আজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ইসরায়েলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আলবানিজ অস্ট্রেলিয়ার ইহুদি সম্প্রদায়কে ‘পরিত্যাগ’ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দুই দেশের মধ্যে কয়েক দিনের টানাপোড়েনের পর গতকাল মঙ্গলবার নেতানিয়াহু বলেন, ইতিহাস অ্যান্থনি আলবানিজকে ‘একজন দুর্বল রাজনীতিক’ হিসেবে মনে রাখবে।
এর আগে গত সোমবার নেতানিয়াহুর জোট সরকারের এক ডানপন্থী সদস্যকে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পাল্টা জবাবে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দায়িত্ব পালনরত অস্ট্রেলিয়ান প্রতিনিধিদের ভিসা বাতিল করে।
অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসনমন্ত্রী টনি বার্ক বলেন, নেতানিয়াহু ‘প্রচণ্ড ক্ষোভে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন’, কারণ সম্প্রতি ক্যানবেরা ঘোষণা করেছে, তারা যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডার সঙ্গে মিলে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।
আজ বুধবার অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টনি বার্ক বলেন, ‘কতজন মানুষকে হত্যা করা গেল বা কতজনকে না খাইয়ে রাখা হলো, সে দিয়ে শক্তি পরিমাপ করা হয় না।’
নেতানিয়াহুর মন্তব্যের প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ সাংবাদিকদের বলেন, তিনি এসব বিষয় ‘ব্যক্তিগতভাবে নেন না’।
আলবানিজ বলেন, ‘অন্য দেশের নেতাদের প্রতি আমার সম্মান রয়েছে। আমি কূটনৈতিকভাবেই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করি।’
এদিকে নেতানিয়াহুর বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন ইসরায়েলের বিরোধী দলের নেতা ইয়াইর লাপিদ। তিনি একে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর জন্য একধরনের ‘উপহার’ বলে আখ্যা দেন।
ইয়াইর লাপিদ এক্সে লিখেছেন, ‘আজকের গণতান্ত্রিক বিশ্বে কোনো নেতাকে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী করে তোলে নেতানিয়াহুর সঙ্গে মুখোমুখি হওয়া। কারণ তিনি পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে রাজনৈতিকভাবে বিষাক্ত নেতা।’
লাপিদ আরও বলেন, ‘তবে এটা বুঝতে পারছি না কেন বিবি (নেতানিয়াহু) এত তাড়াহুড়ো করে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে এই উপহার দিতে চাইছেন।’
সোমবার ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক সিমচা রোথম্যানের অস্ট্রেলিয়ান ভিসা বাতিল করা হলে দুই দেশের মধ্যেকার কূটনৈতিক টানাপোড়েন চরমে পৌঁছায়। তিনি দেশটিতে অস্ট্রেলিয়ান জিউইশ অ্যাসোসিয়েশন (এজেএ) আয়োজিত কয়েকটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার কথা ছিল।
সে সময় অভিবাসনমন্ত্রী টনি বার্ক স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার ‘বিভাজন ছড়াতে চায় এমন লোকদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান’ নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কেউ ঘৃণা আর বিভাজনের বার্তা ছড়াতে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন, তবে আমরা তাঁকে এখানে চাই না।’
গত বছরও বার্ক ইসরায়েলের সাবেক বিচারমন্ত্রী আয়েলেত শাকেদকে ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানান। ২০২২ সালে তিনি ইসরায়েলি সংসদ থেকে বিদায় নেন।
রোথম্যানের ভিসা বাতিলের কয়েক ঘণ্টা পর ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদন সা’র ঘোষণা দেন, তিনি ক্যানবেরায় ইসরায়েলি দূতাবাসকে নির্দেশ দিয়েছেন ‘অস্ট্রেলিয়ার যেকোনো সরকারি ভিসা আবেদন ইসরায়েলে প্রবেশের আগে সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা করতে।’
তিনি এক্স-এ এক পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় যখন ইহুদিবিদ্বেষ তীব্র আকারে ছড়িয়ে পড়ছে, যার মধ্যে ইহুদি ও ইহুদি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে সহিংসতাও রয়েছে, তখন অস্ট্রেলিয়ান সরকার একে আরও উসকে দেওয়ার পথ বেছে নিচ্ছে।’
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অস্ট্রেলিয়ায় ধারাবাহিকভাবে একাধিক ইহুদিবিদ্বেষী হামলার ঘটনা ঘটেছে। দেশটিতে সবচেয়ে বেশি ‘হলোকাস্ট সারভাইভারস’ অর্থাৎ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানিতে হিটলারের নাৎসি বাহিনীর দ্বারা ইহুদিদের ওপর চালানো গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষ বসবাস করে।
তবে গতকাল মঙ্গলবার এজেএ জানায়, রোথম্যান তাদের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন। সংগঠনটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছে, ‘ইহুদি সম্প্রদায় অভিবাসনমন্ত্রী টনি বার্ক বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়ং-এর কাছে মাথা নত করবে না।’
এদিকে চলতি আগস্টের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া ঘোষণা করে, তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। সে সময় প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেন, নেতানিয়াহু নিরীহ মানুষের ওপর যুদ্ধের পরিণতি ‘অস্বীকার’ করছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ খাবার ও পানি নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে মারা যাচ্ছে, এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।’
বর্তমানে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪৭টি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডার স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণার প্রায় দুই সপ্তাহ পর অস্ট্রেলিয়াও এই ঘোষণা দেয়।
এর প্রতিক্রিয়ায় নেতানিয়াহু যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনিকে তীব্রভাবে আক্রমণ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, তারা ‘গণহত্যাকারী, ধর্ষক, শিশু হত্যাকারী ও অপহরণকারীদের’ পক্ষ নিয়েছেন।
হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে এ পর্যন্ত ৬২ হাজার ৬৪ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ওই দিন দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর এ অভিযানের সূত্রপাত হয়। হামাসের ওই হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে হামাস।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ইসরায়েলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আলবানিজ অস্ট্রেলিয়ার ইহুদি সম্প্রদায়কে ‘পরিত্যাগ’ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দুই দেশের মধ্যে কয়েক দিনের টানাপোড়েনের পর গতকাল মঙ্গলবার নেতানিয়াহু বলেন, ইতিহাস অ্যান্থনি আলবানিজকে ‘একজন দুর্বল রাজনীতিক’ হিসেবে মনে রাখবে।
এর আগে গত সোমবার নেতানিয়াহুর জোট সরকারের এক ডানপন্থী সদস্যকে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পাল্টা জবাবে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দায়িত্ব পালনরত অস্ট্রেলিয়ান প্রতিনিধিদের ভিসা বাতিল করে।
অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসনমন্ত্রী টনি বার্ক বলেন, নেতানিয়াহু ‘প্রচণ্ড ক্ষোভে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন’, কারণ সম্প্রতি ক্যানবেরা ঘোষণা করেছে, তারা যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডার সঙ্গে মিলে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।
আজ বুধবার অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টনি বার্ক বলেন, ‘কতজন মানুষকে হত্যা করা গেল বা কতজনকে না খাইয়ে রাখা হলো, সে দিয়ে শক্তি পরিমাপ করা হয় না।’
নেতানিয়াহুর মন্তব্যের প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ সাংবাদিকদের বলেন, তিনি এসব বিষয় ‘ব্যক্তিগতভাবে নেন না’।
আলবানিজ বলেন, ‘অন্য দেশের নেতাদের প্রতি আমার সম্মান রয়েছে। আমি কূটনৈতিকভাবেই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করি।’
এদিকে নেতানিয়াহুর বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন ইসরায়েলের বিরোধী দলের নেতা ইয়াইর লাপিদ। তিনি একে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর জন্য একধরনের ‘উপহার’ বলে আখ্যা দেন।
ইয়াইর লাপিদ এক্সে লিখেছেন, ‘আজকের গণতান্ত্রিক বিশ্বে কোনো নেতাকে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী করে তোলে নেতানিয়াহুর সঙ্গে মুখোমুখি হওয়া। কারণ তিনি পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে রাজনৈতিকভাবে বিষাক্ত নেতা।’
লাপিদ আরও বলেন, ‘তবে এটা বুঝতে পারছি না কেন বিবি (নেতানিয়াহু) এত তাড়াহুড়ো করে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে এই উপহার দিতে চাইছেন।’
সোমবার ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক সিমচা রোথম্যানের অস্ট্রেলিয়ান ভিসা বাতিল করা হলে দুই দেশের মধ্যেকার কূটনৈতিক টানাপোড়েন চরমে পৌঁছায়। তিনি দেশটিতে অস্ট্রেলিয়ান জিউইশ অ্যাসোসিয়েশন (এজেএ) আয়োজিত কয়েকটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার কথা ছিল।
সে সময় অভিবাসনমন্ত্রী টনি বার্ক স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার ‘বিভাজন ছড়াতে চায় এমন লোকদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান’ নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কেউ ঘৃণা আর বিভাজনের বার্তা ছড়াতে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন, তবে আমরা তাঁকে এখানে চাই না।’
গত বছরও বার্ক ইসরায়েলের সাবেক বিচারমন্ত্রী আয়েলেত শাকেদকে ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানান। ২০২২ সালে তিনি ইসরায়েলি সংসদ থেকে বিদায় নেন।
রোথম্যানের ভিসা বাতিলের কয়েক ঘণ্টা পর ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদন সা’র ঘোষণা দেন, তিনি ক্যানবেরায় ইসরায়েলি দূতাবাসকে নির্দেশ দিয়েছেন ‘অস্ট্রেলিয়ার যেকোনো সরকারি ভিসা আবেদন ইসরায়েলে প্রবেশের আগে সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা করতে।’
তিনি এক্স-এ এক পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় যখন ইহুদিবিদ্বেষ তীব্র আকারে ছড়িয়ে পড়ছে, যার মধ্যে ইহুদি ও ইহুদি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে সহিংসতাও রয়েছে, তখন অস্ট্রেলিয়ান সরকার একে আরও উসকে দেওয়ার পথ বেছে নিচ্ছে।’
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অস্ট্রেলিয়ায় ধারাবাহিকভাবে একাধিক ইহুদিবিদ্বেষী হামলার ঘটনা ঘটেছে। দেশটিতে সবচেয়ে বেশি ‘হলোকাস্ট সারভাইভারস’ অর্থাৎ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানিতে হিটলারের নাৎসি বাহিনীর দ্বারা ইহুদিদের ওপর চালানো গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষ বসবাস করে।
তবে গতকাল মঙ্গলবার এজেএ জানায়, রোথম্যান তাদের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন। সংগঠনটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছে, ‘ইহুদি সম্প্রদায় অভিবাসনমন্ত্রী টনি বার্ক বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়ং-এর কাছে মাথা নত করবে না।’
এদিকে চলতি আগস্টের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া ঘোষণা করে, তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। সে সময় প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেন, নেতানিয়াহু নিরীহ মানুষের ওপর যুদ্ধের পরিণতি ‘অস্বীকার’ করছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ খাবার ও পানি নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে মারা যাচ্ছে, এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।’
বর্তমানে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪৭টি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডার স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণার প্রায় দুই সপ্তাহ পর অস্ট্রেলিয়াও এই ঘোষণা দেয়।
এর প্রতিক্রিয়ায় নেতানিয়াহু যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনিকে তীব্রভাবে আক্রমণ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, তারা ‘গণহত্যাকারী, ধর্ষক, শিশু হত্যাকারী ও অপহরণকারীদের’ পক্ষ নিয়েছেন।
হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে এ পর্যন্ত ৬২ হাজার ৬৪ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ওই দিন দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর এ অভিযানের সূত্রপাত হয়। হামাসের ওই হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে হামাস।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ইসরায়েলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আলবানিজ অস্ট্রেলিয়ার ইহুদি সম্প্রদায়কে ‘পরিত্যাগ’ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দুই দেশের মধ্যে কয়েক দিনের টানাপোড়েনের পর গতকাল মঙ্গলবার নেতানিয়াহু বলেন, ইতিহাস অ্যান্থনি আলবানিজকে ‘একজন দুর্বল রাজনীতিক’ হিসেবে মনে রাখবে।
এর আগে গত সোমবার নেতানিয়াহুর জোট সরকারের এক ডানপন্থী সদস্যকে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পাল্টা জবাবে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দায়িত্ব পালনরত অস্ট্রেলিয়ান প্রতিনিধিদের ভিসা বাতিল করে।
অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসনমন্ত্রী টনি বার্ক বলেন, নেতানিয়াহু ‘প্রচণ্ড ক্ষোভে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন’, কারণ সম্প্রতি ক্যানবেরা ঘোষণা করেছে, তারা যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডার সঙ্গে মিলে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।
আজ বুধবার অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টনি বার্ক বলেন, ‘কতজন মানুষকে হত্যা করা গেল বা কতজনকে না খাইয়ে রাখা হলো, সে দিয়ে শক্তি পরিমাপ করা হয় না।’
নেতানিয়াহুর মন্তব্যের প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ সাংবাদিকদের বলেন, তিনি এসব বিষয় ‘ব্যক্তিগতভাবে নেন না’।
আলবানিজ বলেন, ‘অন্য দেশের নেতাদের প্রতি আমার সম্মান রয়েছে। আমি কূটনৈতিকভাবেই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করি।’
এদিকে নেতানিয়াহুর বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন ইসরায়েলের বিরোধী দলের নেতা ইয়াইর লাপিদ। তিনি একে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর জন্য একধরনের ‘উপহার’ বলে আখ্যা দেন।
ইয়াইর লাপিদ এক্সে লিখেছেন, ‘আজকের গণতান্ত্রিক বিশ্বে কোনো নেতাকে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী করে তোলে নেতানিয়াহুর সঙ্গে মুখোমুখি হওয়া। কারণ তিনি পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে রাজনৈতিকভাবে বিষাক্ত নেতা।’
লাপিদ আরও বলেন, ‘তবে এটা বুঝতে পারছি না কেন বিবি (নেতানিয়াহু) এত তাড়াহুড়ো করে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে এই উপহার দিতে চাইছেন।’
সোমবার ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক সিমচা রোথম্যানের অস্ট্রেলিয়ান ভিসা বাতিল করা হলে দুই দেশের মধ্যেকার কূটনৈতিক টানাপোড়েন চরমে পৌঁছায়। তিনি দেশটিতে অস্ট্রেলিয়ান জিউইশ অ্যাসোসিয়েশন (এজেএ) আয়োজিত কয়েকটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার কথা ছিল।
সে সময় অভিবাসনমন্ত্রী টনি বার্ক স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার ‘বিভাজন ছড়াতে চায় এমন লোকদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান’ নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কেউ ঘৃণা আর বিভাজনের বার্তা ছড়াতে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন, তবে আমরা তাঁকে এখানে চাই না।’
গত বছরও বার্ক ইসরায়েলের সাবেক বিচারমন্ত্রী আয়েলেত শাকেদকে ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানান। ২০২২ সালে তিনি ইসরায়েলি সংসদ থেকে বিদায় নেন।
রোথম্যানের ভিসা বাতিলের কয়েক ঘণ্টা পর ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদন সা’র ঘোষণা দেন, তিনি ক্যানবেরায় ইসরায়েলি দূতাবাসকে নির্দেশ দিয়েছেন ‘অস্ট্রেলিয়ার যেকোনো সরকারি ভিসা আবেদন ইসরায়েলে প্রবেশের আগে সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা করতে।’
তিনি এক্স-এ এক পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় যখন ইহুদিবিদ্বেষ তীব্র আকারে ছড়িয়ে পড়ছে, যার মধ্যে ইহুদি ও ইহুদি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে সহিংসতাও রয়েছে, তখন অস্ট্রেলিয়ান সরকার একে আরও উসকে দেওয়ার পথ বেছে নিচ্ছে।’
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অস্ট্রেলিয়ায় ধারাবাহিকভাবে একাধিক ইহুদিবিদ্বেষী হামলার ঘটনা ঘটেছে। দেশটিতে সবচেয়ে বেশি ‘হলোকাস্ট সারভাইভারস’ অর্থাৎ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানিতে হিটলারের নাৎসি বাহিনীর দ্বারা ইহুদিদের ওপর চালানো গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষ বসবাস করে।
তবে গতকাল মঙ্গলবার এজেএ জানায়, রোথম্যান তাদের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন। সংগঠনটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছে, ‘ইহুদি সম্প্রদায় অভিবাসনমন্ত্রী টনি বার্ক বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়ং-এর কাছে মাথা নত করবে না।’
এদিকে চলতি আগস্টের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া ঘোষণা করে, তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। সে সময় প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেন, নেতানিয়াহু নিরীহ মানুষের ওপর যুদ্ধের পরিণতি ‘অস্বীকার’ করছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ খাবার ও পানি নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে মারা যাচ্ছে, এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।’
বর্তমানে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪৭টি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডার স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণার প্রায় দুই সপ্তাহ পর অস্ট্রেলিয়াও এই ঘোষণা দেয়।
এর প্রতিক্রিয়ায় নেতানিয়াহু যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনিকে তীব্রভাবে আক্রমণ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, তারা ‘গণহত্যাকারী, ধর্ষক, শিশু হত্যাকারী ও অপহরণকারীদের’ পক্ষ নিয়েছেন।
হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে এ পর্যন্ত ৬২ হাজার ৬৪ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ওই দিন দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর এ অভিযানের সূত্রপাত হয়। হামাসের ওই হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে হামাস।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ইসরায়েলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আলবানিজ অস্ট্রেলিয়ার ইহুদি সম্প্রদায়কে ‘পরিত্যাগ’ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দুই দেশের মধ্যে কয়েক দিনের টানাপোড়েনের পর গতকাল মঙ্গলবার নেতানিয়াহু বলেন, ইতিহাস অ্যান্থনি আলবানিজকে ‘একজন দুর্বল রাজনীতিক’ হিসেবে মনে রাখবে।
এর আগে গত সোমবার নেতানিয়াহুর জোট সরকারের এক ডানপন্থী সদস্যকে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পাল্টা জবাবে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দায়িত্ব পালনরত অস্ট্রেলিয়ান প্রতিনিধিদের ভিসা বাতিল করে।
অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসনমন্ত্রী টনি বার্ক বলেন, নেতানিয়াহু ‘প্রচণ্ড ক্ষোভে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন’, কারণ সম্প্রতি ক্যানবেরা ঘোষণা করেছে, তারা যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডার সঙ্গে মিলে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।
আজ বুধবার অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টনি বার্ক বলেন, ‘কতজন মানুষকে হত্যা করা গেল বা কতজনকে না খাইয়ে রাখা হলো, সে দিয়ে শক্তি পরিমাপ করা হয় না।’
নেতানিয়াহুর মন্তব্যের প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ সাংবাদিকদের বলেন, তিনি এসব বিষয় ‘ব্যক্তিগতভাবে নেন না’।
আলবানিজ বলেন, ‘অন্য দেশের নেতাদের প্রতি আমার সম্মান রয়েছে। আমি কূটনৈতিকভাবেই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করি।’
এদিকে নেতানিয়াহুর বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন ইসরায়েলের বিরোধী দলের নেতা ইয়াইর লাপিদ। তিনি একে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর জন্য একধরনের ‘উপহার’ বলে আখ্যা দেন।
ইয়াইর লাপিদ এক্সে লিখেছেন, ‘আজকের গণতান্ত্রিক বিশ্বে কোনো নেতাকে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী করে তোলে নেতানিয়াহুর সঙ্গে মুখোমুখি হওয়া। কারণ তিনি পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে রাজনৈতিকভাবে বিষাক্ত নেতা।’
লাপিদ আরও বলেন, ‘তবে এটা বুঝতে পারছি না কেন বিবি (নেতানিয়াহু) এত তাড়াহুড়ো করে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে এই উপহার দিতে চাইছেন।’
সোমবার ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিক সিমচা রোথম্যানের অস্ট্রেলিয়ান ভিসা বাতিল করা হলে দুই দেশের মধ্যেকার কূটনৈতিক টানাপোড়েন চরমে পৌঁছায়। তিনি দেশটিতে অস্ট্রেলিয়ান জিউইশ অ্যাসোসিয়েশন (এজেএ) আয়োজিত কয়েকটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার কথা ছিল।
সে সময় অভিবাসনমন্ত্রী টনি বার্ক স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার ‘বিভাজন ছড়াতে চায় এমন লোকদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান’ নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কেউ ঘৃণা আর বিভাজনের বার্তা ছড়াতে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন, তবে আমরা তাঁকে এখানে চাই না।’
গত বছরও বার্ক ইসরায়েলের সাবেক বিচারমন্ত্রী আয়েলেত শাকেদকে ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানান। ২০২২ সালে তিনি ইসরায়েলি সংসদ থেকে বিদায় নেন।
রোথম্যানের ভিসা বাতিলের কয়েক ঘণ্টা পর ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদন সা’র ঘোষণা দেন, তিনি ক্যানবেরায় ইসরায়েলি দূতাবাসকে নির্দেশ দিয়েছেন ‘অস্ট্রেলিয়ার যেকোনো সরকারি ভিসা আবেদন ইসরায়েলে প্রবেশের আগে সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা করতে।’
তিনি এক্স-এ এক পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় যখন ইহুদিবিদ্বেষ তীব্র আকারে ছড়িয়ে পড়ছে, যার মধ্যে ইহুদি ও ইহুদি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে সহিংসতাও রয়েছে, তখন অস্ট্রেলিয়ান সরকার একে আরও উসকে দেওয়ার পথ বেছে নিচ্ছে।’
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অস্ট্রেলিয়ায় ধারাবাহিকভাবে একাধিক ইহুদিবিদ্বেষী হামলার ঘটনা ঘটেছে। দেশটিতে সবচেয়ে বেশি ‘হলোকাস্ট সারভাইভারস’ অর্থাৎ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানিতে হিটলারের নাৎসি বাহিনীর দ্বারা ইহুদিদের ওপর চালানো গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষ বসবাস করে।
তবে গতকাল মঙ্গলবার এজেএ জানায়, রোথম্যান তাদের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন। সংগঠনটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছে, ‘ইহুদি সম্প্রদায় অভিবাসনমন্ত্রী টনি বার্ক বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়ং-এর কাছে মাথা নত করবে না।’
এদিকে চলতি আগস্টের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া ঘোষণা করে, তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। সে সময় প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেন, নেতানিয়াহু নিরীহ মানুষের ওপর যুদ্ধের পরিণতি ‘অস্বীকার’ করছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ খাবার ও পানি নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে মারা যাচ্ছে, এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।’
বর্তমানে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪৭টি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডার স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণার প্রায় দুই সপ্তাহ পর অস্ট্রেলিয়াও এই ঘোষণা দেয়।
এর প্রতিক্রিয়ায় নেতানিয়াহু যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনিকে তীব্রভাবে আক্রমণ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, তারা ‘গণহত্যাকারী, ধর্ষক, শিশু হত্যাকারী ও অপহরণকারীদের’ পক্ষ নিয়েছেন।
হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে এ পর্যন্ত ৬২ হাজার ৬৪ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ওই দিন দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর এ অভিযানের সূত্রপাত হয়। হামাসের ওই হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে হামাস।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি তাঁর প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিটের ‘সুন্দর মুখ’ আর ‘ঠোঁট’-এর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। এক অর্থনৈতিক কর্মসূচির প্রচারের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সেখানেই এহেন মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
২৮ মিনিট আগে
এইচ-১বি ভিসা প্রার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্ট যাচাই-বাছাই করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই নতুন সোশ্যাল মিডিয়া নীতিতে আটকে গেল ভারতের আবেদনকারীদের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দিয়েছে ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। সেখানে বলা হয়, ভিসা
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সময় বেঁধে দিয়েছেন, তাঁর প্রস্তাবিত শান্তিচুক্তি মেনে নিতে। কারণ, ট্রাম্প আগামী বড় দিন অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বরের আগেই একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে চান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রমেই নাকাল হয়ে পড়ছে। এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে সেনাবাহিনী থেকে সদস্যদের পলায়ন ও অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত বা পলাতক। এবং সংখ্যা ক্রম
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি তাঁর প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিটের ‘সুন্দর মুখ’ আর ‘ঠোঁট’-এর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। এক অর্থনৈতিক কর্মসূচির প্রচারের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সেখানেই এহেন মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
খবরে বলা হয়েছে, পেনসিলভানিয়ায় এক জনসভায় ৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনের অর্থনৈতিক সফলতার কথা বলছিলেন। তখনই মূল বিষয় থেকে সরে গিয়ে তাঁর ২৮ বছর বয়সী প্রেস সেক্রেটারি কত ‘চমৎকার’ তা নিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আজ আমরা আমাদের সুপারস্টার ক্যারোলিনকে পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। সে কি দারুণ না? ক্যারোলিন কি অসাধারণ?’ উল্লসিত জনতাকে তিনি প্রশ্ন করেন।
এরপর তিনি লেভিটের শারীরিক সৌন্দর্য ও আত্মবিশ্বাসের প্রশংসা করতে শুরু করেন। লেভিট তাঁর চেয়ে ৫০ বছরেরও বেশি ছোট। ট্রাম্প বলেন, ‘যখন সে ফক্সের টেলিভিশন চ্যানেলে যায়, সেখানে সে দাপিয়ে বেড়ায়, দাপিয়ে বেড়ায়...সে যখন মঞ্চে ওঠে তাঁর ওই সুন্দর মুখ আর সেই ঠোঁট নিয়ে, যা থামে না, যেন একটা ছোট্ট মেশিনগান।’
ট্রাম্প বলেন, ‘তাঁর কোনো ভয়ডর নেই...কারণ আমাদের নীতি সঠিক। আমাদের এখানে নারীদের খেলায় পুরুষেরা অংশ নেয় না...আমাদের সবাইকে রূপান্তরকামী হতে বাধ্য করতে হয় না, আর আমাদের উন্মুক্ত সীমান্ত নীতিও নেই যেখান থেকে গোটা বিশ্ব—জেলখানা ও অন্য সব জায়গা থেকে—আমাদের দেশে ঢুকতে পারবে, তাই ওর কাজটা একটু সহজ। আমি তো অন্য পক্ষের প্রেস সেক্রেটারি হতে চাইতাম না।’
এই রিপাবলিকান নেতা আগস্টে নিউজম্যাক্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেও লেভিটকে নিয়ে একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন। তিনি সে সময় বলেছিলেন, ‘ওই মুখটা, ওই মস্তিষ্কটা, ওই ঠোঁট, যেভাবে চলে। মনে হয় যেন সে একটা মেশিনগান। আমার মনে হয় না ক্যারোলিনের চেয়ে ভালো প্রেস সেক্রেটারি আর কারও হয়েছে।’
লেভিট ট্রাম্পের প্রথম প্রশাসনে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সহকারী প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করেছিলেন। নিউ হ্যাম্পশায়ারের বাসিন্দা লেভিট ৬০ বছর বয়সী রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার নিকোলাস রিক্কিও’র সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ এবং তাঁদের নিকো নামে একটি পুত্র সন্তান আছে। কংগ্রেস নির্বাচনে জিততে ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি জানুয়ারি মাসে আবারও হোয়াইট হাউসে ফিরে আসেন এবং ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রেস সেক্রেটারি হন। ট্রাম্পের পঞ্চম প্রেস সেক্রেটারি তিনি এবং তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম প্রেস সেক্রেটারি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি তাঁর প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিটের ‘সুন্দর মুখ’ আর ‘ঠোঁট’-এর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। এক অর্থনৈতিক কর্মসূচির প্রচারের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সেখানেই এহেন মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
খবরে বলা হয়েছে, পেনসিলভানিয়ায় এক জনসভায় ৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনের অর্থনৈতিক সফলতার কথা বলছিলেন। তখনই মূল বিষয় থেকে সরে গিয়ে তাঁর ২৮ বছর বয়সী প্রেস সেক্রেটারি কত ‘চমৎকার’ তা নিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আজ আমরা আমাদের সুপারস্টার ক্যারোলিনকে পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। সে কি দারুণ না? ক্যারোলিন কি অসাধারণ?’ উল্লসিত জনতাকে তিনি প্রশ্ন করেন।
এরপর তিনি লেভিটের শারীরিক সৌন্দর্য ও আত্মবিশ্বাসের প্রশংসা করতে শুরু করেন। লেভিট তাঁর চেয়ে ৫০ বছরেরও বেশি ছোট। ট্রাম্প বলেন, ‘যখন সে ফক্সের টেলিভিশন চ্যানেলে যায়, সেখানে সে দাপিয়ে বেড়ায়, দাপিয়ে বেড়ায়...সে যখন মঞ্চে ওঠে তাঁর ওই সুন্দর মুখ আর সেই ঠোঁট নিয়ে, যা থামে না, যেন একটা ছোট্ট মেশিনগান।’
ট্রাম্প বলেন, ‘তাঁর কোনো ভয়ডর নেই...কারণ আমাদের নীতি সঠিক। আমাদের এখানে নারীদের খেলায় পুরুষেরা অংশ নেয় না...আমাদের সবাইকে রূপান্তরকামী হতে বাধ্য করতে হয় না, আর আমাদের উন্মুক্ত সীমান্ত নীতিও নেই যেখান থেকে গোটা বিশ্ব—জেলখানা ও অন্য সব জায়গা থেকে—আমাদের দেশে ঢুকতে পারবে, তাই ওর কাজটা একটু সহজ। আমি তো অন্য পক্ষের প্রেস সেক্রেটারি হতে চাইতাম না।’
এই রিপাবলিকান নেতা আগস্টে নিউজম্যাক্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেও লেভিটকে নিয়ে একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন। তিনি সে সময় বলেছিলেন, ‘ওই মুখটা, ওই মস্তিষ্কটা, ওই ঠোঁট, যেভাবে চলে। মনে হয় যেন সে একটা মেশিনগান। আমার মনে হয় না ক্যারোলিনের চেয়ে ভালো প্রেস সেক্রেটারি আর কারও হয়েছে।’
লেভিট ট্রাম্পের প্রথম প্রশাসনে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সহকারী প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করেছিলেন। নিউ হ্যাম্পশায়ারের বাসিন্দা লেভিট ৬০ বছর বয়সী রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার নিকোলাস রিক্কিও’র সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ এবং তাঁদের নিকো নামে একটি পুত্র সন্তান আছে। কংগ্রেস নির্বাচনে জিততে ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি জানুয়ারি মাসে আবারও হোয়াইট হাউসে ফিরে আসেন এবং ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রেস সেক্রেটারি হন। ট্রাম্পের পঞ্চম প্রেস সেক্রেটারি তিনি এবং তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম প্রেস সেক্রেটারি।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ইসরায়েলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আলবানিজ অস্ট্রেলিয়ার ইহুদি সম্প্রদায়কে ‘পরিত্যাগ’ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
২০ আগস্ট ২০২৫
এইচ-১বি ভিসা প্রার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্ট যাচাই-বাছাই করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই নতুন সোশ্যাল মিডিয়া নীতিতে আটকে গেল ভারতের আবেদনকারীদের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দিয়েছে ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। সেখানে বলা হয়, ভিসা
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সময় বেঁধে দিয়েছেন, তাঁর প্রস্তাবিত শান্তিচুক্তি মেনে নিতে। কারণ, ট্রাম্প আগামী বড় দিন অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বরের আগেই একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে চান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রমেই নাকাল হয়ে পড়ছে। এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে সেনাবাহিনী থেকে সদস্যদের পলায়ন ও অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত বা পলাতক। এবং সংখ্যা ক্রম
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এইচ-১বি ভিসা প্রার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্ট যাচাই-বাছাই করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই নতুন সোশ্যাল মিডিয়া নীতিতে আটকে গেল ভারতের আবেদনকারীদের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দিয়েছে ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। সেখানে বলা হয়, ভিসা আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকারের তারিখ আগামী বছরে পেছানো হয়েছে।
দূতাবাসের বার্তায় আরও বলা হয়, যদি আপনি আপনার ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে ইমেইল পেয়ে থাকেন, তবে মিশন ইন্ডিয়া আপনার নতুন অ্যাপয়েন্টমেন্ট তারিখে নিতে সহায়তা করতে আগ্রহী।’
বার্তায় সতর্ক করে দূতাবাস আরও জানায়, পুনর্নির্ধারণের নোটিফিকেশন পাওয়ার পরও আগের নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত হলে দূতাবাস বা কনস্যুলেটে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শেষভাগে যেসব সাক্ষাৎকার নির্ধারিত ছিল, সেগুলো আগামী বছরের মার্চে নেওয়া হচ্ছে। তবে ঠিক কতগুলো অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্থগিত হয়েছে, তা জানা যায়নি।
শীর্ষ ব্যবসায়িক অভিবাসন আইন প্রতিষ্ঠানের অ্যাটর্নি স্টিভেন ব্রাউন বলেন, ‘মিশন ইন্ডিয়া যা নিশ্চিত করেছে, তা-ই আমরা শুনছিলাম। সোশ্যাল মিডিয়া যাচাইয়ের কারণে তারা আগামী কয়েক সপ্তাহের বেশ কিছু অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল করে মার্চে পুনর্নির্ধারণ করেছে।’
এইচ-১বি ভিসা আবেদনকারী ও এইচ-৪ নির্ভরশীলদের জন্য স্ক্রিনিং ও যাচাই–বাছাইয়ের পরিধি বাড়িয়েছে মার্কিন সরকার। নতুন নির্দেশনায় আবেদনকারীদের সব সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের প্রাইভেসি সেটিং ‘পাবলিক’ রাখতে বলা হয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য বা জাতীয় নিরাপত্তা কিংবা জননিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারেন কি না তা চিহ্নিত করতে ১৫ ডিসেম্বর থেকে কর্মকর্তারা তাঁদের অনলাইন উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। তবে শিক্ষার্থী ও এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আবেদনকারীরা আগে থেকেই এমন পর্যবেক্ষণের আওতায় ছিলেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, প্রতিটি ভিসার ক্ষেত্রেই জাতীয় নিরাপত্তার কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের অন্যতম প্রধান পথ এইচ-১বি ভিসা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নিয়মকানুনের সর্বশেষ আঘাত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি। গত সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নতুন এইচ-১বি ভিসার ওপর একবারের জন্য ১ লাখ ডলারের অতিরিক্ত ফি আরোপ করেন। এর কিছুদিন পর, আফগান বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তির গুলিতে ন্যাশনাল গার্ড সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র ১৯টি দেশকে ‘উদ্বেগজনক দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত করে আবেদনকারীদের গ্রিন কার্ড, মার্কিন নাগরিকত্ব ও অন্যান্য অভিবাসন প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্থগিত করে।

এইচ-১বি ভিসা প্রার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্ট যাচাই-বাছাই করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই নতুন সোশ্যাল মিডিয়া নীতিতে আটকে গেল ভারতের আবেদনকারীদের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দিয়েছে ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। সেখানে বলা হয়, ভিসা আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকারের তারিখ আগামী বছরে পেছানো হয়েছে।
দূতাবাসের বার্তায় আরও বলা হয়, যদি আপনি আপনার ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে ইমেইল পেয়ে থাকেন, তবে মিশন ইন্ডিয়া আপনার নতুন অ্যাপয়েন্টমেন্ট তারিখে নিতে সহায়তা করতে আগ্রহী।’
বার্তায় সতর্ক করে দূতাবাস আরও জানায়, পুনর্নির্ধারণের নোটিফিকেশন পাওয়ার পরও আগের নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত হলে দূতাবাস বা কনস্যুলেটে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শেষভাগে যেসব সাক্ষাৎকার নির্ধারিত ছিল, সেগুলো আগামী বছরের মার্চে নেওয়া হচ্ছে। তবে ঠিক কতগুলো অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্থগিত হয়েছে, তা জানা যায়নি।
শীর্ষ ব্যবসায়িক অভিবাসন আইন প্রতিষ্ঠানের অ্যাটর্নি স্টিভেন ব্রাউন বলেন, ‘মিশন ইন্ডিয়া যা নিশ্চিত করেছে, তা-ই আমরা শুনছিলাম। সোশ্যাল মিডিয়া যাচাইয়ের কারণে তারা আগামী কয়েক সপ্তাহের বেশ কিছু অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল করে মার্চে পুনর্নির্ধারণ করেছে।’
এইচ-১বি ভিসা আবেদনকারী ও এইচ-৪ নির্ভরশীলদের জন্য স্ক্রিনিং ও যাচাই–বাছাইয়ের পরিধি বাড়িয়েছে মার্কিন সরকার। নতুন নির্দেশনায় আবেদনকারীদের সব সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের প্রাইভেসি সেটিং ‘পাবলিক’ রাখতে বলা হয়েছে।
আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য বা জাতীয় নিরাপত্তা কিংবা জননিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারেন কি না তা চিহ্নিত করতে ১৫ ডিসেম্বর থেকে কর্মকর্তারা তাঁদের অনলাইন উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। তবে শিক্ষার্থী ও এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আবেদনকারীরা আগে থেকেই এমন পর্যবেক্ষণের আওতায় ছিলেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, প্রতিটি ভিসার ক্ষেত্রেই জাতীয় নিরাপত্তার কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের অন্যতম প্রধান পথ এইচ-১বি ভিসা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নিয়মকানুনের সর্বশেষ আঘাত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি। গত সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নতুন এইচ-১বি ভিসার ওপর একবারের জন্য ১ লাখ ডলারের অতিরিক্ত ফি আরোপ করেন। এর কিছুদিন পর, আফগান বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তির গুলিতে ন্যাশনাল গার্ড সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র ১৯টি দেশকে ‘উদ্বেগজনক দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত করে আবেদনকারীদের গ্রিন কার্ড, মার্কিন নাগরিকত্ব ও অন্যান্য অভিবাসন প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্থগিত করে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ইসরায়েলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আলবানিজ অস্ট্রেলিয়ার ইহুদি সম্প্রদায়কে ‘পরিত্যাগ’ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
২০ আগস্ট ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি তাঁর প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিটের ‘সুন্দর মুখ’ আর ‘ঠোঁট’-এর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। এক অর্থনৈতিক কর্মসূচির প্রচারের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সেখানেই এহেন মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
২৮ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সময় বেঁধে দিয়েছেন, তাঁর প্রস্তাবিত শান্তিচুক্তি মেনে নিতে। কারণ, ট্রাম্প আগামী বড় দিন অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বরের আগেই একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে চান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রমেই নাকাল হয়ে পড়ছে। এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে সেনাবাহিনী থেকে সদস্যদের পলায়ন ও অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত বা পলাতক। এবং সংখ্যা ক্রম
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সময় বেঁধে দিয়েছেন, তাঁর প্রস্তাবিত শান্তিচুক্তি মেনে নিতে। কারণ, ট্রাম্প আগামী বড় দিন অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বরের আগেই একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে চান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার ফিন্যান্সিয়াল টাইমস নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তবে বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, মার্কিন আলোচকেরা ইউক্রেনের নেতা ভ্লাদিমির জেলেনস্কিকে শান্তি প্রস্তাবের জবাব দেওয়ার জন্য কয়েক দিন সময় দিয়েছেন। এই প্রস্তাবে কিয়েভকে কিছু অনির্দিষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিনিময়ে রাশিয়ার কাছে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বড়দিনের আগেই একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর আশা করছেন। খবরে বলা হয়েছে, জেলেনস্কি মার্কিন দূতদের বলেছেন—কিয়েভের ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য তাঁর সময়ের প্রয়োজন।
যদিও ট্রাম্প গত মাসে বলেছিলেন, তিনি থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের মধ্যে একটি চুক্তি দেখতে চান, পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে তাঁর কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নভেম্বরে এক শান্তি পরিকল্পনা উত্থাপন করেন, যাতে ইউক্রেনকে দনবাসের সেই অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানানো হয়েছিল, যা বর্তমানে দেশটির নিয়ন্ত্রণ করছে। এটি বিস্তৃত যুদ্ধবিরতির জন্য মস্কোর অন্যতম প্রধান শর্ত ছিল।
সোমবার লন্ডন সফরকালে জেলেনস্কি স্বীকার করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে ‘একটি বড় ধরনের বাধার’ মুখে ঠেলে দিচ্ছে, তবে তিনি যোগ করেছেন যে—ভূখণ্ড নিয়ে কোনো চুক্তি হয়নি। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, ইউক্রেন লড়াই না করে কোনো জমি ছেড়ে দিতে রাজি নয়।
রাশিয়ার সৈন্যরা ফ্রন্ট লাইনের বিভিন্ন অংশে দৃঢ়ভাবে অগ্রগতি অর্জন করে চলেছে, আর ইউক্রেনীয় কমান্ডাররা বলছেন—তাদের কাছে পর্যাপ্ত অস্ত্র নেই এবং নতুন সৈন্যদের দিয়ে যুদ্ধের ক্ষতি পূরণ করতে তারা সংগ্রাম করছেন। ডিসেম্বরের প্রথম দিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ক্রাসনোয়ার্মেইস্ক (পোকরোভস্ক) শহর মুক্তির ঘোষণা করে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দনবাসের এই শহরটিকে পরবর্তী আক্রমণের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ‘সেতুবন্ধন’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।
এদিকে, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রমেই নাকাল হয়ে পড়ছে। এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে সেনাবাহিনী থেকে সদস্যদের পলায়ন ও অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত বা পলাতক; এবং সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
অক্টোবরে ইউক্রেনীয় কৌঁসুলিরা জানান, রাশিয়া ২০২২ সালে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে প্রায় ২ লাখ ৩৫ হাজার সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত রয়েছেন এবং প্রায় ৫৪ হাজার সেনা পলায়ন করেছেন। গত বছর থেকে এই সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি ১ লাখ ৭৬ হাজার এবং পলায়নের ২৫ হাজার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সময় বেঁধে দিয়েছেন, তাঁর প্রস্তাবিত শান্তিচুক্তি মেনে নিতে। কারণ, ট্রাম্প আগামী বড় দিন অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বরের আগেই একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে চান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার ফিন্যান্সিয়াল টাইমস নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তবে বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, মার্কিন আলোচকেরা ইউক্রেনের নেতা ভ্লাদিমির জেলেনস্কিকে শান্তি প্রস্তাবের জবাব দেওয়ার জন্য কয়েক দিন সময় দিয়েছেন। এই প্রস্তাবে কিয়েভকে কিছু অনির্দিষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিনিময়ে রাশিয়ার কাছে ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বড়দিনের আগেই একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর আশা করছেন। খবরে বলা হয়েছে, জেলেনস্কি মার্কিন দূতদের বলেছেন—কিয়েভের ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য তাঁর সময়ের প্রয়োজন।
যদিও ট্রাম্প গত মাসে বলেছিলেন, তিনি থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের মধ্যে একটি চুক্তি দেখতে চান, পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে তাঁর কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নভেম্বরে এক শান্তি পরিকল্পনা উত্থাপন করেন, যাতে ইউক্রেনকে দনবাসের সেই অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানানো হয়েছিল, যা বর্তমানে দেশটির নিয়ন্ত্রণ করছে। এটি বিস্তৃত যুদ্ধবিরতির জন্য মস্কোর অন্যতম প্রধান শর্ত ছিল।
সোমবার লন্ডন সফরকালে জেলেনস্কি স্বীকার করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে ‘একটি বড় ধরনের বাধার’ মুখে ঠেলে দিচ্ছে, তবে তিনি যোগ করেছেন যে—ভূখণ্ড নিয়ে কোনো চুক্তি হয়নি। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, ইউক্রেন লড়াই না করে কোনো জমি ছেড়ে দিতে রাজি নয়।
রাশিয়ার সৈন্যরা ফ্রন্ট লাইনের বিভিন্ন অংশে দৃঢ়ভাবে অগ্রগতি অর্জন করে চলেছে, আর ইউক্রেনীয় কমান্ডাররা বলছেন—তাদের কাছে পর্যাপ্ত অস্ত্র নেই এবং নতুন সৈন্যদের দিয়ে যুদ্ধের ক্ষতি পূরণ করতে তারা সংগ্রাম করছেন। ডিসেম্বরের প্রথম দিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ক্রাসনোয়ার্মেইস্ক (পোকরোভস্ক) শহর মুক্তির ঘোষণা করে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দনবাসের এই শহরটিকে পরবর্তী আক্রমণের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ‘সেতুবন্ধন’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।
এদিকে, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রমেই নাকাল হয়ে পড়ছে। এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে সেনাবাহিনী থেকে সদস্যদের পলায়ন ও অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত বা পলাতক; এবং সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
অক্টোবরে ইউক্রেনীয় কৌঁসুলিরা জানান, রাশিয়া ২০২২ সালে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে প্রায় ২ লাখ ৩৫ হাজার সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত রয়েছেন এবং প্রায় ৫৪ হাজার সেনা পলায়ন করেছেন। গত বছর থেকে এই সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি ১ লাখ ৭৬ হাজার এবং পলায়নের ২৫ হাজার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ইসরায়েলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আলবানিজ অস্ট্রেলিয়ার ইহুদি সম্প্রদায়কে ‘পরিত্যাগ’ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
২০ আগস্ট ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি তাঁর প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিটের ‘সুন্দর মুখ’ আর ‘ঠোঁট’-এর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। এক অর্থনৈতিক কর্মসূচির প্রচারের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সেখানেই এহেন মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
২৮ মিনিট আগে
এইচ-১বি ভিসা প্রার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্ট যাচাই-বাছাই করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই নতুন সোশ্যাল মিডিয়া নীতিতে আটকে গেল ভারতের আবেদনকারীদের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দিয়েছে ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। সেখানে বলা হয়, ভিসা
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রমেই নাকাল হয়ে পড়ছে। এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে সেনাবাহিনী থেকে সদস্যদের পলায়ন ও অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত বা পলাতক। এবং সংখ্যা ক্রম
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রমেই নাকাল হয়ে পড়ছে। এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে সেনাবাহিনী থেকে সদস্যদের পলায়ন ও অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত বা পলাতক; এবং সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
তিমোফ। ইউক্রেনের ৩৬ বছর বয়সী এক অফিস সহায়ক। তাঁর হাতে ও আঙুলে এখনো বেগুনি রঙের ছোট ছোট বেশ কিছু ক্ষত রয়ে গেছে। ছয় মাস আগে সে একটি সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে পালিয়ে আসে কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে। সে সময়ই হাতে এই ক্ষত তৈরি হয়। কিয়েভের এই যুবক জানান, গত এপ্রিলে তাকে জোর করে সেনাবাহিনীতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি পরপর দুবার পালিয়ে এসেছেন।
তিমোফ বলেন, সত্যিকারের লড়াইয়ের জন্য তাঁর প্রশিক্ষণ কতখানি অকার্যকর, তা বুঝেই তিনি পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বুঝতে পারেন, অনিবার্যভাবে তাঁকে ফ্রন্টলাইনের সৈন্য হতে হবে, যেখানে বেঁচে থাকার কোনো সুযোগ থাকবে না। তিমোফ বলেন, ‘কোনো প্রশিক্ষণই দেওয়া হয় না। আমি প্রথম আক্রমণেই মারা যাব, তাতে তাদের কিছু যায়-আসে না।’
তিনি দাবি করেন, তাঁর প্রশিক্ষকেরা বেশির ভাগ সময় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে যাতে কেউ পালাতে না পারে, সেই চিন্তায় মগ্ন থাকতেন। কেন্দ্রটি ছিল কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা একটি তিন মিটার প্রায় ১০ ফুট উঁচু কংক্রিটের দেয়াল দিয়ে সুরক্ষিত। তিমোফ বলেন, ‘একজন সৈনিক গুলি চালানো শিখল কি না, তাতে তাদের কিছু আসে যায় না। তারা আমাকে একটি বন্দুক দিল, আমি লক্ষ্যের দিকে একটি গুলি ছুড়লাম, আর তারা আমার নামের পাশে একটি টিক চিহ্ন দিয়ে দিল।’ ব্যস প্রশিক্ষণ শেষ।
কর্তৃপক্ষের ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকায় তিমোফে তাঁর পদবি এবং ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখতে অনুরোধ করে। তিনি দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো পলাতক বা অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ আনা হয়নি। তাঁর ব্যাখ্যা খুব সহজ, ‘দেশের অর্ধেক মানুষ এখন পালাচ্ছে’, আর সামরিক ও বেসামরিক কর্তৃপক্ষের কাছে এত সংখ্যক পলাতককে খুঁজে বের করে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা নেই।
অক্টোবরে ইউক্রেনীয় কৌঁসুলিরা জানান, রাশিয়া ২০২২ সালে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে প্রায় ২ লাখ ৩৫ হাজার সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত রয়েছেন এবং প্রায় ৫৪ হাজার সেনা পলায়ন করেছেন। গত বছর থেকে এই সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি ১ লাখ ৭৬ হাজার এবং পলায়নের ২৫ হাজার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
ইউক্রেনীয় কমান্ডার ভ্যালেন্তিন মাঙ্কো শনিবার ইউক্রেনীয় প্রাভদাকে বলেন, ‘এমনকি রাশিয়ায়ও এত বেশি সৈন্য অনুমতি ছাড়া পালিয়ে যায়।’ পলায়নের এই সংকট ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড রাশিয়ার কাছে ক্রমেই চলে যাওয়ার মধ্যে সেনাকর্মীর মারাত্মক অভাবকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
নভেম্বরে রাশিয়ার বাহিনী প্রায় ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে নেয়, যার বেশির ভাগই পূর্ব ইউক্রেনে, আর ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনা আবারও থমকে যায়। মাঙ্কো জানান, প্রতি মাসে প্রায় ৩০ হাজার পুরুষকে সেনাবাহিনীতে নেওয়া হয়, কিন্তু সব সামরিক ইউনিটকে ‘পুনরায় সচল’ করতে দরকার ৭০ হাজার সেনা।
যুদ্ধে প্রচলিত নিয়ম অনুসারে, একজন সেনা সামরিক ইউনিট ছেড়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরে পলায়নের অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারেন এবং তার ৫ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। আর অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতির শাস্তি ১০ বছর পর্যন্ত জেল। অনেকেই জেলকে বেছে নিচ্ছেন।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের সাবেক উপপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইগর রোমানেনকো বলেন, ‘আমাদের পলাতক সৈন্য এবং অনুমতি ছাড়া চলে যাওয়া সেনার সংখ্যা খুবই বেশি।’ তিনি বলেন, ‘তারা ভাবে—আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে ফ্রন্টলাইনে যাওয়ার চেয়ে জেলে যাওয়া সহজ।’ রোমানেনকো দীর্ঘদিন ধরে কঠোর যুদ্ধকালীন আইন চালু করার এবং পলাতক ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের জন্য কঠোর শাস্তির পক্ষে সওয়াল করছেন। তাঁর বিশ্বাস, তাদের জেলে না পাঠিয়ে ফ্রন্টলাইনে পাঠানো উচিত।
পলায়ন এবং অনুমতি ছাড়া চলে যাওয়ার মধ্যে আইনি পার্থক্য হলো ‘চিরতরে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য।’ তবে ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সরকার প্রথমবার পলায়নকারীদের জন্য ক্ষমা ঘোষণা করেছে। যার ফলে তারা কোনো শাস্তি ছাড়াই তাদের ইউনিটে ফিরে আসতে পারে। সামরিক কর্তৃপক্ষ এবং তাদের কমান্ডিং অফিসারদের দয়ার ওপর ভরসা করে প্রায় ৩০ হাজার সেনা ফিরে এসেছেন।
দক্ষিণ ইউক্রেনের একটি সামরিক ইউনিটের এক মনোবিজ্ঞানী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘তাদের প্রতি এখন আরও বেশি সহানুভূতি দেখানো হচ্ছে।’ তিনি বলেন, পলায়ন সব সময় মৃত্যুর ভয়ের কারণে হয় না, বরং বেশির ভাগ সময়েই মনোযোগহীন কমান্ডিং অফিসারদের কারণে হয়, যারা তাদের সেনাদের সমস্যাগুলোকে উপেক্ষা করেন। তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বলে, তাদের কমান্ডার তাদের ছুটিতে যেতে দেননি, তাদের অসুস্থ আত্মীয়দের দেখতে যেতে দেননি, এমনকি বিয়ে করতেও দেননি।’
এদিকে সামরিক পুলিশ বাহিনীতে লোকবলের মারাত্মক অভাব রয়েছে এবং আদালতের আদেশ ছাড়া তারা কোনো সেনাকে আটক করতে পারে না। ফলে অনুমতি ছাড়া সেনাবাহিনী ছেড়ে যাওয়া কিংবা পালিয়ে যাওয়া সেনারা খুব বেশি ধরাও পড়ছে না।

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রমেই নাকাল হয়ে পড়ছে। এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে সেনাবাহিনী থেকে সদস্যদের পলায়ন ও অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত বা পলাতক; এবং সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
তিমোফ। ইউক্রেনের ৩৬ বছর বয়সী এক অফিস সহায়ক। তাঁর হাতে ও আঙুলে এখনো বেগুনি রঙের ছোট ছোট বেশ কিছু ক্ষত রয়ে গেছে। ছয় মাস আগে সে একটি সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে পালিয়ে আসে কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে। সে সময়ই হাতে এই ক্ষত তৈরি হয়। কিয়েভের এই যুবক জানান, গত এপ্রিলে তাকে জোর করে সেনাবাহিনীতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি পরপর দুবার পালিয়ে এসেছেন।
তিমোফ বলেন, সত্যিকারের লড়াইয়ের জন্য তাঁর প্রশিক্ষণ কতখানি অকার্যকর, তা বুঝেই তিনি পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বুঝতে পারেন, অনিবার্যভাবে তাঁকে ফ্রন্টলাইনের সৈন্য হতে হবে, যেখানে বেঁচে থাকার কোনো সুযোগ থাকবে না। তিমোফ বলেন, ‘কোনো প্রশিক্ষণই দেওয়া হয় না। আমি প্রথম আক্রমণেই মারা যাব, তাতে তাদের কিছু যায়-আসে না।’
তিনি দাবি করেন, তাঁর প্রশিক্ষকেরা বেশির ভাগ সময় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে যাতে কেউ পালাতে না পারে, সেই চিন্তায় মগ্ন থাকতেন। কেন্দ্রটি ছিল কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা একটি তিন মিটার প্রায় ১০ ফুট উঁচু কংক্রিটের দেয়াল দিয়ে সুরক্ষিত। তিমোফ বলেন, ‘একজন সৈনিক গুলি চালানো শিখল কি না, তাতে তাদের কিছু আসে যায় না। তারা আমাকে একটি বন্দুক দিল, আমি লক্ষ্যের দিকে একটি গুলি ছুড়লাম, আর তারা আমার নামের পাশে একটি টিক চিহ্ন দিয়ে দিল।’ ব্যস প্রশিক্ষণ শেষ।
কর্তৃপক্ষের ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকায় তিমোফে তাঁর পদবি এবং ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখতে অনুরোধ করে। তিনি দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো পলাতক বা অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ আনা হয়নি। তাঁর ব্যাখ্যা খুব সহজ, ‘দেশের অর্ধেক মানুষ এখন পালাচ্ছে’, আর সামরিক ও বেসামরিক কর্তৃপক্ষের কাছে এত সংখ্যক পলাতককে খুঁজে বের করে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা নেই।
অক্টোবরে ইউক্রেনীয় কৌঁসুলিরা জানান, রাশিয়া ২০২২ সালে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে প্রায় ২ লাখ ৩৫ হাজার সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত রয়েছেন এবং প্রায় ৫৪ হাজার সেনা পলায়ন করেছেন। গত বছর থেকে এই সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি ১ লাখ ৭৬ হাজার এবং পলায়নের ২৫ হাজার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
ইউক্রেনীয় কমান্ডার ভ্যালেন্তিন মাঙ্কো শনিবার ইউক্রেনীয় প্রাভদাকে বলেন, ‘এমনকি রাশিয়ায়ও এত বেশি সৈন্য অনুমতি ছাড়া পালিয়ে যায়।’ পলায়নের এই সংকট ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড রাশিয়ার কাছে ক্রমেই চলে যাওয়ার মধ্যে সেনাকর্মীর মারাত্মক অভাবকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
নভেম্বরে রাশিয়ার বাহিনী প্রায় ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে নেয়, যার বেশির ভাগই পূর্ব ইউক্রেনে, আর ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনা আবারও থমকে যায়। মাঙ্কো জানান, প্রতি মাসে প্রায় ৩০ হাজার পুরুষকে সেনাবাহিনীতে নেওয়া হয়, কিন্তু সব সামরিক ইউনিটকে ‘পুনরায় সচল’ করতে দরকার ৭০ হাজার সেনা।
যুদ্ধে প্রচলিত নিয়ম অনুসারে, একজন সেনা সামরিক ইউনিট ছেড়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরে পলায়নের অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারেন এবং তার ৫ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। আর অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতির শাস্তি ১০ বছর পর্যন্ত জেল। অনেকেই জেলকে বেছে নিচ্ছেন।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের সাবেক উপপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইগর রোমানেনকো বলেন, ‘আমাদের পলাতক সৈন্য এবং অনুমতি ছাড়া চলে যাওয়া সেনার সংখ্যা খুবই বেশি।’ তিনি বলেন, ‘তারা ভাবে—আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে ফ্রন্টলাইনে যাওয়ার চেয়ে জেলে যাওয়া সহজ।’ রোমানেনকো দীর্ঘদিন ধরে কঠোর যুদ্ধকালীন আইন চালু করার এবং পলাতক ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের জন্য কঠোর শাস্তির পক্ষে সওয়াল করছেন। তাঁর বিশ্বাস, তাদের জেলে না পাঠিয়ে ফ্রন্টলাইনে পাঠানো উচিত।
পলায়ন এবং অনুমতি ছাড়া চলে যাওয়ার মধ্যে আইনি পার্থক্য হলো ‘চিরতরে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য।’ তবে ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সরকার প্রথমবার পলায়নকারীদের জন্য ক্ষমা ঘোষণা করেছে। যার ফলে তারা কোনো শাস্তি ছাড়াই তাদের ইউনিটে ফিরে আসতে পারে। সামরিক কর্তৃপক্ষ এবং তাদের কমান্ডিং অফিসারদের দয়ার ওপর ভরসা করে প্রায় ৩০ হাজার সেনা ফিরে এসেছেন।
দক্ষিণ ইউক্রেনের একটি সামরিক ইউনিটের এক মনোবিজ্ঞানী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘তাদের প্রতি এখন আরও বেশি সহানুভূতি দেখানো হচ্ছে।’ তিনি বলেন, পলায়ন সব সময় মৃত্যুর ভয়ের কারণে হয় না, বরং বেশির ভাগ সময়েই মনোযোগহীন কমান্ডিং অফিসারদের কারণে হয়, যারা তাদের সেনাদের সমস্যাগুলোকে উপেক্ষা করেন। তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বলে, তাদের কমান্ডার তাদের ছুটিতে যেতে দেননি, তাদের অসুস্থ আত্মীয়দের দেখতে যেতে দেননি, এমনকি বিয়ে করতেও দেননি।’
এদিকে সামরিক পুলিশ বাহিনীতে লোকবলের মারাত্মক অভাব রয়েছে এবং আদালতের আদেশ ছাড়া তারা কোনো সেনাকে আটক করতে পারে না। ফলে অনুমতি ছাড়া সেনাবাহিনী ছেড়ে যাওয়া কিংবা পালিয়ে যাওয়া সেনারা খুব বেশি ধরাও পড়ছে না।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ইসরায়েলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আলবানিজ অস্ট্রেলিয়ার ইহুদি সম্প্রদায়কে ‘পরিত্যাগ’ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
২০ আগস্ট ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি তাঁর প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিটের ‘সুন্দর মুখ’ আর ‘ঠোঁট’-এর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। এক অর্থনৈতিক কর্মসূচির প্রচারের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সেখানেই এহেন মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
২৮ মিনিট আগে
এইচ-১বি ভিসা প্রার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্ট যাচাই-বাছাই করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই নতুন সোশ্যাল মিডিয়া নীতিতে আটকে গেল ভারতের আবেদনকারীদের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দিয়েছে ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। সেখানে বলা হয়, ভিসা
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সময় বেঁধে দিয়েছেন, তাঁর প্রস্তাবিত শান্তিচুক্তি মেনে নিতে। কারণ, ট্রাম্প আগামী বড় দিন অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বরের আগেই একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে চান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে