Ajker Patrika

প্রিন্সেস ডায়ানাকে ‘ভালোবেসে’ বিয়ে করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ জুন ২০২৫, ১৬: ৫৫
নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে ডায়ানার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ছবি: সংগৃহীত
নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে ডায়ানার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ছবি: সংগৃহীত

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নারীসংক্রান্ত ইতিহাস বরাবরই জটিল। তিনি ১৯৭৭ সালে ইভানা ট্রাম্পকে বিয়ে করেন। তাঁদের সংসার টিকে ছিল এক দশকের বেশি সময়। মডেল মার্লা ম্যাপলসের সঙ্গে ট্রাম্পের পরকীয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর তাঁদের বিচ্ছেদ হয়।

এরপর ১৯৯০ সালে ট্রাম্প-ইভানা জুটির বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হওয়ার পর ট্রাম্প ম্যাপলসের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যান। ১৯৯৩ সালে তাঁদের কন্যা টিফানির জন্ম হয় এবং ওই বছরই তাঁরা বিয়ে করেন। তবে এই সম্পর্কও বেশি দিন টেকেনি। ১৯৯৭ সালে ‘জগতের প্রতি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির’ কথা বলে তাঁরা আলাদা হয়ে যান।

দ্বিতীয় বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলাকালে ১৯৯৮ সালে নিউইয়র্কের এক পার্টিতে ট্রাম্পের সঙ্গে পরিচয় হয় স্লোভেনিয়ান-আমেরিকান মডেল মেলানিয়া কনাসের। ২০০৪ সালে মেট গালায় ট্রাম্প মেলানিয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। ২০০৫ সালে ফ্লোরিডার পাম বিচে সমুদ্রের তীরের একটি গির্জায় তাঁদের বিয়ে হয়। মেলানিয়া হন তাঁর তৃতীয় স্ত্রী এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি।

এরপর সামনে আসে পর্নতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের ঘটনা। স্টর্মি দাবি করেন, ২০০৬ সালে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর এক রাতের সম্পর্ক হয়েছিল। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ড্যানিয়েলসকে চুপ করাতে ট্রাম্প ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন। সেই অর্থ লেনদেনের অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি গুরুতর অপরাধের রায় হয়েছে।

তবে ট্রাম্প নিজেই ‘নারীদের বিষয়ে’ তাঁর একমাত্র আক্ষেপের কথা স্বীকার করেছেন। ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত ‘দ্য আর্ট অব দ্য কামব্যাক’ বইয়ে তিনি লেখেন, ‘লেডি ডায়ানা স্পেনসারকে কখনো আমি মন দিয়ে ভালোবাসার সুযোগই পেলাম না।’ তিনি আরও লেখেন, ‘আমি তাঁকে বেশ কয়েকবার দেখেছি। আমি লক্ষ করেছি, তিনি কীভাবে মানুষকে আকৃষ্ট করতেন। তাঁর উপস্থিতিতেই গোটা ঘর উজ্জ্বল হয়ে উঠত। তিনি ছিলেন সত্যিকারের রাজকন্যা—স্বপ্নের মতো একজন নারী।’

ডায়ানার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সম্ভাবনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা খবর প্রকাশিত হয়েছে। বিশেষ করে, ১৯৯৬ সালে রাজপুত্র চার্লসের সঙ্গে ডায়ানার বিবাহবিচ্ছেদের পর ট্রাম্প নাকি তাঁকে ‘সর্বশেষ ট্রফির’ মর্যাদা দিয়ে ‘স্ত্রী’ হিসেবে পাওয়ার চেষ্টা করেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সানডে টাইমসের কলামে ডায়ানার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও বিবিসির সাবেক সাংবাদিক সেলিনা স্কট লেখেন, ট্রাম্পের পাঠানো বিশাল ফুলের তোড়া নিয়মিত ডায়ানার কেনসিংটন প্যালেসের বাসায় পৌঁছাত। ঠিক একই কৌশলে তিনি তাঁর প্রথম স্ত্রী ইভানাকে পটিয়েছিলেন।

স্কট লিখেছেন, ‘ট্রাম্প ডায়ানাকে তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় ট্রফি হিসেবে দেখতেন। রোজ গুচ্ছ গুচ্ছ গোলাপ আর অর্কিড তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছাত। এতে ডায়ানা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। বিষয়টা তাঁর কাছে মনে হচ্ছিল, যেন ট্রাম্প তাঁকে অনুসরণ বা উত্ত্যক্ত করছেন।’

একদিন ব্যক্তিগত নৈশভোজে ডায়ানা সেলিনা স্কটকে জানান, ‘আমি কী করব? উনি আমাকে ভয় পাইয়ে দিচ্ছেন।’ সেলিনা জবাব দেন, ‘ফুলগুলো ডাস্টবিনে ফেলে দাও।’ ডায়ানা হেসে ওঠেন।

এরপর ১৯৯৭ সালে প্যারিসে ডায়ানার মৃত্যুর পর ট্রাম্প তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের বলেন, তাঁর সবচেয়ে বড় আক্ষেপ হলো ডায়ানার সঙ্গে তিনি প্রেম করতে পারেননি। তিনি বিশ্বাস করতেন, ডায়ানার সঙ্গে তাঁর রোমান্স হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। ডায়ানার সঙ্গে কয়েকবার দেখা ছাড়া তাঁদের মধ্যে আর কোনো ঘনিষ্ঠতা হয়নি। তবে ডায়ানার মৃত্যুর পরও ট্রাম্প তাঁর কথা ভুলতে পারেননি।

১৯৯৭ সালে ডায়ানার শেষকৃত্যের কয়েক মাস পর হাওয়ার্ড স্টার্নের রেডিও শোতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, সুযোগ পেলে তিনি ডায়ানার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে যেতেন। তবে আগে তিনি ডায়ানার এইচআইভি পরীক্ষা করাতেন। স্টার্ন জিজ্ঞাসা করেন, ‘মানুষ কেন ভাবে, তুমি অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দেখাচ্ছ যে, তুমি লেডি ডায়ানাকে পেতে পারতে?’ জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি, পারতাম।’ পরে তাঁদের মধ্যে এক নাটকীয় কথোপকথন হয়, যেখানে ট্রাম্প কল্পনায় ডায়ানাকে বলেন, ‘লেডি ডায়ানা, তুমি কি চিকিৎসকের কাছে যাবে?’

স্টার্ন কৌতুক করে বলেন, ‘আমার লেক্সাস গাড়িতে ফিরে যাও। কারণ, আমার নতুন চিকিৎসক আছে। একটু চেকআপ করিয়ে নিতে হবে।’

নতুন শতাব্দীর শুরুর দিকে ২০০০ সালের আরেক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আবারও বলেন, কোনো দ্বিধা ছাড়াই তিনি ডায়ানার সঙ্গে শুতে রাজি ছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর ‘টপ টেন’ সবচেয়ে আকর্ষণীয় নারীর তালিকায় ডায়ানাকে তৃতীয় স্থানে রাখেন। তালিকায় দ্বিতীয় ছিলেন তাঁর সাবেক স্ত্রী ইভানা এবং প্রথম স্থানে বর্তমান স্ত্রী মেলানিয়া।

ডায়ানাকে নিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি একটু পাগল ছিলেন, তবে এটা তেমন বড় ব্যাপার নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলছি, তিনি অসাধারণ ছিলেন। লেডি ডায়ানা সত্যিকারের রূপসী নারী ছিলেন। আমি তাঁকে কয়েকবার দেখেছি। মানুষ বুঝতেই পারেনি, তিনি এতটা সুন্দর। তিনি ছিলেন সুপারমডেলদের মতো। তাঁর উচ্চতা, সৌন্দর্য, ত্বক—সবকিছু ছিল অবিশ্বাস্য।’

এমন মন্তব্যের পরও ডায়ানার ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম ট্রাম্পের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে শিষ্টাচার বজায় রেখেছেন, সেটাই বিস্ময়কর। ২০১৯ সালের যুক্তরাষ্ট্র সফরে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে নটর ডেম দে প্যারিসের পুনরোদ্বোধনে এবং ২০২৫ সালের এপ্রিলে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় উইলিয়াম ট্রাম্পের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

উইলিয়াম হয়তো জানতেন, তাঁর মা ডায়ানা ট্রাম্প সম্পর্কে কী ভাবতেন। ২০২৩ সালে ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি এমন একটি বই প্রকাশ করতে যাচ্ছেন, যেখানে বিশ্বনেতা, রাজনীতিবিদ ও সেলিব্রিটির লেখা চিঠি থাকবে। তাঁদের মধ্যে প্রিন্সেস ডায়ানাও আছেন, সবাই নাকি তাঁর ‘পশ্চাদ্দেশ লেহন’ করতে চেয়েছিল।

জবাবে ডায়ানার ভাই আর্ল চার্লস স্পেনসার টুইট করেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, আমার প্রয়াত বোন ডায়ানা নাকি তাঁর পশ্চাদ্দেশ লেহন করতে চাইতেন—এটা শুনে আমি বিস্মিত। কারণ, ডায়ানা যখন জীবিত ছিলেন, ট্রাম্প তাঁর নাম ব্যবহার করে নিউইয়র্কে কিছু রিয়েল এস্টেট বিক্রি করছিলেন। ওই সময় তিনি আমাকে বলেছিলেন, ট্রাম্পের প্রতি তাঁর মনোভাব ফেটে যাওয়া মলদ্বারের চেয়েও খারাপ।’

এদিকে ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্যে ‘অভূতপূর্ব’ দ্বিতীয়বারের রাষ্ট্রীয় সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে উইন্ডসর ক্যাসেলে এই সফর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

তথ্যসূত্র: ডেইলি মেইল

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুক্তরাজ্যে অর্থ পাচারবিরোধী বড় সংস্কারের উদ্যোগ, আইনজীবী ও হিসাবরক্ষকদের আপত্তি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৩৭
যুক্তরাজ্যে অর্থ পাচারবিরোধী বড় সংস্কারের উদ্যোগ, আইনজীবী ও হিসাবরক্ষকদের আপত্তি

ব্রিটেনে আইনজীবী ও হিসাবরক্ষকদের সংগঠনগুলো দেশটির অর্থপাচারবিরোধী নীতিতে বড় ধরনের সংস্কারের অংশ হিসেবে তাদের ফাইন্যান্সিয়াল কনডাক্ট অথোরিটির (এফসিএ) তত্ত্বাবধানে আনার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। ব্রিটেনের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির অর্থপাচারবিরোধী দুর্বলতা মোকাবিলায় ২৩টি সংস্থা থেকে প্রায় ৬০ হাজার আইন ও হিসাবরক্ষণ প্রতিষ্ঠানের তদারকি দায়িত্ব সরিয়ে তা এফসিএ-এর হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, যেসব সংস্থা বর্তমানে এই তদারকি করে ফি আয় করে থাকে, তারা এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তাদের আশঙ্কা, এতে খরচ বাড়বে, ব্যবসায় বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দেবে এবং অনেকের ফি হারিয়ে টিকে থাকাই কঠিন হয়ে পড়বে।

ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্টস ইনস্টিটিউটের (আইসিএইডব্লিউ) নিয়ন্ত্রক বোর্ডের চেয়ারম্যান পারজিন্দার বাসরা বলেছেন, এ সিদ্ধান্তে তারা ‘হতাশ।’ তাঁর ভাষায়, ‘এটি প্রতিষ্ঠানের ওপর বাড়তি চাপ ও খরচ তৈরি করবে, যা ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করবে।’ তিনি আরও বলেন, তাঁর ইনস্টিটিউট শিগগিরই মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবে, যাতে এই সিদ্ধান্তের সব দিক আলোচনায় আসে এবং বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া যায়।

অনেক বিশেষজ্ঞ বহুদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন, যুক্তরাজ্যের পেশাজীবী সেবাখাত—বিশেষ করে আইনজীবী, হিসাবরক্ষক এবং ট্রাস্ট ও কোম্পানি সেবা প্রদানকারীদের তদারকিতে নানা সংস্থা জড়িত থাকায় এখানে স্বার্থের সংঘাত তৈরি হয় এবং দুর্নীতিগ্রস্ত অর্থ সহজেই ঢুকে পড়ে।

অর্থ মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সংস্থা ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সের সর্বশেষ মূল্যায়নে দেখা গেছে, বিশেষত পেশাজীবী সেবাখাতে তদারকি ব্যবস্থার দুর্বলতা ও অসামঞ্জস্যতা যুক্তরাজ্যের অর্থপাচারবিরোধী কাঠামোর একটি ‘গুরুতর ঝুঁকি।’

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ইউকের গবেষণা ও অনুসন্ধান বিভাগের প্রধান স্টিভ গুডরিচ বলেন, ‘এই সংস্কার অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। যুক্তরাজ্যের ভাঙা অবৈধ অর্থ তদারকি ব্যবস্থাকে ঠিক করার পথে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

অভিযানভিত্তিক সংস্থা স্পটলাইট অন করাপশনের নির্বাহী পরিচালক সুসান হাওলি বলেন, এই ক্ষমতা এফসিএ—এর হাতে গেলে ‘আইন ও হিসাবরক্ষণ খাতে বড় ধাক্কা লাগবে, কারণ এত দিন তাদের তদারকি সংস্থাগুলো তাদের প্রতি নরম আচরণ করেছে।’

তবে এ নিয়ে উদ্বেগও রয়েছে। অনেকের আশঙ্কা, হিসাবরক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন করে ব্যয়বহুল মাননিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মুখে পড়তে হবে এবং এফসিএ এত বড় দায়িত্ব সামলাতে পারবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। চার্টার্ড সার্টিফায়েড অ্যাকাউনট্যান্টস অ্যাসোসিয়েশনের কৌশল ও পরিচালনা বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ম্যাগি ম্যাকগি বলেন, ‘এই পরিবর্তন কার্যত অর্থপাচারবিরোধী প্রয়োগের দক্ষতা কমিয়ে দেবে, যা জনগণের স্বার্থবিরোধী।’

তিনি আরও বলেন, এটি হবে ‘এক বিশাল প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ’, যার সঙ্গে বাড়তি ব্যয় ও তথ্য-নিরাপত্তার ঝুঁকি জড়িত থাকবে, আর এতে ‘বিদ্যমান বহু মূল্যবান দক্ষতা হারিয়ে যাবে।’ কিছু আইন বিশেষজ্ঞও একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কিংসলি ন্যাপলি নামের আইন সংস্থার অর্থপাচারবিরোধী বিভাগের পরিচালক ও সাবেক সলিসিটর্স রেগুলেশন অথোরিটির কর্মকর্তা কোলেট বেস্ট বলেন, ‘আইন সেবা খাতের জন্য এফসিএ প্রকৃত তদারকি সংস্থা নয়।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলো জানতে চায়, পরিবর্তন কার্যকর হতে কত সময় লাগবে, তাদের নতুন করে এফসিএ অনুমোদন নিতে হবে কি না, আর এ সময়ে অর্থপাচারবিরোধী তদারকি কীভাবে চলবে।’

ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসআরএ—এর এক মুখপাত্র বলেন, তারা ‘হতাশ’ যে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থপাচারবিরোধী তদারকিতে যে ‘গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি’ করেছে, তা আরও এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না।

অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, এ সিদ্ধান্ত ‘অত্যন্ত জটিল এক নিয়ন্ত্রক কাঠামোকে সরল করবে।’ তবে এটি কার্যকর হতে হলে সংসদে অনুমোদন, অর্থায়নের নিশ্চয়তা এবং একটি বিস্তারিত রূপান্তর ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনা প্রয়োজন। এই পরিবর্তনের সময়সূচি ‘পার্লামেন্টের সময়সূচির ওপর নির্ভরশীল’ বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তারা আরও বলেছে, এফসিএ-কে নতুন দায়িত্ব পালনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ দেওয়া হবে এবং নভেম্বর মাসে অতিরিক্ত তদারকি ক্ষমতা নিয়ে পরামর্শ প্রক্রিয়া শুরু হবে।

সিটি মন্ত্রী লুসি রিগবি বলেন, ‘পেশাজীবী সেবাখাতে ২৩টি পৃথক তদারকি সংস্থা থাকার ফলে নজরদারি ও প্রয়োগে অসামঞ্জস্য তৈরি হয় এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা জটিল হয়ে ওঠে।’

এফসিএ-র বাজার তদারকি ও প্রয়োগ বিভাগের যৌথ নির্বাহী পরিচালক স্টিভ স্মার্ট বলেন, এই পরিবর্তন ‘পেশাজীবী সেবা খাতের তদারকি সহজ করবে’ এবং ‘আমাদের অপরাধ শনাক্ত ও ব্যাহত করার সক্ষমতা বাড়াবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কয়েক প্রজন্মকে ভোগাবে গাজার স্বাস্থ্য বিপর্যয়: ডব্লিউএইচও

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার মানুষের চাহিদা মোকাবিলায় সেখানে ব্যাপক পরিমাণে সহায়তা পৌঁছানো জরুরি বলে মনে করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার মানুষের চাহিদা মোকাবিলায় সেখানে ব্যাপক পরিমাণে সহায়তা পৌঁছানো জরুরি বলে মনে করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

ফিলিস্তিনের গাজায় এমন এক স্বাস্থ্য বিপর্যয় চলছে, যার প্রভাব থাকতে পারে ‘আগামী কয়েক প্রজন্ম ধরে’। এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস।

বিবিসি রেডিও ৪-এর টুডে অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, গাজার জনগণের চাহিদা মোকাবিলায় এখন ব্যাপক পরিমাণে সহায়তা পৌঁছানো অত্যন্ত জরুরি। হামাসের সঙ্গে ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গাজায় চিকিৎসাসামগ্রীসহ অন্যান্য সহায়তা প্রবেশের অনুমতি কিছুটা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। তবে এসব সহায়তা গাজার ভেঙে পড়া স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রার ‘অনেক নিচে’ বলে মন্তব্য করেন ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক।

তাঁর এ মন্তব্য এমন সময়ে এসেছে, যখন গত শনি ও রোববার গাজায় নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর যুক্তরাষ্ট্র তাদের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। হোয়াইট হাউস যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ হিসেবে বর্ণনা করেছে; যার মধ্যে গাজায় সহায়তার পরিমাণ বাড়ানো এবং উভয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়া তা বণ্টনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

তেদরোস যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানালেও সাক্ষাৎকারে বলেছেন, গাজায় সহায়তার প্রবাহ প্রত্যাশার তুলনায় বেশ কম।

মাঠের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক বলেন, গাজার মানুষ এখন দুর্ভিক্ষ, আঘাত, ভেঙে পড়া স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং পানি ও পয়োনিষ্কাশন অবকাঠামো ধ্বংসের ফলে সৃষ্ট রোগের প্রাদুর্ভাবের সম্মুখীন। এর ওপরে আছে গাজায় মানবিক সহায়তার সীমিত প্রবেশাধিকার। সবকিছু মিলে তৈরি হয়েছে এক মারাত্মক সংমিশ্রণ, যা পরিস্থিতিকে ভয়াবহ, প্রায় বর্ণনাতীত করে তুলেছে।

গাজার দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তেদরোস বলেন, দুর্ভিক্ষের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের ভয়াবহ সংকট যুক্ত হলে এটি এমন এক সংকটে পরিণত হয়, যার প্রভাব প্রজন্মের পর প্রজন্মকে বহন করতে হবে।

জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএর প্রধান টম ফ্লেচার এ সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন, সহায়তা সংস্থাগুলো ‘অনাহার সংকট’ সামলাতে কিছুটা অগ্রগতি করেছে। তবে আরও সহায়তা দরকার।

গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানায়, ১০ অক্টোবরের পর থেকে ৬ হাজার ৭০০ টনের বেশি খাদ্যবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে, কিন্তু এটি এখনো তাদের নির্ধারিত দৈনিক ২ হাজার টনের লক্ষ্যের অনেক নিচে।

ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক বলেন, গাজায় প্রতিদিন ৬০০টি সহায়তাবাহী ট্রাক প্রবেশ করা দরকার, কিন্তু বাস্তবে দৈনিক গড়ে মাত্র ২০০ থেকে ৩০০টি ট্রাক যাচ্ছে।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তেদরোস বলেন, গাজায় মানবিক সহায়তাকে চলমান সংঘাত থেকে যেন আলাদা রাখা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ল্যুভর জাদুঘর থেকে চুরি হওয়া গয়নার মূল্য ১০২ মিলিয়ন ডলার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ০৭
ফ্রান্সের প্যারিসে বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে চুরি হওয়া গয়না। ছবি: এএফপি
ফ্রান্সের প্যারিসে বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে চুরি হওয়া গয়না। ছবি: এএফপি

ফ্রান্সের প্যারিসে বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে চুরি হওয়া গয়নাগুলোর মূল্য ১০২ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ হাজার ৪৬০ কোটি ২৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা), জানিয়েছেন দেশটির একজন প্রসিকিউটর। মিউজিয়ামের কিউরেটরের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

আরটিএল রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রসিকিউটর লরা বেকো জানান, চুরি যাওয়া অঙ্কটি বিশাল। তবে শুধু অর্থমূল্যই নয়, এসব গয়না ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে অমূল্য।

প্রসিকিউটর বেকো বলেন, এসব গয়নার মূল্য ঘোষণা করা হলো এই ভেবে যে মূল্য জানলে চোরেরা আশা করছি গয়নাগুলো ভাঙা বা নষ্ট করার আগে দ্বিতীয়বার ভাববে।

তিনি আরও বলেন, এসব গয়না গলানোর বা ভাঙার চিন্তা করাটা খুবই খারাপ হবে। তবে গয়না নিজেদের কাছে রাখা তাদের জন্য সহজ হবে না।

চুরি হওয়া গয়নাগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৮১০ সালে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের (প্রথম নেপোলিয়ন) দ্বিতীয় স্ত্রী মারি-লুইজকে বিয়ে করার সময় উপহার দেওয়া একটি দুর্লভ পান্না হার। এই হারে ৩২টি পান্না ও ১ হাজার ১৩৮টি হীরা ছিল। একই সেটের এক জোড়া কানের দুলও চুরি হয়েছে।

আরেকটি চুরি হওয়া গয়না হলো সম্রাজ্ঞী ইউজেনির (তৃতীয় নেপোলিয়নের স্ত্রী) একটি টায়রা। এতে ২১২টি মুক্তা ও প্রায় ৩ হাজার হীরা বসানো ছিল। এ ছাড়া ২ হাজার ৪০০ হীরায় সাজানো একটি বেল্ট এবং ১৮৫৫ সালের একটি সাদা হীরার ব্রোচও চুরি হয়েছে।

এ ছাড়া ফ্রান্সের শেষ রানি মেরি-অমেলির একটি নীলকান্তমণির টায়রাও চুরি হয়েছে। এই টায়রায় ছিল ২৪টি নীলকান্তমণি ও ১ হাজার ৮৩টি হীরা। টায়রাটির সেট হিসেবে থাকা একটি হার এবং এক জোড়া দুল থেকে একটি দুলও নিয়ে গেছে চোরেরা।

মাত্র ৭ মিনিটের মধ্যে ‘চেরি পিকার’ (ট্রাকের ওপর বসানো একধরনের হাইড্রোলিক মই) ও ‘অ্যাঙ্গেল গ্রাইন্ডার’ ব্যবহার করে জাদুঘরের জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে এই দুধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়। চোরেরা ল্যুভরের বিখ্যাত ‘অ্যাপোলো গ্যালারি’-তে ঢুকে পড়েছিল বলে জানান ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লরঁ নিউনে। তিনি বলেন, ‘এটি নিঃসন্দেহ যে চোরেরা আগেই জাদুঘরটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে।’

চুরির ঘটনার পর সম্রাজ্ঞী ইউজেনির একটি রাজমুকুট ল্যুভর মিউজিয়ামের বাইরে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। মোটরসাইকেলে চড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এটি ফেলে রেখে যায় চোরেরা। ৫৬টি পান্না ও ১ হাজার ৩৫৪টি হীরায় অলংকৃত এই রাজমুকুট এখন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা জানান, যত দ্রুত সম্ভব গয়নাগুলো উদ্ধার না করা গেলে চিরতরে হারিয়ে যেতে পারে। এগুলোতে থাকা মূল্যবান ধাতু ও রত্ন ভেঙে দেশের বাইরে পাচার করার আশঙ্কা রয়েছে।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে প্যারিসের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রিতে সোনার রেপ্লিকা চুরি হয় এবং লিমোজের এক জাদুঘর থেকে ৬৫ লাখ ইউরো মূল্যের পোর্সেলিন হারিয়ে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উগান্ডায় বাস-লরি-প্রাইভেট কার চতুর্মুখী সংঘর্ষ, নিহত ৪৬

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ৪৩
উগান্ডায় এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত
উগান্ডায় এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

উগান্ডার এক প্রধান মহাসড়কে একাধিক যানবাহনের সংঘর্ষে অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। প্রথমে পুলিশ মৃতের সংখ্যা ৬৩ জানিয়েছিল। পরে তারা সেই সংখ্যা কমিয়ে ৪৬ করে জানায় যে, আগের হিসেবে কয়েকজন অচেতন ব্যক্তিকেও মৃত হিসেবে ধরা হয়েছিল; তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, উগান্ডা পুলিশ জানিয়েছে, রাজধানী কাম্পালা-গুলু মহাসড়কে স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১৫ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুটি যাত্রীবাহী বাস বিপরীত দিক থেকে আসার সময় দুটি যান—একটি লরি ও একটি প্রাইভেট কার ওভারটেক করতে গিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

তাদের মধ্যে একটি বাস সংঘর্ষ এড়ানোর চেষ্টা করলেও উল্টো সামনাসামনি সংঘর্ষ হয়, যা পরে একের পর এক গাড়ি দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এতে অন্যান্য যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। পুলিশ জানায়, নিহতদের পাশাপাশি দুর্ঘটনায় আরও বহু যাত্রী আহত হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তে একটি টিম গঠন করা হয়েছে।

আহতদের পশ্চিমাঞ্চলীয় কিরিয়ানডোঙ্গো শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, তারা স্বাস্থ্য ও জরুরি সেবাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করে সঠিক তথ্য যাচাই করছে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য সরবরাহ করবে।

আঞ্চলিক পুলিশ মুখপাত্র জুলিয়াস হাকিজা জানান, দুর্ঘটনার সূত্রপাত ঘটে একটি বাসের ওভারটেক করার চেষ্টা থেকে। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘ওই বাসটি বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি বাসের সঙ্গে সরাসরি মুখোমুখি ধাক্কা খায়।’ তিনি আরও জানান, মোট চারটি গাড়ি এ দুর্ঘটনায় পতিত হয়।

কাম্পালা (দক্ষিণ) থেকে গুলু (উত্তর) পর্যন্ত মহাসড়কটি উগান্ডার সবচেয়ে ব্যস্ত সড়কগুলোর একটি। দুর্ঘটনার পর পুলিশ চালকদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছে, ‘অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়ে ওভারটেক করা বা বেপরোয়া চালানো থেকে বিরত থাকুন।’ তাদের ভাষায়, ‘এ ধরনের বিপজ্জনক ওভারটেক করাই দেশটির সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলোর একটি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত