Ajker Patrika

ইসরায়েলের হয়ে যুদ্ধে গিয়ে ব্রিটিশ যুবক নিহত

আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯: ৪০
ইসরায়েলের হয়ে যুদ্ধে গিয়ে ব্রিটিশ যুবক নিহত

ইসরায়েলের পক্ষে গাজায় যুদ্ধে গিয়ে নিহত হয়েছেন এক ব্রিটিশ যুবক। তাঁর নাম বিনিয়ামিন নিদহাম (১৯)। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিদহাম ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফের হয়ে গাজায় অভিযানের সময় নিহত হয়েছেন। ১৯ বছর বয়সী নিদহামের ইসরায়েল ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল। তিনি ১০ বছর আগে পরিবারের সঙ্গে ইসরায়েল চলে যান। ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলার পর নিদহাম দ্বিতীয় ব্রিটিশ নাগরিক, যিনি হামাসের হাতে নিহত হয়েছেন।

টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, নিদহাম কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পসের ৬০১তম ব্যাটালিয়নের সঙ্গে গাজায় অভিযানে গিয়েছিলেন। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেছেন, গাজায় দুই দিনের জন্য অভিযানে গিয়েছিলেন নিদহাম। সেই সময় অ্যাকশনে তাঁর মৃত্যু হয়। শুক্রবারে তিন গাজায় প্রবেশ করেন এবং রোববারে তাঁর মৃত্যু হয়।

সোমবার আইডিএফ জানিয়েছে, গাজায় রোববার যুদ্ধ অভিযানে তিন সেনা নিহত হয়েছেন। তাঁদের একজন নিদহাম। বাকি দুই সেনার নাম নেরিয়া শায়ের এবং বেন জুসম্যান। ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের হাতে এ পর্যন্ত ৪০৬ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে গাজায় স্থল অভিযানের সময়।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর গাজার সীমান্তসংলগ্ন ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের নজিরবিহীন হামলায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ সময় হামাস ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে বন্দী করে গাজায় নিয়ে যায়। এর মধ্যে যুদ্ধবিরতির সময় ১১০ জনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ল্যুভর জাদুঘর থেকে চুরি হওয়া গয়নার মূল্য ১০২ মিলিয়ন ডলার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ০৭
ফ্রান্সের প্যারিসে বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে চুরি হওয়া গয়না। ছবি: এএফপি
ফ্রান্সের প্যারিসে বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে চুরি হওয়া গয়না। ছবি: এএফপি

ফ্রান্সের প্যারিসে বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে চুরি হওয়া গয়নাগুলোর মূল্য ১০২ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ হাজার ৪৬০ কোটি ২৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা), জানিয়েছেন দেশটির একজন প্রসিকিউটর। মিউজিয়ামের কিউরেটরের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

আরটিএল রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রসিকিউটর লরা বেকো জানান, চুরি যাওয়া অঙ্কটি বিশাল। তবে শুধু অর্থমূল্যই নয়, এসব গয়না ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে অমূল্য।

প্রসিকিউটর বেকো বলেন, এসব গয়নার মূল্য ঘোষণা করা হলো এই ভেবে যে মূল্য জানলে চোরেরা আশা করছি গয়নাগুলো ভাঙা বা নষ্ট করার আগে দ্বিতীয়বার ভাববে।

তিনি আরও বলেন, এসব গয়না গলানোর বা ভাঙার চিন্তা করাটা খুবই খারাপ হবে। তবে গয়না নিজেদের কাছে রাখা তাদের জন্য সহজ হবে না।

চুরি হওয়া গয়নাগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৮১০ সালে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের (প্রথম নেপোলিয়ন) দ্বিতীয় স্ত্রী মারি-লুইজকে বিয়ে করার সময় উপহার দেওয়া একটি দুর্লভ পান্না হার। এই হারে ৩২টি পান্না ও ১ হাজার ১৩৮টি হীরা ছিল। একই সেটের এক জোড়া কানের দুলও চুরি হয়েছে।

আরেকটি চুরি হওয়া গয়না হলো সম্রাজ্ঞী ইউজেনির (তৃতীয় নেপোলিয়নের স্ত্রী) একটি টায়রা। এতে ২১২টি মুক্তা ও প্রায় ৩ হাজার হীরা বসানো ছিল। এ ছাড়া ২ হাজার ৪০০ হীরায় সাজানো একটি বেল্ট এবং ১৮৫৫ সালের একটি সাদা হীরার ব্রোচও চুরি হয়েছে।

এ ছাড়া ফ্রান্সের শেষ রানি মেরি-অমেলির একটি নীলকান্তমণির টায়রাও চুরি হয়েছে। এই টায়রায় ছিল ২৪টি নীলকান্তমণি ও ১ হাজার ৮৩টি হীরা। টায়রাটির সেট হিসেবে থাকা একটি হার এবং এক জোড়া দুল থেকে একটি দুলও নিয়ে গেছে চোরেরা।

মাত্র ৭ মিনিটের মধ্যে ‘চেরি পিকার’ (ট্রাকের ওপর বসানো একধরনের হাইড্রোলিক মই) ও ‘অ্যাঙ্গেল গ্রাইন্ডার’ ব্যবহার করে জাদুঘরের জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে এই দুধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়। চোরেরা ল্যুভরের বিখ্যাত ‘অ্যাপোলো গ্যালারি’-তে ঢুকে পড়েছিল বলে জানান ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লরঁ নিউনে। তিনি বলেন, ‘এটি নিঃসন্দেহ যে চোরেরা আগেই জাদুঘরটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে।’

চুরির ঘটনার পর সম্রাজ্ঞী ইউজেনির একটি রাজমুকুট ল্যুভর মিউজিয়ামের বাইরে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। মোটরসাইকেলে চড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এটি ফেলে রেখে যায় চোরেরা। ৫৬টি পান্না ও ১ হাজার ৩৫৪টি হীরায় অলংকৃত এই রাজমুকুট এখন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা জানান, যত দ্রুত সম্ভব গয়নাগুলো উদ্ধার না করা গেলে চিরতরে হারিয়ে যেতে পারে। এগুলোতে থাকা মূল্যবান ধাতু ও রত্ন ভেঙে দেশের বাইরে পাচার করার আশঙ্কা রয়েছে।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে প্যারিসের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রিতে সোনার রেপ্লিকা চুরি হয় এবং লিমোজের এক জাদুঘর থেকে ৬৫ লাখ ইউরো মূল্যের পোর্সেলিন হারিয়ে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উগান্ডায় বাস-লরি-প্রাইভেটকার চতুর্মুখী সংঘর্ষ, নিহত ৪৬

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ৪০
উগান্ডায় এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত
উগান্ডায় এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

উগান্ডার এক প্রধান মহাসড়কে একাধিক যানবাহনের সংঘর্ষে অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। প্রথমে পুলিশ মৃতের সংখ্যা ৬৩ জানিয়েছিল। পরে তারা সেই সংখ্যা কমিয়ে ৪৬ করে জানায় যে, আগের হিসেবে কয়েকজন অচেতন ব্যক্তিকেও মৃত হিসেবে ধরা হয়েছিল; তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, উগান্ডা পুলিশ জানিয়েছে, রাজধানী কাম্পালা-গুলু মহাসড়কে স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১৫ মিনিটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুটি যাত্রীবাহী বাস বিপরীত দিক থেকে আসার সময় দুটি যান—একটি লরি ও একটি প্রাইভেটকার—ওভারটেক করতে গিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

তাদের মধ্যে একটি বাস সংঘর্ষ এড়ানোর চেষ্টা করলেও উল্টো সামনাসামনি সংঘর্ষ হয়, যা পরে একের পর এক গাড়ি দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এতে অন্যান্য যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। পুলিশ জানায়, নিহতদের পাশাপাশি দুর্ঘটনায় আরও বহু যাত্রী আহত হয়েছেন। ঘটনাটি তদন্তে একটি টিম গঠন করা হয়েছে।

আহতদের পশ্চিমাঞ্চলীয় কিরিয়ানডোঙ্গো শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে পুলিশ জানায়, তারা স্বাস্থ্য ও জরুরি সেবাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করে সঠিক তথ্য যাচাই করছে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য সরবরাহ করবে।

আঞ্চলিক পুলিশ মুখপাত্র জুলিয়াস হাকিজা জানান, দুর্ঘটনার সূত্রপাত ঘটে একটি বাসের ওভারটেক করার চেষ্টা থেকে। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘ওই বাসটি বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি বাসের সঙ্গে সরাসরি মুখোমুখি ধাক্কা খায়।’ তিনি আরও জানান, মোট চারটি গাড়ি এ দুর্ঘটনায় পতিত হয়।

কাম্পালা (দক্ষিণ) থেকে গুলু (উত্তর) পর্যন্ত মহাসড়কটি উগান্ডার সবচেয়ে ব্যস্ত সড়কগুলোর একটি। দুর্ঘটনার পর পুলিশ চালকদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছে, ‘অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়ে ওভারটেক করা বা বেপরোয়া চালানো থেকে বিরত থাকুন।’ তাদের ভাষায়, ‘এ ধরনের বিপজ্জনক ওভারটেক করাই দেশটির সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলোর একটি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুসলিম অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ নিষিদ্ধ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
যুক্তরাজ্যের যেকোনো স্থানের তুলনায় টাওয়ার হ্যামলেটসে মুসলিম অধিবাসী বেশি। ছবি: বিবিসি।
যুক্তরাজ্যের যেকোনো স্থানের তুলনায় টাওয়ার হ্যামলেটসে মুসলিম অধিবাসী বেশি। ছবি: বিবিসি।

পূর্ব লন্ডনের মুসলিম অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসে কট্টরপন্ত্রী ইউকে ইন্ডিপেনডেন্স পার্টি (ইউকিপ)-এর বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ মেট পুলিশ। এটি শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। গুরুতর বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় এ সমাবেশ নিষিদ্ধ করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, পূর্ব লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশন থেকে মিছিল হিসেবে প্রথমে ঘোষিত এই কর্মসূচিটি পরে একই এলাকায় একটি সমাবেশে রূপ দেওয়া হয়। ‘ম্যাস ডিপোর্টেশনস ট্যুর’ নামে এই বিক্ষোভটি যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হওয়া একাধিক কর্মসূচির অংশ ছিল। আয়োজকেরা ‘ইসলামপন্থীদের কাছ থেকে হোয়াইটচ্যাপেল পুনরুদ্ধার করতে’ এই বিক্ষোভ কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছেন বলে দাবি করেন।

এই বিক্ষোভের জবাবে স্ট্যান্ড আপ টু রেসিজম এবং স্থানীয় কয়েকটি সংগঠনের উদ্যোগে একটি পাল্টা বিক্ষোভও আয়োজনের কথা ছিল।

গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ জানায়, তারা পাবলিক অর্ডার অ্যাক্ট অনুযায়ী এমন শর্ত আরোপ করেছে, যার ফলে ইউকিপ হোয়াইটচ্যাপেল বা টাওয়ার হ্যামলেটস বরোর অন্য কোথাও বিক্ষোভ আয়োজন করতে পারবে না।

এদিকে ইউকিপের দাবি, পুলিশ ‘ইসলামপন্থীদের চাপে নতিস্বীকার করেছে’। হোয়াইটচ্যাপেলে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে।

ইউকিপ সামাজিক যোগাযোগ এক্স-এ জানায়, পুলিশ ‘ইসলামপন্থীদের চাপে নতিস্বীকার করেছে এবং এই শনিবার হোয়াইটচ্যাপেলে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে।’

কমান্ডার নিক জন বলেন, ‘টাওয়ার হ্যামলেটসে যুক্তরাজ্যের যেকোনো স্থানের তুলনায় মুসলিম অধিবাসীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এখানে এ ধরনের কর্মসূচি স্থানীয়ভাবে বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে বিক্ষোভ হলে গুরুতর বিশৃঙ্খলার শঙ্কা রয়েছে।

তিনি আরও জানান, ইউকিপ চাইলে অন্য কোথাও তাদের প্রতিবাদ আয়োজন করতে পারে, তবে কেউ যদি টাওয়ার হ্যামলেটসে একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে আটকের মুখোমুখি হতে পারে।

ইউকিপ বর্তমানে লন্ডনের অন্য এলাকায় বিক্ষোভ করার পরিকল্পনা করছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়।

ইউকিপের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ব্রিটিশ পুলিশ এখন দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার চাপে নতিস্বীকার করছে, যা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। “মেট পুলিশের এখন ঠিক করতে হবে, পুলিশ কৌশলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন পুলিশ কমান্ডাররা, নাকি তথাকথিত ইসলামপন্থী ‘কমিউনিটি লিডার’রা।”

ইউকিপ আরও জানায়, ‘পুলিশের এই ঘোষণা আমাদের গণতন্ত্রের জন্য আরও এক ধাক্কা, তবে এটি আমাদের দেশ পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা থামাতে পারবে না।’

টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র লুৎফুর রহমান এক্স-এ বলেন, ‘ইউকিপের বিক্ষোভ আমাদের স্থানীয় সমাজে বড় ধরনের অস্থিরতা ও ভয় তৈরি করত এবং ঘৃণা ও পক্ষপাত ছড়িয়ে দিত। আমরা শনিবার হোয়াইটচ্যাপেলে আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিল আয়োজন করব, যাতে আমাদের বৈচিত্র্য ও ঐক্য উদযাপন করা যায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুদ্ধবিরতিতে ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ হামাস ফেরত দিল ১৫ জিম্মির মরদেহ, বাকি ১৩

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ৫৯
আরও দুই ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিয়েছে হামাস। ছবি: সংগৃহীত
আরও দুই ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিয়েছে হামাস। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস গতকাল মঙ্গলবার রাতে রেডক্রসের মাধ্যমে দুটি কফিন ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছে। এই দুটি কফিনে কিব্বুত্জ নীর ওজের বাসিন্দা আড়ি জালমান জালমানোভিচ (৮৫) এবং তামির আদারের (৩৮) মরদেহ ছিল। এই মরদেহ দুটি ফেরত দেওয়ার পর হামাস জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে চরম প্রতিকূলতার মধ্যেও। এ নিয়ে মোট ১৫টি মরদেহ ফেরত দেওয়া হলো। এখনো বাকি আরও ১৩ জনের মরদেহ।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, এই দুই মরদেহ রেডক্রস দক্ষিণ গাজা অঞ্চলে হামাসের কাছ থেকে গ্রহণ করে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে। সেনারা কফিনগুলো পরিদর্শন করার পর তা ইসরায়েলের পতাকায় ঢেকে সংক্ষিপ্ত একটি অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়, যার নেতৃত্ব দেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান ধর্মযাজক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এয়াল ক্রিম।

এরপর কফিনগুলো গাজা থেকে তেল আবিবের আবু কাবির ফরেনসিক ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয় শনাক্তকরণ এবং মৃত্যুর কারণ নির্ধারণের জন্য। কয়েক ঘণ্টা পরে দেহের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর সেনা প্রতিনিধি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। গত মঙ্গলবার হামাসের সামরিক শাখা ঘোষণা করেছিল যে তারা আরও দুই বন্দীর দেহ ফিরিয়ে দেবে। তারা জানিয়েছিল, মরদেহগুলো ‘আজ উপত্যকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে’ এবং তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি।

এদিকে তুর্কি ও কাতারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েল শান্তিচুক্তি মেনে চলছে না এবং রাফাহ সীমান্ত পোর্ট খোলার বিষয়ে এড়িয়ে চলছে। গতকাল মঙ্গলবার হামাসের দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে। হামাস জানিয়েছে, ‘রাফাহ সীমান্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে, সেখান দিয়ে অসুস্থ ও আহতদের যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না এবং গাজার মধ্যে মানবিক সহায়তা প্রবেশের বাধা দেওয়া হচ্ছে। এটি শান্তিচুক্তির লঙ্ঘন।’

একই সঙ্গে হামাস আরও জানিয়েছে, এখনো তারা ‘শান্তিচুক্তি মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’। এর আগেও হামাস কারিগরি অক্ষমতা দেখিয়ে মরদেহ যথাসময়ে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে অপারগতা প্রকাশ করে জানায়, তারা মরদেহ ফেরত দিতে ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’। কিন্তু বিষয়টিকে অজুহাত হিসেবে নিয়ে ইসরায়েল ক্রমাগত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেই যাচ্ছে।

এমনকি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত সোমবার গর্ব করে জানিয়েছেন, তাঁর দেশের সেনাবাহিনী গত রোববার গাজা উপত্যকায় ১৫৩ টন বোমা বর্ষণ করেছে, যা কার্যত যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের স্বীকারোক্তি। ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের শীতকালীন অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে নেতানিয়াহু বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির সময় আমাদের দুই সৈনিক শহীদ হয়েছে…আমরা তাদের ওপর ১৫৩ টন বোমা বর্ষণ করেছি এবং গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে ডজনখানেক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত