
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদের পর দ্রুতই শান্তির পতাকা উড়িয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের সম্পর্ক এখনো ঠিক করা সম্ভব। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কিকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার সম্ভব কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই।’ এ সময় তিনি সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কামনা করেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠকে উত্তপ্ত বাগ্বিতণ্ডার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁকে তিরস্কার করে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনীহা দেখানোর অভিযোগ তোলেন। জেলেনস্কি নির্ধারিত সময়ের আগেই হোয়াইট হাউস ছেড়ে চলে যান।
পরে ফক্স নিউজকে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দুই প্রেসিডেন্টের সম্পর্কের চেয়েও বড় কিছু। কিয়েভের জন্য ওয়াশিংটনের সহায়তা অত্যন্ত জরুরি, কারণ রাশিয়ার তুলনায় ইউক্রেনের সামরিক শক্তি অনেক কম এবং দুর্বল। ট্রাম্পের পছন্দের চ্যানেল হিসেবে পরিচিত ফক্স নিউজকে জেলেনস্কি বলেন, ‘আপনাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) সমর্থন ছাড়া এটি কঠিন হয়ে যাবে।’
হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক তীব্র বাদানুবাদে রূপ নেয়। এ সময় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো সেখানে উপস্থিত ছিল। গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ওয়াশিংটনের সমর্থন ধরে রাখার চেষ্টা করছিলেন জেলেনস্কি, কিন্তু বৈঠকের পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওভাল অফিসের এই বৈঠককে জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝানোর সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন, যাতে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার পক্ষ না নেয়। তিন বছর আগে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের নির্দেশ দিয়েছিলেন পুতিন। কিন্তু এতে ব্যর্থ হয়ে সফর সংক্ষিপ্ত করে তড়িঘড়ি হোয়াইট হাউস ছাড়েন জেলেনস্কি।
ট্রাম্প ও জেডি ভ্যান্স জেলেনস্কির প্রতি তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে অসম্মান করেছেন। এতে ইউক্রেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধকালীন মিত্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ‘জেলেনস্কিকে বৈঠক ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়।’
ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ইউক্রেনের প্রাকৃতিক সম্পদ উন্নয়নে এক যৌথ চুক্তি স্বাক্ষরের কথা ছিল। কিয়েভ ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা এই চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছিল। কিন্তু বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়নি এবং এটির ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।
হোয়াইট হাউসের ঘটনার পর ইউরোপীয় নেতারা দ্রুত জেলেনস্কির সমর্থনে এগিয়ে আসেন। জার্মানির চ্যান্সেলর প্রার্থী ফ্রেডরিখ মের্ৎস বলেন, ‘এই ভয়াবহ যুদ্ধে কখনোই আগ্রাসী ও ভুক্তভোগীকে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়।’ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট ও ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি আন্তোনিও কস্তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন জেলেনস্কি বলে জানিয়েছেন ওয়াশিংটনে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দলের এক কর্মকর্তা।
এদিকে, আগামীকাল রোববার ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা করতে ব্রিটেন ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে জেলেনস্কির একটি বৈঠকের আয়োজন করবে।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে রাশিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব দেখিয়েছেন, যা ইউরোপসহ ওয়াশিংটনের ঐতিহ্যবাহী মিত্রদের বিস্মিত করেছে এবং ইউক্রেনকে আরও দুর্বল অবস্থানে ঠেলে দিয়েছে। শুক্রবারের ঘটনাটি তার অবস্থান বদলের সবচেয়ে প্রকাশ্য উদাহরণ।
বৈঠকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইউরোপের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সবচেয়ে বড় সংঘাত নিরসনে কূটনৈতিক সমাধানের প্রয়োজনীয়তার কথা বলার পর উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। এ সময় জেলেনস্কি হাত গুটিয়ে পাল্টা যুক্তি দেন, পুতিনকে বিশ্বাস করা যায় না এবং ভ্যান্স কখনোই ইউক্রেন সফর করেননি।
এ সময় জেলেনস্কি বলেন, ‘কোন কূটনীতির কথা বলছেন, জেডি?’ জবাবে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি এমন এক কূটনীতির কথা বলছি, যা আপনার দেশের ধ্বংসযজ্ঞ থামাতে পারে।’
জেলেনস্কি ট্রাম্পের রাশিয়াবান্ধব অবস্থানকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘একজন হত্যাকারীর সঙ্গে কোনো আপস করবেন না।’
ট্রাম্পের শিবির পরে জানায়, প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ‘আমেরিকানদের পক্ষ নিচ্ছিলেন’ এবং বৈঠকের পরপরই ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে জেলেনস্কির বিরুদ্ধে পোস্ট দেন। তিনি লেখেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমেরিকা জড়িত থাকলে হয়তো প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি শান্তির জন্য প্রস্তুত নন। তাই তিনি যখন শান্তির জন্য প্রস্তুত হবেন, তখন আসতে পারেন।’
পরে হোয়াইট হাউস থেকে ফ্লোরিডায় ছুটিতে যাওয়ার সময় ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘জেলেনস্কিকে বুঝতে হবে যে তিনি যুদ্ধে হেরে যাচ্ছেন। তিনি যদি বলেন, আমি শান্তি চাই, তাহলে ভালো হবে। তাঁকে বারবার “পুতিন এই, পুতিন সেই” বলে নেতিবাচক কিছু বলা বন্ধ করতে হবে।’
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, বৈঠকের পরপরই ট্রাম্প তাঁর দুই শীর্ষ সহকারীর মাধ্যমে জানিয়ে দেন জেলেনস্কিকে চলে যেতে হবে, যদিও তখনো প্রতিনিধিদলের জন্য মধ্যাহ্নভোজ প্রস্তুত করা হচ্ছিল। ইউক্রেনীয় পক্ষ বৈঠক চালিয়ে যেতে চাইলেও তাদের জানিয়ে দেওয়া হয় যে, তারা চলে যেতে পারে।
এই বিরোধের ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে পরিকল্পিত খনিজ সম্পদ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। যার বিনিময়ে ইউক্রেন চেয়েছিল, যেন ট্রাম্প তাদের যুদ্ধে সমর্থন দেন এবং রিপাবলিকানদের কাছ থেকে নতুন সাহায্য অনুমোদনের সম্ভাবনা তৈরি হয়। হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্প আপাতত খনিজ চুক্তি নিয়ে আর আলোচনা করতে চান না।
এদিকে ইউরোপীয় নেতারা ট্রাম্পকে রাজি করানোর চেষ্টা করছিলেন, যেন তিনি ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেন, যদিও তিনি সেখানে মার্কিন সেনা পাঠাতে রাজি নন। ট্রাম্প বরং হুমকি দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন থেকে সমর্থন সরিয়ে নেবে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা হয় চুক্তি করবেন, নয়তো আমরা সরে যাব এবং তখন আপনাদের যা হওয়ার তাই হবে। আমি মনে করি না, এটা ভালো কিছু হবে।’ ট্রাম্প বলেন, পুতিন শান্তিচুক্তি করতে চান এবং ভ্যান্সও জানান, ওভাল অফিসে এসে জেলেনস্কির কৌশল নিয়ে তর্ক করা অসম্মানজনক। এ সময় জেডি ভ্যান্স বলেন, ‘আপনি (আমেরিকানদের) কখনো ধন্যবাদ দেননি।’ উত্তরে জেলেনস্কি গলা চড়িয়ে বলেন, ‘আমি বহুবার আমেরিকান জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’
জেলেনস্কি বাইডেন প্রশাসনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও নৈতিক সমর্থন পেয়েছিলেন, কিন্তু ট্রাম্প তাঁর প্রতি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছেন। ট্রাম্প দ্রুত যুদ্ধের অবসান চেয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চান এবং ইউক্রেনকে দেওয়া অর্থের হিসাব কষতে চান। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি চাই, ইতিহাস আমাকে শান্তিদূত হিসেবে মনে রাখুক।’
বৈঠকের আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, ইউক্রেনীয় সেনারা অসাধারণ সাহস দেখিয়েছে, কিন্তু যুদ্ধ বন্ধ করা এবং অর্থ অন্য কাজে ব্যয় করাই যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য। ইউক্রেন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন বাড়ালেও এখনো বহিরাগত সামরিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল, পাশাপাশি বড় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে জনবল সংকটের মুখে রয়েছে।
২০২২ সালে কিয়েভের উপকণ্ঠ থেকে রুশ বাহিনীকে হটিয়ে এবং বিশাল এলাকা পুনর্দখল করেছিল ইউক্রেন, তবে রাশিয়া এখনো তাদের এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড দখলে রেখেছে এবং ২০২৩ সালের ব্যর্থ পাল্টা আক্রমণের পর থেকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে। ট্রাম্প সম্প্রতি জেলেনস্কির বিরুদ্ধে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন, তাঁকে ‘একনায়ক’ বলেছেন এবং তাঁকে খনিজ সম্পদ চুক্তি স্বাক্ষর করতে বলেছেন, যদিও পরে তিনি ‘একনায়ক’ মন্তব্য সংশোধন করে নেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদের পর দ্রুতই শান্তির পতাকা উড়িয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের সম্পর্ক এখনো ঠিক করা সম্ভব। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কিকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার সম্ভব কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই।’ এ সময় তিনি সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কামনা করেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠকে উত্তপ্ত বাগ্বিতণ্ডার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁকে তিরস্কার করে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনীহা দেখানোর অভিযোগ তোলেন। জেলেনস্কি নির্ধারিত সময়ের আগেই হোয়াইট হাউস ছেড়ে চলে যান।
পরে ফক্স নিউজকে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দুই প্রেসিডেন্টের সম্পর্কের চেয়েও বড় কিছু। কিয়েভের জন্য ওয়াশিংটনের সহায়তা অত্যন্ত জরুরি, কারণ রাশিয়ার তুলনায় ইউক্রেনের সামরিক শক্তি অনেক কম এবং দুর্বল। ট্রাম্পের পছন্দের চ্যানেল হিসেবে পরিচিত ফক্স নিউজকে জেলেনস্কি বলেন, ‘আপনাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) সমর্থন ছাড়া এটি কঠিন হয়ে যাবে।’
হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক তীব্র বাদানুবাদে রূপ নেয়। এ সময় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো সেখানে উপস্থিত ছিল। গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ওয়াশিংটনের সমর্থন ধরে রাখার চেষ্টা করছিলেন জেলেনস্কি, কিন্তু বৈঠকের পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওভাল অফিসের এই বৈঠককে জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝানোর সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন, যাতে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার পক্ষ না নেয়। তিন বছর আগে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের নির্দেশ দিয়েছিলেন পুতিন। কিন্তু এতে ব্যর্থ হয়ে সফর সংক্ষিপ্ত করে তড়িঘড়ি হোয়াইট হাউস ছাড়েন জেলেনস্কি।
ট্রাম্প ও জেডি ভ্যান্স জেলেনস্কির প্রতি তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে অসম্মান করেছেন। এতে ইউক্রেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধকালীন মিত্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ‘জেলেনস্কিকে বৈঠক ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়।’
ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ইউক্রেনের প্রাকৃতিক সম্পদ উন্নয়নে এক যৌথ চুক্তি স্বাক্ষরের কথা ছিল। কিয়েভ ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা এই চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছিল। কিন্তু বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়নি এবং এটির ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।
হোয়াইট হাউসের ঘটনার পর ইউরোপীয় নেতারা দ্রুত জেলেনস্কির সমর্থনে এগিয়ে আসেন। জার্মানির চ্যান্সেলর প্রার্থী ফ্রেডরিখ মের্ৎস বলেন, ‘এই ভয়াবহ যুদ্ধে কখনোই আগ্রাসী ও ভুক্তভোগীকে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়।’ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট ও ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি আন্তোনিও কস্তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন জেলেনস্কি বলে জানিয়েছেন ওয়াশিংটনে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দলের এক কর্মকর্তা।
এদিকে, আগামীকাল রোববার ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা করতে ব্রিটেন ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে জেলেনস্কির একটি বৈঠকের আয়োজন করবে।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে রাশিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব দেখিয়েছেন, যা ইউরোপসহ ওয়াশিংটনের ঐতিহ্যবাহী মিত্রদের বিস্মিত করেছে এবং ইউক্রেনকে আরও দুর্বল অবস্থানে ঠেলে দিয়েছে। শুক্রবারের ঘটনাটি তার অবস্থান বদলের সবচেয়ে প্রকাশ্য উদাহরণ।
বৈঠকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইউরোপের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সবচেয়ে বড় সংঘাত নিরসনে কূটনৈতিক সমাধানের প্রয়োজনীয়তার কথা বলার পর উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। এ সময় জেলেনস্কি হাত গুটিয়ে পাল্টা যুক্তি দেন, পুতিনকে বিশ্বাস করা যায় না এবং ভ্যান্স কখনোই ইউক্রেন সফর করেননি।
এ সময় জেলেনস্কি বলেন, ‘কোন কূটনীতির কথা বলছেন, জেডি?’ জবাবে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি এমন এক কূটনীতির কথা বলছি, যা আপনার দেশের ধ্বংসযজ্ঞ থামাতে পারে।’
জেলেনস্কি ট্রাম্পের রাশিয়াবান্ধব অবস্থানকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘একজন হত্যাকারীর সঙ্গে কোনো আপস করবেন না।’
ট্রাম্পের শিবির পরে জানায়, প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ‘আমেরিকানদের পক্ষ নিচ্ছিলেন’ এবং বৈঠকের পরপরই ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে জেলেনস্কির বিরুদ্ধে পোস্ট দেন। তিনি লেখেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমেরিকা জড়িত থাকলে হয়তো প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি শান্তির জন্য প্রস্তুত নন। তাই তিনি যখন শান্তির জন্য প্রস্তুত হবেন, তখন আসতে পারেন।’
পরে হোয়াইট হাউস থেকে ফ্লোরিডায় ছুটিতে যাওয়ার সময় ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘জেলেনস্কিকে বুঝতে হবে যে তিনি যুদ্ধে হেরে যাচ্ছেন। তিনি যদি বলেন, আমি শান্তি চাই, তাহলে ভালো হবে। তাঁকে বারবার “পুতিন এই, পুতিন সেই” বলে নেতিবাচক কিছু বলা বন্ধ করতে হবে।’
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, বৈঠকের পরপরই ট্রাম্প তাঁর দুই শীর্ষ সহকারীর মাধ্যমে জানিয়ে দেন জেলেনস্কিকে চলে যেতে হবে, যদিও তখনো প্রতিনিধিদলের জন্য মধ্যাহ্নভোজ প্রস্তুত করা হচ্ছিল। ইউক্রেনীয় পক্ষ বৈঠক চালিয়ে যেতে চাইলেও তাদের জানিয়ে দেওয়া হয় যে, তারা চলে যেতে পারে।
এই বিরোধের ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে পরিকল্পিত খনিজ সম্পদ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। যার বিনিময়ে ইউক্রেন চেয়েছিল, যেন ট্রাম্প তাদের যুদ্ধে সমর্থন দেন এবং রিপাবলিকানদের কাছ থেকে নতুন সাহায্য অনুমোদনের সম্ভাবনা তৈরি হয়। হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্প আপাতত খনিজ চুক্তি নিয়ে আর আলোচনা করতে চান না।
এদিকে ইউরোপীয় নেতারা ট্রাম্পকে রাজি করানোর চেষ্টা করছিলেন, যেন তিনি ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেন, যদিও তিনি সেখানে মার্কিন সেনা পাঠাতে রাজি নন। ট্রাম্প বরং হুমকি দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন থেকে সমর্থন সরিয়ে নেবে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা হয় চুক্তি করবেন, নয়তো আমরা সরে যাব এবং তখন আপনাদের যা হওয়ার তাই হবে। আমি মনে করি না, এটা ভালো কিছু হবে।’ ট্রাম্প বলেন, পুতিন শান্তিচুক্তি করতে চান এবং ভ্যান্সও জানান, ওভাল অফিসে এসে জেলেনস্কির কৌশল নিয়ে তর্ক করা অসম্মানজনক। এ সময় জেডি ভ্যান্স বলেন, ‘আপনি (আমেরিকানদের) কখনো ধন্যবাদ দেননি।’ উত্তরে জেলেনস্কি গলা চড়িয়ে বলেন, ‘আমি বহুবার আমেরিকান জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’
জেলেনস্কি বাইডেন প্রশাসনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও নৈতিক সমর্থন পেয়েছিলেন, কিন্তু ট্রাম্প তাঁর প্রতি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছেন। ট্রাম্প দ্রুত যুদ্ধের অবসান চেয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চান এবং ইউক্রেনকে দেওয়া অর্থের হিসাব কষতে চান। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি চাই, ইতিহাস আমাকে শান্তিদূত হিসেবে মনে রাখুক।’
বৈঠকের আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, ইউক্রেনীয় সেনারা অসাধারণ সাহস দেখিয়েছে, কিন্তু যুদ্ধ বন্ধ করা এবং অর্থ অন্য কাজে ব্যয় করাই যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য। ইউক্রেন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন বাড়ালেও এখনো বহিরাগত সামরিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল, পাশাপাশি বড় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে জনবল সংকটের মুখে রয়েছে।
২০২২ সালে কিয়েভের উপকণ্ঠ থেকে রুশ বাহিনীকে হটিয়ে এবং বিশাল এলাকা পুনর্দখল করেছিল ইউক্রেন, তবে রাশিয়া এখনো তাদের এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড দখলে রেখেছে এবং ২০২৩ সালের ব্যর্থ পাল্টা আক্রমণের পর থেকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে। ট্রাম্প সম্প্রতি জেলেনস্কির বিরুদ্ধে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন, তাঁকে ‘একনায়ক’ বলেছেন এবং তাঁকে খনিজ সম্পদ চুক্তি স্বাক্ষর করতে বলেছেন, যদিও পরে তিনি ‘একনায়ক’ মন্তব্য সংশোধন করে নেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদের পর দ্রুতই শান্তির পতাকা উড়িয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের সম্পর্ক এখনো ঠিক করা সম্ভব। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কিকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার সম্ভব কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই।’ এ সময় তিনি সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কামনা করেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠকে উত্তপ্ত বাগ্বিতণ্ডার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁকে তিরস্কার করে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনীহা দেখানোর অভিযোগ তোলেন। জেলেনস্কি নির্ধারিত সময়ের আগেই হোয়াইট হাউস ছেড়ে চলে যান।
পরে ফক্স নিউজকে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দুই প্রেসিডেন্টের সম্পর্কের চেয়েও বড় কিছু। কিয়েভের জন্য ওয়াশিংটনের সহায়তা অত্যন্ত জরুরি, কারণ রাশিয়ার তুলনায় ইউক্রেনের সামরিক শক্তি অনেক কম এবং দুর্বল। ট্রাম্পের পছন্দের চ্যানেল হিসেবে পরিচিত ফক্স নিউজকে জেলেনস্কি বলেন, ‘আপনাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) সমর্থন ছাড়া এটি কঠিন হয়ে যাবে।’
হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক তীব্র বাদানুবাদে রূপ নেয়। এ সময় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো সেখানে উপস্থিত ছিল। গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ওয়াশিংটনের সমর্থন ধরে রাখার চেষ্টা করছিলেন জেলেনস্কি, কিন্তু বৈঠকের পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওভাল অফিসের এই বৈঠককে জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝানোর সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন, যাতে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার পক্ষ না নেয়। তিন বছর আগে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের নির্দেশ দিয়েছিলেন পুতিন। কিন্তু এতে ব্যর্থ হয়ে সফর সংক্ষিপ্ত করে তড়িঘড়ি হোয়াইট হাউস ছাড়েন জেলেনস্কি।
ট্রাম্প ও জেডি ভ্যান্স জেলেনস্কির প্রতি তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে অসম্মান করেছেন। এতে ইউক্রেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধকালীন মিত্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ‘জেলেনস্কিকে বৈঠক ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়।’
ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ইউক্রেনের প্রাকৃতিক সম্পদ উন্নয়নে এক যৌথ চুক্তি স্বাক্ষরের কথা ছিল। কিয়েভ ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা এই চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছিল। কিন্তু বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়নি এবং এটির ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।
হোয়াইট হাউসের ঘটনার পর ইউরোপীয় নেতারা দ্রুত জেলেনস্কির সমর্থনে এগিয়ে আসেন। জার্মানির চ্যান্সেলর প্রার্থী ফ্রেডরিখ মের্ৎস বলেন, ‘এই ভয়াবহ যুদ্ধে কখনোই আগ্রাসী ও ভুক্তভোগীকে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়।’ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট ও ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি আন্তোনিও কস্তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন জেলেনস্কি বলে জানিয়েছেন ওয়াশিংটনে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দলের এক কর্মকর্তা।
এদিকে, আগামীকাল রোববার ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা করতে ব্রিটেন ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে জেলেনস্কির একটি বৈঠকের আয়োজন করবে।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে রাশিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব দেখিয়েছেন, যা ইউরোপসহ ওয়াশিংটনের ঐতিহ্যবাহী মিত্রদের বিস্মিত করেছে এবং ইউক্রেনকে আরও দুর্বল অবস্থানে ঠেলে দিয়েছে। শুক্রবারের ঘটনাটি তার অবস্থান বদলের সবচেয়ে প্রকাশ্য উদাহরণ।
বৈঠকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইউরোপের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সবচেয়ে বড় সংঘাত নিরসনে কূটনৈতিক সমাধানের প্রয়োজনীয়তার কথা বলার পর উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। এ সময় জেলেনস্কি হাত গুটিয়ে পাল্টা যুক্তি দেন, পুতিনকে বিশ্বাস করা যায় না এবং ভ্যান্স কখনোই ইউক্রেন সফর করেননি।
এ সময় জেলেনস্কি বলেন, ‘কোন কূটনীতির কথা বলছেন, জেডি?’ জবাবে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি এমন এক কূটনীতির কথা বলছি, যা আপনার দেশের ধ্বংসযজ্ঞ থামাতে পারে।’
জেলেনস্কি ট্রাম্পের রাশিয়াবান্ধব অবস্থানকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘একজন হত্যাকারীর সঙ্গে কোনো আপস করবেন না।’
ট্রাম্পের শিবির পরে জানায়, প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ‘আমেরিকানদের পক্ষ নিচ্ছিলেন’ এবং বৈঠকের পরপরই ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে জেলেনস্কির বিরুদ্ধে পোস্ট দেন। তিনি লেখেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমেরিকা জড়িত থাকলে হয়তো প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি শান্তির জন্য প্রস্তুত নন। তাই তিনি যখন শান্তির জন্য প্রস্তুত হবেন, তখন আসতে পারেন।’
পরে হোয়াইট হাউস থেকে ফ্লোরিডায় ছুটিতে যাওয়ার সময় ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘জেলেনস্কিকে বুঝতে হবে যে তিনি যুদ্ধে হেরে যাচ্ছেন। তিনি যদি বলেন, আমি শান্তি চাই, তাহলে ভালো হবে। তাঁকে বারবার “পুতিন এই, পুতিন সেই” বলে নেতিবাচক কিছু বলা বন্ধ করতে হবে।’
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, বৈঠকের পরপরই ট্রাম্প তাঁর দুই শীর্ষ সহকারীর মাধ্যমে জানিয়ে দেন জেলেনস্কিকে চলে যেতে হবে, যদিও তখনো প্রতিনিধিদলের জন্য মধ্যাহ্নভোজ প্রস্তুত করা হচ্ছিল। ইউক্রেনীয় পক্ষ বৈঠক চালিয়ে যেতে চাইলেও তাদের জানিয়ে দেওয়া হয় যে, তারা চলে যেতে পারে।
এই বিরোধের ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে পরিকল্পিত খনিজ সম্পদ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। যার বিনিময়ে ইউক্রেন চেয়েছিল, যেন ট্রাম্প তাদের যুদ্ধে সমর্থন দেন এবং রিপাবলিকানদের কাছ থেকে নতুন সাহায্য অনুমোদনের সম্ভাবনা তৈরি হয়। হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্প আপাতত খনিজ চুক্তি নিয়ে আর আলোচনা করতে চান না।
এদিকে ইউরোপীয় নেতারা ট্রাম্পকে রাজি করানোর চেষ্টা করছিলেন, যেন তিনি ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেন, যদিও তিনি সেখানে মার্কিন সেনা পাঠাতে রাজি নন। ট্রাম্প বরং হুমকি দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন থেকে সমর্থন সরিয়ে নেবে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা হয় চুক্তি করবেন, নয়তো আমরা সরে যাব এবং তখন আপনাদের যা হওয়ার তাই হবে। আমি মনে করি না, এটা ভালো কিছু হবে।’ ট্রাম্প বলেন, পুতিন শান্তিচুক্তি করতে চান এবং ভ্যান্সও জানান, ওভাল অফিসে এসে জেলেনস্কির কৌশল নিয়ে তর্ক করা অসম্মানজনক। এ সময় জেডি ভ্যান্স বলেন, ‘আপনি (আমেরিকানদের) কখনো ধন্যবাদ দেননি।’ উত্তরে জেলেনস্কি গলা চড়িয়ে বলেন, ‘আমি বহুবার আমেরিকান জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’
জেলেনস্কি বাইডেন প্রশাসনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও নৈতিক সমর্থন পেয়েছিলেন, কিন্তু ট্রাম্প তাঁর প্রতি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছেন। ট্রাম্প দ্রুত যুদ্ধের অবসান চেয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চান এবং ইউক্রেনকে দেওয়া অর্থের হিসাব কষতে চান। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি চাই, ইতিহাস আমাকে শান্তিদূত হিসেবে মনে রাখুক।’
বৈঠকের আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, ইউক্রেনীয় সেনারা অসাধারণ সাহস দেখিয়েছে, কিন্তু যুদ্ধ বন্ধ করা এবং অর্থ অন্য কাজে ব্যয় করাই যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য। ইউক্রেন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন বাড়ালেও এখনো বহিরাগত সামরিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল, পাশাপাশি বড় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে জনবল সংকটের মুখে রয়েছে।
২০২২ সালে কিয়েভের উপকণ্ঠ থেকে রুশ বাহিনীকে হটিয়ে এবং বিশাল এলাকা পুনর্দখল করেছিল ইউক্রেন, তবে রাশিয়া এখনো তাদের এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড দখলে রেখেছে এবং ২০২৩ সালের ব্যর্থ পাল্টা আক্রমণের পর থেকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে। ট্রাম্প সম্প্রতি জেলেনস্কির বিরুদ্ধে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন, তাঁকে ‘একনায়ক’ বলেছেন এবং তাঁকে খনিজ সম্পদ চুক্তি স্বাক্ষর করতে বলেছেন, যদিও পরে তিনি ‘একনায়ক’ মন্তব্য সংশোধন করে নেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদের পর দ্রুতই শান্তির পতাকা উড়িয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের সম্পর্ক এখনো ঠিক করা সম্ভব। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কিকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার সম্ভব কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই।’ এ সময় তিনি সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কামনা করেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠকে উত্তপ্ত বাগ্বিতণ্ডার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁকে তিরস্কার করে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনীহা দেখানোর অভিযোগ তোলেন। জেলেনস্কি নির্ধারিত সময়ের আগেই হোয়াইট হাউস ছেড়ে চলে যান।
পরে ফক্স নিউজকে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দুই প্রেসিডেন্টের সম্পর্কের চেয়েও বড় কিছু। কিয়েভের জন্য ওয়াশিংটনের সহায়তা অত্যন্ত জরুরি, কারণ রাশিয়ার তুলনায় ইউক্রেনের সামরিক শক্তি অনেক কম এবং দুর্বল। ট্রাম্পের পছন্দের চ্যানেল হিসেবে পরিচিত ফক্স নিউজকে জেলেনস্কি বলেন, ‘আপনাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) সমর্থন ছাড়া এটি কঠিন হয়ে যাবে।’
হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক তীব্র বাদানুবাদে রূপ নেয়। এ সময় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো সেখানে উপস্থিত ছিল। গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ওয়াশিংটনের সমর্থন ধরে রাখার চেষ্টা করছিলেন জেলেনস্কি, কিন্তু বৈঠকের পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওভাল অফিসের এই বৈঠককে জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝানোর সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন, যাতে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার পক্ষ না নেয়। তিন বছর আগে ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের নির্দেশ দিয়েছিলেন পুতিন। কিন্তু এতে ব্যর্থ হয়ে সফর সংক্ষিপ্ত করে তড়িঘড়ি হোয়াইট হাউস ছাড়েন জেলেনস্কি।
ট্রাম্প ও জেডি ভ্যান্স জেলেনস্কির প্রতি তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে অসম্মান করেছেন। এতে ইউক্রেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধকালীন মিত্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ‘জেলেনস্কিকে বৈঠক ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়।’
ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ইউক্রেনের প্রাকৃতিক সম্পদ উন্নয়নে এক যৌথ চুক্তি স্বাক্ষরের কথা ছিল। কিয়েভ ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা এই চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছিল। কিন্তু বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়নি এবং এটির ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।
হোয়াইট হাউসের ঘটনার পর ইউরোপীয় নেতারা দ্রুত জেলেনস্কির সমর্থনে এগিয়ে আসেন। জার্মানির চ্যান্সেলর প্রার্থী ফ্রেডরিখ মের্ৎস বলেন, ‘এই ভয়াবহ যুদ্ধে কখনোই আগ্রাসী ও ভুক্তভোগীকে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়।’ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট ও ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি আন্তোনিও কস্তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন জেলেনস্কি বলে জানিয়েছেন ওয়াশিংটনে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দলের এক কর্মকর্তা।
এদিকে, আগামীকাল রোববার ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা করতে ব্রিটেন ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে জেলেনস্কির একটি বৈঠকের আয়োজন করবে।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে রাশিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব দেখিয়েছেন, যা ইউরোপসহ ওয়াশিংটনের ঐতিহ্যবাহী মিত্রদের বিস্মিত করেছে এবং ইউক্রেনকে আরও দুর্বল অবস্থানে ঠেলে দিয়েছে। শুক্রবারের ঘটনাটি তার অবস্থান বদলের সবচেয়ে প্রকাশ্য উদাহরণ।
বৈঠকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইউরোপের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সবচেয়ে বড় সংঘাত নিরসনে কূটনৈতিক সমাধানের প্রয়োজনীয়তার কথা বলার পর উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। এ সময় জেলেনস্কি হাত গুটিয়ে পাল্টা যুক্তি দেন, পুতিনকে বিশ্বাস করা যায় না এবং ভ্যান্স কখনোই ইউক্রেন সফর করেননি।
এ সময় জেলেনস্কি বলেন, ‘কোন কূটনীতির কথা বলছেন, জেডি?’ জবাবে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি এমন এক কূটনীতির কথা বলছি, যা আপনার দেশের ধ্বংসযজ্ঞ থামাতে পারে।’
জেলেনস্কি ট্রাম্পের রাশিয়াবান্ধব অবস্থানকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘একজন হত্যাকারীর সঙ্গে কোনো আপস করবেন না।’
ট্রাম্পের শিবির পরে জানায়, প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ‘আমেরিকানদের পক্ষ নিচ্ছিলেন’ এবং বৈঠকের পরপরই ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে জেলেনস্কির বিরুদ্ধে পোস্ট দেন। তিনি লেখেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমেরিকা জড়িত থাকলে হয়তো প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি শান্তির জন্য প্রস্তুত নন। তাই তিনি যখন শান্তির জন্য প্রস্তুত হবেন, তখন আসতে পারেন।’
পরে হোয়াইট হাউস থেকে ফ্লোরিডায় ছুটিতে যাওয়ার সময় ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘জেলেনস্কিকে বুঝতে হবে যে তিনি যুদ্ধে হেরে যাচ্ছেন। তিনি যদি বলেন, আমি শান্তি চাই, তাহলে ভালো হবে। তাঁকে বারবার “পুতিন এই, পুতিন সেই” বলে নেতিবাচক কিছু বলা বন্ধ করতে হবে।’
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, বৈঠকের পরপরই ট্রাম্প তাঁর দুই শীর্ষ সহকারীর মাধ্যমে জানিয়ে দেন জেলেনস্কিকে চলে যেতে হবে, যদিও তখনো প্রতিনিধিদলের জন্য মধ্যাহ্নভোজ প্রস্তুত করা হচ্ছিল। ইউক্রেনীয় পক্ষ বৈঠক চালিয়ে যেতে চাইলেও তাদের জানিয়ে দেওয়া হয় যে, তারা চলে যেতে পারে।
এই বিরোধের ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে পরিকল্পিত খনিজ সম্পদ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। যার বিনিময়ে ইউক্রেন চেয়েছিল, যেন ট্রাম্প তাদের যুদ্ধে সমর্থন দেন এবং রিপাবলিকানদের কাছ থেকে নতুন সাহায্য অনুমোদনের সম্ভাবনা তৈরি হয়। হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্প আপাতত খনিজ চুক্তি নিয়ে আর আলোচনা করতে চান না।
এদিকে ইউরোপীয় নেতারা ট্রাম্পকে রাজি করানোর চেষ্টা করছিলেন, যেন তিনি ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেন, যদিও তিনি সেখানে মার্কিন সেনা পাঠাতে রাজি নন। ট্রাম্প বরং হুমকি দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন থেকে সমর্থন সরিয়ে নেবে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা হয় চুক্তি করবেন, নয়তো আমরা সরে যাব এবং তখন আপনাদের যা হওয়ার তাই হবে। আমি মনে করি না, এটা ভালো কিছু হবে।’ ট্রাম্প বলেন, পুতিন শান্তিচুক্তি করতে চান এবং ভ্যান্সও জানান, ওভাল অফিসে এসে জেলেনস্কির কৌশল নিয়ে তর্ক করা অসম্মানজনক। এ সময় জেডি ভ্যান্স বলেন, ‘আপনি (আমেরিকানদের) কখনো ধন্যবাদ দেননি।’ উত্তরে জেলেনস্কি গলা চড়িয়ে বলেন, ‘আমি বহুবার আমেরিকান জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’
জেলেনস্কি বাইডেন প্রশাসনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও নৈতিক সমর্থন পেয়েছিলেন, কিন্তু ট্রাম্প তাঁর প্রতি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছেন। ট্রাম্প দ্রুত যুদ্ধের অবসান চেয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চান এবং ইউক্রেনকে দেওয়া অর্থের হিসাব কষতে চান। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি চাই, ইতিহাস আমাকে শান্তিদূত হিসেবে মনে রাখুক।’
বৈঠকের আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, ইউক্রেনীয় সেনারা অসাধারণ সাহস দেখিয়েছে, কিন্তু যুদ্ধ বন্ধ করা এবং অর্থ অন্য কাজে ব্যয় করাই যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য। ইউক্রেন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন বাড়ালেও এখনো বহিরাগত সামরিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল, পাশাপাশি বড় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে জনবল সংকটের মুখে রয়েছে।
২০২২ সালে কিয়েভের উপকণ্ঠ থেকে রুশ বাহিনীকে হটিয়ে এবং বিশাল এলাকা পুনর্দখল করেছিল ইউক্রেন, তবে রাশিয়া এখনো তাদের এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড দখলে রেখেছে এবং ২০২৩ সালের ব্যর্থ পাল্টা আক্রমণের পর থেকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে। ট্রাম্প সম্প্রতি জেলেনস্কির বিরুদ্ধে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন, তাঁকে ‘একনায়ক’ বলেছেন এবং তাঁকে খনিজ সম্পদ চুক্তি স্বাক্ষর করতে বলেছেন, যদিও পরে তিনি ‘একনায়ক’ মন্তব্য সংশোধন করে নেন।

এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সুড়ঙ্গটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে সীমান্তরক্ষীরা। এতে দেখা যায়, গাছের শিকড় ও মাটি কেটে তৈরি করা সুড়ঙ্গটি কাঠের খুঁটি ও ধাতব রড দিয়ে ঠেস দেওয়া। সুড়ঙ্গটির উচ্চতা ১ দশমিক ৫ মিটার (প্রায় ৫ ফুট)। ফলে বেশির ভাগ মানুষকে নিচু হয়ে এর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
১ ঘণ্টা আগে
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেলারুশ সীমান্তঘেঁষা বনে গোপন এক সুড়ঙ্গ দিয়ে ১৮০ জনের বেশি অভিবাসী পোল্যান্ডে প্রবেশ করেছেন বলে জানিয়েছেন সীমান্তরক্ষীরা।
গত বৃহস্পতিবার ওই পথটির সন্ধান পাওয়ার পর প্রায় ১৩০ জনকে পোল্যান্ডে আটক করা হয়। তবে বাকিরা এখনো পলাতক রয়েছে বলে গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে পোলিশ বর্ডার গার্ড।
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সুড়ঙ্গটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন সীমান্তরক্ষীরা। এতে দেখা যায়, গাছের শিকড় ও মাটি কেটে তৈরি করা সুড়ঙ্গটি কাঠের খুঁটি ও ধাতব রড দিয়ে ঠেস দেওয়া। সুড়ঙ্গটির উচ্চতা ১ দশমিক ৫ মিটার (প্রায় ৫ ফুট)। ফলে বেশির ভাগ মানুষকে নিচু হয়ে এর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র পোল্যান্ড ২০২১ সাল থেকে বেলারুশ সীমান্তে অভিবাসী সংকট মোকাবিলা করছে।
পোল্যান্ডের অভিযোগ, মূলত মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার মানুষদের সীমান্ত পার হতে উৎসাহিত করার মাধ্যমে দেশটির পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে বেলারুশ ও তাদের মিত্র মস্কো।
তবে বেলারুশ ও রাশিয়া বারবারই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
পোলিশ বর্ডার গার্ড জানায়, চলতি বছরে পশ্চিম পোদলাস্কি অঞ্চলে আবিষ্কৃত এটি চতুর্থ সুড়ঙ্গ। এ ছাড়া অভিবাসীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য আসা ৬৯ বছর বয়সী এক পোলিশ নাগরিক এবং ৪৯ বছর বয়সী এক লিথুয়ানিয়ান নাগরিককেও আটক করেছে সীমান্তরক্ষীরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, বনের ভেতর সুড়ঙ্গটির লুকানো প্রবেশপথটি বেলারুশ অংশে সীমান্ত প্রাচীর থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে অবস্থিত। অন্যদিকে এর বহির্গমন পথটি পোল্যান্ডের সীমানা প্রাচীর থেকে প্রায় ১০ মিটার দূরে পাওয়া গেছে।
কতজন মানুষ এই সুড়ঙ্গ দিয়ে পার হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তারা ইলেকট্রনিক সিস্টেম ব্যবহার করেন। নিখোঁজ অভিবাসীদের খুঁজে বের করতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ তল্লাশিতে যোগ দিয়েছে বলেও জানানো হয়।
পোল্যান্ড ২০২২ সালে তাদের ১৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল।

বেলারুশ সীমান্তঘেঁষা বনে গোপন এক সুড়ঙ্গ দিয়ে ১৮০ জনের বেশি অভিবাসী পোল্যান্ডে প্রবেশ করেছেন বলে জানিয়েছেন সীমান্তরক্ষীরা।
গত বৃহস্পতিবার ওই পথটির সন্ধান পাওয়ার পর প্রায় ১৩০ জনকে পোল্যান্ডে আটক করা হয়। তবে বাকিরা এখনো পলাতক রয়েছে বলে গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে পোলিশ বর্ডার গার্ড।
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সুড়ঙ্গটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন সীমান্তরক্ষীরা। এতে দেখা যায়, গাছের শিকড় ও মাটি কেটে তৈরি করা সুড়ঙ্গটি কাঠের খুঁটি ও ধাতব রড দিয়ে ঠেস দেওয়া। সুড়ঙ্গটির উচ্চতা ১ দশমিক ৫ মিটার (প্রায় ৫ ফুট)। ফলে বেশির ভাগ মানুষকে নিচু হয়ে এর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র পোল্যান্ড ২০২১ সাল থেকে বেলারুশ সীমান্তে অভিবাসী সংকট মোকাবিলা করছে।
পোল্যান্ডের অভিযোগ, মূলত মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার মানুষদের সীমান্ত পার হতে উৎসাহিত করার মাধ্যমে দেশটির পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে বেলারুশ ও তাদের মিত্র মস্কো।
তবে বেলারুশ ও রাশিয়া বারবারই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
পোলিশ বর্ডার গার্ড জানায়, চলতি বছরে পশ্চিম পোদলাস্কি অঞ্চলে আবিষ্কৃত এটি চতুর্থ সুড়ঙ্গ। এ ছাড়া অভিবাসীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য আসা ৬৯ বছর বয়সী এক পোলিশ নাগরিক এবং ৪৯ বছর বয়সী এক লিথুয়ানিয়ান নাগরিককেও আটক করেছে সীমান্তরক্ষীরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, বনের ভেতর সুড়ঙ্গটির লুকানো প্রবেশপথটি বেলারুশ অংশে সীমান্ত প্রাচীর থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে অবস্থিত। অন্যদিকে এর বহির্গমন পথটি পোল্যান্ডের সীমানা প্রাচীর থেকে প্রায় ১০ মিটার দূরে পাওয়া গেছে।
কতজন মানুষ এই সুড়ঙ্গ দিয়ে পার হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তারা ইলেকট্রনিক সিস্টেম ব্যবহার করেন। নিখোঁজ অভিবাসীদের খুঁজে বের করতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ তল্লাশিতে যোগ দিয়েছে বলেও জানানো হয়।
পোল্যান্ড ২০২২ সালে তাদের ১৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদের পর দ্রুতই শান্তির পতাকা উড়িয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের সম্পর্ক এখনো ঠিক করা সম্ভব। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কিকে জিজ্ঞাসা করা হয়...
০১ মার্চ ২০২৫
পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
১ ঘণ্টা আগে
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ দীর্ঘদিন নজরদারির পর শুক্রবার রাতে কুলেন্দ্র শর্মাকে গ্রেপ্তার করে এবং প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুলেন্দ্র শর্মা পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এবং তাঁদের কাছে সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহ করতেন। তাঁর মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ থেকে সন্দেহজনক নথি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সন্দেহ করা হচ্ছে, ল্যাপটপ থেকে কিছু ডেটা মুছে ফেলা হয়েছে।
আসামের শোণিতপুর জেলার উপপুলিশ সুপার (ডিএসপি) হরিচরণ ভূমিজ জানিয়েছেন, কুলেন্দ্র শর্মার সঙ্গে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার যোগসাজশের সন্দেহ প্রবল। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কোনো কিছু বলা যাবে না।
জানা গেছে, অবসরের আগে কুলেন্দ্র শর্মা তেজপুরের এয়ার ফোর্স স্টেশনে জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই স্টেশনে সুখোই-৩০ স্কোয়াড্রনসহ ভারতীয় বিমানবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ রয়েছে। তিনি ২০০২ সালে অবসর গ্রহণ করেন এবং এরপর অল্প সময়ের জন্য তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও কাজ করেছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, কুলেন্দ্র শর্মার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আজ শনিবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ দীর্ঘদিন নজরদারির পর শুক্রবার রাতে কুলেন্দ্র শর্মাকে গ্রেপ্তার করে এবং প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুলেন্দ্র শর্মা পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এবং তাঁদের কাছে সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহ করতেন। তাঁর মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ থেকে সন্দেহজনক নথি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সন্দেহ করা হচ্ছে, ল্যাপটপ থেকে কিছু ডেটা মুছে ফেলা হয়েছে।
আসামের শোণিতপুর জেলার উপপুলিশ সুপার (ডিএসপি) হরিচরণ ভূমিজ জানিয়েছেন, কুলেন্দ্র শর্মার সঙ্গে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার যোগসাজশের সন্দেহ প্রবল। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কোনো কিছু বলা যাবে না।
জানা গেছে, অবসরের আগে কুলেন্দ্র শর্মা তেজপুরের এয়ার ফোর্স স্টেশনে জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই স্টেশনে সুখোই-৩০ স্কোয়াড্রনসহ ভারতীয় বিমানবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ রয়েছে। তিনি ২০০২ সালে অবসর গ্রহণ করেন এবং এরপর অল্প সময়ের জন্য তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও কাজ করেছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, কুলেন্দ্র শর্মার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আজ শনিবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদের পর দ্রুতই শান্তির পতাকা উড়িয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের সম্পর্ক এখনো ঠিক করা সম্ভব। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কিকে জিজ্ঞাসা করা হয়...
০১ মার্চ ২০২৫
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সুড়ঙ্গটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে সীমান্তরক্ষীরা। এতে দেখা যায়, গাছের শিকড় ও মাটি কেটে তৈরি করা সুড়ঙ্গটি কাঠের খুঁটি ও ধাতব রড দিয়ে ঠেস দেওয়া। সুড়ঙ্গটির উচ্চতা ১ দশমিক ৫ মিটার (প্রায় ৫ ফুট)। ফলে বেশির ভাগ মানুষকে নিচু হয়ে এর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিগত বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আদান-প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বিষয়টির সঙ্গে অবগত ছয়জন ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছে।
২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে গাজার ওপর দিয়ে ওড়া মার্কিন ড্রোন থেকে পাওয়া লাইভ ভিডিও সংযোগ সে সময় বিচ্ছিন্ন করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জিম্মি উদ্ধার ও হামাস যোদ্ধাদের খুঁজে বের করতে ইসরায়েলি সরকার এই ভিডিও ব্যবহার করছিল। পাঁচটি সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, এই স্থগিতাদেশ অন্তত কয়েক দিন স্থায়ী ছিল।
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সব সূত্রই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছে রয়টার্সের সঙ্গে।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তীব্র হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত ফিলিস্তিনি বন্দীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে—এমন আশঙ্কার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
তিনটি সূত্র বলছে, মার্কিন তথ্য ব্যবহারের বিনিময়ে ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনে চলবে—এমন পর্যাপ্ত নিশ্চয়তা না দেওয়ায় কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন ছিলেন। মার্কিন আইন অনুযায়ী, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের আগে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অবশ্যই এ ধরনের নিশ্চয়তা নিতে হয়।
বাইডেন প্রশাসন গোয়েন্দা তথ্য ও অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন দেওয়ার নীতি বজায় রাখলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য আটকে রাখার সিদ্ধান্তটি ছিল সীমিত এবং কৌশলগত।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য ছিল এটি নিশ্চিত করা, ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনেই মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের সরাসরি আদেশ ছাড়াই গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য আদান-প্রদান-সংক্রান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
অপর একজন জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের ব্যবহারে কোনো পরিবর্তন আনতে চাইলে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে নতুন করে নিশ্চয়তা প্রদানের প্রয়োজন ছিল।
রয়টার্স এসব সিদ্ধান্তের সঠিক তারিখগুলো নির্ধারণ করতে পারেনি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়ে জানতেন কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।
বাইডেনের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে কোনো সাড়া দেননি।

গাজায় যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিগত বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আদান-প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বিষয়টির সঙ্গে অবগত ছয়জন ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছে।
২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে গাজার ওপর দিয়ে ওড়া মার্কিন ড্রোন থেকে পাওয়া লাইভ ভিডিও সংযোগ সে সময় বিচ্ছিন্ন করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জিম্মি উদ্ধার ও হামাস যোদ্ধাদের খুঁজে বের করতে ইসরায়েলি সরকার এই ভিডিও ব্যবহার করছিল। পাঁচটি সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, এই স্থগিতাদেশ অন্তত কয়েক দিন স্থায়ী ছিল।
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সব সূত্রই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছে রয়টার্সের সঙ্গে।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তীব্র হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত ফিলিস্তিনি বন্দীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে—এমন আশঙ্কার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
তিনটি সূত্র বলছে, মার্কিন তথ্য ব্যবহারের বিনিময়ে ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনে চলবে—এমন পর্যাপ্ত নিশ্চয়তা না দেওয়ায় কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন ছিলেন। মার্কিন আইন অনুযায়ী, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের আগে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অবশ্যই এ ধরনের নিশ্চয়তা নিতে হয়।
বাইডেন প্রশাসন গোয়েন্দা তথ্য ও অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন দেওয়ার নীতি বজায় রাখলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য আটকে রাখার সিদ্ধান্তটি ছিল সীমিত এবং কৌশলগত।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য ছিল এটি নিশ্চিত করা, ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনেই মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের সরাসরি আদেশ ছাড়াই গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য আদান-প্রদান-সংক্রান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
অপর একজন জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের ব্যবহারে কোনো পরিবর্তন আনতে চাইলে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে নতুন করে নিশ্চয়তা প্রদানের প্রয়োজন ছিল।
রয়টার্স এসব সিদ্ধান্তের সঠিক তারিখগুলো নির্ধারণ করতে পারেনি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়ে জানতেন কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।
বাইডেনের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে কোনো সাড়া দেননি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদের পর দ্রুতই শান্তির পতাকা উড়িয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের সম্পর্ক এখনো ঠিক করা সম্ভব। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কিকে জিজ্ঞাসা করা হয়...
০১ মার্চ ২০২৫
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সুড়ঙ্গটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে সীমান্তরক্ষীরা। এতে দেখা যায়, গাছের শিকড় ও মাটি কেটে তৈরি করা সুড়ঙ্গটি কাঠের খুঁটি ও ধাতব রড দিয়ে ঠেস দেওয়া। সুড়ঙ্গটির উচ্চতা ১ দশমিক ৫ মিটার (প্রায় ৫ ফুট)। ফলে বেশির ভাগ মানুষকে নিচু হয়ে এর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
১ ঘণ্টা আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চীনা রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি শুক্রবার জানায়, ওমান উপসাগর থেকে ৬০ লাখ লিটার চোরাচালান করা ডিজেল বহনকারী একটি বিদেশি তেল ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ হুরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মুজতবা গাহরেমানিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মূল জ্বালানি চোরাচালান চক্র এবং চোরাকারবারিদের মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাসক বন্দর শহরের কাছাকাছি জলসীমায় ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ট্যাংকারটি বাজেয়াপ্ত করেন।
মুজতবা গাহরেমানি বলেন, জাহাজটির প্রয়োজনীয় সামুদ্রিক নথিপত্র এবং জ্বালানি চালানের ‘বিল অব ল্যাডিং’ ছিল না। তিনি আরও জানান, জাহাজটি সব নেভিগেশন ও দিকনির্দেশনা সহায়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাংকারটিতে ১৮ জন ক্রু ছিলেন এবং তাঁরা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের নাগরিক।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান তদন্তের অধীনে আটককৃতদের মধ্যে ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনও আছেন। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, ক্রুরা ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সাবেক নাগরিক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘থামার নির্দেশ অগ্রাহ্য করা, পালানোর চেষ্টা করা এবং নেভিগেশন ও কার্গোর নথিপত্র না থাকা।’
ব্যাপক ভর্তুকি এবং স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানির দাম বিশ্বের সর্বনিম্নগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং জলপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক হারে জ্বালানি চোরাচালান ঠেকানোর লড়াই চলছে।

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চীনা রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি শুক্রবার জানায়, ওমান উপসাগর থেকে ৬০ লাখ লিটার চোরাচালান করা ডিজেল বহনকারী একটি বিদেশি তেল ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ হুরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মুজতবা গাহরেমানিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মূল জ্বালানি চোরাচালান চক্র এবং চোরাকারবারিদের মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাসক বন্দর শহরের কাছাকাছি জলসীমায় ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ট্যাংকারটি বাজেয়াপ্ত করেন।
মুজতবা গাহরেমানি বলেন, জাহাজটির প্রয়োজনীয় সামুদ্রিক নথিপত্র এবং জ্বালানি চালানের ‘বিল অব ল্যাডিং’ ছিল না। তিনি আরও জানান, জাহাজটি সব নেভিগেশন ও দিকনির্দেশনা সহায়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাংকারটিতে ১৮ জন ক্রু ছিলেন এবং তাঁরা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের নাগরিক।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান তদন্তের অধীনে আটককৃতদের মধ্যে ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনও আছেন। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, ক্রুরা ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সাবেক নাগরিক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘থামার নির্দেশ অগ্রাহ্য করা, পালানোর চেষ্টা করা এবং নেভিগেশন ও কার্গোর নথিপত্র না থাকা।’
ব্যাপক ভর্তুকি এবং স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানির দাম বিশ্বের সর্বনিম্নগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং জলপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক হারে জ্বালানি চোরাচালান ঠেকানোর লড়াই চলছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদের পর দ্রুতই শান্তির পতাকা উড়িয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের সম্পর্ক এখনো ঠিক করা সম্ভব। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কিকে জিজ্ঞাসা করা হয়...
০১ মার্চ ২০২৫
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সুড়ঙ্গটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে সীমান্তরক্ষীরা। এতে দেখা যায়, গাছের শিকড় ও মাটি কেটে তৈরি করা সুড়ঙ্গটি কাঠের খুঁটি ও ধাতব রড দিয়ে ঠেস দেওয়া। সুড়ঙ্গটির উচ্চতা ১ দশমিক ৫ মিটার (প্রায় ৫ ফুট)। ফলে বেশির ভাগ মানুষকে নিচু হয়ে এর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
১ ঘণ্টা আগে
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
৩ ঘণ্টা আগে