অনলাইন ডেস্ক
সাধারণত বিয়ের দিনটিতে সবাই রোদ আর নীল আকাশ চায়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকির বাসিন্দা অ্যাশলি ও ম্যাসন সারজেন্টের জন্য প্রত্যাশিত সেই দিন অন্য রকমভাবে স্মরণীয়। ২০২৪ সালে ২৯ জুন স্থানীয় ওহায়োর ইন্ডিয়ান হিলে ২০০ অতিথিকে নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল তাঁদের জমকালো আউটডোর বিয়ের অনুষ্ঠান। কিন্তু হঠাৎ এক প্রবল বর্ষণে সব পরিকল্পনা ভেসে যায়।
বিয়ের দিন বিকেলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা ছিল বটে, কিন্তু কেউ ভাবেনি, হঠাৎ ঝড় এসে সবকিছু পাল্টে দেবে। ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বড় বড় বৃষ্টির ফোঁটা আর আকাশে একেবারে ঘন অন্ধকার নেমে এসেছিল সেদিন। তবে এই প্রতিকূল পরিস্থিতিকেই ভালোবাসার এক অসাধারণ উৎসবে রূপ দেন নবদম্পতি। ভিজে একাকার হয়ে যাওয়া বিয়ের পোশাকেই তাঁরা একে অপরের হাত ধরে নাচতে শুরু করেন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিতে আহ্বান জানান অতিথিদেরও। ফলে সেদিন অন্য রকম এক বিয়ের উৎসবের সাক্ষী হলো অনুষ্ঠানে আগত সবাই।
অনন্য সেই বিয়ে নিয়ে সোমবার (২৬ মে) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম দ্য পিপল। বিয়ের দিনটির কথা স্মরণ করে পিপলকে ২৯ বছর বয়সী বর ম্যাসন বলেন, ‘আমি তো ভেবেছিলাম, অ্যাশলি হয়তো ভেঙে পড়বে। সে এত কষ্ট করে সব আয়োজন করেছিল। কিন্তু দেখি, সে বরং জুতা খুলে বৃষ্টিতে নেমে পড়েছে, হেসে-খেলে উচ্ছ্বাস করছে। সেই মুহূর্তে আমি বুঝে গেলাম, এই দিনটা আর নষ্ট হচ্ছে না; বরং আরও সুন্দর হয়ে উঠছে।’
২৪ বছর বয়সী কনে অ্যাশলি বলেন, ‘আমি চাইনি, আমাদের অতিথিরা কষ্ট পাক। কিন্তু যখন দেখলাম, তাঁরা আশপাশের ভবনে আশ্রয় নিচ্ছেন বা কেউ কেউ বেরিয়ে যাচ্ছেন, তখন ভাবলাম, এখন না নাচলে, এখন না হাসলে—এই দিনটা আমরা কোনো দিনই ফিরে পাব না।’
এরপর যা ঘটল, তা যেন কোনো চলচ্চিত্রের দৃশ্য। বর-কনে বৃষ্টিতে নেচে চলেছে, অতিথিরাও ফিরে এসে যোগ দিচ্ছেন তাঁদের সঙ্গে, কেউ কেউ হাতে থাকা ছাতা ছুড়ে ফেলে এই আনন্দে শরিক হয়েছেন। আর বরের বন্ধুরা তো শিশুসুলভ উল্লাসে ভেজা ঘাসে গড়াগড়ি খেয়েছেন!
এই অভাবনীয় মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দী করেছিলেন বিয়ের আলোকচিত্রী অ্যানি টাকেট। ৯ বছরের অভিজ্ঞতায় তিনি এমন কিছু আগে দেখেননি। অ্যানি বলেন, ‘এই দম্পতি ও তাঁদের অতিথিরা কোনো অভিযোগ না করে জীবনের সঙ্গে তাল মিলিয়েছিলেন, মুক্তির আনন্দে ভিজেছেন। এমন দৃশ্য আমাকে বারবার আবেগে ভাসিয়েছে।’
বিয়ের পরিকল্পনা নিখুঁত ছিল না, তবু দিনটি হয়ে উঠেছিল অনন্য। কনে অ্যাশলি বলেন, ‘এই বৃষ্টি আমাদের শেখাল, সবকিছু কখনো নিখুঁত হবে না। কিন্তু কীভাবে তুমি প্রতিকূলতাকে গ্রহণ করো, সেটাই তোমার জীবনের আসল সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে।’
আলোকচিত্রী অ্যানি টাকেটও বলেন, ‘ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে আমি নিশ্চিত, আমি এক অসাধারণ গল্পের সাক্ষী ছিলাম। প্রকৃত ভালোবাসা, সাহস আর জীবনকে পুরোপুরি আলিঙ্গন করার এক সত্য উদাহরণ ছিল দিনটি।’
সাধারণত বিয়ের দিনটিতে সবাই রোদ আর নীল আকাশ চায়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকির বাসিন্দা অ্যাশলি ও ম্যাসন সারজেন্টের জন্য প্রত্যাশিত সেই দিন অন্য রকমভাবে স্মরণীয়। ২০২৪ সালে ২৯ জুন স্থানীয় ওহায়োর ইন্ডিয়ান হিলে ২০০ অতিথিকে নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল তাঁদের জমকালো আউটডোর বিয়ের অনুষ্ঠান। কিন্তু হঠাৎ এক প্রবল বর্ষণে সব পরিকল্পনা ভেসে যায়।
বিয়ের দিন বিকেলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা ছিল বটে, কিন্তু কেউ ভাবেনি, হঠাৎ ঝড় এসে সবকিছু পাল্টে দেবে। ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বড় বড় বৃষ্টির ফোঁটা আর আকাশে একেবারে ঘন অন্ধকার নেমে এসেছিল সেদিন। তবে এই প্রতিকূল পরিস্থিতিকেই ভালোবাসার এক অসাধারণ উৎসবে রূপ দেন নবদম্পতি। ভিজে একাকার হয়ে যাওয়া বিয়ের পোশাকেই তাঁরা একে অপরের হাত ধরে নাচতে শুরু করেন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিতে আহ্বান জানান অতিথিদেরও। ফলে সেদিন অন্য রকম এক বিয়ের উৎসবের সাক্ষী হলো অনুষ্ঠানে আগত সবাই।
অনন্য সেই বিয়ে নিয়ে সোমবার (২৬ মে) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম দ্য পিপল। বিয়ের দিনটির কথা স্মরণ করে পিপলকে ২৯ বছর বয়সী বর ম্যাসন বলেন, ‘আমি তো ভেবেছিলাম, অ্যাশলি হয়তো ভেঙে পড়বে। সে এত কষ্ট করে সব আয়োজন করেছিল। কিন্তু দেখি, সে বরং জুতা খুলে বৃষ্টিতে নেমে পড়েছে, হেসে-খেলে উচ্ছ্বাস করছে। সেই মুহূর্তে আমি বুঝে গেলাম, এই দিনটা আর নষ্ট হচ্ছে না; বরং আরও সুন্দর হয়ে উঠছে।’
২৪ বছর বয়সী কনে অ্যাশলি বলেন, ‘আমি চাইনি, আমাদের অতিথিরা কষ্ট পাক। কিন্তু যখন দেখলাম, তাঁরা আশপাশের ভবনে আশ্রয় নিচ্ছেন বা কেউ কেউ বেরিয়ে যাচ্ছেন, তখন ভাবলাম, এখন না নাচলে, এখন না হাসলে—এই দিনটা আমরা কোনো দিনই ফিরে পাব না।’
এরপর যা ঘটল, তা যেন কোনো চলচ্চিত্রের দৃশ্য। বর-কনে বৃষ্টিতে নেচে চলেছে, অতিথিরাও ফিরে এসে যোগ দিচ্ছেন তাঁদের সঙ্গে, কেউ কেউ হাতে থাকা ছাতা ছুড়ে ফেলে এই আনন্দে শরিক হয়েছেন। আর বরের বন্ধুরা তো শিশুসুলভ উল্লাসে ভেজা ঘাসে গড়াগড়ি খেয়েছেন!
এই অভাবনীয় মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দী করেছিলেন বিয়ের আলোকচিত্রী অ্যানি টাকেট। ৯ বছরের অভিজ্ঞতায় তিনি এমন কিছু আগে দেখেননি। অ্যানি বলেন, ‘এই দম্পতি ও তাঁদের অতিথিরা কোনো অভিযোগ না করে জীবনের সঙ্গে তাল মিলিয়েছিলেন, মুক্তির আনন্দে ভিজেছেন। এমন দৃশ্য আমাকে বারবার আবেগে ভাসিয়েছে।’
বিয়ের পরিকল্পনা নিখুঁত ছিল না, তবু দিনটি হয়ে উঠেছিল অনন্য। কনে অ্যাশলি বলেন, ‘এই বৃষ্টি আমাদের শেখাল, সবকিছু কখনো নিখুঁত হবে না। কিন্তু কীভাবে তুমি প্রতিকূলতাকে গ্রহণ করো, সেটাই তোমার জীবনের আসল সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে।’
আলোকচিত্রী অ্যানি টাকেটও বলেন, ‘ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে আমি নিশ্চিত, আমি এক অসাধারণ গল্পের সাক্ষী ছিলাম। প্রকৃত ভালোবাসা, সাহস আর জীবনকে পুরোপুরি আলিঙ্গন করার এক সত্য উদাহরণ ছিল দিনটি।’
কয়েক দিন ধরেই আলোচনায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ বিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রস্তাব। এবার যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাবে আগেভাগে সম্মত হয়ে যায় ইসরায়েল, যা অত্যন্ত বিরল। অন্যদিকে, হামাস অভিযোগ করছে—যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাবে উপেক্ষিত ফিলিস্তিনি স্বার্থ। তবে, কী আছে ওই প্রস্তাবে তা জানা যাচ্ছিল না। অবশেষে আজ
১৭ মিনিট আগেপাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আবারও প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন, ৯ ও ১০ মের মধ্যরাতে ভারতের মিসাইল হামলায় পাকিস্তানের একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছিল। তিনি এটিও স্বীকার করেন ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের এই অভিযানের বিষয়ে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল না।
১ ঘণ্টা আগেপেশাগত ক্ষেত্রে খুবই উচ্চমাত্রার দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন নারীরা। তবে, যুদ্ধক্ষেত্র ও শারীরিক সক্ষমতার ক্ষেত্রে তাঁরা তাল মেলাতে পারছেন না। যুদ্ধের ময়দানে শত্রুকে ঘায়েল করে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যে ধরনের সক্ষমতা প্রয়োজন তা তাঁদের মধ্যে তুলনামূলক কম।
৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের নতুন এই প্রস্তাবে ইসরায়েল রাজি কি না সেবিষয়েও নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, হামাসের কাছে যারা এখনো জিম্মি রয়েছেন তাঁদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ
৬ ঘণ্টা আগে