আজ ৬ এপ্রিল। বিশ্ব শান্তির জন্য আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস। সারা বিশ্বে বাস্তুচ্যুত হওয়া ক্রীড়াবিদদের সম্মান জানাতে দিবসটি উদযাপন করা হয়। এমনই একজন ক্রীড়াবিদ জোসরা মারদিনি। যিনি ২০১৬ এবং ২০২০ সালে অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন শরণার্থী অলিম্পিক টিমের সদস্য হিসেবে।
সাঁতারু হওয়ার স্বপ্ন দেখা একরত্তি মেয়ে জোসরা মারদিনির যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে পালিয়ে সাত সমুদ্র তেরো নদী পার করে অলিম্পিকের মঞ্চে দাঁড়ানোর ধনুকভাঙা গল্প বেশ অনুপ্রেরণার। গল্পই বা কেন, এ তো জীবনেরই বাস্তবতা। সিরিয়ার সাঁতারু জোসরা মারদিনির জীবন নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘দ্য সুইমার্স’ নামে সিনেমাও।
মারদিনির জন্ম সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে। জীবনের ছোটবেলা কেটেছে বাবার মুখে শোনা সাঁতারুদের রঙিন সব গল্প শুনে। একেবারে ছোট থেকেই তাঁর বন্ধন গড়ে ওঠে সুইমিং পুলের সঙ্গে। সেই জলের ঝাপটার সঙ্গে আকার নিতে শুরু করে অলিম্পিকে পদক জেতার স্বপ্ন। কিন্তু, ভাগ্য এত মসৃণ নয়। গৃহযুদ্ধ শুরু হলো সিরিয়ায়। সাঁতারু হওয়া তো দূরের কথা, অস্তিত্বের সংকটে বিপন্ন হয়ে পড়ল তাঁর পরিবার।
মারদিনির বয়স যখন ১৩, তখনই তাঁর চারপাশে শুধু বোমা, গুলি ও বারুদের গন্ধ। পাশের বাড়িতে বোমাবর্ষণের পরই তাঁর পরিবার শরণার্থী শিবিরে গিয়ে আশ্রয় নেয়। সেখানেও সাঁতার কাটত ছোট্ট মারদিনি।
২০১৫ সালে মারদিনি এবং তাঁর বড় বোন নিরাপত্তার জন্য যুদ্ধবিধ্বস্ত ছাড়ার পরিকল্পনা করেন। গোপনে দেশত্যাগের ছক কষে কয়েকজন মিলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। লেবানন হয়ে তুরস্কে পৌঁছান দুই বোন। সেখান থেকে চোরাপথে এজিয়ান সমুদ্র পেরিয়ে গ্রিসে ঢোকার মতলব করেন। কিন্তু, বিপদ যেন জলপথেও ওঁত পেতে ছিল।
মাঝপথে নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। নৌকায় যে কয়েকজন ছিলেন সকলেই অথই সাগরে পড়েন। তখন মারদিনি ও তাঁর দিদি সারা জলে ঝাঁপিয়ে সাঁতরে নৌকা ঠেলে কয়েক ঘণ্টা পর গিয়ে পৌঁছান গ্রিসের উপকূলে। নিজেদের এবং নৌকার যাত্রী সকলের জীবন রক্ষা করেন দুই বোন।
মোট ২৫ দিনের পলাতক জীবন কাটিয়ে অবশেষে তাঁরা পৌঁছান জার্মানি। যেখানে মারদিনি খুঁজে পান জলের জীবন। বার্লিনে একটি সাঁতারের ক্লাবে যোগ দিয়ে ফের নতুন করে পদক গলায় পরার স্বপ্ন জেগে ওঠে তার। বার্লিনে তাঁর অসামান্য প্রতিভা অচিরেই প্রশিক্ষকদের নজর কাড়ে। ২০১৬ সালে শরণার্থী অলিম্পিক দলের সদস্য হিসেবে রিও অলিম্পিকে নির্বাচিত হন জোসরা। ১০০ মিটার বাটারফ্লাই ইভেন্টে পেছনের সারিতে থাকলেও পদক জয়ের অনুষ্ঠানে তাঁর লড়াইয়ের কাহিনি মুখে মুখে ফিরতে থাকে।
মারদিনির কথায়, রিও অলিম্পিকে তিনি শুধু সিরিয়ার পতাকা উড়িয়েছেন তাই নয়, বিশ্বের সকল শরণার্থীর আশা ও স্বপ্নকে মেলে ধরতে পেরেছেন।
মারদিনি বলেন, ‘যে মুহূর্তে আমি স্টেডিয়ামে ঢুকেছি তখনই আমার মাথা থেকে উবে গিয়েছিল যে, আমি একজন উদ্বাস্তু-ঘরছাড়া। আমি জানতাম, পদক আমি নাও জিততে পারি। আমার দেশের পতাকা বয়ে নাও নিয়ে যেতে পারি। কিন্তু, আমার হাতে যে পতাকা রয়েছে, তা গোটা বিশ্বকে প্রতিনিধিত্ব করে।’
মারদিনির অদম্য জেদ ও লড়াই করার মর্যাদা দিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদ তরুণীকে গুডউইল অ্যাম্বাসাডর করেছিল। শরণার্থীদের অধিকার নিয়ে উচ্চকিত দাবি প্রশংসিত হয়েছিল সাঁতারের পুলের বাইরেও।
নেটফ্লিক্স তাঁকে নিয়ে ‘দ্য সুইমারস’ নামে সিনেমাও করেছে। টাইম পত্রিকা জোসরা মারদিনিকে ২০২৩ সালে ১০০ জন মোস্ট ইনফ্লুয়েনসিয়াল মানুষের তালিকায় ঠাঁই দিয়েছিল। ।
আজ ৬ এপ্রিল। বিশ্ব শান্তির জন্য আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস। সারা বিশ্বে বাস্তুচ্যুত হওয়া ক্রীড়াবিদদের সম্মান জানাতে দিবসটি উদযাপন করা হয়। এমনই একজন ক্রীড়াবিদ জোসরা মারদিনি। যিনি ২০১৬ এবং ২০২০ সালে অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন শরণার্থী অলিম্পিক টিমের সদস্য হিসেবে।
সাঁতারু হওয়ার স্বপ্ন দেখা একরত্তি মেয়ে জোসরা মারদিনির যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে পালিয়ে সাত সমুদ্র তেরো নদী পার করে অলিম্পিকের মঞ্চে দাঁড়ানোর ধনুকভাঙা গল্প বেশ অনুপ্রেরণার। গল্পই বা কেন, এ তো জীবনেরই বাস্তবতা। সিরিয়ার সাঁতারু জোসরা মারদিনির জীবন নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘দ্য সুইমার্স’ নামে সিনেমাও।
মারদিনির জন্ম সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে। জীবনের ছোটবেলা কেটেছে বাবার মুখে শোনা সাঁতারুদের রঙিন সব গল্প শুনে। একেবারে ছোট থেকেই তাঁর বন্ধন গড়ে ওঠে সুইমিং পুলের সঙ্গে। সেই জলের ঝাপটার সঙ্গে আকার নিতে শুরু করে অলিম্পিকে পদক জেতার স্বপ্ন। কিন্তু, ভাগ্য এত মসৃণ নয়। গৃহযুদ্ধ শুরু হলো সিরিয়ায়। সাঁতারু হওয়া তো দূরের কথা, অস্তিত্বের সংকটে বিপন্ন হয়ে পড়ল তাঁর পরিবার।
মারদিনির বয়স যখন ১৩, তখনই তাঁর চারপাশে শুধু বোমা, গুলি ও বারুদের গন্ধ। পাশের বাড়িতে বোমাবর্ষণের পরই তাঁর পরিবার শরণার্থী শিবিরে গিয়ে আশ্রয় নেয়। সেখানেও সাঁতার কাটত ছোট্ট মারদিনি।
২০১৫ সালে মারদিনি এবং তাঁর বড় বোন নিরাপত্তার জন্য যুদ্ধবিধ্বস্ত ছাড়ার পরিকল্পনা করেন। গোপনে দেশত্যাগের ছক কষে কয়েকজন মিলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। লেবানন হয়ে তুরস্কে পৌঁছান দুই বোন। সেখান থেকে চোরাপথে এজিয়ান সমুদ্র পেরিয়ে গ্রিসে ঢোকার মতলব করেন। কিন্তু, বিপদ যেন জলপথেও ওঁত পেতে ছিল।
মাঝপথে নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। নৌকায় যে কয়েকজন ছিলেন সকলেই অথই সাগরে পড়েন। তখন মারদিনি ও তাঁর দিদি সারা জলে ঝাঁপিয়ে সাঁতরে নৌকা ঠেলে কয়েক ঘণ্টা পর গিয়ে পৌঁছান গ্রিসের উপকূলে। নিজেদের এবং নৌকার যাত্রী সকলের জীবন রক্ষা করেন দুই বোন।
মোট ২৫ দিনের পলাতক জীবন কাটিয়ে অবশেষে তাঁরা পৌঁছান জার্মানি। যেখানে মারদিনি খুঁজে পান জলের জীবন। বার্লিনে একটি সাঁতারের ক্লাবে যোগ দিয়ে ফের নতুন করে পদক গলায় পরার স্বপ্ন জেগে ওঠে তার। বার্লিনে তাঁর অসামান্য প্রতিভা অচিরেই প্রশিক্ষকদের নজর কাড়ে। ২০১৬ সালে শরণার্থী অলিম্পিক দলের সদস্য হিসেবে রিও অলিম্পিকে নির্বাচিত হন জোসরা। ১০০ মিটার বাটারফ্লাই ইভেন্টে পেছনের সারিতে থাকলেও পদক জয়ের অনুষ্ঠানে তাঁর লড়াইয়ের কাহিনি মুখে মুখে ফিরতে থাকে।
মারদিনির কথায়, রিও অলিম্পিকে তিনি শুধু সিরিয়ার পতাকা উড়িয়েছেন তাই নয়, বিশ্বের সকল শরণার্থীর আশা ও স্বপ্নকে মেলে ধরতে পেরেছেন।
মারদিনি বলেন, ‘যে মুহূর্তে আমি স্টেডিয়ামে ঢুকেছি তখনই আমার মাথা থেকে উবে গিয়েছিল যে, আমি একজন উদ্বাস্তু-ঘরছাড়া। আমি জানতাম, পদক আমি নাও জিততে পারি। আমার দেশের পতাকা বয়ে নাও নিয়ে যেতে পারি। কিন্তু, আমার হাতে যে পতাকা রয়েছে, তা গোটা বিশ্বকে প্রতিনিধিত্ব করে।’
মারদিনির অদম্য জেদ ও লড়াই করার মর্যাদা দিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদ তরুণীকে গুডউইল অ্যাম্বাসাডর করেছিল। শরণার্থীদের অধিকার নিয়ে উচ্চকিত দাবি প্রশংসিত হয়েছিল সাঁতারের পুলের বাইরেও।
নেটফ্লিক্স তাঁকে নিয়ে ‘দ্য সুইমারস’ নামে সিনেমাও করেছে। টাইম পত্রিকা জোসরা মারদিনিকে ২০২৩ সালে ১০০ জন মোস্ট ইনফ্লুয়েনসিয়াল মানুষের তালিকায় ঠাঁই দিয়েছিল। ।
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার সকাল কিছুটা শান্ত মনে হলেও পরিস্থিতি এখনো ভয়াবহ। ভোর থেকে এই শহরের প্রধান মোড়গুলোতে ব্যারিকেড বসিয়ে ভেতরের রাস্তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে সেনারা।
৪৪ মিনিট আগেহিমালয়কন্যা নেপালে সরকারের দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, এরই মধ্যে অন্তত ২৯ জনের প্রাণ ঝরেছে। এরপর নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করায় সরকারেরও পতন হয়েছে। দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী।
১ ঘণ্টা আগেনেপালের পর্যটন এলাকা চন্দ্রগিরিতে একটি কেবল কারে আগুন দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। নেপালি ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য হিমালয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এ ছাড়া, বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন মার্কেট, নেতাদের বাসভবন এমনকি থানাতেও আগুন ধরিয়ে দেয়।
৪ ঘণ্টা আগে‘মধ্যস্থতাকারী’—শব্দটা যেন কাতারের প্রতিশব্দই হয়ে উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, দ্বন্দ্ব চলছে এমন দুই দেশের সঙ্গে বেশ আলাদাভাবে সুসম্পর্ক রয়েছে কাতারের। এবং বরাবরই বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে সমঝোতা নিশ্চিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় দেখা যায় এই আরব দেশটিকে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্র-ইরান, হামাস-
৪ ঘণ্টা আগে