মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ‘তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি’ (টিএসএমসি) যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। তবে এই ঘোষণার পর তাইওয়ানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই মনে করছেন, রাজনৈতিক চাপে পড়ে তাদের মূল্যবান সেমিকন্ডাক্টর শিল্প যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
শুক্রবার সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—তাইওয়ানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মা ইয়িং-জিউ এই চুক্তিকে ‘জাতীয় নিরাপত্তার সংকট’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর মতে, ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি ট্রাম্পের কাছে তাইওয়ানের গর্ব টিএসএমসিকে ‘সুরক্ষা ফি’ হিসেবে তুলে দিয়েছে।
টিএসএমসি বিশ্বের ৯০ ভাগ উন্নত চিপ উৎপাদন করে, যা স্মার্টফোন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অস্ত্রশস্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাইওয়ানের অনেকেই মনে করেন, তাদের সেমিকন্ডাক্টর শিল্প একটি ‘সিলিকন শিল্ড’ হিসেবে কাজ করে, যা তাদেরকে চীনের সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। চীন দীর্ঘদিন ধরে তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে আসছে এবং বলপ্রয়োগ করে দখল করে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।
সিএনএন জানিয়েছে, সম্প্রতি ট্রাম্প অভিযোগ করে বসেন—যুক্তরাষ্ট্রের সেমিকন্ডাক্টর শিল্প চুরি করছে তাইওয়ান। তাই যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সুরক্ষা ফি’ দিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে টিএসএমসির ১০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগকে ট্রাম্পের সেই ‘সুরক্ষা ফি’ বলে আখ্যায়িত করছেন তাইওয়ানের অনেকে।
এদিকে টিএসএমসি-এর প্রধান নির্বাহী সি সি ওয়েই নিশ্চিত করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগের ফলে তাইওয়ানে তাদের কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তিনি জানান—অ্যাপল, এনভিডিয়া, এএমডি, কোয়ালকম ও ব্রডকমের মতো মার্কিন গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতেই তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই বিনিয়োগ মার্কিন প্রশাসনের রাজনৈতিক কৌশলের অংশ। ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যে ইউরোপের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার পরিবর্তে এশিয়ার দিকে মনোযোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে শুধু সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জন্য নয়, বরং ভূকৌশলগত অবস্থানের কারণেও সমর্থন দিচ্ছে।
টিএসএমসি-এর ১০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকে শক্তিশালী করবে। তবে একই সঙ্গে এই পদক্ষেপ তাইওয়ানের অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়বে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই বিনিয়োগ স্যামসাং ও ইন্টেলের মতো অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপরও চাপ সৃষ্টি করবে। দক্ষিণ কোরিয়ার সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলোর ওপরও ট্রাম্প প্রশাসনের নজর রয়েছে।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন চীনের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধের পরিকল্পনা করছে, যা সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকেও প্রভাবিত করতে পারে। অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, মার্কিন চাপে পড়ে অন্য কোম্পানিগুলোকেও বড় বিনিয়োগ করতে হতে পারে।
বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি প্রতিযোগিতার নতুন এই পর্যায়ে, তাইওয়ানের ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান ভূরাজনৈতিক কৌশলের ওপর।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ‘তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি’ (টিএসএমসি) যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। তবে এই ঘোষণার পর তাইওয়ানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই মনে করছেন, রাজনৈতিক চাপে পড়ে তাদের মূল্যবান সেমিকন্ডাক্টর শিল্প যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
শুক্রবার সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—তাইওয়ানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মা ইয়িং-জিউ এই চুক্তিকে ‘জাতীয় নিরাপত্তার সংকট’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর মতে, ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি ট্রাম্পের কাছে তাইওয়ানের গর্ব টিএসএমসিকে ‘সুরক্ষা ফি’ হিসেবে তুলে দিয়েছে।
টিএসএমসি বিশ্বের ৯০ ভাগ উন্নত চিপ উৎপাদন করে, যা স্মার্টফোন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অস্ত্রশস্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাইওয়ানের অনেকেই মনে করেন, তাদের সেমিকন্ডাক্টর শিল্প একটি ‘সিলিকন শিল্ড’ হিসেবে কাজ করে, যা তাদেরকে চীনের সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। চীন দীর্ঘদিন ধরে তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে আসছে এবং বলপ্রয়োগ করে দখল করে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।
সিএনএন জানিয়েছে, সম্প্রতি ট্রাম্প অভিযোগ করে বসেন—যুক্তরাষ্ট্রের সেমিকন্ডাক্টর শিল্প চুরি করছে তাইওয়ান। তাই যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সুরক্ষা ফি’ দিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে টিএসএমসির ১০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগকে ট্রাম্পের সেই ‘সুরক্ষা ফি’ বলে আখ্যায়িত করছেন তাইওয়ানের অনেকে।
এদিকে টিএসএমসি-এর প্রধান নির্বাহী সি সি ওয়েই নিশ্চিত করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগের ফলে তাইওয়ানে তাদের কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তিনি জানান—অ্যাপল, এনভিডিয়া, এএমডি, কোয়ালকম ও ব্রডকমের মতো মার্কিন গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতেই তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই বিনিয়োগ মার্কিন প্রশাসনের রাজনৈতিক কৌশলের অংশ। ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যে ইউরোপের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার পরিবর্তে এশিয়ার দিকে মনোযোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে শুধু সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জন্য নয়, বরং ভূকৌশলগত অবস্থানের কারণেও সমর্থন দিচ্ছে।
টিএসএমসি-এর ১০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকে শক্তিশালী করবে। তবে একই সঙ্গে এই পদক্ষেপ তাইওয়ানের অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়বে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই বিনিয়োগ স্যামসাং ও ইন্টেলের মতো অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপরও চাপ সৃষ্টি করবে। দক্ষিণ কোরিয়ার সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলোর ওপরও ট্রাম্প প্রশাসনের নজর রয়েছে।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন চীনের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধের পরিকল্পনা করছে, যা সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকেও প্রভাবিত করতে পারে। অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, মার্কিন চাপে পড়ে অন্য কোম্পানিগুলোকেও বড় বিনিয়োগ করতে হতে পারে।
বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি প্রতিযোগিতার নতুন এই পর্যায়ে, তাইওয়ানের ভবিষ্যৎ অনেকটাই নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান ভূরাজনৈতিক কৌশলের ওপর।
থাইল্যান্ড থেকে ৪৭টি বিষধর সাপ ও আরও বিরল প্রজাতির কিছু সরীসৃপ প্রাণী ব্যাগে ভরে দেশ ফিরছিলেন এক ভারতীয়। পাচারের উদ্দেশ্যে ওই প্রাণীগুলোকে ভারতে এনেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ভারতের মহারাষ্ট্রের মুম্বাই বিমানবন্দরে তাঁকে আটক করেছে কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য
৮ মিনিট আগেপাকিস্তানের বিরুদ্ধে গত ৭ মে ‘অপারেশন সিন্দুর’ পরিচালনা করে ভারত। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ২ হাজারের বেশি লোককে বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’ করেছে ভারত। ভারত সরকারের সূত্রের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। অবশ্য, ভারত এই লোকদের ‘অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী’ বলে আখ্যা...
৩১ মিনিট আগেভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাঁচটি রাজ্যে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসের কারণে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ তিন দিনে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেবিক্ষোভ চলাকালে এক ব্যক্তি বিক্ষোভকারীদের দিকে ঘরে তৈরি মলোটভ ককটেল–সদৃশ বস্তু ছুড়ে মারেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলায় কয়েকজন দগ্ধ হন। দ্রুত তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
২ ঘণ্টা আগে