অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের ‘আগাম সতর্কবার্তা’ দেওয়ায় ইরানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আগে এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয় বলে দাবি করেন তিনি।
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেন, ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে তাদের এই হামলার মধ্য দিয়ে হয়তো তেহরানের ‘সব রাগ-মনোবেদনা শেষ হয়ে গেছে।’ এতে পরিস্থিতি শান্তির দিকে যাবে বলে তিনি আশা করেন।
নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বলেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, এ হামলায় কোনো আমেরিকান হতাহত হয়নি এবং খুব সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগাম সতর্ক করার জন্য আমি ইরানকে ধন্যবাদ জানাই, যার ফলে কারও জীবন যায়নি বা কেউ আহত হয়নি। আশা করি, ইরান এখন এই অঞ্চলকে শান্তি ও সম্প্রীতির পথে এগিয়ে নিতে পারবে এবং আমি ইসরায়েলকেও একই কাজ করতে উৎসাহিত করব।’
মধ্যপ্রাচ্যের কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ইরানের এই হামলাকে তেহরানের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর সরাসরি প্রথম পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পর এ ঘটনা ঘটে।
ট্রাম্প বলেন, ‘ইরান আমাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করার প্রতিক্রিয়ায় খুব দুর্বল জবাব দিয়েছে, যা আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম এবং খুব কার্যকরভাবে প্রতিহত করেছি। ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল—১৩টি ভূপাতিত করা হয়েছে এবং একটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, এটি হুমকিবিহীন দিকে যাচ্ছিল। আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে কোনো আমেরিকান আহত হয়নি এবং তেমন কোনো ক্ষতিও হয়নি।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, তারা তাদের সিস্টেম থেকে সবকিছু বের করে দিয়েছে এবং আশা করি আর কোনো ঘৃণা-মনোবেদনা তাদের থাকবে না। আমি ইরানকে আগাম জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই, যার ফলে কোনো প্রাণহানি বা কেউ আহত হয়নি। সম্ভবত ইরান এখন এই অঞ্চলে শান্তি ও সম্প্রীতির দিকে এগিয়ে যেতে পারে, এবং আমি ইসরায়েলকেও একই কাজ করতে উৎসাহ দেব। এ বিষয়ে আপনাদের মনোযোগের জন্য ধন্যবাদ!’
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে সিআইএ পরিচালক ও প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করা লিয়ন প্যানেটা বলেন, ইরানের ‘সীমিত প্রতিক্রিয়া’ বোঝায় যে তাদের পাল্টা প্রতিরোধ ক্ষমতা ‘সম্ভবত খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, এর মধ্য দিয়ে এ-ও স্পষ্ট হচ্ছে, ইরান ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধ বাড়াতে আগ্রহী নয়।
ট্রাম্প বলেন, ইরান আল-উদেইদ ঘাঁটিতে মোট ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। বিশাল এই ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের ফরোয়ার্ড সদর দপ্তর। ইরাক ও আফগানিস্তানের যুদ্ধের সময় এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ঘাঁটি। বর্তমানে সেখানে প্রায় ৮ হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছে, যা ওই দুই যুদ্ধে সর্বোচ্চ সময়ে ১০ হাজার ছিল।
ট্রাম্প জানান, ইরানের ছোড়া ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ১৩ টিকে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভূপাতিত করেছে। আর একটি ক্ষেপণাস্ত্র ‘মুক্ত’ রাখা হয়েছে, কারণ সেটি অপ্রত্যাশিত বা ক্ষতির আশঙ্কাহীন দিকে যাচ্ছিল।
ইরানের এই হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে কাতারে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস একটি সতর্কবার্তা দিয়ে দেশটির মার্কিন নাগরিকদের ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার’ আহ্বান জানিয়েছিল। একই সঙ্গে কাতার সরকার ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ নিয়ে ব্যস্ত বিমান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের ‘আগাম সতর্কবার্তা’ দেওয়ায় ইরানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আগে এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয় বলে দাবি করেন তিনি।
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেন, ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে তাদের এই হামলার মধ্য দিয়ে হয়তো তেহরানের ‘সব রাগ-মনোবেদনা শেষ হয়ে গেছে।’ এতে পরিস্থিতি শান্তির দিকে যাবে বলে তিনি আশা করেন।
নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বলেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, এ হামলায় কোনো আমেরিকান হতাহত হয়নি এবং খুব সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগাম সতর্ক করার জন্য আমি ইরানকে ধন্যবাদ জানাই, যার ফলে কারও জীবন যায়নি বা কেউ আহত হয়নি। আশা করি, ইরান এখন এই অঞ্চলকে শান্তি ও সম্প্রীতির পথে এগিয়ে নিতে পারবে এবং আমি ইসরায়েলকেও একই কাজ করতে উৎসাহিত করব।’
মধ্যপ্রাচ্যের কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ইরানের এই হামলাকে তেহরানের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর সরাসরি প্রথম পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পর এ ঘটনা ঘটে।
ট্রাম্প বলেন, ‘ইরান আমাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করার প্রতিক্রিয়ায় খুব দুর্বল জবাব দিয়েছে, যা আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম এবং খুব কার্যকরভাবে প্রতিহত করেছি। ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল—১৩টি ভূপাতিত করা হয়েছে এবং একটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, এটি হুমকিবিহীন দিকে যাচ্ছিল। আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে কোনো আমেরিকান আহত হয়নি এবং তেমন কোনো ক্ষতিও হয়নি।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, তারা তাদের সিস্টেম থেকে সবকিছু বের করে দিয়েছে এবং আশা করি আর কোনো ঘৃণা-মনোবেদনা তাদের থাকবে না। আমি ইরানকে আগাম জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই, যার ফলে কোনো প্রাণহানি বা কেউ আহত হয়নি। সম্ভবত ইরান এখন এই অঞ্চলে শান্তি ও সম্প্রীতির দিকে এগিয়ে যেতে পারে, এবং আমি ইসরায়েলকেও একই কাজ করতে উৎসাহ দেব। এ বিষয়ে আপনাদের মনোযোগের জন্য ধন্যবাদ!’
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে সিআইএ পরিচালক ও প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করা লিয়ন প্যানেটা বলেন, ইরানের ‘সীমিত প্রতিক্রিয়া’ বোঝায় যে তাদের পাল্টা প্রতিরোধ ক্ষমতা ‘সম্ভবত খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, এর মধ্য দিয়ে এ-ও স্পষ্ট হচ্ছে, ইরান ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধ বাড়াতে আগ্রহী নয়।
ট্রাম্প বলেন, ইরান আল-উদেইদ ঘাঁটিতে মোট ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। বিশাল এই ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের ফরোয়ার্ড সদর দপ্তর। ইরাক ও আফগানিস্তানের যুদ্ধের সময় এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ঘাঁটি। বর্তমানে সেখানে প্রায় ৮ হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছে, যা ওই দুই যুদ্ধে সর্বোচ্চ সময়ে ১০ হাজার ছিল।
ট্রাম্প জানান, ইরানের ছোড়া ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ১৩ টিকে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভূপাতিত করেছে। আর একটি ক্ষেপণাস্ত্র ‘মুক্ত’ রাখা হয়েছে, কারণ সেটি অপ্রত্যাশিত বা ক্ষতির আশঙ্কাহীন দিকে যাচ্ছিল।
ইরানের এই হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে কাতারে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস একটি সতর্কবার্তা দিয়ে দেশটির মার্কিন নাগরিকদের ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার’ আহ্বান জানিয়েছিল। একই সঙ্গে কাতার সরকার ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ নিয়ে ব্যস্ত বিমান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল।
উভয় পক্ষে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানির পর অবশেষে ইরান-ইসরায়েলের ১২ দিনের যুদ্ধ শেষ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ও কাতারের মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে এই যুদ্ধবিরতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি দীর্ঘ ২০ মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ চলতে থাকা গাজাকে।
১ ঘণ্টা আগেএরই মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির মধ্যে। এই যুদ্ধবিরতির তীব্র বিরোধিতা করেছেন পার্টির সদস্য ড্যান ইলাউজ। ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘ইসরায়েল কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারে না। একমাত্র যে চুক্তিতে ইসরায়েল স্বাক্ষর করতে পারে
১ ঘণ্টা আগেউভয় পক্ষে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানির পর অবশেষে ইরান-ইসরায়েলের ১২ দিনের যুদ্ধ শেষ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ও কাতারের মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে এই যুদ্ধবিরতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি দীর্ঘ ২০ মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ চলতে থাকা গাজাকে।
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে। গতকাল সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা (২২: ০০ জিএমটি) নাগাদ ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, যুদ্ধবিরতি ‘এখন থেকে প্রায় ৬ ঘণ্টার মধ্যে’ কার্যকর হতে শুরু
১ ঘণ্টা আগে