Ajker Patrika

বৃষ্টিতে পণ্ড এক বিয়ে হয়ে গেল অনন্য

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৭ মে ২০২৫, ০০: ০৬
বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর এভাবেই বদলে যায় বিয়ের আসরের চিত্র। ছবি: অ্যানি টাকেট
বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর এভাবেই বদলে যায় বিয়ের আসরের চিত্র। ছবি: অ্যানি টাকেট

সাধারণত বিয়ের দিনটিতে সবাই রোদ আর নীল আকাশ চায়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকির বাসিন্দা অ্যাশলি ও ম্যাসন সারজেন্টের জন্য প্রত্যাশিত সেই দিন অন্য রকমভাবে স্মরণীয়। ২০২৪ সালে ২৯ জুন স্থানীয় ওহায়োর ইন্ডিয়ান হিলে ২০০ অতিথিকে নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল তাঁদের জমকালো আউটডোর বিয়ের অনুষ্ঠান। কিন্তু হঠাৎ এক প্রবল বর্ষণে সব পরিকল্পনা ভেসে যায়।

বিয়ের দিন বিকেলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা ছিল বটে, কিন্তু কেউ ভাবেনি, হঠাৎ ঝড় এসে সবকিছু পাল্টে দেবে। ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বড় বড় বৃষ্টির ফোঁটা আর আকাশে একেবারে ঘন অন্ধকার নেমে এসেছিল সেদিন। তবে এই প্রতিকূল পরিস্থিতিকেই ভালোবাসার এক অসাধারণ উৎসবে রূপ দেন নবদম্পতি। ভিজে একাকার হয়ে যাওয়া বিয়ের পোশাকেই তাঁরা একে অপরের হাত ধরে নাচতে শুরু করেন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিতে আহ্বান জানান অতিথিদেরও। ফলে সেদিন অন্য রকম এক বিয়ের উৎসবের সাক্ষী হলো অনুষ্ঠানে আগত সবাই।

অনন্য সেই বিয়ে নিয়ে সোমবার (২৬ মে) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম দ্য পিপল। বিয়ের দিনটির কথা স্মরণ করে পিপলকে ২৯ বছর বয়সী বর ম্যাসন বলেন, ‘আমি তো ভেবেছিলাম, অ্যাশলি হয়তো ভেঙে পড়বে। সে এত কষ্ট করে সব আয়োজন করেছিল। কিন্তু দেখি, সে বরং জুতা খুলে বৃষ্টিতে নেমে পড়েছে, হেসে-খেলে উচ্ছ্বাস করছে। সেই মুহূর্তে আমি বুঝে গেলাম, এই দিনটা আর নষ্ট হচ্ছে না; বরং আরও সুন্দর হয়ে উঠছে।’

২৪ বছর বয়সী কনে অ্যাশলি বলেন, ‘আমি চাইনি, আমাদের অতিথিরা কষ্ট পাক। কিন্তু যখন দেখলাম, তাঁরা আশপাশের ভবনে আশ্রয় নিচ্ছেন বা কেউ কেউ বেরিয়ে যাচ্ছেন, তখন ভাবলাম, এখন না নাচলে, এখন না হাসলে—এই দিনটা আমরা কোনো দিনই ফিরে পাব না।’

এরপর যা ঘটল, তা যেন কোনো চলচ্চিত্রের দৃশ্য। বর-কনে বৃষ্টিতে নেচে চলেছে, অতিথিরাও ফিরে এসে যোগ দিচ্ছেন তাঁদের সঙ্গে, কেউ কেউ হাতে থাকা ছাতা ছুড়ে ফেলে এই আনন্দে শরিক হয়েছেন। আর বরের বন্ধুরা তো শিশুসুলভ উল্লাসে ভেজা ঘাসে গড়াগড়ি খেয়েছেন!

উচ্ছ্বসিত নবদম্পতি। ছবি: অ্যানি টাকেট
উচ্ছ্বসিত নবদম্পতি। ছবি: অ্যানি টাকেট

এই অভাবনীয় মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দী করেছিলেন বিয়ের আলোকচিত্রী অ্যানি টাকেট। ৯ বছরের অভিজ্ঞতায় তিনি এমন কিছু আগে দেখেননি। অ্যানি বলেন, ‘এই দম্পতি ও তাঁদের অতিথিরা কোনো অভিযোগ না করে জীবনের সঙ্গে তাল মিলিয়েছিলেন, মুক্তির আনন্দে ভিজেছেন। এমন দৃশ্য আমাকে বারবার আবেগে ভাসিয়েছে।’

বর ম্যাসনের বন্ধুরা। ছবি: অ্যানি টাকেট
বর ম্যাসনের বন্ধুরা। ছবি: অ্যানি টাকেট

বিয়ের পরিকল্পনা নিখুঁত ছিল না, তবু দিনটি হয়ে উঠেছিল অনন্য। কনে অ্যাশলি বলেন, ‘এই বৃষ্টি আমাদের শেখাল, সবকিছু কখনো নিখুঁত হবে না। কিন্তু কীভাবে তুমি প্রতিকূলতাকে গ্রহণ করো, সেটাই তোমার জীবনের আসল সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে।’

আলোকচিত্রী অ্যানি টাকেটও বলেন, ‘ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে আমি নিশ্চিত, আমি এক অসাধারণ গল্পের সাক্ষী ছিলাম। প্রকৃত ভালোবাসা, সাহস আর জীবনকে পুরোপুরি আলিঙ্গন করার এক সত্য উদাহরণ ছিল দিনটি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কাও ঢাকায় এসিসির সভা বর্জন করল

মুক্তি পেয়ে আ.লীগ নেতার ভিডিও বার্তা, বেআইনি বলল বিএনপি

গাড়ি কেনার টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে মারধর, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে মামলা

যুদ্ধবিমানের ২৫০ ইঞ্জিন কিনছে ভারত, ফ্রান্সের সঙ্গে ৬১ হাজার কোটি রুপির চুক্তি

সালাহউদ্দিনকে নিয়ে বিষোদ্‌গার: চকরিয়ায় এনসিপির পথসভার মঞ্চে বিএনপির হামলা-ভাঙচুর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত