Ajker Patrika

গাজায় নিহত বেড়ে ৬২ হাজারের কাছে, অনাহারে আরও ৭ ফিলিস্তিনির মৃত্যু

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ০৮: ৫৮
গাজায় নিহত বেড়ে ৬২ হাজারের কাছে, অনাহারে আরও ৭ ফিলিস্তিনির মৃত্যু

ইসরায়েলের গাজা উপত্যকায় চলমান আগ্রাসনে মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার জানিয়েছে, অক্টোবর ২০২৩ থেকে এখন পর্যন্ত ৬১ হাজার ৯৪৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখ ৫৫ হাজার ৮৮৬ জনের বেশি।

গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৪৭ জনের মরদেহ বিভিন্ন হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ২২৬ জন। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ধ্বংসস্তূপে ও সড়কে আরও বহু মরদেহ পড়ে আছে। উদ্ধারকর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না।

ইসরায়েলের অবরোধ ও সীমান্ত বন্ধের কারণে গাজায় ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহার ও পুষ্টিহীনতায় আরও সাতজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ক্ষুধা ও অনাহারে মারা গেছেন ২৫৮ জন, এর মধ্যে ১১০ জন শিশু। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, পুরো গাজায় ২৪ লাখ মানুষের জীবন এখন খাদ্য ও ওষুধের তীব্র সংকটে হুমকির মুখে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যে জানা গেছে, শনিবার সাহায্য সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৩২ জনের বেশি। এর ফলে ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে প্রাণ হারালেন এক হাজার ৯৩৮ জন। আহত হয়েছেন ১৪ হাজার ৪২০ জনের বেশি।

এ বছরের জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যকর হয়েছিল। কিন্তু ১৮ মার্চ থেকে নতুন করে ইসরায়েলি সেনারা গাজায় বোমা ও স্থল আক্রমণ শুরু করে। ওই সময় থেকে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ১০ হাজার ৪০০ জন, আহত হয়েছেন আরও ৪৩ হাজার ৮৪৫ জন।

গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞ আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। পাশাপাশি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা চলছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে)।

জাতিসংঘের মহাসচিব ও একাধিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বারবার গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সাহায্যের প্রবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু ইসরায়েল এখনো সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ রেখেছে। এর ফলে জরুরি খাদ্য ও ওষুধ গাজার ভেতরে পৌঁছাতে পারছে না।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করে বলেছে, গাজা এখন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে আছে। হাসপাতালগুলোতে বিদ্যুৎ ও ওষুধের অভাবে চিকিৎসা প্রায় ভেঙে পড়েছে। অধিকাংশ মানুষ আশ্রয়হীন অবস্থায় বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, “মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। শুধু বোমা নয়, ক্ষুধা ও চিকিৎসার অভাবেও মানুষ মারা যাচ্ছে। পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি বড় পরীক্ষা।”

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৬৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ডেলটা গ্রুপের চেয়ারম্যান ফারুকসহ ১৫ জনের নামে মামলা

১ লাখ ৮২২ শিক্ষক নিয়োগ: যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চলতি সপ্তাহে

‘মুসলিম ফ্রন্টগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করুন, ইন্টেরিম ভেঙে দিন’

সিলেটে পাথর লুটে জড়িত দুই দলের ৩৫ নেতা

‘বউ আমাকে মিথ্যা ভালোবাসত, টাকা না থাকলে ছেড়ে যাবে, তাই মরে গেলাম’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত