
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজার আল-শিফা হাসপাতালকে ‘মৃত্যুকূপ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বৈশ্বিক এই সংস্থাটির নেতৃত্বে জাতিসংঘের কয়েকটি সংস্থার প্রতিনিধিদের একটি দল গত শনিবার গাজার সবচেয়ে বড় এই হাসপাতাল ঘুরে এই আখ্যা দেন। প্রতিনিধিদলটি হাসপাতালটিতে প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় অতিবাহিত করেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, হাসপাতালে অবস্থান করা প্রায় আড়াই হাজার লোককে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরও সেখানে ২৫ স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৩২টি নবজাতকসহ ২৯১ জন রোগী ভর্তি রয়ে গেছে। জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল বলেছে, আল-শিফা হাসপাতালের প্রবেশমুখে গণকবর এবং কামানের গোলাবর্ষণ ও গুলির প্রমাণ দেখেছে তারা।
প্রতিনিধিদল আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলা ও সামরিক অভিযানের জের ধরে হাসপাতালটিতে চিকিৎসাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এতে দু-তিন দিন ধরে বেশ কয়েকজন রোগী কিংবা আহত ব্যক্তি মারা যায় সেখানে। এ অবস্থায় হাসপাতালটিতে অবস্থানরত বাকি স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও তাঁদের স্বজনদের শিগগিরই স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করছে ডব্লিউএইচও।
তবে হাসপাতাল থেকে রোগীদের স্থানান্তর করা নিয়ে পাল্টাপাল্টি কথা শোনা গেছে। হাসপাতালের পরিচালক বলেন, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী রোগীদের স্থানান্তর করতে বলেছে। আর ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর ভাষ্য হলো, হাসপাতালের পরিচালকই রোগীদের সরিয়ে নিতে চান।
এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছে গত ৭ অক্টোবর থেকে। প্রায় দেড় মাস ধরে অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১৩ হাজার ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি শিশু এবং নারী সাড়ে ৩ হাজারের বেশি। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় গাজা প্রশাসনের জনসংযোগ বিভাগ এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা প্রশাসনের জনসংযোগ বিভাগ এক বিবৃতিতে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হতাহতদের সংখ্যা জানিয়েছে। সেই বিবৃতি অনুসারে, গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৩ হাজার। এ সময় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি শিশু ও সাড়ে ৩ হাজার নারী।
গাজা জনসংযোগ বিভাগের তথ্য অনুসারে, এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ৩০ হাজার গাজাবাসী। আহতদের মধ্যে ৭৫ শতাংশই নারী ও শিশু। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে তারা সবাই ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে।
অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ৮৩টি মসজিদ পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে এবং ১৬৬টি মসজিদ তাদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সময়ে তিনটি গির্জাতেও হামলা চালানো হয়েছে। গাজার ২৫টি হাসপাতাল ও ৫২টি চিকিৎসাকেন্দ্র পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৩ হাজার আবাসন ইউনিট পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং ২ লাখ ২৫ হাজার ইউনিট কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই হিসেবে গাজা উপত্যকার মোট আবাসন ইউনিটের অন্তত ৬৬ শতাংশ ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজার আল-শিফা হাসপাতালকে ‘মৃত্যুকূপ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বৈশ্বিক এই সংস্থাটির নেতৃত্বে জাতিসংঘের কয়েকটি সংস্থার প্রতিনিধিদের একটি দল গত শনিবার গাজার সবচেয়ে বড় এই হাসপাতাল ঘুরে এই আখ্যা দেন। প্রতিনিধিদলটি হাসপাতালটিতে প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় অতিবাহিত করেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, হাসপাতালে অবস্থান করা প্রায় আড়াই হাজার লোককে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরও সেখানে ২৫ স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৩২টি নবজাতকসহ ২৯১ জন রোগী ভর্তি রয়ে গেছে। জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল বলেছে, আল-শিফা হাসপাতালের প্রবেশমুখে গণকবর এবং কামানের গোলাবর্ষণ ও গুলির প্রমাণ দেখেছে তারা।
প্রতিনিধিদল আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলা ও সামরিক অভিযানের জের ধরে হাসপাতালটিতে চিকিৎসাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এতে দু-তিন দিন ধরে বেশ কয়েকজন রোগী কিংবা আহত ব্যক্তি মারা যায় সেখানে। এ অবস্থায় হাসপাতালটিতে অবস্থানরত বাকি স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও তাঁদের স্বজনদের শিগগিরই স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করছে ডব্লিউএইচও।
তবে হাসপাতাল থেকে রোগীদের স্থানান্তর করা নিয়ে পাল্টাপাল্টি কথা শোনা গেছে। হাসপাতালের পরিচালক বলেন, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী রোগীদের স্থানান্তর করতে বলেছে। আর ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর ভাষ্য হলো, হাসপাতালের পরিচালকই রোগীদের সরিয়ে নিতে চান।
এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছে গত ৭ অক্টোবর থেকে। প্রায় দেড় মাস ধরে অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১৩ হাজার ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি শিশু এবং নারী সাড়ে ৩ হাজারের বেশি। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় গাজা প্রশাসনের জনসংযোগ বিভাগ এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা প্রশাসনের জনসংযোগ বিভাগ এক বিবৃতিতে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হতাহতদের সংখ্যা জানিয়েছে। সেই বিবৃতি অনুসারে, গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৩ হাজার। এ সময় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি শিশু ও সাড়ে ৩ হাজার নারী।
গাজা জনসংযোগ বিভাগের তথ্য অনুসারে, এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ৩০ হাজার গাজাবাসী। আহতদের মধ্যে ৭৫ শতাংশই নারী ও শিশু। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে তারা সবাই ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে।
অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ৮৩টি মসজিদ পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে এবং ১৬৬টি মসজিদ তাদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সময়ে তিনটি গির্জাতেও হামলা চালানো হয়েছে। গাজার ২৫টি হাসপাতাল ও ৫২টি চিকিৎসাকেন্দ্র পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৩ হাজার আবাসন ইউনিট পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং ২ লাখ ২৫ হাজার ইউনিট কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই হিসেবে গাজা উপত্যকার মোট আবাসন ইউনিটের অন্তত ৬৬ শতাংশ ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ভারতের রাজধানী দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) সিস্টেমে একটি বড়সড় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে আজ শুক্রবার ৩০০ টিরও বেশি ফ্লাইট প্রভাবিত হয়েছে।
১ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) খুব শিগগিরই গাজায় মোতায়েন হবে। যুদ্ধপরবর্তী গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই বাহিনী কাজ করবে। তবে ট্রাম্প এই ঘোষণা দিলেও অঞ্চলটিতে এখনো ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ চলছে। মানবিক
৩ মিনিট আগে
নিঃসন্দেহে বর্তমানে চাকরির বাজার বেশ কঠিন। রুজভেল্ট ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ মাইকেল ম্যাডোভিটজ এটিকে ‘ভয়াবহ ট্রাফিক জ্যাম’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
৮ মিনিট আগে
ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী সম্প্রতি দেখিয়েছেন, হরিয়ানা রাজ্যের ভোটার তালিকায় ব্রাজিলীয় এক ‘মডেল’ নারীর ছবি ব্যবহার করে অন্তত ২২ জন ভোটারকে নিবন্ধন করা হয়েছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সেই নারীর খোঁজ বের করে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছে। লারিসা নেরি নামে ওই নারী জানিয়েছেন, তিনি কোনো মডেল
৩২ মিনিট আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের রাজধানী দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) সিস্টেমে একটি বড়সড় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে আজ শুক্রবার ৩০০ টিরও বেশি ফ্লাইট প্রভাবিত হয়েছে। এই বিপর্যয়ের ফলে শত শত যাত্রী বিমানবন্দরে আটকে পড়েন এবং উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরে এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে এই প্রযুক্তিগত ত্রুটি শুরু হয় এবং এটি সরাসরি স্বয়ংক্রিয় বার্তা সুইচিং সিস্টেম (এএমএসএস)-কে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই এএমএসএস হলো মূল যোগাযোগ নেটওয়ার্ক, যা অটো ট্র্যাক সিস্টেম (এটিএস)-এর জন্য প্রয়োজনীয় ডেটা সরবরাহ করে—যা আবার কন্ট্রোলারদের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফ্লাইট প্ল্যান তৈরি করে।
স্বয়ংক্রিয় সিস্টেমটি অচল হয়ে পড়ায়, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলাররা হাতে থাকা সীমিত ডেটা ব্যবহার করে ম্যানুয়ালি ফ্লাইট প্ল্যান তৈরি করতে বাধ্য হচ্ছেন। যেহেতু এটি একটি অত্যন্ত ধীর এবং সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া, তাই দিল্লি জুড়ে ব্যাপক বিলম্ব এবং এয়ারস্পেসে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
এক জ্যেষ্ঠ বিমানবন্দর কর্মকর্তা বলেন, ত্রুটিটি এএমএসএস-এ, এটি অটো ট্র্যাক সিস্টেমের জন্য তথ্য সরবরাহ করে। কন্ট্রোলাররা ম্যানুয়ালি ফ্লাইট প্ল্যান তৈরি করছেন, যার ফলে বেশি সময় লাগছে।
প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ টিরও বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করা ভারতের ব্যস্ততম বিমানবন্দর ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সেখানে এমন বিঘ্ন ঘটায় আজ সকাল থেকেই উড্ডয়ন ও অবতরণে বিঘ্ন ঘটে। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটর্যাডার ২৪ অনুযায়ী, সকাল ৯টা নাগাদ উড়ান ছাড়ার গড় বিলম্ব ছিল ৪৫ থেকে ৫০ মিনিট।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে রানওয়েতে পার্কিংয়ের জায়গার অভাবে সন্ধ্যার কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল হতে পারে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এই সফটওয়্যার সমস্যার বিমানবন্দরে যাত্রীরা দীর্ঘ লাইন, ফ্লাইটের ভেতরে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা এবং বারবার সময় পরিবর্তনের ঘোষণায় ভোগান্তির শিকার হন। অনেক যাত্রী সামাজিক মাধ্যমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকা এবং এয়ারলাইনসগুলোর কাছ থেকে সঠিক তথ্যের অভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
দিল্লি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড (ডায়াল)-এর একজন মুখপাত্র এটিসি সিস্টেমে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ফ্লাইট পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং জানিয়েছেন যে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য এয়ারপোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এএআই)-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা হচ্ছে।
এদিকে, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট এবং এয়ার ইন্ডিয়া-সহ বেশ কিছু এয়ারলাইনস যাত্রীদের সম্ভাব্য বিলম্ব সম্পর্কে সতর্ক করে ভ্রমণ উপদেশ জারি করেছে। এয়ার ইন্ডিয়া তাদের বার্তায় এই অপ্রত্যাশিত বিঘ্নের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে যাত্রীদের ধৈর্যের প্রশংসা করেছে।
দুপুরের দিকে এএআই-এর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, এটিসি অপারেশন স্থিতিশীল রয়েছে, তবে স্বাভাবিকের চেয়ে ধীর গতিতে চলছে। মেরামতের কাজ চলছে।
কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে, এই জট কাটাতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে এবং এর ফলে লক্ষ্ণৌ, জয়পুর, চণ্ডীগড় এবং অমৃতসরের মতো উত্তরের অন্যান্য বিমানবন্দরেও বিলম্ব হতে পারে।

ভারতের রাজধানী দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) সিস্টেমে একটি বড়সড় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে আজ শুক্রবার ৩০০ টিরও বেশি ফ্লাইট প্রভাবিত হয়েছে। এই বিপর্যয়ের ফলে শত শত যাত্রী বিমানবন্দরে আটকে পড়েন এবং উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরে এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে এই প্রযুক্তিগত ত্রুটি শুরু হয় এবং এটি সরাসরি স্বয়ংক্রিয় বার্তা সুইচিং সিস্টেম (এএমএসএস)-কে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই এএমএসএস হলো মূল যোগাযোগ নেটওয়ার্ক, যা অটো ট্র্যাক সিস্টেম (এটিএস)-এর জন্য প্রয়োজনীয় ডেটা সরবরাহ করে—যা আবার কন্ট্রোলারদের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফ্লাইট প্ল্যান তৈরি করে।
স্বয়ংক্রিয় সিস্টেমটি অচল হয়ে পড়ায়, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলাররা হাতে থাকা সীমিত ডেটা ব্যবহার করে ম্যানুয়ালি ফ্লাইট প্ল্যান তৈরি করতে বাধ্য হচ্ছেন। যেহেতু এটি একটি অত্যন্ত ধীর এবং সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া, তাই দিল্লি জুড়ে ব্যাপক বিলম্ব এবং এয়ারস্পেসে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
এক জ্যেষ্ঠ বিমানবন্দর কর্মকর্তা বলেন, ত্রুটিটি এএমএসএস-এ, এটি অটো ট্র্যাক সিস্টেমের জন্য তথ্য সরবরাহ করে। কন্ট্রোলাররা ম্যানুয়ালি ফ্লাইট প্ল্যান তৈরি করছেন, যার ফলে বেশি সময় লাগছে।
প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ টিরও বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করা ভারতের ব্যস্ততম বিমানবন্দর ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সেখানে এমন বিঘ্ন ঘটায় আজ সকাল থেকেই উড্ডয়ন ও অবতরণে বিঘ্ন ঘটে। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটর্যাডার ২৪ অনুযায়ী, সকাল ৯টা নাগাদ উড়ান ছাড়ার গড় বিলম্ব ছিল ৪৫ থেকে ৫০ মিনিট।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে রানওয়েতে পার্কিংয়ের জায়গার অভাবে সন্ধ্যার কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল হতে পারে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এই সফটওয়্যার সমস্যার বিমানবন্দরে যাত্রীরা দীর্ঘ লাইন, ফ্লাইটের ভেতরে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা এবং বারবার সময় পরিবর্তনের ঘোষণায় ভোগান্তির শিকার হন। অনেক যাত্রী সামাজিক মাধ্যমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকা এবং এয়ারলাইনসগুলোর কাছ থেকে সঠিক তথ্যের অভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
দিল্লি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড (ডায়াল)-এর একজন মুখপাত্র এটিসি সিস্টেমে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ফ্লাইট পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং জানিয়েছেন যে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য এয়ারপোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এএআই)-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা হচ্ছে।
এদিকে, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট এবং এয়ার ইন্ডিয়া-সহ বেশ কিছু এয়ারলাইনস যাত্রীদের সম্ভাব্য বিলম্ব সম্পর্কে সতর্ক করে ভ্রমণ উপদেশ জারি করেছে। এয়ার ইন্ডিয়া তাদের বার্তায় এই অপ্রত্যাশিত বিঘ্নের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে যাত্রীদের ধৈর্যের প্রশংসা করেছে।
দুপুরের দিকে এএআই-এর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, এটিসি অপারেশন স্থিতিশীল রয়েছে, তবে স্বাভাবিকের চেয়ে ধীর গতিতে চলছে। মেরামতের কাজ চলছে।
কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে, এই জট কাটাতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে এবং এর ফলে লক্ষ্ণৌ, জয়পুর, চণ্ডীগড় এবং অমৃতসরের মতো উত্তরের অন্যান্য বিমানবন্দরেও বিলম্ব হতে পারে।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজার আল-শিফা হাসপাতালকে ‘মৃত্যুকূপ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বৈশ্বিক এই সংস্থাটির নেতৃত্বে জাতিসংঘের কয়েকটি সংস্থার প্রতিনিধিদের একটি দল গত শনিবার গাজার সবচেয়ে বড় এই হাসপাতাল ঘুরে এই আখ্যা দেন
২০ নভেম্বর ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) খুব শিগগিরই গাজায় মোতায়েন হবে। যুদ্ধপরবর্তী গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই বাহিনী কাজ করবে। তবে ট্রাম্প এই ঘোষণা দিলেও অঞ্চলটিতে এখনো ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ চলছে। মানবিক
৩ মিনিট আগে
নিঃসন্দেহে বর্তমানে চাকরির বাজার বেশ কঠিন। রুজভেল্ট ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ মাইকেল ম্যাডোভিটজ এটিকে ‘ভয়াবহ ট্রাফিক জ্যাম’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
৮ মিনিট আগে
ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী সম্প্রতি দেখিয়েছেন, হরিয়ানা রাজ্যের ভোটার তালিকায় ব্রাজিলীয় এক ‘মডেল’ নারীর ছবি ব্যবহার করে অন্তত ২২ জন ভোটারকে নিবন্ধন করা হয়েছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সেই নারীর খোঁজ বের করে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছে। লারিসা নেরি নামে ওই নারী জানিয়েছেন, তিনি কোনো মডেল
৩২ মিনিট আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) খুব শিগগিরই গাজায় মোতায়েন হবে। যুদ্ধপরবর্তী গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই বাহিনী কাজ করবে। তবে ট্রাম্প এই ঘোষণা দিলেও অঞ্চলটিতে এখনো ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ চলছে। মানবিক বিপর্যয়ও এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, ‘খুব শিগগিরই এটা হবে। গাজা নিয়ে সবকিছুই ভালোভাবে এগোচ্ছে।’ তিনি জানান, ‘খুব শক্তিশালী কয়েকটি দেশ’ স্বেচ্ছায় এতে অংশ নিতে রাজি হয়েছে। এই বাহিনী হামাসের মতো সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে কোনো সমস্যা হলে তা মোকাবিলা করবে। যদিও হামাস এখনো নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে কিছু বলেনি।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এ নিয়ে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে। সেখানে দুই বছরের মেয়াদে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন ও স্থিতিশীলতা বাহিনী অনুমোদনের প্রস্তাব তোলা হবে। এই বাহিনীর দায়িত্ব হবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সীমান্ত এলাকায় নিয়ন্ত্রণ রাখা ও ফিলিস্তিনি পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেওয়া।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আল–জাজিরাকে বলেন, গাজায় পাঠানো যেকোনো স্থিতিশীলতা বাহিনীর ‘পূর্ণ আন্তর্জাতিক বৈধতা’ থাকতে হবে, যাতে তা ফিলিস্তিনিদের সহায়তা করতে পারে। এক মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, বৃহস্পতিবার থেকেই এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদের ১০ নির্বাচিত সদস্য এবং কয়েকটি আঞ্চলিক মিত্রের কাছে খসড়া প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
রয়টার্সের তথ্যানুযায়ী, মিসর, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও তুরস্ক এই প্রস্তাব দেখেছে। এতে ২০ হাজার সেনার একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের কথা বলা হয়েছে, যারা প্রয়োজনে ‘সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারবে।’ অর্থাৎ, প্রয়োজন হলে তারা বলপ্রয়োগও করতে পারবে।
ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনার অন্যতম প্রধান শর্ত, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ। তবে সংগঠনটি এখনো রাজি হয়নি। পরিকল্পনা অনুযায়ী, স্থিতিশীলতা বাহিনীর একটি দায়িত্ব হবে হামাসের সামরিক সক্ষমতা ও ‘আক্রমণাত্মক অবকাঠামো’ ধ্বংস করা এবং তা পুনর্গঠন ঠেকানো।
ট্রাম্পের পরিকল্পনার ফলেই ১০ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে বন্দী বিনিময় চুক্তি ও এক অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি হয়। তবে বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে এবং গাজায় ত্রাণ প্রবেশেও কঠোর বাধা দিয়ে ইসরায়েল বারবার এই যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করেছে।
এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তুরস্ক। দেশটি হামাসকে শান্তি পরিকল্পনা মেনে নিতে উৎসাহ দিয়েছে এবং স্থিতিশীলতা বাহিনীর পক্ষে সমর্থন জোগাড় করেছে। এ লক্ষ্যে তারা এই সপ্তাহে ইস্তাম্বুলে কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক আয়োজন করেছে।
তুরস্ক বারবার ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধের নিন্দা জানিয়েছে। ইস্তাম্বুলের বৈঠকেও তারা জোর দিয়ে বলেছে, ইসরায়েলকে অবশ্যই যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ বন্ধ করতে হবে এবং গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সা’র স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, গাজায় কোনোভাবেই তুর্কি উপস্থিতি তারা মেনে নেবে না।
ইসরায়েল বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখছে। সেপ্টেম্বরে ট্রাম্পের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ‘ইসরায়েল দীর্ঘ সময়ের জন্য গাজার নিরাপত্তা দায়িত্ব রাখবে, যার মধ্যে থাকবে নিরাপত্তা ঘেরাও বা নিরাপত্তা বেষ্টনী।’ মধ্যপ্রাচ্যের দায়িত্বে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান গত মাসে গাজা সফরে গিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সেনা সেখানে মোতায়েন করা হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) খুব শিগগিরই গাজায় মোতায়েন হবে। যুদ্ধপরবর্তী গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই বাহিনী কাজ করবে। তবে ট্রাম্প এই ঘোষণা দিলেও অঞ্চলটিতে এখনো ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ চলছে। মানবিক বিপর্যয়ও এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, ‘খুব শিগগিরই এটা হবে। গাজা নিয়ে সবকিছুই ভালোভাবে এগোচ্ছে।’ তিনি জানান, ‘খুব শক্তিশালী কয়েকটি দেশ’ স্বেচ্ছায় এতে অংশ নিতে রাজি হয়েছে। এই বাহিনী হামাসের মতো সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে কোনো সমস্যা হলে তা মোকাবিলা করবে। যদিও হামাস এখনো নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে কিছু বলেনি।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এ নিয়ে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে। সেখানে দুই বছরের মেয়াদে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন ও স্থিতিশীলতা বাহিনী অনুমোদনের প্রস্তাব তোলা হবে। এই বাহিনীর দায়িত্ব হবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সীমান্ত এলাকায় নিয়ন্ত্রণ রাখা ও ফিলিস্তিনি পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেওয়া।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আল–জাজিরাকে বলেন, গাজায় পাঠানো যেকোনো স্থিতিশীলতা বাহিনীর ‘পূর্ণ আন্তর্জাতিক বৈধতা’ থাকতে হবে, যাতে তা ফিলিস্তিনিদের সহায়তা করতে পারে। এক মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, বৃহস্পতিবার থেকেই এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদের ১০ নির্বাচিত সদস্য এবং কয়েকটি আঞ্চলিক মিত্রের কাছে খসড়া প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
রয়টার্সের তথ্যানুযায়ী, মিসর, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও তুরস্ক এই প্রস্তাব দেখেছে। এতে ২০ হাজার সেনার একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের কথা বলা হয়েছে, যারা প্রয়োজনে ‘সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারবে।’ অর্থাৎ, প্রয়োজন হলে তারা বলপ্রয়োগও করতে পারবে।
ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনার অন্যতম প্রধান শর্ত, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ। তবে সংগঠনটি এখনো রাজি হয়নি। পরিকল্পনা অনুযায়ী, স্থিতিশীলতা বাহিনীর একটি দায়িত্ব হবে হামাসের সামরিক সক্ষমতা ও ‘আক্রমণাত্মক অবকাঠামো’ ধ্বংস করা এবং তা পুনর্গঠন ঠেকানো।
ট্রাম্পের পরিকল্পনার ফলেই ১০ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে বন্দী বিনিময় চুক্তি ও এক অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি হয়। তবে বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে এবং গাজায় ত্রাণ প্রবেশেও কঠোর বাধা দিয়ে ইসরায়েল বারবার এই যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করেছে।
এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তুরস্ক। দেশটি হামাসকে শান্তি পরিকল্পনা মেনে নিতে উৎসাহ দিয়েছে এবং স্থিতিশীলতা বাহিনীর পক্ষে সমর্থন জোগাড় করেছে। এ লক্ষ্যে তারা এই সপ্তাহে ইস্তাম্বুলে কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক আয়োজন করেছে।
তুরস্ক বারবার ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধের নিন্দা জানিয়েছে। ইস্তাম্বুলের বৈঠকেও তারা জোর দিয়ে বলেছে, ইসরায়েলকে অবশ্যই যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ বন্ধ করতে হবে এবং গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সা’র স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, গাজায় কোনোভাবেই তুর্কি উপস্থিতি তারা মেনে নেবে না।
ইসরায়েল বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখছে। সেপ্টেম্বরে ট্রাম্পের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ‘ইসরায়েল দীর্ঘ সময়ের জন্য গাজার নিরাপত্তা দায়িত্ব রাখবে, যার মধ্যে থাকবে নিরাপত্তা ঘেরাও বা নিরাপত্তা বেষ্টনী।’ মধ্যপ্রাচ্যের দায়িত্বে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান গত মাসে গাজা সফরে গিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সেনা সেখানে মোতায়েন করা হবে না।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজার আল-শিফা হাসপাতালকে ‘মৃত্যুকূপ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বৈশ্বিক এই সংস্থাটির নেতৃত্বে জাতিসংঘের কয়েকটি সংস্থার প্রতিনিধিদের একটি দল গত শনিবার গাজার সবচেয়ে বড় এই হাসপাতাল ঘুরে এই আখ্যা দেন
২০ নভেম্বর ২০২৩
ভারতের রাজধানী দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) সিস্টেমে একটি বড়সড় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে আজ শুক্রবার ৩০০ টিরও বেশি ফ্লাইট প্রভাবিত হয়েছে।
১ মিনিট আগে
নিঃসন্দেহে বর্তমানে চাকরির বাজার বেশ কঠিন। রুজভেল্ট ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ মাইকেল ম্যাডোভিটজ এটিকে ‘ভয়াবহ ট্রাফিক জ্যাম’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
৮ মিনিট আগে
ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী সম্প্রতি দেখিয়েছেন, হরিয়ানা রাজ্যের ভোটার তালিকায় ব্রাজিলীয় এক ‘মডেল’ নারীর ছবি ব্যবহার করে অন্তত ২২ জন ভোটারকে নিবন্ধন করা হয়েছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সেই নারীর খোঁজ বের করে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছে। লারিসা নেরি নামে ওই নারী জানিয়েছেন, তিনি কোনো মডেল
৩২ মিনিট আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বয়স্ক প্রজন্ম সব সময় তরুণ প্রজন্মের কর্মজীবন নিয়ে অভিযোগগুলোকে তুচ্ছ মনে করে এসেছে। আমি যখন কুড়ির কোঠায়, তখন যেন অন্তহীন আলোচনা চলত—আমরা মিলেনিয়ালরা নাকি অলস ও আত্মকেন্দ্রিক; যেমনভাবে আমাদের আগের প্রজন্ম জেনারেশন এক্স ‘অলস’ বলে পরিচিত ছিল।
এখন জেন-জি প্রজন্মকে বলা হচ্ছে ‘চাকরির অযোগ্য’। তারা নাকি শুধু সফলতার জন্য কাজ করতে চায় না বা তারা নাকি ইনফ্লুয়েন্সার হতে চায়। কারণ, ইন্টারনেট নাকি তাদের মাথা খারাপ করে দিয়েছে।
অথচ জেন-জিরা এই গতানুগতিক অপবাদের যোগ্য নয়। কারণ, গত এক দশকে শিক্ষানবিশ স্তরে কোনো চাকরি জোগাড় করা বা তা ধরে রাখা ক্লান্তিকর ও অমানবিক অগ্নিপরীক্ষায় পরিণত হয়েছে।
নিঃসন্দেহে বর্তমানে চাকরির বাজার বেশ কঠিন। রুজভেল্ট ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ মাইকেল ম্যাডোভিটজ এটিকে ‘ভয়াবহ ট্রাফিক জ্যাম’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘আপনি যদি সবে কলেজে পড়াশোনা শেষ করে থাকেন, তাহলে আপনি একটি হাইওয়েতে প্রবেশ করতে চাইছেন, কিন্তু কেউই আপনাকে ঢুকতে দিচ্ছে না।’
এর মধ্যে এয়ারবিএনবি ও ইনটুইটের মতো সংস্থাগুলোর নিয়োগকর্তারা দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বলেছেন, তাঁরা যতটা সম্ভব অল্প জনবল নিয়ে থাকতে চান, যতক্ষণ না তা স্বল্পমেয়াদি মুনাফা এনে দেয়।
কিন্তু জেন-জিদের জন্য কর্মজীবন শুধু অর্থনৈতিক মন্দার কারণে কঠিন হয়ে ওঠেনি; বরং দীর্ঘদিন ধরে এটি এক যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতা।
এই বছরের শুরুর দিকে আমার সহকর্মী ডেভিড ব্রুকস এক কলেজ সিনিয়রের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, যিনি তরুণ আমেরিকানদের ‘সবচেয়ে বেশি প্রত্যাখ্যাত প্রজন্ম’ হিসেবে অভিহিত করেন। কারণ, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এখন এমন এক প্রবল প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে, যা এমনকি সুবিধাপ্রাপ্ত কলেজপড়ুয়া তরুণদের জীবনেও চাপ তৈরি করেছে।
চাকরির আবেদন এখন যেহেতু অনলাইনে হয়, তাই আবেদন করার বাধা আগের চেয়ে অনেক কম। ফলে প্রতিটি পদে এখন শত শত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
তার ওপর চাকরিপ্রার্থীদের এখন প্রাথমিকভাবে বাছাই করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), যা পুরো প্রক্রিয়াকে আরও বেশি অমানবিক ও গেমের মতো করে তুলেছে।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির ছাত্র রিচার্ড ইউন আমাকে বলেছেন, তাঁর বন্ধুরা যখন ফাইন্যান্স খাতে একাধিক ইন্টারভিউ দেন, তিনি তাঁদের জিজ্ঞেস করেন—‘কোনো জায়গা থেকে সাড়া পেয়েছ?’ তখন তাঁরা জানান, ২০টি ইন্টারভিউর মধ্যে ১৯টি ছিল বটদের সঙ্গে।
ইউন বলেন, চাকরিপ্রার্থীরা এখন সিভি তৈরি করার সময় এমন কিওয়ার্ড খোঁজেন, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পছন্দ হতে পারে, যাতে সেই ডিজিটাল বাছাই প্রক্রিয়া পেরিয়ে কোনো একদিন ইন্টারভিউতে কোনো মানুষের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাওয়া যায়; যা হয়তো চাকরির অফারে গিয়ে গড়াবে কিংবা অন্তত একটা বাস্তব নেটওয়ার্ক তৈরি করবে।
এই পুরো প্রক্রিয়াকে ‘ডিস্টোপিয়ান’ বলেছেন ইউন।
তবে আসল ডিস্টোপিয়া শুরু হয় চাকরি পাওয়ার পর। জেন-জিদের মতে, কর্মক্ষেত্রে এখন আগের মতো পরামর্শ বা দিকনির্দেশনা পাওয়া যায় না; বরং খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ আর অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ বেড়ে গেছে।
ওহাইওর কলম্বাস শহরে বসবাসকারী ২৭ বছর বয়সী স্টিভি স্টিভেন্স জানান, একটি এক্সিবিশন ডিজাইন ও প্রোডাকশন কোম্পানিতে পূর্ণকালীন চাকরি করতেন তিনি। গত জুলাইয়ে সেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। কারণ, সেখানে কাজ করার সময় তাঁর মনে হয়েছে, অতিরিক্ত নজরদারির মধ্যে তিনি রয়েছেন। অথচ প্রয়োজনীয় সহায়তা চাইতে গেলে তা পাওয়ার উপায় নেই।
স্টিভেন্স বলেন, ‘ম্যানেজাররা চায়, তুমি ৪০ ঘণ্টার কর্মসপ্তাহে ছয়জনের কাজ করে ফেলো। আমার কোম্পানির সুযোগ-সুবিধা ছিল মাঝারি মানের আর পেশাগত উন্নয়ন বা প্রশিক্ষণের কোনো সুযোগই ছিল না বলতে গেলে।’
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের মতামত পাতায় লেখাটা লিখেছেন জেসিকা গ্রোস

বয়স্ক প্রজন্ম সব সময় তরুণ প্রজন্মের কর্মজীবন নিয়ে অভিযোগগুলোকে তুচ্ছ মনে করে এসেছে। আমি যখন কুড়ির কোঠায়, তখন যেন অন্তহীন আলোচনা চলত—আমরা মিলেনিয়ালরা নাকি অলস ও আত্মকেন্দ্রিক; যেমনভাবে আমাদের আগের প্রজন্ম জেনারেশন এক্স ‘অলস’ বলে পরিচিত ছিল।
এখন জেন-জি প্রজন্মকে বলা হচ্ছে ‘চাকরির অযোগ্য’। তারা নাকি শুধু সফলতার জন্য কাজ করতে চায় না বা তারা নাকি ইনফ্লুয়েন্সার হতে চায়। কারণ, ইন্টারনেট নাকি তাদের মাথা খারাপ করে দিয়েছে।
অথচ জেন-জিরা এই গতানুগতিক অপবাদের যোগ্য নয়। কারণ, গত এক দশকে শিক্ষানবিশ স্তরে কোনো চাকরি জোগাড় করা বা তা ধরে রাখা ক্লান্তিকর ও অমানবিক অগ্নিপরীক্ষায় পরিণত হয়েছে।
নিঃসন্দেহে বর্তমানে চাকরির বাজার বেশ কঠিন। রুজভেল্ট ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ মাইকেল ম্যাডোভিটজ এটিকে ‘ভয়াবহ ট্রাফিক জ্যাম’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘আপনি যদি সবে কলেজে পড়াশোনা শেষ করে থাকেন, তাহলে আপনি একটি হাইওয়েতে প্রবেশ করতে চাইছেন, কিন্তু কেউই আপনাকে ঢুকতে দিচ্ছে না।’
এর মধ্যে এয়ারবিএনবি ও ইনটুইটের মতো সংস্থাগুলোর নিয়োগকর্তারা দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বলেছেন, তাঁরা যতটা সম্ভব অল্প জনবল নিয়ে থাকতে চান, যতক্ষণ না তা স্বল্পমেয়াদি মুনাফা এনে দেয়।
কিন্তু জেন-জিদের জন্য কর্মজীবন শুধু অর্থনৈতিক মন্দার কারণে কঠিন হয়ে ওঠেনি; বরং দীর্ঘদিন ধরে এটি এক যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতা।
এই বছরের শুরুর দিকে আমার সহকর্মী ডেভিড ব্রুকস এক কলেজ সিনিয়রের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, যিনি তরুণ আমেরিকানদের ‘সবচেয়ে বেশি প্রত্যাখ্যাত প্রজন্ম’ হিসেবে অভিহিত করেন। কারণ, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এখন এমন এক প্রবল প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে, যা এমনকি সুবিধাপ্রাপ্ত কলেজপড়ুয়া তরুণদের জীবনেও চাপ তৈরি করেছে।
চাকরির আবেদন এখন যেহেতু অনলাইনে হয়, তাই আবেদন করার বাধা আগের চেয়ে অনেক কম। ফলে প্রতিটি পদে এখন শত শত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
তার ওপর চাকরিপ্রার্থীদের এখন প্রাথমিকভাবে বাছাই করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), যা পুরো প্রক্রিয়াকে আরও বেশি অমানবিক ও গেমের মতো করে তুলেছে।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির ছাত্র রিচার্ড ইউন আমাকে বলেছেন, তাঁর বন্ধুরা যখন ফাইন্যান্স খাতে একাধিক ইন্টারভিউ দেন, তিনি তাঁদের জিজ্ঞেস করেন—‘কোনো জায়গা থেকে সাড়া পেয়েছ?’ তখন তাঁরা জানান, ২০টি ইন্টারভিউর মধ্যে ১৯টি ছিল বটদের সঙ্গে।
ইউন বলেন, চাকরিপ্রার্থীরা এখন সিভি তৈরি করার সময় এমন কিওয়ার্ড খোঁজেন, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পছন্দ হতে পারে, যাতে সেই ডিজিটাল বাছাই প্রক্রিয়া পেরিয়ে কোনো একদিন ইন্টারভিউতে কোনো মানুষের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাওয়া যায়; যা হয়তো চাকরির অফারে গিয়ে গড়াবে কিংবা অন্তত একটা বাস্তব নেটওয়ার্ক তৈরি করবে।
এই পুরো প্রক্রিয়াকে ‘ডিস্টোপিয়ান’ বলেছেন ইউন।
তবে আসল ডিস্টোপিয়া শুরু হয় চাকরি পাওয়ার পর। জেন-জিদের মতে, কর্মক্ষেত্রে এখন আগের মতো পরামর্শ বা দিকনির্দেশনা পাওয়া যায় না; বরং খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ আর অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ বেড়ে গেছে।
ওহাইওর কলম্বাস শহরে বসবাসকারী ২৭ বছর বয়সী স্টিভি স্টিভেন্স জানান, একটি এক্সিবিশন ডিজাইন ও প্রোডাকশন কোম্পানিতে পূর্ণকালীন চাকরি করতেন তিনি। গত জুলাইয়ে সেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। কারণ, সেখানে কাজ করার সময় তাঁর মনে হয়েছে, অতিরিক্ত নজরদারির মধ্যে তিনি রয়েছেন। অথচ প্রয়োজনীয় সহায়তা চাইতে গেলে তা পাওয়ার উপায় নেই।
স্টিভেন্স বলেন, ‘ম্যানেজাররা চায়, তুমি ৪০ ঘণ্টার কর্মসপ্তাহে ছয়জনের কাজ করে ফেলো। আমার কোম্পানির সুযোগ-সুবিধা ছিল মাঝারি মানের আর পেশাগত উন্নয়ন বা প্রশিক্ষণের কোনো সুযোগই ছিল না বলতে গেলে।’
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের মতামত পাতায় লেখাটা লিখেছেন জেসিকা গ্রোস

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজার আল-শিফা হাসপাতালকে ‘মৃত্যুকূপ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বৈশ্বিক এই সংস্থাটির নেতৃত্বে জাতিসংঘের কয়েকটি সংস্থার প্রতিনিধিদের একটি দল গত শনিবার গাজার সবচেয়ে বড় এই হাসপাতাল ঘুরে এই আখ্যা দেন
২০ নভেম্বর ২০২৩
ভারতের রাজধানী দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) সিস্টেমে একটি বড়সড় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে আজ শুক্রবার ৩০০ টিরও বেশি ফ্লাইট প্রভাবিত হয়েছে।
১ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) খুব শিগগিরই গাজায় মোতায়েন হবে। যুদ্ধপরবর্তী গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই বাহিনী কাজ করবে। তবে ট্রাম্প এই ঘোষণা দিলেও অঞ্চলটিতে এখনো ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ চলছে। মানবিক
৩ মিনিট আগে
ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী সম্প্রতি দেখিয়েছেন, হরিয়ানা রাজ্যের ভোটার তালিকায় ব্রাজিলীয় এক ‘মডেল’ নারীর ছবি ব্যবহার করে অন্তত ২২ জন ভোটারকে নিবন্ধন করা হয়েছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সেই নারীর খোঁজ বের করে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছে। লারিসা নেরি নামে ওই নারী জানিয়েছেন, তিনি কোনো মডেল
৩২ মিনিট আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা সম্প্রতি দেখিয়েছেন, হরিয়ানা রাজ্যের ভোটার তালিকায় ব্রাজিলীয় এক ‘মডেল’ নারীর ছবি ব্যবহার করে অন্তত ২২ জন ভোটারকে নিবন্ধন করা হয়েছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সেই নারীর খোঁজ বের করে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছে। লারিসা নেরি নামে ওই নারী জানিয়েছেন, তিনি কোনো মডেল নন, বরং পেশায় হেয়ারড্রেসার। একই সঙ্গে রাহুল গান্ধীর দাবির বিষয়টি ভাইরাল হওয়া তিনি কিছুটা ভয়ও পেয়েছিলেন।
এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লারিসা বলেন, তিনি মনে করেন এই পুরো ‘পাগলামি’ আসলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ফল। লারিসা বলেন, ‘শুরুতে আমি বুঝতেই পারিনি আসলে কী ঘটেছে। ভেবেছিলাম এটা কোনো বাজে রসিকতা। প্রথমে মনে হয়েছিল এটা এআই। ভিডিওতে যখন নিজের ছবি দেখলাম, তখন হাস্যকর লাগছিল। কিন্তু পরে যখন বুঝলাম কী হচ্ছে, তখন ভয় পেয়ে যাই। এখন জানি না কী করব। কারণ, আমি জানি না মানুষ আমার ছবিটা নিয়ে কী করছে। ভাষা না জানায় এই মিমগুলোও বুঝতে পারছি না।’
লারিসা জানান, ভাইরাল ছবিটি তোলা হয়েছিল প্রায় ৮ বছর আগে, যখন তাঁর বয়স ছিল কুড়ির মতো। তিনি বলেন, ‘একজন ফটোগ্রাফার বন্ধুর অনুরোধে ছবিটা তুলেছিলাম। সে সময় তাঁর কাজের প্রয়োজনে সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। ছবিটা তোলা হয়েছিল আমার বাড়ির সামনে দেয়ালের পাশে, কোনো প্রফেশনাল শুট ছিল না এটি। আমি কখনো মডেল ছিলাম না। আমি বহু বছর ধরে হেয়ারড্রেসার হিসেবে কাজ করছি। আমি একদম সাধারণ মানুষ, যে কিনা ভুলবশত এই ঝামেলার মধ্যে পড়ে গেছে।’
অনলাইনে উইম্যান ওয়্যারিং ব্লু ডেনিম জ্যাকেট নামে ছবিটি পাওয়া যায় বিনা মূল্যে ডাউনলোডযোগ্য ছবি সাইট আনস্প্ল্যাশ ও পেক্সেলসে। সেখানে লারিসার নাম নেই, কিন্তু ফটোগ্রাফারের নাম দেওয়া আছে। তিনি হলেন—ব্রাজিলের বেলো হরিজন্তের মাতেউস ফেরেরো। দুই সাইটে মিলিয়ে ছবিটি চার লাখের বেশি বার ডাউনলোড হয়েছে।
লারিসা বলেন, ‘আমি আগেও দেখেছি ছবিটা নানা ফটো-এডিটিং অ্যাপে বা কিছু ব্র্যান্ড তাদের কাজে ব্যবহার করেছে। কিন্তু কখনোই এমন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, যেমনটা এবার করা হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, তিনি কখনো ভারতে আসেননি, এমনকি রাহুল গান্ধীর নামও শোনেননি।
লারিসা বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি সংস্থা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি, শুধু সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ কথা বলছেন। তিনি বলেন, ‘কিছু ভারতীয় ও ব্রাজিলীয় নাগরিক আমাকে ইনস্টাগ্রামে মেসেজ পাঠাতে শুরু করেছে।’
ব্রাজিলীয় এই নারী আরও বলেন, ‘যদি এটা আমার কাজ বা ফটোগ্রাফারের কাজ প্রচারের জন্য হতো, তাহলে খুশি হতাম। কিন্তু এটা ভুলভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এটা দুঃখজনক, কারণ আমার ছবি এমন কিছুর সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। হয়তো একে হয়রানি বলা ঠিক নয়, কিন্তু এটা একধরনের আক্রমণ মনে হয়েছে। এটা মোটেও ভালো লাগেনি।’
রাহুল গান্ধী বুধবার অভিযোগ করেন, গত বছর হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে। তিনি দাবি করেন, লারিসার ছবি হরিয়ানার রাই বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় ২২ বার পাওয়া গেছে। এই আসনেই বিজেপির কৃষ্ণ গেহলট কংগ্রেস প্রার্থী ভাগবান আনতিলকে ৪ হাজার ৬৭৩ ভোটে হারিয়েছিলেন।
যখন এক শ্রোতা বলেন ছবির নারী হরিয়ানার নয়, রাহুল গান্ধী জবাব দেন, ‘কিন্তু সে হরিয়ানায় ২২ বার ভোট দিয়েছে, ১০টা ভিন্ন বুথে ভোট দিয়েছে, তার নানা নাম আছে—সীমা, সুইটি, সরস্বতী, রশ্মি, বিমলা। এ এক ব্রাজিলীয় মডেলের ছবি।’ গান্ধী বলেন, এটা ছিল ‘কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত এক অপারেশন।’ তাঁর ভাষায়, ‘এই নারীর ছবিটা কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছে, বুথ পর্যায় থেকে নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন চাইলে এক সেকেন্ডেই এসব ডুপ্লিকেট নাম বাদ দিতে পারে। তারা কেন তা করছে না? কারণ, তারা বিজেপিকে সাহায্য করছে। আমি নির্বাচন কমিশন ও ভারতের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্ন করছি, এবং শতভাগ প্রমাণসহ করছি। আমরা নিশ্চিত, পরিকল্পনা করে কংগ্রেসের নিশ্চিত জয়কে পরাজয়ে পরিণত করা হয়েছে।’
ছবি ভাইরাল হওয়ার পর লারিসা ইনস্টাগ্রামে নিজের স্টোরিতে লিখেছিলেন, তাঁকে ‘ভারতীয় নারী’ হিসেবে দেখানো হচ্ছে মানুষকে ঠকানোর জন্য। বন্ধুরা, ওরা আমার পুরোনো ছবি ব্যবহার করছে। তখন আমার বয়স ছিল আঠারো থেকে কুড়ির মধ্যে। জানি না, এটা নির্বাচন নাকি ভোট সংক্রান্ত কিছু...আর সেটা ভারতে! ওরা আমাকে ভারতীয় হিসেবে দেখিয়ে মানুষ ঠকাচ্ছে। কী পাগলামি! কী অদ্ভুত দুনিয়া এটা! একজন সাংবাদিক আমাকে ফোন করেছিল এসব নিয়ে কথা বলতে, আমার কাজ, সেলুন নিয়ে জানতে চেয়েছিল। আমি সাড়া দিইনি। সে আমাকে ইনস্টাগ্রামে খুঁজে পেয়ে কল করেছিল। এখন আরেকজন বন্ধু, যার কোনো সম্পর্ক নেই, সে আবার ছবিটা পাঠাল—বিশ্বাসই হচ্ছে না।’

ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা সম্প্রতি দেখিয়েছেন, হরিয়ানা রাজ্যের ভোটার তালিকায় ব্রাজিলীয় এক ‘মডেল’ নারীর ছবি ব্যবহার করে অন্তত ২২ জন ভোটারকে নিবন্ধন করা হয়েছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সেই নারীর খোঁজ বের করে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছে। লারিসা নেরি নামে ওই নারী জানিয়েছেন, তিনি কোনো মডেল নন, বরং পেশায় হেয়ারড্রেসার। একই সঙ্গে রাহুল গান্ধীর দাবির বিষয়টি ভাইরাল হওয়া তিনি কিছুটা ভয়ও পেয়েছিলেন।
এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লারিসা বলেন, তিনি মনে করেন এই পুরো ‘পাগলামি’ আসলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ফল। লারিসা বলেন, ‘শুরুতে আমি বুঝতেই পারিনি আসলে কী ঘটেছে। ভেবেছিলাম এটা কোনো বাজে রসিকতা। প্রথমে মনে হয়েছিল এটা এআই। ভিডিওতে যখন নিজের ছবি দেখলাম, তখন হাস্যকর লাগছিল। কিন্তু পরে যখন বুঝলাম কী হচ্ছে, তখন ভয় পেয়ে যাই। এখন জানি না কী করব। কারণ, আমি জানি না মানুষ আমার ছবিটা নিয়ে কী করছে। ভাষা না জানায় এই মিমগুলোও বুঝতে পারছি না।’
লারিসা জানান, ভাইরাল ছবিটি তোলা হয়েছিল প্রায় ৮ বছর আগে, যখন তাঁর বয়স ছিল কুড়ির মতো। তিনি বলেন, ‘একজন ফটোগ্রাফার বন্ধুর অনুরোধে ছবিটা তুলেছিলাম। সে সময় তাঁর কাজের প্রয়োজনে সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। ছবিটা তোলা হয়েছিল আমার বাড়ির সামনে দেয়ালের পাশে, কোনো প্রফেশনাল শুট ছিল না এটি। আমি কখনো মডেল ছিলাম না। আমি বহু বছর ধরে হেয়ারড্রেসার হিসেবে কাজ করছি। আমি একদম সাধারণ মানুষ, যে কিনা ভুলবশত এই ঝামেলার মধ্যে পড়ে গেছে।’
অনলাইনে উইম্যান ওয়্যারিং ব্লু ডেনিম জ্যাকেট নামে ছবিটি পাওয়া যায় বিনা মূল্যে ডাউনলোডযোগ্য ছবি সাইট আনস্প্ল্যাশ ও পেক্সেলসে। সেখানে লারিসার নাম নেই, কিন্তু ফটোগ্রাফারের নাম দেওয়া আছে। তিনি হলেন—ব্রাজিলের বেলো হরিজন্তের মাতেউস ফেরেরো। দুই সাইটে মিলিয়ে ছবিটি চার লাখের বেশি বার ডাউনলোড হয়েছে।
লারিসা বলেন, ‘আমি আগেও দেখেছি ছবিটা নানা ফটো-এডিটিং অ্যাপে বা কিছু ব্র্যান্ড তাদের কাজে ব্যবহার করেছে। কিন্তু কখনোই এমন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়, যেমনটা এবার করা হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, তিনি কখনো ভারতে আসেননি, এমনকি রাহুল গান্ধীর নামও শোনেননি।
লারিসা বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি সংস্থা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি, শুধু সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ কথা বলছেন। তিনি বলেন, ‘কিছু ভারতীয় ও ব্রাজিলীয় নাগরিক আমাকে ইনস্টাগ্রামে মেসেজ পাঠাতে শুরু করেছে।’
ব্রাজিলীয় এই নারী আরও বলেন, ‘যদি এটা আমার কাজ বা ফটোগ্রাফারের কাজ প্রচারের জন্য হতো, তাহলে খুশি হতাম। কিন্তু এটা ভুলভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এটা দুঃখজনক, কারণ আমার ছবি এমন কিছুর সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। হয়তো একে হয়রানি বলা ঠিক নয়, কিন্তু এটা একধরনের আক্রমণ মনে হয়েছে। এটা মোটেও ভালো লাগেনি।’
রাহুল গান্ধী বুধবার অভিযোগ করেন, গত বছর হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে। তিনি দাবি করেন, লারিসার ছবি হরিয়ানার রাই বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় ২২ বার পাওয়া গেছে। এই আসনেই বিজেপির কৃষ্ণ গেহলট কংগ্রেস প্রার্থী ভাগবান আনতিলকে ৪ হাজার ৬৭৩ ভোটে হারিয়েছিলেন।
যখন এক শ্রোতা বলেন ছবির নারী হরিয়ানার নয়, রাহুল গান্ধী জবাব দেন, ‘কিন্তু সে হরিয়ানায় ২২ বার ভোট দিয়েছে, ১০টা ভিন্ন বুথে ভোট দিয়েছে, তার নানা নাম আছে—সীমা, সুইটি, সরস্বতী, রশ্মি, বিমলা। এ এক ব্রাজিলীয় মডেলের ছবি।’ গান্ধী বলেন, এটা ছিল ‘কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত এক অপারেশন।’ তাঁর ভাষায়, ‘এই নারীর ছবিটা কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছে, বুথ পর্যায় থেকে নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন চাইলে এক সেকেন্ডেই এসব ডুপ্লিকেট নাম বাদ দিতে পারে। তারা কেন তা করছে না? কারণ, তারা বিজেপিকে সাহায্য করছে। আমি নির্বাচন কমিশন ও ভারতের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্ন করছি, এবং শতভাগ প্রমাণসহ করছি। আমরা নিশ্চিত, পরিকল্পনা করে কংগ্রেসের নিশ্চিত জয়কে পরাজয়ে পরিণত করা হয়েছে।’
ছবি ভাইরাল হওয়ার পর লারিসা ইনস্টাগ্রামে নিজের স্টোরিতে লিখেছিলেন, তাঁকে ‘ভারতীয় নারী’ হিসেবে দেখানো হচ্ছে মানুষকে ঠকানোর জন্য। বন্ধুরা, ওরা আমার পুরোনো ছবি ব্যবহার করছে। তখন আমার বয়স ছিল আঠারো থেকে কুড়ির মধ্যে। জানি না, এটা নির্বাচন নাকি ভোট সংক্রান্ত কিছু...আর সেটা ভারতে! ওরা আমাকে ভারতীয় হিসেবে দেখিয়ে মানুষ ঠকাচ্ছে। কী পাগলামি! কী অদ্ভুত দুনিয়া এটা! একজন সাংবাদিক আমাকে ফোন করেছিল এসব নিয়ে কথা বলতে, আমার কাজ, সেলুন নিয়ে জানতে চেয়েছিল। আমি সাড়া দিইনি। সে আমাকে ইনস্টাগ্রামে খুঁজে পেয়ে কল করেছিল। এখন আরেকজন বন্ধু, যার কোনো সম্পর্ক নেই, সে আবার ছবিটা পাঠাল—বিশ্বাসই হচ্ছে না।’

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজার আল-শিফা হাসপাতালকে ‘মৃত্যুকূপ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বৈশ্বিক এই সংস্থাটির নেতৃত্বে জাতিসংঘের কয়েকটি সংস্থার প্রতিনিধিদের একটি দল গত শনিবার গাজার সবচেয়ে বড় এই হাসপাতাল ঘুরে এই আখ্যা দেন
২০ নভেম্বর ২০২৩
ভারতের রাজধানী দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) সিস্টেমে একটি বড়সড় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে আজ শুক্রবার ৩০০ টিরও বেশি ফ্লাইট প্রভাবিত হয়েছে।
১ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) খুব শিগগিরই গাজায় মোতায়েন হবে। যুদ্ধপরবর্তী গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই বাহিনী কাজ করবে। তবে ট্রাম্প এই ঘোষণা দিলেও অঞ্চলটিতে এখনো ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ চলছে। মানবিক
৩ মিনিট আগে
নিঃসন্দেহে বর্তমানে চাকরির বাজার বেশ কঠিন। রুজভেল্ট ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ মাইকেল ম্যাডোভিটজ এটিকে ‘ভয়াবহ ট্রাফিক জ্যাম’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
৮ মিনিট আগে