, কোনো দালালের বিরুদ্ধে এখনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ফেরত আসা ব্যক্তিদের তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফারিদাবাদের ১৯ বছর তরুণ রাহুল ভারতী। রাহুল স্থানীয় ডিএভি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিন বোন ও মা-বাবাকে নিয়ে বেশ সুখেই দিন কাটাচ্ছিলেন রাহুল। তবে সম্প্রতি তাঁর জীবনে নেমে আসে এক দুর্বিষহ অন্ধকার।
অচেনা এক ব্যক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাহুলের তিন বোনের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও বানান। তারপর সেগুলো রাহুলের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেল শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত মানসিক যন্ত্রণায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন রাহুল।
রাহুলের বাবা মনোজ ভারতী এনডিটিভিকে জানান, দুই সপ্তাহ ধরে রাহুল মানসিকভাবে ভীষণ অস্থির ছিলেন। অচেনা এক ব্যক্তি রাহুলের হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর তিন বোনের নগ্ন ছবি ও ভিডিও তৈরি করে পাঠাচ্ছিলেন এবং টাকা দাবি করছিলেন। তিনি আরও জানান, রাহুল ঠিকমতো খেতেন না, দিনভর ঘরে চুপচাপ থাকতেন। এসব নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলেন।
পুলিশের তদন্তে রাহুলের হোয়াটসঅ্যাপে ‘সাহিল’ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে কথোপকথন পাওয়া গেছে। সেখানে রাহুলকে অশ্লীল ভিডিও ও ছবি পাঠিয়ে ২০ হাজার রুপি দাবি করেছিলেন ওই ব্যক্তি।
হোয়াটঅ্যাপের কথোপকথনে দেখা গেছে, তাঁদের মধ্যে একাধিকবার অডিও ও ভিডিও কলে কথা হয়েছে। একপর্যায়ে সাহিল রাহুলকে লোকেশন পাঠিয়ে লিখেছিলেন, ‘আজা মেরে পাস’ (আমার কাছে চলে আসো)। শেষ কথোপকথনে সাহিল হুমকি দেন, টাকা না দিলে সব ছবি–ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেবেন।
ওই ব্যক্তি রাহুলকে আত্মহত্যা করতেও প্ররোচিত করেন এবং কোন ওষুধ খেলে মৃত্যু হবে, তা-ও বলে দেন।
গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাহুল কিছু ওষুধ খান। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান, কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
রাহুলের বাবা মনোজ বলেন, ‘কেউ আমার মেয়েদের অশ্লীল ভিডিও ও ছবি রাহুলের ফোনে পাঠিয়ে হুমকি দিচ্ছিল। তারা হুমকি দিচ্ছিল—টাকা না দিলে এগুলো ভাইরাল করে দেবে। এতে রাহুল ভীষণ মানসিক চাপে ছিল। এই যন্ত্রণায় সে আত্মহত্যা করে।’
রাহুলের মা মীনা দেবী অভিযোগ করেছেন, তাঁর ভাশুর নীরজ ভারতী এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে রাহুলের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল। প্রায় ছয় মাস আগে পারিবারিক ঝগড়ার পর থেকে তাঁদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। তিনি দাবি করেন, নীরজ একটি মেয়ের সঙ্গে মিলে পুরো ঘটনা পরিকল্পনা করেছেন।
রাহুলের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
তদন্ত কর্মকর্তা সুনীল কুমার জানান, রাহুল বিষ পান করেছিলেন। পরে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হয়েছে। রাহুলের মোবাইল ফোনের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। এসব তথ্য অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফারিদাবাদের ১৯ বছর তরুণ রাহুল ভারতী। রাহুল স্থানীয় ডিএভি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিন বোন ও মা-বাবাকে নিয়ে বেশ সুখেই দিন কাটাচ্ছিলেন রাহুল। তবে সম্প্রতি তাঁর জীবনে নেমে আসে এক দুর্বিষহ অন্ধকার।
অচেনা এক ব্যক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাহুলের তিন বোনের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও বানান। তারপর সেগুলো রাহুলের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেল শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত মানসিক যন্ত্রণায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন রাহুল।
রাহুলের বাবা মনোজ ভারতী এনডিটিভিকে জানান, দুই সপ্তাহ ধরে রাহুল মানসিকভাবে ভীষণ অস্থির ছিলেন। অচেনা এক ব্যক্তি রাহুলের হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর তিন বোনের নগ্ন ছবি ও ভিডিও তৈরি করে পাঠাচ্ছিলেন এবং টাকা দাবি করছিলেন। তিনি আরও জানান, রাহুল ঠিকমতো খেতেন না, দিনভর ঘরে চুপচাপ থাকতেন। এসব নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলেন।
পুলিশের তদন্তে রাহুলের হোয়াটসঅ্যাপে ‘সাহিল’ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে কথোপকথন পাওয়া গেছে। সেখানে রাহুলকে অশ্লীল ভিডিও ও ছবি পাঠিয়ে ২০ হাজার রুপি দাবি করেছিলেন ওই ব্যক্তি।
হোয়াটঅ্যাপের কথোপকথনে দেখা গেছে, তাঁদের মধ্যে একাধিকবার অডিও ও ভিডিও কলে কথা হয়েছে। একপর্যায়ে সাহিল রাহুলকে লোকেশন পাঠিয়ে লিখেছিলেন, ‘আজা মেরে পাস’ (আমার কাছে চলে আসো)। শেষ কথোপকথনে সাহিল হুমকি দেন, টাকা না দিলে সব ছবি–ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেবেন।
ওই ব্যক্তি রাহুলকে আত্মহত্যা করতেও প্ররোচিত করেন এবং কোন ওষুধ খেলে মৃত্যু হবে, তা-ও বলে দেন।
গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাহুল কিছু ওষুধ খান। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান, কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
রাহুলের বাবা মনোজ বলেন, ‘কেউ আমার মেয়েদের অশ্লীল ভিডিও ও ছবি রাহুলের ফোনে পাঠিয়ে হুমকি দিচ্ছিল। তারা হুমকি দিচ্ছিল—টাকা না দিলে এগুলো ভাইরাল করে দেবে। এতে রাহুল ভীষণ মানসিক চাপে ছিল। এই যন্ত্রণায় সে আত্মহত্যা করে।’
রাহুলের মা মীনা দেবী অভিযোগ করেছেন, তাঁর ভাশুর নীরজ ভারতী এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে রাহুলের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল। প্রায় ছয় মাস আগে পারিবারিক ঝগড়ার পর থেকে তাঁদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। তিনি দাবি করেন, নীরজ একটি মেয়ের সঙ্গে মিলে পুরো ঘটনা পরিকল্পনা করেছেন।
রাহুলের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
তদন্ত কর্মকর্তা সুনীল কুমার জানান, রাহুল বিষ পান করেছিলেন। পরে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হয়েছে। রাহুলের মোবাইল ফোনের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। এসব তথ্য অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আহমদ নাসেরের কথা দিয়েই শুরু করা যাক। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে উদ্গ্রীব এই ব্যক্তি তালেবানকে ভয় পান। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ অভিবাসী ভিসা পেতে আবেদনও করেছেন ৩০ বছর বয়সী এই ব্যক্তি। এই শঙ্কাটা স্বাভাবিকও। কিন্তু তিনি কি এক ভয় থেকে আরেক মহা ভয়ের কাছে আশ্
১১ সেপ্টেম্বর ২০২১
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানবিরোধী হলেও তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। সোমবার (২৭ অক্টোবর) মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাহন এয়ার ফোর্স ওয়ানে চড়ে মালয়েশিয়া থেকে জাপানের টোকিও যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ওই ইঙ্গিত
১১ মিনিট আগে
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের কারাগার থেকে প্রায় পাঁচ বছর পর মুক্তি পেয়েছেন অভিনেত্রী ও মডেল ইনতিসার আল হাম্মাদি। গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) তাঁর আইনজীবী খালিদ আল কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইনতিসারের মামলাকে অন্যায্য ও নির্যাতনে পরিপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
ফেরত পাঠানো নাগরিকদের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। করনাল পুলিশ জানিয়েছে, কোনো দালালের বিরুদ্ধে এখনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ফেরত আসা ব্যক্তিদের তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অবৈধ পথে প্রবেশের অভিযোগে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ৫৪ জন নাগরিককে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল রোববার দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩-এ অবতরণ করে তাঁদের বহনকারী ওএই-৪৭৬৭ ফ্লাইটটি।
ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় এসব তরুণ ‘ডানকি রুট’ নামে পরিচিত অবৈধ পথ ব্যবহার করেছিলেন। এই রুটের মাধ্যমে দালাল চক্র ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ ঘুরিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে মানব পাচার করে।
পুলিশ জানায়, ফেরত আসা ৫৪ জনের মধ্যে ১৬ জন করনাল জেলার, ১৫ জন কাইথালের, পাঁচজন আম্বালার, চারজন যমুনানগরের, চারজন কুরুক্ষেত্রের, তিনজন জিন্দের, দুজন সোনিপাতের এবং একজন করে পঞ্চকুলা, পানিপথ, রোহতক ও ফতেহাবাদ জেলার।
দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেরত পাঠানো নাগরিকদের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। করনাল পুলিশ জানিয়েছে, কোনো দালালের বিরুদ্ধে এখনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ফেরত আসা ব্যক্তিদের তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
করনাল জেলার উপপুলিশ সুপার (ডিএসপি) সন্দীপ কুমার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও কয়েকজন ভারতীয়কে ফেরত পাঠানো হয়েছে, এর মধ্যে প্রায় ৫০ জন হরিয়ানার বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে করনাল জেলার প্রায় ১৬ জন। এই ব্যক্তিরা ডানকি রুট ব্যবহার করে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন। আমরা তাঁদের ফিরিয়ে এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। কোনো দালালের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া যায়নি, তবে তদন্ত চলছে। কেউ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন কি না, তা তদন্তে জানা যাবে।’
সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধভাবে প্রবেশকারীদের ফেরত পাঠানোর ঘটনা বেড়েছে। চলতি বছরই যুক্তরাষ্ট্র শত শত ভারতীয় নাগরিককে অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে ফেরত পাঠিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুসারে, যাঁরা বৈধ কাগজপত্র ছাড়া দেশটিতে অবস্থান করেন বা অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করেন, তাঁদের সবাইকে ফেরত পাঠানো হবে।
২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ৭৫৬ ভারতীয়কে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ছিল ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪২ জন এবং ২০২০ সালে ১ হাজার ৮৮৯ জন। পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে প্রায় ৭ লাখ ২৫ হাজার ভারতীয় নাগরিক অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন।

অবৈধ পথে প্রবেশের অভিযোগে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ৫৪ জন নাগরিককে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল রোববার দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩-এ অবতরণ করে তাঁদের বহনকারী ওএই-৪৭৬৭ ফ্লাইটটি।
ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় এসব তরুণ ‘ডানকি রুট’ নামে পরিচিত অবৈধ পথ ব্যবহার করেছিলেন। এই রুটের মাধ্যমে দালাল চক্র ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ ঘুরিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে মানব পাচার করে।
পুলিশ জানায়, ফেরত আসা ৫৪ জনের মধ্যে ১৬ জন করনাল জেলার, ১৫ জন কাইথালের, পাঁচজন আম্বালার, চারজন যমুনানগরের, চারজন কুরুক্ষেত্রের, তিনজন জিন্দের, দুজন সোনিপাতের এবং একজন করে পঞ্চকুলা, পানিপথ, রোহতক ও ফতেহাবাদ জেলার।
দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেরত পাঠানো নাগরিকদের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। করনাল পুলিশ জানিয়েছে, কোনো দালালের বিরুদ্ধে এখনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ফেরত আসা ব্যক্তিদের তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
করনাল জেলার উপপুলিশ সুপার (ডিএসপি) সন্দীপ কুমার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও কয়েকজন ভারতীয়কে ফেরত পাঠানো হয়েছে, এর মধ্যে প্রায় ৫০ জন হরিয়ানার বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে করনাল জেলার প্রায় ১৬ জন। এই ব্যক্তিরা ডানকি রুট ব্যবহার করে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন। আমরা তাঁদের ফিরিয়ে এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। কোনো দালালের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া যায়নি, তবে তদন্ত চলছে। কেউ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন কি না, তা তদন্তে জানা যাবে।’
সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধভাবে প্রবেশকারীদের ফেরত পাঠানোর ঘটনা বেড়েছে। চলতি বছরই যুক্তরাষ্ট্র শত শত ভারতীয় নাগরিককে অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে ফেরত পাঠিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুসারে, যাঁরা বৈধ কাগজপত্র ছাড়া দেশটিতে অবস্থান করেন বা অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করেন, তাঁদের সবাইকে ফেরত পাঠানো হবে।
২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ৭৫৬ ভারতীয়কে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ছিল ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪২ জন এবং ২০২০ সালে ১ হাজার ৮৮৯ জন। পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে প্রায় ৭ লাখ ২৫ হাজার ভারতীয় নাগরিক অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন।

আহমদ নাসেরের কথা দিয়েই শুরু করা যাক। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে উদ্গ্রীব এই ব্যক্তি তালেবানকে ভয় পান। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ অভিবাসী ভিসা পেতে আবেদনও করেছেন ৩০ বছর বয়সী এই ব্যক্তি। এই শঙ্কাটা স্বাভাবিকও। কিন্তু তিনি কি এক ভয় থেকে আরেক মহা ভয়ের কাছে আশ্
১১ সেপ্টেম্বর ২০২১
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানবিরোধী হলেও তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। সোমবার (২৭ অক্টোবর) মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাহন এয়ার ফোর্স ওয়ানে চড়ে মালয়েশিয়া থেকে জাপানের টোকিও যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ওই ইঙ্গিত
১১ মিনিট আগে
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের কারাগার থেকে প্রায় পাঁচ বছর পর মুক্তি পেয়েছেন অভিনেত্রী ও মডেল ইনতিসার আল হাম্মাদি। গতকাল রোববার (২৬ অক্টোবর) তাঁর আইনজীবী খালিদ আল কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইনতিসারের মামলাকে অন্যায্য ও নির্যাতনে পরিপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
অচেনা এক ব্যক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাহুলের তিন বোনের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও বানান। তারপর সেগুলো রাহুলের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেল শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত মানসিক যন্ত্রণায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন রাহুল।
২ ঘণ্টা আগে