চৌদ্দ মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে দীর্ঘদিন ধরেই জোর প্রচেষ্টা চলছে। যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের নেতৃত্বে নতুন করে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ায় এ যুদ্ধ অবসানের একটি সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু দেশগুলোর এ মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। মূলত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গায়ের জোরে যুদ্ধ চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার মনোভাব দেখানোর কারণেই এমনটা হয়েছে। এমন সময় নেতানিয়াহু আবারও বললেন, গাজা যুদ্ধ এখনই বন্ধ করতে চান না তিনি।
গতকাল সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
জেরুজালেমে এক প্রেস কনফারেন্সে নেতানিয়াহু বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধ এখনই থামাবেন না। যদি আমরা এখন যুদ্ধ শেষ করি, হামাস আবার ফিরে আসবে, পুনর্গঠিত হবে এবং আমাদের ওপর আক্রমণ করবে। এটি আমরা আর চাই না।’
নেতানিয়াহু আরও বলেন, তিনি হামাসের ধ্বংস নিশ্চিত করা, এর সামরিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা নির্মূল করার লক্ষ্য স্থির করেছেন। যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো আক্রমণ না হয়। এই লক্ষ্য এখনো পূর্ণ হয়নি।
গত শনিবার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার জানায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া, এ আলোচনায় নতুন আশার আলো নিয়ে এসেছে। এর আগে গত ২৩ অক্টোবর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ইসরায়েল হামাসের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করেছে। এর শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মূল করেছে। এখন অতীতের যুদ্ধ বন্ধ করে, জিম্মি মুক্তি এবং যুদ্ধের পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর সময় এসেছে।
কিন্তু গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি বা বিরতির আশায় বারবার পানি ঢালছেন নেতানিয়াহু। গত রোববার গাজায় জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি বলেন, হিজবুল্লাহ ও হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ জিম্মিদের মুক্তির পথ সহজ করে দেবে।
তবে, জিম্মিরা এখনো মুক্তি না পাওয়ার জন্য নেতানিয়াহুকে দায়ী করছেন স্বজনেরা। তাঁদের অভিযোগ, নেতানিয়াহু এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করছেন। তাঁকে জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তি করার আহ্বান জানান তাঁরা।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এএফপির প্রতিবেদনে জানা যায়, হামাসের হামলায় ইসরায়েলের ১ হাজার ২০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই সাধারণ নাগরিক। এ হামলার সময় হামাস ২৫১ জনকে জিম্মি করে। এর মধ্যে ৩৪ জনকে মৃত ঘোষণা করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। আর ৯৬ জন এখনো গাজায় হামাসের জিম্মায় রয়েছেন।
৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পরপরই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় কমপক্ষে ৪৪ হাজার ৭৫৮ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশির ভাগই সাধারণ নাগরিক এবং নারী ও শিশু।
অন্যদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। ২৩ লাখ বাসিন্দার বেশির ভাগই অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত, যাদের মধ্যে অনেকে ১০ বারেরও বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
চৌদ্দ মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে দীর্ঘদিন ধরেই জোর প্রচেষ্টা চলছে। যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের নেতৃত্বে নতুন করে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ায় এ যুদ্ধ অবসানের একটি সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু দেশগুলোর এ মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। মূলত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গায়ের জোরে যুদ্ধ চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার মনোভাব দেখানোর কারণেই এমনটা হয়েছে। এমন সময় নেতানিয়াহু আবারও বললেন, গাজা যুদ্ধ এখনই বন্ধ করতে চান না তিনি।
গতকাল সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
জেরুজালেমে এক প্রেস কনফারেন্সে নেতানিয়াহু বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধ এখনই থামাবেন না। যদি আমরা এখন যুদ্ধ শেষ করি, হামাস আবার ফিরে আসবে, পুনর্গঠিত হবে এবং আমাদের ওপর আক্রমণ করবে। এটি আমরা আর চাই না।’
নেতানিয়াহু আরও বলেন, তিনি হামাসের ধ্বংস নিশ্চিত করা, এর সামরিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা নির্মূল করার লক্ষ্য স্থির করেছেন। যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো আক্রমণ না হয়। এই লক্ষ্য এখনো পূর্ণ হয়নি।
গত শনিবার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার জানায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া, এ আলোচনায় নতুন আশার আলো নিয়ে এসেছে। এর আগে গত ২৩ অক্টোবর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ইসরায়েল হামাসের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করেছে। এর শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মূল করেছে। এখন অতীতের যুদ্ধ বন্ধ করে, জিম্মি মুক্তি এবং যুদ্ধের পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর সময় এসেছে।
কিন্তু গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি বা বিরতির আশায় বারবার পানি ঢালছেন নেতানিয়াহু। গত রোববার গাজায় জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি বলেন, হিজবুল্লাহ ও হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ জিম্মিদের মুক্তির পথ সহজ করে দেবে।
তবে, জিম্মিরা এখনো মুক্তি না পাওয়ার জন্য নেতানিয়াহুকে দায়ী করছেন স্বজনেরা। তাঁদের অভিযোগ, নেতানিয়াহু এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করছেন। তাঁকে জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তি করার আহ্বান জানান তাঁরা।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এএফপির প্রতিবেদনে জানা যায়, হামাসের হামলায় ইসরায়েলের ১ হাজার ২০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই সাধারণ নাগরিক। এ হামলার সময় হামাস ২৫১ জনকে জিম্মি করে। এর মধ্যে ৩৪ জনকে মৃত ঘোষণা করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। আর ৯৬ জন এখনো গাজায় হামাসের জিম্মায় রয়েছেন।
৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পরপরই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় কমপক্ষে ৪৪ হাজার ৭৫৮ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশির ভাগই সাধারণ নাগরিক এবং নারী ও শিশু।
অন্যদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। ২৩ লাখ বাসিন্দার বেশির ভাগই অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত, যাদের মধ্যে অনেকে ১০ বারেরও বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে প্রায় পৌনে দুই বছর ধরে। এই সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত ছিটমহলটিতে ইসরায়েল যে গণহত্যামূলক যুদ্ধ চালিয়েছে তাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৮ হাজার ৮০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই সময় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক।
১০ মিনিট আগেনৌকাটির বেশির ভাগ যাত্রীই রাজধানী হ্যানয় থেকে আসা ভিয়েতনামী পরিবারের বলে জানা গেছে। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টিপাত উদ্ধার অভিযানকে বাধাগ্রস্ত করছে। তবে, এখন পর্যন্ত ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ সংগঠনটির সদস্যপদ বা সমর্থন এখন একটি ফৌজদারি অপরাধ। সন্ত্রাসবাদ আইন, ২০০০-এর অধীনে এ জন্য ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
১০ ঘণ্টা আগেভারত ও বাংলাদেশের আপত্তি উপেক্ষা করে আঞ্চলিক অভিন্ন নদ ব্রহ্মপুত্রের উজানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেছে চীন। আজ শনিবার তিব্বতের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত এই নদে বিশাল জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং। বার্তা সংস্থা এএফপি এসব তথ্য জানিয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে