অনলাইন ডেস্ক
তৃতীয় দিনের মতো ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর হামলার মুখে থাকা ইরানে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রোববার (১৫ জুন) রাজধানী তেহরান থেকে পালানোর চেষ্টা করছে অনেকে। সিএনএনের বরাতে জানা গেছে, রাজধানী থেকে দেশটির উত্তরের গ্রামীণ এলাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাস্তায় নেমেছেন অনেকেই, কিন্তু রাস্তাগুলো তীব্র যানজটে আটকে আছে।
জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরানে একাধিক পেট্রোল স্টেশনের সামনে কিলোমিটার দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
একজন দুই সন্তানের বাবা সিএনএনকে বলেন, “আমি আমার বাসা ছেড়ে যেতে চাই না, কিন্তু আমার ছোট সন্তানদের এই পরিস্থিতিতে রেখে দিতে পারি না। আমি আশা করি যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে উভয় দেশের মধ্যে চলমান সংঘর্ষ বন্ধ করবে।” তিনি আরও জানান, উচ্চ-মধ্যবিত্ত এলাকায় ইরান সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা বসবাস করায় সেখানে সাধারণ বাসিন্দারাও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন।
শুক্রবার ভোরে শুরু হওয়া ইসরায়েলের আকস্মিক হামলায় শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীদের বাড়িগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়। বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজে আবাসিক ভবনের নির্দিষ্ট অ্যাপার্টমেন্টে নিখুঁত হামলার দৃশ্য দেখা গেছে।
শুক্রবার রাত থেকে শনিবার পর্যন্ত ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দেওয়ার পর, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে যে তারা তেহরানের আকাশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলেছে।
রোববার সকালে আইডিএফ ইরানি বেসামরিক নাগরিকদের উদ্দেশে একটি নজিরবিহীন সতর্কবার্তা প্রকাশ করে। ওই বার্তায় অস্ত্র কারখানার আশপাশের এলাকা থেকে লোকজনকে সরে যেতে বলা হয়।
ইরানের সরকার মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি রাষ্ট্রীয় টিভিতে ঘোষণা দেন, যেকোনো আক্রমণের সময় মসজিদ, স্কুল এবং মেট্রো স্টেশনগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য খোলা থাকবে। তিনি বলেন, খাবার, ওষুধ ও জ্বালানির কোনো ঘাটতি নেই।
তেহরান সিটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেহদি চামরান স্বীকার করেন, শহরে কোনো পর্যাপ্ত বোমা আশ্রয়কেন্দ্র নেই। তিনি বলেন, “দুঃখজনকভাবে, তেহরানসহ আমাদের বেশিরভাগ শহরেই আশ্রয়কেন্দ্র নেই। ইসরায়েলে মৃত্যুহার কম কারণ তারা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছে এবং নিয়মিত হামলার মহড়া করে।”
চরম পরিস্থিতিতে মেট্রো লাইনগুলো বন্ধ করে সেগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়া, শহরের ভূগর্ভস্থ পার্কিং লটগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তরের কথাও ভাবা হচ্ছে, যেমনটা ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় করা হয়েছিল।
তৃতীয় দিনের মতো ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর হামলার মুখে থাকা ইরানে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রোববার (১৫ জুন) রাজধানী তেহরান থেকে পালানোর চেষ্টা করছে অনেকে। সিএনএনের বরাতে জানা গেছে, রাজধানী থেকে দেশটির উত্তরের গ্রামীণ এলাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাস্তায় নেমেছেন অনেকেই, কিন্তু রাস্তাগুলো তীব্র যানজটে আটকে আছে।
জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরানে একাধিক পেট্রোল স্টেশনের সামনে কিলোমিটার দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
একজন দুই সন্তানের বাবা সিএনএনকে বলেন, “আমি আমার বাসা ছেড়ে যেতে চাই না, কিন্তু আমার ছোট সন্তানদের এই পরিস্থিতিতে রেখে দিতে পারি না। আমি আশা করি যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে উভয় দেশের মধ্যে চলমান সংঘর্ষ বন্ধ করবে।” তিনি আরও জানান, উচ্চ-মধ্যবিত্ত এলাকায় ইরান সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা বসবাস করায় সেখানে সাধারণ বাসিন্দারাও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন।
শুক্রবার ভোরে শুরু হওয়া ইসরায়েলের আকস্মিক হামলায় শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীদের বাড়িগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়। বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজে আবাসিক ভবনের নির্দিষ্ট অ্যাপার্টমেন্টে নিখুঁত হামলার দৃশ্য দেখা গেছে।
শুক্রবার রাত থেকে শনিবার পর্যন্ত ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দেওয়ার পর, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে যে তারা তেহরানের আকাশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলেছে।
রোববার সকালে আইডিএফ ইরানি বেসামরিক নাগরিকদের উদ্দেশে একটি নজিরবিহীন সতর্কবার্তা প্রকাশ করে। ওই বার্তায় অস্ত্র কারখানার আশপাশের এলাকা থেকে লোকজনকে সরে যেতে বলা হয়।
ইরানের সরকার মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি রাষ্ট্রীয় টিভিতে ঘোষণা দেন, যেকোনো আক্রমণের সময় মসজিদ, স্কুল এবং মেট্রো স্টেশনগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য খোলা থাকবে। তিনি বলেন, খাবার, ওষুধ ও জ্বালানির কোনো ঘাটতি নেই।
তেহরান সিটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেহদি চামরান স্বীকার করেন, শহরে কোনো পর্যাপ্ত বোমা আশ্রয়কেন্দ্র নেই। তিনি বলেন, “দুঃখজনকভাবে, তেহরানসহ আমাদের বেশিরভাগ শহরেই আশ্রয়কেন্দ্র নেই। ইসরায়েলে মৃত্যুহার কম কারণ তারা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছে এবং নিয়মিত হামলার মহড়া করে।”
চরম পরিস্থিতিতে মেট্রো লাইনগুলো বন্ধ করে সেগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়া, শহরের ভূগর্ভস্থ পার্কিং লটগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তরের কথাও ভাবা হচ্ছে, যেমনটা ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় করা হয়েছিল।
ইসরায়েলের প্রাথমিক হামলায় একাধিক সামরিক কমান্ডার নিহত হওয়ার পরও ইরানের অবিরাম ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রমাণ করে, তেহরানের বাহিনী পুনরায় সংগঠিত হতে সক্ষম। শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তাদের হারানোর পরও ইরানের এই পুনর্গঠন সক্ষমতা ইসরায়েলকেও বিস্মিত করেছে।
২ মিনিট আগেইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাত আরও তীব্র ও গভীর হয়েছে। আজ সোমবার চতুর্থ দিনে গড়িয়ে সংঘাত। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় গতকাল রোববার থেকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় ৭ শতাংশ বেড়েছে তেলের দাম।
১১ মিনিট আগেইরানে হামলা শুরুর সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ইরানের যে পারমাণবিক সক্ষমতা রয়েছে, তা হুমকির। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংস করতেই তারা শুক্রবার ভোর থেকে হামলা চালাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার পরপরই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনিকে রাজধানী তেহরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লাভিজান এলাকায় অবস্থিত একটি গোপন বাঙ্কারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দুটি নির্ভরযোগ্য ইরানি সূত্রের বরাতে এমনটাই দাবি করেছে লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরান ইন্টারন্যাশনাল।
৬ ঘণ্টা আগে