Ajker Patrika

দীর্ঘায়িত হবে গাজার যুদ্ধ: নেতানিয়াহু

আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২: ৩৯
দীর্ঘায়িত হবে গাজার যুদ্ধ: নেতানিয়াহু

ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে নির্মূলে গাজা উপত্যকায় ৮১ দিন আগে ইসরায়েলি বাহিনী বর্বর হামলা শুরু করলেও তা সেখানেই থেমে থাকেনি। এই যুদ্ধে অন্তত ২১ হাজার বেসামরিক নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বিরতির জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বাড়লেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সামনের দিনে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ আরও জোরদার করা হবে। দীর্ঘায়িত হবে এ যুদ্ধ। 

নেতানিয়াহু তাঁর দল লিকুদ পার্টির সদস্যদের উদ্দেশে জানান, গত সোমবার সকালে গাজায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান শেষ হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। গাজায় বিমান হামলার মাত্রা ইসরায়েলের কমানো উচিত বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের মন্তব্যের কয়েক দিনের মাথায় নেতানিয়াহু এই মন্তব্য করলেন। 

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের মাটিতে হামাসের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। জিম্মি করা হয় ২৪০ জনকে, যাদের মধ্যে ১৩২ জন এখনো জিম্মি রয়েছেন বলে ইসরায়েল জানিয়েছে। এই অবস্থায় নেতানিয়াহু হামাসকে নির্মূল করা ও গোষ্ঠীটির হাত থেকে জিম্মিদের ফেরত আনার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেন, গাজায় সফরে সেখানে অবস্থানরত ইসরায়েলি সেনারা এই যুদ্ধ ‘শেষ না হওয়া পর্যন্ত’ তাঁকে লড়াই অব্যাহত রাখতে বলেছেন। 

নেতানিয়াহু আরও বলেন, ‘আমরা থামছি না। আমরা লড়াই অব্যাহত রাখব এবং সামনের দিনে আরও জোরদার করব। এই যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হবে। যুদ্ধে শেষ হওয়ার মতো সময় এখনো হয়নি।’ 

এ দিন পরে হামাসের হাতে জিম্মিদের স্বজনদের উদ্দেশে পার্লামেন্টে ভাষণ দেন নেতানিয়াহু। তখন গ্যালারিতে জিম্মিদের স্বজনেরাও ছিলেন। তাঁরা জিম্মিদের শিগগিরই মুক্ত করে আনার জন্য চিৎকার করতে থাকেন। তখন নেতানিয়াহু বলেন, ‘সামরিক চাপ প্রয়োগ ছাড়া সব জিম্মিকে মুক্ত করে আনা সম্ভব নয়।...আমরা লড়াই বন্ধ করছি না।’ 

এদিকে, ইসরায়েলি সশস্ত্রবাহিনীর প্রধান হেরজি হালেভি জানিয়েছেন, হামাসের সঙ্গে চলমান সংঘাত এখনই শেষ হচ্ছে না। এই সংঘাত চলবে আরও কয়েক মাস। এর আগে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও এই ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। 
 
অপরদিকে, তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—ইসরায়েলকে ২৩০টি কার্গো বিমান এবং ২০টি জাহাজ বোঝাই অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে এসব অস্ত্র দিয়েছে দেশটি। গত ৭ অক্টোবর গাজায় সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ২৩০টি কার্গো প্লেন এবং ২০টি অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামবোঝাই জাহাজ ইসরায়েলে পাঠিয়েছে বলে সোমবার ইসরায়েলি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে। 

ইসরায়েলকে পাঠানো বিপুল এই মার্কিন সামরিক সহায়তার মধ্যে আর্টিলারি শেল, সাঁজোয়া যান এবং সৈন্যদের জন্য মৌলিক যুদ্ধ সরঞ্জাম রয়েছে বলে ইয়েদিথ আরোনাথ সংবাদপত্র জানিয়েছে। 

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গাজা উপত্যকায় বর্তমান যুদ্ধের ব্যয় ৬৫ বিলিয়ন শেকেল বা ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বলে অনুমান করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদপত্রটি বলেছে, যুদ্ধের শুরুতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের গুদামগুলোতে থাকা বেশির ভাগ গোলাবারুদ ব্যবহার করে ফেলে। সংবাদপত্রটি আরও বলেছে, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে একটি সম্ভাব্য বড় আকারের যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে ইসরায়েল তার গুদামগুলো পুনরায় পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নতুন ওমরাহ ভিসা নীতি ঘোষণা করল সৌদি আরব, কার্যকর আগামী সপ্তাহে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ৩৯
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন দেশ থেকে ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তির সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও সুশৃঙ্খল করতে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রক ভিসা নীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে। নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, ওমরাহ ভিসার প্রবেশপত্রের বৈধতার সময়কাল তিন মাস থেকে কমিয়ে ইস্যু করার তারিখ থেকে মাত্র এক মাস (৩০ দিন) নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে, এই পরিবর্তনের ফলে ওমরাহ যাত্রীদের সৌদি আরবে অবস্থানের মেয়াদের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। সূত্রের বরাত দিয়ে সৌদি সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়া জানিয়েছে, ওমরাহ যাত্রীরা রাজ্যে পৌঁছানোর পর তাঁদের অবস্থানের মেয়াদ আগের মতোই তিন মাস অপরিবর্তিত থাকবে। এই নতুন নীতি আগামী সপ্তাহ থেকে কার্যকর হবে।

নতুন সংশোধিত নিয়মানুযায়ী, ভিসা ইস্যু হওয়ার তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে যদি কোনো ওমরাহ যাত্রী সৌদি আরবে প্রবেশের জন্য নিবন্ধিত না হন বা প্রবেশ না করেন, তবে সেই ভিসাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। এই পদক্ষেপের প্রধান উদ্দেশ্য হলো, ভিসা ব্যবস্থাপনাকে আরও সুগম করা, অপ্রত্যাশিত ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা এবং কেবল প্রস্তুত তীর্থযাত্রীরাই যেন ভিসার সুযোগ নেন, তা নিশ্চিত করা।

ন্যাশনাল কমিটি ফর ওমরাহ অ্যান্ড ভিজিট-এর উপদেষ্টা আহমেদ বাজাইফার আল-আরাবিয়াকে জানিয়েছেন, গ্রীষ্মের সমাপ্তি এবং মক্কা ও মদিনায় আবহাওয়া শীতল হওয়ায় ওমরাহ যাত্রীদের বিশাল ঢেউ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ভিড়কে সুচারুভাবে সামলানো এবং দুই পবিত্র শহরে অতিরিক্ত জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি বৃহত্তর প্রস্তুতির অংশ।

সৌদি গেজেটের তথ্যমতে, চলতি নতুন ওমরাহ মৌসুমের শুরুতে অর্থাৎ গত জুনের প্রথম দিক থেকে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ওমরাহ যাত্রীদের জন্য ৪০ লাখের বেশি ওমরাহ ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে এই রেকর্ড সংখ্যক ভিসা প্রদান পূর্ববর্তী মৌসুমগুলোর পরিসংখ্যানকে উল্লেখযোগ্যভাবে ছাড়িয়ে গেছে।

এর আগে পর্যটন সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে গত মাসে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় একটি ঘোষণা দেয়। সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানায়, এখন থেকে সকল প্রকার ভিসাধারী—যার মধ্যে ব্যক্তিগত, ফ্যামিলি ভিজিট, ইলেকট্রনিক ট্যুরিস্ট, ট্রানজিট এবং ওয়ার্ক ভিসাও অন্তর্ভুক্ত—সবাই সৌদি আরবে ওমরাহ পালনের জন্য অনুমতি পাবেন।

মন্ত্রণালয় বলেছে, সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০-এর লক্ষ্য অনুযায়ী ওমরাহ যাত্রীদের জন্য প্রক্রিয়া সহজ করা এবং ওমরাহ পরিষেবাগুলোতে প্রবেশাধিকার ব্যাপকভাবে প্রসারিত করার চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয় ওমরাহ যাত্রীদের জন্য ‘নুসুক ওমরাহ প্ল্যাটফর্ম’ ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরেছে। এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী ওমরাহ প্যাকেজ বুকিং দিতে, ইলেকট্রনিকভাবে (অনলাইনে) ওমরাহ পালনের অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে এবং নিজেদের সুবিধামতো সময় বেছে নিতে পারেন। এই সমন্বিত ডিজিটাল ব্যবস্থা বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের জন্য ওমরাহ পালনকে আরও সহজ, প্রবেশগম্য এবং আধুনিক করবে বলে আশা করছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ৫৮
কুয়ালালামপুরে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। ছবি: এক্স
কুয়ালালামপুরে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। ছবি: এক্স

ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র ১০ বছর মেয়াদি একটি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বাড়াতে এই কাঠামোগত চুক্তি সই হয়েছে বলে উভয় দেশের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কুয়ালালামপুরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ও ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বৈঠকের পর এই চুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়। হেগসেথ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেছেন, এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যে ‘সমন্বয়, তথ্য আদান-প্রদান ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা’ আরও জোরদার করবে। পাশাপাশি এটি ‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও ডিটারেন্স বা উত্তেজনা প্রশমন সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও’ ভূমিকা রাখবে।

চুক্তিটি এমন একসময়ে হলো, যখন দুই দেশ বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে। এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। রাশিয়ার জ্বালানি তেল ও অস্ত্র কেনার কারণে ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সব মিলিয়ে এখন ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক দিয়েছে ট্রাম্পের প্রশাসন।

চুক্তিটি ভারত-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সম্পর্কের পুরো কাঠামোর জন্য নীতি নির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এক্সে লিখেছেন, ‘কুয়ালালামপুরে হেগসেথের সঙ্গে আমরা বৈঠক হয়েছে। আমরা একটি ১০ বছর মেয়াদি বড় আকারের ভারত-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা অংশীদারত্ব ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। এটি আমাদের বিদ্যমান প্রতিরক্ষা অংশীদারত্বে নতুন যুগের সূচনা। প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে থাকবে। স্বাধীন, উন্মুক্ত ও সুশৃঙ্খল ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য আমাদের অংশীদারত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

এই চুক্তির বিষয়ে থিঙ্কট্যাংক ইউরেশিয়া গ্রুপের বিশ্লেষক প্রমিত পাল চৌধুরী জানান, চুক্তিটি আসলে জুলাই-আগস্ট মাসেই সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রাম্পের পাকিস্তান নিয়ে দেওয়া কিছু মন্তব্যে ভারতের অসন্তোষের কারণে বিষয়টি বিলম্বিত হয়। তাঁর মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়েছে, যা ‘দুই সেনাবাহিনীর সমন্বিত কাজের সক্ষমতা বাড়িয়েছে, প্রযুক্তি বিনিময় সহজ করেছে এবং প্রতিরক্ষা খাতে যৌথ উদ্যোগের সুযোগ সৃষ্টি করেছে’। তিনি আরও বলেন, ‘এই নতুন চুক্তি তিন ক্ষেত্রেই আরও সম্ভাবনার দরজা খুলে দিচ্ছে।’

সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় প্রতিরক্ষা বিষয়টি ছিল আলোচনার কেন্দ্রে। ট্রাম্প তখন বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে আরও কয়েক বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করবে, যার মধ্যে এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমান দেওয়ার সম্ভাবনাও অন্তর্ভুক্ত।

তবে এর পর থেকে ভারতের রুশ জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভরতা এবং মস্কোর সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনে তাদের অস্বস্তির কথা জানায়। রাশিয়া এখনো ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী হলেও, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেই নির্ভরতা ধীরে ধীরে কমছে। ভারত এখন নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্প বাড়াতে এবং সরবরাহের উৎস বৈচিত্র্যময় করতে চায়।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারত ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা পণ্য কেনা বৃদ্ধি করতে প্রস্তুত। বর্তমানে দুই দেশ উচ্চপর্যায়ের বাণিজ্য আলোচনা চালাচ্ছে। লক্ষ্য, নভেম্বরের মধ্যেই বহু প্রতীক্ষিত একটি বাণিজ্যচুক্তি সম্পন্ন করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিহারে এক কোটি চাকরি, লাখপতি দিদি তৈরি করবে মোদির জোট

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিহারে এনডিএ জোটের ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে নেতারা। ছবি: সংগৃহীত
বিহারে এনডিএ জোটের ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

বিহার বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির এনডিএ জোট তাদের ইশতেহার প্রকাশ করেছে। ভোটের প্রথম ধাপের এক সপ্তাহও বাকি নেই। ঠিক এই সময়ে এসে এই ইশতেহারে এক কোটি সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ভারতের যে রাজ্য থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ কাজের খোঁজে অন্যান্য রাজ্যে যায়, সেখানে এই ঘোষণা বিশাল আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

ইশতেহারে নারীর ক্ষমতায়নকেও দেওয়া হয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। এক কোটি নারীকে ‘লক্ষ্মী দিদি’ বা বছরে এক লাখ টাকা আয়ের উপযুক্ত করে তোলার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। পাশাপাশি চারটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সাতটি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।

এনডিএ জোট আরও জানিয়েছে, ৫০ লাখ নতুন পাকা ঘর তৈরি, বিনা মূল্যে রেশন, ১২৫ ইউনিট ফ্রি বিদ্যুৎ, ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনা মূল্যে চিকিৎসা এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় সামাজিক নিরাপত্তা পেনশন দেওয়া হবে।

বিহারের রাজধানী পাটনায় আজ শুক্রবার সকালে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা ও মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার যৌথভাবে এনডিএ–এর ‘সংকল্প পত্র’ প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে বিজেপি, জেডিইউ, চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি ও অন্যান্য দলীয় নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

ইশতেহারে প্রধান প্রতিশ্রুতি—চাকরি। এনডিএ বলেছে, আবার ক্ষমতায় এলে রাজ্যের প্রতিটি যুবককে দক্ষতা অনুযায়ী কাজ দিতে ‘স্কিল সেনসাস’ চালু করা হবে। প্রতিটি জেলায় স্থাপিত হবে ‘মেগা স্কিল সেন্টার।’ এ ছাড়া, রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে তৈরি হবে ‘স্পোর্টস সিটি’ ও ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’।

‘মুখ্যমন্ত্রীর নারী কর্মসংস্থান প্রকল্পে’ নারীদের দেওয়া হবে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা। এক কোটি নারীকে বছরে এক লাখ আয়ের উপযুক্ত করতে ‘লক্ষ্মী দিদি’ প্রকল্প চালু হবে। পাশাপাশি ‘মিশন কোটিপতি’ উদ্যোগের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের কোটি টাকার ব্যবসায় উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়েছে এনডিএ।

রাজ্যে সাতটি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ ও ৩ হাজার ৬০০ কিলোমিটার রেলপথ আধুনিকীকরণের পরিকল্পনা রয়েছে। পাটনা, দারভাঙ্গা, পূর্ণিয়া ও ভাগলপুরে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং চারটি শহরে মেট্রো নেটওয়ার্ক স্থাপনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে জোট। এ ছাড়া, প্রতিটি জেলায় ১০টি করে নতুন শিল্পপার্ক ও অন্তত ১০০টি এমএসএমই পার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। ৫০ হাজার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প স্থাপনের কথাও বলা হয়েছে।

প্রতিরক্ষা করিডর, সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং পার্ক, বিশ্বমানের মেডিসিটি ও প্রতিটি জেলায় মেডিকেল কলেজ গড়ার অঙ্গীকারও করেছে এনডিএ। পাশাপাশি বিহারকে দক্ষিণ এশিয়ার টেক্সটাইল ও সিল্ক হাব হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

সব ফসলের জন্য এমএসপি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি নতুন ‘কারপুরি ঠাকুর কৃষক সম্মান নিধি’ প্রকল্প চালু হবে। এর আওতায় কৃষকেরা পাবেন অতিরিক্ত ৩ হাজার টাকা, অর্থাৎ বছরে মোট ৯ হাজার টাকা। জেলেদের সহায়তাও বাড়ানো হবে ৯ হাজার টাকায়। কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়নে ১ লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।

রাজ্যে তৈরি হবে ‘এডুকেশন সিটি’। বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস খোলার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে এনডিএ। দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘কেজি থেকে পিজি’ পর্যন্ত বিনা মূল্যে ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। স্কুলে মধ্যাহ্নভোজের পাশাপাশি দেওয়া হবে পুষ্টিকর সকালের নাশতা।

তফসিলি জাতির (এসসি) শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি উপবিভাগে আবাসিক স্কুল খোলা হবে। উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়নরত এসসি শিক্ষার্থীদের মাসে ২ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হবে। অনগ্রসর শ্রেণির (ইবিসি) শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সহায়তা দেওয়া হবে।

সীতার জন্মস্থানকে ‘সীতাপুরম’ নামে বিশ্বমানের আধ্যাত্মিক শহরে রূপান্তর করা হবে। এ ছাড়া বিষ্ণুপদ ও মহাবোধি করিডর নির্মাণ, রামায়ণ, জৈন, বৌদ্ধ ও গঙ্গা সার্কিট উন্নয়নও এনডিএ–এর ইশতেহারের অন্তর্ভুক্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভালুক নিয়ন্ত্রণে শিকারি খুঁজছে জাপান, কেন এই সিদ্ধান্ত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ৫৩
জাপানের হোক্কাইদো প্রিফেকচারের একটি শহরের রাস্তায় দুই ভালুক। ছবি: এএফপি
জাপানের হোক্কাইদো প্রিফেকচারের একটি শহরের রাস্তায় দুই ভালুক। ছবি: এএফপি

জাপানে হঠাৎ বেড়েছে ভালুকের আক্রমণ। দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতি সামলাতে সরকার এবার শিকারি নিয়োগের পরিকল্পনা করছে, যাতে তারা বিপজ্জনক ভালুকগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লাইসেন্সধারী শিকারি ও সংশ্লিষ্ট কর্মীদের নিয়োগে বিশেষ তহবিল বরাদ্দ করা হবে। তারা আবাসিক এলাকায় ঢুকে পড়া বা মানুষের ওপর আক্রমণ করা ভালুক নিয়ন্ত্রণ করবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, একই দিন জাপান সরকার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ভালুকের আক্রমণের ক্রমবর্ধমান সমস্যা মোকাবিলায় বেশ কিছু পদক্ষেপের প্রস্তাব দিয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ভালুকের আক্রমণে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০০০ সালের পর থেকে এটি সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন হোক্কাইদো দ্বীপে সংবাদপত্র বিলি করতে যাওয়া এক ব্যক্তি এবং ইওয়াতে অঞ্চলের ৬৭ বছর বয়সী বৃদ্ধ, যিনি নিজের বাগানেই প্রাণ হারান।

সরকার বলছে, ভালুক এখন জননিরাপত্তার জন্য ‘গুরুতর হুমকি’। তাই পুলিশের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে ভালুক মারার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দেশটির বিভিন্ন জায়গায় ভালুক সুপারমার্কেট, স্কুল এমনকি বাড়িঘরে ঢুকে পড়েছে বলেও জানা গেছে। অনেক মানুষ দৈনন্দিন কাজের সময় হামলার শিকার হয়েছেন।

জাপানে দুই প্রজাতির ভালুক আছে—জাপানি কালো ভালুক এবং হোক্কাইদো দ্বীপের বড় আকৃতির বাদামি ভালুক, যা বেশি হিংস্র বলে পরিচিত। এ বছর ১০০ জনের বেশি মানুষ ভালুকের আক্রমণে আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে জনপ্রিয় পর্যটন এলাকায় বাসস্টপেজের কাছে এক বিদেশিও আছেন।

সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা দেখা গেছে উত্তরের আকিতা প্রিফেকচারে। সেখানে পাহাড়ি এলাকায় সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই সপ্তাহে সরকার ঘোষণা করেছে, আকিতা অঞ্চলে ভালুক ধরতে ও তাড়াতে আত্মরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি বলেছেন, ‘মানুষের জীবন ও জীবিকা এখন হুমকির মুখে।’

তবে বর্তমান আইনে সৈন্যরা ভালুককে গুলি করতে পারবে না। তারা শিকারিদের সঙ্গে ফাঁদ পেতে বা মৃত ভালুক সরানোর কাজে সাহায্য করবে। আকিতার গভর্নর কেন্তা সুজুকি বলেন, মাঠপর্যায়ে যারা কাজ করছেন, তাঁরা এখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।

দেশজুড়ে শিকারির সংখ্যা দ্রুত কমছে। অনেকেই বৃদ্ধ, আর ভালুক শিকার এখন আর জনপ্রিয় নয়। ফলে ভালুকের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে, আর তারা খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পাহাড়ে বিচগাছের ফল কমে গেছে। এতে ক্ষুধার্ত ভালুকগুলো গ্রামে ও শহরে ঢুকে খাবার খুঁজছে। অন্যদিকে গ্রামীণ জনসংখ্যা কমে যাওয়াও এর একটি কারণ। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সরকার বন্দুক ব্যবহারের নিয়ম শিথিল করেছে, যাতে মানুষ সহজে আবাসিক এলাকায় ভালুককে গুলি করতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত