অনলাইন ডেস্ক
ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চল গাজায় ইসরায়েলের অবরোধ চলছে ৮০ দিনের বেশি সময় ধরে। এই সময়ে অঞ্চলটিতে ন্যূনতম প্রয়োজনীয় খাবার, ওষুধ ও অন্যান্য কোনো রসদ প্রবেশ করতে পারেনি। আর এই মাশুল চুকিয়েছে গাজাবাসী, তাদের প্রাণ দিয়ে। গাজার জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, ইসরায়েলি অবরোধের কারণে এই সময়ে ৩৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে অনাহারে। একই সময়ে প্রয়োজনীয় খাদ্য, চিকিৎসা ও অন্যান্য সুবিধার অভাবে ৩ শতাধিক নারীর গর্ভপাত হয়েছে।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি গাজার জনসংযোগ বিভাগের বরাত দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছে, ইসরায়েলের ৮০ দিনের অবরোধে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রায় ৩৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩০০ টিরও বেশি গর্ভপাত ঘটেছে। তাদের অভিযোগ, ইসরায়েল অঞ্চলটিতে সব ধরনের সহায়তা বন্ধ করে গণহত্যা চালাচ্ছে।
গাজার জনসংযোগ বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি দখলদারদের গাজায় চাপিয়ে দেওয়া অনাহার নীতিতে অপুষ্টি, খাদ্য ও ওষুধের অভাবে ৩২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ৮০ দিনে ৩০০ টিরও বেশি গর্ভপাতের ঘটনা ঘটেছে।’ গাজার মানবিক পরিস্থিতির অবনতিতে গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে তারা এবং ইসরায়েলকে ‘পরিকল্পিত অনাহার নীতি’ চালিয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী করেছে।
গাজা সরকারের এই বিভাগ এই পরিস্থিতিকে ‘গণহত্যার শামিল একটি সম্পূর্ণ অপরাধ’ বলে অভিহিত করেছে। একই সঙ্গে ২৪ লাখের বেশি ফিলিস্তিনিদের জীবন হুমকির মুখে বলে সতর্ক করেছে। জনসংযোগ বিভাগ নিশ্চিত করেছে, গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল মানবিক সাহায্য, চিকিৎসা সামগ্রী এবং জ্বালানি প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজার মানুষের ন্যূনতম চাহিদা পূরণের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৪৪ হাজার ট্রাক সাহায্যের প্রয়োজন। ৮০ দিনের অবরোধে মৃতের সংখ্যার বিষয়ে জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, অপুষ্টিতে ৫৮ জন, এবং খাদ্য ও ওষুধের অভাবে ২৪২ জন মারা গেছেন, যাদের বেশির ভাগই বয়স্ক। এ ছাড়া, ২৬ জন কিডনি রোগী সঠিক পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবার অভাবে মারা গেছেন।
গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানের তীব্র ঘাটতির কারণে ৩০০ টিরও বেশি গর্ভপাত রেকর্ড করা হয়েছে। অপুষ্টির বিষয়ে জনসংযোগ বিভাগ উল্লেখ করেছে যে, বাসিন্দাদের দুর্বল স্বাস্থ্যের কারণে রক্তদান অভিযান ব্যর্থ হচ্ছে। আহত রোগীদের জরুরি অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালের রক্ত ইউনিটের তীব্র ঘাটতি রয়েছে। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, দ্রুত পদক্ষেপ নিতে এবং খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানির প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে। শত শত হাজার নাগরিকের জীবন বাঁচাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
গাজার জন্য প্রতিদিন ৫০০ ট্রাক সাহায্য এবং ৫০ ট্রাক জ্বালানির প্রয়োজন, যা অত্যাবশ্যকীয় এবং চিকিৎসা সুবিধার জন্য জরুরি। ইসরায়েল ২ মার্চ থেকে গাজার সমস্ত ক্রসিং বন্ধ করে এবং সীমান্তে জমা হওয়া সাহায্য আটকে রেখে ২৪ লাখ ফিলিস্তিনিকে পরিকল্পিতভাবে অনাহার দিচ্ছে। এতে গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার উত্তর ও দক্ষিণ অংশে স্থল অভিযান ঘোষণার মাধ্যমে তাদের গণহত্যা আরও তীব্র করেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় বর্বর হামলা চালাচ্ছে। এতে প্রায় ৫৩ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত নভেম্বরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চল গাজায় ইসরায়েলের অবরোধ চলছে ৮০ দিনের বেশি সময় ধরে। এই সময়ে অঞ্চলটিতে ন্যূনতম প্রয়োজনীয় খাবার, ওষুধ ও অন্যান্য কোনো রসদ প্রবেশ করতে পারেনি। আর এই মাশুল চুকিয়েছে গাজাবাসী, তাদের প্রাণ দিয়ে। গাজার জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, ইসরায়েলি অবরোধের কারণে এই সময়ে ৩৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে অনাহারে। একই সময়ে প্রয়োজনীয় খাদ্য, চিকিৎসা ও অন্যান্য সুবিধার অভাবে ৩ শতাধিক নারীর গর্ভপাত হয়েছে।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি গাজার জনসংযোগ বিভাগের বরাত দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছে, ইসরায়েলের ৮০ দিনের অবরোধে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রায় ৩৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩০০ টিরও বেশি গর্ভপাত ঘটেছে। তাদের অভিযোগ, ইসরায়েল অঞ্চলটিতে সব ধরনের সহায়তা বন্ধ করে গণহত্যা চালাচ্ছে।
গাজার জনসংযোগ বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি দখলদারদের গাজায় চাপিয়ে দেওয়া অনাহার নীতিতে অপুষ্টি, খাদ্য ও ওষুধের অভাবে ৩২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ৮০ দিনে ৩০০ টিরও বেশি গর্ভপাতের ঘটনা ঘটেছে।’ গাজার মানবিক পরিস্থিতির অবনতিতে গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে তারা এবং ইসরায়েলকে ‘পরিকল্পিত অনাহার নীতি’ চালিয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী করেছে।
গাজা সরকারের এই বিভাগ এই পরিস্থিতিকে ‘গণহত্যার শামিল একটি সম্পূর্ণ অপরাধ’ বলে অভিহিত করেছে। একই সঙ্গে ২৪ লাখের বেশি ফিলিস্তিনিদের জীবন হুমকির মুখে বলে সতর্ক করেছে। জনসংযোগ বিভাগ নিশ্চিত করেছে, গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল মানবিক সাহায্য, চিকিৎসা সামগ্রী এবং জ্বালানি প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজার মানুষের ন্যূনতম চাহিদা পূরণের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৪৪ হাজার ট্রাক সাহায্যের প্রয়োজন। ৮০ দিনের অবরোধে মৃতের সংখ্যার বিষয়ে জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, অপুষ্টিতে ৫৮ জন, এবং খাদ্য ও ওষুধের অভাবে ২৪২ জন মারা গেছেন, যাদের বেশির ভাগই বয়স্ক। এ ছাড়া, ২৬ জন কিডনি রোগী সঠিক পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবার অভাবে মারা গেছেন।
গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানের তীব্র ঘাটতির কারণে ৩০০ টিরও বেশি গর্ভপাত রেকর্ড করা হয়েছে। অপুষ্টির বিষয়ে জনসংযোগ বিভাগ উল্লেখ করেছে যে, বাসিন্দাদের দুর্বল স্বাস্থ্যের কারণে রক্তদান অভিযান ব্যর্থ হচ্ছে। আহত রোগীদের জরুরি অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালের রক্ত ইউনিটের তীব্র ঘাটতি রয়েছে। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, দ্রুত পদক্ষেপ নিতে এবং খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানির প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে। শত শত হাজার নাগরিকের জীবন বাঁচাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
গাজার জন্য প্রতিদিন ৫০০ ট্রাক সাহায্য এবং ৫০ ট্রাক জ্বালানির প্রয়োজন, যা অত্যাবশ্যকীয় এবং চিকিৎসা সুবিধার জন্য জরুরি। ইসরায়েল ২ মার্চ থেকে গাজার সমস্ত ক্রসিং বন্ধ করে এবং সীমান্তে জমা হওয়া সাহায্য আটকে রেখে ২৪ লাখ ফিলিস্তিনিকে পরিকল্পিতভাবে অনাহার দিচ্ছে। এতে গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার উত্তর ও দক্ষিণ অংশে স্থল অভিযান ঘোষণার মাধ্যমে তাদের গণহত্যা আরও তীব্র করেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় বর্বর হামলা চালাচ্ছে। এতে প্রায় ৫৩ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত নভেম্বরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘাতের পর ইরানের রাজনৈতিক বিভাজন আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের বিরুদ্ধে এবার সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে উৎখাত করে অভ্যুত্থান পরিকল্পনার অভিযোগ উঠেছে।
৪ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি দিনের আলোয় জনসমক্ষে গুলি করে হত্যা করা হয় ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউ-এর কর্মকর্তা কর্নেল ইভান ভোরোনিচকে। এই হত্যার পরপরই একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা কিয়েভবাসীর মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
৬ ঘণ্টা আগেইসরায়েলি সেনাবাহিনী সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত সিরীয় প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর ও প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে বিমান হামলা চালিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই হামলায় অন্তত একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ১৮ জন আহত হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেভারতের সর্বোচ্চ সুন্নি ধর্মীয় নেতা শেখ আবুবকর আহমদের হস্তক্ষেপে ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নার্স নিমিষা প্রিয়ার শাস্তি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। ২০১৭ সালে এক ইয়েমেনি নাগরিককে হত্যার দায়ে নিমিষার মৃত্যুদণ্ড নির্ধারিত ছিল আজ বুধবার, ১৬ জুলাই। তবে শেষ মুহূর্তে কূটনৈতিক ও ধর্মীয় আলোচনার মাধ্যমে ইয়েমেন
৬ ঘণ্টা আগে