Ajker Patrika

ইসরায়েলের হামলায় যুক্তরাষ্ট্র দায়ী থাকার ‘শক্ত প্রমাণ’ আছে ইরানের কাছে

অনলাইন ডেস্ক
রোববার ইসরায়েলের হামলায় দক্ষিণ তেহরানে এভাবেই ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। ছবি: এএফপি
রোববার ইসরায়েলের হামলায় দক্ষিণ তেহরানে এভাবেই ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। ছবি: এএফপি

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সামরিক হামলা যুক্তরাষ্ট্রের জ্ঞান ও সহায়তা ছাড়া সম্ভব হতো না। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন সুসংগঠিত ও নির্ভরযোগ্য প্রমাণ রয়েছে, যা ইসরায়েলি হামলায় মার্কিন বাহিনী ও তাদের ঘাঁটিগুলোর ভূমিকা প্রমাণ করে।’

আজ রোববার তেহরানে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আরাকচি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই স্বীকার করেছেন, তিনি হামলার বিষয়ে জানতেন এবং এসব হামলা মার্কিন অস্ত্র ও প্রযুক্তি ছাড়া সম্ভব ছিল না। আরাকচি বলেন, ‘তাই আমাদের দৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্র এই হামলায় সরাসরি জড়িত এবং তাদের এর দায় নিতে হবে।’

আরাকচি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ইরানকে জানিয়েছে যে, তারা ইসরায়েলের হামলায় জড়িত নয়। তবে তেহরান এই দাবি বিশ্বাস করছে না। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই, যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে এ হামলার নিন্দা জানাক এবং প্রমাণ করুক যে, তারা পরমাণু অস্ত্রবিরোধী অবস্থানে আছে।’

আরাকচি দাবি করেন, এই হামলা এমন সময় হয়েছে যখন ওমানে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক আলোচনা আবার শুরু হওয়ার কথা ছিল। তাঁর মতে, ইসরায়েল সব সময়ই এ ধরনের আলোচনা বানচাল করতে চায়।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার থেকে ইসরায়েলের একাধিক হামলায় ইরানে নিহতের সংখ্যা ১০০ পেরিয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণুবিজ্ঞানী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকেরা।

অন্যদিকে ইরানও দুই রাত ধরে ইসরায়েলের তেল আবিব ও হাইফায় পাল্টা হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ১৪ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। ইরানি হামলায় ইসরায়েলের বিদ্যুৎকেন্দ্র, রিফাইনারি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

রোববার ভোরে ইসরায়েলের হামলায় তেহরানের পশ্চিমের শাহরান এলাকায় একটি জ্বালানি রিজার্ভে আগুন ধরে যায়। অধিকাংশ জ্বালানি সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হলেও আগুন নেভাতে সময় লেগেছে কয়েক ঘণ্টা।

এর আগে গত শনিবার ইরানের বুশেহর প্রদেশের আসালুয়েহ শহরের দক্ষিণ পার্স গ্যাসক্ষেত্রের ১৪ নম্বর ধাপে আঘাত হানে ইসরায়েল। আরাকচি একে একটি ‘গুরুতর কৌশলগত ভুল’ বলে আখ্যা দেন, যা গোটা অঞ্চলকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রোববার ইরানিদের সতর্ক করে বলেছে, তারা যেন অস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বা সহায়ক কেন্দ্রে না থাকে, তা না হলে হামলার ঝুঁকিতে পড়বে।

এদিকে আরাকচি জানিয়েছেন, তেহরান যুদ্ধ বন্ধে প্রস্তুত, তবে শর্ত হলো—ইসরায়েলকে আগে হামলা বন্ধ করতে হবে। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন ইসরায়েলের এ আগ্রাসনের নিন্দা জানায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত