Ajker Patrika

পাকিস্তানে ভূমিধসে ২৪ জনের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২৪, ১১: ৪৩
Thumbnail image

পাকিস্তানের উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বর্ষণ ও ভূমিধসের কারণে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১২ জনই এক পরিবারের সদস্য। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের আপার দির জেলার পাত্রাকের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাড়ি ধসের ওই ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই বাড়িতে তিন নারী ও এক শিশুসহ পরিবারের ১২ জন ঘুমিয়ে ছিল। 

এদিকে চলতি বছর বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটিতে অন্তত ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারী দলের একজন কর্মকর্তা। পাকিস্তানের রেসকিউ সার্ভিস ১১২২-এর মুখপাত্র বিলাল ফাইজি বলেছেন, ভূমিধসে বাড়িটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এর ভেতরে থাকা ১২ জনের সবাই মারা গেছে। 

পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে দেশের বেশির ভাগ অংশে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। শুক্রবার দিনজুড়ে বজ্রপাতসহ ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সিন্ধু প্রদেশের দুর্যোগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশের দক্ষিণ উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে ভারী বৃষ্টিপাতে বন্যার আশঙ্কার কথাও জানানো হয়েছে। 

গত জুলাই মাস থেকে বর্ষা মৌসুম শুরুর পর থেকে পাকিস্তানে এ পর্যন্ত তিন শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে উত্তর-পশ্চিম খাইবার পাখতুনখাওয়া ও পাঞ্জাব প্রদেশে। শুক্রবার পাঞ্জাবের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বজ্রপাত, বিদ্যুতায়িত এবং মাটির তৈরি বাড়ি ধসে মৃত্যুর এসব ঘটনা ঘটেছে। জুলাইয়ের শেষের দিকে খাইবার পাখতুনখাওয়ায় একটি পরিবারের ১১ সদস্য নিহত হয়েছিলেন। ঘুমের মধ্যেই তাঁদের বাড়ির নিচতলা বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছিল। 

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ এশিয়ার বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ হয়ে থাকে জুন থেকে সেপ্টেম্বর এই চার মাসের মধ্যে। প্রায় ২০০ কোটি জনসংখ্যার এই অঞ্চলের লাখ লাখ কৃষকের জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে এই বৃষ্টিপাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে ভারী বৃষ্টিপাত অনেক সময় ভূমিধস ও বন্যা পরিস্থিতিরও সৃষ্টি করে। ২০২২ সালে ভারী বৃষ্টিপাতে পাকিস্তানের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ প্লাবিত হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত