Ajker Patrika

ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে গাজা যুদ্ধে সুখবর নেই, বাণিজ্যে অস্বস্তি বাড়বে চীন-ভারতের

  • বিজয়ী ভাষণে বললেন, অভিবাসন কঠোর হবে
  • আবারও সংকটে পড়তে পারে ন্যাটোর অর্থায়ন
  • থামতে পারে ইউক্রেন যুদ্ধ, ইউরোপের সঙ্গে বাড়বে অস্বস্তি।
মোজাহিদুল ইসলাম, ঢাকা
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫: ২৮
ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম্প বিচের মঞ্চে সপরিবারের ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম্প বিচের মঞ্চে সপরিবারের ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

ভোটে জিতলেও ক্ষমতা গ্রহণ করতে প্রায় আড়াই মাস বাকি যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তবে গতকাল বুধবার বিজয় ভাষণে সরকার কেমন হবে, তার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ভাষণে উঠে এসেছে যুদ্ধ বন্ধের কথা। উঠে এসেছে কঠোর অভিবাসন নীতির কথাও। এতে ট্রাম্প মোটামুটি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, মার্কিন নীতির খোলনলচে বদলে দেবেন তিনি।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, ট্রাম্পের এই যুদ্ধ বন্ধের ঘোষণা ইউক্রেন যুদ্ধে যেভাবে প্রভাব ফেলবে, গাজা যুদ্ধে সেই প্রভাব ফেলবে না। অর্থাৎ ফিলিস্তিনিদের জন্য খুব একটা সুখবর নেই ট্রাম্পের জয়ে। এদিকে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদলে যাওয়া, ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কে অস্বস্তি, ভারত ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কে অস্বস্তির ইঙ্গিতও দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।

গতকাল ট্রাম্প তাঁর বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষত সারিয়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি এ-ও বলেছেন, তাঁর আমল হবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বর্ণযুগ। বললেন, ‘আমরা আমাদের সীমান্ত নিয়ে সব সমস্যার সমাধান করব।’

কঠোর হবে অভিবাসন নীতি

ট্রাম্প তাঁর ভাষণে অবৈধ অভিবাসনের বিষয়ে কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শিগগির সীমান্ত একেবারে বন্ধ করব।’ এ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকারের নীতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অভিবাসী ঢোকার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি দ্রুত খারাপের দিকে গেছে। অবৈধভাবে যারা প্রবেশ করেছে, তাদের বের করে দেওয়া হবে।

অবৈধ অভিবাসন নিয়ে বরাবরই সরব ছিলেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প লাখ লাখ মানুষকে ফিরিয়ে দেবেন তাদের নিজ দেশে। এর অর্থ হলো, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলবে। মেক্সিকো সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া আরও দীর্ঘ হবে।

যুদ্ধে বন্ধের ইঙ্গিত

অভিবাসনের পরই ট্রাম্পের বক্তব্যে আসে যুদ্ধ প্রসঙ্গ। যুক্তরাষ্ট্রের কী কী সম্পদ আছে, সেসব ফিরিস্তি দিতে গিয়ে সামরিক বাহিনীর প্রসঙ্গ টানেন। বলেন, ‘আমাদের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী আছে। আমার (আগের) চার বছরে সামরিক বাহিনী ব্যবহার করিনি। ওই সময়ে কোনো যুদ্ধ ছিল না। আমি যুদ্ধ বন্ধ করতে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, সেই সময় শুধু আইএসের (জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই বাহিনী ব্যবহার করা হয়েছিল।

বিশ্লেষকদের মতে, এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের লেবানন-গাজা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতি ইঙ্গিত করেন।

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত, ন্যাটো দুর্বল হতে পারে

এবিসি নিউজের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় ফিরে আসায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি বড় রদবদল হতে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর ব্যাপক সামরিক ও আর্থিক সহায়তা যাচ্ছে ইউক্রেনে। এ কারণেই রাশিয়াকে ঠেকিয়ে রাখতে পারছে ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশ। অথচ ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যই নয়।

এদিকে ন্যাটোর সবচেয়ে বড় আর্থিক জোগানদাতা যুক্তরাষ্ট্র। আর ট্রাম্প বারবার এই জোট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, জোটের অন্য দেশগুলোর যে পরিমাণ তহবিল সরবরাহ করা উচিত, তারা তা দেয় না। অর্থাৎ ট্রাম্প এবার ক্ষমতায় বসলে ন্যাটোয় হয় মার্কিন অর্থায়ন কমবে, না হয় অন্য সদস্যরা তহবিল সরবরাহ বাড়াতে বাধ্য হবে।

ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গ এলেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির প্রসঙ্গ আসে। এবিসি বলছে, ট্রাম্প-পুতিনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। ট্রাম্প এটা স্বীকারও করেছেন। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সিএনএনকে ২০২৩ সালের মে মাসে ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন, ‘যুদ্ধে রুশ-ইউক্রেনীয়—সবাই মরছে। এই মৃত্যু বন্ধ করতে চাই। আমি এটা করব। এটা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করতে পারব।’ এ জন্য পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসার ঘোষণাও দিয়েছিলেন তিনি।

বিবিসির বিশ্লেষণ বলছে, গত মে মাসে ট্রাম্পের সাবেক দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টা এক গবেষণা প্রবন্ধে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হবে ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়া। তবে একই সঙ্গে জেলেনস্কি যাতে পুতিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসেন, সেটাও নিশ্চিত করা উচিত।

গাজার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

২০১৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। আব্রাহাম অ্যাকর্ড বাস্তবায়ন করে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করা হয়েছিল। বিবিসি বলছে, এর মধ্য দিয়ে তিনি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সমর্থন পেয়েছেন। তবে ফিলিস্তিনের কোনো সুবিধা হয়নি। ফিলিস্তিনিরা ট্রাম্পকে বর্জন করেছিল। এদিকে বাইডেনের ইসরায়েল নীতির কারণে ফিলিস্তিনিদের পরিণতি হয়েছে আরও ভয়ংকর। যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রে মারা পড়েছে তারা। ফলে ট্রাম্প কিংবা বাইডেন—কেউই ফিলিস্তিনিদের ভাগ্যবদলের পথে হাঁটেননি।

এবার ট্রাম্প যুদ্ধ থামানোর কথা বলছেন। নির্বাচনের আগে তিনি দাবি করেছেন, তিনি ক্ষমতায় থাকলে হামাস ইসরায়েলে আক্রমণ করত না। কারণ, তিনি ইরানের ওপর আরও চাপ দিতেন। ধারণা করা হচ্ছে, এবার তিনি তা-ই করবেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগ করলে তা যুদ্ধে আরও বেশি প্রভাব ফেলবে। এতে যুদ্ধ আরও তীব্র হতে পারে।

এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হোয়াইট হাউসের ইতিহাসে ইসরায়েলের সবচেয়ে ভালো বন্ধু ট্রাম্প। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ট্রাম্পের আমলে তিনি আসলে সবই করতে পারবেন। তবে বিবিসি বলছে, ট্রাম্পের এমন নীতির কারণে মধ্যপ্রাচ্য আরও অস্থিতিশীল হতে পারে।

জলবায়ু তহবিলে বাজে প্রভাব

ট্রাম্প সব সময় জলবায়ু পরিবর্তনকে অগ্রাহ্য করেছেন। এ নিয়ে প্রচারকে ‘মিথ্যা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন বিভিন্ন সময়। তাঁর আমলে ঐতিহাসিক প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবারের নির্বাচনী প্রচারেও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে তিনি একই কথা বলেছেন। তিনি প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় গেলে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে করা আইন বাতিল করবেন।

ইউরোপ-চীনের স্বস্তি-অস্বস্তি

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে কাছের মিত্র ইউরোপ। ট্রাম্পের আগের আমল পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, বিভিন্ন ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ঠোকাঠুকি লেগে ছিল তাঁর প্রশাসনের। একসময় ন্যাটোর ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এবারও সেই শঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপীয় পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ফলে ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দেওয়ার শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এই সময়ের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বিবেচনা করা হয় চীনকে। বাইডেন প্রশাসন চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জটিলতর করেছে। এর জেরে তাইওয়ানের ওপর দিয়ে মহড়াও চালিয়েছে চীন। এখন তাইওয়ান ইস্যুতে চীন হয়তো খানিকটা স্বস্তি পাবে। তাইওয়ান ইস্যুতে মার্কিন বাহিনীকে ব্যবহার করে চীনকে হুমকি না দেওয়ার কথা বলেছেন ট্রাম্প। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘চীনের সি চিন পিং আমাকে সম্মান করেন এবং তিনি জানেন, আমি পাগলাটে।’

রয়টার্স বলছে, তবে চীনের জন্য দুঃসংবাদ হবে শুল্ক। এই শুল্কযুদ্ধ এর আগেও দেখেছে বিশ্ব। ট্রাম্প আবারও বাণিজ্যযুদ্ধের সেই পথে হাঁটার ঘোষণা দিয়েছেন।

বাণিজ্যে ভারতে অস্বস্তি

বাইডেন সরকারকে নিয়ে খানিকটা অস্বস্তিতে ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। রাশিয়াকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের অভিযোগে সম্প্রতি ভারতের ১৯ প্রতিষ্ঠান ও দুই ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এদিকে মোদি-ট্রাম্পের বন্ধুত্বের নজিরও আছে। সেটা ব্যক্তিগত পর্যায়ে কিংবা রাজনৈতিক সম্পর্ক খানিকটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার আভাস পেতেই গতকাল তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মোদি। তবে বাণিজ্য ইস্যুতে ভারতের জন্য খুব বেশি সুখবর নেই। ‘সবার আগে আমেরিকা’ নীতির কারণে অন্যান্য দেশের মতো ভারতীয় পণ্যেও শুল্ক বাড়বে। খোদ ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিও এ নিয়ে শঙ্কা জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজারে ভারতীয়দের সুবিধাও কমে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে গণমাধ্যমটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফিলিস্তিন সংকট: অবশেষে গাজার ক্ষমতা হস্তান্তরে সম্মত হামাস

এএফপি, কায়রো
টানা দুই বছরের ইসরায়েলি আগ্রাসনে ধ্বংস হয়ে গেছে গাজার সরবরাহ ব্যবস্থা। জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে অন্তত ১৫ লাখ মানুষের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। পাত্র নিয়ে পানির খোঁঁজে বেরিয়েছে শিশুরা। গতকাল গাজার খান ইউনিস এলাকায়। ছবি: এএফপি
টানা দুই বছরের ইসরায়েলি আগ্রাসনে ধ্বংস হয়ে গেছে গাজার সরবরাহ ব্যবস্থা। জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে অন্তত ১৫ লাখ মানুষের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। পাত্র নিয়ে পানির খোঁঁজে বেরিয়েছে শিশুরা। গতকাল গাজার খান ইউনিস এলাকায়। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।

হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।

গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।

এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।

এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।

ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তির সমর্থক, অভিযোগ অ্যান্ড্রু কুমোর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৮: ১৯
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো। ছবি: সংগৃহীত
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো। ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে, এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র আরও শক্তিশালী হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’

কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।

তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটির পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’

কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’

কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যারা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছে। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফ্রান্সে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে এই প্রথম কোনো নারীর যাবজ্জীবন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
অভিযুক্ত বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। ছবি: এএফপি
অভিযুক্ত বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। ছবি: এএফপি

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।

রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।

প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।

তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।

বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।

ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।

প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০০: ৪১
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্‌বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।

ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।

ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে বাবার হাতে খুন হলো নিষ্পাপ দুই শিশু

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত