Ajker Patrika

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র থেকে ইসরায়েলকে বাঁচাতে যুক্তরাষ্ট্রের খসল ৮০০ মিলিয়ন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৯ জুন ২০২৫, ১২: ২৬
যুক্তরাষ্ট্রের থাড প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের থাড প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। ছবি: সংগৃহীত

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থাড প্রতিরক্ষাব্যবস্থার প্রায় ১৫-২০ শতাংশ মজুত ব্যবহার করেছে। এতে দেশটির মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৮০০ মিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিভিন্ন সামরিক ও বিশ্লেষক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। এ ছাড়া নিউজউইকসহ একাধিক পশ্চিমা গণমাধ্যমে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

তেহরান টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুনের ১৩ তারিখ থেকে শুরু হওয়া ১২ দিনের যুদ্ধে ইরান ‘ট্রু প্রমিস থ্রি’ অভিযানের অংশ হিসেবে ইসরায়েলের দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বিভিন্ন সামরিক, পরমাণু ও শিল্প স্থাপনায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। এর মধ্যে ছিল হাইপারসনিক ‘ফাতাহ-১’-এর মতো উন্নত ক্ষেপণাস্ত্রও। ইরান তেল আবিব, হাইফা ও বেয়ের শেভার মতো গুরুত্বপূর্ণ নগরীর ওপর হামলা চালিয়েছে—যেগুলো ইসরায়েলের অর্থনৈতিক কেন্দ্র, গভীর সমুদ্রবন্দর ও প্রযুক্তিগত বিকাশের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।

থাড সিস্টেমের প্রতি ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্রের খরচ ১২-১৫ মিলিয়ন ডলার। প্রতিবছর লকহিড মার্টিন এ ধরনের সর্বোচ্চ ৫০-৬০টি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, সম্প্রতি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে ইসরায়েলকে রক্ষা করতে যুক্তরাষ্ট্রের থাড মজুতে টান পড়েছে।

থাড হলো একধরনের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। এটি উচ্চমাত্রার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে তৈরি করা হয়। ইরানের কম উচ্চতায় চলা ও উচ্চগতির হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে এটি ব্যবহার করে ইসরায়েল। কিন্তু ইরান একসঙ্গে এত পরিমাণ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে—যেখানে মূল লক্ষ্যবস্তুর পাশাপাশি বিভ্রান্তিমূলক লক্ষ্যও ছিল। ফলে ইসরায়েলকে রক্ষা করতে ব্যবহৃত মার্কিন প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থাড ও অন্যান্য সিস্টেমের বেশির ভাগই ব্যর্থ হয়। বিশেষ করে ১৮ জুনের হামলায় ইরান তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে হামলার মাধ্যমে থাড ও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে অতিরিক্ত ব্যস্ত রাখে, এতে তারা নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়।

এই পরিস্থিতিকে বিশ্লেষকেরা ‘অসম প্রতিরক্ষা সংকট’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যেখানে শক্তিশালী প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও একযোগে আসা বিপুল আক্রমণ সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

কিন্তু যেভাবেই হোক, এই ব্যয়বহুল ও সীমিত মজুতের থাড ব্যবহারের ফলে মার্কিন প্রতিরক্ষা নীতির ওপর চাপ বেড়েছে। একই সঙ্গে ইরানের সামরিক সক্ষমতা ও আঞ্চলিক প্রভাব নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরক্ষা কৌশল পুনর্মূল্যায়নের সময় এসেছে—বিশেষত এমন পরিস্থিতিতে যেখানে ইরান তার প্রযুক্তি ও কৌশলে আধিপত্য দেখাতে সক্ষম হচ্ছে।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল চালুতে বাধা, রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে টানাপোড়েন

বৈপ্লবিক পরিবর্তন করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে

ব্যাংকের চাকরি যায় জাল সনদে, একই নথি দিয়ে বাগালেন স্কুল সভাপতির পদ

ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ নিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে এবি ব্যাংক

রাশিয়া খুবই বড় শক্তি, চুক্তি ছাড়া ইউক্রেনের কোনো গতি নেই: ট্রাম্প

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত