কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে পাকিস্তানে দুই দিন আগে গির্জা ও বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার পর দুই খ্রিষ্টানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমানার মামলা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, ওই দুই খ্রিষ্টান কোরআনের ভেতরে লাল রঙে ‘অবমাননাকর কিছু মন্তব্য’ লিখেছিল বলে পুলিশ অভিযোগ এনেছে।
গত বুধবার পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলে এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা অন্তত একটি প্রধান ও চারটি ছোট গির্জা ভাঙচুর করেছে; বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন দেয়। এরপর থেকে আধা সামরিক বাহিনী খ্রিষ্টান বসতি পাহারা দিচ্ছে।
খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতাসহ সেখানকার বাসিন্দারা বলছেন, তাদের কবরস্থানেও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। খ্রিষ্টানদের ঘরের জিনিসপত্র রাস্তায় ফেলে দিয়ে আগুন ধরে দেওয়া হয়। বহন করা যায় এমন সম্পদ লুট করে।
পাকিস্তানের ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এ পর্যন্ত কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া না হলেও প্রায়ই খ্রিষ্টানদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে তাদের লাঞ্ছিত করা হয়। আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়ায় এর আগে প্রাদেশিক গভর্নর এবং সংখ্যালঘু এক মন্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
ঘটনার বিষয়ে সদ্য গঠিত পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার উল হক বলেছেন, সংখ্যালঘুদের যেকোনো মূল্যে রক্ষা করা হবে। যারা সহিংসতার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি বলেন, ‘এখানে কোনো অনুগ্রহ হবে না, এখানে কোনো ভয় থাকবে না।’
পুলিশ বলছে, গত বুধবার শিল্প এলাকা ফয়সালাবাদের জারানওয়ালা শহরে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় অন্তত ১২৮ জন জড়িত ছিল।
রয়টার্স বলছে, ১০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ওই হামলা চলে। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও হস্তক্ষেপ করেনি। তবে পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করে ‘পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে পদক্ষেপ’ নেওয়ার দাবি করেছে।
ঘরে ফিরছে এলাকার মানুষ
এলাকাবাসী বলছে, এই হামলার নেতৃত্বে মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের দেখা গেছে। মুসলিম জনতা লোহার রড, লাঠি, ছুরি ও ছোরা নিয়ে হামলায় অংশ নিয়েছে। ঘটনার পর হাজার হাজার খ্রিষ্টান ঘরবাড়ি ছেড়ে কাছের জেলায় আশ্রয় নিয়েছে।
খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতা আকমল ভাট্টি রয়টার্সকে বলেন, নির্বাসিত পরিবারগুলো এরই মধ্যে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে।
সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়, শুক্রবার জুমার নামাজের খুতবার সময় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়।
এদিকে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফোন করে খ্রিষ্টানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে বলেছে, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে পাকিস্তানে যে কাউকে যেকোনো সময় ধর্মীয় চরমপন্থী জনতার হামলার শিকার হতে পারে। সর্বশেষ এই হামলা তার একটি উদাহরণ।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, অনেক ক্ষেত্রে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এ ধরনের ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে হামলা চালানো হয়। কোনো বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগেই অভিযুক্তরা গণপিটুনির শিকার হয়। মামলা নিষ্পত্তিতে দেরির কারণে হাজার হাজার অভিযুক্ত অনেককে দীর্ঘ সময় ধরে কারাগারে থাকতে হয়। হামলাকারীদের ভয়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অভিযুক্তরাও বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে সরব হতে পারেন না।
কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে পাকিস্তানে দুই দিন আগে গির্জা ও বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার পর দুই খ্রিষ্টানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমানার মামলা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, ওই দুই খ্রিষ্টান কোরআনের ভেতরে লাল রঙে ‘অবমাননাকর কিছু মন্তব্য’ লিখেছিল বলে পুলিশ অভিযোগ এনেছে।
গত বুধবার পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলে এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা অন্তত একটি প্রধান ও চারটি ছোট গির্জা ভাঙচুর করেছে; বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন দেয়। এরপর থেকে আধা সামরিক বাহিনী খ্রিষ্টান বসতি পাহারা দিচ্ছে।
খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতাসহ সেখানকার বাসিন্দারা বলছেন, তাদের কবরস্থানেও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। খ্রিষ্টানদের ঘরের জিনিসপত্র রাস্তায় ফেলে দিয়ে আগুন ধরে দেওয়া হয়। বহন করা যায় এমন সম্পদ লুট করে।
পাকিস্তানের ব্লাসফেমি বা ধর্ম অবমাননার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এ পর্যন্ত কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া না হলেও প্রায়ই খ্রিষ্টানদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে তাদের লাঞ্ছিত করা হয়। আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়ায় এর আগে প্রাদেশিক গভর্নর এবং সংখ্যালঘু এক মন্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
ঘটনার বিষয়ে সদ্য গঠিত পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার উল হক বলেছেন, সংখ্যালঘুদের যেকোনো মূল্যে রক্ষা করা হবে। যারা সহিংসতার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি বলেন, ‘এখানে কোনো অনুগ্রহ হবে না, এখানে কোনো ভয় থাকবে না।’
পুলিশ বলছে, গত বুধবার শিল্প এলাকা ফয়সালাবাদের জারানওয়ালা শহরে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় অন্তত ১২৮ জন জড়িত ছিল।
রয়টার্স বলছে, ১০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ওই হামলা চলে। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও হস্তক্ষেপ করেনি। তবে পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করে ‘পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে পদক্ষেপ’ নেওয়ার দাবি করেছে।
ঘরে ফিরছে এলাকার মানুষ
এলাকাবাসী বলছে, এই হামলার নেতৃত্বে মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের দেখা গেছে। মুসলিম জনতা লোহার রড, লাঠি, ছুরি ও ছোরা নিয়ে হামলায় অংশ নিয়েছে। ঘটনার পর হাজার হাজার খ্রিষ্টান ঘরবাড়ি ছেড়ে কাছের জেলায় আশ্রয় নিয়েছে।
খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতা আকমল ভাট্টি রয়টার্সকে বলেন, নির্বাসিত পরিবারগুলো এরই মধ্যে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে।
সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়, শুক্রবার জুমার নামাজের খুতবার সময় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়।
এদিকে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফোন করে খ্রিষ্টানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে বলেছে, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে পাকিস্তানে যে কাউকে যেকোনো সময় ধর্মীয় চরমপন্থী জনতার হামলার শিকার হতে পারে। সর্বশেষ এই হামলা তার একটি উদাহরণ।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, অনেক ক্ষেত্রে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এ ধরনের ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে হামলা চালানো হয়। কোনো বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগেই অভিযুক্তরা গণপিটুনির শিকার হয়। মামলা নিষ্পত্তিতে দেরির কারণে হাজার হাজার অভিযুক্ত অনেককে দীর্ঘ সময় ধরে কারাগারে থাকতে হয়। হামলাকারীদের ভয়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অভিযুক্তরাও বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে সরব হতে পারেন না।
অঞ্জলী শীল জানিয়েছেন, তাঁর বাবা, ভাই, মামা—সবাই আসামে বাস করেন এবং তাঁরা সেখানকার ভূমিপুত্র। তাঁদের কাছে কোনো চিঠি না এসে একমাত্র তাঁর কাছেই কেন চিঠি এল, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
২ ঘণ্টা আগেভারতের অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী সোনা কমস্টারের প্রয়াত নির্বাহী সঞ্জয় কাপুর মারা যাওয়ার পর তাঁর মা রানী কাপুর অভিযোগ করেছেন, তাঁকে একঘরে আটকে রেখে জোর করে কাগজপত্রে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর পুত্রবধূ প্রিয়া সাচদেব কাপুরসহ কিছু ব্যক্তি সোনা গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য এসব করেছেন। তিনি
৩ ঘণ্টা আগেগত জানুয়ারি ২০২৪-এর নির্বাচনের পর থেকে তাইওয়ানের রাজনীতিতে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) উইলিয়াম লাই নির্বাচিত হলেও পার্লামেন্টের আইনসভায় (লেজিসলেটিভ ইউয়ান) বিরোধী কুওমিনতাং (কেএমটি) এবং তাদের মিত্ররা সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। ফলে সরকার ও আইনসভার
৩ ঘণ্টা আগেঅভিযোগে ওই তরুণী জানান, শারীরিক পরীক্ষার সময় তিনি জ্ঞান হারান এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে কী ঘটেছে, তা কিছুটা টের পান। পরে তিনি পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান, অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে তিন-চারজন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে