Ajker Patrika

বি-টু বোমারু বিমান

২০ হাজার কেজি ওজন নিয়ে ওড়ে ১২৫০ কিমি বেগে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি ইরানে গিয়ে হামলা চালাল বি-টু বোমারু বিমান। দেশটির মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে গত শনিবার দিবাগত রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় এই বিমান। এর মধ্য দিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বহরে থাকা অন্যতম সেরা বোমারু বিমানটি।

যুক্তরাষ্ট্রের নর্থরপ গ্রুমম্যান করপোরেশন বি-টু বোমারু বিমান তৈরি করেছে। যুদ্ধক্ষেত্রে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ওড়ার ক্ষমতা রাখে এই বোমারু বিমান। ২০০১ সালে আফগান যুদ্ধের সময় ৪৪ ঘণ্টা টানা অভিযান চালানো হয়েছিল বি-টু স্পিরিট এবং ৫টি বি-২-এস যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। এই অভিযান শেষ করে মাত্র ৪৫ মিনিটের বিরতি দিয়ে আবার টানা ৩০ ঘণ্টা উড়ে মিজৌরিতে ফিরে এসেছিল। তবে বিরতির সময়ও বিমানের ইঞ্জিন চালু ছিল। ওই অভিযানে মোট ৭০ ঘণ্টার বেশি সময় চালু ছিল বি-২ বোমারুর বিমানের ইঞ্জিন।

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন যুদ্ধবিমানের বহরের নিখুঁত যুদ্ধবিমান এটি। এটি মাঝ আকাশে জ্বালানি নিতে পারে অন্য বিমান থেকে। এ পর্যন্ত কোনো যুদ্ধে এই বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। বি-২ বোমারু বিমানটি ৬৯ ফুট লম্বা, ১৭ ফুট উঁচু এবং দুই পাখার প্রস্থ ১৭২ ফুট। অর্থাৎ এটির প্রস্থ একটি ফুটবল মাঠের অর্ধেক। এর গতিকে বলা হয় সাবসনিক গতি। অর্থাৎ ঘণ্টায় ১ হাজার ২৩৫ কিলোমিটার উড়তে পারে এটি। আর ৫০ হাজার ফুট উঁচু দিয়ে উড়তে সক্ষম এই বোমারু বিমান। নর্থরপ গ্রুমম্যান করপোরেশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, একবার জ্বালানি নিয়ে এই বোমারু বিমান ১০ হাজার নটিক্যাল মাইল উড়তে পারে (যেখানে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দূরত্ব ৬ হাজার ৩০০ নটিক্যাল মাইল)। দুনিয়ার যেকোনো প্রান্তে এটি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যেতে পারে। ওজন নিতে পারে ২০ টন বা ২০ হাজার কেজি।

১৯৮৯ সালে এই বি-টু প্রথম দেখা গিয়েছিল। এরপর মার্কিন বিমানবাহিনীর হাতে এটি তুলে দেওয়া হয় ১৯৯৩ সালে। তবে মার্কিন বিমানবাহিনী এই বিমান ব্যবহার করলেও এটি রক্ষণাবেক্ষণ করে নর্থরপ গ্রুমম্যান। সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, এর ‘ফ্লাইং উইংয়ের’ বিশেষ ডিজাইনের কারণে রাডারকে ফাঁকি দিতে পারে। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল যুদ্ধবিমান এটি। এর একটির মূল্য ২০০ কোটি মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা)।

নর্থরপ গ্রুমম্যান করপোরেশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালে এই যুদ্ধবিমানের ৩০ বছর পূর্তি হয়েছে। এর আগে বেশ কিছু যুদ্ধে এই বোমারু বিমান ব্যবহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে কসভো যুদ্ধের সময় ১৯৯৯ সালে সার্বিয়ায়, ২০০১ সালে আফগানিস্তান যুদ্ধে, ইরাক যুদ্ধে এবং লিবিয়ায় অভিযান চালানোর সময় বি-২ স্পিরিট ব্যবহার করেছে মার্কিন বাহিনী। নর্থরপ গ্রুমম্যান করপোরেশন বলছে, এর বিশেষত্ব হলো এটি রাডার ফাঁকি দিয়ে গোপনে, অনেক দূরে এবং অনেক ওজন বহন করে হামলা চালাতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাবেক সিইসি নূরুল হুদার গলায় ‘জুতার মালা’ দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

ইরানের পতন হলে, এরপরই রাশিয়া—অভিমত রুশ বিশ্লেষকদের

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর মোদির সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্টের ফোনালাপ

অনেক দেশ ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত, দাবি পুতিনের শীর্ষ সহযোগীর

মার্কিন হামলার পর ইসরায়েলে ‘খোররামশহর-৪’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত