Ajker Patrika

ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উৎখাত করছে না কেউ: ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক
ওভাল অফিসে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করছেন ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
ওভাল অফিসে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করছেন ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

গাজা থেকে ‘ফিলিস্তিনিদের কেউ উৎখাত করছে না’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বুধবার ওভাল অফিসে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এই বক্তব্যে গাজা নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।

গত মাসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় তাঁর সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেছিলেন, গাজার দখল নেবে যুক্তরাষ্ট্র। প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দাকে ‘স্থায়ীভাবে’ সরিয়ে নেওয়া হবে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোকে একাধিকবার এ কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিনি মিসর ও জর্ডানের ওপর অনবরত চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছিলেন, যেন তারা গাজার বাসিন্দাদের নিজ দেশে আশ্রয় দেয়।

গাজাকে মধ্যপ্রাচ্যে বিলাসবহুল পর্যটনকেন্দ্র রিভেরা বানানোর খায়েশ মার্কিন প্রেসিডেন্টের। এআই দিয়ে বানানো এর ভিডিও নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রকাশ করেন তিনি। কোন ক্ষমতাবলে গাজার দখল নিতে চান, জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আলাদা কোনো ক্ষমতার প্রয়োজন নেই। ট্রাম্পের এমন বক্তব্যে ক্ষোভে ফেটে পড়েন উপত্যকার বাসিন্দারা।

সেই কট্টর অবস্থান থেকে সরে এসে ট্রাম্প গাজা ইস্যুতে যে মন্তব্য করেছেন, তাকে সাধুবাদ জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাশেমের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে এ তথ্য।

গতকাল বুধবার কাতারে আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের গাজার পুনর্গঠন ইস্যুতে আলোচনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ। তারপরই এ ইস্যুতে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এর আগে গত সপ্তাহেই গাজার পুনর্গঠনের একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করে মিসর, যা কায়রোতে একটি শীর্ষ সম্মেলনে অনুমোদন দেয় আরব লিগও।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৬ মাস গাজার পরিকল্পনা করবে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত এক অস্থায়ী প্রশাসন। প্রাথমিক পুনর্গঠন সম্পন্ন হলে তারা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে গাজা পরিচালনার ভার হস্তান্তর করবেন। প্রস্তাবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী গাজায় মোতায়েন করার কথা বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি মিসর ও জর্ডান ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পুলিশ বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেবে, যাতে তারা গাজায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সক্ষম হয়।

পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজাকে সাতটি ভিন্ন অঞ্চলে ভাগ করে চলবে পুনর্গঠনের কাজ। ওই সাত অঞ্চলে পর্যায়ক্রমে কাজ করা হবে, যাতে গাজার বাসিন্দাদের আশ্রয়ের জন্য উপত্যকার বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন না হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত