আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলের বেসরকারি সিসিটিভি ব্যবস্থা হ্যাক করে তাৎক্ষণিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছে ইরান। এমনই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন ইসরায়েলের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। এই কৌশল আগেও হামাস ও রাশিয়া বিভিন্ন সংঘাতে ব্যবহার করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী দ্রুত সম্প্রসারিত হওয়া ব্যক্তিগত নজরদারি বাজারে ব্যবহৃত অনেক ক্যামেরা দুর্বল পাসওয়ার্ড, পুরোনো ফার্মওয়্যার এবং ভুল ইনস্টলেশনের কারণে সহজেই হ্যাক করা যায়।
গত সপ্তাহে ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবের উঁচু ভবনগুলোতে আঘাত হানে। এরপর সরকারি রেডিওতে নাগরিকদের সতর্ক করে ইসরায়েলের জাতীয় সাইবার ডিরেক্টরেটের সাবেক উপপরিচালক রাফায়েল ফ্রাঙ্কো বলেন, ‘গত দুই-তিন দিন ধরে ক্যামেরাগুলোর মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র কোথায় আঘাত হেনেছে তা জানার চেষ্টা করছে ইরান, যাতে ভবিষ্যতে আরও নির্ভুলভাবে হামলা করা যায়। তাই আপনারা ক্যামেরা বন্ধ করুন অথবা পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।’
উল্লেখ্য, ফ্রাঙ্কো বর্তমানে সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা কোড ব্লু পরিচালনা করছেন।
ইসরায়েল ও ইরানের চলমান সংঘাতের মধ্যে সাইবার আক্রমণের সংখ্যাও বেড়ে গেছে। ইসরায়েলপন্থী হ্যাকার গ্রুপ ‘প্রিডেটরি স্প্যারো’ ইরানের একটি প্রধান ব্যাংক ও একটি ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জে সাইবার আক্রমণের দায় স্বীকার করেছে। অন্যদিকে, ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে, ইসরায়েল দেশটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোয় পূর্ণাঙ্গ সাইবার আক্রমণ চালিয়েছে।
ইসরায়েলের জাতীয় সাইবার ডিরেক্টরেটের এক মুখপাত্র জানান, ‘যুদ্ধ পরিকল্পনায় ইরান বারবার ব্যবহার করছে ইন্টারনেট সংযুক্ত ক্যামেরা। আমরা দেখেছি, যুদ্ধ চলাকালীন এই ধরনের প্রচেষ্টা বাড়ছে।’
হামাস এর আগেও এই কৌশল ব্যবহার করেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলার আগে গাজা সীমান্তবর্তী ইসরায়েলি এলাকায় থাকা হাজার হাজার ব্যক্তিগত ও সরকারি ক্যামেরা হ্যাক করে হামাস বিশাল তথ্য সংগ্রহ করে বলে জানান সাইবার ডিরেক্টরেটের সদ্য সাবেক পরিচালক গ্যাবি পোর্টনয়।
তিনি আরও জানান, ‘হামাসের গোয়েন্দা সংগ্রহ ছিল বিপর্যয়কর। তাদের হামলার প্রস্তুতিতে এগুলোর ভূমিকা ছিল স্পষ্ট।’
রাশিয়াও ইউক্রেন আক্রমণের পর এই পদ্ধতি ব্যবহার করেছে বলে জানা গেছে। গত মে মাসে এক যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানায়, রাশিয়া সীমান্ত, সামরিক স্থাপনা ও রেলস্টেশনের কাছে থাকা বেসরকারি ক্যামেরায় প্রবেশ করে গুরুত্বপূর্ণ চলাচল পর্যবেক্ষণ করেছে। এমনকি ট্রাফিক ক্যামেরাও ব্যবহার করেছে তারা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেন ২০২২ সালে সিসিটিভি নিষিদ্ধ করে। পরে নাগরিকদের ওয়েবক্যামের অনলাইন সম্প্রচার বন্ধের আহ্বান জানায় সরকার। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘রাশিয়া ওয়েবক্যামের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্য ঠিক করছে।’
২০২২ সালে জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগে চীনের তৈরি নজরদারি যন্ত্র নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিশ্বব্যাপী বেসরকারি নজরদারি ক্যামেরার বাজার ২০২৪ সালে ৫৪ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০৩০ সালে ৮৯ বিলিয়নে পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কেটসঅ্যান্ডমার্কেটস রিসার্চ।
তবে অনেক ক্যামেরা নিরাপত্তা এতটাই দুর্বল যে, সেগুলো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জন্য সহজ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
নিরাপত্তা খাতে কাজ করা জিওফ কোল জানান, ভালো কোম্পানির ক্যামেরাগুলো সফটওয়্যার আপডেট ও কনফিগারেশন অপশন দেয়। তবে ব্যবহারকারীদের নিজে থেকেই ধরে নিতে হবে যে, তাদের ভিডিও সিস্টেম লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।
বিশ্বখ্যাত এক জ্বালানি কোম্পানির নিরাপত্তা স্থপতি পেলেগ ভাসারম্যান বলেন, ‘ভোক্তারা সস্তা দামে নজরদারি ক্যামেরা কিনে থাকেন, তবে নিরাপত্তার দিকটা বিবেচনায় নেন না। ফলে নির্মাতাদেরও সুরক্ষা বাড়াতে কোনো প্রণোদনা থাকে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ জানে না, তারা যেটা রক্ষা করতে চাইছে, সেটাই অন্যের নজরে তুলে ধরছে।’
এ ছাড়া, অনেক ক্যামেরার ডিফল্ট পাসওয়ার্ড ‘১-২-৩-৪’-এর মতো সহজ, যা অনেক ব্যবহারকারী পরিবর্তন করেন না। কিছু সিস্টেম এমনকি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনলাইনে ভিডিও স্ট্রিম করে।
চীনা কোম্পানিগুলোর তৈরি ক্যামেরা বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হলেও এগুলোতে নিরাপত্তা দুর্বলতা থাকায় উদ্বেগ বাড়ছে। এক প্রতিবেদনে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান বিটসাইট জানায়, গত মাসে ইন্টারনেটে ৪০ হাজার সিসিটিভির লাইভ ফুটেজ দেখা গেছে, যার ১৪ হাজার যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত।
যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এসব ফুটেজ দেশের জন্য বড় দুর্বলতায় পরিণত হতে পারে।
২০২২ সালে ইসরায়েলি সাইবার সংস্থা জানিয়েছিল, ৬৬ হাজার ক্যামেরা ডিফল্ট পাসওয়ার্ড ব্যবহার করছে। তবে অনেক ব্যবহারকারী তা আমলে নেননি। দক্ষিণ ইসরায়েলের হামাস আক্রমণের শিকার শহরগুলোতেও এসব ক্যামেরা ব্যবহৃত হচ্ছিল।
হামলার পর সরকার কিছু নির্দেশনা দেয়, যার মধ্যে ছিল পাসওয়ার্ড পরিবর্তন, দুই স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা এবং চীনের তৈরি ক্যামেরা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা। এমনকি ট্রাফিক ক্যামেরা ও ব্যক্তিগত ডিভাইস, যেগুলো সেনা ঘাঁটি বা সীমান্তে দৃশ্য দেখাচ্ছিল তা বন্ধ করে দেওয়ার আইনি অনুমতিও পাওয়া হয়।
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের আগে এক সাক্ষাৎকারে ফ্রাঙ্কো জানান, সীমান্তঘেঁষা ফার্মে কৃষকদের বসানো ক্যামেরাগুলোও সেনা অবস্থান দেখিয়ে ফেলেছিল।
গত ১৩ জুন (শুক্রবার) ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পর ইরান পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে তেল আবিবে শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছোড়ে। ইরান জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় তাদের ২০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলে এখন পর্যন্ত ২৪ জন নিহত ও ৮০০-এর বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে।
তথ্যসূত্র: ব্লুমবার্গ

ইসরায়েলের বেসরকারি সিসিটিভি ব্যবস্থা হ্যাক করে তাৎক্ষণিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছে ইরান। এমনই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন ইসরায়েলের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। এই কৌশল আগেও হামাস ও রাশিয়া বিভিন্ন সংঘাতে ব্যবহার করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী দ্রুত সম্প্রসারিত হওয়া ব্যক্তিগত নজরদারি বাজারে ব্যবহৃত অনেক ক্যামেরা দুর্বল পাসওয়ার্ড, পুরোনো ফার্মওয়্যার এবং ভুল ইনস্টলেশনের কারণে সহজেই হ্যাক করা যায়।
গত সপ্তাহে ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবের উঁচু ভবনগুলোতে আঘাত হানে। এরপর সরকারি রেডিওতে নাগরিকদের সতর্ক করে ইসরায়েলের জাতীয় সাইবার ডিরেক্টরেটের সাবেক উপপরিচালক রাফায়েল ফ্রাঙ্কো বলেন, ‘গত দুই-তিন দিন ধরে ক্যামেরাগুলোর মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র কোথায় আঘাত হেনেছে তা জানার চেষ্টা করছে ইরান, যাতে ভবিষ্যতে আরও নির্ভুলভাবে হামলা করা যায়। তাই আপনারা ক্যামেরা বন্ধ করুন অথবা পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।’
উল্লেখ্য, ফ্রাঙ্কো বর্তমানে সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা কোড ব্লু পরিচালনা করছেন।
ইসরায়েল ও ইরানের চলমান সংঘাতের মধ্যে সাইবার আক্রমণের সংখ্যাও বেড়ে গেছে। ইসরায়েলপন্থী হ্যাকার গ্রুপ ‘প্রিডেটরি স্প্যারো’ ইরানের একটি প্রধান ব্যাংক ও একটি ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জে সাইবার আক্রমণের দায় স্বীকার করেছে। অন্যদিকে, ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে, ইসরায়েল দেশটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোয় পূর্ণাঙ্গ সাইবার আক্রমণ চালিয়েছে।
ইসরায়েলের জাতীয় সাইবার ডিরেক্টরেটের এক মুখপাত্র জানান, ‘যুদ্ধ পরিকল্পনায় ইরান বারবার ব্যবহার করছে ইন্টারনেট সংযুক্ত ক্যামেরা। আমরা দেখেছি, যুদ্ধ চলাকালীন এই ধরনের প্রচেষ্টা বাড়ছে।’
হামাস এর আগেও এই কৌশল ব্যবহার করেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলার আগে গাজা সীমান্তবর্তী ইসরায়েলি এলাকায় থাকা হাজার হাজার ব্যক্তিগত ও সরকারি ক্যামেরা হ্যাক করে হামাস বিশাল তথ্য সংগ্রহ করে বলে জানান সাইবার ডিরেক্টরেটের সদ্য সাবেক পরিচালক গ্যাবি পোর্টনয়।
তিনি আরও জানান, ‘হামাসের গোয়েন্দা সংগ্রহ ছিল বিপর্যয়কর। তাদের হামলার প্রস্তুতিতে এগুলোর ভূমিকা ছিল স্পষ্ট।’
রাশিয়াও ইউক্রেন আক্রমণের পর এই পদ্ধতি ব্যবহার করেছে বলে জানা গেছে। গত মে মাসে এক যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানায়, রাশিয়া সীমান্ত, সামরিক স্থাপনা ও রেলস্টেশনের কাছে থাকা বেসরকারি ক্যামেরায় প্রবেশ করে গুরুত্বপূর্ণ চলাচল পর্যবেক্ষণ করেছে। এমনকি ট্রাফিক ক্যামেরাও ব্যবহার করেছে তারা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেন ২০২২ সালে সিসিটিভি নিষিদ্ধ করে। পরে নাগরিকদের ওয়েবক্যামের অনলাইন সম্প্রচার বন্ধের আহ্বান জানায় সরকার। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘রাশিয়া ওয়েবক্যামের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্য ঠিক করছে।’
২০২২ সালে জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগে চীনের তৈরি নজরদারি যন্ত্র নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিশ্বব্যাপী বেসরকারি নজরদারি ক্যামেরার বাজার ২০২৪ সালে ৫৪ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০৩০ সালে ৮৯ বিলিয়নে পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কেটসঅ্যান্ডমার্কেটস রিসার্চ।
তবে অনেক ক্যামেরা নিরাপত্তা এতটাই দুর্বল যে, সেগুলো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জন্য সহজ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
নিরাপত্তা খাতে কাজ করা জিওফ কোল জানান, ভালো কোম্পানির ক্যামেরাগুলো সফটওয়্যার আপডেট ও কনফিগারেশন অপশন দেয়। তবে ব্যবহারকারীদের নিজে থেকেই ধরে নিতে হবে যে, তাদের ভিডিও সিস্টেম লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।
বিশ্বখ্যাত এক জ্বালানি কোম্পানির নিরাপত্তা স্থপতি পেলেগ ভাসারম্যান বলেন, ‘ভোক্তারা সস্তা দামে নজরদারি ক্যামেরা কিনে থাকেন, তবে নিরাপত্তার দিকটা বিবেচনায় নেন না। ফলে নির্মাতাদেরও সুরক্ষা বাড়াতে কোনো প্রণোদনা থাকে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ জানে না, তারা যেটা রক্ষা করতে চাইছে, সেটাই অন্যের নজরে তুলে ধরছে।’
এ ছাড়া, অনেক ক্যামেরার ডিফল্ট পাসওয়ার্ড ‘১-২-৩-৪’-এর মতো সহজ, যা অনেক ব্যবহারকারী পরিবর্তন করেন না। কিছু সিস্টেম এমনকি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনলাইনে ভিডিও স্ট্রিম করে।
চীনা কোম্পানিগুলোর তৈরি ক্যামেরা বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হলেও এগুলোতে নিরাপত্তা দুর্বলতা থাকায় উদ্বেগ বাড়ছে। এক প্রতিবেদনে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান বিটসাইট জানায়, গত মাসে ইন্টারনেটে ৪০ হাজার সিসিটিভির লাইভ ফুটেজ দেখা গেছে, যার ১৪ হাজার যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত।
যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এসব ফুটেজ দেশের জন্য বড় দুর্বলতায় পরিণত হতে পারে।
২০২২ সালে ইসরায়েলি সাইবার সংস্থা জানিয়েছিল, ৬৬ হাজার ক্যামেরা ডিফল্ট পাসওয়ার্ড ব্যবহার করছে। তবে অনেক ব্যবহারকারী তা আমলে নেননি। দক্ষিণ ইসরায়েলের হামাস আক্রমণের শিকার শহরগুলোতেও এসব ক্যামেরা ব্যবহৃত হচ্ছিল।
হামলার পর সরকার কিছু নির্দেশনা দেয়, যার মধ্যে ছিল পাসওয়ার্ড পরিবর্তন, দুই স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা এবং চীনের তৈরি ক্যামেরা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা। এমনকি ট্রাফিক ক্যামেরা ও ব্যক্তিগত ডিভাইস, যেগুলো সেনা ঘাঁটি বা সীমান্তে দৃশ্য দেখাচ্ছিল তা বন্ধ করে দেওয়ার আইনি অনুমতিও পাওয়া হয়।
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের আগে এক সাক্ষাৎকারে ফ্রাঙ্কো জানান, সীমান্তঘেঁষা ফার্মে কৃষকদের বসানো ক্যামেরাগুলোও সেনা অবস্থান দেখিয়ে ফেলেছিল।
গত ১৩ জুন (শুক্রবার) ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পর ইরান পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে তেল আবিবে শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছোড়ে। ইরান জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় তাদের ২০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলে এখন পর্যন্ত ২৪ জন নিহত ও ৮০০-এর বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে।
তথ্যসূত্র: ব্লুমবার্গ
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলের বেসরকারি সিসিটিভি ব্যবস্থা হ্যাক করে তাৎক্ষণিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছে ইরান। এমনই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন ইসরায়েলের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। এই কৌশল আগেও হামাস ও রাশিয়া বিভিন্ন সংঘাতে ব্যবহার করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী দ্রুত সম্প্রসারিত হওয়া ব্যক্তিগত নজরদারি বাজারে ব্যবহৃত অনেক ক্যামেরা দুর্বল পাসওয়ার্ড, পুরোনো ফার্মওয়্যার এবং ভুল ইনস্টলেশনের কারণে সহজেই হ্যাক করা যায়।
গত সপ্তাহে ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবের উঁচু ভবনগুলোতে আঘাত হানে। এরপর সরকারি রেডিওতে নাগরিকদের সতর্ক করে ইসরায়েলের জাতীয় সাইবার ডিরেক্টরেটের সাবেক উপপরিচালক রাফায়েল ফ্রাঙ্কো বলেন, ‘গত দুই-তিন দিন ধরে ক্যামেরাগুলোর মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র কোথায় আঘাত হেনেছে তা জানার চেষ্টা করছে ইরান, যাতে ভবিষ্যতে আরও নির্ভুলভাবে হামলা করা যায়। তাই আপনারা ক্যামেরা বন্ধ করুন অথবা পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।’
উল্লেখ্য, ফ্রাঙ্কো বর্তমানে সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা কোড ব্লু পরিচালনা করছেন।
ইসরায়েল ও ইরানের চলমান সংঘাতের মধ্যে সাইবার আক্রমণের সংখ্যাও বেড়ে গেছে। ইসরায়েলপন্থী হ্যাকার গ্রুপ ‘প্রিডেটরি স্প্যারো’ ইরানের একটি প্রধান ব্যাংক ও একটি ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জে সাইবার আক্রমণের দায় স্বীকার করেছে। অন্যদিকে, ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে, ইসরায়েল দেশটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোয় পূর্ণাঙ্গ সাইবার আক্রমণ চালিয়েছে।
ইসরায়েলের জাতীয় সাইবার ডিরেক্টরেটের এক মুখপাত্র জানান, ‘যুদ্ধ পরিকল্পনায় ইরান বারবার ব্যবহার করছে ইন্টারনেট সংযুক্ত ক্যামেরা। আমরা দেখেছি, যুদ্ধ চলাকালীন এই ধরনের প্রচেষ্টা বাড়ছে।’
হামাস এর আগেও এই কৌশল ব্যবহার করেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলার আগে গাজা সীমান্তবর্তী ইসরায়েলি এলাকায় থাকা হাজার হাজার ব্যক্তিগত ও সরকারি ক্যামেরা হ্যাক করে হামাস বিশাল তথ্য সংগ্রহ করে বলে জানান সাইবার ডিরেক্টরেটের সদ্য সাবেক পরিচালক গ্যাবি পোর্টনয়।
তিনি আরও জানান, ‘হামাসের গোয়েন্দা সংগ্রহ ছিল বিপর্যয়কর। তাদের হামলার প্রস্তুতিতে এগুলোর ভূমিকা ছিল স্পষ্ট।’
রাশিয়াও ইউক্রেন আক্রমণের পর এই পদ্ধতি ব্যবহার করেছে বলে জানা গেছে। গত মে মাসে এক যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানায়, রাশিয়া সীমান্ত, সামরিক স্থাপনা ও রেলস্টেশনের কাছে থাকা বেসরকারি ক্যামেরায় প্রবেশ করে গুরুত্বপূর্ণ চলাচল পর্যবেক্ষণ করেছে। এমনকি ট্রাফিক ক্যামেরাও ব্যবহার করেছে তারা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেন ২০২২ সালে সিসিটিভি নিষিদ্ধ করে। পরে নাগরিকদের ওয়েবক্যামের অনলাইন সম্প্রচার বন্ধের আহ্বান জানায় সরকার। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘রাশিয়া ওয়েবক্যামের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্য ঠিক করছে।’
২০২২ সালে জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগে চীনের তৈরি নজরদারি যন্ত্র নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিশ্বব্যাপী বেসরকারি নজরদারি ক্যামেরার বাজার ২০২৪ সালে ৫৪ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০৩০ সালে ৮৯ বিলিয়নে পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কেটসঅ্যান্ডমার্কেটস রিসার্চ।
তবে অনেক ক্যামেরা নিরাপত্তা এতটাই দুর্বল যে, সেগুলো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জন্য সহজ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
নিরাপত্তা খাতে কাজ করা জিওফ কোল জানান, ভালো কোম্পানির ক্যামেরাগুলো সফটওয়্যার আপডেট ও কনফিগারেশন অপশন দেয়। তবে ব্যবহারকারীদের নিজে থেকেই ধরে নিতে হবে যে, তাদের ভিডিও সিস্টেম লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।
বিশ্বখ্যাত এক জ্বালানি কোম্পানির নিরাপত্তা স্থপতি পেলেগ ভাসারম্যান বলেন, ‘ভোক্তারা সস্তা দামে নজরদারি ক্যামেরা কিনে থাকেন, তবে নিরাপত্তার দিকটা বিবেচনায় নেন না। ফলে নির্মাতাদেরও সুরক্ষা বাড়াতে কোনো প্রণোদনা থাকে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ জানে না, তারা যেটা রক্ষা করতে চাইছে, সেটাই অন্যের নজরে তুলে ধরছে।’
এ ছাড়া, অনেক ক্যামেরার ডিফল্ট পাসওয়ার্ড ‘১-২-৩-৪’-এর মতো সহজ, যা অনেক ব্যবহারকারী পরিবর্তন করেন না। কিছু সিস্টেম এমনকি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনলাইনে ভিডিও স্ট্রিম করে।
চীনা কোম্পানিগুলোর তৈরি ক্যামেরা বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হলেও এগুলোতে নিরাপত্তা দুর্বলতা থাকায় উদ্বেগ বাড়ছে। এক প্রতিবেদনে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান বিটসাইট জানায়, গত মাসে ইন্টারনেটে ৪০ হাজার সিসিটিভির লাইভ ফুটেজ দেখা গেছে, যার ১৪ হাজার যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত।
যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এসব ফুটেজ দেশের জন্য বড় দুর্বলতায় পরিণত হতে পারে।
২০২২ সালে ইসরায়েলি সাইবার সংস্থা জানিয়েছিল, ৬৬ হাজার ক্যামেরা ডিফল্ট পাসওয়ার্ড ব্যবহার করছে। তবে অনেক ব্যবহারকারী তা আমলে নেননি। দক্ষিণ ইসরায়েলের হামাস আক্রমণের শিকার শহরগুলোতেও এসব ক্যামেরা ব্যবহৃত হচ্ছিল।
হামলার পর সরকার কিছু নির্দেশনা দেয়, যার মধ্যে ছিল পাসওয়ার্ড পরিবর্তন, দুই স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা এবং চীনের তৈরি ক্যামেরা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা। এমনকি ট্রাফিক ক্যামেরা ও ব্যক্তিগত ডিভাইস, যেগুলো সেনা ঘাঁটি বা সীমান্তে দৃশ্য দেখাচ্ছিল তা বন্ধ করে দেওয়ার আইনি অনুমতিও পাওয়া হয়।
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের আগে এক সাক্ষাৎকারে ফ্রাঙ্কো জানান, সীমান্তঘেঁষা ফার্মে কৃষকদের বসানো ক্যামেরাগুলোও সেনা অবস্থান দেখিয়ে ফেলেছিল।
গত ১৩ জুন (শুক্রবার) ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পর ইরান পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে তেল আবিবে শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছোড়ে। ইরান জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় তাদের ২০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলে এখন পর্যন্ত ২৪ জন নিহত ও ৮০০-এর বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে।
তথ্যসূত্র: ব্লুমবার্গ

ইসরায়েলের বেসরকারি সিসিটিভি ব্যবস্থা হ্যাক করে তাৎক্ষণিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছে ইরান। এমনই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন ইসরায়েলের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। এই কৌশল আগেও হামাস ও রাশিয়া বিভিন্ন সংঘাতে ব্যবহার করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী দ্রুত সম্প্রসারিত হওয়া ব্যক্তিগত নজরদারি বাজারে ব্যবহৃত অনেক ক্যামেরা দুর্বল পাসওয়ার্ড, পুরোনো ফার্মওয়্যার এবং ভুল ইনস্টলেশনের কারণে সহজেই হ্যাক করা যায়।
গত সপ্তাহে ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবের উঁচু ভবনগুলোতে আঘাত হানে। এরপর সরকারি রেডিওতে নাগরিকদের সতর্ক করে ইসরায়েলের জাতীয় সাইবার ডিরেক্টরেটের সাবেক উপপরিচালক রাফায়েল ফ্রাঙ্কো বলেন, ‘গত দুই-তিন দিন ধরে ক্যামেরাগুলোর মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র কোথায় আঘাত হেনেছে তা জানার চেষ্টা করছে ইরান, যাতে ভবিষ্যতে আরও নির্ভুলভাবে হামলা করা যায়। তাই আপনারা ক্যামেরা বন্ধ করুন অথবা পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।’
উল্লেখ্য, ফ্রাঙ্কো বর্তমানে সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা কোড ব্লু পরিচালনা করছেন।
ইসরায়েল ও ইরানের চলমান সংঘাতের মধ্যে সাইবার আক্রমণের সংখ্যাও বেড়ে গেছে। ইসরায়েলপন্থী হ্যাকার গ্রুপ ‘প্রিডেটরি স্প্যারো’ ইরানের একটি প্রধান ব্যাংক ও একটি ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জে সাইবার আক্রমণের দায় স্বীকার করেছে। অন্যদিকে, ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে, ইসরায়েল দেশটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোয় পূর্ণাঙ্গ সাইবার আক্রমণ চালিয়েছে।
ইসরায়েলের জাতীয় সাইবার ডিরেক্টরেটের এক মুখপাত্র জানান, ‘যুদ্ধ পরিকল্পনায় ইরান বারবার ব্যবহার করছে ইন্টারনেট সংযুক্ত ক্যামেরা। আমরা দেখেছি, যুদ্ধ চলাকালীন এই ধরনের প্রচেষ্টা বাড়ছে।’
হামাস এর আগেও এই কৌশল ব্যবহার করেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলার আগে গাজা সীমান্তবর্তী ইসরায়েলি এলাকায় থাকা হাজার হাজার ব্যক্তিগত ও সরকারি ক্যামেরা হ্যাক করে হামাস বিশাল তথ্য সংগ্রহ করে বলে জানান সাইবার ডিরেক্টরেটের সদ্য সাবেক পরিচালক গ্যাবি পোর্টনয়।
তিনি আরও জানান, ‘হামাসের গোয়েন্দা সংগ্রহ ছিল বিপর্যয়কর। তাদের হামলার প্রস্তুতিতে এগুলোর ভূমিকা ছিল স্পষ্ট।’
রাশিয়াও ইউক্রেন আক্রমণের পর এই পদ্ধতি ব্যবহার করেছে বলে জানা গেছে। গত মে মাসে এক যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানায়, রাশিয়া সীমান্ত, সামরিক স্থাপনা ও রেলস্টেশনের কাছে থাকা বেসরকারি ক্যামেরায় প্রবেশ করে গুরুত্বপূর্ণ চলাচল পর্যবেক্ষণ করেছে। এমনকি ট্রাফিক ক্যামেরাও ব্যবহার করেছে তারা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেন ২০২২ সালে সিসিটিভি নিষিদ্ধ করে। পরে নাগরিকদের ওয়েবক্যামের অনলাইন সম্প্রচার বন্ধের আহ্বান জানায় সরকার। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘রাশিয়া ওয়েবক্যামের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্য ঠিক করছে।’
২০২২ সালে জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগে চীনের তৈরি নজরদারি যন্ত্র নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিশ্বব্যাপী বেসরকারি নজরদারি ক্যামেরার বাজার ২০২৪ সালে ৫৪ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০৩০ সালে ৮৯ বিলিয়নে পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কেটসঅ্যান্ডমার্কেটস রিসার্চ।
তবে অনেক ক্যামেরা নিরাপত্তা এতটাই দুর্বল যে, সেগুলো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জন্য সহজ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
নিরাপত্তা খাতে কাজ করা জিওফ কোল জানান, ভালো কোম্পানির ক্যামেরাগুলো সফটওয়্যার আপডেট ও কনফিগারেশন অপশন দেয়। তবে ব্যবহারকারীদের নিজে থেকেই ধরে নিতে হবে যে, তাদের ভিডিও সিস্টেম লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।
বিশ্বখ্যাত এক জ্বালানি কোম্পানির নিরাপত্তা স্থপতি পেলেগ ভাসারম্যান বলেন, ‘ভোক্তারা সস্তা দামে নজরদারি ক্যামেরা কিনে থাকেন, তবে নিরাপত্তার দিকটা বিবেচনায় নেন না। ফলে নির্মাতাদেরও সুরক্ষা বাড়াতে কোনো প্রণোদনা থাকে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ জানে না, তারা যেটা রক্ষা করতে চাইছে, সেটাই অন্যের নজরে তুলে ধরছে।’
এ ছাড়া, অনেক ক্যামেরার ডিফল্ট পাসওয়ার্ড ‘১-২-৩-৪’-এর মতো সহজ, যা অনেক ব্যবহারকারী পরিবর্তন করেন না। কিছু সিস্টেম এমনকি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনলাইনে ভিডিও স্ট্রিম করে।
চীনা কোম্পানিগুলোর তৈরি ক্যামেরা বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হলেও এগুলোতে নিরাপত্তা দুর্বলতা থাকায় উদ্বেগ বাড়ছে। এক প্রতিবেদনে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান বিটসাইট জানায়, গত মাসে ইন্টারনেটে ৪০ হাজার সিসিটিভির লাইভ ফুটেজ দেখা গেছে, যার ১৪ হাজার যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত।
যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এসব ফুটেজ দেশের জন্য বড় দুর্বলতায় পরিণত হতে পারে।
২০২২ সালে ইসরায়েলি সাইবার সংস্থা জানিয়েছিল, ৬৬ হাজার ক্যামেরা ডিফল্ট পাসওয়ার্ড ব্যবহার করছে। তবে অনেক ব্যবহারকারী তা আমলে নেননি। দক্ষিণ ইসরায়েলের হামাস আক্রমণের শিকার শহরগুলোতেও এসব ক্যামেরা ব্যবহৃত হচ্ছিল।
হামলার পর সরকার কিছু নির্দেশনা দেয়, যার মধ্যে ছিল পাসওয়ার্ড পরিবর্তন, দুই স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা এবং চীনের তৈরি ক্যামেরা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা। এমনকি ট্রাফিক ক্যামেরা ও ব্যক্তিগত ডিভাইস, যেগুলো সেনা ঘাঁটি বা সীমান্তে দৃশ্য দেখাচ্ছিল তা বন্ধ করে দেওয়ার আইনি অনুমতিও পাওয়া হয়।
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের আগে এক সাক্ষাৎকারে ফ্রাঙ্কো জানান, সীমান্তঘেঁষা ফার্মে কৃষকদের বসানো ক্যামেরাগুলোও সেনা অবস্থান দেখিয়ে ফেলেছিল।
গত ১৩ জুন (শুক্রবার) ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পর ইরান পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে তেল আবিবে শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছোড়ে। ইরান জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় তাদের ২০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলে এখন পর্যন্ত ২৪ জন নিহত ও ৮০০-এর বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে।
তথ্যসূত্র: ব্লুমবার্গ

ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য অ্যান্ড্রু হারাচ্ছেন তাঁর ‘প্রিন্স’ উপাধি। রাজা তৃতীয় চার্লস এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। যৌন কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় সাজা হচ্ছে তাঁর। এখানেই শেষ নয়। তাঁকে ছাড়তে হবে উইন্ডসরে বরাদ্দ দেওয়া রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’।
৫ ঘণ্টা আগে
নেদারল্যান্ডসের সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়েছে মধ্যপন্থী দল ডেমোক্র্যাটস ৬৬ (ডি৬৬)। আজ শুক্রবার দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা এএনপি জানিয়েছে, দেশে সব ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর ডি৬৬-এর জয় নিশ্চিত হয়েছে। এর ফলে দলটির ৩৮ বছর বয়সী নেতা রব জেটেন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে তরুণ ও প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী...
৯ ঘণ্টা আগে
যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগের পর ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর ‘প্রিন্স’ উপাধি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’ ছেড়ে তাঁকে চলে যেতে হবে সাধারণ মানুষের গ্রামীণ সমাজে।
৯ ঘণ্টা আগে
পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় গত বুধবারের নির্বাচনের পর ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির প্রধান বিরোধী দল চাদেমা দাবি করেছে, এ সহিংসতায় এখন পর্যন্ত সাত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে জাতিসংঘ জানিয়েছে, তাদের কাছে ‘বিশ্বস্ত তথ্য’ রয়েছে—এ ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেব্রিটিশ রাজপরিবারে যৌন কেলেঙ্কারি
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য অ্যান্ড্রু হারাচ্ছেন তাঁর ‘প্রিন্স’ উপাধি। রাজা তৃতীয় চার্লস এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। যৌন কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় সাজা হচ্ছে তাঁর। এখানেই শেষ নয়। তাঁকে ছাড়তে হবে উইন্ডসরে বরাদ্দ দেওয়া রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’।
যুক্তরাষ্ট্রের কুখ্যাত যৌন নিপীড়ক হিসেবে দোষী সাব্যস্ত জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে তীব্র সমালোচনার মধ্যে আছেন অ্যান্ড্রু। আর এ অবস্থায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। বিবিসির খবরে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার রাতে বাকিংহাম প্যালেসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাজার ভাই এখন থেকে অ্যান্ড্রু মাউন্টব্যাটেন উইন্ডসর নামে পরিচিত হবেন।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ৬৫ বছর বয়সী এই সাবেক প্রিন্সের জাঁকালো জীবনযাপনের ইতি ঘটতে যাচ্ছে রাজা তৃতীয় চার্লসের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে। এরপর থেকে তিনি আর কোনো রাজকীয় সুযোগ-সুবিধাও পাবেন না। ২০ বছর ধরে যে বাড়িতে তিনি বসবাস করেছেন, সেটিও ছেড়ে দিতে হচ্ছে। আর এই রয়্যাল লজ ছেড়ে এখন গ্রামে গিয়ে থাকতে হবে তাঁকে। এটি হবে অ্যান্ড্রুর জন্য একধরনের নির্বাসিত জীবনযাপন।
যৌন নিপীড়কের ইতিহাসে এক ভয়ংকর নাম এপস্টেইন। কুখ্যাত এই নিপীড়ক নিউইয়র্কের কারাগারে ২০১৯ সালে আত্মহত্যা করেন। তবে তাঁকে নিয়ে এখনো আলোচনা হচ্ছে। এর পেছনে কারণ হলো যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। এ ছাড়া তাঁর সাবেক প্রেমিকা গিসলেইন ম্যাক্সওয়েল এবং আরেক যৌন নিপীড়ক হার্ভি ওয়াইনস্টিনকে নিজের বাড়িতে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন অ্যান্ড্রু।
অ্যান্ড্রুর মেয়ে বিট্রিসের ১৮তম জন্মদিন উদ্যাপনের জন্য এপস্টেইন, ম্যাক্সওয়েল ও হলিউডের সাবেক প্রযোজক ওয়াইনস্টিন ২০০৬ সালে উইন্ডসর ক্যাসেলে যান। অথচ এর দুই মাস আগে এক মেয়েশিশুর ওপর যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এপস্টেইনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। সম্প্রতি অ্যান্ড্রুকে জড়িয়ে এসব তথ্য প্রকাশের পর থেকেই রাজপরিবারের বিরুদ্ধে সমালোচনা বাড়ছিল। এরপর রাজা তৃতীয় চার্লস এমন সিদ্ধান্ত নিলেন।
বিবিসি বলছে, এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ককে কেন্দ্র করে সমালোচনার মুখে চলতি মাসের শুরুতে ‘ডিউক অব ইয়র্ক’সহ রাজকীয় নানা পদবি ব্যবহার না করার ঘোষণা দেন অ্যান্ড্রু। বিশেষ করে এপস্টেইনের বিরুদ্ধে অন্যতম অভিযোগকারী নারী ভার্জিনিয়া জিউফ্রের একটি স্মৃতিকথা প্রকাশের পর তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনা আরও বেড়ে যায়। জিউফ্রের মৃত্যুর পর চলতি মাসের শুরুর দিকে এ স্মৃতিকথা প্রকাশ করা হয়েছে। আত্মজীবনীতে জিউফ্রে অভিযোগ করেছেন, কিশোরী বয়সে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সঙ্গে তাঁর কয়েকবার যৌন সম্পর্ক হয়েছে। জীবিত থাকাকালেও অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন জিউফ্রে। অ্যান্ড্রু ২০২২ সালে জিউফ্রের সঙ্গে অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে মামলাটি মীমাংসা করেন।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বাকিংহাম প্যালেসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অ্যান্ড্রুর সব ধরনের উপাধি, সম্মাননা ও রাজকীয় মর্যাদা আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন রাজা তৃতীয় চার্লস। অ্যান্ড্রুকে দেওয়া রয়্যাল লজও ছাড়তে হবে। অ্যান্ড্রু নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো অস্বীকার করলেও এ শাস্তিগুলো অপরিহার্য বলে বিবেচিত হয়েছে। বাকিংহাম প্যালেসের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সব ধরনের নির্যাতনের শিকারদের প্রতি’ সমর্থন ও সহানুভূতি প্রকাশ করছে রাজপরিবার।
এদিকে অ্যান্ড্রুর উপাধি বাতিল হলেও দুই প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে প্রিন্সেস ইউজিনি ও প্রিন্সেস বিট্রিসের রাজকীয় উপাধি বহাল থাকবে। অ্যান্ড্রুর সাবেক স্ত্রী সারা ফার্গুসনও রয়্যাল লজ ছাড়বেন। অবশ্য তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই ‘ডিউক অব ইয়র্ক’ উপাধি ত্যাগ করেছেন। এরপর তিনি নিজের পারিবারিক নাম ফার্গুসন ব্যবহার করতে শুরু করেন।
কী আছে সেই বাড়িতে
যুক্তরাজ্যের অন্যতম বিলাসবহুল বাড়ি রয়্যাল লজ। ‘৩০ রুম ম্যানশন’খ্যাত এই বাড়িতে অ্যান্ড্রু আছেন ২০০৩ সাল থেকে। বাড়িটির আয়তন ৯৯ একর। সেখানে সুইমিং পুল, পাখি পালনের বন্দোবস্ত, ছয়টি লজ কটেজ, একটি বাগান কটেজ, এমনকি রাজপরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে। রয়্যাল লজে নামের বাড়িটি যুক্তরাজ্য সরকারের মালিকানাধীন। অ্যান্ড্রু সেখানে অনেকটা বিনা ভাড়ায় থাকার সুবিধা পেতেন।
১৬৬০ সালের দিকে এই বাড়ি তৈরি করা হয়েছিল। তবে বিভিন্ন সময় এই বাড়ি আধুনিকায়ন করা হয়েছে। রাজা চতুর্থ জর্জের আমলে এই বাড়ির আদলে পরিবর্তন আনা হয়। ১৮২০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে এটি রয়্যাল লজ নামে পরিচিতি পায়। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছোটবেলা কেটেছে এই বাড়িতে। ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত রানির পরিবারের সদস্যরা এই বাড়িতে ছিলেন।

ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য অ্যান্ড্রু হারাচ্ছেন তাঁর ‘প্রিন্স’ উপাধি। রাজা তৃতীয় চার্লস এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। যৌন কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় সাজা হচ্ছে তাঁর। এখানেই শেষ নয়। তাঁকে ছাড়তে হবে উইন্ডসরে বরাদ্দ দেওয়া রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’।
যুক্তরাষ্ট্রের কুখ্যাত যৌন নিপীড়ক হিসেবে দোষী সাব্যস্ত জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে তীব্র সমালোচনার মধ্যে আছেন অ্যান্ড্রু। আর এ অবস্থায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। বিবিসির খবরে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার রাতে বাকিংহাম প্যালেসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাজার ভাই এখন থেকে অ্যান্ড্রু মাউন্টব্যাটেন উইন্ডসর নামে পরিচিত হবেন।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ৬৫ বছর বয়সী এই সাবেক প্রিন্সের জাঁকালো জীবনযাপনের ইতি ঘটতে যাচ্ছে রাজা তৃতীয় চার্লসের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে। এরপর থেকে তিনি আর কোনো রাজকীয় সুযোগ-সুবিধাও পাবেন না। ২০ বছর ধরে যে বাড়িতে তিনি বসবাস করেছেন, সেটিও ছেড়ে দিতে হচ্ছে। আর এই রয়্যাল লজ ছেড়ে এখন গ্রামে গিয়ে থাকতে হবে তাঁকে। এটি হবে অ্যান্ড্রুর জন্য একধরনের নির্বাসিত জীবনযাপন।
যৌন নিপীড়কের ইতিহাসে এক ভয়ংকর নাম এপস্টেইন। কুখ্যাত এই নিপীড়ক নিউইয়র্কের কারাগারে ২০১৯ সালে আত্মহত্যা করেন। তবে তাঁকে নিয়ে এখনো আলোচনা হচ্ছে। এর পেছনে কারণ হলো যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। এ ছাড়া তাঁর সাবেক প্রেমিকা গিসলেইন ম্যাক্সওয়েল এবং আরেক যৌন নিপীড়ক হার্ভি ওয়াইনস্টিনকে নিজের বাড়িতে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন অ্যান্ড্রু।
অ্যান্ড্রুর মেয়ে বিট্রিসের ১৮তম জন্মদিন উদ্যাপনের জন্য এপস্টেইন, ম্যাক্সওয়েল ও হলিউডের সাবেক প্রযোজক ওয়াইনস্টিন ২০০৬ সালে উইন্ডসর ক্যাসেলে যান। অথচ এর দুই মাস আগে এক মেয়েশিশুর ওপর যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এপস্টেইনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। সম্প্রতি অ্যান্ড্রুকে জড়িয়ে এসব তথ্য প্রকাশের পর থেকেই রাজপরিবারের বিরুদ্ধে সমালোচনা বাড়ছিল। এরপর রাজা তৃতীয় চার্লস এমন সিদ্ধান্ত নিলেন।
বিবিসি বলছে, এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ককে কেন্দ্র করে সমালোচনার মুখে চলতি মাসের শুরুতে ‘ডিউক অব ইয়র্ক’সহ রাজকীয় নানা পদবি ব্যবহার না করার ঘোষণা দেন অ্যান্ড্রু। বিশেষ করে এপস্টেইনের বিরুদ্ধে অন্যতম অভিযোগকারী নারী ভার্জিনিয়া জিউফ্রের একটি স্মৃতিকথা প্রকাশের পর তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনা আরও বেড়ে যায়। জিউফ্রের মৃত্যুর পর চলতি মাসের শুরুর দিকে এ স্মৃতিকথা প্রকাশ করা হয়েছে। আত্মজীবনীতে জিউফ্রে অভিযোগ করেছেন, কিশোরী বয়সে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সঙ্গে তাঁর কয়েকবার যৌন সম্পর্ক হয়েছে। জীবিত থাকাকালেও অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন জিউফ্রে। অ্যান্ড্রু ২০২২ সালে জিউফ্রের সঙ্গে অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে মামলাটি মীমাংসা করেন।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বাকিংহাম প্যালেসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অ্যান্ড্রুর সব ধরনের উপাধি, সম্মাননা ও রাজকীয় মর্যাদা আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন রাজা তৃতীয় চার্লস। অ্যান্ড্রুকে দেওয়া রয়্যাল লজও ছাড়তে হবে। অ্যান্ড্রু নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো অস্বীকার করলেও এ শাস্তিগুলো অপরিহার্য বলে বিবেচিত হয়েছে। বাকিংহাম প্যালেসের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সব ধরনের নির্যাতনের শিকারদের প্রতি’ সমর্থন ও সহানুভূতি প্রকাশ করছে রাজপরিবার।
এদিকে অ্যান্ড্রুর উপাধি বাতিল হলেও দুই প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে প্রিন্সেস ইউজিনি ও প্রিন্সেস বিট্রিসের রাজকীয় উপাধি বহাল থাকবে। অ্যান্ড্রুর সাবেক স্ত্রী সারা ফার্গুসনও রয়্যাল লজ ছাড়বেন। অবশ্য তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই ‘ডিউক অব ইয়র্ক’ উপাধি ত্যাগ করেছেন। এরপর তিনি নিজের পারিবারিক নাম ফার্গুসন ব্যবহার করতে শুরু করেন।
কী আছে সেই বাড়িতে
যুক্তরাজ্যের অন্যতম বিলাসবহুল বাড়ি রয়্যাল লজ। ‘৩০ রুম ম্যানশন’খ্যাত এই বাড়িতে অ্যান্ড্রু আছেন ২০০৩ সাল থেকে। বাড়িটির আয়তন ৯৯ একর। সেখানে সুইমিং পুল, পাখি পালনের বন্দোবস্ত, ছয়টি লজ কটেজ, একটি বাগান কটেজ, এমনকি রাজপরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে। রয়্যাল লজে নামের বাড়িটি যুক্তরাজ্য সরকারের মালিকানাধীন। অ্যান্ড্রু সেখানে অনেকটা বিনা ভাড়ায় থাকার সুবিধা পেতেন।
১৬৬০ সালের দিকে এই বাড়ি তৈরি করা হয়েছিল। তবে বিভিন্ন সময় এই বাড়ি আধুনিকায়ন করা হয়েছে। রাজা চতুর্থ জর্জের আমলে এই বাড়ির আদলে পরিবর্তন আনা হয়। ১৮২০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে এটি রয়্যাল লজ নামে পরিচিতি পায়। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছোটবেলা কেটেছে এই বাড়িতে। ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত রানির পরিবারের সদস্যরা এই বাড়িতে ছিলেন।

ইসরায়েলের বেসরকারী সিসিটিভি ব্যবস্থাকে হ্যাক করে তাৎক্ষণিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছে ইরান। এমনই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন ইসরায়েলের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। এই কৌশল আগেও হামাস ও রাশিয়া বিভিন্ন সংঘাতে ব্যবহার করেছে।
২১ জুন ২০২৫
নেদারল্যান্ডসের সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়েছে মধ্যপন্থী দল ডেমোক্র্যাটস ৬৬ (ডি৬৬)। আজ শুক্রবার দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা এএনপি জানিয়েছে, দেশে সব ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর ডি৬৬-এর জয় নিশ্চিত হয়েছে। এর ফলে দলটির ৩৮ বছর বয়সী নেতা রব জেটেন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে তরুণ ও প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী...
৯ ঘণ্টা আগে
যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগের পর ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর ‘প্রিন্স’ উপাধি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’ ছেড়ে তাঁকে চলে যেতে হবে সাধারণ মানুষের গ্রামীণ সমাজে।
৯ ঘণ্টা আগে
পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় গত বুধবারের নির্বাচনের পর ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির প্রধান বিরোধী দল চাদেমা দাবি করেছে, এ সহিংসতায় এখন পর্যন্ত সাত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে জাতিসংঘ জানিয়েছে, তাদের কাছে ‘বিশ্বস্ত তথ্য’ রয়েছে—এ ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নেদারল্যান্ডসের সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়েছে মধ্যপন্থী দল ডেমোক্র্যাটস ৬৬ (ডি৬৬)। আজ শুক্রবার দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা এএনপি জানিয়েছে, দেশে সব ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর ডি৬৬-এর জয় নিশ্চিত হয়েছে। এর ফলে দলটির ৩৮ বছর বয়সী নেতা রব জেটেন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে তরুণ ও প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছেন।
এএনপি জানায়, ইউরোপপন্থী এই লিবারেল দলটিকে এখন আর গির্ট উইল্ডার্সের কট্টর ডানপন্থী ফ্রিডম পার্টি (পিভিভি) পেছনে ফেলতে পারবে না। নেদারল্যান্ডসের সব পৌরসভা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে এএনপি।
ফলাফল ঘোষণার পর জেটেন বলেন, ‘দেশের ভোটাররা পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, এখন সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা এমন একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ জোট গঠন করতে চাই, যারা বাসস্থান, অভিবাসন, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক ইস্যুতে আগ্রহ নিয়ে কাজ করবে।’
তবে পরাজয় স্বীকার করেননি গির্ট উইল্ডার্স। তিনি এক্সে জেটেনকে ‘অহংকারী’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবি করা অন্যায়।’ দেশটির নির্বাচনী পরিষদ আগামী সপ্তাহে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করবে।
এএনপির তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৮ শতাংশ ভোট পেয়ে ডি৬৬ এখন সরকারের নেতৃত্ব গঠনের প্রথম পর্বের আলোচনায় নেতৃত্ব দেবে। তবে ১৫০ সদস্যের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দলটির অন্তত তিনটি জোটসঙ্গীর প্রয়োজন হবে। নেদারল্যান্ডসে জোট সরকার গঠনের প্রক্রিয়া সাধারণত কয়েক মাস ধরে চলে।
উইল্ডার্স দাবি করেন, সারা দেশ থেকে তাঁকে ‘ভোট কারচুপির’ অভিযোগ পাঠানো হচ্ছে। যদিও তিনি নিজেই বলেন, এসব বার্তা কতটা সত্য, তা তিনি জানেন না, তবে সেগুলো তদন্ত করা উচিত।
এদিকে এসব অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে নাকচ করেছে কিছু কেন্দ্র। আমস্টারডামের উত্তরাঞ্চলের শহর জানস্টাড পৌর কর্তপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, এই অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। ভোট গ্রহণ স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হয়েছে।
এই নির্বাচনে ইতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে ডি৬৬ নিজেদের আসনসংখ্যা প্রায় ৩ গুণ বাড়িয়েছে। অন্যদিকে ২০২৩ সালের নির্বাচনে অপ্রত্যাশিত জয় পাওয়া পিভিভির জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে।
তবে ভোট গণনা ছিল উত্তেজনাপূর্ণ—প্রাথমিক ফলাফলে ডি৬৬ সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যায়ে পিভিভি সাময়িকভাবে এগিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত এএনপি নিশ্চিত করে, জয়ের ব্যবধান অল্প হলেও ডি৬৬-ই এগিয়ে রয়েছে।
বিদেশে বসবাসরত ডাচ নাগরিকদের ডাকযোগে পাঠানো ভোট গণনার পর আগামী সোমবার চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হবে। জয়ী দলের নেতারা মঙ্গলবার থেকে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন।

নেদারল্যান্ডসের সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়েছে মধ্যপন্থী দল ডেমোক্র্যাটস ৬৬ (ডি৬৬)। আজ শুক্রবার দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা এএনপি জানিয়েছে, দেশে সব ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর ডি৬৬-এর জয় নিশ্চিত হয়েছে। এর ফলে দলটির ৩৮ বছর বয়সী নেতা রব জেটেন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে তরুণ ও প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছেন।
এএনপি জানায়, ইউরোপপন্থী এই লিবারেল দলটিকে এখন আর গির্ট উইল্ডার্সের কট্টর ডানপন্থী ফ্রিডম পার্টি (পিভিভি) পেছনে ফেলতে পারবে না। নেদারল্যান্ডসের সব পৌরসভা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে এএনপি।
ফলাফল ঘোষণার পর জেটেন বলেন, ‘দেশের ভোটাররা পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, এখন সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা এমন একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ জোট গঠন করতে চাই, যারা বাসস্থান, অভিবাসন, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক ইস্যুতে আগ্রহ নিয়ে কাজ করবে।’
তবে পরাজয় স্বীকার করেননি গির্ট উইল্ডার্স। তিনি এক্সে জেটেনকে ‘অহংকারী’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দাবি করা অন্যায়।’ দেশটির নির্বাচনী পরিষদ আগামী সপ্তাহে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করবে।
এএনপির তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৮ শতাংশ ভোট পেয়ে ডি৬৬ এখন সরকারের নেতৃত্ব গঠনের প্রথম পর্বের আলোচনায় নেতৃত্ব দেবে। তবে ১৫০ সদস্যের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দলটির অন্তত তিনটি জোটসঙ্গীর প্রয়োজন হবে। নেদারল্যান্ডসে জোট সরকার গঠনের প্রক্রিয়া সাধারণত কয়েক মাস ধরে চলে।
উইল্ডার্স দাবি করেন, সারা দেশ থেকে তাঁকে ‘ভোট কারচুপির’ অভিযোগ পাঠানো হচ্ছে। যদিও তিনি নিজেই বলেন, এসব বার্তা কতটা সত্য, তা তিনি জানেন না, তবে সেগুলো তদন্ত করা উচিত।
এদিকে এসব অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে নাকচ করেছে কিছু কেন্দ্র। আমস্টারডামের উত্তরাঞ্চলের শহর জানস্টাড পৌর কর্তপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, এই অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। ভোট গ্রহণ স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হয়েছে।
এই নির্বাচনে ইতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে ডি৬৬ নিজেদের আসনসংখ্যা প্রায় ৩ গুণ বাড়িয়েছে। অন্যদিকে ২০২৩ সালের নির্বাচনে অপ্রত্যাশিত জয় পাওয়া পিভিভির জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে।
তবে ভোট গণনা ছিল উত্তেজনাপূর্ণ—প্রাথমিক ফলাফলে ডি৬৬ সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যায়ে পিভিভি সাময়িকভাবে এগিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত এএনপি নিশ্চিত করে, জয়ের ব্যবধান অল্প হলেও ডি৬৬-ই এগিয়ে রয়েছে।
বিদেশে বসবাসরত ডাচ নাগরিকদের ডাকযোগে পাঠানো ভোট গণনার পর আগামী সোমবার চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হবে। জয়ী দলের নেতারা মঙ্গলবার থেকে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন।

ইসরায়েলের বেসরকারী সিসিটিভি ব্যবস্থাকে হ্যাক করে তাৎক্ষণিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছে ইরান। এমনই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন ইসরায়েলের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। এই কৌশল আগেও হামাস ও রাশিয়া বিভিন্ন সংঘাতে ব্যবহার করেছে।
২১ জুন ২০২৫
ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য অ্যান্ড্রু হারাচ্ছেন তাঁর ‘প্রিন্স’ উপাধি। রাজা তৃতীয় চার্লস এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। যৌন কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় সাজা হচ্ছে তাঁর। এখানেই শেষ নয়। তাঁকে ছাড়তে হবে উইন্ডসরে বরাদ্দ দেওয়া রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’।
৫ ঘণ্টা আগে
যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগের পর ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর ‘প্রিন্স’ উপাধি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’ ছেড়ে তাঁকে চলে যেতে হবে সাধারণ মানুষের গ্রামীণ সমাজে।
৯ ঘণ্টা আগে
পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় গত বুধবারের নির্বাচনের পর ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির প্রধান বিরোধী দল চাদেমা দাবি করেছে, এ সহিংসতায় এখন পর্যন্ত সাত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে জাতিসংঘ জানিয়েছে, তাদের কাছে ‘বিশ্বস্ত তথ্য’ রয়েছে—এ ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগের পর ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর ‘প্রিন্স’ উপাধি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’ ছেড়ে তাঁকে চলে যেতে হবে সাধারণ মানুষের গ্রামীণ সমাজে। তবে রাজপরিবার থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর এখন থেকে তিনি তাঁর ভাই রাজা চার্লসের আর্থিক অনুদানে জীবন চালাবেন। রাজা নিজেই অ্যান্ড্রুর নতুন আবাসনের খরচ বহন করছেন বলে জানা গেছে।
শুধু ভাই অ্যন্ড্রু নয়, রাজপরিবারের আরও অনেক খাতেই রাজাকে অর্থ ব্যয় করতে হয়। কিন্তু এত বিপুল রাজকীয় ব্যয় রাজা কীভাবে সামাল দেন, কোন উৎস থেকে তিনি টাকা পান, সাধারণ মানুষের কাছে তা চরম কৌতূহলের বিষয়।
এই বিষয়ে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, প্রতিবছর রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকেই কোটি কোটি পাউন্ড পায় ব্রিটিশ রাজপরিবার। ‘সোভেরেইন গ্রান্ট’ নামে এই অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে এটি রাজা চার্লসের একমাত্র আয় নয়।
‘সোভেরেইন গ্রান্ট’ থেকে কত আসে?
২০২৫-২৬ অর্থবছরে ‘সোভেরেইন গ্রান্ট’ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ২১ লাখ পাউন্ডে (প্রায় ২ হাজার ১২০ কোটি টাকা), যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড বেশি।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই অনুদান ছিল ৮ কোটি ৬৩ লাখ। এর মধ্যে ৫ কোটি ১৮ লাখ পাউন্ড ছিল মূল রাজকীয় ব্যয়ের জন্য এবং ৩ কোটি ৪৫ লাখ পাউন্ড ব্যয় করা হয় বাকিংহাম প্যালেস আধুনিকায়ন প্রকল্পে।
২০১২ সালে এই বরাদ্দ যখন চালু হয়েছিল, তখন এটির পরিমাণ ছিল বছরে মাত্র ৩ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড।
আছে ‘ক্রাউন এস্টেট’ আয়
এই অনুদান নির্ধারিত হয় ‘ক্রাউন এস্টেট’ এর মুনাফার ওপর ভিত্তি করে। এই সম্পত্তি রাজার মালিকানাধীন হলেও তা স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয় এবং আয় সরকারি কোষাগারে জমা হয়। এরপর সেই মুনাফার একটি নির্দিষ্ট অংশ রাজপরিবারকে দেওয়া হয়।
২০২৩-২৪ সালে ক্রাউন এস্টেটের সম্পদের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৫ বিলিয়ন পাউন্ড, যার মধ্যে রয়েছে লন্ডনের রিজেন্ট স্ট্রিটসহ বিপুল সম্পত্তি ও উপকূলবর্তী ভূমি। তবে এই সম্পত্তি রাজা ব্যক্তিগতভাবে বিক্রি বা নিজের জন্য ব্যবহার করতে পারেন না।
এই খাতের আয় থেকে ২০১৭ সালে রাজপরিবারের জন্য বরাদ্দের হার বাড়িয়ে মুনাফার ২৫ শতাংশ করা হয়েছিল। তবে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রয়োজন হয়েছিল মূলত বাকিংহাম প্যালেস সংস্কারের জন্য। ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে তা কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়। তবু অফশোর উইন্ডফার্মের মুনাফা বৃদ্ধির কারণে এই বছর এই রাজা চার্লস প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড বেশি পেয়েছেন।
রাজপরিবারের অন্য আয়
রাজা চার্লস ডাচি অব ল্যাঙ্কাস্টার নামের একটি ব্যক্তিগত এস্টেট থেকেও আয় করেন, যা ১৮ হাজার হেক্টর জমি ও বিভিন্ন সম্পত্তি নিয়ে গঠিত। ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত এই সম্পদের মূল্য ছিল ৬৭৯ মিলিয়ন পাউন্ড এবং বার্ষিক মুনাফা প্রায় ২ কোটি ৪৪ লাখ পাউন্ড।
অন্যদিকে, রাজার পুত্র প্রিন্স উইলিয়াম পান ডাচি অব কর্নওয়াল থেকে আয়। ওই সম্পদের মূল্য ১.১ বিলিয়ন পাউন্ড এবং বার্ষিক মুনাফা প্রায় ২ কোটি ২৯ লাখ পাউন্ড।
এই দুটি সম্পত্তির আয় রাজা ও প্রিন্স উইলিয়াম ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করতে পারেন, তবে এস্টেটের সম্পদ বিক্রি করলে, সেই অর্থ নিজেদের কাছে রাখতে পারেন না।
চার্লসের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ‘বালমোরাল’ ও ‘স্যান্ড্রিংহাম’ এস্টেট। ধারণা করা হচ্ছে, ছোট ভাই প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে নরফোকের স্যান্ড্রিংহাম এস্টেটেই থাকতে দেবেন রাজা চার্লস।
কর দেয় রাজপরিবার
১৯৯২ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ নিজের আয় থেকে কর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রাজা চার্লসও তা অনুসরণ করছেন। তবে তাঁরা কত কর দেন তা প্রকাশ করা হয় না। এ ছাড়া রাজপরিবারের জন্য বরাদ্দ ‘সোভেরেইন গ্রান্ট’ এই করের আওতায় পড়ে না।
এদিকে ‘রিপাবলিক’ নামে একটি গণতান্ত্রিক সংস্থা দাবি করেছে, নিরাপত্তা ও অন্যান্য ব্যয়সহ রাজতন্ত্র বজায় রাখতে যুক্তরাজ্যের জনগণের বছরে প্রায় ৫১ কোটি পাউন্ড খরচ হয়।

যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগের পর ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর ‘প্রিন্স’ উপাধি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’ ছেড়ে তাঁকে চলে যেতে হবে সাধারণ মানুষের গ্রামীণ সমাজে। তবে রাজপরিবার থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর এখন থেকে তিনি তাঁর ভাই রাজা চার্লসের আর্থিক অনুদানে জীবন চালাবেন। রাজা নিজেই অ্যান্ড্রুর নতুন আবাসনের খরচ বহন করছেন বলে জানা গেছে।
শুধু ভাই অ্যন্ড্রু নয়, রাজপরিবারের আরও অনেক খাতেই রাজাকে অর্থ ব্যয় করতে হয়। কিন্তু এত বিপুল রাজকীয় ব্যয় রাজা কীভাবে সামাল দেন, কোন উৎস থেকে তিনি টাকা পান, সাধারণ মানুষের কাছে তা চরম কৌতূহলের বিষয়।
এই বিষয়ে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, প্রতিবছর রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকেই কোটি কোটি পাউন্ড পায় ব্রিটিশ রাজপরিবার। ‘সোভেরেইন গ্রান্ট’ নামে এই অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে এটি রাজা চার্লসের একমাত্র আয় নয়।
‘সোভেরেইন গ্রান্ট’ থেকে কত আসে?
২০২৫-২৬ অর্থবছরে ‘সোভেরেইন গ্রান্ট’ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ২১ লাখ পাউন্ডে (প্রায় ২ হাজার ১২০ কোটি টাকা), যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড বেশি।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই অনুদান ছিল ৮ কোটি ৬৩ লাখ। এর মধ্যে ৫ কোটি ১৮ লাখ পাউন্ড ছিল মূল রাজকীয় ব্যয়ের জন্য এবং ৩ কোটি ৪৫ লাখ পাউন্ড ব্যয় করা হয় বাকিংহাম প্যালেস আধুনিকায়ন প্রকল্পে।
২০১২ সালে এই বরাদ্দ যখন চালু হয়েছিল, তখন এটির পরিমাণ ছিল বছরে মাত্র ৩ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড।
আছে ‘ক্রাউন এস্টেট’ আয়
এই অনুদান নির্ধারিত হয় ‘ক্রাউন এস্টেট’ এর মুনাফার ওপর ভিত্তি করে। এই সম্পত্তি রাজার মালিকানাধীন হলেও তা স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয় এবং আয় সরকারি কোষাগারে জমা হয়। এরপর সেই মুনাফার একটি নির্দিষ্ট অংশ রাজপরিবারকে দেওয়া হয়।
২০২৩-২৪ সালে ক্রাউন এস্টেটের সম্পদের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৫ বিলিয়ন পাউন্ড, যার মধ্যে রয়েছে লন্ডনের রিজেন্ট স্ট্রিটসহ বিপুল সম্পত্তি ও উপকূলবর্তী ভূমি। তবে এই সম্পত্তি রাজা ব্যক্তিগতভাবে বিক্রি বা নিজের জন্য ব্যবহার করতে পারেন না।
এই খাতের আয় থেকে ২০১৭ সালে রাজপরিবারের জন্য বরাদ্দের হার বাড়িয়ে মুনাফার ২৫ শতাংশ করা হয়েছিল। তবে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রয়োজন হয়েছিল মূলত বাকিংহাম প্যালেস সংস্কারের জন্য। ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে তা কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়। তবু অফশোর উইন্ডফার্মের মুনাফা বৃদ্ধির কারণে এই বছর এই রাজা চার্লস প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড বেশি পেয়েছেন।
রাজপরিবারের অন্য আয়
রাজা চার্লস ডাচি অব ল্যাঙ্কাস্টার নামের একটি ব্যক্তিগত এস্টেট থেকেও আয় করেন, যা ১৮ হাজার হেক্টর জমি ও বিভিন্ন সম্পত্তি নিয়ে গঠিত। ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত এই সম্পদের মূল্য ছিল ৬৭৯ মিলিয়ন পাউন্ড এবং বার্ষিক মুনাফা প্রায় ২ কোটি ৪৪ লাখ পাউন্ড।
অন্যদিকে, রাজার পুত্র প্রিন্স উইলিয়াম পান ডাচি অব কর্নওয়াল থেকে আয়। ওই সম্পদের মূল্য ১.১ বিলিয়ন পাউন্ড এবং বার্ষিক মুনাফা প্রায় ২ কোটি ২৯ লাখ পাউন্ড।
এই দুটি সম্পত্তির আয় রাজা ও প্রিন্স উইলিয়াম ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করতে পারেন, তবে এস্টেটের সম্পদ বিক্রি করলে, সেই অর্থ নিজেদের কাছে রাখতে পারেন না।
চার্লসের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ‘বালমোরাল’ ও ‘স্যান্ড্রিংহাম’ এস্টেট। ধারণা করা হচ্ছে, ছোট ভাই প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে নরফোকের স্যান্ড্রিংহাম এস্টেটেই থাকতে দেবেন রাজা চার্লস।
কর দেয় রাজপরিবার
১৯৯২ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ নিজের আয় থেকে কর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রাজা চার্লসও তা অনুসরণ করছেন। তবে তাঁরা কত কর দেন তা প্রকাশ করা হয় না। এ ছাড়া রাজপরিবারের জন্য বরাদ্দ ‘সোভেরেইন গ্রান্ট’ এই করের আওতায় পড়ে না।
এদিকে ‘রিপাবলিক’ নামে একটি গণতান্ত্রিক সংস্থা দাবি করেছে, নিরাপত্তা ও অন্যান্য ব্যয়সহ রাজতন্ত্র বজায় রাখতে যুক্তরাজ্যের জনগণের বছরে প্রায় ৫১ কোটি পাউন্ড খরচ হয়।

ইসরায়েলের বেসরকারী সিসিটিভি ব্যবস্থাকে হ্যাক করে তাৎক্ষণিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছে ইরান। এমনই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন ইসরায়েলের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। এই কৌশল আগেও হামাস ও রাশিয়া বিভিন্ন সংঘাতে ব্যবহার করেছে।
২১ জুন ২০২৫
ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য অ্যান্ড্রু হারাচ্ছেন তাঁর ‘প্রিন্স’ উপাধি। রাজা তৃতীয় চার্লস এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। যৌন কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় সাজা হচ্ছে তাঁর। এখানেই শেষ নয়। তাঁকে ছাড়তে হবে উইন্ডসরে বরাদ্দ দেওয়া রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’।
৫ ঘণ্টা আগে
নেদারল্যান্ডসের সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়েছে মধ্যপন্থী দল ডেমোক্র্যাটস ৬৬ (ডি৬৬)। আজ শুক্রবার দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা এএনপি জানিয়েছে, দেশে সব ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর ডি৬৬-এর জয় নিশ্চিত হয়েছে। এর ফলে দলটির ৩৮ বছর বয়সী নেতা রব জেটেন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে তরুণ ও প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী...
৯ ঘণ্টা আগে
পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় গত বুধবারের নির্বাচনের পর ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির প্রধান বিরোধী দল চাদেমা দাবি করেছে, এ সহিংসতায় এখন পর্যন্ত সাত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে জাতিসংঘ জানিয়েছে, তাদের কাছে ‘বিশ্বস্ত তথ্য’ রয়েছে—এ ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় গত বুধবারের নির্বাচনের পর ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির প্রধান বিরোধী দল চাদেমা দাবি করেছে, এ সহিংসতায় এখন পর্যন্ত সাত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে জাতিসংঘ জানিয়েছে, তাদের কাছে ‘বিশ্বস্ত তথ্য’ রয়েছে—এ ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছে।
আজ শুক্রবার ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চাদেমা দলের মুখপাত্র জন কিতোকা বলেন, দার এস সালামে প্রায় ৩৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং মওয়ানজায় নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। দেশজুড়ে এই সংখ্যা যোগ করলে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৭০০।
কিতোকা জানান, দলের সদস্যরা দেশজুড়ে বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করে এ তথ্য সংগ্রহ করেছেন। এএফপি জানিয়েছে, তারা নিরাপত্তা সূত্র থেকেও একই ধরনের তথ্য পেয়েছে।
তবে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এসব তথ্য যাচাই করতে পারেনি। তানজানিয়া সরকারও এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ করেনি, শুধু বলেছে—দেশে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনার পর ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়’ নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের মুখপাত্র সেইফ মাগাঙ্গো আজ জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে রয়টার্সকে বলেন, ‘আমাদের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা বাহিনীকে আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন অপ্রয়োজনীয় বা অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ না করে এবং পরিস্থিতি শান্ত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে।’
এর আগে গত বুধবার তানজানিয়ার বাণিজ্যিক শহর দার এস সালামে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। এ শহরে ৭০ লাখের বেশি মানুষের বাস। ওই দিন নির্বাচনে প্রধান দুই বিরোধী দলকে অংশ নিতে না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ নাগরিকেরা রাস্তায় নেমেছিলেন। বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি যানবাহন, একটি পেট্রলপাম্প ও কয়েকটি থানায় আগুন ধরিয়ে দেন।
প্রথম দিনের বিক্ষোভের পর গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল জ্যাকব জন মুকুন্দা বিক্ষোভকারীদের রাস্তা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন এবং বলেন, সামরিক বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে কাজ করবে।
রাষ্ট্রীয় টিভিতে দেওয়া ভাষণে জেনারেল মুকুন্দা বলেন, গত বুধবার কিছু লোক রাস্তায় নেমে অপরাধমূলক কাজ করেছে। তারা অপরাধী এবং এই অপরাধমূলক কাজ অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে।
কিন্তু বিক্ষোভকারীরা বাণিজ্যিক রাজধানী দার এস সালামের রাস্তায় আবারও নেমেছেন। আজ তাঁরা টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা দেশটির নির্বাচন কমিশনকে ফল ঘোষণা বন্ধ করার দাবি জানান। কিন্তু সরকার সেনা মোতায়েন করে এবং দেশজুড়ে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়।
চাদেমা মুখপাত্র কিতোকা বলেন, ‘আমরা সংস্কারের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাব।’
এদিকে, সহিংসতা বাড়ার আশঙ্কায় তানজানিয়ার প্রধান মুসলিম ধর্মগুরু শেখ আবুবকর জুবাইর বিন আলি মুসলমানদের বাড়িতে জুমার নামাজ পড়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।
তানজানিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম টিবিসির তথ্যমতে, দেশের মোট ১০০টি অঞ্চলের মধ্যে প্রায় ৮০টি অঞ্চলের ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
ক্ষমতাসীন চামা চা মাপিন্দুজি (সিসিএম) পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান আবারও নির্বাচনে জয়ী হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। দলটি ১৯৬১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে তানজানিয়া শাসন করছে। আগামীকাল শনিবার আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সামিয়া হাসান ২০২১ সালে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলির মৃত্যুর পর দায়িত্ব নেন। কিন্তু এর পর থেকে তাঁর সরকার সমালোচক, সাংবাদিক ও বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচিত।
জাতিসংঘ বলছে, দেশটিতে ‘বিরোধীদের ওপর আক্রমণ, গুম ও নির্যাতনের’ ঘটনা বেড়েই চলেছে।
বুধবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান তাঁর প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেননি। চলতি বছরের এপ্রিলে প্রধান বিরোধী দল চাদেমা নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের জাতীয় নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া হয়। এর কয়েক দিন আগে দলের নেতা তুনদু লিসু এক জনসভায় নির্বাচনী সংস্কারের দাবি তুললে তাঁকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে, দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দল এসিটি ওয়াজালেন্দোর প্রার্থী লুহাগা এমপিনাকে অ্যাটর্নি জেনারেলের আপত্তির পর অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো মাসের পর মাস ধরে তানজানিয়ার নির্বাচনসংক্রান্ত সহিংসতা ও দমননীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিল। গত জুনে জাতিসংঘের নয়জন বিশেষজ্ঞ প্যানেল এক বিবৃতিতে সরকারের কর্মকাণ্ডকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করে এবং ২০১৯ সাল থেকে দুই শতাধিক গুমের ঘটনা নথিভুক্ত করার কথা জানায়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) সেপ্টেম্বরে জানায়, তারা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অন্তত ১০টি রাজনৈতিকভাবে প্রণোদিত হামলা, হয়রানি, অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। এ ছাড়া গণমাধ্যম ও নাগরিক সংগঠনের ওপর ব্যাপক সীমাবদ্ধতাও আরোপ করা হয়েছে।

পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় গত বুধবারের নির্বাচনের পর ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির প্রধান বিরোধী দল চাদেমা দাবি করেছে, এ সহিংসতায় এখন পর্যন্ত সাত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে জাতিসংঘ জানিয়েছে, তাদের কাছে ‘বিশ্বস্ত তথ্য’ রয়েছে—এ ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছে।
আজ শুক্রবার ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চাদেমা দলের মুখপাত্র জন কিতোকা বলেন, দার এস সালামে প্রায় ৩৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং মওয়ানজায় নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। দেশজুড়ে এই সংখ্যা যোগ করলে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৭০০।
কিতোকা জানান, দলের সদস্যরা দেশজুড়ে বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করে এ তথ্য সংগ্রহ করেছেন। এএফপি জানিয়েছে, তারা নিরাপত্তা সূত্র থেকেও একই ধরনের তথ্য পেয়েছে।
তবে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এসব তথ্য যাচাই করতে পারেনি। তানজানিয়া সরকারও এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ করেনি, শুধু বলেছে—দেশে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনার পর ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়’ নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের মুখপাত্র সেইফ মাগাঙ্গো আজ জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে রয়টার্সকে বলেন, ‘আমাদের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা বাহিনীকে আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন অপ্রয়োজনীয় বা অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ না করে এবং পরিস্থিতি শান্ত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে।’
এর আগে গত বুধবার তানজানিয়ার বাণিজ্যিক শহর দার এস সালামে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। এ শহরে ৭০ লাখের বেশি মানুষের বাস। ওই দিন নির্বাচনে প্রধান দুই বিরোধী দলকে অংশ নিতে না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ নাগরিকেরা রাস্তায় নেমেছিলেন। বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি যানবাহন, একটি পেট্রলপাম্প ও কয়েকটি থানায় আগুন ধরিয়ে দেন।
প্রথম দিনের বিক্ষোভের পর গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল জ্যাকব জন মুকুন্দা বিক্ষোভকারীদের রাস্তা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন এবং বলেন, সামরিক বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে কাজ করবে।
রাষ্ট্রীয় টিভিতে দেওয়া ভাষণে জেনারেল মুকুন্দা বলেন, গত বুধবার কিছু লোক রাস্তায় নেমে অপরাধমূলক কাজ করেছে। তারা অপরাধী এবং এই অপরাধমূলক কাজ অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে।
কিন্তু বিক্ষোভকারীরা বাণিজ্যিক রাজধানী দার এস সালামের রাস্তায় আবারও নেমেছেন। আজ তাঁরা টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা দেশটির নির্বাচন কমিশনকে ফল ঘোষণা বন্ধ করার দাবি জানান। কিন্তু সরকার সেনা মোতায়েন করে এবং দেশজুড়ে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়।
চাদেমা মুখপাত্র কিতোকা বলেন, ‘আমরা সংস্কারের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাব।’
এদিকে, সহিংসতা বাড়ার আশঙ্কায় তানজানিয়ার প্রধান মুসলিম ধর্মগুরু শেখ আবুবকর জুবাইর বিন আলি মুসলমানদের বাড়িতে জুমার নামাজ পড়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।
তানজানিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম টিবিসির তথ্যমতে, দেশের মোট ১০০টি অঞ্চলের মধ্যে প্রায় ৮০টি অঞ্চলের ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
ক্ষমতাসীন চামা চা মাপিন্দুজি (সিসিএম) পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান আবারও নির্বাচনে জয়ী হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। দলটি ১৯৬১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে তানজানিয়া শাসন করছে। আগামীকাল শনিবার আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সামিয়া হাসান ২০২১ সালে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলির মৃত্যুর পর দায়িত্ব নেন। কিন্তু এর পর থেকে তাঁর সরকার সমালোচক, সাংবাদিক ও বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচিত।
জাতিসংঘ বলছে, দেশটিতে ‘বিরোধীদের ওপর আক্রমণ, গুম ও নির্যাতনের’ ঘটনা বেড়েই চলেছে।
বুধবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান তাঁর প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেননি। চলতি বছরের এপ্রিলে প্রধান বিরোধী দল চাদেমা নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের জাতীয় নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া হয়। এর কয়েক দিন আগে দলের নেতা তুনদু লিসু এক জনসভায় নির্বাচনী সংস্কারের দাবি তুললে তাঁকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে, দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দল এসিটি ওয়াজালেন্দোর প্রার্থী লুহাগা এমপিনাকে অ্যাটর্নি জেনারেলের আপত্তির পর অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো মাসের পর মাস ধরে তানজানিয়ার নির্বাচনসংক্রান্ত সহিংসতা ও দমননীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিল। গত জুনে জাতিসংঘের নয়জন বিশেষজ্ঞ প্যানেল এক বিবৃতিতে সরকারের কর্মকাণ্ডকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করে এবং ২০১৯ সাল থেকে দুই শতাধিক গুমের ঘটনা নথিভুক্ত করার কথা জানায়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) সেপ্টেম্বরে জানায়, তারা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অন্তত ১০টি রাজনৈতিকভাবে প্রণোদিত হামলা, হয়রানি, অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। এ ছাড়া গণমাধ্যম ও নাগরিক সংগঠনের ওপর ব্যাপক সীমাবদ্ধতাও আরোপ করা হয়েছে।

ইসরায়েলের বেসরকারী সিসিটিভি ব্যবস্থাকে হ্যাক করে তাৎক্ষণিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছে ইরান। এমনই হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন ইসরায়েলের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। এই কৌশল আগেও হামাস ও রাশিয়া বিভিন্ন সংঘাতে ব্যবহার করেছে।
২১ জুন ২০২৫
ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য অ্যান্ড্রু হারাচ্ছেন তাঁর ‘প্রিন্স’ উপাধি। রাজা তৃতীয় চার্লস এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। যৌন কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় সাজা হচ্ছে তাঁর। এখানেই শেষ নয়। তাঁকে ছাড়তে হবে উইন্ডসরে বরাদ্দ দেওয়া রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’।
৫ ঘণ্টা আগে
নেদারল্যান্ডসের সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়েছে মধ্যপন্থী দল ডেমোক্র্যাটস ৬৬ (ডি৬৬)। আজ শুক্রবার দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা এএনপি জানিয়েছে, দেশে সব ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর ডি৬৬-এর জয় নিশ্চিত হয়েছে। এর ফলে দলটির ৩৮ বছর বয়সী নেতা রব জেটেন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে তরুণ ও প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী...
৯ ঘণ্টা আগে
যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগের পর ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যতম সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর ‘প্রিন্স’ উপাধি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি রাজকীয় বাসভবন ‘রয়্যাল লজ’ ছেড়ে তাঁকে চলে যেতে হবে সাধারণ মানুষের গ্রামীণ সমাজে।
৯ ঘণ্টা আগে