দক্ষিণ গাজায় জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্রে গতকাল বুধবার গোলাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনের সেই আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় জাতিসংঘ। তবে যুক্তরাষ্ট্র এ ঘটনার নিন্দা জানানোর পরই হামলার দায় অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। তাদের দাবি, হামাস এই হামলা করে থাকতে পারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে। বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার প্রধান শহর খান ইউনিসের একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্রকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছে জাতিসংঘ। সেখানে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৩০ হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি। আশ্রয়কেন্দ্রটিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর গোলাবর্ষণে অন্তত ৯ জন নিহত এবং ৭৫ জন আহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয়কারী জেমস ম্যাকগোল্ড্রিক বলেছেন, গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে, কিছু ভবনে আগুন লেগেছে এবং অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছে। ঘটনাস্থল থেকে অনেকেই পালানোর চেষ্টা করলেও তা পারেনি।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর গাজাবিষয়ক পরিচালক থমাস হোয়াইট বলেছেন, দুটি ট্যাংক আশ্রয়কেন্দ্রের একটি ভবনে আঘাত হানে, যেখানে প্রায় ৮০০ বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। এই হামলায় কমপক্ষে ৯ জন নিহত এবং ৭৫ জন আহত হয়েছে। সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ লাজারিনির মতে, মৃতের সংখ্যা সম্ভবত আরও বেশি।
লাজারিনি বলেন, ‘ভবনটি যে জাতিসংঘের আওতাধীন, তা একদমই স্পষ্ট ছিল। আর সব আশ্রয়কেন্দ্রের মতো সেখান (খান ইউনিস) থেকেও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও সমন্বয় করা হয়। যুদ্ধের মৌলিক নিয়মের প্রতি আরও একবার নির্লজ্জ অবহেলা দেখানো হলো।’
এ ঘটনায় ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠতম মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও নিন্দা না করে পারেনি। ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘের খান ইউনিস প্রশিক্ষণকেন্দ্রে আজকের হামলার নিন্দা জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেসামরিকদের অবশ্যই সুরক্ষা দিতে হবে এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর প্রতিও সম্মান দেখাতে হবে। মানবাধিকারকর্মীদের অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে, যাতে তাঁরা বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা প্রদান চালিয়ে যেতে পারেন।’
খান ইউনিস অঞ্চলে হামাস যোদ্ধাদের শক্ত ঘাঁটি রয়েছে—প্রথমে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছিল ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তারা স্বীকার করেছিল যে, বিপুলসংখ্যক বেসামরিকের মধ্যে মিশে থেকেই হামাস যোদ্ধারা লড়াই করে যাচ্ছে।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনার পর সেই অবস্থান পরিবর্তন করে আরেকটি বিবৃতি দিয়েছে আইডিএফ। সেখানে বলা হয়, অভিযানের ব্যবস্থাসংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা গেছে যে, ইসরায়েলি বাহিনী আশ্রয়কেন্দ্রটিতে হামলা করেনি। বরং হামাসের হামলার কারণে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা পর্যালোচনা করে দেখছে আইডিএফ।
গত অক্টোবরের শেষ দিকে ইসরায়েলের স্থল আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে ওয়াশিংটন একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করে ইসরায়েলের কাছে ঘটনা সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলের কোনো নির্দিষ্ট পদক্ষেপের প্রকাশ্য সমালোচনা খুব কমই করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
দক্ষিণ গাজায় জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্রে গতকাল বুধবার গোলাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনের সেই আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় জাতিসংঘ। তবে যুক্তরাষ্ট্র এ ঘটনার নিন্দা জানানোর পরই হামলার দায় অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। তাদের দাবি, হামাস এই হামলা করে থাকতে পারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে। বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার প্রধান শহর খান ইউনিসের একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্রকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছে জাতিসংঘ। সেখানে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৩০ হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি। আশ্রয়কেন্দ্রটিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর গোলাবর্ষণে অন্তত ৯ জন নিহত এবং ৭৫ জন আহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয়কারী জেমস ম্যাকগোল্ড্রিক বলেছেন, গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে, কিছু ভবনে আগুন লেগেছে এবং অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছে। ঘটনাস্থল থেকে অনেকেই পালানোর চেষ্টা করলেও তা পারেনি।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর গাজাবিষয়ক পরিচালক থমাস হোয়াইট বলেছেন, দুটি ট্যাংক আশ্রয়কেন্দ্রের একটি ভবনে আঘাত হানে, যেখানে প্রায় ৮০০ বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। এই হামলায় কমপক্ষে ৯ জন নিহত এবং ৭৫ জন আহত হয়েছে। সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ লাজারিনির মতে, মৃতের সংখ্যা সম্ভবত আরও বেশি।
লাজারিনি বলেন, ‘ভবনটি যে জাতিসংঘের আওতাধীন, তা একদমই স্পষ্ট ছিল। আর সব আশ্রয়কেন্দ্রের মতো সেখান (খান ইউনিস) থেকেও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও সমন্বয় করা হয়। যুদ্ধের মৌলিক নিয়মের প্রতি আরও একবার নির্লজ্জ অবহেলা দেখানো হলো।’
এ ঘটনায় ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠতম মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও নিন্দা না করে পারেনি। ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘের খান ইউনিস প্রশিক্ষণকেন্দ্রে আজকের হামলার নিন্দা জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেসামরিকদের অবশ্যই সুরক্ষা দিতে হবে এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর প্রতিও সম্মান দেখাতে হবে। মানবাধিকারকর্মীদের অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে, যাতে তাঁরা বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা প্রদান চালিয়ে যেতে পারেন।’
খান ইউনিস অঞ্চলে হামাস যোদ্ধাদের শক্ত ঘাঁটি রয়েছে—প্রথমে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছিল ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তারা স্বীকার করেছিল যে, বিপুলসংখ্যক বেসামরিকের মধ্যে মিশে থেকেই হামাস যোদ্ধারা লড়াই করে যাচ্ছে।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনার পর সেই অবস্থান পরিবর্তন করে আরেকটি বিবৃতি দিয়েছে আইডিএফ। সেখানে বলা হয়, অভিযানের ব্যবস্থাসংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা গেছে যে, ইসরায়েলি বাহিনী আশ্রয়কেন্দ্রটিতে হামলা করেনি। বরং হামাসের হামলার কারণে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা পর্যালোচনা করে দেখছে আইডিএফ।
গত অক্টোবরের শেষ দিকে ইসরায়েলের স্থল আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে ওয়াশিংটন একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করে ইসরায়েলের কাছে ঘটনা সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলের কোনো নির্দিষ্ট পদক্ষেপের প্রকাশ্য সমালোচনা খুব কমই করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করে তুলছে ইসরায়েল ও ইরানের পারস্পরিক হুমকি। একদিকে কূটনৈতিক আলোচনা থমকে আছে, অন্যদিকে সেনা মহড়া ও প্রক্সি লড়াই—সব মিলিয়ে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে।
৯ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ের রিপাবলিকান প্রতিনিধি মেরি মিলার শুক্রবার হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে এক অতিথি ধর্মীয় নেতার প্রার্থনা নিয়ে মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তিনি ভুল করে শিখ ধর্মীয় ওই নেতাকে মুসলিম ভেবে এক্স প্ল্যাটফর্মে লেখেন, ‘আজ সকালে হাউসে একজন মুসলমানকে প্রার্থনা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছ
১০ ঘণ্টা আগেমেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমা উদ্যাপনে গিয়েছিলেন নবদম্পতি মধ্যপ্রদেশের রাজা রাজবংশী ও সোনম রাজবংশী। কিন্তু তাঁদের মধুচন্দ্রিমা পরিণত হয়েছে এক মর্মান্তিক ঘটনায়। স্ত্রী সোনম নিখোঁজ আর স্বামী রাজা খুন হয়েছেন। রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করা এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে একাধিক নিরাপত্তা ও উদ্ধারকারী সংস্থা।
১০ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব রাশিয়ার ক্ষমতাসীন মহলে আলোচনা, ঠাট্টা ও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কেউ শান্তি আলোচনা আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন, আবার কেউ মাস্ককে রাশিয়ায় ব্যবসা স্থানান্তরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
১১ ঘণ্টা আগে