রাশিয়ার প্রতি আমেরিকানদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বাড়ছে। সম্প্রতি ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর মানুষের মধ্যে পরিচালিত এক জরিপে এমন চিত্র পেয়েছে পিউ রিসার্চ সেন্টার। এই জরিপে ন্যাটো জোট, মস্কো এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ব্যাপারে মানুষের ধারণা ও দৃষ্টিভঙ্গি জানার চেষ্টা করা হয়েছে।
জরিপে দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় রাশিয়ার প্রতি আরও বেশি আমেরিকান এখন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করেন।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০২৪ সালে রাশিয়ার প্রতি ‘অনুকূল’ দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে এমন আমেরিকানের হার ১১ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ পয়েন্টে বেড়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার এ জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়। ১ থেকে ৬ এপ্রিলের মধ্যে ৩ হাজার ৬০০ প্রাপ্তবয়স্ক আমেরিকানের মধ্যে এ জরিপ চালানো হয়। জরিপের ফলাফলে ত্রুটির মার্জিন ২ দশমিক ১ শতাংশ। অর্থাৎ প্রাপ্ত ফলাফল সামান্য এদিকে সেদিক হতে পারে।
অবশ্য পিউ জরিপ অনুসারে, ২০২০ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় আগ্রাসন শুরু করার দুই বছর আগে রাশিয়ার প্রতি ১৫ শতাংশ আমেরিকানের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল।
এ ছাড়া ওয়াশিংটন, ডিসিতে অনুষ্ঠেয় ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের আগে ৩৬টি দেশের ৪৪ হাজারের বেশি মানুষের ওপর জরিপ চালিয়ে পিউ রিসার্চ সেন্টার। জোটের ৭৫তম বার্ষিকীতে এ সম্মেলন হতে যাচ্ছে। সম্মেলনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থনই প্রধান আলোচ্য থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্য ন্যাটো দেশগুলোতেও রাশিয়ার প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন বেড়েছে। দেখা গেছে, ১৩ শতাংশ কানাডীয় রাশিয়ার প্রতি অনুকূল দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে, যা ২০২৩ সালের চেয়ে ১ শতাংশ বেশি। ফ্রান্সেও একই মনোভাব ৩ শতাংশ পয়েন্ট বেড়ে ১৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। জার্মানিতেও ৫ শতাংশ বেড়ে ১৫ শতাংশ হয়েছে। যুক্তরাজ্যে ১৩ শতাংশ উত্তরদাতা রাশিয়ার প্রতি অনুকূল দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন। এটিও গত বছরের চেয়ে ৪ শতাংশ বেশি।
যা–ই হোক, জরিপে স্পষ্ট, বিশ্বে রাশিয়া এবং পুতিন সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি অনেকাংশে নেতিবাচক। তিন ডজন দেশে সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৬৫ শতাংশ উত্তরদাতারা রাশিয়ার প্রতি প্রতিকূল দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন। যেখানে ৭৩ শতাংশ মানুষের পুতিনের প্রতি আস্থার অভাব রয়েছে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পুতিনের অবস্থান মানুষ পছন্দ করছেন না।
নিউইয়র্কভিত্তিক সাময়িকী নিউজউইককে দেওয়া এক বিবৃতিতে পিউ রিসার্চ সেন্টার বলেছে, তারা দেখেছে, রাশিয়া এবং পুতিনের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি আগের চেয়ে নরম হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, আর্জেন্টিনার লোকেরা রাশিয়ার প্রতি ১১ শতাংশ পয়েন্টে বেশি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে এবং পুতিনের প্রতি ৯ পয়েন্ট বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়েছে।
পিউ আরও দেখেছে, ইউরোপে যারা ডানপন্থী জনতুষ্টির রাজনীতি করা দলের প্রতি অনুকূল তারা রাশিয়া এবং পুতিনের প্রতি এই জাতীয় দলগুলোর প্রতিকূল দৃষ্টিভঙ্গির চেয়েও বেশি ইতিবাচক।
এর সমীক্ষার ফলাফলগুলো নিঃসন্দেহে একটি বিষয় তুলে ধরছে, ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে চাপ সৃষ্টি করছে। সেই সঙ্গে পুতিনকে বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে।
সামগ্রিকভাবে, গড়ে ৪৬ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তাঁরা যুদ্ধে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে জেলেনস্কির ওপর আস্থা রাখেন না, যেখানে ৪০ শতাংশের আস্থা এখনো আছে।
পিউ বিবৃতিতে বলেছে, ১১টি দেশে জেলেনস্কির প্রতি আস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। প্রতিবেশী পোল্যান্ডে কমেছে সবচেয়ে বেশি। এ দেশে জেলেনস্কির প্রতি আস্থা ৭০ শতাংশ থেকে ৪৮ শতাংশে নেমেছে।
অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, সুইডেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
রাশিয়ার প্রতি আমেরিকানদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বাড়ছে। সম্প্রতি ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর মানুষের মধ্যে পরিচালিত এক জরিপে এমন চিত্র পেয়েছে পিউ রিসার্চ সেন্টার। এই জরিপে ন্যাটো জোট, মস্কো এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ব্যাপারে মানুষের ধারণা ও দৃষ্টিভঙ্গি জানার চেষ্টা করা হয়েছে।
জরিপে দেখা গেছে, গত বছরের তুলনায় রাশিয়ার প্রতি আরও বেশি আমেরিকান এখন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করেন।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০২৪ সালে রাশিয়ার প্রতি ‘অনুকূল’ দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে এমন আমেরিকানের হার ১১ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ পয়েন্টে বেড়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার এ জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়। ১ থেকে ৬ এপ্রিলের মধ্যে ৩ হাজার ৬০০ প্রাপ্তবয়স্ক আমেরিকানের মধ্যে এ জরিপ চালানো হয়। জরিপের ফলাফলে ত্রুটির মার্জিন ২ দশমিক ১ শতাংশ। অর্থাৎ প্রাপ্ত ফলাফল সামান্য এদিকে সেদিক হতে পারে।
অবশ্য পিউ জরিপ অনুসারে, ২০২০ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় আগ্রাসন শুরু করার দুই বছর আগে রাশিয়ার প্রতি ১৫ শতাংশ আমেরিকানের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল।
এ ছাড়া ওয়াশিংটন, ডিসিতে অনুষ্ঠেয় ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের আগে ৩৬টি দেশের ৪৪ হাজারের বেশি মানুষের ওপর জরিপ চালিয়ে পিউ রিসার্চ সেন্টার। জোটের ৭৫তম বার্ষিকীতে এ সম্মেলন হতে যাচ্ছে। সম্মেলনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থনই প্রধান আলোচ্য থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্য ন্যাটো দেশগুলোতেও রাশিয়ার প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন বেড়েছে। দেখা গেছে, ১৩ শতাংশ কানাডীয় রাশিয়ার প্রতি অনুকূল দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে, যা ২০২৩ সালের চেয়ে ১ শতাংশ বেশি। ফ্রান্সেও একই মনোভাব ৩ শতাংশ পয়েন্ট বেড়ে ১৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। জার্মানিতেও ৫ শতাংশ বেড়ে ১৫ শতাংশ হয়েছে। যুক্তরাজ্যে ১৩ শতাংশ উত্তরদাতা রাশিয়ার প্রতি অনুকূল দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন। এটিও গত বছরের চেয়ে ৪ শতাংশ বেশি।
যা–ই হোক, জরিপে স্পষ্ট, বিশ্বে রাশিয়া এবং পুতিন সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি অনেকাংশে নেতিবাচক। তিন ডজন দেশে সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৬৫ শতাংশ উত্তরদাতারা রাশিয়ার প্রতি প্রতিকূল দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন। যেখানে ৭৩ শতাংশ মানুষের পুতিনের প্রতি আস্থার অভাব রয়েছে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পুতিনের অবস্থান মানুষ পছন্দ করছেন না।
নিউইয়র্কভিত্তিক সাময়িকী নিউজউইককে দেওয়া এক বিবৃতিতে পিউ রিসার্চ সেন্টার বলেছে, তারা দেখেছে, রাশিয়া এবং পুতিনের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি আগের চেয়ে নরম হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, আর্জেন্টিনার লোকেরা রাশিয়ার প্রতি ১১ শতাংশ পয়েন্টে বেশি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে এবং পুতিনের প্রতি ৯ পয়েন্ট বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়েছে।
পিউ আরও দেখেছে, ইউরোপে যারা ডানপন্থী জনতুষ্টির রাজনীতি করা দলের প্রতি অনুকূল তারা রাশিয়া এবং পুতিনের প্রতি এই জাতীয় দলগুলোর প্রতিকূল দৃষ্টিভঙ্গির চেয়েও বেশি ইতিবাচক।
এর সমীক্ষার ফলাফলগুলো নিঃসন্দেহে একটি বিষয় তুলে ধরছে, ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে চাপ সৃষ্টি করছে। সেই সঙ্গে পুতিনকে বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে।
সামগ্রিকভাবে, গড়ে ৪৬ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তাঁরা যুদ্ধে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে জেলেনস্কির ওপর আস্থা রাখেন না, যেখানে ৪০ শতাংশের আস্থা এখনো আছে।
পিউ বিবৃতিতে বলেছে, ১১টি দেশে জেলেনস্কির প্রতি আস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। প্রতিবেশী পোল্যান্ডে কমেছে সবচেয়ে বেশি। এ দেশে জেলেনস্কির প্রতি আস্থা ৭০ শতাংশ থেকে ৪৮ শতাংশে নেমেছে।
অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, সুইডেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
ভারতের অনলাইন প্রতারকেরা এখন পুরো আর্থিক খাতকে নিশানা করছে। ব্যাংক থেকে বিমা, স্বাস্থ্যসেবা থেকে খুচরা বাণিজ্য—কোনো কিছুই বাদ যাচ্ছে না। কয়েক স্তরে প্রতারণার জটিল কাঠামো তৈরি করে নজরদারি এড়াচ্ছে তারা।
১৮ মিনিট আগেরিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনিল আম্বানিকে ১৭ হাজার কোটি রুপি ঋণ জালিয়াতি মামলার তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য স্টেটসম্যান জানিয়েছে, ৫ আগস্ট রাজধানী দিল্লিতে ইডির সদর দপ্তরে অনিল আম্বানিকে হাজির হতে বলা হয়েছে।
৩২ মিনিট আগেগত বছর ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে ছেলেশিশুদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম ছিল মুহাম্মদ। আর মেয়েশিশুদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম ছিল অলিভিয়া। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকসের তালিকায় উঠে এসেছে এ তথ্য। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথমবারের মতো এই তালিকায় শীর্ষ এক শতে স্থান করে নিয়েছে এথেনা
১ ঘণ্টা আগেকেরানির চাকরি করতেন। কিন্তু তাঁর চারটি আলিশান বাড়ি ও সব মিলিয়ে ৩০ হাজার কোটি রুপির সম্পদের সন্ধান মিলেছে। ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন লিমিটেডের ওই সাবেক কেরানির বাড়িতে অভিযান অবৈধ সম্পদ জব্দ করেছে লোকায়ুক্ত (দুর্নীতি দমন) কর্মকর্তারা। আজ শুক্রবার এই অভিযান চালানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে