Ajker Patrika

গাজায় নিঃসন্দেহে যুদ্ধাপরাধ করছে ইসরায়েল: ম্যাথিউ মিলার

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৩ জুন ২০২৫, ১৪: ১৮
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সাবেক মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। ছবি: আনাদোলু
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সাবেক মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। ছবি: আনাদোলু

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করা ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, গাজায় ইসরায়েল ‘নিঃসন্দেহে’ যুদ্ধাপরাধ করেছে। বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েল বিষয়ে যে দৃষ্টিভঙ্গি লালন করত মিলারের এই বক্তব্য তা থেকে অনেক দূরে। এটি বাইডেন প্রশাসনের সরকারি অবস্থান থেকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অধীনে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ম্যাথিউ মিলার গতকাল সোমবার প্রচারিত স্কাই নিউজের ‘ট্রাম্প ১০০’ পডকাস্টে এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন।

ইসরায়েল ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫৪ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং অঞ্চলটিতে ত্রাণ ও অন্যান্য সামগ্রী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি তৈরি করেছে। এই অবস্থায় গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চলাচ্ছে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, তিনি এটিকে গণহত্যা মনে করেন না, তবে যুদ্ধাপরাধ সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত।

মিলার বলেন, ‘আমি মনে করি না যে, এটি একটি গণহত্যা, তবে এটি নিঃসন্দেহে সত্য যে ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ করেছে।’ সাবেক এই মুখপাত্র তাঁর সাবেক ভূমিকার সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে ব্যাখ্যা করেন, তিনি ওই মঞ্চ থেকে ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করতে পারতেন না।

মিলার বলেন, ‘যখন আপনি মঞ্চে থাকেন, তখন আপনি আপনার ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করতে পারেন না। আপনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের সিদ্ধান্ত প্রকাশ করেন।’ তিনি আরও বলেন, মার্কিন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।

তবে মিলার পদ্ধতিগত রাষ্ট্রীয় নীতি এবং স্বতন্ত্র সামরিক পদক্ষেপের মধ্যে পার্থক্য করেছেন। তিনি পরামর্শ দেন যে, ইসরায়েলি সেনারা ইচ্ছাকৃত সরকারি নীতির অংশ হিসেবে নয়, বরং সুনির্দিষ্ট ঘটনায় যুদ্ধাপরাধ করেছে। তিনি বলেন, ‘এমন কিছু স্বতন্ত্র ঘটনা ঘটেছে যা যুদ্ধাপরাধ, যেখানে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সদস্যরা যুদ্ধাপরাধ করেছে।’

ইসরায়েলের জবাবদিহি ব্যবস্থার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো তাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক সামরিক সদস্যকে জবাবদিহির আওতায় আনতে দেখিনি।’ তিনি আরও বলেন, তারা এটি কখনো করবে কিনা তা ‘একটি উন্মুক্ত প্রশ্ন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত