অনলাইন ডেস্ক
ইরাকের শীর্ষ শিয়া ধর্মীয় নেতা গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ আলি আল-সিস্তানি সতর্ক করেছেন, ইরানের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হলে পুরো অঞ্চলের ওপর ভয়াবহ পরিণতি নেমে আসবে।
তিনি বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ বিস্তৃত অরাজকতার জন্ম দিতে পারে, যা এই অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং সব পক্ষের স্বার্থের মারাত্মক ক্ষতি ঘটাবে।’
আল-সিস্তানি ইরাক ও বিশ্বের কোটি কোটি শিয়া মুসলমানের ধর্মীয় পথপ্রদর্শক হিসেবে সম্মানিত। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতকে ‘অন্যায় যুদ্ধ’ আখ্যা দিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন—এই যুদ্ধ বন্ধে এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজে পেতে যেন সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হয়।
গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ আলি আল-সিস্তানি হচ্ছেন ইরাকের শিয়া মুসলমানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা এবং বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী শিয়া মারজা (ধর্মীয় পথপ্রদর্শক)। ১৯৩০ সালে ইরানের মাশহাদ শহরে জন্ম নেওয়া আল-সিস্তানি দীর্ঘদিন ধরে ইরাকের পবিত্র নাজাফ শহরে বসবাস করছেন। সেখানে তিনি হাওজা ইলমিয়া নামে পরিচিত একটি ঐতিহ্যবাহী শিয়া ধর্মীয় শিক্ষা কেন্দ্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শিয়া ইসলামিক শিক্ষায় তাঁর প্রগাঢ় জ্ঞান, সংযমী ব্যক্তিত্ব এবং মধ্যপন্থী অবস্থানের জন্য তিনি ইরাক ও বহির্বিশ্বের কোটি কোটি শিয়া মুসলমানের শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন।
রাজনীতিতে সরাসরি অংশ না নিলেও আল-সিস্তানি ইরাকের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি ও আন্তর্জাতিক ঘটনাবলিতে তাঁর মতামতের মাধ্যমে গভীর প্রভাব ফেলেন। ২০০৩ সালে সাদ্দাম হোসেইনের পতনের পর ইরাকে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথে তাঁর দিকনির্দেশনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। তিনি সব সময় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, ধর্মীয় সহনশীলতা এবং বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে এসেছেন।
এদিকে ইরানের বিয়ারশেভা শহরের ওপর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আজ বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি সরাসরি বলেছেন, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা করাই এখন ইসরায়েলের যুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য।
তিনি বলেন, ‘একজন ব্যক্তি (খামেনি) যিনি সব সময় তার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ইসরায়েল ধ্বংস করার লক্ষ্যে কাজ করেছেন। যে ব্যক্তি আমাদের আক্রমণ করতে প্রস্তুত, তার জীবিত থাকার অধিকার নেই। এই বিষয়টি—অর্থাৎ এই ব্যক্তিকে থামানো, তাকে নির্মূল করা—আমাদের অভিযানের অংশ।’
কাটজ আরও বলেন, ‘আমরা এখন বুঝতে পারছি তার (খামেনি) ভূমিকা কতটা ভয়ংকর ছিল। কারণ তিনি আগেই প্রকাশ্যে ইসরায়েল ধ্বংসের কথা বলেছিলেন।’
গত সপ্তাহে ইসরায়েল ইরানে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই ইরানে ‘শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন’ বা ‘রেজিম চেঞ্জ’ আনার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিল।
এই অভিযানের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক ইংরেজি ভিডিও বার্তায় ইরানিদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘আমরা আশা করি, এই সামরিক অভিযান আপনাদের স্বাধীনতা অর্জনের পথ প্রশস্ত করবে।’
গত মঙ্গলবার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে খামেনি প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা তাকে হত্যা করছি না—অন্তত এখনই না...তবে আমাদের ধৈর্য ফুরিয়ে আসছে।’
এই সব বক্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও ঘনীভূত হচ্ছে এবং আঞ্চলিক সংঘাত আরও ভয়ানক রূপ নিতে পারে।
ইরাকের শীর্ষ শিয়া ধর্মীয় নেতা গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ আলি আল-সিস্তানি সতর্ক করেছেন, ইরানের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হলে পুরো অঞ্চলের ওপর ভয়াবহ পরিণতি নেমে আসবে।
তিনি বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ বিস্তৃত অরাজকতার জন্ম দিতে পারে, যা এই অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং সব পক্ষের স্বার্থের মারাত্মক ক্ষতি ঘটাবে।’
আল-সিস্তানি ইরাক ও বিশ্বের কোটি কোটি শিয়া মুসলমানের ধর্মীয় পথপ্রদর্শক হিসেবে সম্মানিত। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতকে ‘অন্যায় যুদ্ধ’ আখ্যা দিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন—এই যুদ্ধ বন্ধে এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজে পেতে যেন সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হয়।
গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ আলি আল-সিস্তানি হচ্ছেন ইরাকের শিয়া মুসলমানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা এবং বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী শিয়া মারজা (ধর্মীয় পথপ্রদর্শক)। ১৯৩০ সালে ইরানের মাশহাদ শহরে জন্ম নেওয়া আল-সিস্তানি দীর্ঘদিন ধরে ইরাকের পবিত্র নাজাফ শহরে বসবাস করছেন। সেখানে তিনি হাওজা ইলমিয়া নামে পরিচিত একটি ঐতিহ্যবাহী শিয়া ধর্মীয় শিক্ষা কেন্দ্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শিয়া ইসলামিক শিক্ষায় তাঁর প্রগাঢ় জ্ঞান, সংযমী ব্যক্তিত্ব এবং মধ্যপন্থী অবস্থানের জন্য তিনি ইরাক ও বহির্বিশ্বের কোটি কোটি শিয়া মুসলমানের শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন।
রাজনীতিতে সরাসরি অংশ না নিলেও আল-সিস্তানি ইরাকের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি ও আন্তর্জাতিক ঘটনাবলিতে তাঁর মতামতের মাধ্যমে গভীর প্রভাব ফেলেন। ২০০৩ সালে সাদ্দাম হোসেইনের পতনের পর ইরাকে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথে তাঁর দিকনির্দেশনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। তিনি সব সময় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, ধর্মীয় সহনশীলতা এবং বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে এসেছেন।
এদিকে ইরানের বিয়ারশেভা শহরের ওপর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আজ বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি সরাসরি বলেছেন, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা করাই এখন ইসরায়েলের যুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য।
তিনি বলেন, ‘একজন ব্যক্তি (খামেনি) যিনি সব সময় তার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ইসরায়েল ধ্বংস করার লক্ষ্যে কাজ করেছেন। যে ব্যক্তি আমাদের আক্রমণ করতে প্রস্তুত, তার জীবিত থাকার অধিকার নেই। এই বিষয়টি—অর্থাৎ এই ব্যক্তিকে থামানো, তাকে নির্মূল করা—আমাদের অভিযানের অংশ।’
কাটজ আরও বলেন, ‘আমরা এখন বুঝতে পারছি তার (খামেনি) ভূমিকা কতটা ভয়ংকর ছিল। কারণ তিনি আগেই প্রকাশ্যে ইসরায়েল ধ্বংসের কথা বলেছিলেন।’
গত সপ্তাহে ইসরায়েল ইরানে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই ইরানে ‘শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন’ বা ‘রেজিম চেঞ্জ’ আনার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিল।
এই অভিযানের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক ইংরেজি ভিডিও বার্তায় ইরানিদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘আমরা আশা করি, এই সামরিক অভিযান আপনাদের স্বাধীনতা অর্জনের পথ প্রশস্ত করবে।’
গত মঙ্গলবার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে খামেনি প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা তাকে হত্যা করছি না—অন্তত এখনই না...তবে আমাদের ধৈর্য ফুরিয়ে আসছে।’
এই সব বক্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও ঘনীভূত হচ্ছে এবং আঞ্চলিক সংঘাত আরও ভয়ানক রূপ নিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে পরীক্ষার সময় স্পেসএক্সের দৈত্যকার স্টারশিপ রকেট ভয়াবহ বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। স্থানীয় সময় বুধবার গভীর রাতে টেক্সাসের ব্রাউনসভিলে অবস্থিত স্পেসএক্সের স্টারবেসে এই বিস্ফোরণ ঘটে। এটি ছিল স্টারশিপের দশম পরীক্ষামূলক উড়ানের প্রস্তুতি।
৯ মিনিট আগেইরান-ইসরায়েল সরাসরি সংঘাতের এক অতি সংকটময় মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া বার্তা দিয়েছে ইরান। তেহরান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়ালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘অপ্রত্যাশিত যুদ্ধের জনক’ হিসেবে ইতিহাসে চিহ্নিত হবেন। এতে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে ‘দোজখ’ নেবে আসবে...
২৮ মিনিট আগেইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খাতিবজাদেহ বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান সংঘাতে যদি যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালায় তবে পুরো মধ্যপ্রাচ্য দোজখে পরিণত হবে। তিনি আরও বলেছেন, ইরান কূটনৈতিকভাবে সমস্যা সমাধানের পক্ষে। তবে তাঁর দেশের ওপর বোমা হামলা অব্যাহত থাকলে আলোচনা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের বীরশেভা শহরের সোরোকা হাসপাতাল হামলার অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী মিশন। এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা দাবি করেছে, ইরানের সব ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্য ছিল ‘নির্ভুল’ এবং কেবলমাত্র সেইসব স্থাপনাকেই লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, যেগুলো ‘ইরানের
২ ঘণ্টা আগে