Ajker Patrika

মোদির জন্মদিন পালনে ২১ দিনের কর্মসূচি বিজেপির

প্রতিনিধি, কলকাতা
মোদির জন্মদিন পালনে ২১ দিনের কর্মসূচি বিজেপির

১৯৫০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর ৭২ তম জন্মদিন ২১ দিন ধরে পালন করবে বিজেপি। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত পালিত হবে মোদি-উৎসব। ১৭ সেপ্টেম্বর রেকর্ড পরিমাণ করোনা টিকার টার্গেট নিয়েছে দলটি। বিজেপি কর্মীদের প্রশিক্ষণেরও বন্দোবস্ত করা হয়েছে। মোদি মেলা মেলা থেকে শুরু করে তাঁকে নিয়ে দেশজুড়ে প্রচার চালানো হবে। তবে মোদির জন্মদিন নিয়ে বিজেপির আগ্রহ থাকলেও বিরোধীরা এর সমালোচনা করেছেন।

উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশসহ ভারতের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভার ভোট সামনেই। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা বাড়াতে তাঁর জন্মদিনকেই হাতিয়ার করছে বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা জানান, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা টিকা দেওয়া হবে। তাই আট লাখ স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত ৬ লাখ ৮৮ হাজার জনের প্রশিক্ষণ হয়েছে। এ ছাড়া রক্তদান শিবির, গঙ্গা সাফাই অভিযান, মোদি মেলা, নমো প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতা, স্বচ্ছতা অভিযান ইত্যাদিও থাকছে। এখন বিজেপির প্রচারের প্রধান মুখ মোদিই। তাই তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়াতে ঢালাও জনসংযোগ কর্মসূচি নিচ্ছে ভারতের শাসক দল। 

বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, পশ্চিমবঙ্গেও ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। মনো অ্যাপের মাধ্যমে মোদির প্রদর্শনীও হবে। 

অন্যদিকে, মোদি-বিরোধীরা 'জুমলা দিবস' (মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিবস) পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মোদির জন্মদিনে যুব কংগ্রেসের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে 'জাতীয় বেকার দিবস' পালনের কথা। সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্যা বৃন্দা কারাত প্রশ্ন তুলেছেন, সরকারি টাকা খরচ করে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালনের যৌক্তিকতা নিয়ে।   

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চাঁদে মানুষ যায়নি, কিম কারদাশিয়ানের এমন দাবির জবাব দিল নাসা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
কিম কারদাশিয়ান। ছবি: এক্স
কিম কারদাশিয়ান। ছবি: এক্স

চন্দ্রাভিযান নিয়ে কিম কারদাশিয়ানের একটি মন্তব্য সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে নাসা। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) আমেরিকান রিয়্যালিটি শো ‘দ্য কারদাশিয়ানস’-এ কিম কারদাশিয়ান ষড়যন্ত্র তত্ত্বের প্রতি তাঁর আগ্রহের কথা বলতে গিয়ে প্রশ্ন তোলেন, ‘১৯৬৯ সালের চন্দ্রাভিযান আসলেই হয়েছিল কি না।’

পর্বটি সম্প্রচারের কয়েক ঘণ্টা পর নাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক শন ডাফি এক্সে কিমকে ট্যাগ করে একটি ভিডিওচিত্র শেয়ার করেন। সেখানে কিমের সন্দেহ প্রকাশের অংশটি ছিল। ডাফি লেখেন, ‘হ্যাঁ, আমরা আগে চাঁদে গিয়েছিলাম...একবার নয় ছয়বার! খুশির খবর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে আবারও আমরা চাঁদে যাচ্ছি। শেষবার আমরাই মহাকাশ রেসে জিতেছিলাম এবং এবারও আমরা জিতব।’

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল ‘দ্য কারদাশিয়ানস’ অনুষ্ঠানটিতে অভিনেত্রী সারা পলসনের সঙ্গে কিম তাঁর আসন্ন টিভি সিরিজ ‘অলস ফেয়ার’ নিয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় কিম পলসনকে বলেন, ‘আমি তোমাকে বাজ অলড্রিন ও অন্য একজনের মহাকাশ মিশন নিয়ে কিছু আর্টিকেল পাঠাচ্ছি।’ এরপর তিনি বাজ অলড্রিনকে নিয়ে লেখা একটি আর্টিকেল পড়েন।

কিম বলেন, সেই আর্টিকেলে চাঁদে ভ্রমণের সময় ভয়ংকর কোনো অভিজ্ঞতা হয়েছিল কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে অলড্রিন বলেছিলেন, ‘কোনো ভয়ংকর মুহূর্তই ছিল না, কারণ এটি ঘটেইনি! এটি ভয়ংকর হতে পারত, কিন্তু তা ছিল না। কারণ, এটি ঘটেনি।’

কিমের দাবি, অলড্রিনের এই মন্তব্যের কারণেই তিনি এখন বিশ্বাস করেন, চাঁদে অবতরণ করার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এর কিছুক্ষণ পরে এক সাক্ষাৎকারে কিম বলেন, ‘আমি সব সময় ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে আগ্রহী। আমি মনে করি, চাঁদে অবতরণের ঘটনাটি বানানো ছিল। আমি বাজ অলড্রিনের কিছু ভিডিও দেখেছি, যেখানে তিনি বলছেন, এটি ঘটেনি। তিনি এখন প্রায়ই সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেন। আমাদের বাজ অলড্রিনকে খুঁজে বের করা উচিত।’

শন ডাফির জবাবের প্রতিক্রিয়ায় কিম কারদাশিয়ান এক্সে একটি পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘ওয়েট....৩আই/অ্যাটলাসের খবর কী?!?!!!!!!!????’

ডাফি সেই প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘নাসার বর্তমান তথ্য দেখায়, এটি আমাদের সৌরজগতের মধ্য দিয়ে যাওয়া তৃতীয় আন্তনাক্ষত্রিক ধূমকেতু। এটির প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, এলিয়েন বলে কিছু নেই। পৃথিবীতে মানুষের জীবনের জন্যও কোনো হুমকি নেই।’

ডাফি আরও জানান, আর্টেমিস মিশনে কিমের চাঁদে যাওয়ার ইচ্ছে আছে জেনে তিনি খুশি হয়েছেন। তিনি কিমকে কেনেডি স্পেস সেন্টারে আসন্ন আর্টেমিস উৎক্ষেপণের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। তবে কিম সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন কি না, তা জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, চাঁদে অবতরণ মঞ্চস্থ করা হয়েছিল বা এটি মিথ্যা ছিল—এ ধরনের তত্ত্ব দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক মাধ্যম ও অন্যান্য ক্ষেত্রে আলোচনার বিষয়। তবে ইনস্টিটিউট অব ফিজিক্সের তথ্য অনুসারে, নাসা চন্দ্রাভিযানকে মিথ্যা দাবি করার প্রতিটি যুক্তিই ভুল প্রমাণিত করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজবাড়িতে বসে খাওয়ার দিন শেষ প্রিন্স অ্যান্ড্রুর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
অ্যান্ড্রু আর প্রিন্স নন। ছবি: সংগৃহীত
অ্যান্ড্রু আর প্রিন্স নন। ছবি: সংগৃহীত

ব্রিটিশ রাজপরিবারে এক ঐতিহাসিক ও নাটকীয় সিদ্ধান্তে রাজা চার্লস তাঁর ভাই প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে রাজপরিবার থেকে কার্যত বহিষ্কার করেছেন। এর ফলে শুধু রাজকীয় মর্যাদাই নয়, হারাতে হচ্ছে তাঁর ৩০ কক্ষবিশিষ্ট রাজপ্রাসাদও। উইন্ডসর এস্টেটের অন্তর্গত সেই রয়্যাল লজে গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করছিলেন অ্যান্ড্রু। এখন তাঁকে রাজকীয় আড়ম্বর থেকে বহু দূরে গ্রামীণ এলাকায় নির্বাসিত জীবন কাটাতে হবে।

৬৫ বছর বয়সী অ্যান্ড্রুর জন্য এটি এক চূড়ান্ত অপমান। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বিতর্কিত অতীত—বিশেষ করে মার্কিন যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং ভার্জিনিয়া জিউফ্রের সাম্প্রতিক স্মৃতিকথায় তাঁর যৌন কেলেঙ্কারি প্রকাশের ঘটনায় জনরোষে ছিল ব্রিটিশ রাজপরিবার। অ্যান্ড্রু এসব অভিযোগ অস্বীকার করলেও জনমনের ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দুই সপ্তাহ আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে রাজকীয় উপাধি ও সম্মান ত্যাগ করেছিলেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু। সে সময় তিনি দাবি করেন, পরিবার ও দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েই তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু সেই পদক্ষেপেও জনমত শান্ত হয়নি।

অবশেষে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাকিংহাম প্যালেস থেকে ঘোষণা এসেছে—অ্যান্ড্রু আর প্রিন্স নন; এখন তিনি কেবল অ্যান্ড্রু মাউন্টব্যাটেন উইন্ডসর, এক সাধারণ নাগরিক।

রাজা নিজেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এতে অ্যান্ড্রুর কোনো মতামত নেওয়া হয়নি—যদিও তিনি কোনো আপত্তিও করেননি। বিবৃতিতে যৌন নির্যাতনের শিকারদের প্রতি সংহতির বার্তাও ছিল।

রাজা চার্লসের এই পদক্ষেপ ১৯৩৬ সালের সংকটের (রাজা অষ্টম হেনরির সিংহাসন ত্যাগ) পর রাজপরিবারে সবচেয়ে বড় ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। রাজপরিবারের অভ্যন্তরীণ সম্পর্কের জটিলতা সত্ত্বেও চার্লসের পক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া অনিবার্য ছিল। কারণ অ্যান্ড্রুর বিতর্ক বছরের পর বছর রাজপরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে।

উইন্ডসর এস্টেটের অন্তর্গত এই রয়্যাল লজ ছেড়ে দিতে হবে অ্যান্ড্রুকে। ছবি: সংগৃহীত
উইন্ডসর এস্টেটের অন্তর্গত এই রয়্যাল লজ ছেড়ে দিতে হবে অ্যান্ড্রুকে। ছবি: সংগৃহীত

ইতিহাসবিদ কেট উইলিয়ামস এই সিদ্ধান্তকে ‘অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর মতে, ‘ডিউক অব ইয়র্ক’ উপাধি ত্যাগের পরও জনমত শান্ত হয়নি। ফলে রাজা বাধ্য হয়েছেন কঠোর ব্যবস্থা নিতে। তিনি এই ঘটনার তুলনা টেনেছেন অতীতে অষ্টম হেনরি কিংবা রানি ভিক্টোরিয়ার নাতি চার্লস এডওয়ার্ডের সঙ্গে—তাঁদেরও উপাধি একসময় কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।

ব্রিটিশ রাজনৈতিক মহলেও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে। কনজারভেটিভ নেতা কেমি ব্যাডেনক বলেছেন, ‘নিজ ভাইয়ের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ কঠিন হলেও পরিবারের মর্যাদা রক্ষায় এটি রাজার সঠিক সিদ্ধান্ত।’

তবে সমালোচকদের একাংশ মনে করেন, শুধু উপাধি হারানো যথেষ্ট নয়। রিপাবলিক আন্দোলনের নেতা গ্রাহাম স্মিথ বলেন, ‘গুরুতর যৌন অপরাধের অভিযোগে শুধু উপাধি খোয়ানোই যথেষ্ট নয়; আইন সবার জন্য সমান হওয়া উচিত।’

এদিকে সবকিছুর পরও অ্যান্ড্রু সিংহাসনের উত্তরাধিকারের অষ্টম স্থানে রয়েছেন। জানা গেছে, তাঁকে স্যান্ড্রিংহামে রাজা চার্লসের ব্যক্তিগত এস্টেটে একটি বাড়ি দেওয়া হবে এবং রাজা নিজে কিছু আর্থিক সহায়তাও করবেন।

অ্যান্ড্রুর সাবেক স্ত্রী সারা ফার্গুসনও রয়্যাল লজ থেকে সরে যাচ্ছেন। তবে তাঁদের দুই মেয়ে প্রিন্সেস বিট্রিস ও ইউজিনির রাজ উপাধি বহালই থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুখ্যাত হিমলারের নাতি হিসেবে নিজের পরিচয় জেনে স্তম্ভিত জার্মান যাজক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ৩৭
ছবি: দ্য টাইমস
ছবি: দ্য টাইমস

জার্মান যাজক হেনরিক লেনকাইট এক চমকপ্রদ সত্যের মুখোমুখি হয়েছেন। জানতে পেরেছেন—নাজি জার্মানির কুখ্যাত এসএস প্রধান ও হলোকাস্টের জনক হেইনরিখ হিমলারের নাতি তিনি।

৪৯ বছর বয়সী লেনকাইট বর্তমানে স্পেনের দক্ষিণাঞ্চলে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন। একদিন ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করতে গিয়ে তিনি উইকিপিডিয়ায় তাঁর শৈশবে দেখা নানি হেডভিগ পটহাস্টের একটি ছবি দেখতে পান। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, হেডভিগ ছিলেন হিমলারের উপপত্নী!

শৈশবে যে নানি চকলেট খাইয়ে আদর করতেন, তিনিই নাকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিমলারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন এবং এ সম্পর্কের ফলেই নিজের মায়ের জন্ম হয়েছিল জানতে পেরে বেশ অবাক হন লেনকাইট। তিনি জানান, তাঁর মা ২০১৯ সালে মারা যান এবং কখনো নানির এ সম্পর্কের কথা বলে যাননি।

লেনকাইট সারা জীবন ভেবে এসেছেন, হেডভিগের স্বামী হান্স স্টেক ছিলেন তাঁর প্রকৃত নানা। কিন্তু একটি ডকুমেন্টারি দেখে কৌতূহলবশত হিমলার সম্পর্কে পড়তে গিয়ে তিনি হঠাৎ আবিষ্কার করেন নিজের মাতৃকুলের এ ভয়ংকর ইতিহাস।

লেনকাইট বলেন, ‘উইকিপিডিয়ায় তাকিয়ে দেখি, আমার নানির মুখ! তখন স্ত্রীর দিকে ফিরে বলেছিলাম—আমি কি সত্যিই তাঁর নাতি?’

লেনকাইট আরও বলেন, ‘আমার পুরো জীবনটাই যেন এক মিথ্যা ছিল। ৪৭ বছর ধরে আমি সত্য না জেনে বেঁচে ছিলাম।’

হেডভিগ পটহাস্ট ও হিমলারের সম্পর্ক নিয়ে ঐতিহাসিক সূত্রে নানা তথ্য পাওয়া যায়। বলা হয়, ১৯৩৮ সালের বড়দিনে তাঁরা একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেন। তাঁদের চিঠিতে হিমলার তাঁর প্রেয়সীকে ‘বান্নি’ এবং হেডভিড তাঁকে ‘কিং হেইনরিখ’ বলে ডাকতেন। ১৯৪২ সালে তাঁদের পুত্র হেলগে ও ১৯৪৪ সালে কন্যা নানেট-ডোরোথিয়া (লেনকাইটের মা) জন্ম নেন।

যুদ্ধের শেষ দিকে ১৯৪৫ সালে হিমলার ব্রিটিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় আত্মহত্যা করেন। পরে হেডভিগ ১৯৫৫ সালে হান্স স্টেককে বিয়ে করেন।

জার্মান পত্রিকা ডের স্পিগেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লেনকাইট জানান, সত্যটি জানতে তাঁর এক বছর লেগেছে এবং বিষয়টি সন্তানদেরও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কীভাবে আমার নানি এমন এক দানবকে ভালোবাসতে পেরেছিলেন। তবু আমি বিশ্বাস করি, আমার বাবা-মা কেউই নাৎসি মতবাদে বিশ্বাস করতেন না।’

আরও একটি বিষয় হলো—১৯৯৪ সালে নানির শেষকৃত্যে লোকজনের অনুপস্থিতি দেখে কিছুটা অবাক হয়েছিলেন লেনকাইট। কিন্তু আজ তিনি বুঝতে পারছেন, সেই নীরবতার পেছনে লুকিয়ে ছিল এক ভয়াবহ অতীত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ক্যালিফোর্নিয়া জাদুঘর থেকে ১ হাজারের বেশি ঐতিহাসিক নিদর্শন চুরি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ২১: ২৬
ক্যালিফোর্নিয়া জাদুঘর থেকে চুরি হওয়া একটি নাকফুল। ছবি: এপির সৌজন্যে
ক্যালিফোর্নিয়া জাদুঘর থেকে চুরি হওয়া একটি নাকফুল। ছবি: এপির সৌজন্যে

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া জাদুঘর থেকে ১ হাজারের বেশি নিদর্শন চুরি হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ধাতব গয়না, নেটিভ আমেরিকানদের হাতে তৈরি ঝুড়ি ও সাধারণ কিছু সামগ্রী। কিছু ট্রফিও ছিল; যা ‘গোল্ডেন স্টেট’ নামে পরিচিত এই রাজ্যের ইতিহাসের প্রতীক।

ওকল্যান্ড পুলিশ গত বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, চুরির ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ অক্টোবর ভোরের দিকে। ওকল্যান্ড মিউজিয়াম অব ক্যালিফোর্নিয়া থেকে কিছু দূরে একটি ভবনে এসব প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রাখা ছিল। সেখান থেকেই এগুলো চুরি হয়।

জাদুঘরের পরিচালক লরি ফোগার্টি স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বলেন, এই জিনিসগুলো চোর বাজার, অ্যান্টিক স্টোর বা গয়না বন্ধক রাখা হয় এমন দোকানে পাওয়া যেতে পারে। তাই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই চুরি শুধু জাদুঘরের ক্ষতি নয়, এগুলো জনগণের, আমাদের কমিউনিটিরও ক্ষতি। আমরা আশা করছি, আমাদের কমিউনিটি এগুলোকে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।’

ফোগার্টি মনে করেন, এটি সুযোগ বুঝে করা একটি অপরাধ। কোনো সুনির্দিষ্ট শিল্পকর্ম চুরির ঘটনা নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, চোরেরা ভবনে ঢোকার একটি উপায় খুঁজে বের করেছে এবং তারা সহজে যা পেয়েছে, তা নিয়েই ভবন থেকে বেরিয়ে গেছে।’

চুরি হওয়া জিনিসগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রয়াত শিল্পী, শিক্ষাবিদ ও মেটালস্মিথ (ধাতুশিল্পী) ফ্লোরেন্স রেজনিকফের তৈরি নাকফুল, এক জোড়া খোদাই করা হাতির দাঁত এবং নেটিভ আমেরিকানদের তৈরি ঝুড়ি। ফোগার্টি জানান, চুরির বেশির ভাগ জিনিসই ছিল গত শতাব্দীর গোড়ার দিকের ঐতিহাসিক স্মৃতিচিহ্ন; যেমন; ক্যাম্পেইন পিন ও কিছু ট্রফি।

ওকল্যান্ড মিউজিয়াম অব ক্যালিফোর্নিয়ার লক্ষ্য হলো—ক্যালিফোর্নিয়ার শিল্প, ইতিহাস ও প্রাকৃতিক পরিবেশের তথ্য সংরক্ষণ করা। এর সংগ্রহে ১৮ শতকের শেষ ভাগ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়ার শিল্পীদের কাজ, সে সঙ্গে প্রত্নবস্তু, ছবি, প্রাকৃতিক নমুনা ও কিছু রেকর্ডিং রয়েছে। জাদুঘরটি ব্ল্যাক পাওয়ার মুভমেন্ট ও বিভিন্ন সময়ে ছাত্রদের আন্দোলন নিয়েও নানা প্রদর্শনী করেছে।

লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন জন রোমেরো লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসকে বলেন, চুরির ঘটনাটি দুই সপ্তাহ আগে ঘটায় জিনিসগুলো হয়তো ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। তিনি মনে করেন, পুরোনো বা অ্যান্টিক জিনিসপত্র বিক্রি করা হয়, এমন প্ল্যাটফর্মগুলোতে গোয়েন্দারা নজর রাখতে পারেন। তিনি বলেন, এই চোরেরা টাকা পেতে চাইবে। এই জিনিসগুলোর ঐতিহাসিক মূল্য কী, সেটা তারা যাচাই করবে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব তারা এগুলো বিক্রি করে দেবে।

এর আগে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ওকল্যান্ডের এক ব্যক্তি জাদুঘরের ভেতরে ঢুকে ক্যালিফোর্নিয়ার ‘গোল্ড রাশ’ যুগের (স্বর্ণ আবিষ্কারের সময়) একটি গয়নার বাক্স নিয়ে গিয়েছিল। ফোগার্টি বলেন, সে সময় স্থানীয় জনগণের সহায়তায় জিনিসটি একটি অ্যান্টিক শপে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। তিনি আশা করেন, এবারও কমিউনিটি সাহায্য করবে।

ওকল্যান্ড পুলিশ বিভাগ বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, তবে এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেছে, পুলিশ ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) একটি ইউনিটের সঙ্গে কাজ করছে। এদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার এই চুরির ঘটনার ঠিক চার দিন পর প্যারিসের ল্যুভর মিউজিয়াম থেকে দিনের আলোতে মূল্যবান কিছু গয়না চুরি হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করলেও গয়নাগুলো এখনো উদ্ধার করা যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

সাপের ছোবল খেয়ে সাপসহ হাসপাতালে নারী

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

১০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ভারত-যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত