মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
জাহীদ রেজা নূর, নিউইয়র্ক থেকে

শুক্রবার সকাল থেকেই নিউইয়র্ক মহানগরের আকাশের মুখ ভার। আকাশজুড়ে মেঘের দৌরাত্ম্য। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে অবশ্য বলা হয়েছে, কখনো কখনো একটু সূর্যের মুখ দেখাও যেতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোন প্রার্থীর জীবনটাই আপাতত মেঘলা করে দেবে, আর কোন প্রার্থীর মুখে এনে দেবে ঝকঝকে রোদ্দুর, তা জানা যাবে আর কটা দিন পরই।
বরাবরের মতো এবারও দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোই ঠিক করে দেবে কে হবেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মাত্র কয়েকটি অঙ্গরাজ্যই পাল্টে দেয় সব হিসাব-নিকাশ। দেশটির বেশির ভাগ অঙ্গরাজ্যই আগে থেকে ঠিক করে নেয়, কার পক্ষে যাবে। এই যেমন নিউইয়র্ক হলো ডেমোক্র্যাটদের ঘাঁটি। এই অঙ্গরাজ্যের মানুষ এখন পর্যন্ত নীল ডেমোক্র্যাটদের ওপরই ভরসা রেখে চলেছে। তেমনি কানেটিকাট, ভারমন্ট, নিউ হ্যাম্পশায়ার, নিউজার্সি, ক্যালিফোর্নিয়া, অরেগন, ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যও ডেমোক্র্যাটদের বিশ্বাস করে এসেছে সব সময়। অন্যদিকে লাল রিপাবলিকানদেরই ভালোবাসে অ্যালাবামা, আরকানসাস, ওয়াইওমিং, আলাস্কার মতো অঙ্গরাজ্যগুলো। এই অঙ্গরাজ্যগুলোয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা খুব বেশি চাপের মধ্যে থাকেন না। যারা নীল, তারা সব সময়ই নীল। যারা লাল, তারা সব সময়ই লাল। যে রাজ্যগুলোকে সহজেই লাল-নীলে ভাগ করা যায় না, সেখানেই যত জ্বালা আর স্নায়ুর চাপ। এ রকম অঙ্গরাজ্যগুলোর মানুষের মন ভজাতে কী কষ্টটাই না করতে হয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের! এবার কমলা হ্যারিস আর ডোনাল্ড ট্রাম্পও বুঝতে পারছেন, এই অঙ্গরাজ্যগুলোই তাঁদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে।
দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলো তাই সব রাজনীতিবিদ ও সংবাদমাধ্যমের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। এসব রাজ্যে যাঁরা এখনো স্থির করেননি কাকে ভোট দেবেন, তাঁদের নিজের দিকে টানতে প্রাণপাত করে থাকেন প্রার্থীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সরাসরি ভোট হয় না। এখানে আছে ‘ইলেকটোরাল কলেজ’ বা নির্বাচকমণ্ডলী নামের একটি ব্যবস্থা। কোনো অঙ্গরাজ্যের জনগণ যাঁকে বেশি ভোট দেয়, তাঁর ভাগ্যেই যায় রাজ্যটির সব ‘ইলেকটোরাল ভোট’। একেই বলে ‘উইনার টেক অল’ পদ্ধতি। যেমন জনবহুল নিউইয়র্কে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ২৮, ক্যালিফোর্নিয়ায় আরও বেশি, ৫৪টি। আবার জনবিরল উত্তর ডাকোটায় মাত্র ৩টি। মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে যে প্রার্থী ২৭০টি বা তার বেশি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পাবেন, তিনিই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।
কোন রাজ্যগুলো দোদুল্যমান
সব সময় একই অঙ্গরাজ্য দোদুল্যমান থাকে, তা নয়। এটা নির্ভর করে জনসংখ্যা, সামাজিক ঘটনাবলি এবং চলতি অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর। অর্থনীতিকে তালিকার প্রথমেই রাখতে হয়। তবে এ বছর গর্ভপাত প্রসঙ্গটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে নির্বাচনে। গত শতকের সত্তরের দশকে সুপ্রিম কোর্ট গর্ভপাতের পক্ষে যে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিলেন, সে রায় ভঙ্গ করে কোনো অঙ্গরাজ্য গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা নিতে পারত না। কিন্তু ২০২২ সালে গর্ভপাতবিরোধী সুপ্রিম কোর্টের আরেকটি আলোচিত রায় অঙ্গরাজ্যগুলোকে ইচ্ছেমতো গর্ভপাতবিরোধী অবস্থানে যাওয়ার পথ খুলে দিয়েছে। এতে অনেক নারী ক্ষুব্ধ। কমলা হ্যারিস লড়ছেন নারীর গর্ভপাতের অধিকার ফিরে পেতে। ট্রাম্প সেটা চান না। কিন্তু বোঝাই যাচ্ছে, এই নির্বাচনে গর্ভপাত একটি জোরালো ঘটনা, যার ওপর প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা-ও অনেকটা নির্ভর করছে।
আমরা এবার দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর দিকে দৃষ্টি দিই। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যই অর্থনীতি ও জাতীয় প্রশ্নের পাশাপাশি রাজ্যের নিজস্ব সংকট ও সমস্যাকেও ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনায় রাখে।
আরিজোনা’
আরিজোনার মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো অভিবাসন। আরিজোনার পাশেই মেক্সিকো। ফলে সীমান্ত গলে অভিবাসীরা বেআইনিভাবে ঢুকে পড়ছে এই রাজ্যে। জো বাইডেন তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে প্রতিবেশী এই দেশের সঙ্গে আমেরিকার সমস্যার ‘মূল কারণ’ মোকাবিলা করে সীমান্ত সংকট সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু কমলা তাতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অনেকেই মনে করেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প সে সুযোগটা নির্বাচনী প্রচারণায় কাজে লাগাচ্ছেন।
মেক্সিকো থেকে বিপুল জনস্রোত এসে মিশে যাচ্ছে আরিজোনায়, ফলে তা জনসংখ্যার দিক থেকে হয়ে উঠছে বর্ধিষ্ণু। এই রাজ্যের এক-তৃতীয়াংশ মানুষই লাতিন আমেরিকার বংশোদ্ভূত। লাতিনেরাই এখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় ভূমিকা রাখবে।
২০২০ সালে আরিজোনায় জিতেছিলেন জো বাইডেন। আরিজোনার জন্য রয়েছে ১১টি ইলেকটোরাল ভোট।
জর্জিয়া
১৯৯২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জর্জিয়ায় জয়ী হয়েছেন রিপাবলিকানরা। শুধু ২০২০ সালে এসে দেখা গেল লাল জর্জিয়া এবার নীল হয়েছে। তবে হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ট্রাম্প পেয়েছিলেন মাত্র ০.২ শতাংশ কম ভোট। এই অঙ্গরাজ্যের ৩৩ শতাংশ মানুষ কৃষ্ণাঙ্গ। কমলা হ্যারিস তাদের কাছে অগ্রাধিকার পেতে পারেন।
জর্জিয়ার একটি গ্র্যান্ড জুরি ২০২০ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে উল্টে দিতে চেয়েছেন বলে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করেছিল। এখন মামলাটি স্থগিত রয়েছে এবং নির্বাচনের আগপর্যন্ত তা বিচারের দিকে গড়াবে না।
২০২০ সালে জর্জিয়ায় জয়ী হয়েছিলেন জো বাইডেন। এই রাজ্যে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ১৬।
মিশিগান
গাড়িশিল্পের জন্য বিখ্যাত মিশিগান। ডেট্রয়েট শহরটির কথাই ধরুন, এটি ফোর্ড, জেনারেল মোটরস, ক্রাইসলার গাড়ির জন্মভূমি। এই রাজ্যের লোকজনের জন্য গাড়ি কারখানায় চাকরি পাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। বাইডেনের শাসনামলেই চীন থেকে কম দামে গাড়ি আমদানি থামানো হয়েছে অতিমাত্রায় গাড়ির ওপর শুল্ক আরোপ করে।
কিন্তু মিশিগানে এবারও ডেমোক্র্যাটরা জিতবেন, নিশ্চিত হয়ে সে কথা বলা যাচ্ছে না। বাইডেনের রাজনীতির, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ওপর নাখোশ মিশিগানবাসীরা। ইসরায়েলকে সমর্থন করে বাইডেন সরকার ফেঁসেছে এই রাজ্যে। মিশিগানে অনেক আরবের বাস। তাদের নিজের দিকে টানতে না পারলে কমলার পক্ষে এই অঙ্গরাজ্যের ভোট নিজের দিকে আনা সম্ভব হবে না।
২০২০ সালে বাইডেন জিতেছিলেন এই রাজ্যে। ১৫টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে মিশিগানে।
নেভাদা
নেভাদার জন্যও অভিবাসন একটি মূল সমস্যা। রাজ্যটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তের কাছে অবস্থিত। রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ লাতিন আমেরিকান। এখানকার শহুরে জনসংখ্যার অংশ দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।
নেভাদা পর্যটনের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। জো বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই অঙ্গরাজ্যের জিডিপি অন্য যেকোনো দোদুল্যমান রাজ্যের চেয়ে বেশি পরিমাণে বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে বেকারত্বের হার। যুক্তরাষ্ট্রে এই রাজ্যেই সবচেয়ে বেশি বেকারের বসবাস।
নেভাদায় ২০২০ সালের নির্বাচনে জিতেছিলেন বাইডেন।
এই রাজ্য থেকে নির্বাচকের সংখ্যা ৬।
উত্তর ক্যারোলাইনা
বাইডেন যখন নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন, তখনো উত্তর ক্যারোলাইনা যে ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকে পড়বে, তা জানান দিচ্ছিল। কিন্তু বাইডেন প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এখানেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। কমলা হ্যারিসকে শুরু করতে হচ্ছে একেবারে শূন্য থেকে। তবে মনে রাখতে হবে, শেষ ১১টি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এখানে ডেমোক্র্যাটরা জিতেছেন মাত্র একবার।
উত্তর ক্যারোলাইনায় জনসংখ্যার ধরন বদলেছে। ১৯৯০ সালের দিকে এই রাজ্যের ৭৫ শতাংশই ছিল শেতাঙ্গ। এখন তা নেমে এসেছে ৬০ শতাংশে। তবে শেষ ৩০ বছরে জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য ঊর্ধ্বগতি দৃশ্যমান হয়েছে। পেনশনভোগী, অবসরপ্রাপ্ত সেনা এবং যুব সম্প্রদায় মিলেমিশে আছে এখানে।
২০২০ সালে এখানে জয়ী হয়েছিলেন ট্রাম্প। ইলেকটোরাল ভোট এই অঙ্গরাজ্যে ১৬টি।
পেনসিলভানিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের অন্য রাজ্যগুলোর তুলনায় এখানে দ্রব্যমূল্য বেশি হারে বাড়ছে। তবে হাইড্রোলিক ফ্র্যাকচারিং প্রযুক্তির ব্যবহার এই রাজ্যকে টেক্সাসের পরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্যাস উৎপাদনকারী অঙ্গরাজ্যে পরিণত করেছে। পেনসিলভানিয়াতেই গত ১০ সেপ্টেম্বর কমলা-ট্রাম্প একমাত্র বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই রাজ্যে ২০২০ সালে বাইডেন জয়ী হয়েছিলেন। এখানে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ১৯।
উইসকনসিন
দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের মধ্যে এই অঙ্গরাজ্যেই সবচেয়ে বেশি শ্বেতাঙ্গের বসবাস। গত দুই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেশের সর্বোচ্চ ভোটের হার ছিল এই অঙ্গরাজ্যে। ২০১৬ ও ২০২০ সালে, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীরা উইসকনসিনে তাঁদের প্রতিপক্ষকে ২৫ হাজারের কম ভোটে পরাজিত করেছিলেন। এতেই বোঝা যায়, এই রাজ্যে একটি ভোটও কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ২০২০ সালে এই রাজ্যে জয়ী হয়েছিলেন জো বাইডেন। এখানে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ১০।
দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলো জয় করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন নীল আর লালেরা। জয়ের আগপর্যন্ত প্রার্থীদের ভাগ্যের ধূসরতা বজায় থাকবে।

শুক্রবার সকাল থেকেই নিউইয়র্ক মহানগরের আকাশের মুখ ভার। আকাশজুড়ে মেঘের দৌরাত্ম্য। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে অবশ্য বলা হয়েছে, কখনো কখনো একটু সূর্যের মুখ দেখাও যেতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোন প্রার্থীর জীবনটাই আপাতত মেঘলা করে দেবে, আর কোন প্রার্থীর মুখে এনে দেবে ঝকঝকে রোদ্দুর, তা জানা যাবে আর কটা দিন পরই।
বরাবরের মতো এবারও দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোই ঠিক করে দেবে কে হবেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মাত্র কয়েকটি অঙ্গরাজ্যই পাল্টে দেয় সব হিসাব-নিকাশ। দেশটির বেশির ভাগ অঙ্গরাজ্যই আগে থেকে ঠিক করে নেয়, কার পক্ষে যাবে। এই যেমন নিউইয়র্ক হলো ডেমোক্র্যাটদের ঘাঁটি। এই অঙ্গরাজ্যের মানুষ এখন পর্যন্ত নীল ডেমোক্র্যাটদের ওপরই ভরসা রেখে চলেছে। তেমনি কানেটিকাট, ভারমন্ট, নিউ হ্যাম্পশায়ার, নিউজার্সি, ক্যালিফোর্নিয়া, অরেগন, ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যও ডেমোক্র্যাটদের বিশ্বাস করে এসেছে সব সময়। অন্যদিকে লাল রিপাবলিকানদেরই ভালোবাসে অ্যালাবামা, আরকানসাস, ওয়াইওমিং, আলাস্কার মতো অঙ্গরাজ্যগুলো। এই অঙ্গরাজ্যগুলোয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা খুব বেশি চাপের মধ্যে থাকেন না। যারা নীল, তারা সব সময়ই নীল। যারা লাল, তারা সব সময়ই লাল। যে রাজ্যগুলোকে সহজেই লাল-নীলে ভাগ করা যায় না, সেখানেই যত জ্বালা আর স্নায়ুর চাপ। এ রকম অঙ্গরাজ্যগুলোর মানুষের মন ভজাতে কী কষ্টটাই না করতে হয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের! এবার কমলা হ্যারিস আর ডোনাল্ড ট্রাম্পও বুঝতে পারছেন, এই অঙ্গরাজ্যগুলোই তাঁদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে।
দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলো তাই সব রাজনীতিবিদ ও সংবাদমাধ্যমের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। এসব রাজ্যে যাঁরা এখনো স্থির করেননি কাকে ভোট দেবেন, তাঁদের নিজের দিকে টানতে প্রাণপাত করে থাকেন প্রার্থীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সরাসরি ভোট হয় না। এখানে আছে ‘ইলেকটোরাল কলেজ’ বা নির্বাচকমণ্ডলী নামের একটি ব্যবস্থা। কোনো অঙ্গরাজ্যের জনগণ যাঁকে বেশি ভোট দেয়, তাঁর ভাগ্যেই যায় রাজ্যটির সব ‘ইলেকটোরাল ভোট’। একেই বলে ‘উইনার টেক অল’ পদ্ধতি। যেমন জনবহুল নিউইয়র্কে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ২৮, ক্যালিফোর্নিয়ায় আরও বেশি, ৫৪টি। আবার জনবিরল উত্তর ডাকোটায় মাত্র ৩টি। মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে যে প্রার্থী ২৭০টি বা তার বেশি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পাবেন, তিনিই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।
কোন রাজ্যগুলো দোদুল্যমান
সব সময় একই অঙ্গরাজ্য দোদুল্যমান থাকে, তা নয়। এটা নির্ভর করে জনসংখ্যা, সামাজিক ঘটনাবলি এবং চলতি অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর। অর্থনীতিকে তালিকার প্রথমেই রাখতে হয়। তবে এ বছর গর্ভপাত প্রসঙ্গটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে নির্বাচনে। গত শতকের সত্তরের দশকে সুপ্রিম কোর্ট গর্ভপাতের পক্ষে যে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিলেন, সে রায় ভঙ্গ করে কোনো অঙ্গরাজ্য গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা নিতে পারত না। কিন্তু ২০২২ সালে গর্ভপাতবিরোধী সুপ্রিম কোর্টের আরেকটি আলোচিত রায় অঙ্গরাজ্যগুলোকে ইচ্ছেমতো গর্ভপাতবিরোধী অবস্থানে যাওয়ার পথ খুলে দিয়েছে। এতে অনেক নারী ক্ষুব্ধ। কমলা হ্যারিস লড়ছেন নারীর গর্ভপাতের অধিকার ফিরে পেতে। ট্রাম্প সেটা চান না। কিন্তু বোঝাই যাচ্ছে, এই নির্বাচনে গর্ভপাত একটি জোরালো ঘটনা, যার ওপর প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা-ও অনেকটা নির্ভর করছে।
আমরা এবার দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর দিকে দৃষ্টি দিই। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যই অর্থনীতি ও জাতীয় প্রশ্নের পাশাপাশি রাজ্যের নিজস্ব সংকট ও সমস্যাকেও ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনায় রাখে।
আরিজোনা’
আরিজোনার মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো অভিবাসন। আরিজোনার পাশেই মেক্সিকো। ফলে সীমান্ত গলে অভিবাসীরা বেআইনিভাবে ঢুকে পড়ছে এই রাজ্যে। জো বাইডেন তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে প্রতিবেশী এই দেশের সঙ্গে আমেরিকার সমস্যার ‘মূল কারণ’ মোকাবিলা করে সীমান্ত সংকট সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু কমলা তাতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অনেকেই মনে করেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প সে সুযোগটা নির্বাচনী প্রচারণায় কাজে লাগাচ্ছেন।
মেক্সিকো থেকে বিপুল জনস্রোত এসে মিশে যাচ্ছে আরিজোনায়, ফলে তা জনসংখ্যার দিক থেকে হয়ে উঠছে বর্ধিষ্ণু। এই রাজ্যের এক-তৃতীয়াংশ মানুষই লাতিন আমেরিকার বংশোদ্ভূত। লাতিনেরাই এখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় ভূমিকা রাখবে।
২০২০ সালে আরিজোনায় জিতেছিলেন জো বাইডেন। আরিজোনার জন্য রয়েছে ১১টি ইলেকটোরাল ভোট।
জর্জিয়া
১৯৯২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জর্জিয়ায় জয়ী হয়েছেন রিপাবলিকানরা। শুধু ২০২০ সালে এসে দেখা গেল লাল জর্জিয়া এবার নীল হয়েছে। তবে হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ট্রাম্প পেয়েছিলেন মাত্র ০.২ শতাংশ কম ভোট। এই অঙ্গরাজ্যের ৩৩ শতাংশ মানুষ কৃষ্ণাঙ্গ। কমলা হ্যারিস তাদের কাছে অগ্রাধিকার পেতে পারেন।
জর্জিয়ার একটি গ্র্যান্ড জুরি ২০২০ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে উল্টে দিতে চেয়েছেন বলে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করেছিল। এখন মামলাটি স্থগিত রয়েছে এবং নির্বাচনের আগপর্যন্ত তা বিচারের দিকে গড়াবে না।
২০২০ সালে জর্জিয়ায় জয়ী হয়েছিলেন জো বাইডেন। এই রাজ্যে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ১৬।
মিশিগান
গাড়িশিল্পের জন্য বিখ্যাত মিশিগান। ডেট্রয়েট শহরটির কথাই ধরুন, এটি ফোর্ড, জেনারেল মোটরস, ক্রাইসলার গাড়ির জন্মভূমি। এই রাজ্যের লোকজনের জন্য গাড়ি কারখানায় চাকরি পাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। বাইডেনের শাসনামলেই চীন থেকে কম দামে গাড়ি আমদানি থামানো হয়েছে অতিমাত্রায় গাড়ির ওপর শুল্ক আরোপ করে।
কিন্তু মিশিগানে এবারও ডেমোক্র্যাটরা জিতবেন, নিশ্চিত হয়ে সে কথা বলা যাচ্ছে না। বাইডেনের রাজনীতির, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ওপর নাখোশ মিশিগানবাসীরা। ইসরায়েলকে সমর্থন করে বাইডেন সরকার ফেঁসেছে এই রাজ্যে। মিশিগানে অনেক আরবের বাস। তাদের নিজের দিকে টানতে না পারলে কমলার পক্ষে এই অঙ্গরাজ্যের ভোট নিজের দিকে আনা সম্ভব হবে না।
২০২০ সালে বাইডেন জিতেছিলেন এই রাজ্যে। ১৫টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে মিশিগানে।
নেভাদা
নেভাদার জন্যও অভিবাসন একটি মূল সমস্যা। রাজ্যটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তের কাছে অবস্থিত। রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ লাতিন আমেরিকান। এখানকার শহুরে জনসংখ্যার অংশ দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।
নেভাদা পর্যটনের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। জো বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই অঙ্গরাজ্যের জিডিপি অন্য যেকোনো দোদুল্যমান রাজ্যের চেয়ে বেশি পরিমাণে বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে বেকারত্বের হার। যুক্তরাষ্ট্রে এই রাজ্যেই সবচেয়ে বেশি বেকারের বসবাস।
নেভাদায় ২০২০ সালের নির্বাচনে জিতেছিলেন বাইডেন।
এই রাজ্য থেকে নির্বাচকের সংখ্যা ৬।
উত্তর ক্যারোলাইনা
বাইডেন যখন নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন, তখনো উত্তর ক্যারোলাইনা যে ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকে পড়বে, তা জানান দিচ্ছিল। কিন্তু বাইডেন প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এখানেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। কমলা হ্যারিসকে শুরু করতে হচ্ছে একেবারে শূন্য থেকে। তবে মনে রাখতে হবে, শেষ ১১টি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এখানে ডেমোক্র্যাটরা জিতেছেন মাত্র একবার।
উত্তর ক্যারোলাইনায় জনসংখ্যার ধরন বদলেছে। ১৯৯০ সালের দিকে এই রাজ্যের ৭৫ শতাংশই ছিল শেতাঙ্গ। এখন তা নেমে এসেছে ৬০ শতাংশে। তবে শেষ ৩০ বছরে জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য ঊর্ধ্বগতি দৃশ্যমান হয়েছে। পেনশনভোগী, অবসরপ্রাপ্ত সেনা এবং যুব সম্প্রদায় মিলেমিশে আছে এখানে।
২০২০ সালে এখানে জয়ী হয়েছিলেন ট্রাম্প। ইলেকটোরাল ভোট এই অঙ্গরাজ্যে ১৬টি।
পেনসিলভানিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের অন্য রাজ্যগুলোর তুলনায় এখানে দ্রব্যমূল্য বেশি হারে বাড়ছে। তবে হাইড্রোলিক ফ্র্যাকচারিং প্রযুক্তির ব্যবহার এই রাজ্যকে টেক্সাসের পরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্যাস উৎপাদনকারী অঙ্গরাজ্যে পরিণত করেছে। পেনসিলভানিয়াতেই গত ১০ সেপ্টেম্বর কমলা-ট্রাম্প একমাত্র বিতর্কটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই রাজ্যে ২০২০ সালে বাইডেন জয়ী হয়েছিলেন। এখানে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ১৯।
উইসকনসিন
দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের মধ্যে এই অঙ্গরাজ্যেই সবচেয়ে বেশি শ্বেতাঙ্গের বসবাস। গত দুই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেশের সর্বোচ্চ ভোটের হার ছিল এই অঙ্গরাজ্যে। ২০১৬ ও ২০২০ সালে, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীরা উইসকনসিনে তাঁদের প্রতিপক্ষকে ২৫ হাজারের কম ভোটে পরাজিত করেছিলেন। এতেই বোঝা যায়, এই রাজ্যে একটি ভোটও কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ২০২০ সালে এই রাজ্যে জয়ী হয়েছিলেন জো বাইডেন। এখানে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ১০।
দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলো জয় করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন নীল আর লালেরা। জয়ের আগপর্যন্ত প্রার্থীদের ভাগ্যের ধূসরতা বজায় থাকবে।

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের কারাগার থেকে প্রায় পাঁচ বছর পর মুক্তি পেয়েছেন অভিনেত্রী ও মডেল ইনতিসার আল হাম্মাদি। রোববার (২৬ অক্টোবর) তাঁর আইনজীবী খালিদ আল কামাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইনতিসারের মামলাকে অন্যায্য ও নির্যাতনে পরিপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছে।
৯ মিনিট আগে
অচেনা এক ব্যক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাহুলের তিন বোনের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও বানান। তারপর সেগুলো রাহুলের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেল শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত মানসিক যন্ত্রণায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন রাহুল।
২ ঘণ্টা আগে
ফেরত পাঠানো নাগরিকদের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। করনাল পুলিশ জানিয়েছে, কোনো দালালের বিরুদ্ধে এখনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ফেরত আসা ব্যক্তিদের তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
মাত্র আধঘণ্টার ব্যবধানে দক্ষিণ চীন সাগরে পৃথক ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে একটি হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার নিয়মিত টহলের সময় যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর এই হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। তবে সব সদস্যকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর প্যাসিফিক
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের কারাগার থেকে প্রায় পাঁচ বছর পর মুক্তি পেয়েছেন অভিনেত্রী ও মডেল ইনতিসার আল হাম্মাদি। রোববার (২৬ অক্টোবর) তাঁর আইনজীবী খালিদ আল কামাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইনতিসারের মামলাকে অন্যায্য ও নির্যাতনে পরিপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছে।
আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইয়েমেনের হুতি-নিয়ন্ত্রিত রাজধানী সানায় ইনতিসারকে আটক করে বিদ্রোহীরা। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২০ বছর। পরবর্তীতে এক হুতি আদালত তাঁকে তথাকথিত ‘অশোভন আচরণ’ ও ‘মাদকদ্রব্য রাখার’ অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।
ইনতিসারের সঙ্গে সে সময় আরও তিন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এঁদের মধ্যে ইনতিসার ও ইউসরা আল নাশরি একই মেয়াদের সাজা পান, অন্য দুই নারীকে যথাক্রমে এক ও তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ইনতিসারের গ্রেপ্তার ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো সমালোচনায় মুখর ছিল। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, তাঁকে চোখ বেঁধে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এমনকি বর্ণবিদ্বেষমূলক গালাগালও দেওয়া হয়। জোর করে কয়েকটি অপরাধের স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছিল বলেও জানা গেছে।
২০২১ সালেই মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছিলেন, হতাশায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ইনতিসার। ইয়েমেনের বহু বিশিষ্ট নাগরিক তাঁর মুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলেছেন—ইনতিসারের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া জরুরি। তাঁদের মতে, এই মামলা হুতি-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে নারীদের ওপর নিপীড়ন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার দমননীতির প্রতীক।
ইনতিসার আল হাম্মাদি ইথিওপীয় মা ও ইয়েমেনি বাবার সন্তান। গ্রেপ্তারের আগে টানা চার বছর তিনি মডেল হিসেবে কাজ করেছেন এবং দুটি ইয়েমেনি টেলিভিশন সিরিজে অভিনয় করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে তিনি ঐতিহ্যবাহী পোশাক, জিন্স কিংবা লেদার জ্যাকেট পরা নানা ছবিতে হাজির হতেন। কখনো তিনি মাথায় ওড়না দিতেন, আবার কখনো উন্মুক্ত চুলে। ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে তাঁর হাজারো অনুসারী রয়েছে।
২০১৪ সালে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে হুতি-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে নারীদের ওপর সহিংসতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। জাতিসংঘ একে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকটগুলোর একটি বলে আখ্যা দিয়েছে।

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের কারাগার থেকে প্রায় পাঁচ বছর পর মুক্তি পেয়েছেন অভিনেত্রী ও মডেল ইনতিসার আল হাম্মাদি। রোববার (২৬ অক্টোবর) তাঁর আইনজীবী খালিদ আল কামাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইনতিসারের মামলাকে অন্যায্য ও নির্যাতনে পরিপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছে।
আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইয়েমেনের হুতি-নিয়ন্ত্রিত রাজধানী সানায় ইনতিসারকে আটক করে বিদ্রোহীরা। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২০ বছর। পরবর্তীতে এক হুতি আদালত তাঁকে তথাকথিত ‘অশোভন আচরণ’ ও ‘মাদকদ্রব্য রাখার’ অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।
ইনতিসারের সঙ্গে সে সময় আরও তিন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এঁদের মধ্যে ইনতিসার ও ইউসরা আল নাশরি একই মেয়াদের সাজা পান, অন্য দুই নারীকে যথাক্রমে এক ও তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ইনতিসারের গ্রেপ্তার ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো সমালোচনায় মুখর ছিল। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, তাঁকে চোখ বেঁধে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এমনকি বর্ণবিদ্বেষমূলক গালাগালও দেওয়া হয়। জোর করে কয়েকটি অপরাধের স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছিল বলেও জানা গেছে।
২০২১ সালেই মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছিলেন, হতাশায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ইনতিসার। ইয়েমেনের বহু বিশিষ্ট নাগরিক তাঁর মুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলেছেন—ইনতিসারের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া জরুরি। তাঁদের মতে, এই মামলা হুতি-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে নারীদের ওপর নিপীড়ন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার দমননীতির প্রতীক।
ইনতিসার আল হাম্মাদি ইথিওপীয় মা ও ইয়েমেনি বাবার সন্তান। গ্রেপ্তারের আগে টানা চার বছর তিনি মডেল হিসেবে কাজ করেছেন এবং দুটি ইয়েমেনি টেলিভিশন সিরিজে অভিনয় করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে তিনি ঐতিহ্যবাহী পোশাক, জিন্স কিংবা লেদার জ্যাকেট পরা নানা ছবিতে হাজির হতেন। কখনো তিনি মাথায় ওড়না দিতেন, আবার কখনো উন্মুক্ত চুলে। ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে তাঁর হাজারো অনুসারী রয়েছে।
২০১৪ সালে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে হুতি-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে নারীদের ওপর সহিংসতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। জাতিসংঘ একে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকটগুলোর একটি বলে আখ্যা দিয়েছে।

শুক্রবার সকাল থেকেই নিউইয়র্ক মহানগরের আকাশের মুখ ভার। আকাশজুড়ে মেঘের দৌরাত্ম্য। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে অবশ্য বলা হয়েছে, কখনো কখনো একটু সূর্যের মুখ দেখাও যেতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোন প্রার্থীর জীবনটাই আপাতত মেঘলা করে দেবে আর কোন প্রার্থীর মুখে এনে দেবে ঝকঝকে রোদ্দুর, তা জানা যাবে মাত্র ক
০৩ নভেম্বর ২০২৪
অচেনা এক ব্যক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাহুলের তিন বোনের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও বানান। তারপর সেগুলো রাহুলের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেল শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত মানসিক যন্ত্রণায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন রাহুল।
২ ঘণ্টা আগে
ফেরত পাঠানো নাগরিকদের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। করনাল পুলিশ জানিয়েছে, কোনো দালালের বিরুদ্ধে এখনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ফেরত আসা ব্যক্তিদের তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
মাত্র আধঘণ্টার ব্যবধানে দক্ষিণ চীন সাগরে পৃথক ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে একটি হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার নিয়মিত টহলের সময় যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর এই হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। তবে সব সদস্যকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর প্যাসিফিক
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফারিদাবাদের ১৯ বছর তরুণ রাহুল ভারতী। রাহুল স্থানীয় ডিএভি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিন বোন ও মা-বাবাকে নিয়ে বেশ সুখেই দিন কাটাচ্ছিলেন রাহুল। তবে সম্প্রতি তাঁর জীবনে নেমে আসে এক দুর্বিষহ অন্ধকার।
অচেনা এক ব্যক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাহুলের তিন বোনের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও বানান। তারপর সেগুলো রাহুলের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেল শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত মানসিক যন্ত্রণায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন রাহুল।
রাহুলের বাবা মনোজ ভারতী এনডিটিভিকে জানান, দুই সপ্তাহ ধরে রাহুল মানসিকভাবে ভীষণ অস্থির ছিলেন। অচেনা এক ব্যক্তি রাহুলের হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর তিন বোনের নগ্ন ছবি ও ভিডিও তৈরি করে পাঠাচ্ছিলেন এবং টাকা দাবি করছিলেন। তিনি আরও জানান, রাহুল ঠিকমতো খেতেন না, দিনভর ঘরে চুপচাপ থাকতেন। এসব নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলেন।
পুলিশের তদন্তে রাহুলের হোয়াটসঅ্যাপে ‘সাহিল’ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে কথোপকথন পাওয়া গেছে। সেখানে রাহুলকে অশ্লীল ভিডিও ও ছবি পাঠিয়ে ২০ হাজার রুপি দাবি করেছিলেন ওই ব্যক্তি।
হোয়াটঅ্যাপের কথোপকথনে দেখা গেছে, তাঁদের মধ্যে একাধিকবার অডিও ও ভিডিও কলে কথা হয়েছে। একপর্যায়ে সাহিল রাহুলকে লোকেশন পাঠিয়ে লিখেছিলেন, ‘আজা মেরে পাস’ (আমার কাছে চলে আসো)। শেষ কথোপকথনে সাহিল হুমকি দেন, টাকা না দিলে সব ছবি–ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেবেন।
ওই ব্যক্তি রাহুলকে আত্মহত্যা করতেও প্ররোচিত করেন এবং কোন ওষুধ খেলে মৃত্যু হবে, তা-ও বলে দেন।
গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাহুল কিছু ওষুধ খান। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান, কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
রাহুলের বাবা মনোজ বলেন, ‘কেউ আমার মেয়েদের অশ্লীল ভিডিও ও ছবি রাহুলের ফোনে পাঠিয়ে হুমকি দিচ্ছিল। তারা হুমকি দিচ্ছিল—টাকা না দিলে এগুলো ভাইরাল করে দেবে। এতে রাহুল ভীষণ মানসিক চাপে ছিল। এই যন্ত্রণায় সে আত্মহত্যা করে।’
রাহুলের মা মীনা দেবী অভিযোগ করেছেন, তাঁর ভাশুর নীরজ ভারতী এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে রাহুলের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল। প্রায় ছয় মাস আগে পারিবারিক ঝগড়ার পর থেকে তাঁদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। তিনি দাবি করেন, নীরজ একটি মেয়ের সঙ্গে মিলে পুরো ঘটনা পরিকল্পনা করেছেন।
রাহুলের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
তদন্ত কর্মকর্তা সুনীল কুমার জানান, রাহুল বিষ পান করেছিলেন। পরে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হয়েছে। রাহুলের মোবাইল ফোনের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। এসব তথ্য অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফারিদাবাদের ১৯ বছর তরুণ রাহুল ভারতী। রাহুল স্থানীয় ডিএভি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিন বোন ও মা-বাবাকে নিয়ে বেশ সুখেই দিন কাটাচ্ছিলেন রাহুল। তবে সম্প্রতি তাঁর জীবনে নেমে আসে এক দুর্বিষহ অন্ধকার।
অচেনা এক ব্যক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাহুলের তিন বোনের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও বানান। তারপর সেগুলো রাহুলের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেল শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত মানসিক যন্ত্রণায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন রাহুল।
রাহুলের বাবা মনোজ ভারতী এনডিটিভিকে জানান, দুই সপ্তাহ ধরে রাহুল মানসিকভাবে ভীষণ অস্থির ছিলেন। অচেনা এক ব্যক্তি রাহুলের হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর তিন বোনের নগ্ন ছবি ও ভিডিও তৈরি করে পাঠাচ্ছিলেন এবং টাকা দাবি করছিলেন। তিনি আরও জানান, রাহুল ঠিকমতো খেতেন না, দিনভর ঘরে চুপচাপ থাকতেন। এসব নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলেন।
পুলিশের তদন্তে রাহুলের হোয়াটসঅ্যাপে ‘সাহিল’ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে কথোপকথন পাওয়া গেছে। সেখানে রাহুলকে অশ্লীল ভিডিও ও ছবি পাঠিয়ে ২০ হাজার রুপি দাবি করেছিলেন ওই ব্যক্তি।
হোয়াটঅ্যাপের কথোপকথনে দেখা গেছে, তাঁদের মধ্যে একাধিকবার অডিও ও ভিডিও কলে কথা হয়েছে। একপর্যায়ে সাহিল রাহুলকে লোকেশন পাঠিয়ে লিখেছিলেন, ‘আজা মেরে পাস’ (আমার কাছে চলে আসো)। শেষ কথোপকথনে সাহিল হুমকি দেন, টাকা না দিলে সব ছবি–ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেবেন।
ওই ব্যক্তি রাহুলকে আত্মহত্যা করতেও প্ররোচিত করেন এবং কোন ওষুধ খেলে মৃত্যু হবে, তা-ও বলে দেন।
গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাহুল কিছু ওষুধ খান। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান, কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
রাহুলের বাবা মনোজ বলেন, ‘কেউ আমার মেয়েদের অশ্লীল ভিডিও ও ছবি রাহুলের ফোনে পাঠিয়ে হুমকি দিচ্ছিল। তারা হুমকি দিচ্ছিল—টাকা না দিলে এগুলো ভাইরাল করে দেবে। এতে রাহুল ভীষণ মানসিক চাপে ছিল। এই যন্ত্রণায় সে আত্মহত্যা করে।’
রাহুলের মা মীনা দেবী অভিযোগ করেছেন, তাঁর ভাশুর নীরজ ভারতী এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে রাহুলের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল। প্রায় ছয় মাস আগে পারিবারিক ঝগড়ার পর থেকে তাঁদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। তিনি দাবি করেন, নীরজ একটি মেয়ের সঙ্গে মিলে পুরো ঘটনা পরিকল্পনা করেছেন।
রাহুলের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
তদন্ত কর্মকর্তা সুনীল কুমার জানান, রাহুল বিষ পান করেছিলেন। পরে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হয়েছে। রাহুলের মোবাইল ফোনের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। এসব তথ্য অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শুক্রবার সকাল থেকেই নিউইয়র্ক মহানগরের আকাশের মুখ ভার। আকাশজুড়ে মেঘের দৌরাত্ম্য। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে অবশ্য বলা হয়েছে, কখনো কখনো একটু সূর্যের মুখ দেখাও যেতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোন প্রার্থীর জীবনটাই আপাতত মেঘলা করে দেবে আর কোন প্রার্থীর মুখে এনে দেবে ঝকঝকে রোদ্দুর, তা জানা যাবে মাত্র ক
০৩ নভেম্বর ২০২৪
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের কারাগার থেকে প্রায় পাঁচ বছর পর মুক্তি পেয়েছেন অভিনেত্রী ও মডেল ইনতিসার আল হাম্মাদি। রোববার (২৬ অক্টোবর) তাঁর আইনজীবী খালিদ আল কামাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইনতিসারের মামলাকে অন্যায্য ও নির্যাতনে পরিপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছে।
৯ মিনিট আগে
ফেরত পাঠানো নাগরিকদের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। করনাল পুলিশ জানিয়েছে, কোনো দালালের বিরুদ্ধে এখনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ফেরত আসা ব্যক্তিদের তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
মাত্র আধঘণ্টার ব্যবধানে দক্ষিণ চীন সাগরে পৃথক ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে একটি হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার নিয়মিত টহলের সময় যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর এই হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। তবে সব সদস্যকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর প্যাসিফিক
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অবৈধ পথে প্রবেশের অভিযোগে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ৫৪ জন নাগরিককে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল রোববার দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩-এ অবতরণ করে তাঁদের বহনকারী ওএই-৪৭৬৭ ফ্লাইটটি।
ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় এসব তরুণ ‘ডানকি রুট’ নামে পরিচিত অবৈধ পথ ব্যবহার করেছিলেন। এই রুটের মাধ্যমে দালাল চক্র ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ ঘুরিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে মানব পাচার করে।
পুলিশ জানায়, ফেরত আসা ৫৪ জনের মধ্যে ১৬ জন করনাল জেলার, ১৫ জন কাইথালের, পাঁচজন আম্বালার, চারজন যমুনানগরের, চারজন কুরুক্ষেত্রের, তিনজন জিন্দের, দুজন সোনিপাতের এবং একজন করে পঞ্চকুলা, পানিপথ, রোহতক ও ফতেহাবাদ জেলার।
দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেরত পাঠানো নাগরিকদের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। করনাল পুলিশ জানিয়েছে, কোনো দালালের বিরুদ্ধে এখনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ফেরত আসা ব্যক্তিদের তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
করনাল জেলার উপপুলিশ সুপার (ডিএসপি) সন্দীপ কুমার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও কয়েকজন ভারতীয়কে ফেরত পাঠানো হয়েছে, এর মধ্যে প্রায় ৫০ জন হরিয়ানার বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে করনাল জেলার প্রায় ১৬ জন। এই ব্যক্তিরা ডানকি রুট ব্যবহার করে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন। আমরা তাঁদের ফিরিয়ে এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। কোনো দালালের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া যায়নি, তবে তদন্ত চলছে। কেউ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন কি না, তা তদন্তে জানা যাবে।’
সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধভাবে প্রবেশকারীদের ফেরত পাঠানোর ঘটনা বেড়েছে। চলতি বছরই যুক্তরাষ্ট্র শত শত ভারতীয় নাগরিককে অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে ফেরত পাঠিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুসারে, যাঁরা বৈধ কাগজপত্র ছাড়া দেশটিতে অবস্থান করেন বা অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করেন, তাঁদের সবাইকে ফেরত পাঠানো হবে।
২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ৭৫৬ ভারতীয়কে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ছিল ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪২ জন এবং ২০২০ সালে ১ হাজার ৮৮৯ জন। পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে প্রায় ৭ লাখ ২৫ হাজার ভারতীয় নাগরিক অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন।

অবৈধ পথে প্রবেশের অভিযোগে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ৫৪ জন নাগরিককে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল রোববার দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩-এ অবতরণ করে তাঁদের বহনকারী ওএই-৪৭৬৭ ফ্লাইটটি।
ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় এসব তরুণ ‘ডানকি রুট’ নামে পরিচিত অবৈধ পথ ব্যবহার করেছিলেন। এই রুটের মাধ্যমে দালাল চক্র ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ ঘুরিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে মানব পাচার করে।
পুলিশ জানায়, ফেরত আসা ৫৪ জনের মধ্যে ১৬ জন করনাল জেলার, ১৫ জন কাইথালের, পাঁচজন আম্বালার, চারজন যমুনানগরের, চারজন কুরুক্ষেত্রের, তিনজন জিন্দের, দুজন সোনিপাতের এবং একজন করে পঞ্চকুলা, পানিপথ, রোহতক ও ফতেহাবাদ জেলার।
দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেরত পাঠানো নাগরিকদের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। করনাল পুলিশ জানিয়েছে, কোনো দালালের বিরুদ্ধে এখনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ফেরত আসা ব্যক্তিদের তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
করনাল জেলার উপপুলিশ সুপার (ডিএসপি) সন্দীপ কুমার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও কয়েকজন ভারতীয়কে ফেরত পাঠানো হয়েছে, এর মধ্যে প্রায় ৫০ জন হরিয়ানার বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে করনাল জেলার প্রায় ১৬ জন। এই ব্যক্তিরা ডানকি রুট ব্যবহার করে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন। আমরা তাঁদের ফিরিয়ে এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। কোনো দালালের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া যায়নি, তবে তদন্ত চলছে। কেউ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন কি না, তা তদন্তে জানা যাবে।’
সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধভাবে প্রবেশকারীদের ফেরত পাঠানোর ঘটনা বেড়েছে। চলতি বছরই যুক্তরাষ্ট্র শত শত ভারতীয় নাগরিককে অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে ফেরত পাঠিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুসারে, যাঁরা বৈধ কাগজপত্র ছাড়া দেশটিতে অবস্থান করেন বা অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করেন, তাঁদের সবাইকে ফেরত পাঠানো হবে।
২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ৭৫৬ ভারতীয়কে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ছিল ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪২ জন এবং ২০২০ সালে ১ হাজার ৮৮৯ জন। পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে প্রায় ৭ লাখ ২৫ হাজার ভারতীয় নাগরিক অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন।

শুক্রবার সকাল থেকেই নিউইয়র্ক মহানগরের আকাশের মুখ ভার। আকাশজুড়ে মেঘের দৌরাত্ম্য। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে অবশ্য বলা হয়েছে, কখনো কখনো একটু সূর্যের মুখ দেখাও যেতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোন প্রার্থীর জীবনটাই আপাতত মেঘলা করে দেবে আর কোন প্রার্থীর মুখে এনে দেবে ঝকঝকে রোদ্দুর, তা জানা যাবে মাত্র ক
০৩ নভেম্বর ২০২৪
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের কারাগার থেকে প্রায় পাঁচ বছর পর মুক্তি পেয়েছেন অভিনেত্রী ও মডেল ইনতিসার আল হাম্মাদি। রোববার (২৬ অক্টোবর) তাঁর আইনজীবী খালিদ আল কামাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইনতিসারের মামলাকে অন্যায্য ও নির্যাতনে পরিপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছে।
৯ মিনিট আগে
অচেনা এক ব্যক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাহুলের তিন বোনের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও বানান। তারপর সেগুলো রাহুলের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেল শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত মানসিক যন্ত্রণায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন রাহুল।
২ ঘণ্টা আগে
মাত্র আধঘণ্টার ব্যবধানে দক্ষিণ চীন সাগরে পৃথক ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে একটি হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার নিয়মিত টহলের সময় যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর এই হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। তবে সব সদস্যকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর প্যাসিফিক
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মাত্র আধঘণ্টার ব্যবধানে দক্ষিণ চীন সাগরে পৃথক ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে একটি হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার নিয়মিত টহলের সময় যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর এই হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। তবে সব সদস্যকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর প্যাসিফিক ফ্লিট।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন নৌবাহিনী জানিয়েছে—কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ জলসীমায় দুই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে। অঞ্চলটি বৈশ্বিক সংঘাতের সম্ভাব্য কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বিবেচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ধারাবাহিক দুর্ঘটনাকে ‘খুব অস্বাভাবিক’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি জ্বালানিতে সমস্যা থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। মালয়েশিয়া থেকে জাপানে যাওয়ার পথে এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘ওরা মনে করছে, জ্বালানি খারাপ ছিল। আমরা তা খতিয়ে দেখব। লুকানোর কিছু নেই, স্যার।’
নৌবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা পোস্টে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে ইউএসএস নিমিৎজ বিমানবাহী রণতরী থেকে নিয়মিত টহলের সময় একটি এমএইচ-৬০ আর ‘সি–হক’ হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। তৎক্ষণাৎ তিন ক্রু সদস্যকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়।
এর প্রায় ৩০ মিনিট পর একই রণতরী থেকে উড্ডয়নের পর আরেকটি এফ/এ-১৮ এফ ‘সুপার হর্নেট’ যুদ্ধবিমানও বিধ্বস্ত হয়। দুই পাইলটই প্যারাসুটে অবতরণ করে নিরাপদে উদ্ধার হন বলে জানায় নৌবাহিনী। এ নিয়ে চলতি বছর ৬ কোটি ডলার মূল্যের চতুর্থ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হলো।
চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশের সীমানা ঘেঁষা দক্ষিণ চীন সাগরের বিভিন্ন অংশে একাধিক দেশ মালিকানা দাবি করলেও বেইজিং কার্যত গোটা জলসীমার ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে আসছে। গত দুই দশকে চীন এই অঞ্চলের বিতর্কিত দ্বীপ ও প্রবালপ্রাচীরে সামরিক ঘাঁটি গড়ে তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, এভাবে চীনের সামরিক সম্প্রসারণ নৌ চলাচলের স্বাধীনতা ও বৈশ্বিক বাণিজ্যের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র অঞ্চলে টহল ও উপস্থিতি বজায় রাখছে—চীনের সার্বভৌমত্ব দাবির বিরোধিতা ও মিত্রদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
বিমান বিধ্বস্তের এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এশিয়া সফরে রয়েছেন। সফরে তিনি এ সপ্তাহেই চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় থাকবে বাণিজ্য। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক আবারও টানাপোড়েনের মধ্যে পড়েছিল। পরস্পরের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপসহ বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিল দুই দেশ। তবে রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সচিব স্কট বেসেন্ট জানান, চীনের সঙ্গে একটি কাঠামোগত বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ট্রাম্প–সি বৈঠকের আগে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত করেছে।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস নিমিৎজ যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরোনো সক্রিয় বিমানবাহী রণতরী। আগামী বছর এটি অবসরে যাবে বলে জানানো হয়েছে।

মাত্র আধঘণ্টার ব্যবধানে দক্ষিণ চীন সাগরে পৃথক ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে একটি হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার নিয়মিত টহলের সময় যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর এই হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। তবে সব সদস্যকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর প্যাসিফিক ফ্লিট।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন নৌবাহিনী জানিয়েছে—কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ জলসীমায় দুই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে। অঞ্চলটি বৈশ্বিক সংঘাতের সম্ভাব্য কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বিবেচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ধারাবাহিক দুর্ঘটনাকে ‘খুব অস্বাভাবিক’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি জ্বালানিতে সমস্যা থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। মালয়েশিয়া থেকে জাপানে যাওয়ার পথে এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘ওরা মনে করছে, জ্বালানি খারাপ ছিল। আমরা তা খতিয়ে দেখব। লুকানোর কিছু নেই, স্যার।’
নৌবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা পোস্টে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে ইউএসএস নিমিৎজ বিমানবাহী রণতরী থেকে নিয়মিত টহলের সময় একটি এমএইচ-৬০ আর ‘সি–হক’ হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। তৎক্ষণাৎ তিন ক্রু সদস্যকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়।
এর প্রায় ৩০ মিনিট পর একই রণতরী থেকে উড্ডয়নের পর আরেকটি এফ/এ-১৮ এফ ‘সুপার হর্নেট’ যুদ্ধবিমানও বিধ্বস্ত হয়। দুই পাইলটই প্যারাসুটে অবতরণ করে নিরাপদে উদ্ধার হন বলে জানায় নৌবাহিনী। এ নিয়ে চলতি বছর ৬ কোটি ডলার মূল্যের চতুর্থ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হলো।
চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশের সীমানা ঘেঁষা দক্ষিণ চীন সাগরের বিভিন্ন অংশে একাধিক দেশ মালিকানা দাবি করলেও বেইজিং কার্যত গোটা জলসীমার ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে আসছে। গত দুই দশকে চীন এই অঞ্চলের বিতর্কিত দ্বীপ ও প্রবালপ্রাচীরে সামরিক ঘাঁটি গড়ে তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, এভাবে চীনের সামরিক সম্প্রসারণ নৌ চলাচলের স্বাধীনতা ও বৈশ্বিক বাণিজ্যের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র অঞ্চলে টহল ও উপস্থিতি বজায় রাখছে—চীনের সার্বভৌমত্ব দাবির বিরোধিতা ও মিত্রদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
বিমান বিধ্বস্তের এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এশিয়া সফরে রয়েছেন। সফরে তিনি এ সপ্তাহেই চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় থাকবে বাণিজ্য। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক আবারও টানাপোড়েনের মধ্যে পড়েছিল। পরস্পরের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপসহ বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিল দুই দেশ। তবে রোববার যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সচিব স্কট বেসেন্ট জানান, চীনের সঙ্গে একটি কাঠামোগত বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ট্রাম্প–সি বৈঠকের আগে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত করেছে।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস নিমিৎজ যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরোনো সক্রিয় বিমানবাহী রণতরী। আগামী বছর এটি অবসরে যাবে বলে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার সকাল থেকেই নিউইয়র্ক মহানগরের আকাশের মুখ ভার। আকাশজুড়ে মেঘের দৌরাত্ম্য। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে অবশ্য বলা হয়েছে, কখনো কখনো একটু সূর্যের মুখ দেখাও যেতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোন প্রার্থীর জীবনটাই আপাতত মেঘলা করে দেবে আর কোন প্রার্থীর মুখে এনে দেবে ঝকঝকে রোদ্দুর, তা জানা যাবে মাত্র ক
০৩ নভেম্বর ২০২৪
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের কারাগার থেকে প্রায় পাঁচ বছর পর মুক্তি পেয়েছেন অভিনেত্রী ও মডেল ইনতিসার আল হাম্মাদি। রোববার (২৬ অক্টোবর) তাঁর আইনজীবী খালিদ আল কামাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইনতিসারের মামলাকে অন্যায্য ও নির্যাতনে পরিপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছে।
৯ মিনিট আগে
অচেনা এক ব্যক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাহুলের তিন বোনের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও বানান। তারপর সেগুলো রাহুলের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেল শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত মানসিক যন্ত্রণায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন রাহুল।
২ ঘণ্টা আগে
ফেরত পাঠানো নাগরিকদের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। করনাল পুলিশ জানিয়েছে, কোনো দালালের বিরুদ্ধে এখনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ফেরত আসা ব্যক্তিদের তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে