ইসরায়েলি বর্বরতা এত তীব্র যে, মনে হয় গাজার এমন কোনো পরিবার নেই, যারা চলমান ইসরায়েলি হামলায় কোনো স্বজন হারায়নি। এখন গাজাবাসীর কাছে ফোনকল মানেই কোনো স্বজনের মৃত্যুসংবাদ। প্রতিটি বার্তাই বহন করে কোনো কোনো না দুঃসংবাদ। হয়তো কোনো বন্ধুর স্বজন মারা গেছে, কারও বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বা কেউ আহত হয়েছে।
গাজাবাসীর কাছে এখন নিজের ঘরও আর নিরাপদ নয়। তবে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে অন্য কোনো আশ্রয় না থাকায় ইসরায়েলি আক্রমণে মারা যাওয়ার আশঙ্কা নিয়েই নিজ বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে তাদের। গাজাবাসীর এখন প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জ হলো—ইসরায়েলি আক্রমণ বাঁচিয়ে নিজেকে, নিজের প্রিয়জনদের নিরাপদ রাখা। যাতে হারানো প্রিয়জনের তালিকা আর দীর্ঘ না হয়।
কিন্তু তালিকা এরই মধ্যে অনেক দীর্ঘ হয়ে গেছে। বিগত ১৮ দিনে ইসরায়েলি হামলায় ৫ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ১৫ হাজারের বেশি। নিহতদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। পরিস্থিতি এতটাই শোকাবহ যে, গাজাবাসী আর প্রাণ খুলে কান্নাও করতে পারছে না। স্বজনদের প্রাণহানি এত বেশি যে, একজনের শোক শেষ হতে না হতেই আরেকজনের মরদেহ সামনে চলে আসছে।
কিন্তু এই অবস্থায় বিশ্বনেতারা যুদ্ধ বন্ধ করার চাইতে গাজায় মানবিক সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন বেশি। আর তাদের এমন হঠকারী মনোভাবের কারণে গাজায় না যুদ্ধ বন্ধ হচ্ছে আর না ত্রাণ আসছে। অনেকে আক্ষেপ করে বলেছেন, প্রত্যেক গাজাবাসীর জন্য যে পরিমাণ ত্রাণ এসেছে তার চেয়ে গাজাবাসীর রক্ত আর চোখের পানিই বেশি ঝরেছে।
আজ যুদ্ধের ১৮তম দিন। কিন্তু বিগত তিন দিন ধরে আমি আমার নোটে লেখা দিনলিপি আর শেয়ার করতে পারছি না। কারণ বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটের অভাব। তবে জীবন তো আর থেমে থাকেনি। প্রতিনিয়ত বদলেছে। বিদ্যুৎ, পানি, খাদ্যসংকটের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে ইসরায়েলের তীব্র বিমান হামলা। আর সেই সব হামলায় গাজাবাসীর প্রাণহানির আর্তনাদ। গাজা যেন আটকা পড়েছে মৃত্যু-ধ্বংসের এক ঘূর্ণমান চক্রের ভেতরে এবং বিশ্ব যেন এই মৃত্যু-ধ্বংসের চক্র দেখে দেখে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। কোনো কিছুতেই আর কোনো কিছু হয় না তাদের।
আল-জাজিরায় প্রকাশিত গাজার সাংবাদিক মারাম হুমাইদের লেখা থেকে সংক্ষেপে অনূদিত
ইসরায়েলি বর্বরতা এত তীব্র যে, মনে হয় গাজার এমন কোনো পরিবার নেই, যারা চলমান ইসরায়েলি হামলায় কোনো স্বজন হারায়নি। এখন গাজাবাসীর কাছে ফোনকল মানেই কোনো স্বজনের মৃত্যুসংবাদ। প্রতিটি বার্তাই বহন করে কোনো কোনো না দুঃসংবাদ। হয়তো কোনো বন্ধুর স্বজন মারা গেছে, কারও বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বা কেউ আহত হয়েছে।
গাজাবাসীর কাছে এখন নিজের ঘরও আর নিরাপদ নয়। তবে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে অন্য কোনো আশ্রয় না থাকায় ইসরায়েলি আক্রমণে মারা যাওয়ার আশঙ্কা নিয়েই নিজ বাড়িতেই থাকতে হচ্ছে তাদের। গাজাবাসীর এখন প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জ হলো—ইসরায়েলি আক্রমণ বাঁচিয়ে নিজেকে, নিজের প্রিয়জনদের নিরাপদ রাখা। যাতে হারানো প্রিয়জনের তালিকা আর দীর্ঘ না হয়।
কিন্তু তালিকা এরই মধ্যে অনেক দীর্ঘ হয়ে গেছে। বিগত ১৮ দিনে ইসরায়েলি হামলায় ৫ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ১৫ হাজারের বেশি। নিহতদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। পরিস্থিতি এতটাই শোকাবহ যে, গাজাবাসী আর প্রাণ খুলে কান্নাও করতে পারছে না। স্বজনদের প্রাণহানি এত বেশি যে, একজনের শোক শেষ হতে না হতেই আরেকজনের মরদেহ সামনে চলে আসছে।
কিন্তু এই অবস্থায় বিশ্বনেতারা যুদ্ধ বন্ধ করার চাইতে গাজায় মানবিক সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন বেশি। আর তাদের এমন হঠকারী মনোভাবের কারণে গাজায় না যুদ্ধ বন্ধ হচ্ছে আর না ত্রাণ আসছে। অনেকে আক্ষেপ করে বলেছেন, প্রত্যেক গাজাবাসীর জন্য যে পরিমাণ ত্রাণ এসেছে তার চেয়ে গাজাবাসীর রক্ত আর চোখের পানিই বেশি ঝরেছে।
আজ যুদ্ধের ১৮তম দিন। কিন্তু বিগত তিন দিন ধরে আমি আমার নোটে লেখা দিনলিপি আর শেয়ার করতে পারছি না। কারণ বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটের অভাব। তবে জীবন তো আর থেমে থাকেনি। প্রতিনিয়ত বদলেছে। বিদ্যুৎ, পানি, খাদ্যসংকটের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে ইসরায়েলের তীব্র বিমান হামলা। আর সেই সব হামলায় গাজাবাসীর প্রাণহানির আর্তনাদ। গাজা যেন আটকা পড়েছে মৃত্যু-ধ্বংসের এক ঘূর্ণমান চক্রের ভেতরে এবং বিশ্ব যেন এই মৃত্যু-ধ্বংসের চক্র দেখে দেখে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। কোনো কিছুতেই আর কোনো কিছু হয় না তাদের।
আল-জাজিরায় প্রকাশিত গাজার সাংবাদিক মারাম হুমাইদের লেখা থেকে সংক্ষেপে অনূদিত
রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য ইসরায়েলের পশ্চিমতীর দখলের মডেল নিয়ে আলোচনা করেছে বলে জানা গেছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী—রাশিয়া ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চলগুলোর সামরিক ও অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নেবে, ঠিক যেভাবে ১৯৬৭ সালে জর্ডানের কাছ থেকে পশ্চিমতীর দখলের পর সেখানে শাসন কায়েম করেছে ইসরায়েল।
৪ ঘণ্টা আগেট্রাম্প জানান, তিনি পুতিনের সঙ্গে ভালো আলোচনা করেছেন। তবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি বাড়ি ফিরে দেখি, কোনো রকেট গিয়ে একটি নার্সিং হোম বা অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে আঘাত করেছে। আর রাস্তায় লাশ পড়ে আছে।’
৫ ঘণ্টা আগেসৌরশক্তিচালিত বিমানে মানব অভিযাত্রীদের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন সুইজারল্যান্ডের অভিযাত্রী রাফায়েল ডমজান। দক্ষিণ-পশ্চিম সুইজারল্যান্ডের সিওন শহর থেকে উড্ডয়ন করে তিনি আল্পস পর্বতমালা অতিক্রম করেন এবং ৯ হাজার ৫২১ মিটার (৩১,২৩৪ ফুট) উচ্চতায় পৌঁছান।
৬ ঘণ্টা আগেইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টেলিফোন আলাপের পর দক্ষিণ ফ্রান্সে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন মাখোঁ। এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা।
৭ ঘণ্টা আগে