অনলাইন ডেস্ক
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নারীসংক্রান্ত ইতিহাস বরাবরই জটিল। তিনি ১৯৭৭ সালে ইভানা ট্রাম্পকে বিয়ে করেন। তাঁদের সংসার টিকে ছিল এক দশকের বেশি সময়। মডেল মার্লা ম্যাপলসের সঙ্গে ট্রাম্পের পরকীয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর তাঁদের বিচ্ছেদ হয়।
এরপর ১৯৯০ সালে ট্রাম্প-ইভানা জুটির বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হওয়ার পর ট্রাম্প ম্যাপলসের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যান। ১৯৯৩ সালে তাঁদের কন্যা টিফানির জন্ম হয় এবং ওই বছরই তাঁরা বিয়ে করেন। তবে এই সম্পর্কও বেশি দিন টেকেনি। ১৯৯৭ সালে ‘জগতের প্রতি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির’ কথা বলে তাঁরা আলাদা হয়ে যান।
দ্বিতীয় বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলাকালে ১৯৯৮ সালে নিউইয়র্কের এক পার্টিতে ট্রাম্পের সঙ্গে পরিচয় হয় স্লোভেনিয়ান-আমেরিকান মডেল মেলানিয়া কনাসের। ২০০৪ সালে মেট গালায় ট্রাম্প মেলানিয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। ২০০৫ সালে ফ্লোরিডার পাম বিচে সমুদ্রের তীরের একটি গির্জায় তাঁদের বিয়ে হয়। মেলানিয়া হন তাঁর তৃতীয় স্ত্রী এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি।
এরপর সামনে আসে পর্নতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের ঘটনা। স্টর্মি দাবি করেন, ২০০৬ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর এক রাতের সম্পর্ক হয়েছিল। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ড্যানিয়েলসকে চুপ করাতে ট্রাম্প ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন। সেই অর্থ লেনদেনের অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি গুরুতর অপরাধের রায় হয়েছে।
তবে ট্রাম্প নিজেই ‘নারীদের বিষয়ে’ তাঁর একমাত্র আক্ষেপের কথা স্বীকার করেছেন। ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত ‘দ্য আর্ট অব দ্য কামব্যাক’ বইয়ে তিনি লেখেন, ‘লেডি ডায়ানা স্পেনসারকে কখনো আমি মন দিয়ে ভালোবাসার সুযোগই পেলাম না।’ তিনি আরও লেখেন, ‘আমি তাঁকে বেশ কয়েকবার দেখেছি। আমি লক্ষ করেছি, তিনি কীভাবে মানুষকে আকৃষ্ট করতেন। তাঁর উপস্থিতিতেই গোটা ঘর উজ্জ্বল হয়ে উঠত। তিনি ছিলেন সত্যিকারের রাজকন্যা—স্বপ্নের মতো একজন নারী।’
ডায়ানার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সম্ভাবনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা খবর প্রকাশিত হয়েছে। বিশেষ করে, ১৯৯৬ সালে রাজপুত্র চার্লসের সঙ্গে ডায়ানার বিবাহবিচ্ছেদের পর ট্রাম্প নাকি তাঁকে ‘সর্বশেষ ট্রফির’ মর্যাদা দিয়ে ‘স্ত্রী’ হিসেবে পাওয়ার চেষ্টা করেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সানডে টাইমসের কলামে ডায়ানার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও বিবিসির সাবেক সাংবাদিক সেলিনা স্কট লেখেন, ট্রাম্পের পাঠানো বিশাল ফুলের তোড়া নিয়মিত ডায়ানার কেনসিংটন প্যালেসের বাসায় পৌঁছাত। ঠিক একই কৌশলে তিনি তাঁর প্রথম স্ত্রী ইভানাকে পটিয়েছিলেন।
স্কট লিখেছেন, ‘ট্রাম্প ডায়ানাকে তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় ট্রফি হিসেবে দেখতেন। রোজ গুচ্ছ গুচ্ছ গোলাপ আর অর্কিড তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছাত। এতে ডায়ানা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। বিষয়টা তাঁর কাছে মনে হচ্ছিল, যেন ট্রাম্প তাঁকে অনুসরণ বা উত্ত্যক্ত করছেন।’
একদিন ব্যক্তিগত নৈশভোজে ডায়ানা সেলিনা স্কটকে জানান, ‘আমি কী করব? উনি আমাকে ভয় পাইয়ে দিচ্ছেন।’ সেলিনা জবাব দেন, ‘ফুলগুলো ডাস্টবিনে ফেলে দাও।’ ডায়ানা হেসে ওঠেন।
এরপর ১৯৯৭ সালে প্যারিসে ডায়ানার মৃত্যুর পর ট্রাম্প তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের বলেন, তাঁর সবচেয়ে বড় আক্ষেপ হলো ডায়ানার সঙ্গে তিনি প্রেম করতে পারেননি। তিনি বিশ্বাস করতেন, ডায়ানার সঙ্গে তাঁর রোমান্স হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। ডায়ানার সঙ্গে কয়েকবার দেখা ছাড়া তাঁদের মধ্যে আর কোনো ঘনিষ্ঠতা হয়নি। তবে ডায়ানার মৃত্যুর পরও ট্রাম্প তাঁর কথা ভুলতে পারেননি।
১৯৯৭ সালে ডায়ানার শেষকৃত্যের কয়েক মাস পর হাওয়ার্ড স্টার্নের রেডিও শোতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, সুযোগ পেলে তিনি ডায়ানার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে যেতেন। তবে আগে তিনি ডায়ানার এইচআইভি পরীক্ষা করাতেন। স্টার্ন জিজ্ঞাসা করেন, ‘মানুষ কেন ভাবে, তুমি অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দেখাচ্ছ যে, তুমি লেডি ডায়ানাকে পেতে পারতে?’ জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি, পারতাম।’ পরে তাঁদের মধ্যে এক নাটকীয় কথোপকথন হয়, যেখানে ট্রাম্প কল্পনায় ডায়ানাকে বলেন, ‘লেডি ডায়ানা, তুমি কি চিকিৎসকের কাছে যাবে?’
স্টার্ন কৌতুক করে বলেন, ‘আমার লেক্সাস গাড়িতে ফিরে যাও। কারণ, আমার নতুন চিকিৎসক আছে। একটু চেকআপ করিয়ে নিতে হবে।’
নতুন শতাব্দীর শুরুর দিকে ২০০০ সালের আরেক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আবারও বলেন, কোনো দ্বিধা ছাড়াই তিনি ডায়ানার সঙ্গে শুতে রাজি ছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর ‘টপ টেন’ সবচেয়ে আকর্ষণীয় নারীর তালিকায় ডায়ানাকে তৃতীয় স্থানে রাখেন। তালিকায় দ্বিতীয় ছিলেন তাঁর সাবেক স্ত্রী ইভানা এবং প্রথম স্থানে বর্তমান স্ত্রী মেলানিয়া।
ডায়ানাকে নিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি একটু পাগল ছিলেন, তবে এটা তেমন বড় ব্যাপার নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলছি, তিনি অসাধারণ ছিলেন। লেডি ডায়ানা সত্যিকারের রূপসী নারী ছিলেন। আমি তাঁকে কয়েকবার দেখেছি। মানুষ বুঝতেই পারেনি, তিনি এতটা সুন্দর। তিনি ছিলেন সুপারমডেলদের মতো। তাঁর উচ্চতা, সৌন্দর্য, ত্বক—সবকিছু ছিল অবিশ্বাস্য।’
এমন মন্তব্যের পরও ডায়ানার ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম ট্রাম্পের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে শিষ্টাচার বজায় রেখেছেন, সেটাই বিস্ময়কর। ২০১৯ সালের যুক্তরাষ্ট্র সফরে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে নটর ডেম দে প্যারিসের পুনরোদ্বোধনে এবং ২০২৫ সালের এপ্রিলে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় উইলিয়াম ট্রাম্পের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
উইলিয়াম হয়তো জানতেন, তাঁর মা ডায়ানা ট্রাম্প সম্পর্কে কী ভাবতেন। ২০২৩ সালে ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি এমন একটি বই প্রকাশ করতে যাচ্ছেন, যেখানে বিশ্বনেতা, রাজনীতিবিদ ও সেলিব্রিটির লেখা চিঠি থাকবে। তাঁদের মধ্যে প্রিন্সেস ডায়ানাও আছেন, সবাই নাকি তাঁর ‘পশ্চাদ্দেশ লেহন’ করতে চেয়েছিল।
জবাবে ডায়ানার ভাই আর্ল চার্লস স্পেনসার টুইট করেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, আমার প্রয়াত বোন ডায়ানা নাকি তাঁর পশ্চাদ্দেশ লেহন করতে চাইতেন—এটা শুনে আমি বিস্মিত। কারণ, ডায়ানা যখন জীবিত ছিলেন, ট্রাম্প তাঁর নাম ব্যবহার করে নিউইয়র্কে কিছু রিয়েল এস্টেট বিক্রি করছিলেন। ওই সময় তিনি আমাকে বলেছিলেন, ট্রাম্পের প্রতি তাঁর মনোভাব ফেটে যাওয়া মলদ্বারের চেয়েও খারাপ।’
এদিকে ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্যে ‘অভূতপূর্ব’ দ্বিতীয়বারের রাষ্ট্রীয় সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে উইন্ডসর ক্যাসেলে এই সফর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
তথ্যসূত্র: ডেইলি মেইল
আরও খবর পড়ুন:
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নারীসংক্রান্ত ইতিহাস বরাবরই জটিল। তিনি ১৯৭৭ সালে ইভানা ট্রাম্পকে বিয়ে করেন। তাঁদের সংসার টিকে ছিল এক দশকের বেশি সময়। মডেল মার্লা ম্যাপলসের সঙ্গে ট্রাম্পের পরকীয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর তাঁদের বিচ্ছেদ হয়।
এরপর ১৯৯০ সালে ট্রাম্প-ইভানা জুটির বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হওয়ার পর ট্রাম্প ম্যাপলসের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যান। ১৯৯৩ সালে তাঁদের কন্যা টিফানির জন্ম হয় এবং ওই বছরই তাঁরা বিয়ে করেন। তবে এই সম্পর্কও বেশি দিন টেকেনি। ১৯৯৭ সালে ‘জগতের প্রতি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির’ কথা বলে তাঁরা আলাদা হয়ে যান।
দ্বিতীয় বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলাকালে ১৯৯৮ সালে নিউইয়র্কের এক পার্টিতে ট্রাম্পের সঙ্গে পরিচয় হয় স্লোভেনিয়ান-আমেরিকান মডেল মেলানিয়া কনাসের। ২০০৪ সালে মেট গালায় ট্রাম্প মেলানিয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। ২০০৫ সালে ফ্লোরিডার পাম বিচে সমুদ্রের তীরের একটি গির্জায় তাঁদের বিয়ে হয়। মেলানিয়া হন তাঁর তৃতীয় স্ত্রী এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি।
এরপর সামনে আসে পর্নতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের ঘটনা। স্টর্মি দাবি করেন, ২০০৬ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর এক রাতের সম্পর্ক হয়েছিল। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ড্যানিয়েলসকে চুপ করাতে ট্রাম্প ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন। সেই অর্থ লেনদেনের অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি গুরুতর অপরাধের রায় হয়েছে।
তবে ট্রাম্প নিজেই ‘নারীদের বিষয়ে’ তাঁর একমাত্র আক্ষেপের কথা স্বীকার করেছেন। ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত ‘দ্য আর্ট অব দ্য কামব্যাক’ বইয়ে তিনি লেখেন, ‘লেডি ডায়ানা স্পেনসারকে কখনো আমি মন দিয়ে ভালোবাসার সুযোগই পেলাম না।’ তিনি আরও লেখেন, ‘আমি তাঁকে বেশ কয়েকবার দেখেছি। আমি লক্ষ করেছি, তিনি কীভাবে মানুষকে আকৃষ্ট করতেন। তাঁর উপস্থিতিতেই গোটা ঘর উজ্জ্বল হয়ে উঠত। তিনি ছিলেন সত্যিকারের রাজকন্যা—স্বপ্নের মতো একজন নারী।’
ডায়ানার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সম্ভাবনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা খবর প্রকাশিত হয়েছে। বিশেষ করে, ১৯৯৬ সালে রাজপুত্র চার্লসের সঙ্গে ডায়ানার বিবাহবিচ্ছেদের পর ট্রাম্প নাকি তাঁকে ‘সর্বশেষ ট্রফির’ মর্যাদা দিয়ে ‘স্ত্রী’ হিসেবে পাওয়ার চেষ্টা করেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সানডে টাইমসের কলামে ডায়ানার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও বিবিসির সাবেক সাংবাদিক সেলিনা স্কট লেখেন, ট্রাম্পের পাঠানো বিশাল ফুলের তোড়া নিয়মিত ডায়ানার কেনসিংটন প্যালেসের বাসায় পৌঁছাত। ঠিক একই কৌশলে তিনি তাঁর প্রথম স্ত্রী ইভানাকে পটিয়েছিলেন।
স্কট লিখেছেন, ‘ট্রাম্প ডায়ানাকে তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় ট্রফি হিসেবে দেখতেন। রোজ গুচ্ছ গুচ্ছ গোলাপ আর অর্কিড তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছাত। এতে ডায়ানা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। বিষয়টা তাঁর কাছে মনে হচ্ছিল, যেন ট্রাম্প তাঁকে অনুসরণ বা উত্ত্যক্ত করছেন।’
একদিন ব্যক্তিগত নৈশভোজে ডায়ানা সেলিনা স্কটকে জানান, ‘আমি কী করব? উনি আমাকে ভয় পাইয়ে দিচ্ছেন।’ সেলিনা জবাব দেন, ‘ফুলগুলো ডাস্টবিনে ফেলে দাও।’ ডায়ানা হেসে ওঠেন।
এরপর ১৯৯৭ সালে প্যারিসে ডায়ানার মৃত্যুর পর ট্রাম্প তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের বলেন, তাঁর সবচেয়ে বড় আক্ষেপ হলো ডায়ানার সঙ্গে তিনি প্রেম করতে পারেননি। তিনি বিশ্বাস করতেন, ডায়ানার সঙ্গে তাঁর রোমান্স হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। ডায়ানার সঙ্গে কয়েকবার দেখা ছাড়া তাঁদের মধ্যে আর কোনো ঘনিষ্ঠতা হয়নি। তবে ডায়ানার মৃত্যুর পরও ট্রাম্প তাঁর কথা ভুলতে পারেননি।
১৯৯৭ সালে ডায়ানার শেষকৃত্যের কয়েক মাস পর হাওয়ার্ড স্টার্নের রেডিও শোতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, সুযোগ পেলে তিনি ডায়ানার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে যেতেন। তবে আগে তিনি ডায়ানার এইচআইভি পরীক্ষা করাতেন। স্টার্ন জিজ্ঞাসা করেন, ‘মানুষ কেন ভাবে, তুমি অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দেখাচ্ছ যে, তুমি লেডি ডায়ানাকে পেতে পারতে?’ জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি, পারতাম।’ পরে তাঁদের মধ্যে এক নাটকীয় কথোপকথন হয়, যেখানে ট্রাম্প কল্পনায় ডায়ানাকে বলেন, ‘লেডি ডায়ানা, তুমি কি চিকিৎসকের কাছে যাবে?’
স্টার্ন কৌতুক করে বলেন, ‘আমার লেক্সাস গাড়িতে ফিরে যাও। কারণ, আমার নতুন চিকিৎসক আছে। একটু চেকআপ করিয়ে নিতে হবে।’
নতুন শতাব্দীর শুরুর দিকে ২০০০ সালের আরেক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আবারও বলেন, কোনো দ্বিধা ছাড়াই তিনি ডায়ানার সঙ্গে শুতে রাজি ছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর ‘টপ টেন’ সবচেয়ে আকর্ষণীয় নারীর তালিকায় ডায়ানাকে তৃতীয় স্থানে রাখেন। তালিকায় দ্বিতীয় ছিলেন তাঁর সাবেক স্ত্রী ইভানা এবং প্রথম স্থানে বর্তমান স্ত্রী মেলানিয়া।
ডায়ানাকে নিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি একটু পাগল ছিলেন, তবে এটা তেমন বড় ব্যাপার নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলছি, তিনি অসাধারণ ছিলেন। লেডি ডায়ানা সত্যিকারের রূপসী নারী ছিলেন। আমি তাঁকে কয়েকবার দেখেছি। মানুষ বুঝতেই পারেনি, তিনি এতটা সুন্দর। তিনি ছিলেন সুপারমডেলদের মতো। তাঁর উচ্চতা, সৌন্দর্য, ত্বক—সবকিছু ছিল অবিশ্বাস্য।’
এমন মন্তব্যের পরও ডায়ানার ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম ট্রাম্পের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে শিষ্টাচার বজায় রেখেছেন, সেটাই বিস্ময়কর। ২০১৯ সালের যুক্তরাষ্ট্র সফরে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে নটর ডেম দে প্যারিসের পুনরোদ্বোধনে এবং ২০২৫ সালের এপ্রিলে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় উইলিয়াম ট্রাম্পের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
উইলিয়াম হয়তো জানতেন, তাঁর মা ডায়ানা ট্রাম্প সম্পর্কে কী ভাবতেন। ২০২৩ সালে ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি এমন একটি বই প্রকাশ করতে যাচ্ছেন, যেখানে বিশ্বনেতা, রাজনীতিবিদ ও সেলিব্রিটির লেখা চিঠি থাকবে। তাঁদের মধ্যে প্রিন্সেস ডায়ানাও আছেন, সবাই নাকি তাঁর ‘পশ্চাদ্দেশ লেহন’ করতে চেয়েছিল।
জবাবে ডায়ানার ভাই আর্ল চার্লস স্পেনসার টুইট করেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, আমার প্রয়াত বোন ডায়ানা নাকি তাঁর পশ্চাদ্দেশ লেহন করতে চাইতেন—এটা শুনে আমি বিস্মিত। কারণ, ডায়ানা যখন জীবিত ছিলেন, ট্রাম্প তাঁর নাম ব্যবহার করে নিউইয়র্কে কিছু রিয়েল এস্টেট বিক্রি করছিলেন। ওই সময় তিনি আমাকে বলেছিলেন, ট্রাম্পের প্রতি তাঁর মনোভাব ফেটে যাওয়া মলদ্বারের চেয়েও খারাপ।’
এদিকে ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্যে ‘অভূতপূর্ব’ দ্বিতীয়বারের রাষ্ট্রীয় সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে উইন্ডসর ক্যাসেলে এই সফর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
তথ্যসূত্র: ডেইলি মেইল
আরও খবর পড়ুন:
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থাড প্রতিরক্ষাব্যবস্থার প্রায় ১৫-২০ শতাংশ মজুত ব্যবহার করেছে। এতে দেশটির মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৮০০ মিলিয়ন ডলার বা ৮০ কোটি ডলার।
৩ মিনিট আগেভারতীয় সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, কলকাতার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ওই ছাত্রীর পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। পরীক্ষার সময় তিনটি সোয়াব নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেছেন, ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী মহারাজ তাঁকে একটি স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি দেওয়ার কথা বলে মুর্শিদাবাদের একটি আশ্রমে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর থাকার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগেআনুষ্ঠানিকভাবে ১ জুলাই থেকে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। পরাগ জৈন বর্তমান ‘র’-এর প্রধান রবি সিনহার স্থলাভিষিক্ত হবেন। সিনহার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩০ জুন।
৩ ঘণ্টা আগে