আজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘আগ্রাসীভাবে’ চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের মার্কিন ঘোষণার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে বেইজিং। আজ বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কাছে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে ‘রাজনৈতিক ও বৈষম্যমূলক’ বলে সমালোচনা করেছে চীন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেছে।
চীন সরকারের মুখপাত্র মাও নিং অভিযোগ করেন, জাতীয় নিরাপত্তা ও আদর্শগত অজুহাতে ‘অযৌক্তিক’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এতে চীনা শিক্ষার্থীদের বৈধ অধিকার ও স্বার্থের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে এবং দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ব্যাহত হয়েছে।
মাও নিং বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে কথিত স্বাধীনতা ও উদারতার মুখোশ পরে থাকে, এই রাজনৈতিক ও বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত তা উন্মোচন করে দিয়েছে; বিশ্ববাসীর কাছে নগ্ন করে দিয়েছে তাদের আসল চেহারা। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র নিজের আন্তর্জাতিক ও জাতীয় ভাবমূর্তি এবং রাষ্ট্রীয় বিশ্বাসযোগ্যতাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
এর আগে গতকাল বুধবার সামাজিক মাধ্যম এক্সে পোস্ট দিয়ে চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের বিষয়টি ঘোষণা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। এই ঘোষণার পর ওয়াশিংটনের কাছে সরাসরি আপত্তি জানিয়েছে বেইজিং।
রুবিও তাঁর পোস্টে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করা শুরু করবে, তাঁদের মধ্যে ‘চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত বা সংবেদনশীল বিষয়ে’ পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীরাও অন্তর্ভুক্ত।
তবে রুবিওর বিবৃতিতে ‘চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত’ শিক্ষার্থী ও ‘সংবেদনশীল বিষয়’-এর সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি। কীসের ভিত্তিতে এই শিক্ষার্থীদের বাছাই করা হবে, তা স্পষ্ট নয়। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) প্রভাব ব্যাপক এবং দলটির সদস্যসংখ্যা ৯ কোটি ৯০ লাখের বেশি। ফলে অনেক শিক্ষার্থীর বাবা-মা বা আত্মীয়স্বজন সিপিসির সদস্য বা রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকতেই পারেন। সেই কারণে তাঁদের ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
চীনা শিক্ষার্থীরা মার্কিন প্রযুক্তি, বিশেষ করে সামরিক ব্যবহারে উপযোগী প্রযুক্তির গোপন তথ্য পাচার করতে পারেন— এমন উদ্বেগের কথা ওয়াশিংটন দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে। এই আশঙ্কা দেখিয়েই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে এমন একটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন, যার ফলে চীনের যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততা রয়েছে, সেখানকার স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) বিভাগের স্নাতকদের যুক্তরাষ্ট্রে আসা কার্যত বন্ধ হয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রে চীনের গোয়েন্দা তৎপরতা রোধ করার লক্ষ্যে ‘চায়না ইনিশিয়েটিভ’ নামে জাতীয় নিরাপত্তা কর্মসূচিও চালু করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে নতুন প্রযুক্তি চুরি ঠেকানোর উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে যুক্তি তুলে ধরা হয়। তবে ওই কর্মসূচিকে অনেকে ১৯৫০-এর দশকে ‘রেড স্কয়ার’ নামে কমিউনিস্ট শাসনের প্রতি অকমিউনিস্ট রাষ্ট্রগুলোতে যে ভীতির প্রচার করা হতো, সেই ধারণার পুনঃপ্রচার বলে নিন্দা জানিয়েছে। পরে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং চীনা বংশোদ্ভূত মার্কিনদের প্রতি সন্দেহ ও বৈষম্যকে উসকে দেওয়ার কারণে জো বাইডেন প্রশাসন ট্রাম্পের সেই কর্মসূচি বাতিল করে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গতকালের ঘোষণার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চীনবিরোধী অবস্থান আরও জোরালো হলো। এটি যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা খাতের জন্য বড় ধাক্কা। মার্কিন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের বড় অংশই চীনা।
দশকের পর দশক ধরে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চীনের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের আকৃষ্ট করে এসেছে। মানসম্পন্ন শিক্ষা ও উন্নত জীবনমানের হাতছানিতে চীনের মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা যুক্তরাষ্ট্রের কলেজগুলোতে পড়তে আসেন। দেশটির রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক অভিজাত শ্রেণির সন্তানেরাও বাদ যায় না। বহু চীনা কর্মকর্তা তাঁদের সন্তানদের মার্কিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছেন। চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের মেয়ে সি মিংঝেও হার্ভার্ডে পড়ছেন, তবে ছদ্মনামে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পৃষ্ঠপোষকতায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তিসংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করে ওপেন ডোর্স নামের একটি ডেটাবেস। এই প্রতিষ্ঠানের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে পড়ুয়া বিদেশিদের মধ্যে টানা ১৫ বছর ধরে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিলেন চীনা শিক্ষার্থীরা। তবে গত বছর সেই স্থান দখল করে নেন ভারতীয়েরা।
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৭২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারি ও দুই দেশের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার কারণে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে সেই সংখ্যা নেমে আসে ২ লাখ ৭০ হাজারে।

‘আগ্রাসীভাবে’ চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের মার্কিন ঘোষণার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে বেইজিং। আজ বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কাছে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে ‘রাজনৈতিক ও বৈষম্যমূলক’ বলে সমালোচনা করেছে চীন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেছে।
চীন সরকারের মুখপাত্র মাও নিং অভিযোগ করেন, জাতীয় নিরাপত্তা ও আদর্শগত অজুহাতে ‘অযৌক্তিক’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এতে চীনা শিক্ষার্থীদের বৈধ অধিকার ও স্বার্থের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে এবং দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ব্যাহত হয়েছে।
মাও নিং বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে কথিত স্বাধীনতা ও উদারতার মুখোশ পরে থাকে, এই রাজনৈতিক ও বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত তা উন্মোচন করে দিয়েছে; বিশ্ববাসীর কাছে নগ্ন করে দিয়েছে তাদের আসল চেহারা। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র নিজের আন্তর্জাতিক ও জাতীয় ভাবমূর্তি এবং রাষ্ট্রীয় বিশ্বাসযোগ্যতাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
এর আগে গতকাল বুধবার সামাজিক মাধ্যম এক্সে পোস্ট দিয়ে চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের বিষয়টি ঘোষণা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। এই ঘোষণার পর ওয়াশিংটনের কাছে সরাসরি আপত্তি জানিয়েছে বেইজিং।
রুবিও তাঁর পোস্টে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করা শুরু করবে, তাঁদের মধ্যে ‘চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত বা সংবেদনশীল বিষয়ে’ পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীরাও অন্তর্ভুক্ত।
তবে রুবিওর বিবৃতিতে ‘চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত’ শিক্ষার্থী ও ‘সংবেদনশীল বিষয়’-এর সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি। কীসের ভিত্তিতে এই শিক্ষার্থীদের বাছাই করা হবে, তা স্পষ্ট নয়। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) প্রভাব ব্যাপক এবং দলটির সদস্যসংখ্যা ৯ কোটি ৯০ লাখের বেশি। ফলে অনেক শিক্ষার্থীর বাবা-মা বা আত্মীয়স্বজন সিপিসির সদস্য বা রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকতেই পারেন। সেই কারণে তাঁদের ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
চীনা শিক্ষার্থীরা মার্কিন প্রযুক্তি, বিশেষ করে সামরিক ব্যবহারে উপযোগী প্রযুক্তির গোপন তথ্য পাচার করতে পারেন— এমন উদ্বেগের কথা ওয়াশিংটন দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে। এই আশঙ্কা দেখিয়েই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে এমন একটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন, যার ফলে চীনের যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততা রয়েছে, সেখানকার স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) বিভাগের স্নাতকদের যুক্তরাষ্ট্রে আসা কার্যত বন্ধ হয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রে চীনের গোয়েন্দা তৎপরতা রোধ করার লক্ষ্যে ‘চায়না ইনিশিয়েটিভ’ নামে জাতীয় নিরাপত্তা কর্মসূচিও চালু করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে নতুন প্রযুক্তি চুরি ঠেকানোর উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে যুক্তি তুলে ধরা হয়। তবে ওই কর্মসূচিকে অনেকে ১৯৫০-এর দশকে ‘রেড স্কয়ার’ নামে কমিউনিস্ট শাসনের প্রতি অকমিউনিস্ট রাষ্ট্রগুলোতে যে ভীতির প্রচার করা হতো, সেই ধারণার পুনঃপ্রচার বলে নিন্দা জানিয়েছে। পরে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং চীনা বংশোদ্ভূত মার্কিনদের প্রতি সন্দেহ ও বৈষম্যকে উসকে দেওয়ার কারণে জো বাইডেন প্রশাসন ট্রাম্পের সেই কর্মসূচি বাতিল করে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গতকালের ঘোষণার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চীনবিরোধী অবস্থান আরও জোরালো হলো। এটি যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা খাতের জন্য বড় ধাক্কা। মার্কিন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের বড় অংশই চীনা।
দশকের পর দশক ধরে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চীনের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের আকৃষ্ট করে এসেছে। মানসম্পন্ন শিক্ষা ও উন্নত জীবনমানের হাতছানিতে চীনের মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা যুক্তরাষ্ট্রের কলেজগুলোতে পড়তে আসেন। দেশটির রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক অভিজাত শ্রেণির সন্তানেরাও বাদ যায় না। বহু চীনা কর্মকর্তা তাঁদের সন্তানদের মার্কিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছেন। চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের মেয়ে সি মিংঝেও হার্ভার্ডে পড়ছেন, তবে ছদ্মনামে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পৃষ্ঠপোষকতায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তিসংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করে ওপেন ডোর্স নামের একটি ডেটাবেস। এই প্রতিষ্ঠানের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে পড়ুয়া বিদেশিদের মধ্যে টানা ১৫ বছর ধরে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিলেন চীনা শিক্ষার্থীরা। তবে গত বছর সেই স্থান দখল করে নেন ভারতীয়েরা।
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৭২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারি ও দুই দেশের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার কারণে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে সেই সংখ্যা নেমে আসে ২ লাখ ৭০ হাজারে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘আগ্রাসীভাবে’ চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের মার্কিন ঘোষণার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে বেইজিং। আজ বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কাছে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে ‘রাজনৈতিক ও বৈষম্যমূলক’ বলে সমালোচনা করেছে চীন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেছে।
চীন সরকারের মুখপাত্র মাও নিং অভিযোগ করেন, জাতীয় নিরাপত্তা ও আদর্শগত অজুহাতে ‘অযৌক্তিক’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এতে চীনা শিক্ষার্থীদের বৈধ অধিকার ও স্বার্থের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে এবং দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ব্যাহত হয়েছে।
মাও নিং বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে কথিত স্বাধীনতা ও উদারতার মুখোশ পরে থাকে, এই রাজনৈতিক ও বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত তা উন্মোচন করে দিয়েছে; বিশ্ববাসীর কাছে নগ্ন করে দিয়েছে তাদের আসল চেহারা। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র নিজের আন্তর্জাতিক ও জাতীয় ভাবমূর্তি এবং রাষ্ট্রীয় বিশ্বাসযোগ্যতাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
এর আগে গতকাল বুধবার সামাজিক মাধ্যম এক্সে পোস্ট দিয়ে চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের বিষয়টি ঘোষণা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। এই ঘোষণার পর ওয়াশিংটনের কাছে সরাসরি আপত্তি জানিয়েছে বেইজিং।
রুবিও তাঁর পোস্টে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করা শুরু করবে, তাঁদের মধ্যে ‘চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত বা সংবেদনশীল বিষয়ে’ পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীরাও অন্তর্ভুক্ত।
তবে রুবিওর বিবৃতিতে ‘চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত’ শিক্ষার্থী ও ‘সংবেদনশীল বিষয়’-এর সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি। কীসের ভিত্তিতে এই শিক্ষার্থীদের বাছাই করা হবে, তা স্পষ্ট নয়। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) প্রভাব ব্যাপক এবং দলটির সদস্যসংখ্যা ৯ কোটি ৯০ লাখের বেশি। ফলে অনেক শিক্ষার্থীর বাবা-মা বা আত্মীয়স্বজন সিপিসির সদস্য বা রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকতেই পারেন। সেই কারণে তাঁদের ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
চীনা শিক্ষার্থীরা মার্কিন প্রযুক্তি, বিশেষ করে সামরিক ব্যবহারে উপযোগী প্রযুক্তির গোপন তথ্য পাচার করতে পারেন— এমন উদ্বেগের কথা ওয়াশিংটন দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে। এই আশঙ্কা দেখিয়েই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে এমন একটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন, যার ফলে চীনের যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততা রয়েছে, সেখানকার স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) বিভাগের স্নাতকদের যুক্তরাষ্ট্রে আসা কার্যত বন্ধ হয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রে চীনের গোয়েন্দা তৎপরতা রোধ করার লক্ষ্যে ‘চায়না ইনিশিয়েটিভ’ নামে জাতীয় নিরাপত্তা কর্মসূচিও চালু করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে নতুন প্রযুক্তি চুরি ঠেকানোর উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে যুক্তি তুলে ধরা হয়। তবে ওই কর্মসূচিকে অনেকে ১৯৫০-এর দশকে ‘রেড স্কয়ার’ নামে কমিউনিস্ট শাসনের প্রতি অকমিউনিস্ট রাষ্ট্রগুলোতে যে ভীতির প্রচার করা হতো, সেই ধারণার পুনঃপ্রচার বলে নিন্দা জানিয়েছে। পরে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং চীনা বংশোদ্ভূত মার্কিনদের প্রতি সন্দেহ ও বৈষম্যকে উসকে দেওয়ার কারণে জো বাইডেন প্রশাসন ট্রাম্পের সেই কর্মসূচি বাতিল করে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গতকালের ঘোষণার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চীনবিরোধী অবস্থান আরও জোরালো হলো। এটি যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা খাতের জন্য বড় ধাক্কা। মার্কিন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের বড় অংশই চীনা।
দশকের পর দশক ধরে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চীনের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের আকৃষ্ট করে এসেছে। মানসম্পন্ন শিক্ষা ও উন্নত জীবনমানের হাতছানিতে চীনের মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা যুক্তরাষ্ট্রের কলেজগুলোতে পড়তে আসেন। দেশটির রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক অভিজাত শ্রেণির সন্তানেরাও বাদ যায় না। বহু চীনা কর্মকর্তা তাঁদের সন্তানদের মার্কিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছেন। চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের মেয়ে সি মিংঝেও হার্ভার্ডে পড়ছেন, তবে ছদ্মনামে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পৃষ্ঠপোষকতায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তিসংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করে ওপেন ডোর্স নামের একটি ডেটাবেস। এই প্রতিষ্ঠানের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে পড়ুয়া বিদেশিদের মধ্যে টানা ১৫ বছর ধরে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিলেন চীনা শিক্ষার্থীরা। তবে গত বছর সেই স্থান দখল করে নেন ভারতীয়েরা।
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৭২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারি ও দুই দেশের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার কারণে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে সেই সংখ্যা নেমে আসে ২ লাখ ৭০ হাজারে।

‘আগ্রাসীভাবে’ চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের মার্কিন ঘোষণার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে বেইজিং। আজ বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কাছে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে ‘রাজনৈতিক ও বৈষম্যমূলক’ বলে সমালোচনা করেছে চীন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেছে।
চীন সরকারের মুখপাত্র মাও নিং অভিযোগ করেন, জাতীয় নিরাপত্তা ও আদর্শগত অজুহাতে ‘অযৌক্তিক’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এতে চীনা শিক্ষার্থীদের বৈধ অধিকার ও স্বার্থের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে এবং দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ব্যাহত হয়েছে।
মাও নিং বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে কথিত স্বাধীনতা ও উদারতার মুখোশ পরে থাকে, এই রাজনৈতিক ও বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত তা উন্মোচন করে দিয়েছে; বিশ্ববাসীর কাছে নগ্ন করে দিয়েছে তাদের আসল চেহারা। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র নিজের আন্তর্জাতিক ও জাতীয় ভাবমূর্তি এবং রাষ্ট্রীয় বিশ্বাসযোগ্যতাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
এর আগে গতকাল বুধবার সামাজিক মাধ্যম এক্সে পোস্ট দিয়ে চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের বিষয়টি ঘোষণা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। এই ঘোষণার পর ওয়াশিংটনের কাছে সরাসরি আপত্তি জানিয়েছে বেইজিং।
রুবিও তাঁর পোস্টে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করা শুরু করবে, তাঁদের মধ্যে ‘চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত বা সংবেদনশীল বিষয়ে’ পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীরাও অন্তর্ভুক্ত।
তবে রুবিওর বিবৃতিতে ‘চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত’ শিক্ষার্থী ও ‘সংবেদনশীল বিষয়’-এর সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি। কীসের ভিত্তিতে এই শিক্ষার্থীদের বাছাই করা হবে, তা স্পষ্ট নয়। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) প্রভাব ব্যাপক এবং দলটির সদস্যসংখ্যা ৯ কোটি ৯০ লাখের বেশি। ফলে অনেক শিক্ষার্থীর বাবা-মা বা আত্মীয়স্বজন সিপিসির সদস্য বা রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকতেই পারেন। সেই কারণে তাঁদের ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
চীনা শিক্ষার্থীরা মার্কিন প্রযুক্তি, বিশেষ করে সামরিক ব্যবহারে উপযোগী প্রযুক্তির গোপন তথ্য পাচার করতে পারেন— এমন উদ্বেগের কথা ওয়াশিংটন দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে। এই আশঙ্কা দেখিয়েই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে এমন একটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন, যার ফলে চীনের যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততা রয়েছে, সেখানকার স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত) বিভাগের স্নাতকদের যুক্তরাষ্ট্রে আসা কার্যত বন্ধ হয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রে চীনের গোয়েন্দা তৎপরতা রোধ করার লক্ষ্যে ‘চায়না ইনিশিয়েটিভ’ নামে জাতীয় নিরাপত্তা কর্মসূচিও চালু করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে নতুন প্রযুক্তি চুরি ঠেকানোর উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে যুক্তি তুলে ধরা হয়। তবে ওই কর্মসূচিকে অনেকে ১৯৫০-এর দশকে ‘রেড স্কয়ার’ নামে কমিউনিস্ট শাসনের প্রতি অকমিউনিস্ট রাষ্ট্রগুলোতে যে ভীতির প্রচার করা হতো, সেই ধারণার পুনঃপ্রচার বলে নিন্দা জানিয়েছে। পরে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং চীনা বংশোদ্ভূত মার্কিনদের প্রতি সন্দেহ ও বৈষম্যকে উসকে দেওয়ার কারণে জো বাইডেন প্রশাসন ট্রাম্পের সেই কর্মসূচি বাতিল করে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গতকালের ঘোষণার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চীনবিরোধী অবস্থান আরও জোরালো হলো। এটি যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা খাতের জন্য বড় ধাক্কা। মার্কিন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের বড় অংশই চীনা।
দশকের পর দশক ধরে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চীনের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের আকৃষ্ট করে এসেছে। মানসম্পন্ন শিক্ষা ও উন্নত জীবনমানের হাতছানিতে চীনের মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা যুক্তরাষ্ট্রের কলেজগুলোতে পড়তে আসেন। দেশটির রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক অভিজাত শ্রেণির সন্তানেরাও বাদ যায় না। বহু চীনা কর্মকর্তা তাঁদের সন্তানদের মার্কিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছেন। চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের মেয়ে সি মিংঝেও হার্ভার্ডে পড়ছেন, তবে ছদ্মনামে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পৃষ্ঠপোষকতায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তিসংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করে ওপেন ডোর্স নামের একটি ডেটাবেস। এই প্রতিষ্ঠানের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে পড়ুয়া বিদেশিদের মধ্যে টানা ১৫ বছর ধরে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিলেন চীনা শিক্ষার্থীরা। তবে গত বছর সেই স্থান দখল করে নেন ভারতীয়েরা।
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৭২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারি ও দুই দেশের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার কারণে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে সেই সংখ্যা নেমে আসে ২ লাখ ৭০ হাজারে।

সূত্রটি জানায়, পিআইএফের জন্য স্বল্পমেয়াদে আরও টেকসই আর্থিক লাভ নিশ্চিত করতে নতুন কৌশলে জোর দেওয়া হচ্ছে বিদ্যমান ও বাস্তবসম্মত খাতগুলোর ওপর—যেমন লজিস্টিকস, খনিজ সম্পদ উত্তোলন ও ধর্মীয় পর্যটন।
১১ মিনিট আগে
ভারতীয় বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রাফাল যুদ্ধবিমান ওড়ানো প্রথম ভারতীয় নারী ফাইটার পাইলট শিবাঙ্গী সিং সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন।
৪১ মিনিট আগে
কানাডায় লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তৎপরতা বেড়েছে। স্থানীয় সময় গত সোমবার এই গ্যাং কানাডার অ্যাবটসফোর্ড-ভিত্তিক এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিল্পপতিকে হত্যা করেছে। এ ছাড়া এক পাঞ্জাবি গায়কের বাড়িতে গুলি ছোড়ার দায়ও স্বীকার করেছে তারা। ঘটনার মাত্র এক দিন আগেই রাজস্থান পুলিশ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিষ্ণোই গ্যাংয়ের
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে সর্বশেষ যুদ্ধ বন্ধে নিজের কৃতিত্ব দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। এ সময় তিনি মোদিকে ‘আকর্ষণীয়’ ও ‘পিতার মতো’ ব্যক্তিত্ব বলে আখ্যা দেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সৌদি আরব গত এক দশক ধরে উন্নয়ন পরিকল্পনায় যেসব বিশাল রিয়েল এস্টেট প্রকল্পকে গুরুত্ব দিচ্ছিল, দেশটি এখন সেসব থেকে সরে এসে ৯২৫ বিলিয়ন ডলারের তহবিল অন্য খাতে বিনিয়োগের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এ তথ্য রয়টার্সকে জানিয়েছে সৌদি আরবের পরিকল্পনা সম্পর্কে সরাসরি অবগত একটি সূত্র।
সৌদি যুবরাজ ও দেশটির কার্যত শাসক মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) ২০১৬ সালে ‘ভিশন ২০৩০’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন, যার লক্ষ্য ছিল রিয়েল এস্টেটনির্ভর বৃহৎ প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে অর্থনীতিকে রূপান্তর করা।
এই পরিকল্পনার প্রধান অর্থায়নকারী ছিল সৌদি আরবের সার্বভৌম তহবিল পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ)।
মূল পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত ছিল নিওম—লোহিত সাগরের তীরে মরুভূমিতে নির্মাণাধীন এক ভবিষ্যৎ নগরী এবং দেশটির উত্তরাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় আন্তর্জাতিক শীতকালীন ক্রীড়া আয়োজনের প্রকল্প, যেখানে কৃত্রিম তুষারে তৈরি স্কি ঢালও থাকবে।
৯০ লাখ জনসংখ্যার পরিকল্পিত শহর নিওমসহ এসব প্রকল্পে একাধিকবার বিলম্ব ঘটেছে।
সূত্রটি জানায়, পিআইএফের জন্য স্বল্প মেয়াদে আরও টেকসই আর্থিক লাভ নিশ্চিত করতে নতুন কৌশলে জোর দেওয়া হচ্ছে বিদ্যমান ও বাস্তবসম্মত খাতগুলোর ওপর—যেমন লজিস্টিকস, খনিজ সম্পদ উত্তোলন ও ধর্মীয় পর্যটন।
সূত্রটি আরও জানায়, সৌদি আরব এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও বিশাল জ্বালানি সম্পদনির্ভর ডেটা সেন্টারের মতো খাতেও বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
কৌশল পরিবর্তন নিয়ে মন্তব্যের অনুরোধ জানালে পিআইএফ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

সৌদি আরব গত এক দশক ধরে উন্নয়ন পরিকল্পনায় যেসব বিশাল রিয়েল এস্টেট প্রকল্পকে গুরুত্ব দিচ্ছিল, দেশটি এখন সেসব থেকে সরে এসে ৯২৫ বিলিয়ন ডলারের তহবিল অন্য খাতে বিনিয়োগের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এ তথ্য রয়টার্সকে জানিয়েছে সৌদি আরবের পরিকল্পনা সম্পর্কে সরাসরি অবগত একটি সূত্র।
সৌদি যুবরাজ ও দেশটির কার্যত শাসক মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) ২০১৬ সালে ‘ভিশন ২০৩০’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন, যার লক্ষ্য ছিল রিয়েল এস্টেটনির্ভর বৃহৎ প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে অর্থনীতিকে রূপান্তর করা।
এই পরিকল্পনার প্রধান অর্থায়নকারী ছিল সৌদি আরবের সার্বভৌম তহবিল পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ)।
মূল পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত ছিল নিওম—লোহিত সাগরের তীরে মরুভূমিতে নির্মাণাধীন এক ভবিষ্যৎ নগরী এবং দেশটির উত্তরাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় আন্তর্জাতিক শীতকালীন ক্রীড়া আয়োজনের প্রকল্প, যেখানে কৃত্রিম তুষারে তৈরি স্কি ঢালও থাকবে।
৯০ লাখ জনসংখ্যার পরিকল্পিত শহর নিওমসহ এসব প্রকল্পে একাধিকবার বিলম্ব ঘটেছে।
সূত্রটি জানায়, পিআইএফের জন্য স্বল্প মেয়াদে আরও টেকসই আর্থিক লাভ নিশ্চিত করতে নতুন কৌশলে জোর দেওয়া হচ্ছে বিদ্যমান ও বাস্তবসম্মত খাতগুলোর ওপর—যেমন লজিস্টিকস, খনিজ সম্পদ উত্তোলন ও ধর্মীয় পর্যটন।
সূত্রটি আরও জানায়, সৌদি আরব এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও বিশাল জ্বালানি সম্পদনির্ভর ডেটা সেন্টারের মতো খাতেও বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
কৌশল পরিবর্তন নিয়ে মন্তব্যের অনুরোধ জানালে পিআইএফ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

‘আগ্রাসীভাবে’ চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের মার্কিন ঘোষণার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে বেইজিং। আজ বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কাছে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে ‘রাজনৈতিক ও বৈষম্যমূলক’ বলে সমালোচনা করেছে চীন।
২৯ মে ২০২৫
ভারতীয় বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রাফাল যুদ্ধবিমান ওড়ানো প্রথম ভারতীয় নারী ফাইটার পাইলট শিবাঙ্গী সিং সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন।
৪১ মিনিট আগে
কানাডায় লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তৎপরতা বেড়েছে। স্থানীয় সময় গত সোমবার এই গ্যাং কানাডার অ্যাবটসফোর্ড-ভিত্তিক এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিল্পপতিকে হত্যা করেছে। এ ছাড়া এক পাঞ্জাবি গায়কের বাড়িতে গুলি ছোড়ার দায়ও স্বীকার করেছে তারা। ঘটনার মাত্র এক দিন আগেই রাজস্থান পুলিশ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিষ্ণোই গ্যাংয়ের
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে সর্বশেষ যুদ্ধ বন্ধে নিজের কৃতিত্ব দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। এ সময় তিনি মোদিকে ‘আকর্ষণীয়’ ও ‘পিতার মতো’ ব্যক্তিত্ব বলে আখ্যা দেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আজ বুধবার হরিয়ানার আম্বালা বিমানঘাঁটি থেকে একটি রাফাল যুদ্ধবিমানে উড়ান দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি রাফাল বিমানে উড়ান দেওয়া প্রথম ভারতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে ইতিহাস গড়লেন। রাফাল যুদ্ধবিমানটি ব্যবহৃত হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুরে’।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার শিবাঙ্গী সিং।
পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছিল, তাদের সশস্ত্র বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছেন শিবাঙ্গী। দাবি করা হয়েছিল, তিনি যুদ্ধবন্দী; তাঁর ফাইটার জেট ‘অপারেশন সিঁদুরের’ সময় গুলি করে নামানো হয়েছে।
তবে আজ সকালে আম্বালা বিমানঘাঁটিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে ছবি তুলে পাকিস্তানের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন বারানসিতে জন্ম হওয়া স্কোয়াড্রন লিডার শিবাঙ্গী সিং।
ছবিতে দেখা যায়, রাফাল যুদ্ধবিমানের সামনে উড়োজাহাজ চালনার পোশাক পরে দাঁড়িয়ে আছেন শিবাঙ্গী, পাশে দ্রোপদী মুর্মু।
গত মে মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিসংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান শুরু করে ভারত।
পাকিস্তান সে সময় দাবি করেছিল, ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে তারা, যার মধ্যে একটি নতুন কেনা ফরাসি রাফালও রয়েছে। কিন্তু এসব দাবির একটিও সত্য প্রমাণ হয়নি।
ভারতীয় সামরিক বাহিনী ও সরকার বিস্তারিত প্রমাণসহ জানায়, পাকিস্তান ভারতের একটি বিমানও নামাতে পারেনি; বরং নিজেরাই ছয়টি যুদ্ধবিমান হারিয়েছে।
পাকিস্তানের আরও একটি দাবি ছিল, শিবাঙ্গীর রাফাল যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের আঘাতে ভূপাতিত হয়েছে এবং তাঁকে বন্দী করা হয়েছে।
এমনকি একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়, যাতে দেখা যায়, ভারতের বিমানবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন শোকাহত পরিবারের সদস্যরা।
পরে তদন্তে দেখা যায়, ভিডিওটিতে শিবাঙ্গীর পরিবার ছিল না। ছিল সার্জেন্ট সুরেন্দ্র কুমারের পরিবার। সুরেন্দ্র কুমার ‘অপারেশন সিঁদুরে’ শহীদ হয়েছিলেন।
ভারতীয় বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রাফাল যুদ্ধবিমান ওড়ানো প্রথম ভারতীয় নারী ফাইটার পাইলট শিবাঙ্গী সিং সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, ফার্স্টপোস্ট

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আজ বুধবার হরিয়ানার আম্বালা বিমানঘাঁটি থেকে একটি রাফাল যুদ্ধবিমানে উড়ান দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি রাফাল বিমানে উড়ান দেওয়া প্রথম ভারতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে ইতিহাস গড়লেন। রাফাল যুদ্ধবিমানটি ব্যবহৃত হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুরে’।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার শিবাঙ্গী সিং।
পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছিল, তাদের সশস্ত্র বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছেন শিবাঙ্গী। দাবি করা হয়েছিল, তিনি যুদ্ধবন্দী; তাঁর ফাইটার জেট ‘অপারেশন সিঁদুরের’ সময় গুলি করে নামানো হয়েছে।
তবে আজ সকালে আম্বালা বিমানঘাঁটিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে ছবি তুলে পাকিস্তানের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন বারানসিতে জন্ম হওয়া স্কোয়াড্রন লিডার শিবাঙ্গী সিং।
ছবিতে দেখা যায়, রাফাল যুদ্ধবিমানের সামনে উড়োজাহাজ চালনার পোশাক পরে দাঁড়িয়ে আছেন শিবাঙ্গী, পাশে দ্রোপদী মুর্মু।
গত মে মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিসংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান শুরু করে ভারত।
পাকিস্তান সে সময় দাবি করেছিল, ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে তারা, যার মধ্যে একটি নতুন কেনা ফরাসি রাফালও রয়েছে। কিন্তু এসব দাবির একটিও সত্য প্রমাণ হয়নি।
ভারতীয় সামরিক বাহিনী ও সরকার বিস্তারিত প্রমাণসহ জানায়, পাকিস্তান ভারতের একটি বিমানও নামাতে পারেনি; বরং নিজেরাই ছয়টি যুদ্ধবিমান হারিয়েছে।
পাকিস্তানের আরও একটি দাবি ছিল, শিবাঙ্গীর রাফাল যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের আঘাতে ভূপাতিত হয়েছে এবং তাঁকে বন্দী করা হয়েছে।
এমনকি একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়, যাতে দেখা যায়, ভারতের বিমানবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন শোকাহত পরিবারের সদস্যরা।
পরে তদন্তে দেখা যায়, ভিডিওটিতে শিবাঙ্গীর পরিবার ছিল না। ছিল সার্জেন্ট সুরেন্দ্র কুমারের পরিবার। সুরেন্দ্র কুমার ‘অপারেশন সিঁদুরে’ শহীদ হয়েছিলেন।
ভারতীয় বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রাফাল যুদ্ধবিমান ওড়ানো প্রথম ভারতীয় নারী ফাইটার পাইলট শিবাঙ্গী সিং সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, ফার্স্টপোস্ট

‘আগ্রাসীভাবে’ চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের মার্কিন ঘোষণার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে বেইজিং। আজ বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কাছে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে ‘রাজনৈতিক ও বৈষম্যমূলক’ বলে সমালোচনা করেছে চীন।
২৯ মে ২০২৫
সূত্রটি জানায়, পিআইএফের জন্য স্বল্পমেয়াদে আরও টেকসই আর্থিক লাভ নিশ্চিত করতে নতুন কৌশলে জোর দেওয়া হচ্ছে বিদ্যমান ও বাস্তবসম্মত খাতগুলোর ওপর—যেমন লজিস্টিকস, খনিজ সম্পদ উত্তোলন ও ধর্মীয় পর্যটন।
১১ মিনিট আগে
কানাডায় লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তৎপরতা বেড়েছে। স্থানীয় সময় গত সোমবার এই গ্যাং কানাডার অ্যাবটসফোর্ড-ভিত্তিক এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিল্পপতিকে হত্যা করেছে। এ ছাড়া এক পাঞ্জাবি গায়কের বাড়িতে গুলি ছোড়ার দায়ও স্বীকার করেছে তারা। ঘটনার মাত্র এক দিন আগেই রাজস্থান পুলিশ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিষ্ণোই গ্যাংয়ের
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে সর্বশেষ যুদ্ধ বন্ধে নিজের কৃতিত্ব দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। এ সময় তিনি মোদিকে ‘আকর্ষণীয়’ ও ‘পিতার মতো’ ব্যক্তিত্ব বলে আখ্যা দেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কানাডায় লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তৎপরতা বেড়েছে। স্থানীয় সময় গত সোমবার এই গ্যাং কানাডার অ্যাবটসফোর্ড-ভিত্তিক এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিল্পপতিকে হত্যা করেছে। এ ছাড়া এক পাঞ্জাবি গায়কের বাড়িতে গুলি ছোড়ার দায়ও স্বীকার করেছে তারা। ঘটনার মাত্র এক দিন আগেই রাজস্থান পুলিশ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিষ্ণোই গ্যাংয়ের এক সক্রিয় সদস্য জগদীপ সিং ওরফে জগ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া পোস্টে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য গোল্ডি ঢিলোঁ দাবি করেন, ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিল্পপতি দর্শন সিং সাহসিকে হত্যার পেছনে তাদের গোষ্ঠী দায়ী। গ্যাংয়ের দাবি, সাহসি (৬৮) মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং তাঁদের কাছে চাঁদা চাওয়া হয়েছিল। সেই অর্থ না দেওয়ায় তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
জানা যায়, ব্রিটিশ কলম্বিয়ার অ্যাবটসফোর্ডে নিজের বাড়ির বাইরে সাহসিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে, হত্যাকারী তাঁর গাড়ির কাছে অপেক্ষা করছিল। সাহসি গাড়িতে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই হামলাকারী গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সাহসিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাওয়া যায়, পরে হাসপাতালে মারা যান।
এই ঘটনার জেরে আশপাশে থাকা তিনটি স্কুলকে সতর্কতামূলক ‘শেল্টার-ইন-প্লেস’ প্রোটোকলের অধীনে লকডাউন করা হয়। অবশ্য এ ঘটনায় কোনো শিক্ষার্থী আহত হয়নি।
দর্শন সিং সাহসি ছিলেন বিখ্যাত টেক্সটাইল রিসাইক্লিং কোম্পানি ক্যানাম ইন্টারন্যাশনাল-এর প্রেসিডেন্ট। ১৯৯১ সালে তিনি কানাডায় অভিবাসী হন। একটি লোকসানে থাকা টেক্সটাইল রিসাইক্লিং ইউনিটকে বিশ্বমানের কোম্পানিতে রূপান্তরিত করেন। একজন সফল শিল্পপতির পাশাপাশি তিনি জনহিতকর কর্মকাণ্ডেও জড়িত ছিলেন।
কমিউনিটির নেতারা এই ঘটনাটিকে কানাডায় বসবাসরত ভারতীয় অভিবাসীদের নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
একই সময়ে পাঞ্জাবি গায়ক চন্নি নাট্টানের বাড়ির বাইরে গুলি ছুড়েছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং।
গ্যাং সদস্য ঢিলোঁ সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, গায়ক সর্দার খেরার সঙ্গে নাট্টান ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলেই এই হামলা চালানো হয়েছে। ঢিলোঁ সতর্ক করে বলেন, নাট্টানের সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত কোনো শত্রুতা নেই, তবে যে গায়কই খেরার সঙ্গে কাজ করবে, তার ক্ষতির জন্য সে নিজেই দায়ী থাকবেন।
কানাডা সরকার লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এই গ্যাং বিশ্বব্যাপী সক্রিয় ৭০০-এরও বেশি শুটারের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করে ভারত।
বিষ্ণোই গ্যাংয়ের দ্বারা সংঘটিত বহু আলোচিত অপরাধমূলক ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে: র্যাপার ও রাজনীতিবিদ সিধু মুসওয়ালার হত্যাকাণ্ড; বলিউড অভিনেতা সালমান খানকে হত্যার হুমকি।
তাদের স্বাধীন পাঞ্জাবের দাবিতে খালিস্তানপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে যোগসূত্র থাকারও অভিযোগ করে ভারত সরকার।

কানাডায় লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তৎপরতা বেড়েছে। স্থানীয় সময় গত সোমবার এই গ্যাং কানাডার অ্যাবটসফোর্ড-ভিত্তিক এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিল্পপতিকে হত্যা করেছে। এ ছাড়া এক পাঞ্জাবি গায়কের বাড়িতে গুলি ছোড়ার দায়ও স্বীকার করেছে তারা। ঘটনার মাত্র এক দিন আগেই রাজস্থান পুলিশ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিষ্ণোই গ্যাংয়ের এক সক্রিয় সদস্য জগদীপ সিং ওরফে জগ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া পোস্টে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য গোল্ডি ঢিলোঁ দাবি করেন, ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিল্পপতি দর্শন সিং সাহসিকে হত্যার পেছনে তাদের গোষ্ঠী দায়ী। গ্যাংয়ের দাবি, সাহসি (৬৮) মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং তাঁদের কাছে চাঁদা চাওয়া হয়েছিল। সেই অর্থ না দেওয়ায় তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
জানা যায়, ব্রিটিশ কলম্বিয়ার অ্যাবটসফোর্ডে নিজের বাড়ির বাইরে সাহসিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে, হত্যাকারী তাঁর গাড়ির কাছে অপেক্ষা করছিল। সাহসি গাড়িতে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই হামলাকারী গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সাহসিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাওয়া যায়, পরে হাসপাতালে মারা যান।
এই ঘটনার জেরে আশপাশে থাকা তিনটি স্কুলকে সতর্কতামূলক ‘শেল্টার-ইন-প্লেস’ প্রোটোকলের অধীনে লকডাউন করা হয়। অবশ্য এ ঘটনায় কোনো শিক্ষার্থী আহত হয়নি।
দর্শন সিং সাহসি ছিলেন বিখ্যাত টেক্সটাইল রিসাইক্লিং কোম্পানি ক্যানাম ইন্টারন্যাশনাল-এর প্রেসিডেন্ট। ১৯৯১ সালে তিনি কানাডায় অভিবাসী হন। একটি লোকসানে থাকা টেক্সটাইল রিসাইক্লিং ইউনিটকে বিশ্বমানের কোম্পানিতে রূপান্তরিত করেন। একজন সফল শিল্পপতির পাশাপাশি তিনি জনহিতকর কর্মকাণ্ডেও জড়িত ছিলেন।
কমিউনিটির নেতারা এই ঘটনাটিকে কানাডায় বসবাসরত ভারতীয় অভিবাসীদের নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
একই সময়ে পাঞ্জাবি গায়ক চন্নি নাট্টানের বাড়ির বাইরে গুলি ছুড়েছে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং।
গ্যাং সদস্য ঢিলোঁ সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, গায়ক সর্দার খেরার সঙ্গে নাট্টান ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলেই এই হামলা চালানো হয়েছে। ঢিলোঁ সতর্ক করে বলেন, নাট্টানের সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত কোনো শত্রুতা নেই, তবে যে গায়কই খেরার সঙ্গে কাজ করবে, তার ক্ষতির জন্য সে নিজেই দায়ী থাকবেন।
কানাডা সরকার লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এই গ্যাং বিশ্বব্যাপী সক্রিয় ৭০০-এরও বেশি শুটারের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করে ভারত।
বিষ্ণোই গ্যাংয়ের দ্বারা সংঘটিত বহু আলোচিত অপরাধমূলক ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে: র্যাপার ও রাজনীতিবিদ সিধু মুসওয়ালার হত্যাকাণ্ড; বলিউড অভিনেতা সালমান খানকে হত্যার হুমকি।
তাদের স্বাধীন পাঞ্জাবের দাবিতে খালিস্তানপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে যোগসূত্র থাকারও অভিযোগ করে ভারত সরকার।

‘আগ্রাসীভাবে’ চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের মার্কিন ঘোষণার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে বেইজিং। আজ বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কাছে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে ‘রাজনৈতিক ও বৈষম্যমূলক’ বলে সমালোচনা করেছে চীন।
২৯ মে ২০২৫
সূত্রটি জানায়, পিআইএফের জন্য স্বল্পমেয়াদে আরও টেকসই আর্থিক লাভ নিশ্চিত করতে নতুন কৌশলে জোর দেওয়া হচ্ছে বিদ্যমান ও বাস্তবসম্মত খাতগুলোর ওপর—যেমন লজিস্টিকস, খনিজ সম্পদ উত্তোলন ও ধর্মীয় পর্যটন।
১১ মিনিট আগে
ভারতীয় বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রাফাল যুদ্ধবিমান ওড়ানো প্রথম ভারতীয় নারী ফাইটার পাইলট শিবাঙ্গী সিং সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন।
৪১ মিনিট আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে সর্বশেষ যুদ্ধ বন্ধে নিজের কৃতিত্ব দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। এ সময় তিনি মোদিকে ‘আকর্ষণীয়’ ও ‘পিতার মতো’ ব্যক্তিত্ব বলে আখ্যা দেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে সর্বশেষ যুদ্ধ বন্ধে নিজের কৃতিত্ব দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। এ সময় তিনি মোদিকে ‘আকর্ষণীয়’ ও ‘পিতার মতো’ ব্যক্তিত্ব বলে আখ্যা দেন। খবর বিবিসির।
দক্ষিণ কোরিয়া সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আজ বুধবার সিউলে এক বক্তৃতায় বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছিল। এ সময় তিনি মোদিকে ‘সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যক্তিদের একজন’ এবং ‘পিতার মতো’ ব্যক্তিত্ব বলে আখ্যা দেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি একেবারে ভয়ংকর, দারুণ কঠিন মানুষ।’ এরপর তিনি মোদির কথা বলার ঢং নকল করে বলেন, ‘না, আমরা লড়ব না।’ ট্রাম্প ফের ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধ প্রসঙ্গ টেনে আরও বলেন, তিনি ফোন করার দুদিন পর ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে ফোন করে জানায় যে, তারা তাদের অবস্থান কিছুটা নরম করবে। তিনি শ্রোতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘এটা কি অবিশ্বাস্য না?’
একইদিনে ট্রাম্প বলেন, চীন–যুক্তরাষ্ট্রের জন্য পরস্পরের সঙ্গে লড়াই করা মোটেও ভালো বিষয় নয়। তাই তিনি দেশটির সঙ্গে চুক্তি করতে চান, যা দুই দেশের জন্যই ভালো হবে। ট্রাম্প জানান, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং আগামীকাল বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় থাকবেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে আমরা একটা চুক্তিতে পৌঁছাতে যাচ্ছি।’ তিনি আরও যোগ করেন, এটি হবে ‘দুই পক্ষের জন্যই ভালো চুক্তি।’
ট্রাম্পের ভাষায়, এটি এমন এক ফলাফল হবে যা ‘লড়াই করার চেয়ে ভালো’ এবং ‘বিভিন্ন সমস্যায় জড়ানোর চেয়ে অনেক যুক্তিসংগত।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্ব আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আর আমার বিশ্বাস, আমরা এমন কিছু পেতে যাচ্ছি যা সবার জন্যই রোমাঞ্চকর হবে।’
এদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের আসন্ন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে এটাই প্রথম আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা। এর আগে, বৈঠকটি নিয়ে কথা বলেছিল শুধু হোয়াইট হাউস।
বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ কোরিয়ার শহর বুসানে। সি এপেক সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছানোর পরপরই এই বৈঠক হবে। ২০২৫ সালে ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর এবং বিশ্বের সব দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর এটাই দুই নেতার প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে সর্বশেষ যুদ্ধ বন্ধে নিজের কৃতিত্ব দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। এ সময় তিনি মোদিকে ‘আকর্ষণীয়’ ও ‘পিতার মতো’ ব্যক্তিত্ব বলে আখ্যা দেন। খবর বিবিসির।
দক্ষিণ কোরিয়া সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আজ বুধবার সিউলে এক বক্তৃতায় বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছিল। এ সময় তিনি মোদিকে ‘সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যক্তিদের একজন’ এবং ‘পিতার মতো’ ব্যক্তিত্ব বলে আখ্যা দেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি একেবারে ভয়ংকর, দারুণ কঠিন মানুষ।’ এরপর তিনি মোদির কথা বলার ঢং নকল করে বলেন, ‘না, আমরা লড়ব না।’ ট্রাম্প ফের ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধ প্রসঙ্গ টেনে আরও বলেন, তিনি ফোন করার দুদিন পর ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে ফোন করে জানায় যে, তারা তাদের অবস্থান কিছুটা নরম করবে। তিনি শ্রোতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘এটা কি অবিশ্বাস্য না?’
একইদিনে ট্রাম্প বলেন, চীন–যুক্তরাষ্ট্রের জন্য পরস্পরের সঙ্গে লড়াই করা মোটেও ভালো বিষয় নয়। তাই তিনি দেশটির সঙ্গে চুক্তি করতে চান, যা দুই দেশের জন্যই ভালো হবে। ট্রাম্প জানান, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং আগামীকাল বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় থাকবেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে আমরা একটা চুক্তিতে পৌঁছাতে যাচ্ছি।’ তিনি আরও যোগ করেন, এটি হবে ‘দুই পক্ষের জন্যই ভালো চুক্তি।’
ট্রাম্পের ভাষায়, এটি এমন এক ফলাফল হবে যা ‘লড়াই করার চেয়ে ভালো’ এবং ‘বিভিন্ন সমস্যায় জড়ানোর চেয়ে অনেক যুক্তিসংগত।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্ব আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আর আমার বিশ্বাস, আমরা এমন কিছু পেতে যাচ্ছি যা সবার জন্যই রোমাঞ্চকর হবে।’
এদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের আসন্ন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে এটাই প্রথম আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা। এর আগে, বৈঠকটি নিয়ে কথা বলেছিল শুধু হোয়াইট হাউস।
বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ কোরিয়ার শহর বুসানে। সি এপেক সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছানোর পরপরই এই বৈঠক হবে। ২০২৫ সালে ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর এবং বিশ্বের সব দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর এটাই দুই নেতার প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ।

‘আগ্রাসীভাবে’ চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের মার্কিন ঘোষণার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে বেইজিং। আজ বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কাছে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে ‘রাজনৈতিক ও বৈষম্যমূলক’ বলে সমালোচনা করেছে চীন।
২৯ মে ২০২৫
সূত্রটি জানায়, পিআইএফের জন্য স্বল্পমেয়াদে আরও টেকসই আর্থিক লাভ নিশ্চিত করতে নতুন কৌশলে জোর দেওয়া হচ্ছে বিদ্যমান ও বাস্তবসম্মত খাতগুলোর ওপর—যেমন লজিস্টিকস, খনিজ সম্পদ উত্তোলন ও ধর্মীয় পর্যটন।
১১ মিনিট আগে
ভারতীয় বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রাফাল যুদ্ধবিমান ওড়ানো প্রথম ভারতীয় নারী ফাইটার পাইলট শিবাঙ্গী সিং সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন।
৪১ মিনিট আগে
কানাডায় লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তৎপরতা বেড়েছে। স্থানীয় সময় গত সোমবার এই গ্যাং কানাডার অ্যাবটসফোর্ড-ভিত্তিক এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিল্পপতিকে হত্যা করেছে। এ ছাড়া এক পাঞ্জাবি গায়কের বাড়িতে গুলি ছোড়ার দায়ও স্বীকার করেছে তারা। ঘটনার মাত্র এক দিন আগেই রাজস্থান পুলিশ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিষ্ণোই গ্যাংয়ের
২ ঘণ্টা আগে