Ajker Patrika

যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াই ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংসে সক্ষম ইসরায়েল: নেতানিয়াহু

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২০ জুন ২০২৫, ১৭: ১৮
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছাড়াই ইরানের ফোরদোসহ অন্য সব পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংসের সক্ষমতা আছে তাঁর দেশের। তিনি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামলায় অংশ নেন বা না নেন, তার তোয়াক্কা না করেই ইসরায়েলের ক্ষমতা রয়েছে ইরানের সব পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করার।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, ইরানে নেতৃত্ব পরিবর্তন বা সরকারের পতন ইসরায়েলের হামলার উদ্দেশ্য নয়। তবে সেটি একটি সম্ভাব্য পরিণতি হতে পারে; অর্থাৎ, ইরানে সরকার পরিবর্তন হলে মন্দ হয় না।

ইসরায়েলের কান পাবলিক টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেন, ‘এই সরকারের পরিবর্তন বা পতনের বিষয়টি আগে সবকিছু ছাড়িয়ে ইরানি জনগণের ব্যাপার। এর কোনো বিকল্প নেই। আর তাই আমি এটি আমাদের লক্ষ্য হিসেবে উপস্থাপন করিনি। এটি একটি ফল হতে পারে, কিন্তু এটা আমাদের ঘোষিত বা আনুষ্ঠানিক কোনো লক্ষ্য নয়।’

নেতানিয়াহু বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামলায় অংশ নেন বা না নেন, তার তোয়াক্কা না করেই ইসরায়েলের ক্ষমতা রয়েছে ইরানের সব পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করার। নেতানিয়াহু এই কথা এমন এক সময়ে বললেন, যখন হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্প আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তিনি এতে যুক্ত হবেন কি না।

সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ‘ফোরদো ফুয়েল এনরিচমেন্ট প্ল্যান্ট’ ধ্বংস করতে হলে ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা, বিশেষত বাংকার-বাস্টিং বোমার সাহায্য লাগতে পারে। কারণ, এই কেন্দ্র কৌম শহরের কাছে একটি পাহাড়ের নিচে গভীরে অবস্থিত।

নেতানিয়াহুর কাছে জানতে চাওয়া হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়াই ফোরদো ধ্বংস করা সম্ভব কি না। জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমাদের টার্গেট, তাদের সব পারমাণবিক স্থাপনা—এবং সেগুলো ধ্বংস করার ক্ষমতা আমাদের আছে। তবে প্রেসিডেন্ট যুক্ত হবেন কি না, সেটি তার সিদ্ধান্ত।’

তিনি বলেন, ‘তিনি (ডোনাল্ড ট্রাম্প) যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভালো মনে করবেন, তা-ই করবেন। আর আমি ইসরায়েলের জন্য যা ভালো মনে করব, সেটাই করব। আমি এটুকু বলতে পারি, এখন পর্যন্ত সবাই নিজ নিজ কাজ করে যাচ্ছে।’

অন্যদিকে গত বুধবার ট্রাম্প বলেন, শুধু যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষেই ফোরদো ধ্বংস বা নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব। তবে তিনি যোগ করেন, ‘তাতে এটা বোঝায় না যে আমি সেটা করব—একেবারেই না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত