Ajker Patrika

ভারত গেল চাঁদে আর এখানে নর্দমায় পড়ে মরছে শিশু, পাকিস্তানি এমপির আক্ষেপ

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৬ মে ২০২৪, ১৭: ৪৯
Thumbnail image

পাকিস্তানের আইনপ্রণেতা সৈয়দ মুস্তাফা কামাল ভারতের চাঁদে অবতরণের মিশনের কথা উল্লেখ করে ভারতের অর্জন এবং করাচির অনিশ্চিত পরিস্থিতির তুলনা করেছেন। মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তানের (এমকিউএম-পি) এই নেতা বলেছেন, ভারত যখন চাঁদে অবতরণ করছে, করাচিতে তখন খোলা নর্দমায় পড়ে শিশুদের মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

গতকাল বুধবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে সৈয়দ মুস্তাফা কামাল বলেন, ‘বর্তমানে অবস্থাটা হচ্ছে—বিশ্ব যখন চাঁদে যাচ্ছে তখন করাচিতে খোলা নর্দমায় পড়ে মারা যাচ্ছে শিশু। একইভাবে, ভারতের চাঁদে অবতরণের খবর আসার দুই সেকেন্ডে পরেই আরেকটি খবর এল। দেখা গেল, করাচিতে খোলা নর্দমায় পড়ে এক শিশু মারা গেছে।’

করাচিতে সুপেয় পানির অভাবকেও তিনি তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন। এমকিউএম-পি নেতা একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে আরও বলেন, করাচিতে ৭০ লাখ এবং গোটা পাকিস্তানে ২ কোটি ৬০ লাখের বেশি শিশু রয়েছে, যারা স্কুলে যেতে পারছে না।

তিনি বলেন, ‘করাচি হলো পাকিস্তানের রাজস্ব তৈরির ইঞ্জিন। পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকেই দুটো সমুদ্রবন্দর চালু আছে, দুটোই করাচিতে। আমরা (করাচি) ১৫ বছর ধরে পুরো পাকিস্তান, মধ্য এশিয়া থেকে আফগানিস্তানের প্রবেশদ্বার। কিন্তু করাচিতে একটুখানিও সুপেয় পানি দেওয়া হয়নি। এমনকি যে পানি এসেছে সেটাও পানির ট্যাংকের মাফিয়ারা মজুত করে করাচির মানুষের কাছেই বিক্রি করেছে।’

সৈয়দ মুস্তাফা কামাল আরও বলেন, ‘আমাদের মোট ৪৮ হাজার স্কুল আছে। কিন্তু একটি প্রতিবেদন বলছে যে এর মধ্যে ১১ হাজারই স্কুলেই কেউ নেই। সিন্ধুতে ৭০ লাখ শিশু স্কুলে যায় না এবং দেশে মোট ২ কোটি ৬২ লাখ শিশু স্কুলে যায় না। আমরা যদি শুধু এই দিকে মনোযোগ দিই, তাহলে দেশের নেতাদের ঠিকমতো ঘুমও হওয়া উচিত নয়।’

গত বছরের আগস্টে ভারতের চন্দ্রযান-৩ ল্যান্ডার নিরাপদে চন্দ্রপৃষ্ঠে পৌঁছায়। তা ছাড়া, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে।

অন্য দিকে, অর্থনৈতিক মন্দা, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝায় জর্জরিত পাকিস্তান। এক্সটেনডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটির (ইএফএফ) অধীনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে নতুন করে ঋণ চাইছে দেশটি।

বৈশ্বিক ঋণদাতার একটি দল বর্তমানে এই বিষয়ে আলোচনার জন্য পাকিস্তানে রয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ জানিয়েছে, ঋণদাতারা পাকিস্তানের জ্বালানি খাতের কার্যকারিতা পুনরুদ্ধার করতে ইসলামাবাদের প্রতি ব্যয় সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে। সে সঙ্গে, দেশটির কর ব্যবস্থাকেও ঢেলে সাজানোর আহ্বান জানিয়েছে তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত