Ajker Patrika

আক্ষেপ নিয়ে তেহরান ছাড়ছেন বাসিন্দারা, কারও আবার ছাড়ার উপায় নেই

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৭ জুন ২০২৫, ১৮: ১৩
ইরানের রাজধানী তেহরান ছেড়ে যাওয়ার রাস্তায় গাড়ির দীর্ঘ সারি। ছবি: বিবিসি
ইরানের রাজধানী তেহরান ছেড়ে যাওয়ার রাস্তায় গাড়ির দীর্ঘ সারি। ছবি: বিবিসি

রাজধানী তেহরান ত্যাগ করার জন্য ইরানিদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই এই শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে ভয়, উদ্বেগ ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। শহর ছাড়ার প্রধান রাস্তাগুলোতে গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।

আজ মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এক বাসিন্দা বলেন, ‘আজ তেহরান ছেড়ে যাওয়ার সময় শহরটা বেশ ফাঁকা লাগছিল। তবুও জানি অনেকে এখনো শহরের ভেতরে রয়ে গেছেন, যাঁদের কোথাও যাওয়ার উপায় নেই।’

বিবিসি জানিয়েছে, তেহরান ছাড়ার এই প্রবণতা শুরু হয়েছে ট্রাম্পের বার্তার পরপরই। কেউ কেউ গতকাল সোমবারই শহর ছেড়েছেন। আবার অনেকে আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে খবর দেখে বেরিয়ে পড়েছেন। তবে সবাই যে শহর ছাড়তে পারছেন, এমন নয়।

একজন বললেন, ‘আমার দাদা ৯০ বছর বয়সী এবং কিডনি ফেইলিওরের রোগী। দাদি সম্প্রতি হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। তাঁদের নিয়ে দীর্ঘপথে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই আমরা সবাই থেকে গেছি, যেন প্রয়োজনে তাঁদের পাশে থাকতে পারি।’

শহরের বাইরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গেলে ওষুধ, হাসপাতাল বা ক্লিনিকের নাগাল পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে অনেকের পক্ষে বাস্তবিক অর্থেই শহর ছাড়ার সুযোগ নেই।

আরেক বাসিন্দা বললেন, ‘আমার বেশির ভাগ প্রতিবেশী তেহরান ছেড়ে চলে গেছে। কিন্তু আমি রয়ে গেছি। যাব কোথায়? আমার পুরো জীবন তেহরানে গড়ে উঠেছে।’

তবে সংকটকালে তেহরান ছেড়ে চলে যাওয়া মানুষের জন্য গ্রামাঞ্চলের মানুষেরা তাঁদের বাড়ি খুলে দিয়েছেন। কেউ কেউ আবার যাঁদের গাড়ি নেই, নিজ গাড়িতে করে তাঁদের দূরদুরান্তে পৌঁছে দিচ্ছেন। তবে এসব প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য।

এই পরিস্থিতিতে কেউ কেউ ইরানি সরকারের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এমন একজন বললেন, ‘ইসলামি প্রজাতন্ত্র যদি মানুষের জীবনের প্রতি সামান্যও গুরুত্ব দিত, তাহলে এতসব সতর্কবার্তার পর অন্তত রাজধানী শহরের জন্য কোনো পরিকল্পনা বা সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসত। কিন্তু এখন দরিদ্র মানুষজনকে হাজারো কষ্ট করে শহর ছাড়ার চেষ্টা করতে হচ্ছে।’

এদিকে সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত রাজধানী তেহরান ছাড়ার কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তাদের মতে, এটি ‘শত্রুর মানসিক যুদ্ধ’ বা মনস্তাত্ত্বিক চাপের অংশ। সরকারের পক্ষে থাকা কিছু অনলাইন ব্যবহারকারীও এই বার্তার পেছনে ‘ভুয়া আতঙ্ক’ ছড়ানোর কথা বলছেন। তাঁরা বলছেন—তেহরান নিরাপদ। যদিও এই শহরে এখন প্রতিদিনই ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেয়াদের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় চালুর পরিকল্পনা সরকারের

নারীর সঙ্গে এনসিপি নেতা তুষারের কথোপকথন ফাঁস নিয়ে যা বললেন সহযোদ্ধা ইমি

ঐকমত্য কমিশনের মঙ্গলবারের সংলাপ ‘বয়কট’ করল জামায়াত

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করা সম্ভব নয়, স্বীকার করল ইসরায়েল

বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধে আইন পরিবর্তন করায় জাতিসংঘের উদ্বেগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত