Ajker Patrika

তুরস্কের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে উপযুক্ত ‘ইহুদিবাদী’ জবাব দিতে চান ইসরায়েলি মন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৭ মে ২০২৪, ১৪: ১০
Thumbnail image

ইসরায়েলের সঙ্গে সকল ধরনের বাণিজ্য বন্ধে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সিদ্ধান্তের প্রতিশোধ নিয়েছে ইসরায়েল। তুরস্কের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাতিল এবং তুর্কিপণ্যের ওপর শতভাগ আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়ে ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ বলেছেন, তুরস্কের উপর আমদানি শুল্ক বাড়ানো এরদোগানের জন্য একটি উপযুক্ত ইহুদিবাদী জবাব।

গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি এ ঘোষণা দেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম দ্য জেরুসালেম পোস্ট।

মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনাটি পেশ করেছেন স্মোট্রিচ। তার এই পরিকল্পনায় ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত ইসরায়েল-তুরস্ক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাতিলের কথা রয়েছে। ২০০০ সালে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিটি সম্প্রসারণ করে তুরস্ক থেকে আমদানি করা সকল পণ্যের জন্য শুল্ক এবং কর বাতিল করা হয়েছিল।

২০০৭ সাল নাগাদ ডিম, শাকসবজি, শুকনো টমেটো, কফি, বিভিন্ন রস (কমলা, লেবু, আপেল), বিয়ার, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, শুকনো ডুমুর, এপ্রিকটসহ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কৃষিপণ্যকে আনা হয় এই চুক্তির আওতায়। শুল্ক কমিয়ে আনা হয় শূন্য শতাংশে।

দুই দেশের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাতিলের ফলে পূর্ববর্তী শুল্ক পুনরায় আরোপ করা হবে এবং তার সঙ্গে যোগ হবে নতুন ১০০ শতাংশ শুল্ক।

এরদোয়ান যতদিন তুরস্কের ক্ষমতায় থাকবেন ততদিন এই শুল্ক বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্মোট্রিচ। ইসরায়েল তার আমদানি বাণিজ্যে বৈচিত্র্য বাড়াবে বলে জানান তিনি। তুর্কি অর্থনীতির উপর ইসরায়েলের নির্ভরতা কমাতে বিকল্প আমদানি উৎস তৈরি করা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন স্মোট্রিচ।

তিনি বলেন, ‘তুরস্কের উপর আমদানি শুল্ক বাড়ানো এরদোগানের জন্য একটি উপযুক্ত ইহুদিবাদী জবাব। ইসরায়েলে আমদানি বন্ধ এবং ইসরায়েলকে অর্থনৈতিক বয়কটের যে ঘোষণা তিনি দিয়েছেন তা তুরস্কের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘন। অনেক বছর ধরেই ইসরায়েল রাষ্ট্র এরদোয়ানের ইহুদিবিদ্বেষের সঙ্গে লড়ছে। তবে আমার মেয়াদে নয়।’

স্মোট্রিচ আরও বলেন, ‘এরদোয়ানের মেয়াদ শেষে তুরস্কের জনগণ যদি এমন একজন নেতা নির্বাচন করেন যিনি বিচক্ষণ এবং ইসরায়েল বিদ্বেষী নন, তবে তুরস্কের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে ফিরে আসা সম্ভব হবে।’

এ মাসের শুরুতে তুরস্ক ইসরায়েল থেকে সব রপ্তানি এবং আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের কথা উল্লেখ করে এ ঘোষণা দেয়। পাশাপাশি ইসরায়েল সরকার গাজায় নিরবচ্ছিন্ন এবং পর্যাপ্ত মানবিক সাহায্য প্রবাহের অনুমতি না দেয়া পর্যন্ত তুরস্ক এই সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে বলে সে সময় জানান এরদোয়ান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত