
সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে, বিদ্রোহীরা বাশার আল-আসাদের দেশত্যাগের বিষয়টি দাবি করলেও এর পক্ষে কোনো শক্ত প্রমাণ হাজির করেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আল-আসাদ ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ছেড়েছেন এবং দেশ ত্যাগের আগে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে।
তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেনি আসাদ বর্তমানে কোথায় অবস্থান করছেন এবং জানিয়েছে যে তাঁর প্রস্থানের আলোচনায় রাশিয়া কোনো অংশ নেয়নি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সিরিয়ায় রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটিগুলো উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে, তবে এই মুহূর্তে সেখানে কোনো গুরুতর হুমকি নেই। মস্কো জানিয়েছে, তারা সিরিয়ার সব বিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং সবাইকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে, বাশার আল-আসাদের পতনের সশস্ত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) সিরিয়াকে ‘মুক্ত’ ঘোষণা করেছে। তারা জানিয়েছে, স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশ ত্যাগ করেছেন। এটি একটি অন্ধকার যুগের সমাপ্তি এবং একটি নতুন যুগের সূচনা, টেলিগ্রাম চ্যানেলে এমন বার্তা দিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএস।
বিদ্রোহীরা বলেছে, আসাদের শাসনের অর্ধ-শতাব্দী ধরে যারা বাস্তুচ্যুত বা বন্দী হয়েছিলেন, তাঁরা এখন ঘরে ফিরতে পারবেন। এইচটিএস বলেছে, এটি হবে একটি ‘নতুন সিরিয়া’ যেখানে ‘সবাই শান্তিতে বসবাস করবে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।’
এদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের একজন কূটনৈতিক উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি নিশ্চিত নন, আসাদ আরব আমিরাতে রয়েছেন কিনা। বাহরাইনে মানামা ডায়ালগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আসাদের প্রসঙ্গে আসে। সাংবাদিকেরা আসাদের আরব আমিরাতে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়ে জল্পনা নিয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা আনোয়ার গারগাশ মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ‘যখন মানুষ জিজ্ঞেস করে, বাশার আল-আসাদ কোথায় যাচ্ছেন?, এটি সত্যিই, দিনের শেষে, ইতিহাসে একটি ফুটনোট মাত্র।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি এটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। যেমন আমি বলেছি, শেষ পর্যন্ত এটি বড় ঘটনাগুলোর তুলনায় একটি ফুটনোট মাত্র।’ গারগাশ আরও উল্লেখ করেন, সিরিয়া এখনও ‘ঝুঁকিমুক্ত নয়’ এবং সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার উত্থানের শঙ্কা রয়েই গেছে।
অপরদিকে, সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজী আল-জালালি সম্প্রচার মাধ্যম আল-আরাবিয়া চ্যানেলকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
সাক্ষাৎকারে সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেছেন, তিনি বিদ্রোহী কমান্ডার আবু মোহাম্মদ আল-জাওলানির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেন। তাঁদের আলোচনায় ক্ষমতা হস্তান্তর ও অন্তর্বর্তী সময় নিয়ে কথা হয়েছে।
আজ রোববার সকালে আল-আরাবিয়া চ্যানেল প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলেছে, তাঁর বাশার আল-আসাদের সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগ হয়েছে ‘গতকাল সন্ধ্যায়’। আসাদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে তাঁর কাছে কোনো তথ্য নেই। আজ ভোরে প্রধানমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক বক্তব্যে বলেছেন, তিনি জনগণের জন্য সর্বোত্তম কাজটি করতে প্রস্তুত।

সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে, বিদ্রোহীরা বাশার আল-আসাদের দেশত্যাগের বিষয়টি দাবি করলেও এর পক্ষে কোনো শক্ত প্রমাণ হাজির করেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আল-আসাদ ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ছেড়েছেন এবং দেশ ত্যাগের আগে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে।
তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেনি আসাদ বর্তমানে কোথায় অবস্থান করছেন এবং জানিয়েছে যে তাঁর প্রস্থানের আলোচনায় রাশিয়া কোনো অংশ নেয়নি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সিরিয়ায় রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটিগুলো উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে, তবে এই মুহূর্তে সেখানে কোনো গুরুতর হুমকি নেই। মস্কো জানিয়েছে, তারা সিরিয়ার সব বিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং সবাইকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে, বাশার আল-আসাদের পতনের সশস্ত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) সিরিয়াকে ‘মুক্ত’ ঘোষণা করেছে। তারা জানিয়েছে, স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশ ত্যাগ করেছেন। এটি একটি অন্ধকার যুগের সমাপ্তি এবং একটি নতুন যুগের সূচনা, টেলিগ্রাম চ্যানেলে এমন বার্তা দিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী এইচটিএস।
বিদ্রোহীরা বলেছে, আসাদের শাসনের অর্ধ-শতাব্দী ধরে যারা বাস্তুচ্যুত বা বন্দী হয়েছিলেন, তাঁরা এখন ঘরে ফিরতে পারবেন। এইচটিএস বলেছে, এটি হবে একটি ‘নতুন সিরিয়া’ যেখানে ‘সবাই শান্তিতে বসবাস করবে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।’
এদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের একজন কূটনৈতিক উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি নিশ্চিত নন, আসাদ আরব আমিরাতে রয়েছেন কিনা। বাহরাইনে মানামা ডায়ালগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আসাদের প্রসঙ্গে আসে। সাংবাদিকেরা আসাদের আরব আমিরাতে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়ে জল্পনা নিয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা আনোয়ার গারগাশ মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ‘যখন মানুষ জিজ্ঞেস করে, বাশার আল-আসাদ কোথায় যাচ্ছেন?, এটি সত্যিই, দিনের শেষে, ইতিহাসে একটি ফুটনোট মাত্র।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি এটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। যেমন আমি বলেছি, শেষ পর্যন্ত এটি বড় ঘটনাগুলোর তুলনায় একটি ফুটনোট মাত্র।’ গারগাশ আরও উল্লেখ করেন, সিরিয়া এখনও ‘ঝুঁকিমুক্ত নয়’ এবং সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার উত্থানের শঙ্কা রয়েই গেছে।
অপরদিকে, সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজী আল-জালালি সম্প্রচার মাধ্যম আল-আরাবিয়া চ্যানেলকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
সাক্ষাৎকারে সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেছেন, তিনি বিদ্রোহী কমান্ডার আবু মোহাম্মদ আল-জাওলানির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেন। তাঁদের আলোচনায় ক্ষমতা হস্তান্তর ও অন্তর্বর্তী সময় নিয়ে কথা হয়েছে।
আজ রোববার সকালে আল-আরাবিয়া চ্যানেল প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলেছে, তাঁর বাশার আল-আসাদের সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগ হয়েছে ‘গতকাল সন্ধ্যায়’। আসাদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে তাঁর কাছে কোনো তথ্য নেই। আজ ভোরে প্রধানমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক বক্তব্যে বলেছেন, তিনি জনগণের জন্য সর্বোত্তম কাজটি করতে প্রস্তুত।

ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কুরনুলে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১১ জনের। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ভোরে একটি ভলভো বাসে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কায় আগুন ধরে মুহূর্তেই ছাই হয়ে যায়। হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী ওই বাসে তখন প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কুরনুল জেলার উল্লিন্দাকোন্ডা এলাকার
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কাছে রাশিয়া কখনো মাথা নত করবে না। তবে তিনি স্বীকার করেন, ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞা অর্থনীতিতে কিছুটা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এর মধ্যে খবর এসেছে, চীন ও ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর দুই
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে একাধিক বিস্ফোরণ ও সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কুরনুলে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১১ জনের। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ভোরে একটি ভলভো বাসে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কায় আগুন ধরে মুহূর্তেই ছাই হয়ে যায়। হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী ওই বাসে তখন প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কুরনুল জেলার উল্লিন্দাকোন্ডা এলাকার কাছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বাসটি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হায়দরাবাদ থেকে রওনা হয়। জাতীয় সড়ক ৪৪ (এনএইচ-৪৪) ধরে ভোররাত ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে কুরনুলের কাছে পৌঁছালে সেটি একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা খায়।
পুলিশের ধারণা, ধাক্কার পর মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে আটকে যায় এবং সেখান থেকে স্ফুলিঙ্গ ছিটকে আগুন লাগে। দুর্ঘটনার পর বাসচালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বাসটিতে আগুন লাগার পর কয়েক মিনিটের মধ্যেই আগুন পুরো বাসটিকে গ্রাস করে।
কুরনুলের পুলিশ সুপার বিক্রান্ত পাতিল এনডিটিভিকে বলেন, ‘ভোররাত ৩টার দিকে হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিল কাভেরি ট্রাভেলসের একটি ভলভো বাস। এটি একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়, যা বাসের নিচে আটকে যায়। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয় বলে আমরা ধারণা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল) দল ঘটনাস্থলে এসে আগুন লাগার সঠিক কারণ খতিয়ে দেখছে। বাসটি যেহেতু এসি, তাই অনেক যাত্রী জানালা ভেঙে বের হতে বাধ্য হয়। যারা জানালা ভাঙতে পেরেছে, তারাই বেঁচে আছে।’
যাত্রী তালিকা অনুযায়ী বাসে ৪০ জন যাত্রী ছাড়াও চালক ও সহকারী ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় অধিকাংশ যাত্রী ঘুমিয়ে ছিল, তাই বের হতে দেরি হয়ে যায়। এফএসএল দল এখনো অনুসন্ধান চালাচ্ছে, কেউ বাসের ভেতরে আটকে আছে কি না তা জানতে। পুলিশ সুপার আরও জানান, ‘১৫ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’
সরকারি হাসপাতালে ১১ জন যাত্রী চিকিৎসা নিচ্ছে, আর তিনজনকে বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। নিখোঁজ যাত্রীদের খোঁজে এবং নিহত ব্যক্তিদের শনাক্তে অভিযান চলছে।
নান্দিয়ালের সংসদ সদস্য বাইরেড্ডি শাবরী বলেন, ‘বাসটি দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এক প্রত্যক্ষদর্শী আমাদের জানিয়েছেন, তিনি বিপরীত দিক থেকে আসছিলেন এবং উদ্ধার করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যেই বাসে বিস্ফোরণ ঘটে। আমরা ১৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে পেরেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিছু মরদেহ এতটা দগ্ধ হয়েছে যে শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
অন্ধ্র প্রদেশের পরিবহনমন্ত্রী রামপ্রসাদ রেড্ডি বলেন, ‘বাসটির নথিপত্র যাচাই করা হচ্ছে। গত দুই মাসে এই বাস সংক্রান্ত নিয়ম ও রক্ষণাবেক্ষণ কতটা মানা হয়েছে, সেটিও পরীক্ষা করা হবে।’ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘কুরনুল জেলার চিনা টেকুর গ্রামের কাছে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার খবর শুনে আমি মর্মাহত। যেসব পরিবার প্রিয়জন হারিয়েছে, তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের সরকার সর্বোচ্চ সহায়তা দেবে।’

ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কুরনুলে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১১ জনের। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ভোরে একটি ভলভো বাসে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কায় আগুন ধরে মুহূর্তেই ছাই হয়ে যায়। হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী ওই বাসে তখন প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কুরনুল জেলার উল্লিন্দাকোন্ডা এলাকার কাছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বাসটি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হায়দরাবাদ থেকে রওনা হয়। জাতীয় সড়ক ৪৪ (এনএইচ-৪৪) ধরে ভোররাত ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে কুরনুলের কাছে পৌঁছালে সেটি একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা খায়।
পুলিশের ধারণা, ধাক্কার পর মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে আটকে যায় এবং সেখান থেকে স্ফুলিঙ্গ ছিটকে আগুন লাগে। দুর্ঘটনার পর বাসচালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বাসটিতে আগুন লাগার পর কয়েক মিনিটের মধ্যেই আগুন পুরো বাসটিকে গ্রাস করে।
কুরনুলের পুলিশ সুপার বিক্রান্ত পাতিল এনডিটিভিকে বলেন, ‘ভোররাত ৩টার দিকে হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিল কাভেরি ট্রাভেলসের একটি ভলভো বাস। এটি একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়, যা বাসের নিচে আটকে যায়। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয় বলে আমরা ধারণা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল) দল ঘটনাস্থলে এসে আগুন লাগার সঠিক কারণ খতিয়ে দেখছে। বাসটি যেহেতু এসি, তাই অনেক যাত্রী জানালা ভেঙে বের হতে বাধ্য হয়। যারা জানালা ভাঙতে পেরেছে, তারাই বেঁচে আছে।’
যাত্রী তালিকা অনুযায়ী বাসে ৪০ জন যাত্রী ছাড়াও চালক ও সহকারী ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় অধিকাংশ যাত্রী ঘুমিয়ে ছিল, তাই বের হতে দেরি হয়ে যায়। এফএসএল দল এখনো অনুসন্ধান চালাচ্ছে, কেউ বাসের ভেতরে আটকে আছে কি না তা জানতে। পুলিশ সুপার আরও জানান, ‘১৫ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’
সরকারি হাসপাতালে ১১ জন যাত্রী চিকিৎসা নিচ্ছে, আর তিনজনকে বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। নিখোঁজ যাত্রীদের খোঁজে এবং নিহত ব্যক্তিদের শনাক্তে অভিযান চলছে।
নান্দিয়ালের সংসদ সদস্য বাইরেড্ডি শাবরী বলেন, ‘বাসটি দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এক প্রত্যক্ষদর্শী আমাদের জানিয়েছেন, তিনি বিপরীত দিক থেকে আসছিলেন এবং উদ্ধার করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যেই বাসে বিস্ফোরণ ঘটে। আমরা ১৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে পেরেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিছু মরদেহ এতটা দগ্ধ হয়েছে যে শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
অন্ধ্র প্রদেশের পরিবহনমন্ত্রী রামপ্রসাদ রেড্ডি বলেন, ‘বাসটির নথিপত্র যাচাই করা হচ্ছে। গত দুই মাসে এই বাস সংক্রান্ত নিয়ম ও রক্ষণাবেক্ষণ কতটা মানা হয়েছে, সেটিও পরীক্ষা করা হবে।’ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘কুরনুল জেলার চিনা টেকুর গ্রামের কাছে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার খবর শুনে আমি মর্মাহত। যেসব পরিবার প্রিয়জন হারিয়েছে, তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের সরকার সর্বোচ্চ সহায়তা দেবে।’

সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে, বিদ্রোহীরা বাশার আল-আসাদের দেশত্যাগের বিষয়টি দাবি করলেও এর পক্ষে কোনো শক্ত প্রমাণ হাজির করেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কাছে রাশিয়া কখনো মাথা নত করবে না। তবে তিনি স্বীকার করেন, ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞা অর্থনীতিতে কিছুটা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এর মধ্যে খবর এসেছে, চীন ও ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর দুই
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে একাধিক বিস্ফোরণ ও সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কাছে রাশিয়া কখনো মাথা নত করবে না। তবে তিনি স্বীকার করেন, ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞা অর্থনীতিতে কিছুটা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এর মধ্যে খবর এসেছে, চীন ও ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর দুই বৃহৎ তেল উৎপাদক কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর এই খবর সামনে এসেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র রসনেফট, লুকঅয়েলসহ তাদের অন্তর্ভুক্ত প্রায় তিন ডজন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ক্রেমলিনের ওপর চাপ বাড়ানোর অংশ হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই পদক্ষেপ নেয়। অপর দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা দিতে সম্মত হয়েছে।
রসনেফট ও লুকঅয়েল রাশিয়ার মোট তেল রপ্তানির প্রায় অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করে। যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার পর এই দুটি কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা হচ্ছে ট্রাম্পের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর মস্কোর বিরুদ্ধে প্রথম বড় পদক্ষেপ। মূল লক্ষ্য হলো—ক্রেমলিনের যুদ্ধযন্ত্রকে চালাতে তেল যে আয়ের জোগান দেয়, তা বন্ধ করে দেওয়া।
ওয়াশিংটন আশা করছে, এই নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার অর্থনীতিতে আঘাত হানবে এবং পুতিনকে আলোচনার টেবিলে ফিরতে বাধ্য করবে। নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম ৫ শতাংশ বেড়েছে। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন নিষেধাজ্ঞাকে বলেছেন, ‘অবন্ধুসুলভ পদক্ষেপ’, যা ‘রাশিয়া-আমেরিকা সম্পর্ককে শক্তিশালী করে না’। তাঁর ভাষায়, এটি ‘রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা’, তবে এটি ‘সম্পূর্ণ ব্যর্থ উদ্যোগ’ বলে মনে করেন তিনি।
পুতিন বলেন, ‘আত্মসম্মান বোধসম্পন্ন কোনো দেশ কখনো চাপের মুখে সিদ্ধান্ত নেয় না।’ তিনি দাবি করেন, নতুন নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার ওপর বড় প্রভাব ফেলবে না, তবে ‘কিছু ক্ষতি অনিবার্য।’ এ সময় তিনি ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তাঁর উচিত ভেবে দেখা—তাঁর প্রশাসন আসলে কার স্বার্থে কাজ করছে।’ তিনি সতর্ক করেন, এই নিষেধাজ্ঞা তেলের দাম আরও বাড়াবে।
পুতিন আরও হুঁশিয়ারি দেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ‘টমাহক ক্রুজ মিসাইল’ দেয় এবং তা দিয়ে রাশিয়ার ওপর হামলা চালানো হয়, তবে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া হবে ‘অত্যন্ত শক্তিশালী, এমনকি ধ্বংসাত্মক’।
নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় অন্যান্য দেশ ও কোম্পানিগুলোকে রাশিয়ার বড় তেল উৎপাদকদের সঙ্গে ব্যবসা করতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে তারা আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার বৃহৎ অংশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবারই এর প্রাথমিক প্রভাব দেখা গেছে। রাশিয়ার দুই প্রধান ক্রেতা দেশ চীন ও ভারত তেল আমদানি স্থগিতের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ভারতের সবচেয়ে বড় রুশ তেল আমদানিকারক রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ জানায়, তারা রাশিয়া থেকে তেল কেনার প্রক্রিয়া ‘পুনর্মূল্যায়ন’ করছে। সংস্থার এক মুখপাত্র বলেন, ‘রিলায়েন্স সম্পূর্ণভাবে ভারতের সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী রাশিয়ান তেল আমদানিতে সামঞ্জস্য আনছে।’ রয়টার্স জানিয়েছে, চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলো আপাতত সমুদ্রপথে রুশ তেল কেনা স্থগিত করেছে। তারা আশঙ্কা করছে, নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জটিলতায় না জড়িয়ে পড়ে।
রাশিয়ার জিডিপির প্রায় এক-পঞ্চমাংশই তেল ও গ্যাস খাত থেকে আসে। চীন ও ভারতের মতো প্রধান ক্রেতারা যদি হঠাৎ তেল কেনা বন্ধ করে দেয়, তা ক্রেমলিনের অর্থনীতিতে ভয়াবহ আঘাত হানবে, আর বিশ্ববাজারে তেলের দাম আরও ঊর্ধ্বমুখী হবে। রাশিয়ার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন এবং ভারত ইউক্রেন যুদ্ধে নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেছে এবং দুই দেশই এত দিন পশ্চিমা চাপকে ‘ফাঁপা হুমকি’ হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু এবার তারা বাস্তবিকই নতুন পরিস্থিতির মুখোমুখি। নিষেধাজ্ঞা মানতে হলে তাদের রাশিয়ার সস্তা তেল ত্যাগ করতে হবে, যা তাদের অর্থনীতিকে বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট থেকে রক্ষা করেছিল।
এদিকে ট্রাম্প বুদাপেস্টে বৈঠকের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা বাতিলের প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, বৈঠকটি ‘সম্ভবত পিছিয়ে যাবে’ এবং যথাযথ প্রস্তুতি ছাড়া তা আয়োজন করা ‘ভুল হবে’। তবে তিনি জানান, তিনি এখনো ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী, কারণ ‘সংলাপ সর্বদা যুদ্ধের চেয়ে ভালো’।
রুশ কর্মকর্তারা অবশ্য অনেক কঠোর সুরে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নিরাপত্তা পরিষদের জ্যেষ্ঠ সদস্য দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা ‘যুদ্ধের ঘোষণা’। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের শত্রু। তাদের বাচাল “শান্তিদূত” এখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের পথে পা রেখেছে।’
ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ কিছু বিশেষজ্ঞও স্বীকার করেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা রুশ অর্থনীতিতে আঘাত আনতে পারে। রাশিয়া সরকারের অধীন ফিন্যান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইগর ইউশকভ কমেরসান্ত পত্রিকাকে বলেন, নিষেধাজ্ঞার ফলে এশীয় ক্রেতারা সরাসরি রুশ তেল কিনতে দ্বিধা করবে। এতে কোম্পানিগুলোকে মধ্যস্বত্বভোগী ও জটিল লজিস্টিক চেইনের ওপর নির্ভর করতে হবে, যা খরচ বাড়াবে।
তবে এই নিষেধাজ্ঞার প্রকৃত প্রভাব নির্ভর করবে তা কতটা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হয় তার ওপর; বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র কি সেই দেশগুলোর বিরুদ্ধেও ‘সেকেন্ডারি স্যাংশন’ দেবে, যারা রুশ তেল কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাবে। রাশিয়ার হাতে এখনো এক মাস সময় আছে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগে। মস্কো সম্ভবত সেই সময়টা নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে ব্যবহার করবে।
আগেও রাশিয়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে গেছে বিভিন্ন গোপন বাণিজ্যিক কৌশল ও তাদের তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। এই নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয় পুরোনো জাহাজ, যেগুলো অচেনা পতাকা নিয়ে চলে এবং মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার অজানা কোম্পানির নামে নিবন্ধিত। এই পদ্ধতিতেই রাশিয়া এখনো ভারত ও চীনের মতো ক্রেতাদের কাছে তেল বিক্রি চালিয়ে যাচ্ছে, জি-৭-এর দামের সীমা ও ইইউ নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও।
মস্কোর অনেকে আবার আত্মবিশ্বাসী যে রাশিয়া এবারও টিকে যাবে। রুশ সামরিক ঘনিষ্ঠ ব্লগার মিখাইল জভিঞ্চুক বলেন, ‘নতুন বিক্রয় কাঠামো গড়ে উঠবে। এতে পরিবহন জটিলতা ও খরচ বাড়বে ঠিকই, কিন্তু তেল ব্যবসা তিন বছর ধরে এসব সামলে নিয়েছে, এখনো পারবে।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কাছে রাশিয়া কখনো মাথা নত করবে না। তবে তিনি স্বীকার করেন, ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞা অর্থনীতিতে কিছুটা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এর মধ্যে খবর এসেছে, চীন ও ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর দুই বৃহৎ তেল উৎপাদক কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর এই খবর সামনে এসেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র রসনেফট, লুকঅয়েলসহ তাদের অন্তর্ভুক্ত প্রায় তিন ডজন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ক্রেমলিনের ওপর চাপ বাড়ানোর অংশ হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এই পদক্ষেপ নেয়। অপর দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা দিতে সম্মত হয়েছে।
রসনেফট ও লুকঅয়েল রাশিয়ার মোট তেল রপ্তানির প্রায় অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করে। যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার পর এই দুটি কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা হচ্ছে ট্রাম্পের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর মস্কোর বিরুদ্ধে প্রথম বড় পদক্ষেপ। মূল লক্ষ্য হলো—ক্রেমলিনের যুদ্ধযন্ত্রকে চালাতে তেল যে আয়ের জোগান দেয়, তা বন্ধ করে দেওয়া।
ওয়াশিংটন আশা করছে, এই নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার অর্থনীতিতে আঘাত হানবে এবং পুতিনকে আলোচনার টেবিলে ফিরতে বাধ্য করবে। নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম ৫ শতাংশ বেড়েছে। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন নিষেধাজ্ঞাকে বলেছেন, ‘অবন্ধুসুলভ পদক্ষেপ’, যা ‘রাশিয়া-আমেরিকা সম্পর্ককে শক্তিশালী করে না’। তাঁর ভাষায়, এটি ‘রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা’, তবে এটি ‘সম্পূর্ণ ব্যর্থ উদ্যোগ’ বলে মনে করেন তিনি।
পুতিন বলেন, ‘আত্মসম্মান বোধসম্পন্ন কোনো দেশ কখনো চাপের মুখে সিদ্ধান্ত নেয় না।’ তিনি দাবি করেন, নতুন নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার ওপর বড় প্রভাব ফেলবে না, তবে ‘কিছু ক্ষতি অনিবার্য।’ এ সময় তিনি ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তাঁর উচিত ভেবে দেখা—তাঁর প্রশাসন আসলে কার স্বার্থে কাজ করছে।’ তিনি সতর্ক করেন, এই নিষেধাজ্ঞা তেলের দাম আরও বাড়াবে।
পুতিন আরও হুঁশিয়ারি দেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ‘টমাহক ক্রুজ মিসাইল’ দেয় এবং তা দিয়ে রাশিয়ার ওপর হামলা চালানো হয়, তবে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া হবে ‘অত্যন্ত শক্তিশালী, এমনকি ধ্বংসাত্মক’।
নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় অন্যান্য দেশ ও কোম্পানিগুলোকে রাশিয়ার বড় তেল উৎপাদকদের সঙ্গে ব্যবসা করতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে তারা আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার বৃহৎ অংশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবারই এর প্রাথমিক প্রভাব দেখা গেছে। রাশিয়ার দুই প্রধান ক্রেতা দেশ চীন ও ভারত তেল আমদানি স্থগিতের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ভারতের সবচেয়ে বড় রুশ তেল আমদানিকারক রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ জানায়, তারা রাশিয়া থেকে তেল কেনার প্রক্রিয়া ‘পুনর্মূল্যায়ন’ করছে। সংস্থার এক মুখপাত্র বলেন, ‘রিলায়েন্স সম্পূর্ণভাবে ভারতের সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী রাশিয়ান তেল আমদানিতে সামঞ্জস্য আনছে।’ রয়টার্স জানিয়েছে, চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলো আপাতত সমুদ্রপথে রুশ তেল কেনা স্থগিত করেছে। তারা আশঙ্কা করছে, নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জটিলতায় না জড়িয়ে পড়ে।
রাশিয়ার জিডিপির প্রায় এক-পঞ্চমাংশই তেল ও গ্যাস খাত থেকে আসে। চীন ও ভারতের মতো প্রধান ক্রেতারা যদি হঠাৎ তেল কেনা বন্ধ করে দেয়, তা ক্রেমলিনের অর্থনীতিতে ভয়াবহ আঘাত হানবে, আর বিশ্ববাজারে তেলের দাম আরও ঊর্ধ্বমুখী হবে। রাশিয়ার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন এবং ভারত ইউক্রেন যুদ্ধে নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেছে এবং দুই দেশই এত দিন পশ্চিমা চাপকে ‘ফাঁপা হুমকি’ হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু এবার তারা বাস্তবিকই নতুন পরিস্থিতির মুখোমুখি। নিষেধাজ্ঞা মানতে হলে তাদের রাশিয়ার সস্তা তেল ত্যাগ করতে হবে, যা তাদের অর্থনীতিকে বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট থেকে রক্ষা করেছিল।
এদিকে ট্রাম্প বুদাপেস্টে বৈঠকের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা বাতিলের প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, বৈঠকটি ‘সম্ভবত পিছিয়ে যাবে’ এবং যথাযথ প্রস্তুতি ছাড়া তা আয়োজন করা ‘ভুল হবে’। তবে তিনি জানান, তিনি এখনো ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী, কারণ ‘সংলাপ সর্বদা যুদ্ধের চেয়ে ভালো’।
রুশ কর্মকর্তারা অবশ্য অনেক কঠোর সুরে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নিরাপত্তা পরিষদের জ্যেষ্ঠ সদস্য দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা ‘যুদ্ধের ঘোষণা’। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের শত্রু। তাদের বাচাল “শান্তিদূত” এখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের পথে পা রেখেছে।’
ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ কিছু বিশেষজ্ঞও স্বীকার করেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা রুশ অর্থনীতিতে আঘাত আনতে পারে। রাশিয়া সরকারের অধীন ফিন্যান্সিয়াল ইউনিভার্সিটির জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইগর ইউশকভ কমেরসান্ত পত্রিকাকে বলেন, নিষেধাজ্ঞার ফলে এশীয় ক্রেতারা সরাসরি রুশ তেল কিনতে দ্বিধা করবে। এতে কোম্পানিগুলোকে মধ্যস্বত্বভোগী ও জটিল লজিস্টিক চেইনের ওপর নির্ভর করতে হবে, যা খরচ বাড়াবে।
তবে এই নিষেধাজ্ঞার প্রকৃত প্রভাব নির্ভর করবে তা কতটা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হয় তার ওপর; বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র কি সেই দেশগুলোর বিরুদ্ধেও ‘সেকেন্ডারি স্যাংশন’ দেবে, যারা রুশ তেল কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাবে। রাশিয়ার হাতে এখনো এক মাস সময় আছে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগে। মস্কো সম্ভবত সেই সময়টা নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে ব্যবহার করবে।
আগেও রাশিয়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে গেছে বিভিন্ন গোপন বাণিজ্যিক কৌশল ও তাদের তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। এই নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয় পুরোনো জাহাজ, যেগুলো অচেনা পতাকা নিয়ে চলে এবং মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার অজানা কোম্পানির নামে নিবন্ধিত। এই পদ্ধতিতেই রাশিয়া এখনো ভারত ও চীনের মতো ক্রেতাদের কাছে তেল বিক্রি চালিয়ে যাচ্ছে, জি-৭-এর দামের সীমা ও ইইউ নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও।
মস্কোর অনেকে আবার আত্মবিশ্বাসী যে রাশিয়া এবারও টিকে যাবে। রুশ সামরিক ঘনিষ্ঠ ব্লগার মিখাইল জভিঞ্চুক বলেন, ‘নতুন বিক্রয় কাঠামো গড়ে উঠবে। এতে পরিবহন জটিলতা ও খরচ বাড়বে ঠিকই, কিন্তু তেল ব্যবসা তিন বছর ধরে এসব সামলে নিয়েছে, এখনো পারবে।’

সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে, বিদ্রোহীরা বাশার আল-আসাদের দেশত্যাগের বিষয়টি দাবি করলেও এর পক্ষে কোনো শক্ত প্রমাণ হাজির করেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কুরনুলে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১১ জনের। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ভোরে একটি ভলভো বাসে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কায় আগুন ধরে মুহূর্তেই ছাই হয়ে যায়। হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী ওই বাসে তখন প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কুরনুল জেলার উল্লিন্দাকোন্ডা এলাকার
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে একাধিক বিস্ফোরণ ও সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে একাধিক বিস্ফোরণ ও সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
চেলিয়াবিন্স্ক অঞ্চলের গভর্নর আলেক্সেই টেক্সলার জানান, বুধবার রাতে কোপেয়েস্ক শহরের একটি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি নিশ্চিত করেন, ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও পাঁচজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।
গভর্নর টেক্সলার জোর দিয়ে বলেন, এই বিস্ফোরণগুলো ড্রোন হামলার কারণে ঘটেনি। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত ছিল এবং এখনো ১০ জন কর্মী নিখোঁজ।
১২ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি মোট ১৯ জন আহত হয়েছে বলে জানান গভর্নর। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, আর ১৪ জনকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। টেক্সলার এই তথ্য টেলিগ্রামে প্রকাশ করেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের স্থানটি প্লাস্টমাস নামের একটি প্লাস্টিক প্রস্তুতকারী কারখানা, যেখানে রুশ সেনাবাহিনীর জন্য আর্টিলারি গোলাবারুদ তৈরি করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।
আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটে দক্ষিণাঞ্চলীয় স্তাভরোপল শহরে, যা একটি সামরিক ঘাঁটির কাছাকাছি। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, একটি বাসস্ট্যান্ডের পাশে শিশুর বেবি স্ট্রলারে বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল।
সেখানে এক নারী ধাতব টুকরোতে আহত হন। এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আটক করে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে ব্যবসায়িক পত্রিকা কমারসান্ট জানিয়েছে।
ইউক্রেন সীমান্তবর্তী ব্রিয়ানস্ক ও বেলগোরোদ অঞ্চলের কর্মকর্তারা জানান, ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় দুটি বেসামরিক যানবাহন লক্ষ্যবস্তু হওয়ায় দুজন নিহত হয়েছেন।
এদিকে রিয়াজান অঞ্চলের গভর্নর পাভেল মালকভ জানান, ইউক্রেনীয় ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। স্বাধীন গণমাধ্যম আস্ত্রা স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে জানায়, রিয়াজান তেল শোধনাগারটি সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ১৩৯টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত বা আটক করেছে।
এর মধ্যে বেলগোরোদ অঞ্চলে ৫৬টি, ব্রিয়ানস্কে ২২টি এবং রিয়াজান অঞ্চলে ১৪টি ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে একাধিক বিস্ফোরণ ও সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
চেলিয়াবিন্স্ক অঞ্চলের গভর্নর আলেক্সেই টেক্সলার জানান, বুধবার রাতে কোপেয়েস্ক শহরের একটি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি নিশ্চিত করেন, ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও পাঁচজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন।
গভর্নর টেক্সলার জোর দিয়ে বলেন, এই বিস্ফোরণগুলো ড্রোন হামলার কারণে ঘটেনি। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত ছিল এবং এখনো ১০ জন কর্মী নিখোঁজ।
১২ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি মোট ১৯ জন আহত হয়েছে বলে জানান গভর্নর। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, আর ১৪ জনকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। টেক্সলার এই তথ্য টেলিগ্রামে প্রকাশ করেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের স্থানটি প্লাস্টমাস নামের একটি প্লাস্টিক প্রস্তুতকারী কারখানা, যেখানে রুশ সেনাবাহিনীর জন্য আর্টিলারি গোলাবারুদ তৈরি করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।
আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটে দক্ষিণাঞ্চলীয় স্তাভরোপল শহরে, যা একটি সামরিক ঘাঁটির কাছাকাছি। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, একটি বাসস্ট্যান্ডের পাশে শিশুর বেবি স্ট্রলারে বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল।
সেখানে এক নারী ধাতব টুকরোতে আহত হন। এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আটক করে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে ব্যবসায়িক পত্রিকা কমারসান্ট জানিয়েছে।
ইউক্রেন সীমান্তবর্তী ব্রিয়ানস্ক ও বেলগোরোদ অঞ্চলের কর্মকর্তারা জানান, ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় দুটি বেসামরিক যানবাহন লক্ষ্যবস্তু হওয়ায় দুজন নিহত হয়েছেন।
এদিকে রিয়াজান অঞ্চলের গভর্নর পাভেল মালকভ জানান, ইউক্রেনীয় ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। স্বাধীন গণমাধ্যম আস্ত্রা স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে জানায়, রিয়াজান তেল শোধনাগারটি সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ১৩৯টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত বা আটক করেছে।
এর মধ্যে বেলগোরোদ অঞ্চলে ৫৬টি, ব্রিয়ানস্কে ২২টি এবং রিয়াজান অঞ্চলে ১৪টি ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে, বিদ্রোহীরা বাশার আল-আসাদের দেশত্যাগের বিষয়টি দাবি করলেও এর পক্ষে কোনো শক্ত প্রমাণ হাজির করেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কুরনুলে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১১ জনের। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ভোরে একটি ভলভো বাসে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কায় আগুন ধরে মুহূর্তেই ছাই হয়ে যায়। হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী ওই বাসে তখন প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কুরনুল জেলার উল্লিন্দাকোন্ডা এলাকার
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কাছে রাশিয়া কখনো মাথা নত করবে না। তবে তিনি স্বীকার করেন, ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞা অর্থনীতিতে কিছুটা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এর মধ্যে খবর এসেছে, চীন ও ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর দুই
১ ঘণ্টা আগে
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষ ও বাণিজ্য বন্ধ।
১১ অক্টোবর থেকে দুই দেশের মধ্যে সব ধরনের সীমান্ত পারাপার ও বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। ওই সময় সীমান্তে ভয়াবহ যুদ্ধ ও পাকিস্তানের বিমান হামলায় দুই পক্ষেই বহু মানুষ নিহত হয়। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর এটি সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ।
পাকিস্তান-আফগানিস্তান চেম্বার অব কমার্সের প্রধান খান জান আলোকজাই আজ বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে বলেন, প্রতিদিন দুই দেশ প্রায় ১০ লাখ ডলার করে ক্ষতি করছে।
পাকিস্তান-আফগানিস্তান চেম্বার অব কমার্সের তথ্য অনুযায়ী, দুই দেশের বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, যার বেশির ভাগই তাজা ফল, শাকসবজি, খনিজ, ওষুধ, গম, চাল, চিনি, মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্য। সীমান্ত বন্ধ থাকায় এসব পণ্যের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
আলোকজা১ই বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিন প্রায় ৫০০ কনটেইনার সবজি রপ্তানির জন্য প্রস্তুত থাকে, কিন্তু সীমান্ত বন্ধ থাকায় সব পণ্য এখন নষ্ট হয়ে গেছে।’
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান তোরখাম সীমান্তের এক কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, সীমান্তের দুই পাশে এখন প্রায় ৫ হাজার কনটেইনার আটকা পড়ে আছে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, বাজারে ইতিমধ্যে টমেটো, আপেল ও আঙুরের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, আপেল আমদানির বড় অংশ আফগানিস্তান থেকে আসে, ফলে এর দামও দ্রুত বাড়ছে।
ইসলামাবাদ দাবি করেছে, আফগানিস্তানে অবস্থান নেওয়া সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে। কাবুলকে তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তবে তালেবান সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিকে গত সপ্তাহে কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া আলোচনায় উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়, যা এখনো কার্যকর রয়েছে। তবে দুই দেশের সীমান্ত বাণিজ্য এখনো বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী বৈঠক ২৫ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকায় দুই দেশের বাজারেই নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে গেছে। বিশেষত পাকিস্তানে টমেটোর দাম একলাফে পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা এখন স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজিতে প্রায় ৬০০ পাকিস্তানি রুপি (প্রায় ২ ডলার ১৩ সেন্ট) ছুঁয়েছে। এই দাম বাড়ার পেছনে কারণ—দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষ ও বাণিজ্য বন্ধ।
১১ অক্টোবর থেকে দুই দেশের মধ্যে সব ধরনের সীমান্ত পারাপার ও বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। ওই সময় সীমান্তে ভয়াবহ যুদ্ধ ও পাকিস্তানের বিমান হামলায় দুই পক্ষেই বহু মানুষ নিহত হয়। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর এটি সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ।
পাকিস্তান-আফগানিস্তান চেম্বার অব কমার্সের প্রধান খান জান আলোকজাই আজ বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে বলেন, প্রতিদিন দুই দেশ প্রায় ১০ লাখ ডলার করে ক্ষতি করছে।
পাকিস্তান-আফগানিস্তান চেম্বার অব কমার্সের তথ্য অনুযায়ী, দুই দেশের বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, যার বেশির ভাগই তাজা ফল, শাকসবজি, খনিজ, ওষুধ, গম, চাল, চিনি, মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্য। সীমান্ত বন্ধ থাকায় এসব পণ্যের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
আলোকজা১ই বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিন প্রায় ৫০০ কনটেইনার সবজি রপ্তানির জন্য প্রস্তুত থাকে, কিন্তু সীমান্ত বন্ধ থাকায় সব পণ্য এখন নষ্ট হয়ে গেছে।’
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান তোরখাম সীমান্তের এক কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, সীমান্তের দুই পাশে এখন প্রায় ৫ হাজার কনটেইনার আটকা পড়ে আছে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, বাজারে ইতিমধ্যে টমেটো, আপেল ও আঙুরের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, আপেল আমদানির বড় অংশ আফগানিস্তান থেকে আসে, ফলে এর দামও দ্রুত বাড়ছে।
ইসলামাবাদ দাবি করেছে, আফগানিস্তানে অবস্থান নেওয়া সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে। কাবুলকে তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তবে তালেবান সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিকে গত সপ্তাহে কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় হওয়া আলোচনায় উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়, যা এখনো কার্যকর রয়েছে। তবে দুই দেশের সীমান্ত বাণিজ্য এখনো বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী বৈঠক ২৫ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে, বিদ্রোহীরা বাশার আল-আসাদের দেশত্যাগের বিষয়টি দাবি করলেও এর পক্ষে কোনো শক্ত প্রমাণ হাজির করেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কুরনুলে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১১ জনের। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ভোরে একটি ভলভো বাসে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কায় আগুন ধরে মুহূর্তেই ছাই হয়ে যায়। হায়দরাবাদ থেকে বেঙ্গালুরুগামী ওই বাসে তখন প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কুরনুল জেলার উল্লিন্দাকোন্ডা এলাকার
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপে কাছে রাশিয়া কখনো মাথা নত করবে না। তবে তিনি স্বীকার করেন, ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞা অর্থনীতিতে কিছুটা ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এর মধ্যে খবর এসেছে, চীন ও ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র মস্কোর দুই
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে একাধিক বিস্ফোরণ ও সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রুশ সংবাদমাধ্যম মস্কো টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে